বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৯ ভাদ্র ১৪৩২

কারাগারে হত্যা মামলার প্রধান আসামি, পরিবারের দাবি নির্দোষ

প্রতীকী ছবি
প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২৩ ২৩:৩৮

বাড়িতে সাত বছরের অবুঝ ছেলে। মায়ের অবস্থাও মুমূর্ষু। এ অবস্থায় কারাগারে দিন কাটাতে হচ্ছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের রুমেল খানকে (৪০)। একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি। তবে স্ত্রী সাদিয়া সুলতানার অভিযোগ, তার স্বামী রুমেলকে জেল খাটতে হচ্ছে ‘বিনা দোষে’।

গত ৩ জুলাই বিকেলে ঘাগটিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মুহাম্মাদ জিলান (২২) মোটরসাইকেলে করে তাঁর ছোট ভাইকে বাসে তুলে দিতে মৌলভীবাজার শহরে যান। ফেরার পথে ছয়-সাতজন দুর্বৃত্ত জিলানের ওপর হামলা চালায়। জিলান প্রাণ বাঁচাতে একটি দোকানে আশ্রয় নিলে সেই দোকান থেকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর জিলানকে পাঠানো হয় সিলেটে। সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৭ জুলাই রাতে জিলানের মৃত্যু হয়।

জিলানের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রুমেলকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ৭ জুলাই রাতেই রুমেলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রুমেল প্রতিহিংসার শিকার দাবি করে তার স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমার স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ। তিনি প্রতিহিংসার শিকার। ঘটনার দিন আমাদের বাড়িতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিল। আমার স্বামী বাড়িতেই ছিলেন। বিনা দোষে আমার স্বামীকে জেল খাটতে হচ্ছে।’

জিলানের বাবা আব্দুল হামিদ ‘খারাপপ্রকৃতির লোক’ উল্লেখ করে সাদিয়া বলেন, ‘গ্রামে জুলুম-অত্যাচার করেন তিনি। আমার স্বামী এসবের প্রতিবাদ করেন বলেই প্রতিহিংসার বশে তাকে ছেলের হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করেছেন আব্দুল হামিদ।’ এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান রুমেলের স্ত্রী সাদিয়া।

মামলার বাদী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘২০২২ সালে সামান্য কয়েকটি কবুতর নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে রুমেল খান আমাকে তার বাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আমাকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এ ঘটনায় আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। এরই জের ধরে রুমেলের পরিকল্পনায় তার ভাই-ভাতিজারা মিলে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।’

জিলান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই বিদ্যুৎ পুরকায়স্থ বলেন, ‘মামলার এজাহারে রুমেল খানকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী উল্লেখ করেছেন বাদী। প্রাথমিক তদন্তের তার সত্যতাও পাওয়া গেছে। এ জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তদন্ত সবে শুরু, বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, ‘তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। তবে এটি নিশ্চিত, কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে হয়রানি করবে না পুলিশ।’


নাটোরে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে দুই গ্রামের মানুষের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নওদা জোয়াড়ী ও গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা গ্রামের সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে নওদা জোয়াড়ী ও চাপিলা আঞ্চলিক সড়কে দুই গ্রামের শতাধিক মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

বক্তারা জানান, প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি বছরের পর বছর ধরে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়ে স্থানীয় কৃষকরা দারুণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি সাম্প্রতিক বর্ষণে পানির স্তর বেড়ে দুই গ্রামের শতাধিক বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে যাতায়াত—সবকিছুই এখন ব্যাহত হচ্ছে।

মানববন্ধনে নওদা জোয়াড়ী গ্রামের কৃষক ও জয় কৃষির বাড়ির স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন প্রামানিক বলেন, প্রতিবার বর্ষায় আমাদের জমির ফসল নষ্ট হয়। এবারও প্রায় সাত বিঘা জমিতে ধান রোপণ করতে পারিনি। এখন আবার বাড়িতেও পানি উঠেছে।

