সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

কিশোরকে যৌন নির্যাতন, বিচার চাওয়ায় মাকে ধর্ষণের হুমকি

প্রতীকী ছবি
প্রতিনিধি, মেহেরপুর
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, মেহেরপুর
প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২৩ ২৩:৩৫

মেহেরপুরের গাংনী পৌর এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকার করে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিচার চাইতে গেলে ভুক্তভোগী কিশোরের মাকেও ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত কিশোর। ঘটনাটি শালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করে দেয়ার চেষ্টাও করা হয়। তা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত শুক্রবার থানায় মামলা হয়েছে।

যৌন নির্যাতনের শিকার কিশোরের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৫ জুলাই সকালে মাঠপাড়ার ওই কিশোরকে পাখি শিকারের কথা বলে তারই খেলার সাথী রাহুলকে দিয়ে ডেকে নেয় মুরসালিন। পরে বাড়ির পাশে মাঠে তাকে বলাৎকার করে মুরসালিন। ঘটনাটি ভিডিও করে রাখে রাহুল। জানাজানি হলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয় ওই কিশোরকে। মুরসালিন মাঠপাড়ার মোকাদ্দেস ওরফে মুকার ছেলে। তিনি একজন মুরগি ব্যবসায়ী।

ভুক্তভোগী কিশোর বাড়ি ফিরে অসুস্থতাবোধ করলে বিষয়টি তার মায়ের নজরে পড়ে। তিনি স্থানীয় কয়েকজনে ঘটনাটি জানিয়ে বিচার দাবি করেন। কিন্তু মোরসালিন ও তার অনুসারীদের চাপে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যেতে থাকে। একই সময়ে ছেলেটির পরিবার গাংনী থানায় গেলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাদের মামলা করতে নিরুৎসাহিত করেন।

এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে কয়েকজন শালিস করতে চাইলেও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ভুক্তভোগী পরিবারটিকে বাধা ও হুমকি দেয়ায় শালিসও বসেনি। পরে থানায় যাওয়ার খবরে অভিযুক্ত মুরসালিনের মা ও বোন ওই ছেলেটির বাড়িতে গিয়ে ছেলেটির মাকে হুমকি দেন। বলেন, ‘বাড়াবাড়ি’ করলে পাড়া থেকে উচ্ছেদ করা হবে। পরদিন মুরসালিন নিজেও নির্যাতনের শিকার কিশোরের মাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়।

গাংনী পৌরসভার মেয়রকে জানালে তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশিদুল ইসলাম খোকনকে ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। কাউন্সিলর খোকন বিস্তারিত জেনে ওই ছেলের পরিবারকে থানায় মামলা করতে বলেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ওই কিশোরের পরিবার আগেও থানায় এসেছিল। পরে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেবে জানিয়ে বাড়ি চলে যায়। আজ (গতকাল) তারা আবার থানায় এসে মামলা করেছে। মামলা নিয়ে আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।’

বিষয়:

ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনে গেল জাহাজ

কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে রোববার সকালে জাহাজটি ছেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

নানা জটিলতা কাটিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে ৬৫৩ জন পর্যটক নিয়ে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন গেছে এমভি বারো আউলিয়া। রোববার সকাল ১০টায় কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি ছেড়ে যায়। জাহাজটি বিকেল নাগাদ দ্বীপে পৌঁছেছে।

গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। ওইদিন কেয়ারী সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার কথা থাকলেও পর্যটক সংকটের কারণে যাত্রা বাতিল করে। ফলে এমভি বারো আউলিয়ায় কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে ৯ মাস পর প্রথম যাত্রা শুরু হলো। এমভি বার আউলিয়ার পরিচালক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রোববার তিনটি জাহাজ ছাড়ার পরিকল্পনা থাকলেও ছেড়েছে কেবল এমভি বার আউলিয়া। জাহাজটিতে ৮৫০ জন যাত্রীর ধারণ ক্ষমতা থাকলেও গেছেন ৬৫৩ জন।

এদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার পর্যন্ত এই রুটে কেয়ারী সিন্দাবাদ ও এমভি বার আউলিয়া ছাড়াও কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামে আরেকটি যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। তবে যাত্রী সংকটের কারণে বার আউলিয়া ছাড়া অপর দুটি জাহাজ গতকাল সেন্টমার্টিন যায়নি। সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনকে নিয়ন্ত্রণে আনাসহ জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ নিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়। এ কমিটির আহ্বায়ক এবং কক্সবাজার সদরের ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া নির্দেশনা মেনে পর্যটকেরা আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন। দৈনিক দুই হাজার পর্যটক যেতে পারবেন। গতকাল বারো আউলিয়ার প্রথম যাত্রায় যাত্রী হিসেবে ছিলেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার ওবায়দুর রহমান। সপরিবারে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করছেন তিনি। জাহাজে ওঠার আগে তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, দ্বীপে দুই দিন থাকার পরিকল্পনা নিয়ে যাচ্ছি। ট্রাভেল পাস জোগাড়ে একটু জটিলতা হলেও দ্বীপে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে থাকবে, জটিলতা থাকবে না, আরামে ঘোরা যাবে-এসব আনন্দের। এ সময় এ প্রতিনিধির কথা হয় আরও কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে। প্রায় সবাই সেন্টমার্টিনে দু-একদিন থাকার প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছেন বলে জানান।

এদিকে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সেন্টমার্টিনে পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বহন করা নিষিদ্ধ। এ নিয়মটি যাত্রীদের মানাতে জেটিতে জাহাজে ওঠার সিঁড়িতে পর্যটকদের হাতে পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক আছে কি না তা তদারকি করতে দেখা যায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। পর্যটকরা যাতে জাহাজে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জমির উদ্দিন। তিনি বলেন, পর্যটকদের পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। জাহাজে যাতে কোনোভাবে পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর থাকবে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল সকালে পর্যটকবাহী জাহাজ পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক ভ্রমণ এবং জাহাজ চলাচলের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচলের ঘাট নির্ধারণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা কার্যকর করতে এ সংক্রান্তে গঠিত কমিটি কাজ করবে। প্রসঙ্গত গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজ নিয়ন্ত্রণে যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে যেতে হলে পর্যটকদের নিবন্ধনসহ নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। ওই মন্ত্রণালয়ের গঠন করা যৌথ কমিটি এসব বিষয় দেখভাল করবে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কক্সবাজার সদর ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালককে করা হয়েছে সদস্য সচিব।

গত ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটনের জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ইনানি সৈকতে স্থাপিত নৌ-জেটি ব্যবহার করে সেন্টমার্টিনে পর্যটক পরিবহন হতো। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ইনানি জেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখান থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।


গুলি করে নারীকে হত্যা: মামলার পর প্রেমিককে খুঁজছে পুলিশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০০:১৬
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দোগাছি এলাকার সার্ভিস সড়কে গুলি করে সাহিদা ইসলাম রাফা (২৪) নামে এক তরুণীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা। হত্যা মামলাটিতে ওই নারীর কথিত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে (২৮) প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ওই যুবককে খুঁজছে পুলিশ। শ্রীনগর থানার ওসি কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শ্রীনগর থানা সূত্র জানায়, রোববার সকাল ১০টায় শ্রীনগর থানায় নিহত তরুণীর মা জরিনা খাতুন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই নারীর কথিত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে নিহত সাহিদা ইসলাম সাফার সঙ্গে তৌহিদ শেখ তন্ময় নামে ওই যুবকের প্রেম ও দ্বন্দ্বের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, এদিন দুপুরে ওই নারীর মরদেহ ২৫০ শয্যা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে। পরে সেটি নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহের বেগুনবাড়িতে। গতকাল শনিবার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের দোগাছি এলাকায় শরীরে ৫ জায়গায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশ থেকে পাওয়া যায় ৫ রাউন্ড গুলির খোসা।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, ভোরে ওই নারীকে পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন খান বাড়ি সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকা থেকে মুখে দাড়িওয়ালা এক যুবকের সঙ্গে মহাসড়কের সার্ভিস লেনে হেঁটে যেতে দেখা যায়। এর আগে সেখানে তর্কে জড়ান তারা। সে সময় চড়-থাপ্পড় দিতে দেখা যায় নারীকে। তবে গুলি করতে দেখেননি কেউ।

