বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২ আশ্বিন ১৪৩২

বাথানে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে ৬ মহিষসহ রাখালের মৃত্যু

ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিনিধি, বগুড়া
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, বগুড়া
প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২৩ ২৩:৪৫

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সেচপাম্পের বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ৬টি মহিষসহ সবুজ প্রামাণিক নামে এক রাখাল মারা গেছেন। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার হাটফুলবাড়ী ইউনিয়নের রামনগর এলাকায় বাথানে মহিষ চড়ানোর সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ৪০ বছরের সবুজ প্রামাণিক উপজেলার হিন্দুকান্দি এলাকার মৃত ইফেজ আলী প্রামাণিকের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে সবুজ রামনগর এলাকার একটি মাঠে মহিষ চড়াতে যায়। দুপুরে মহিষের শিংয়ের ধাক্কায় বাঁশের খুঁটিসহ টাঙানো সেচপাম্পের বৈদ্যুতিক তার মাটিতে পড়ে যায়। এতে ছয়টি মহিষ বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় মহিষগুলোকে বাঁচাতে গেলে বিদ্যুতায়িত হন সবুজ প্রামাণিকও। পরে মাঠেই মৃত্যু হয় তার। খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেয়া হয়।

সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সবুজের মরদেহ তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য নিহতের বাড়িতে যাচ্ছি। আলাপ শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিষয়:

নওগাঁয় নারী ভাড়াটিয়ার আর্তি: শেষ সম্বল হারিয়ে এখন জীবন নিয়ে শঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

একটি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন উর্মী খাতুন (২৫)। কিন্তু সেখানেই তিনি হারিয়েছেন তার শেষ সম্বল, সম্মান ও মানসিক শান্তি। প্রতারণা, যৌন হয়রানি ও জোরপূর্বক উচ্ছেদের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন এই নারী। বুধবার শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উর্মী খাতুন জানান, পারিবারিক কিছু জটিলতার কারণে গত মার্চ মাসে শহরের ফরিদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাসায় ভাড়া ওঠেন। বাসা ভাড়া নেওয়ার পুরো বিষয়টি তদারকি করেন ফরিদের ভাগ্নে ইদ্রিস আলী। চুক্তি অনুযায়ী তিন বছরের অগ্রীম ভাড়ার পরিবর্তে উর্মী তার মায়ের দেওয়া শেষ স্মৃতি ৪ ভরি ওজনের একটি সোনার চেইন তোলে দেন ইদ্রিসের হাতে। কিন্তু চেইন হাতে পেয়েই বদলে যেতে থাকে ইদ্রিস ও তার মামা ফরিদের আচরণ। ভাড়া দেওয়ার কথা অস্বীকার করে উর্মীকে বাসা থেকে জোর করে বের করে দেওয়ার পাঁয়তারা শুরু করে তারা। শুধু তাই নয়, ইদ্রিস একাধিকবার উর্মীর একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উর্মী বলেন, ‘এই শহরে আমি কাউকে চিনতাম না। বিশ্বাস করে শেষ সম্বলটা তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন বোঝতে পারছি, কত বড় ভুল করেছি। ইদ্রিস শুধু প্রতারণাই করেনি, সে আমাকে বারবার মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। থানায় জানিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো সুবিচার পাইনি। আজ আমি শঙ্কিত, আতঙ্কিত প্রাণনাশের ভয়ে দিন কাটাচ্ছি।

বাড়ির মালিক ফরিদ হোসেন ও তার ভাগিনা ইদ্রিস আলী বলেন, অভিযোগুলো সঠিক নয়। উর্মীর কয়েক মাসের ভাড়া বাকি রয়েছে। যার কারণে এমনটা মিথ্যা ছড়াতে পারে। চেইন নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এসব মিথ্যা রটানোর কোনো মানে হয় না।


আমরা সবাই বাংলাদেশি, কেউ সংখ্যালঘু নই -অধ্যাপক রেজাউল করীম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) সংসদীয় আসনের জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, আমরা সবাই বাংলাদেশি। এখানে কেউ সংখ্যালঘু নই। দুর্গাপূজায় আমরা প্রত্যেকটা মণ্ডপে যাব। আপনারা নির্দ্বিধায় নির্বিঘ্নে ও শঙ্কামুক্তভাবে ধর্ম-কর্ম পালন করবেন। আমরা আপনাদের পাশে থাকব।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার রাতে কোটালীপাড়া পৌরসভা এলাকায় সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে গণসংযোগকালে তিনি একথা বলেন।