চাপিলা গ্রামের গৃহবধূ রহিমা খাতুন বলেন, ঘরের ভেতর হাঁটু সমান পানি জমে আছে। চুলায় রান্না করা যাচ্ছে না। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও কষ্ট হচ্ছে।

আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা হলো পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জমি ও বাড়িঘর দুটোই ডুবে যাচ্ছে আমরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাই।

মানববন্ধনের বিষয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


“জাতির সেবায় সদাপ্রস্তুত ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি: কুমিল্লায় মহাপরিচালক”

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কুমিল্লা রেঞ্জ পরিদর্শন শেষে আয়োজিত দরবারে বক্তব্য রাখেন। তিনি আনসার-ভিডিপি সদস্যদেরকে নিজস্ব সক্ষমতা ও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে জাতির সেবায় আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, যোগ্য সদস্য নির্বাচন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা গড়ে তোলার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন এব দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। মহাপরিচালক বাহিনীর নবগৃহীত ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-কে সুবহৎ এই বাহিনীর বিশাল স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের জীবিকা উন্নয়ন ও প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে উল্লেখ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবদানের কথা স্মরণ করে মহাপরিচালক বলেন, “দেশের পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের পাশাপাশি হিল আনসার-ভিডিপি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। সমতলেও সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের মান পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি নিবেদিত ও সুশৃঙ্খল।” বাহিনীর শৃঙ্খলার মানোন্নয়নে অসাধারণ অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাহিনীর শৃঙ্খলা আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।” তিনি আরও জানান, বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অঙ্গীভূত সাধারণ আনসারদের রেশন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাহিনীর সদস্যদের আস্হা অর্জন সংশ্লিষ্ট পেশাদরিত্ব আগামীতে কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহনের পথকে সুগম করবে, যা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের দায়িত্ব কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নয়; আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের মাটি ও মানুষের সেবায় ৬০ লক্ষাধিক ভিডিপি সদস্যকে গুণগতভাবে কাজে লাগানো। দুর্যোগ ও জাতীয় ক্রান্তিলগ্নে সুবৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সদস্যের এই বাহিনীকে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে ভুমিকা রাখার উদ্যোগই আর্থসামাজিক সমৃদ্ধির মূল পথ।”
সঞ্জীবন প্রকল্প প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, “সঞ্জীবন প্রকল্প কেবল একটি কর্মসূচি নয়, এটি প্রান্তিক কর্মহীন জনগোষ্ঠীর উত্তরনের আলোকবর্তিকা। এ প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতিকে জাগ্রত করবে এবং দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ছিন্ন করে সমাজকে মুক্তির পথে এগিয়ে নেবে।”

উক্ত সভায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুমিল্লা রেঞ্জ পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


গাংনীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি, ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

ভাদ্র মাসের শুরু থেকেই টানা বৃষ্টির কারণে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবেশ পথসহ খেলার মাঠ এখন পানিতে টইটম্বুর। কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষ ও বারান্দা থেকে পানি নেমে গেলেও খেলার মাঠগুলো অধিক সময় ৩ থেকে ৪ ফিট পানির নিচে ধরে ডুবে আছে। ফলে জমে থাকা নোংরা পানিতে রোগবালায় কিংবা দুর্ঘটনার আশংকায় সন্তানকে স্কুল পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা।

অভিভাবকদের অভিযোগ, বর্ষার মৌসুমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা থাকলেও তা নিরসনে স্থায়ী কোন সমাধানের ব্যবস্থা নেন না সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন পুরাতন সভাপতি যায়, নতুন সভাপতি আসে তার পরেও কোন সমাধান করেন না।

ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ নিয়েই শ্রেনীকক্ষে যাতায়াত করেন। এবার এই জলাবদ্ধতা নিরসনের স্থায়ী সমাধান চান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাসহ অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, টানা বৃষ্টিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আর পিছলে পড়ে গেলে বইগুলো পানিতে ভিজে যায়। ফলে বিড়াম্বনায় পড়ছে ছোট ছোট কোমলমতি শিশুর। বিশেষ করে স্কুলের পাশে থাকা পাবলিক টয়লেটের মল-মূত্র মাঠে জমে থাকা পানির সাথে মিশে একাকার হওয়ায় বাড়ছে রোগবালাই।