থানা সূত্র জানায়, বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিকালে নিহত নারীর সঙ্গে থাকা মোবাইলের সিমের সূত্র ধরে ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করে থানা পুলিশ। পরে খবর পেয়ে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবার সদস্যরা জানান, নিহত সাহিদা রাজধানী ঢাকার ওয়ারিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন ও নারিন্দা এলাকার বলধা গার্ডেন সংলগ্ন জনৈক কামাল মিয়ার বাড়িতে তার শিশুদের দেখাশোনার (ডে-কেয়ার) কাজ করতেন। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত মো. মোতালেবের মেয়ে তিনি। তারা ২ ভাই ও ৩ বোন। তাছাড়া ৭-৮ বছর আগে সাহিদার বিয়েও হয়েছিল। পরে সেই সম্পর্ক টেকেনি।

নিহতের মা জরিনা খাতুন বলেন, ‘মুখে দাড়িওয়ালা তৌহিদ নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করত সাহিদা। তবে তাদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রায়ই মারামারি হতো। এমনকি আমি নিজেও ওই যুবকের হাতে মারধরের শিকার হয়েছি বেশ কয়েকবার।’

তিনি বলেন, ‘একপর্যায়ে আমি তাদের প্রেমের বিষয়টি মেনেও নিই। কিন্তু ছেলের পরিবার মানতে চাইত না। আমার কাছে ছেলের মা বিয়ে বাবদ ১০ লাখ টাকাও চায়। আমি বাসা-বাড়ির কাজ করে খাই। ১০ লাখ টাকা কোথা থেকে দেব! কয়েক মাস আগে চাঁদপুরে গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় তৌহিদ-সাহিদা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। থানা থেকে আমাকে খবর দেওয়া হলে আমি রাগে-ক্ষোভে যাইনি। পরে ছেলের পরিবারের সদস্যরা গিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে দুজনকে। তবে আমার ছেলেটাকে সুবিধার মনে হতো না। শুনেছি সে গাঁজার ব্যবসা করে। আমি প্রায়ই আমার মেয়েকে বলতাম, এই ছেলের সঙ্গে এভাবে যেখানে-সেখানে ঘোরাঘুরি না করতে। কিন্তু আমার কথা শুনত না আমার মেয়ে রাফা।’

নিহতের মা জরিনা আরও বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাহিদা আমাদের সঙ্গে বাসায়ই ছিল। এমন সময় ফোনে ডেকে নেওয়া হয় সাহিদাকে। পরে শনিবার দুপুরে আমার মেয়েকে গুলি করে হত্যার খবর পাই পুলিশের কাছ থেকে। আমি শুনেছিলাম ছেলের বাড়ি বিক্রমপুর। মনে হয় ওই ছেলেই আমার মেয়েকে এখানে নিয়ে এসে হত্যা করেছে।’

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, ‘কথিত প্রেমিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়গুলো সামনে রেখে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। শিগগিরই ঘটনা উদ্ঘাটন হবে ও খুনি ধরা পড়বে।’


ইসকনের ৫৪ ভক্তকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের ৫৪ ইসকন ভক্তকে আটকে দিয়েছে বেনাপোল বন্দর ইমিগ্রেশন।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এবং আজ রোববার সকালে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইসকন ভক্তরা ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোলে আসেন। শনিবার দিনভর এবং রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

ইসকন সদস্য সৌরভ তপন্দার চেলী বলেন, ‘ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। ভারত যাওয়ার অনুমতি নেই বলে ইমিগ্রেশন ফেরত পাঠিয়েছে।’

ভারত যেতে বেনাপোলে আসা ইসকন ভক্ত অন্যজন জানান, ধর্মীয় আচার পালন করতে তারা ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই তাদের ইমিগ্রেশন থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঞা বলেন, ‘ভারতে সন্দেহজনক ভ্রমণ মনে করে ৫৪ বাংলাদেশি যাত্রীকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।’