কোটালীপাড়া সরকারি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মসজিদে গত মঙ্গলবার আসরের নামাজ শেষে মুসল্লিদের সাথে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে গণসংযোগ। এ সময় দেরানীবাজার, বালিয়াভাঙ্গা, আলিঠাপাড়া, পশ্চিমপাড়, কয়খা-ফেরধারা ও ঘাঘর বাজারের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষদের আগামী নির্বাচনে দাড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। একই সাথে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

গণসংযোগকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর তিতাস আহমেদ, কোটালীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ছোলায়মান গাজী, সেক্রেটারি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, নায়েবে আমীর সেকেন্দার আলী, গোপালগঞ্জ পৌর সেক্রেটারি শওকত আলম, কোটালীপাড়া পৌর সভাপতি আক্তার দাড়িয়া, পৌর সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


জয়পুরহাটে চিকিৎসার নামে প্রতারণা, শঙ্কায় এলাকাবাসী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান, জয়পুরহাট

পরিচয় দেন ডাক্তার। প্যাডে লিখেন ডাক্তার। দিয়েছেন চেম্বার, নিয়মিত দেখেন রোগী। সঙ্গে রয়েছে ফার্মেসি। সেই ফার্মেসির দোকানের টেবিলের সামনে ডিজিটাল ব্যানারে পরিচালনায় লেখা চিকিৎসক। প্রেসক্রিপশনে লেখেন উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। অথচ তিনি কোনো এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রীধারী কেউ নয়। এমনই ভুয়া চিকিৎসকের দেখা মিলেছে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনটে।

জানা যায়, উপজেলার পুনট ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের তছলিম উদ্দিন বাচ্চুর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসাইন (৩৮)। তিনি কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছয় মাস মেয়াদি প্যারামেডিকেল কোর্স করেই ডাক্তার ও চিকিৎসক পদবি ব্যবহার করছেন। বর্তমানে এ ধরনের কোনো প্যারামেডিকেল কোর্স হাসপাতালে হয় না।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোনালী ব্যাংক পিএলসি পুনটহাট শাখার নিচে তামিম মার্কেটে দুটি দোকান ঘর নিয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসাইন। একটিতে দোকান ঘরে ফার্মেসি। সেখানে তাকে তাকে সাজানো অ্যান্টিবায়োটিকসহ নানা ধরনের ওষুধ। ফার্মেসির সঙ্গে লাগানো আরেক দোকানে দিয়েছেন চেম্বার। সেই চেম্বারে দেখেন নিয়মিত রোগী। ওষুধ দেন ফার্মেসি থেকে, পরামর্শ ফি নেন প্রতি রোগী থেকে ৫০ টাকা। বুধবার সকালে তার চেম্বারে মাসুদুল ইসলাম নামে এক রোগী চিকিৎসা নিতে যান। তিনি চিকিৎসাপত্র সাদা কাগজে দিতে চাইলেও প্রেসক্রিপশন প্যাডে লিখে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

অথচ এ বিষয়ে ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ১২ মার্চ বিচারপতি রাজিক আল জলিল এবং বিচারপতি সাথীকা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ রায় দেন।

গোবিন্দপুর গ্রামের আক্কাস আলী বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের বাপের বেশি জমি-জমা ছিল না। এক-দেড় বিঘা। এই চার বছরে চার বিঘা জমি কিনেছে, দুই তলা ফ্ল্যাট বাড়ি করিছে। বড় বড় গেরস্থরাই জমি কি না পারুছে না। আর জাহাঙ্গীর প্রতি বছর জমি কিনে। আগে চলতো ছোট হোন্ডায়। এখন চলায় বড় হোন্ডা। এছাড়া ব্যাংকে তার অনেক টাকাও আছে। ব্যক্তিগত ক্লিনিক দেওয়ার জন্য এখন পুনট বাজারে জায়গা খুঁজতেছে।’

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, নামের আগে এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রী ছাড়া ডাক্তার বা চিকিৎসক লেখা যাবে না। হাইকোর্টের এ রায় সম্পর্কে অবগত আছি। আগে প্রেসক্রিপশন প্যাড বানানো হয়েছিল এজন্য সেসব প্যাডে ডাক্তার পদবি লেখা ছিল। এছাড়া রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়। ডিজিটাল ব্যানারে চিকিৎসক লেখার উত্তরে বলেন, আমি যেখানে থেকে ট্রেনিং নিয়েছি তারা এভাবে লিখতে বলেছেন। আমার ভুল হয়েছে। আজকে দিনের মধ্যে সব সরিয়ে ফেলব।

জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. মো. আল মামুন বলেন, এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রীধারী ছাড়া কেউ ডাক্তার বা চিকিৎসক পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ এ পদবি ব্যবহার করেন। তবে, সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুব উল আলম বলেন, আপনার তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারলাম। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


কমলগঞ্জে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে সফল কৃষক আব্দুল মান্নান

৩৫ লাখ টাকা আয়ের প্রত্যাশা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সালাহউদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আধুনিক চাষাবাদ মালচিং পদ্ধতিতে আগাম টমেটো চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করে বাজিমাত করেছেন কৃষক আব্দুল মান্নান। তার অভাবনীয় সাফল্যে অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তার এমন সাফল্যে এলাকার নতুন আরও ৫-৬ জন চাষি টমেটো চাষ করেছেন। মূলত মালচিং পদ্ধতির টমেটোতে এ অঞ্চলের কৃষকের সুদিন এসেছে। এ টমেটোর চারা বা ফল প্রাকৃতিকভাবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও অনেক কম। তাই এ এলাকার কৃষকরা টমেটো চাষে মনোযোগী বেশি। এই পদ্ধতি এলাকায় জনপ্রিয় হলে উৎপাদন বৃদ্ধিসহ কৃষকরা বেশ লাভবান হবেন বলে আশাবাদ কৃষি বিভাগের।

কৃষি বিভাগ জানায়, এই পদ্ধতির চাষাবাদে জমি রোগ-বালাই থেকে মুক্ত থাকে। এতে পানি, সার, ওষুধ খরচ সাশ্রয়ী হয়, পাশাপাশি ফলন হয় বেশি এবং গাছ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে। বেডগুলো মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। মালচিং পেপার হলো বিশেষ ধরনের পলি পেপার (পলিথিন)। বীজগুলো থেকে চারা গজানোর পর চারার স্থানগুলো থেকে মালচিং পেপার ছিঁড়ে দিতে হয়। যাতে করে চারাগুলো মাথা তুলে বড় হতে পারে। এই মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে জমিতে আগাছা জন্মাতে পারে না। সেচের অতিরিক্ত পানি জমে জমি বিনষ্ট হয় না। অতিরিক্ত সারের প্রয়োজন হয় না। ফলে জমি চাষাবাদে শ্রম কমে যাওয়ায় কৃষি শ্রমিক কম লাগে। উৎপাদন খরচ কমে যায়। জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায়। ফলন অনেক বেশি হয়। গাছের আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এতে করে কৃষক সবদিক থেকে লাভবান হয়।

জানা যায়, মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের শুকুর উল্লার গ্রামের তরুণ কৃষক আব্দুল মান্নান এ বছর সাড়ে ১২ বিঘা জমিতে আগাম টমেটো আবাদ করেছেন। ৫৫-৬০ দিনের ভেতরে টমেটো বাজারজাত করা যায়। এবার তার উৎপাদন খরচ হয়েছে ১৩ লাখের ওপরে। আরও ১০-১২ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানা যায়। বর্তমান বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে টমেটো বিক্রি হচ্ছে। ফলন ভালো হওয়ায় ও বাজারদর গত বছরের তুলনায় বেশি হওয়ায় এবার প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। খরচ বাদে ৩০-৩৫ লাখ টাকা আয় হবে।

