রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
৩ কার্তিক ১৪৩২

রিপোর্টে ভুল এল প্রসূতির রক্তের গ্রুপ

প্রতীকী ছবি
প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৩ ২১:৫৭

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের পুরান বাজারে মোনায়েম প্লাজায় ‘নিউ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে এক প্রসূতির রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের ভুল রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার অভিযোগটি স্বীকার করে নিয়েছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ।

ওই প্রসূতির স্বামী জানান, গত ৩ এপ্রিল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের জন্য শ্রীমঙ্গল শহরের নিউ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে তার স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ আসে ‘এবি’ নেগেটিভ। মাসদুয়েক পর অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে রক্তের গ্রুপও পরীক্ষা করলে সেখানে রক্তের গ্রুপ আসে ‘বি’ পজিটিভ।

ওই প্রসূতির স্বামী বলেন, ‘পরে আমরা তৃতীয় আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করেও স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজিটিভ পেয়েছি। তখন বুঝতে পারি, নিউ কেয়ার ডায়াগনস্টিক থেকে আমাদের ভুল রিপোর্ট দেয়া হয়েছিল। এ কারণে আমার স্ত্রীর মারাত্মক শারীরিক সমস্যা হতে পারত। আজ (সোমবার) ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আমার বাড়িতে এসে ভুল রিপোর্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এমন ভুলের শিকার যেন আমরা কেউ না হই।’

নিউ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মালিক বিভুতি ভূষণ রায় অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘টাইপিংয়ের ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি রোগী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমার সেন্টারে যারা এই রিপোর্ট তৈরিতে যুক্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি।’

মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, ‘ভুল রিপোর্টের ঘটনা শুনেছি। ভুক্তভোগী রোগীরা স্থানীয় সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ও আমার কাছে আবেদন পাঠালে আমরা ব্যবস্থা নেব।’


নবীনগরে ডা. হামদু মিয়া স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তির পুরস্কার বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ডা. হামদু মিয়া স্মৃতি শিক্ষা বৃত্তি–২০২৪-এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার ইব্রাহিমপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. কামরুজ্জামান। তিনি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বও করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম হোসেন খান টিটু, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোছা, সাবেক চেয়ারম্যান মো. নোমান চৌধুরী, ইব্রাহিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, প্রধান শিক্ষক শাহানাজ আক্তার, আল আমিন খন্দকার, মো. আলী মাহমূদুর রহমান রাছেল ও মাজেদুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন ৯৬ ব্যাচ।

শেষে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।


নানা সংকটে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী উত্তর

একটি ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা। সোনাইমুড়ীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০০৬ সালে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে থানায় রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে থানা এলাকার ভবন অত্যন্ত পুরাতন, জরাজীর্ণ ও বসবাসের অনুপযোগী। এখানকার সব ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ।

জানা যায়, সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ পরিত্যক্ত ভবনে কোনোরকমে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এছাড়াও নেই দৈনন্দিন ব্যবহার ও খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও। ১৭০.৪২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সোনাইমুড়ী থানায় ২০২২ সালের জনশুমারী অনুযায়ী রয়েছে মোট জনসংখ্যা ৩,৬৮,৮৪২। এই জনসংখ্যার জন্য নিয়োজিত রয়েছেন ১জন ওসি, ১ জন ওসি তদন্ত, এসআই ৮ জন, এএসআই ১০ জন ও ২৮ জন কনস্টেবল সহ প্রায় ৫০ জন। গত ৫'ই আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত থানায় ৪ টি গাড়ি থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ২টি গাড়ি। গাড়িতে ব্যবহারের জন্য ২৫ থেকে ৩০ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা থাকলেও সরকারিভাবে বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৫ লিটারের। ২০০৬ সালে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে থানায় রূপান্তরিত হলেও বর্তমানে এখানে নেই প্রয়োজনীয় জনবল। তাই এই এলাকায় গঠিত অপরাধ দমনে প্রতিনিয়ন হিমসিম খেতে হচ্ছে থানা কর্তৃপক্ষের। থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় টিন সেট ঘর নির্মাণ করে ফোর্সের আবাসিক ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে ৫ জনের স্থানে গাদাগাদি করে রাত্রি যাপন করে ৮/১০ জন। থানা পুলিশের ব্যারাকে ১৫ জনের মধ্যে থাকে ২০-২৫ জন। আর অফিসারদের জন্য কোন থাকার ব্যবস্থা নেই। ১৫ আগস্টে পুড়িয়ে দেওয়া থানা ভবন ও অন্যান্য ভবন কোনরকম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে থাকছে পুলিশ সদস্যরা। আগত সেবা-প্রার্থীদের বসার কোন স্থান নেই।

থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন জানান, এই থানায় জনবল অনুযায়ী নেই বসবাসের সুব্যবস্থা। একটি পরিত্যক্ত ভবনে কোনো রকম গাদাগাদি করে থাকতে হয়। বিশুদ্ধ পানিরও রয়েছে চরম সংকট। বরাদ্দকৃত গাড়ির জন্য ২৫ থেকে ৩০ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা থাকলেও সরকারিভাবে বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৫ লিটার তেল। এ অবস্থায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খেতে হচ্ছে থানা পুলিশের।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, নানা সংকটে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। এটা সত্য। ডিউটি করতে পুলিশের গাড়ি সংকট রয়েছে। এখানকার কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা সব সংকট মোকাবিলা করে থানার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। চুরি ছিনতাইসহ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতোপূর্বে কয়েকটি ডাকাতি ও চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা উদঘাটন হয়েছে।


সখীপুরে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজের নির্মাণকাজ

ভোগান্তিতে হাজার হাজার মানুষ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার করটিয়াপাড়া বাজারের উত্তর পাশে কাঁকড়ার ঝোড়ার ওপর ২ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৩১ টাকা ব্যয়ে

নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ দীর্ঘ ৫ বছরেও শেষ হয়নি। ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় ব্রিজের নির্মাণকাজ। ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা দীর্ঘ সময়েও শেষ হয়নি ব্রিজের কাজ।

উপজেলার কালিদাস-বহুরিয়া সড়কের করটিয়াপাড়া বাজারের উত্তর পাশে কাঁকড়ার ঝোড়া নামক স্থানে ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই পিএসসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ থেমে থেমে চলছে। একটানা যতদিন কাজ চলে তার কয়েক গুণ বেশি সময় বন্ধ থাকে নির্মাণ কাজ।

যানবাহন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্রিজের দুই পাড়ের হাজারো মানুষ। দৈনন্দিন প্রয়োজনে উপজেলা শহর বা অন্য কোথাও যেতে চাইলে ১৪ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এতে অর্থ ও সময় দুই-ই বেশি ব্যয় হচ্ছে তাদের।

উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৩১ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের পিএসসি গার্ডার ব্রিজটির কাজ পায় মাইন উদ্দিনবাসী নামক ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজটি শুরু হয়ে ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজটি এখনো চলমান। এলজিইডির কাগজপত্রে ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে।

ওই সড়ক ব্যবহার করে স্থানীয় বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সেবা গ্রহীতা ও উপকারভোগীদের একটি বৃহৎ অংশ যাতায়াত করে। বিকল্প সড়ক ঘুরে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। এতে বয়োবৃদ্ধ,নারী -শিশুসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা বলেন, কাঁকড়ার ঝোড়া ব্রিজটি সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণে কালিদাস, ঠকাইনাপাড়া, ফুলঝুড়িপাড়া, করটিয়া পাড়া, বেলতলী, হারিঙ্গাচালা, হতেয়া-রাজাবাড়ি, কালমেঘা, ছলংগা ও বহুরিয়া চতলবাইদসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার। ঠিকদারি প্রতিষ্ঠান কিছুদিন কিছু কাজ করে বেশ কয়েকবার লাপাত্তা হয়ে গেছে। গত কয়েক মাস ধরেও বন্ধ রয়েছে ব্রিজের কাজ।