হাটু পানিতে বই পত্র নিয়ে শ্রেণি কক্ষ পযর্ন্ত পৌঁছাতে ভিজে যায় তাদের পোশাক। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার জন্য।

বামন্দী গ্রামের সেন্টু মিয়া বলেন, একটা সময় ছিলো এই খেলার মাঠটিতে খেলা দেখতে হাজার হাজার মানুষ আসত। আজ সেখানে জমে আছে কমর পানি। আর এই পানির রং এতটাই কালো যে, তার মধ্যে পা দিতেও ভয় লাগে।

বামন্দী পশুহাট পাড়ার বাসিন্দা রিনা খাতুন নামের একজন অভিভাবক বলেন, দীর্ঘ সময় ধরেই বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। এতে একদিকে যেমন চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে শিক্ষক। অন্যদিকে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় পাঠিয়ে আতঙ্কে সময় পার করি। কারণ স্কুল মাঠের পাশে রয়েছে একটি গভীর গর্ত। আর সেই গর্তসহ পুরো মাঠ পানির নিচে। বাচ্চারা যদি খেলার ছলেও গিয়ে গর্তে পড়ে যায়। তাহলেই সব শেষ। তাই অতি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর করার জোর দাবি জানায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।

বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী সাগর আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে জলবদ্ধতা। এটা বামন্দী এলাকার একটি জনপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠ।কিন্তু দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে কোন খেলায় এখানে হয় না।

আরেক শিক্ষার্থী বালিয়াঘাট গ্রামের তারেখ বলেন, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবনে চলে এসেছি। বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজটি হচ্ছে জেলার সবচেয়ে বানিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজেস্ব মার্কেটে রয়েছে ২"শ ৫০টি দোকান। অথচ সেই প্রতিষ্ঠানের মাঠের এই দুর অবস্থা। তাই আমি জলাবদ্ধতা দেখে বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ শরুপ স্কুল মাঠে জমে থাকা পানিতে দেশি প্রজাতীর কৈ, টাকি, জিওল ও তেলাপিয়া মাছ ছেড়ে দিয়েছি। দুই মাসে মাছ গুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। এবং তা বেশ কিছু স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচার হলেও স্কুল কর্তপক্ষের কোন ভূমিকা দেখিনি।

বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল সাজেদুর রহমান স্বপন বলেন, আমাদের এখানে দীর্ঘদিন ধরে জলবদ্ধতা রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে অনেক পানি জমে যায়। তবে আমরা উদ্যোগ নিয়ে সেলো ইঞ্জিন(পানি তোলার মেশিন) দিয়ে সপ্তাহ খানেক ধরে কিছু পানি কমিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছিলাম। তবে আবার গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তা আগের চেয়ে বেশি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আসলে এভাবে হয় না। তবে এর একটা স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। আমরা এখন পর্যন্ত সরকারি কোন অনুদান পায়নি। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।

গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম (অ:দা:) বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জলবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।এটা নিরসনের জন্য আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা বিষয়টা নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সংগ্রহ করছি। জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, বিদ‍্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতার কথা শুনেছি এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এর নির্দিষ্ট নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে মিডওয়াইফারি-নেতৃত্বাধীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)-এর মধ্যে আজ একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসি এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA)-এর উদ্যোগে, সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (SIDA)-এর অর্থায়ন এবং জ্যাপাইগো বাংলাদেশ (Jhpiego)-এর অংশগ্রহণে সম্পন্ন এই চুক্তি ঢাকার নগর স্বাস্থ্যসেবায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মিডওয়াইফদের জন্য কারিগরি নির্দেশনা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, জাতীয় নীতিমালা অনুযায়ী স্থায়ী মিডওয়াইফারি পদ সৃষ্টিতেও তারা সহায়তা করবে।