কৃষক আব্দুল মান্নান গত বছর ১০ বিঘা জমিতে আগাম জাতের টমেটোর আবাদ করেন। তার উৎপাদন খরচ হয় ২০-২২ লাখ। খরচ বাদে তার লাভ হয় ২৫-২৬ লাখ টাকা। নতুন এই পদ্ধতিতে আগাম টমেটো চাষ করে কৃষক আব্দুল মান্নানের ব্যাপক সাফল্যে ও অধিক লাভবান হওয়ায় ইতোমধ্যে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলে, প্রতি বছর তাকে দেখে উৎসাহিত হয়ে গ্রামে আরও ৫-৬ জন কৃষক ৩০-৩৫ বিঘা জায়গায় টমেটোর আবাদ করেছেন। তারাও সাফল্য পেয়েছেন। চারিদিকে সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার কৃষক এসে খোঁজ-খবর ও পরামর্শ নিচ্ছেন। তারাও আগামীতে এই পদ্ধতিতে আগাম টমেটোর আবাদ ব্যাপকভাবে করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, ‘মালচিং পদ্ধতিতে খরচ কমেছে কয়েকগুণ অপরদিকে অসময়ে টমেটো চাষ করে বাড়তি আয় এর সুযোগ হয়েছে। খরচ বাঁচাতে এবং উৎপাদন বাড়াতে মালচিং পদ্ধতিতে টমোটো চাষ করেছি। তা ছাড়া মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে জমিতে আগাছা জন্মাতে পারে না। সেচের অতিরিক্ত পানি জমে চারা বিনষ্ট হয় না। অতিরিক্ত সারের প্রয়োজন হয় না। ফলে জমি চাষাবাদে শ্রম কমে যাওয়ায় কৃষি শ্রমিক কম লাগে। উৎপাদন খরচ কমে যায়। জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায়। ফলন অনেক বেশি হয়। গাছের আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেন, আমার বাগানে বর্তমানে কাজের লোক আছে ১২-১৫ জন। পুরুষদের দৈনিক ৪৫০ টাকা ও মহিলাদের দেওয়া হয় ৩০০ টাকা।

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় জানান, ‘কমলগঞ্জ উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের টমেটোর উৎপাদন হয়েছে। এই পদ্ধতিতে টমেটোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মালচিং পদ্ধতিতে করায় আর্দ্রতা বেশি থাকা সত্ত্বেও শেকড় অক্ষত থাকে, যা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে সফলতা এনেছে এবং কৃষকদের আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’


ব্যবসায়ী শাহ আলম হত্যার বিচার দাবিতে লোহাগাড়ায় মানববন্ধন

৬ দিনেও মূল আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ঘাটিয়ারপাড়া গ্রামে গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে কোদালের আঘাতে নৃশংসভাবে খুন হন স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহ আলম। ঘটনার ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও মূল আসামি লাবলু এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন এনসিপি লোহাগাড়া শাখার প্রধান সমন্বয়ক মো. জহির উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন, আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু মুছা মুহাম্মদ খালিদ জামিল, বড়হাতিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এমডি জোনাঈদ চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন লোহাগাড়া শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মো. রফিক দিদার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন লোহাগাড়া সভাপতি অধ্যাপক হামিদুর রহমান, সহসভাপতি মুহাম্মদ নুরুচ্ছফা, আধুনগর সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সর্দার মাওলানা নুরুল আলম এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আধুনগর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামসহ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, দিনের আলোয় প্রকাশ্যে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সমাজকে আতঙ্কিত করেছে। দ্রুত ঘাতক লাবলুকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা। তারা আরও উল্লেখ করেন, শাহ আলম ছিলেন পরিশ্রমী ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। তার হত্যার বিচার বিলম্বিত হলে জনগণের ক্ষোভ ও অসন্তোষ আরও বাড়বে। সমাবেশ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক লাবলুকে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। বক্তারা সতর্ক করে বলেন, দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম, শাহাজাহান চৌধুরী পারভেজ, সাবেক সদস্য ডা. হায়াত মাহমুদ, যুবদল নেতা রেজাউল করিম, এনসিপি লোহাগাড়া যুগ্ম-সমন্বয়কারী রিদওয়ান আর রায়হান, ছাত্র প্রতিনিধি মির্জা তামিম এবং ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আহমদ।


সৈয়দপুরে কিশোরদের মাঝে খেলা সামগ্রী বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