মুন্সীগঞ্জে এক্সপ্রেসওয়েতে গুলি করে তরুণীকে হত্যা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশের সার্ভিস সড়ক থেকে গুলিতে নিহত এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে তার পরিচয়ও নিশ্চিত করে পুলিশ। ওই তরুণীর নাম সাহেদা আক্তার (২২) ওরফে সাহিদা বেগম। মরদেহটি উদ্ধারের সময় এর পাশে কয়েকটি গুলির খোসা পড়ে ছিল। তাকে ওই মহাসড়কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে নাকি আশেপাশে কোথাও হত্যা করে সেখানে লাশ ফেলা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে তথ্য সংগ্রহ কছে পুলিশ।

নিহদ সাহেদা ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার বেগুনবাড়ির বরিবয়ান এলাকার আবদুল মোতালেবের মেয়ে। তিনি ঢাকার ওয়ারী এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ফিরোজ কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের সমসপুর এলাকার দোগাছি সার্ভিস সড়ক থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার জানান, সাহিদা রাজধানীর ওয়ারীতে তার ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন, কাজ করতেন একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে।

একটি ফোন কলের সূত্র ধরে তরুণীর পরিচয় শনাক্তের কথা জানিয়ে ফিরোজ কবীর বলেন, 'ফিঙ্গারপ্রিন্টে তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।'

স্থানীয়রা জানান, ভোরে ওই তরুণীকে এক যুবকের সঙ্গে মহাসড়কে হাঁটতে দেখা গেছে। তার এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর তরুণীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ মহাসড়কে পড়ে থাকতে দেখতে পান পথচারীরা। তরুণীর সঙ্গে থাকা ওই যুবককে স্থানীয়রা চিনতে পারেনি। তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের পিঠে একাধিক গুলির চিহ্ন ছিল। লাশের পাশে কয়েকটি গুলির খোসা পড়ে ছিল। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান।

তবে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তারা এটাও ধারণা করছেন, গুলি করে ওই তরুণীকে হত্যার পর চলন্ত গাড়ি থেকে মরদেহ এক্সপ্রেসওয়েতে ফেলে গেছে কেউ।

পুলিশ জানিয়েছে, সকাল আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পিবিআই, ডিবি পুলিশের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে যান। সেখানে সাহেদার হাতের আঙুলের চিহ্ন নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে শ্রীনগর থানায় নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিকেলে তার মাকে খবর দিলে তিনি থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সকালেই ঘটনাস্থলে যায়। বিকেলে ওই তরুণীর নাম-পরিচয় শনাক্ত করা হয়। আশপাশের ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিছুর রহমান নিহত তরুণীর মায়ের বরাত দিয়ে জানান, রাজধানীর একটি বাড়িতে বাচ্চা পালনের কাজ করতেন সাহেদা। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে তিনি ওয়ারীর বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল। আজ দুপুরের পরে তাঁর মা জানতে পারেন, মেয়ে গুলিতে মারা গেছেন। তবে কার সঙ্গে, কেন সাহেদা শ্রীনগরের দোগাছি এলাকায় এসেছিলেন, সেটি তাঁরা জানেন না। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।


কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন, সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, কুমিল্লা ভৌগোলিক বিবেচনায় বিভাগের দাবি রাখে। তাই কুমিল্লাকে অচিরেই বিভাগ ঘোষণা করা হবে।

শনিবার বিকেলে নিজ উপজেলা মুরাদনগর ডিআর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মুরাদনগরবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা কুমিল্লা নামে বিভাগ হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু কুমিল্লা নামেই বিভাগ ঘোষণা করা হবে। আমরা তা দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়ে কাজ চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের অনেকেই বলতেন ভারতের আশীর্বাদ ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারত পালালেন, তখন ভারত কোথায় ছিল?’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যে কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় আসার মালিক হচ্ছে এ দেশের জনগণ। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ সমাজকে নেতৃত্ব দিতে নিজেদের প্রস্তুত হতে হবে।’

ব্যারিস্টার নাছের আলমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টার বাবা বিল্লাল হোসেন মাস্টার, মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি নেতা কাজী জুন্নুন বশরীসহ বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, হেফাজতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ এবং জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্য ও বিপ্লবী ছাত্র-জনতা।

অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টে কুমিল্লা জেলার ৩৫ শহীদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

এর আগে দুপুরে উপজেলার কবি নজরুল মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা আসিফ। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার সচিব মো. নজরুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার, মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানসহ অন্য কর্মকর্তারা।


কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৮ কোটিরও বেশি টাকা

দিনভর গণনা চলে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের টাকা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা। ৩ মাস ১৩ দিনে মিলল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এ ছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।

শনিবার সারা দিন গণনা শেষে এই পরিমাণ টাকা পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা বাক্স কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমত।

এর আগে চলতি বছরের ১৭ আগষ্ট মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ২৮ বস্তা টাকা। তখন দিনভর টাকা গণনা শেষে পাওয়া গেছে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াও প্রচুর পরিমাণ হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলও দান করেন অনেকে।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ৭ টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে দানবাক্সের টাকা বস্তায় ভরা হয়। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বস্তা থেকে টাকাগুলো মসজিদের দ্বিতীয় তলায় মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। গণনা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূইয়া বলেন, টাকা গণনায় অংশ নেয় পাগলা মসজিদ মাদ্রাসার ১৩০ জন ও আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ১৫৫ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদের ৩৬ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ৭৫ জন কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর ১০ জন সদস্য, ১০ জন আনসার সদস্য, ২০ জন পুলিশ, ৫ জন র‍্যাব ও জেলা প্রশাসন থেকে ২০ জন কাজ করছেন। এবার দানবাক্স খোলার সময় পার হয়ে যাওয়ার অতিরিক্ত একটি টিনের ট্রাঙ্ক বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মসজিদটিতে আগে ৯ টি দানবাক্স থাকলেও এখন দুটি বাড়ানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি অসহায় এবং জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করা হয়।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে বস্তায় ভরা এবং গণনা শেষে ব্যাংক পর্যন্ত সব টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে তিনিসহ তাঁর পুলিশ সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন।

মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, ছয়তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য একটি মেগা প্রকল্প করা হবে। এতে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ অর্ধলাখ মুসল্লি যাতে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন, এ রকম আকর্ষণীয় একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে একসঙ্গে পাঁচ হাজার নারীর আলাদাভাবে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। এ প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যাচাই-বাছাই করে নকশা চূড়ান্ত করে দিলেই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। এতে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।

মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছেন এই মসজিদে। মনের আশা পূরণের জন্য তারা এই দান করেন।

দানবাক্স খোলার পর থেকেই গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় জমান উৎসুক মানুষ। বাজিতপুর উপজেলার বাসিন্দা বোরহান বলেন, ‘মানুষের মুখে আর বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকায় পাগলা মসজিদের দানবাক্সে জমা পড়া টাকার কথা শুনি। গতবারও দেখতে এসেছিলাম। এবার আবারও নিজ চোখে দেখতে এসেছি। সত্যিই এত পরিমাণ টাকা একসঙ্গে কখনও দেখিনি।’

কিশোরগঞ্জের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দার তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমির ওপর অবস্থিত ঐতিহাসিক এই পাগলা মসজিদ।


বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নাম

জানুয়ারিতে উদ্বোধন ও বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:২১
ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)

যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে নতুন নাম কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধনের আগেই নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

উদ্বোধনের প্রথম বছর ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে ক্রসিংয়ের সমস্যা হবে না, ফলে সময় সাশ্রয় হবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান এসব তথ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুটির নাম পরিবর্তনের জন্য উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। সেতুটি আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধনের আগেই নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এখনও নাম পরিবর্তনের চূড়ান্ত করা হয়নি। মাসুদুর রহমান আরও বলেন, ‘মূল রেল সেতুর কাজ শতভাগ সম্পন্ন। এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৬ শতাংশ। চলতি বছরের আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আমরা ট্রেন চলাচলে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করব। সে লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে উদ্বোধনের সম্ভবনা রয়েছে। এই রেল সেতুটি উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে উন্মুক্ত করতে চাই।’