অন্যদিকে, ডিএসসিসি নগর স্বাস্থ্যসেবায় মিডওয়াইফদের সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়া, মিডওয়াইফদের সেবার মান ও সহায়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধিসহ নগরবাসীর জন্য মানসম্মত ও সুলভ স্বাস্থ্যসেবা গড়ে তুলতে কাজ করবে।

ডিএসসিসির পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পক্ষে সংস্থাটির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জনাব মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সভাপতির বক্তব্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে এই সমঝোতা স্মারক নব দিগন্তের উন্মোচন করেছে।” সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নরমাল ডেলিভারি ও প্রসূতি সেবার প্রসারে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে ডিএসসিসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিডওয়াইফারি সেবা চালু করা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ডিএসসিসির ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ও নাজিরাবাজার মাতৃসদনে সার্বক্ষণিক মিডওয়াইফারি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে UNFPA বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. আবু সাইদ হাসান বলেন, এই অংশীদারিত্ব ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে টেকসই ও উচ্চমানের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য এবং এসডিজি অর্জনে সহায়ক হবে।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (অতি. দা.) ডাঃ নিশাত পারভীন এবং DGNM, UNFPA, Jhpiego, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


বেবিচক চেয়ারম্যানের সাথে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২টায় বেবিচক সদরদপ্তরে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, বিএসপি, জিইউপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, এসিএসসি, পিএসসি (Air Vice Marshal Md Mostafa Mahmood Siddiq, BSP, GUP, ndc, afwc, acsc, psc) এর সাথে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক জনাব নাদির শাফি দার (Mr. Nadir Shafi Dar) এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনঃস্থাপন বিষয়ে ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয় এবং উভয় পক্ষই এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠকে ভবিষ্যতে বিমান চলাচল খাতে প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো আরও সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন যে, বিমান চলাচল পুনঃস্থাপন হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেবিচক এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং PIA এর CEO ।


কালীগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারি সহায়তা: ৪ পরিবার পেল বকনা ও ষাঁড় বাছুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি 

গাজীপুরের কালীগঞ্জে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। "সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প (ডিটিএলপি)"-এর আওতায় উপজেলার ৪টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে বকনা, ষাঁড় বাছুরসহ গবাদিপশু পালনের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সহায়তা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে সহায়তার সরঞ্জাম তুলে দেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরোয়ার লিমা।

প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চারটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারকে স্বাবলম্বী করার জন্য বেছে নেওয়া হয়। উপকারভোগীরা হলেন—তুলসী রানী পাল, মানিক পাল, শেখর কুমার চন্দ্র এবং জগু বর্মন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত চারটি পরিবারের মধ্যে দুটি পরিবারকে একটি করে বকনা (তরুণী গাভী) এবং বাকি দুটি পরিবারকে একটি করে ষাঁড় বাছুর দেওয়া হয়েছে। গবাদিপশু সঠিকভাবে লালন-পালনের জন্য প্রতিটি পরিবারকে আরও দেওয়া হয়েছে ১২৫ কেজি দানাদার খাদ্য, ৪টি ফ্লোর ম্যাট এবং শেড বা চালা তৈরির জন্য ৫টি টিন ও ৪টি পিলার। এই সমন্বিত সহায়তার উদ্দেশ্য হলো, উপকারভোগীরা যেন কোনো প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই পশু পালন শুরু করতে পারেন।

সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত উপকারভোগী শেখর কুমার চন্দ্র তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, "আমার একটি ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই। সরকারের পক্ষ থেকে আজ একটি বাছুর পেয়েছি। আমি যদি কষ্ট করে এটিকে লালন-পালন করতে পারি, তাহলে হয়তো একদিন এর ওপর ভিত্তি করেই আমার সংসারের উন্নতি হবে। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।"

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, "পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের জীবনমান উন্নত করতে সরকার এই বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর আওতায় বকনা বা ষাঁড় বাছুর পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম সরকারিভাবেই সরবরাহ করা হয়। আমরা আশাবাদী, এই সহায়তার মাধ্যমে প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী ধীরে ধীরে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।"