কিশোরদের মোবাইল আসক্তি কমিয়ে খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বুধবার দুপুরে খেলা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসব সামগ্রীর মধ্যে ছিলো মিনি ফুটবল বার, ফুটবল ও ফুটবল বার নেট। উপজেলার ১৫টি মাঠের কর্মকর্তাদের হাতে এসব সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। খেলা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী এম.এম আলী রেজা রাজু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষন রায়, আইসিটি কর্মকর্তা আজিফার রহমান, উপ-সহকারি প্রকৌশলী শওকত কবির প্রমুখ। ভোরের শিশির স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক মুসা ও সৈয়দপুর কিশোর ফুটবল একাডেমির খেলোয়ার সিজান বলেন, উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ খেলা সামগ্রী সরবরাহ করায় আমরা ফের খেলার মাঠে ফিরতে পারছি। এতে করে কিশোর ও তরুণদের কমবে মোবাইল প্রেম। বর্তমান যুগের উঠতি তরুণরা মোবাইল পেয়ে লেখাপড়া বিমুখ হয়ে পড়েছে। খেলার মাধ্যমে অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আসবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী এমএম আলী রেজা রাজু বলেন, কিশোর ও যুবকদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে খেলার বিকল্প নেই। তবে মোবাইলের খেলা বাদে মাঠের খেলায় তাদের ফিরতে হবে। এজন্য সরকারি অর্থে এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে লাভবান কৃষক শাহজাহান আলী

কিশোরগঞ্জে এক মাচায় হচ্ছে ২টি ফসল উৎপাদন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

তুলনামূলক শ্রম ও ব্যয় কম হওয়ায় জমিতে মাচা পদ্ধতিতে উন্নত জাতের লাউ চাষে বেশি ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় খুশি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী।

লাউয়ের বাম্পার ফলন হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে লাউ যাচ্ছে ঢাকাসহ সারাদেশে। খাদ্যশষ্য উৎপাদনে মাটি ও পরিবেশ রক্ষার্থে জৈব সার ব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্যের সাথে সাড়া ফেলেছেন এলাকায় তিনি।

উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী। তিনি এক একর জমিতে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ শুরু করেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে নবাব জাতের লাউ বীজ রোপন করেন। উন্নত জাতের লাউ চাষ করে ভালো ফলন হওয়ায় প্রতিমাসে প্রায় ৮০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করছেন তিনি। কীট নাশকের পরিবর্ততে খেতে জৈব নাশক ব্যবহার করায় বাজারে তার লাউয়ের চাহিদাও ব্যাপক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রতিটি মাচায় পর্যাপ্ত পরিমান লাউ ধরেছে। লাউয়ের ভারে মাচা হেলে পড়েছে। জুলাই মাস থেকে পরিপক্ষ লাউ বাজারে বিক্রী শুরু করেছেন তিনি।

চারা লাগানোর মাত্র সঠিক পরিচর্যা আর ক্ষেতে ফেরোমন ফাঁদ ও জৈব বালাই নাশক ব্যবহার করায় ৫০-৫৫ দিনের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। প্রতিটি লাউয়ের ওজন ২ থেকে ৩ কেজি হয়। তিনি প্রতিমাসে লাউ বিক্রি করেন ৮০ হাজার টাকা।

লাউ চাষি শাহজাহান আলী জানান, এক একর জমিতে লাউ চাষ করতে সার, বীজ, মাচা তৈরি ও অন্যান্য খরচ বাবদ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। জুলাই মাসেই প্রায় ৮০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। সেপ্টেম্বর মাসে এর চেয়ে বেশি বিক্রি করেছি। প্রতি দিন গড়ে ২ থেকে ৩ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করি। চলতি মাস পর্যন্ত আমি লাউ বিক্রি করতে পারব।

আমাকে বাজারে যেতে হয় না। আশপাশের বাজারগুলো থেকে পাইকাররা এসে খেত থেকে কিনে নিয়ে যায়। শুধু স্থানীয় বাজার না এমনকি ঢাকায়ও যাচ্ছে। লাউ বিক্রি করে খরচ বাদে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি জৈব বালাই নাশক ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করায় তার লাউ নিরাপদ সবজি হিসেবে ভোক্তাদের চাহিদাও ব্যাপক। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ বাড়ছে এই উপজেলায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, মাচা পদ্ধতিতে উন্নত জাতের লাউ চাষে বেশি ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। মাচা পদ্ধতিতে উন্নত জাতের লাউ চাষ করলে আসলেই লাভবান হওয়া সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, লাউ উত্তোলনের পর একই মাচা ব্যবহার করে আরও ২টি ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন এই এলাকার কৃষকরা।


কাপাসিয়ায় স্মরণকালের বড় দুর্গোৎসবের চলছে প্রস্তুতি

থাকবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এবার স্মরণকালের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। ৭১টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে পূজা। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

কাপাসিয়া প্রতিটি মণ্ডপেই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। দিন-রাত এক করে শেষ মুহূর্তের রঙের তুলির আঁচড়ে প্রাণ দিচ্ছেন দেবী দুর্গার প্রতিমায়।