তারা আরো বলেন, ব্রিজটি সম্পন্ন না হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আমাদের সন্তানেরা স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় সময় মতো যেতে পারছে না। অসুস্থ রোগীদের নিয়ে পড়তে হয় চরম বিপাকে। দ্রুত শহরের হাসপাতালে নেওয়ার উদ্দেশে কাঁধে করে তাদের পার করতে হয়। আমাদের প্রয়োজনে কোনো কাজের মালামাল আনতে পারি না। ফল-ফসল ও শাকসবজি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও এই ব্রিজের কারণে আমরা খুবই সমস্যায় আছি। ছোট খাটো মালামাল হলে আমরা কাঁধে ও মাথায় করে পার করি। আমরা সকলে মিলে টাকা তুলে সাময়িক পারাপারের জন্য ব্রিজের পশ্চিম পাশ দিয়ে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করেছি। অথচ সাময়িক পারাপারের ব্যবস্থাও সরকারিভাবে ঠিকাদারের করার কথা বলে আমরা জানি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি খুব তাড়াতাড়ি যেন এই ব্রিজের কাজটি সম্পন্ন হয়।

ব্রিজের দুই পাড়ের দুটি বাজার কালিদাস ও করটিয়া পাড়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, মালামাল পরিবহন করা কষ্টকর, সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। প্রায় পাঁচ বছর যাবত আমরা কষ্ট, অতিরিক্ত সময় ও ব্যয়ভার বহন করছি। আমরা এর থেকে নিস্তার চাই।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

সখীপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান জানান, পিএসসি গার্ডার ব্রিজটির ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে বৃষ্টির কারণে কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই কাজটি শুরু হবে এবং আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে আমরা কাজটি শেষ করতে পারব।


আলোকবালী ইউনিয়নের আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়নবিষয়ক মতবিনিময় সভা

নরসিংদী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে এক অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখলো নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালীর মানুষ। বিশ্ব যখন আধুনিকতার জয় গানে মুখরিত। ঠিক তখনি এক মধ্যযুগীয় বর্বরতার চোরাবালিতে আটকে ছিল আলোকবালী ইউনিয়নের মানুষের ভাগ্য।

সদর উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন, রাজনৈতিক কোন্দল এবং তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘটে আসছিল খুন, হত্যা, চাঁদাবাজি আর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ইতোপূর্বে এ এলাকার মানুষ টেঁটা ব্যবহার করে মারামারি করত। বর্তমানে তারা বন্ধুক, পিস্তল এবং অবৈধ ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছিল। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দ্বন্দ্বের কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইদন মিয়া (৬০) নামে এক বিএনপির কর্মী, ১৯ সেপ্টেম্বর ফেরদৌসি বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর সাদেক হোসেন (৪২) নামে এক যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ সকল ঘটনায় আরো অন্তত ২৫-৩০ জন আহত হয়।

এ এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গতকাল শনিবার সকালে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে আইনশৃংখলা ও উন্নয়ন কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম পিপিএম, নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা জাহান সরকার, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিনথিয়া হোসেন, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক দীপক কুমার বর্মন প্রিন্স ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।

বক্তারা উপস্থিত সর্বস্তরের জনগণকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আজ (গতকাল শনিবার) থেকে আলোকবালীতে কোনো অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ এবং বালু লুটেরার স্থান হবেনা। তাদেরকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। তারা যেকোন দলেরই হউক না কেনো তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা। জেলা প্রশাসনের এ মহৎ উদ্যোগটি অভিজ্ঞ মহল এবং এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে এসেছে।


লক্ষ্য, এমপি-মন্ত্রী হতে চাই না: বিজিএমইএ পরিচালক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