চবিতে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ, ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুারো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় নামে-বেনামে প্রায় ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।

অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান বাদী হয়ে নাম জানা ৯৮ জন ও অজ্ঞাতনামা ৮ শত থেকে ১ হাজার জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা দপ্তরের লুট হওয়া দেশীয় অস্ত্র লুটপাটের ঘটনায় ডায়েরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

উল্লেখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় এক দারোয়ানের সঙ্গে এক ছাত্রীর তর্কাতর্কিকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। পরে তা দ্রুতই রূপ নেয় বড় ধরনের সংঘর্ষে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসীও।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমন সহিংসতা কখনোই কাম্য নয় এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে। চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


পাসর্পোটের জন্য জাল নাগরিক সনদ! দালালসহ আটক ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের জাল নাগরিক সনদপত্র তৈরির অপরাধে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেউথা এলাকায় অবস্থিত পাসর্পোট অফিসের সামনে থেকে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের ঘোস্তা জাহাঙ্গীরনগর এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে সোহানুর রহমান (২২) এবং পৌরসভার বেউথা এলাকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৬) ও পৌরসভার পশ্চিম উড়িয়াজানি এলাকার মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন (৪৫)। এদের মধ্যে আরিফ হোসেন ও মনির হোসেন (দালাল)।

জানা যায়, আসল কাগজপত্রে ঝামেলা থাকায় ১৬ হাজার টাকার শর্তে পাসর্পোট তৈরি করতে পৌরসভার বেউথা এলাকার আরিফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের ঘোস্তা জাহাঙ্গীরনগর এলাকার সোহানুর রহমান। এরপর আরিফ হোসেনের পরামর্শে জাল নাগরিক সনদপত্র তৈরি করে মনির হোসেন। কিন্তু সহকারী কমিশনার প্রশিক্ষণে থাকার পরও ভুলক্রমে জাল নাগরিক সনদপত্রে সহকারী কমিশনার ভূমির সই ও নাম-পদবী ব্যবহার করে আরিফ হোসেন ও মনির হোসেন। এরপর নতুন করে আরেকটি জাল নাগরিক সনদপত্র তৈরি করে এবং সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিনের সই ও নাম-পদবী ব্যবহার। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন অফিসের নজরে আসলে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুটাইল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিনকে অবগত করা হয়। পরে ইউএনও শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেন।

ইউএনও শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জাল নগরিক সনদপত্র তৈরি করে ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সই ও নাম পদবী কথার স্বীকার করেছে। পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। জাল নগরিক সনদপত্র তৈরি করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সুবিধা নিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

মনিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস.এম.আমান উল্লাহ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলার পর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে।


নীতি বাতিল চায় ইবি ছাত্র ইউনিয়ন

৩দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
আপডেটেড ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৫৪
সাকিব আসলাম, ইবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রনীত গবেষণা নীতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে উপাচার্যের কার্যালয়ে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা।

তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতি অবিলম্বে বাতিল করা, ঢাবি প্রণীত নীতিমালার সঙ্গে সমন্বয় করে ইবির নতুন গবেষণা নীতি প্রণয়ন করা, বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষা নীতি বাতিল করে নতুন নীতি প্রনয়ন এবং পুনরায় এম.ফিল ও পিএইচ.ডি ভর্তির সুযোগ দেওয়া।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সভাপতি নূর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব, সহসভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসানসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গালিব বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এম. ফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় সিজিপিএ রাখা হয় ৩.৫০ পয়েন্ট। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ত আরোপ থাকে ৩.০০ পয়েন্ট এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ২.৫০ ও দেখেছি। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত নীতিমালার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের বৃহৎ অংশকে গবেষণার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার এক সুস্পষ্ট নীল নকশা। এই নীল নকশা প্রত্যাখ্যান করে নতুন নীতি প্রনয়ন করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমরা রিসার্চটাকে কোনভাবে নষ্ট করতে চাইনা। যেহেতু এটা এমফিল পিএইচডি সেহেতু কিভাবে মানসম্মত রিসার্চ ডিগ্রি দেওয়া যায় সেই পথ তৈরির চেষ্টা করতেছি।