গত বছরের তুলনায় এবার রেকর্ড সংখ্যক-৭১টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যা কাপাসিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আয়োজন বলে জানিয়েছেন পূঁজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।

কাপাসিয়া উপজেলার রাওনাইট বাজার সংলগ্ন পানবরাইদ রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নিতাই বর্ধন বলেন, রাধা গোবিন্দ মন্দিরে প্রতিমা রং করা হচ্ছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আমাদের পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এই দুর্গাপূজায় আমাদের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে, তারা প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন, এমনিতেও আমাদের গ্রামের পরিবেশ ভালো। এবার কাপাসিয়ায় ৭১টি পূজা মণ্ডপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ৫ আগস্ট এর পর মানুষের মনের ভেতর যে একটা ভীতি কাজ করেছে, এই বছর সেই ভীতি নেই। আমাদের কাপাসিয়ার জনমানুষের নেতা রিয়াজুল হান্নান হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক করছেন। হিন্দুদের যাতে মনোবল ভালো থাকে তিনি সাহস দিচ্ছে, পূজায় কোনো সমস্যা যাতে না হয় এবং সাম্প্রদায়িকতা বলতে কাপাসিয়া কোনো জিনিস থাকব না। সাম্প্রদায়িকতা তিনি পছন্দ করেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ভালো।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র পাল জানান, এ বছর কাপাসিয়া উপজেলায় ৭১টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং প্রশাসনিক দিক দিয়ে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন, থানা থেকে পুলিশ প্রত্যেকটি মণ্ডপ পরিদর্শন করেছে। উপজেলা পূজা কমিটির নেতারা মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেছে। মন্দিরে কোনো যাতায়াতের অসুবিধা আছে কি না বা তাদের সার্বিক কোনো অসুবিধা আছে কি না আমরা তা নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সমস্যা থাকলে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সমাধানের ব্যবস্থা করছি।

ইতোমধ্যে মন্দিরগুলোতে সাজসজ্জার কাজ শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যেন থাকে সে ব্যাপারে প্রশাসনের সাথেও কথা হয়েছে। পাশাপাশি গাজীপুর জেলা থেকে ডিসি স্যার এবং এসপি স্যার কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। মন্দিরগুলো যেন রাতে আমরা পাহারা দেই, প্রত্যেকটি মন্দিরে যেন সিসি ক্যামেরা লাগানো হয় এবং কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে এগুলো বিষয়ে সকল মন্দিরে সতর্ক করা হয়েছে। সার্বিকভাবে আমরা আশা করছি অতীতের যেকোনো সময় থেকে এবারের পূজা হবে উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ।

এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে কাপাসিয়ার গণমানুষের নেতা শাহ রিয়াজুল হান্নান, খন্দকার আজিজুর রহমান পেরাসহ নেতারা বিভিন্ন মণ্ডব পরিদর্শন করেছেন, পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা মন্দির পরিদর্শন করেছেন, খোঁজ-খবর নিচ্ছেন কোনো অসুবিধা আছে কি না। আশা করছি যেকোনো সময় থেকে এবার আমরা ভালো পূজা উদযাপন করব।

কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা বলেন, আপনারা জানেন হিন্দু সম্প্রদায় এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে যে একটা ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছিল, তা তৎকালীন সরকার হিন্দুদের একটা স্লোগানের মাধ্যমে তাদের কনভার্ট করার জন্য, তাদের ভোটব্যাংক বাড়ানোর জন্য, সমর্থন বাড়ানোর জন্য, এই ধরনের একটি উক্তি করা হয়েছিল। তারা বলেছিল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের পূজা করতে দেওয়া হয় না, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে না।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নানের নেতৃত্বে কাপাসিয়া উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে উঠান বৈঠক করেছি, তাদের অভাব- অভিযোগ কী সম্পূর্ণ কিছু শুনে নেতা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, কোনোক্রমেই সনাতন ধর্মালম্বীদের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হবে না।

কাপাসিয়া থানার তদন্ত ওসি রবিউল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপ ভিজিট করেছি। পূঁজা মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের তাগাদা দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে পূজা উপলক্ষে স্থানীয় বাজারে বেড়েছে কেনাকাটার চাপ। সাধারণ মানুষও ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে।

শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. তামান্না তাসনীম বলেন, এটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ একটি উপজেলা। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে সবাই একত্রে বসবাস করছেন।


গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারেক রহমান

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘ইসরাইলি গণহত্যা’ বন্ধে জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি গাজায় চলমান সহিংসতার নিন্দা জানান। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতির ভিত্তিতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের দাবিও জানান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতিতে সুরক্ষিত পথেই ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তারেক রহমান জানান, বিশ্ব শক্তিগুলোকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি তিনি অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার আহ্বানও জানান।

তিনি দাবি করেন, গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ড ‘জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি বিষয়ক কনভেনশন (১৯৪৮)’-এর আইনি সংজ্ঞার সঙ্গে মিলে যায়। ওই আইনে আছে, একটি জাতি, নৃতাত্ত্বিক, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার অভিপ্রায়কে গণহত্যা বলে।

তিনি জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক কমিশন রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেন। সেখানে বলা হয়েছে, গাজার মানবিক সংকট ও ব্যাপক প্রাণহানির সরাসরি দায় ইসরাইলি সরকারের ওপর বর্তায়।

তারেক রহমান বলেন, ‘প্রচারণার আড়ালে লুকানোর দিন শেষ। কোনো অজুহাত আর চলবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, নৈতিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হয়। পথ কঠিন হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যখন ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বই হুমকির মুখে, তখন আমরা চুপ থাকতে পারি না।’

তারেক রহমান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাংলাদেশিদেরও ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে এবং নিজেদের জাতীয় নেতাদের ইসরাইলের এই ‘নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ’-এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রগুলোর হাতে পরিবর্তন আনার ক্ষমতা আছে। সবসময়ই থাকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখনই বিশ্বনেতৃত্বের দায়িত্ব আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।’


নওগাঁয় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি প্রকাশ্য অবমূল্যায়ন এবং সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত অসম কমিটির প্রত্যাখ্যান ও ডিগ্রি প্রকৌশলীদের অযৌক্তিক তিন দফা দাবি রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রত্যাখ্যানের দাবিতে নওগাঁয় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টায় শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নওওগাঁর সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ কর্মসূচি অংশ শিক্ষার্থীরা।

নওগাঁ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে এতে নেতৃত্ব দেন আবু হুরায়রা হাসিব ,আশরাফুল হক, এস এম তাহিয়াতুল ইসলাম জিহাদ,আরাফাত জনি, আব্দুল বারী ,রিয়াউল রাহাদ এবং মোঃ রেদোওয়ান।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। সরকারকে বলবো এই সমস্যার যৌক্তিক সমাধান করুন। তা নাহলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তখন এর দায় কিন্তু সরকারকে নিতে হবে। যে দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন সেগুলো হলো, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন থেকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রকাশ্যে গুলি করা ও জবাই করে হত্যার হুমকি প্রদানকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক তিন দফা দাবির পক্ষে পরিচালিত সকল কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের উত্থাপিত যৌক্তিক ছয় দফা দাবির রূপরেখা ও সুপারিশ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ান-চ্যানেল এডুকেশন চালু করতে হবে।

দাবিগুলো দ্রুত সরকার মেনে না নিলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিযারি দেয় শিক্ষার্থীরা।


ডোমারে সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী

নীলফামারীর ডোমারে সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলামের অপসারণের দাবীতে এলাকাবাসী ঝাড়ু মিছিল করেছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কাজীপাড়া থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি হৃদয়ে স্বাধীনতা চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান হিল্লোল, সাংবাদিক আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর উপজেলা সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ আইয়ুব, জামায়াত নেতা মো. সোহেল রানা, তুহিন ইসলামসহ আরও অনেকে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, এলাকায় মাদক করবার সহ বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান হিল্লোল ওসির সাথে যোগাযোগ করলে সহযোগিতার পরিবর্তে তিনি সাংবাদিককে হুমকি দেন। এরই প্রতিবাদে এলাকাবাসী ওসিকে মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী আখ্যা দিয়ে ঝাড়ু মিছিল বের করে তাঁর অপসারণ দাবি জানায়।

বক্তারা অভিযোগ করেন, কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী রুপার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ওসি সাংবাদিক হিল্লোলকে হুমকি দেন। এছাড়া ওসির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কমিশন গ্রহণ, টাকা নিয়ে মামলা গ্রহণ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অভিযোগও উত্থাপন করা হয়। বক্তারা অনতিবিলম্বে ডোমার থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলামের অপসারণ দাবি জানান।