এদিকে গত মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর উদ্বোধনী ট্রায়াল ট্রেন চলাচল করছে। ট্রায়াল ট্রেনের শুরুতে ঘণ্টায় গতি ছিল ১০ কিলোমিটার, পরের বার ঘণ্টায় ট্রেনের গতি ছিল ২০ এবং ৪০ কিলোমিটার। এর আগে গত সোমবার ২৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল থেকে ট্রায়াল ট্রেন শুরু হয়। উদ্বোধনী ট্রায়াল ট্রেনটি ২০ মিনিটে পশ্চিম পাড়ে পৌঁছায় এবং ১০ মিনিটে ফিরে আসে ও মাঝ পথে পশ্চিম পাড় থেকে ছেড়ে আসা অপর ট্রায়াল ট্রেনটি ক্রসিং করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু রেলওয়ে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দেশের এই দীর্ঘতম স্বতন্ত্র রেল সেতু দিয়ে বিরতিহীনভাবে কমপক্ষে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে সেতু পারাপার হতে পারবে। ফলে সেতু পারাপারে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় বাঁচবে। নির্মাণাধীন এই রেল সেতুতে সাধারণ ট্রেন ছাড়াও দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হয়। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে। বর্তমানে রেল জাদুঘর নির্মাণে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় হাজার কোটি টাকার অর্থ সাশ্রয়ে হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এবং ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়।


রাখাইনে মুহুর্মুহু বিমান হামলা-বোমা বিস্ফোরণ

বিকট শব্দে আতঙ্কে টেকনাফের মানুষ
টেকনাফের সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে ভেসে আসছে মুহুর্মুহু গোলার বিকট শব্দ। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে টেকনাফ সীমান্তের ওপারে বিমান হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দে এপারের মানুষের ঘরবাড়িও কেঁপে ওঠে। এতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে সীমান্তের কাছাকাছি মানুষজন ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে। টেকনাফের জাদিমুড়া থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা কেফায়েরত উল্লাহ। সীমান্তের কাছাকাছি জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা। সে বলে, ‘রাতে হঠাৎ সীমান্তে পর পর দুটি গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। এতে ঘর থেকে লোকজন বেরিয়ে পড়ে। আমাদের মতো অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসে। এ ছাড়া সীমান্তে যুদ্ধ বিমান দেখা গেছে।’

সীমান্তে খোঁজখবর রাখেন এমন এক সরকারি কর্মকর্তা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘অনেক দিন পর সীমান্তের খুব বেশি গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাখাইনের পেরাংপুল ও আশিক্ক্যা পাড়া জান্তা সরকার যুদ্ধ বিমান নিয়ে হামলা করছে। মূলত আরকান আর্মির দখলে থাকা চৌকি উদ্ধারের সরকার নতুন করে হামলা চালাচ্ছে। ফলে নতুন করে সীমান্তে অনুপ্রবেশের শঙ্কাও বাড়তে পারে।’

এদিকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার দায়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের নেতৃত্ব দানকারী সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) আবেদন করেছেন প্রসিকিউটররা। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে একটি রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন পুলিশ পোস্টে হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়েছিল। সেনারা সে সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উৎখাতে তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় এবং হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে। সহিংস সে অভিযানের ফলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার ইউএনও দায়িত্বে থাকা (ভূমি) সহকারী কমিশনার আরিফ উল্লাহ নিজামী বলেন, ‘মিয়ানমারের গোলার বিকট শব্দে আমার বাসা ভবনও কেঁপে উঠেছে। এ ধরনের হামলায় সীমান্তের লোকজন যাতে আতঙ্কিত না হয় সে জন্য খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্তের আমাদের বাংলাদেশ কোস্ট-বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী টেকনাফের বাসিন্দা মোহাম্মদ জসিম বলেন, ‘এ ধরনের গোলার বিকট শব্দ আগে পাওয়া যায়নি। যার ফলে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্তে আগুনের কুণ্ডলি, যুদ্ধ বিমানও দেখা গেছে। আমরা খুব ভয়ের মধ্য আছি।’

সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে আছে উল্লেখ করে বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, ‘অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে বিজিবি তৎপর রয়েছে।’


১২ ডিগ্রিতে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা, শীতজনিত রোগের প্রকোপ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

চলতি বছরের নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে সেসব অঞ্চলে শীতের উপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছিল। দেশের উত্তর অঞ্চলেই শীত সবার আগে আসে। গত কয়েক দিন ধরেই দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। হিমালয় থেকে বয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাস আর কুয়াশায় জেলায় শীতের উপস্থিতি বেশ প্রকট।