আসন্ন ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফেনী-১ (ফুলগাজী-পরশুরাম-ছাগলনাইয়া) আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণজাগরণ তৈরিতে মাঠে নেমেছেন ম্যাগপাই গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিজিএমইএর পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান। গত শুক্রবার সকাল থেকে রাত অবধি ফেনী-১ আসনের ফুলগাজী পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন ‘আমি এমপি-মন্ত্রী হতে আসিনি, এসেছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফেনী-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করতে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমার এই গণমুখী কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত একটি মহল আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আমাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে ভাবছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

গণসংযোগ কর্মসূচির শুরুতে সকাল ১০টায় তিনি ফুলগাজী বাশুড়া আজিজুল উলুম কাসিমিয়া নূরানী ও হেফজ মাদ্রাসায় নগদ অনুদান প্রদান করেন এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের পক্ষে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন।

দুপুরে তিনি দক্ষিণ দৌলতপুর নূরানী মাদ্রাসা ও উত্তর দৌলতপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিদর্শনকালে দুটি প্রতিষ্ঠানকেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। উত্তর দৌলতপুরে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

বিকালে তিনি মুন্সিরহাট ইউনিয়নের করইয়া গ্রাম ও আমজাদহাট ইউনিয়নে পৃথক গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেন এবং করইয়া ঈদগাহ মাঠের উন্নয়নে অনুদান প্রদান করেন। বিকেলে তিনি পরশুরামের বিলোনিয়া স্থল বন্দর এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে বেগম খালা দিয়েন পক্ষে গণসংযোগ করেন।

দিনব্যাপী এই গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল মজুমদার গোলাপ, কৃষকদলের সাবেক সভাপতি আবু ইউসুফ মিয়া, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, যুবদল নেতা মাস্টার আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।


বোরহানউদ্দিনে দরিদ্র্য ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে টিউবওয়েল বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় নূতন বিদ্যুৎ (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও এক্টিস এক্ট সিআইও এর আর্থিক সহায়তায় দরিদ্র্য ও সুবিধাবঞ্চিত ৪০টি পরিবারের মধ্যে নিরাপদ পানির অভাব দূর করে সুপেয় পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টিউবওয়েল সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

গত শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে বোরহানউদ্দিনের কুতুবা ইউনিয়নের দক্ষিণ কুতুবায় অবস্থিত নূতন বিদ্যুৎ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রকল্প এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত ৮টি পরিবারের মাঝে টিউবওয়েল হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়া পর্যায়ক্রমে প্রোজেক্ট এর নিকটবর্তী এলাকার সাধারণ জনগণের সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে আরো ৩২টি টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

নূতন বিদ্যুৎ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রতিনিধি জানান, তারা প্রজেক্ট আরম্ভলগ্ন হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি প্রজেক্টসংলগ্ন জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখে আসছে এবং তারা ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবে।

টিউবওয়েল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রনজিৎ চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপ সিইও (ব্রিজিন পাওয়ার), গ্রুপ সিওও (ব্রিজিন পাওয়ার), গ্রুপ টেকনিক্যাল হেড(ব্রিজিন পাওয়ার), প্রকল্প প্রধান (এনবিবিএল), ইএইচএস প্রধান(এনবিবিএল) ও এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন প্রধান (এনবিবিএল)।


সৈয়দপুরের আকাঙ্ক্ষিত ডা. সামসুল হক সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু

ব্যয় হবে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের শহিদ ডা. সামসুল হক সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এবড়ো-থেবড়ো খানা-খন্দে ভরপুর থাকার কারণে ছোট যানবাহনতো দূরে থাক সাধারণ পথচারীরাও চলতে চাইতেন না। একটুখানি বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে যেত পানি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে সৃষ্টি হত জলজট। এমন অবস্থা বিরাজ করায় ওই সড়কের দুপাড়ে গড়ে ওঠা ব্যবসায়ীদের দোকানে ক্রেতারা যেতেন না কেনাকাটা করতে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ মাড়াতে চাইতেন না ওই পথ। ফলে ব্যবসায়ীরা সারাবছর জুড়ে টানাপোড়েনে দিন কাটাতেন। বছরব্যাপি শুনতে হতো তাদের দুঃখের কথা।