এ বিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকের সাথে আমার কিছু হয়নি। ২দিন আগে রাতে মাদক ব্যবসায়ী রুপার বাড়িতে স্থানীয়দের নিয়ে মব সৃষ্টি করে ঘরে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করছিলো। আমি সেটা নিয়ে সাংবাদিক হিল্লোলকে বলেছিলাম মব সৃষ্টি করে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে এর দায় আপনাকে নিতে হবে।এভাবে বলার কারনে সাংবাদিক লোকোজন নিয়ে মিছিল করেছে, সমস্যা নেই তার কাজ সে করেছে আমার কাজ আমি করবো।


বর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় কমিশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বর্ধিত এক মাস সময়ের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে চাই। এর জন্য কোনো অবস্থাতেই এক মাস লাগবে না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুত একটি পরিণতি দেখা যাবে।

বুধবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের সভাপতি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা সার্বিক বিষয়ে জানেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে যাবেন তিনি। এর আগেই সনদ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবগত করা হবে।

সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশন চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ৬টি উপায়ের পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যে কেউ বলছেন বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে কার্যকর করতে। আবার অনেকেই সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে।

আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট মতামত সুপারিশ হিসেবে আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের পক্ষ থেকে যে সমস্ত বক্তব্য ছিল সেগুলোকে আমরা ছয় ভাগে ভাগ করেছিলাম। আপনারা বলেছিলেন বেশ কিছু বিষয় অধ্যাদেশ এবং নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যায়।

তিনি বলেন, আমরাও কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ করেছি, অত্যন্ত দ্রুততার সম্ভব সঙ্গে বাস্তবায়িত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যে সমস্ত বিষয় অধ্যাদেশ এবং নির্বাহী আদেশে করা যায় সেগুলো যেন তারা দ্রুত করেন।

আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে আমাদের যেই বিশেষজ্ঞ প্যানেল আছে তারা দুটো কথা বলেছিলেন-একটি হচ্ছে গণভোট, আরেকটি বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের কথা। সমস্ত কিছু বিবেচনা করে প্যানেলের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেটি আপনাদের সামনে আমরা উপস্থাপন করেছি। আমরা সরকারকে একাধিক পরামর্শ দিতে পারি বাস্তবায়নের সেটা তুলনামূলকভাবে সরকারের জন্য সহজতর হবে, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনীয় আইনি সাংবিধানিক বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখে তারা পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

আলী রীয়াজ জানান, সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দু’জন করে প্রতিনিধির নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। বেশিরভাগ দলই পাঠিয়েছে। আমরা চাই এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে।

তৃতীয় ধাপের এ বৈঠকে অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত আছেন- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার।


দেবীগঞ্জ উপজেলা গোখরা সাপ হাতে নিয়েই হাসপাতালে বৃদ্ধা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গোখরা সাপের ছোবলে আহত হয়েছেন সুমিত্রা রানী (৬০) নামের এক নারী। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছোবল দেওয়া সেই সাপটিকে একটি প্লাস্টিকের বোয়ামে ভরে সঙ্গে করে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন তিনি নিজেই।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনাপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঘরের একটি পুরোনো প্লাস্টিকের বোয়াম পরিষ্কার করতে গিয়ে হঠাৎই গোখরা সাপটি সুমিত্রা রানীকে ছোবল দেয়।

তার ছেলে সুরেশ চন্দ্র রায় বলেন, মা কাজ করছিলেন, হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘরে দৌড়ে যাই। দেখি মা কাঁপছেন আর পাশে সাপটা পড়ে আছে। কোন সাপ বুঝতে না পেরে প্লাস্টিকের বোয়ামের মধ্যেই সাপটাকে ভরে, মা'কে নিয়ে হাসপাতালে যাই।

দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশ্চিত হন, এটি একটি বিষধর গোখরা সাপ। তাৎক্ষণিকভাবে সুমিত্রা রানীকে অ্যান্টিভেনম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন ধর বলেন, রোগী বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালে আসেন। সঙ্গে সাপটিও আনা হয়েছিল। নিশ্চিত হওয়ার পরপরই এন্টিভেনাম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। বর্তমানে তিনি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছেন।


banner close