ভাঙা টিনের ঘরে দিন যায় সখীপুরের বৃদ্ধা ফজিলার

খাবার জোটে দান-খয়রাতে, শেষ বয়সে ঘরের আক্ষেপ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

থাকার কষ্ট, খাবারের কষ্ট, বর্ষা কিংবা বৃষ্টি এলেই ভাঙা চালে বৃষ্টির পানি। ৬০ বছরের বৃদ্ধা ফজিলা বেগমের জীবনের প্রতিদিনই যেন একেকটি সংগ্রাম। খাবার জোটে অন্যের দান-খয়রাতে, আর বৃষ্টি এলে ভাঙা ঘরে শোয়ার জায়গাটুকুও থাকে না।

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মৃত ওমর ফারুকের স্ত্রী ফজিলা বেগম এক যুগ আগে স্বামীহারা হন। দাম্পত্য জীবনে তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে ইফতিখার ও মেঝো ছেলে সোহেল মারা গেছেন। একমাত্র জীবিত ছেলে জুয়েলও প্রতিবন্ধী। নাতনি জান্নাতকে (১০) নিয়ে জরাজীর্ণ একটি ঘরেই চলছে ফজিলার জীবন। ফজিলা বেগম জানান, গত ২২ বছর ধরে স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র ঘরে বসবাস করছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘরের টিনের চাল মরিচা ধরে ফুটো হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি ঠেকাতে ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে পলিথিন ও পুরোনো কম্বল। ভাঙাচোরা দরজা-জানালা ও বেড়ায় পানি ঢুকে ঘরটিকে করে তুলেছে আরও অস্বাস্থ্যকর। একই অবস্থা শৌচাগারেরও।

ফজিলা বেগম বলেন, ‘একটা থাকার মতো ঘর পেলে জীবনের শেষ বয়সে শান্তিতে মরতে পারতাম। আশপাশের মানুষ খাবার দিলে খাই, না দিলে না খেয়েই থাকি। প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসা বা নাতনিকে ভালো খাবার খাওয়ানো কোনোদিন সম্ভব হয়নি।’

তিনি জানান, মেঝো ছেলে মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া একমাত্র কন্যা জান্নাতকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছেন। কিন্তু পড়াশোনার খরচ বা খাবারের ব্যবস্থা করতে না পারায় দিন কাটছে কষ্টে। এর মধ্যেই গত ৩১ আগস্ট রাতে তার ভাঙা ঘর থেকে চাল ও একটি মোবাইল চুরি হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন সিকদার বলেন, তার খুব অসহায় অবস্থায় দিন যাচ্ছে। ভাঙা ঘরে বৃষ্টি-বাদল ও শীতকালে ভোগান্তি বাড়ে। তার জন্য দ্রুত একটি ঘরের ব্যবস্থা করা জরুরি।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ জানান, ‘বৃদ্ধা ফজিলার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই তার বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি ঘর নির্মাণে অর্থ সহায়তার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা হবে।


রাউজানের শিক্ষাবৃত্তি পেল ৬ হাজার শিক্ষার্থী

জসিম উদ্দীন ফাউন্ডেশনের বিশেষ উদ্যোগ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