জেলার তাপমাত্রা কমতে শুরু করায় সেখানে চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। কিন্তু সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আবহাওয়াবিদ রাসেল শাহ। তিনি বলেন, ‘হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার প্রভাবে তাপমাত্রা কমে গেছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

পঞ্চগড়ের স্থানীয়রা জানান, দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি মিললেও রাতের শীতে কাবু হতে হচ্ছে। বিকেলের পর শীতের পোশাক পরতে হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম আর রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ার এই তারতম্যে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।

এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগের কারণে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন তিন-চারশ রোগী জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিদিন গড়ে শতাধিক শিশু ও বয়স্ক রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

এবার হেমন্তের শুরু থেকেই উত্তরের এই জনপদে শুরু হয়েছিল শীতের আবহ। বর্তমানে দিনভর ঝলমলে রোদ থাকায় দিনে গরম অনুভূত হলেও বিকাল হতে না হতেই শুরু হচ্ছে শীতের অনুভূতি।


চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুলের দু’দফা জানাজা, মানুষের ঢল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি ঘিরে সংঘর্ষে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দু’দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে নগরীতে।

জানাজায় অংশ নিতে কোর্ট বিল্ডিং চত্বর ও জমিয়তুল ফালাহ প্রাঙ্গণে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কোর্ট বিল্ডিং চত্বরে। সাড়ে ১১টার দিকে নগরের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিকেল ৪টায় লোহাগাড়ার চুনতি ফারেঙ্গা গ্রামের বাড়িতে সবশেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।

সকাল ৯টার পর থেকে নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ জড়ো হতে থাকে কোর্ট বিল্ডিং চত্বর ও ওয়াসা মোড়ের জমিয়তুল ফালাহ প্রাঙ্গণে। অনেককে ট্রাক-বাসে করে জেলা-উপজেলা থেকে আসতেও দেখা গেছে। ১১টা বাজতেই জমিয়তুল ফালাহ মাঠে জনস্রোত নামে জানাজার নামাজ ঘিরে।

জানাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ অংশ নেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নগর জামাতের আমীর শাহজাহান চৌধুরীসহ আরও অনেক রাজনীতিবিদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঢাকা থেকে এসে জানাজায় শরিক হন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

জমিয়তুল ফালাহ মাঠের দ্বিতীয় জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী।

এ সময় শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘কোনো বক্তব্য নাই আর, সবাই কাতারবন্দি হয়ে যান। শুধু প্রশাসনের ভাইদেরকে বলতে চাই, গত ১৫ দিন ধরেই আমি বলে আসছিলাম এই চিন্ময় দাস উস্কানিমূলক সমাবেশ প্রেসক্লাবের সামনে করেছে, চেরাগির পাহাড়ে করেছে, লালদীঘির ময়দানে করেছে। আমি বলেছি এরা বেড়ে যাচ্ছে তাদের কোনো কর্মসূচি করতে দেবেন না। কিন্তু কেউ পাত্তা দেননি।'

সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের প্রথম জানাজার নামাজ শেষে উপস্থিত আইনজীবীরা অবিলম্বে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের খুনিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানান। এছাড়া ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি তোলেন তারা। কেউ কেউ এ সময় সহকর্মী আলিফের স্মৃতিচারণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের প্রিয় ভাই আলিফ মঙ্গলবার ইসকন সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। তাই আইনজীবী সমিতির পক্ষ হতে আজকে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। জানাজা শেষে আমরা আজকে বারে বসব। এরপর আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’

তিনি বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে আসামির প্রিজন ভ্যান ঘেরাও করে রেখে গতকাল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে। এটিও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড বলে আমরা মনে করি। এই হত্যার বিচারের দাবিতে আইনজীবী সমিতি জিরো টলারেন্স নীতিতে অবস্থান নেবে।'

আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা লড়বে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসামিদের পক্ষে আইনজীবী লড়লে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব আমাদের ভূমিকা কী হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম (৩৫)কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।


চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, আইনজীবী নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্টদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে নেওয়ার সময় চট্টগ্রামের লালদিঘী এলাকায় সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে একজন আইনজীবী নিহত হয়েছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় আজ বিকেলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালত ভবনের প্রবেশমুখে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