শিক্ষা হোক আলোর পথ, আগামীর বাংলাদেশ গড়ুক যথোপযুক্ত- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়ায় ৬ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে ১ বছরের পড়ালেখার খরচ বহনে করার জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে জসিম উদ্দীন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। গত সোমবার নোয়াপাড়া উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ বৃত্তি অনুষ্ঠান হয়। এতে রাউজানের প্রায় ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ রফিক। ফরিদুল ইসলাম আনসারী ও সাংবাদিক এস এম ইউসুফ উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ। আর ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়ে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন। প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা শিক্ষক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মাস্টার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার অং ছিং মারমা, রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া, একাডেমিক সুপারভাইজার সজল চন্দ্র চন্দ, ফাউন্ডেশনটির পরিচালক মোখতার আহমদ, আবু তাহের, ইয়াসিনুল হক, ফারুকে আজম, সরোয়ার হোসাইন, আহমদুল হক, খসরুল আমিন চৌধুরী, জাহেদুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া জসিম উদ্দিন স্মৃতি বৃত্তি প্রকল্পের সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের থেকে এইচএসএসি এবং আলিম পরীক্ষায় সারা রাউজানে সর্বোচ্চ বেশি নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার সহায়তার জন্য ৩ লাখ টাকা, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ২ লাখ টাকা এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ১ লাখ এবং এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ২ লাখ টাকা,দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পওয়া শিক্ষার্থীকে দেড় লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ তৃতীয় নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ১ লাখ টাকার এক কালীন বৃত্তি প্রদান করা হবে।


পানি নিষ্কাশনের অভাবে খেলার মাঠে মৎস্য চাষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কার্ত্তিক দাস-নড়াইল

নড়াইল সদর উপজেলার সীতারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেই খেলার মাঠ। একটি নালার অভাবে (ড্রেন) পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সারা বছরই খেলার মাঠটি বর্ষার পানিতে তলিয়ে থাকে। যে কারণে বিদ্যালয়সহ এলাকার কোমলমতি শিশুরা খেলাধূলা করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকার মানুষের দাবি মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে শিশুদের খেলাধূলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।

সরেজমিন দেখা গেছে, সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের সীতারামপুর সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠ। দ্যিালয় সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে ইটের সোলিংয়ের ভাঙ্গাচোরা রাস্তা। পশ্চিম পাশ দিয়ে পিচের রাস্তা। রাস্তা থেকে মাঠটি প্রায় ৬ ফুট নিচে যা পানিতে তলিয়ে আছে। বন্ জঙ্গলে ভরে আছে মাঠটি। যে কারণে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা এই মাঠে খেলাধূলা করার কোন সুযোগ পাচ্ছে না। বিকেল বেলাতেও এলাকার ছেলে মেয়েরা খেলতে পারছে না।

খেলার সুযোগ না পেয়ে কোমলমতি শিশুরা ফেসবুকে বুদ হয়ে পড়ে থাকছে। মাঠে হাটু সমান পানি থাকার কারণে এলাকার মানুষ সেখানে কৈ ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করেছে। রাস্তা নির্মাণের বেশ কয়েটি পিলার মাঠের পানির মধ্যে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বিকেল বেলায় বেশ কিছু শিশু বরশি নিয়ে দুজনে কাপড় অথবা গামছা লম্বালম্বি ধরে সেখানে মাছ ধরতে দেখা যাচ্ছে। বর্ষার কারণে গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে আছে। শিশুসহ বয়ষ্ক মানুষদের ঠান্ডা-জ্বরে ভুগতে হচ্ছে।

সীতারামপুর বিদ্যালয় সংলগ্ন দোকানী তুষার রায় জানান,ছেলেমেয়েরা জলাশয়ের পাড়ে খেলতে গিয়ে অনেক সময় পানিতে পড়ে যায়। বাধ্য হয়ে ওই শিশুদের পানি থেকে তুলে আনতে হয়। তিনি বলেন,রাস্তা থেকে মাঠটি অনেক নিচে। চারপাশে রাস্তা থাকার কারণে বর্ষার পানি নিষ্কাশণ না হওয়ায় মাঠটি তলিয়ে থাকে। স্কুলের ছেলেমেয়েরা খেলাধূলা করতে পারছে না।

সীতারামপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিপ্লব পোদ্দার বলেন,যেহেতু সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠ এটি। মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে সরকারিভাবে এগিয়ে আসা উচিৎ। তিনি বলেন,বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে থাকে। এই পানি বের হ্ওয়ার কোন নর্দমা না থাকায় এই অবস্থাতেই সারা বছর পড়ে থাকে। ফলে মাঠের পাশের বাসিন্দাদের জ্বর-সর্দ্দি সব সময় লেগেই থাকে। মাঠের পানি বের করার সুব্যবস্থা করা হলে বিদ্যালয়ের পরিবেশটা ভালোভাবে ফিরে আসবে।

সীতারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাম্মাৎ সবেদা খাতুন বলেন, মাঠটি সরকারি খাস জমির ওপর। বিদ্যালয়ের শিশুরা ছাড়াও সীতারামপুরসহ আশপাশের ছেলেমেয়েরা এই মাঠে খেলাধূলা করে থাকে। তিনি বলেন,পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস একবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দিয়ে মাঠের দক্ষিণ কোনার ঢালু জায়গায় রিংস্লাপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু পানি বের হবার মত কোন সুযোগ না থাকায় প্রতিবেশিদের বাড়ি-ঘরে পানি ওঠায় এলাকার মানুষ সেই রিংস্লাপের দুই পাশে মাঠি দিয়ে ভরে দেন। ফলে পানি বের হতে না পারায় আজ মাঠের এই অবস্থা। তিনি বলেন,ক্লাস শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের কোন জায়গা না থাকায় শ্রেনীকক্ষেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করানো হয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন,পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মাঠের অবস্থা খুবই করুন। সব সময় পানি জমে থাকে। বনজঙ্গলে ভরে গেছে। তিনি দাবি করেন,মাঠ সংস্কারসহ মাটি ভরাটের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, সীতারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অথবা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ব্যাপারে লিখিত আবেদন পেলে পানি নিষ্কাশনসহ মাঠে বালু দেবার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া যেতে পারে।


নীলফামারী ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত-১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত শতাধিক। এদের মধ্যে ৫ জন গুরুতর আহত অবস্থায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে পুরো ইপিজেড এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ইপিজেডের এভারগ্রীণ কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিব উত্তরা ইপিজেডের ইকু প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিক ও কাজিরহাট এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে বলে জানান শ্রমিকরা।

জানা যায়, এভারগ্রিণ কোম্পানির শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছিলেন। মঙ্গলবার এভারগ্রিণ কোম্পানি ঘোষণা করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তারই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে ইপিজেডের মূল গেটে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। ইপিজেডের অন্য কোম্পানির শ্রমিকদের কাজে যোগদান বাধা প্রদান করতে থাকে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে হাবিব নামে এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়। পড়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইপিজেডের শ্রমিক মমিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা অন্য কারখানার কোনো শ্রমিককেই প্রবেশে বাধা দেইনি। বরং তারাই আমাদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে আমাদের সঙ্গে অবস্থান নেয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রধান গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা অমানবিকভাবে এক নারী শ্রমিককে মারধর করতেছিল। তখন আমরা সব শ্রমিকরা এগিয়ে গেলে তারা আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান।’

আরেক শ্রমিক মো. রায়হান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করছি। কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা চালাল কেন? আমরা তো কোনো রাজনৈতিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামিনি। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছি।’

লিপি আক্তার নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা ডিউটি করতে গেছি। যায়া দেখি গেট বন্ধ। হঠাৎ করে সেনাবাহিনী-পুলিশ আমাদের ওপর হামলা ও গুলি চালায়। তারা কার অনুমতি নিয়ে আমাদের ওপর গুলি চালাল। আমাদের এক ভাই নিহত হইল। এর দায়ভার কে নেবে। সরকারকে জবাব দিতে হবে।’

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে মোট ৬ জনকে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে হাবিব নামে একজন ব্যক্তি ছিল তাকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

৫৬-বিজিবি নীলফামারীর অধিনায়ক লে. কর্নেল এস.এম বদরুদ্দোজা বলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো ধরনের মব সৃষ্টির সুযোগ নেই। প্রশাসনিক পর্যায়ে কাজ চলছে। বর্তমানে ইপিজেডের সকল কোম্পানি বন্ধ রয়েছে।

এই রিপোর্টলেখা পর্যন্ত উত্তরা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ, এভারগ্রীণ কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক চলমান থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


banner close