নিহত আইনজীবী আলিফের বাড়ি চট্টগ্রাামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম জামাল উদ্দিন। সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিযুক্ত হয়েছিলেন।

আহতদের মধ্যে শ্রীবাস দাশ, শারকু দাশ, ছোটন, সুজিত ঘোষ, উৎপল ও এনামুল হকের পরিচয় জানা গেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদিতা ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতের নিচতলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গল সিনেমা লেনে নিয়ে গিয়ে মারধরের পর কুপিয়ে হত্যা করে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৮ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ১৯ জনকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মন্নান।

আব্দুল মন্নান বলেন, ‘কেউ মাথায় আঘাত পেয়েছেন, কেউ হাতে, কেউ শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত পেয়ে আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।’

জানা যায়, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত সনাতনীরা আদালত চত্বরে প্রায় তিনঘণ্টা পুলিশের প্রিজনভ্যান আটকে রাখেন। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে অবস্থান নেন। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অনুপস্থিতিতে দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অনেকে গুরুতর আহত হন।

এর আগে, মঙ্গলবার কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে হওয়া মামলায় রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে বেলা পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

এই আদেশের পরপরই এজলাসের বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ভক্ত-অনুসারীরা। এরপর প্রায় আধঘণ্টা এজলাসের বাইরেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। বেলা সোয়া ১২টার দিকে তাকে এজলাস থেকে বের করে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজনভ্যানে তোলা হলে প্রিজনভ্যানের সামনেই বসে বিক্ষোভ করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।

দুপুর ১২টার পরপরই আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারী ও আইনজীবীদের একাংশ। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যকে নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা তারা প্রিজনভ্যান আটকে রাখার পর বেলা ৩টার দিকে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে হওয়া মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

এরপর মঙ্গলবার ভোরে তাকে চট্টগ্রাম নেওয়ার পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারপর বেলা ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)।

সম্প্রতি, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। এই জোট ৮ দফা দাবিতে কয়েকদিন ধরে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

অন্যদিকে, সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।


সিলেটে দ্বন্দ্বের জেরে যুবদলকর্মী খুন, আটক ৬

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট ব্যুরো

সিলেট নগরের শাহপরাণ এলাকায় দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষে বিলাল আহমদ মুন্সী (৩৫) নামে এক যুবদলকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে শাহপরাণ থানাধীন বাহুবল এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন বিলাল। নিহত বিলাল আহমদ মুন্সী শাহপরাণ বাহুবল আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে।

এদিকে, বিলাল হত্যার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। বিকেল ৩টায় শাহপরাণ গেটে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে স্থানীয় লোকজন ও যুবদল নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাহুবল এলাকার স্কুলছাত্র সাকের ও রাশেদের মধ্যে সিনিয়র ও জুনিয়র দ্বন্দ্ব নিয়ে কদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এলাকার কিছু লোক দুইপক্ষে বিভক্ত হয়ে এই বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিশ-বৈঠকও হয়। কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এরই জের ধরে সাকেরের পক্ষ নেন যুবদল-ছাত্রদলের সিলেটের শাহজালাল উপশহর গ্রুপের কিছু নেতা-কর্মী।

সোমবার রাত ১০টার দিকে যুবদলের উপশহর গ্রুপের কয়েকজন নেতা-কর্মী সশস্ত্র অবস্থায় বাহুবল এলাকায় যান।

এ সময় তারা স্থানীয় একটি পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে যুবদলকর্মী বিলাল আহমদ মুন্সী গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহতের হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের পর দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাদ আছর তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করেছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

জানা যায়, ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে শাহপরাণ বাজারে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী।


নাটোরে গাড়িচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের গুরুদাসপুরে কাছিকাটা এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটা ১০ নম্বর ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার কৈশবপুর এলাকার মৃত আবেদ আলীর ছেলে মোতালেব হোসেন (৪৫), এবং একই এলাকার মৃত জয়েন প্রামানিকের ছেলে শাহ আলম (৪৭)।

বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটা এলাকার ১০ নম্বর ব্রিজে দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। তবে কোন গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়েছে, তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।


banner close