নতুন করে রাস্তাটি নির্মাণ শুরু হওয়ায় এই সড়কের ব্যবসায়ীরা এখন আছেন বেশ ফুরফুরে মেজাজে। ১ হাজার ৮০০ ফুট (৫৯০ মিটার) লম্বা সড়কটি নির্মাণে দুভাগে বিভক্ত করে নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৬০ ফুট (১৫০ মিটার) করা হচ্ছে আর সিসি ঢালাই। রাস্তার এই অংশটিতে পানি জমে থাকে। যার জন্য কার্পেটিংয়ের সড়ক নির্মাণ করা হলে আয়ুষ্কাল হত কম। কিন্তু আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে রাস্তা করায় স্থায়িত্ব হবে অনেক বছর। অবশিষ্ট সড়কটির তথা ১ হাজার ৩১০ ফুট (৪৪০ মিটার) বিটুমিন দিয়ে করা হচ্ছে কার্পেটিং। সব মিলে ব্যয় হচ্ছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। কাজটি করছে এসএম সাইফুল্লাহ রুবেলের মালিকানাধীন সাইকী বিল্ডার্স।

ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ, এহসান, শহিদুল, আকবর ও শাহিনের সঙ্গে। তারা বলেন অনেকদিন পর এ সড়কটি নির্মাণ হওয়ায় আমরা পৌর কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাই। তারা আমাদের দাবি বিবেচনা করেছে। সড়কের নির্মাণ কাজের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছেন সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল খালেক ও উপসহকারি প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম। তারা বলেন, জনগণের টাকার কোনো অপচয় যাতে না হয় সেই দায়িত্ববোধ নিয়েই কাজের মান রক্ষায় আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষে দেখভাল করছি।


গোপালগঞ্জে লালন সাঁইজির তিরোধান দিবস পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা

‘সহজ মানুষ ভজে দেখনারে মন দিব্যজ্ঞানে’—এই বাণীকে প্রতিপাদ্য করে গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গত শুক্রবার বিকেল ৫টায় মহাত্মা লালন সাঁইজির ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এবং জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সালমা পারভীন।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, মহান সাধক লালন সাঁইজির জীবনদর্শন, মানবতাবাদ ও সহজ দর্শন আজও সমাজে সহিষ্ণুতা, সাম্য ও মানবপ্রেমের অনুপ্রেরণা জোগায়। তার গান ও ভাবধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রখ্যাত লালন শিল্পীবৃন্দ বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন। তাদের পরিবেশনায় লালনের গান, ভাবগীতি ও আধ্যাত্মিক সংগীত পরিবেশিত হলে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা আবেগাপ্লুত হন।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জেলা প্রশাসন, গোপালগঞ্জ। সহযোগিতায় ছিল জেলা শিল্পকলা একাডেমি, গোপালগঞ্জ।

সমগ্র আয়োজনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা কালচারাল অফিসার ফারহান কবীর সিফাত।


রাউজানের অবৈধভাবে চলছে ইটভাটা, ঝুঁকিতে রাবার বাগান

নেই পরিবেশের ছাড়পত্র, পোড়ানো হচ্ছে কাঠ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

রাউজানে অর্ধশতাধিক ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরে আইন অমান্য করে জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তন্মধ্যে প্রায় ৩০ টি ইট ভাটায় জ্বালানি হিসবে কয়লা ব্যবহারের ব্যবস্থা নিলেও ২০ ইটভাটায় স্তুপ করছে বন কাটা লাকড়ি। উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের মেলুয়া, হলদিয়া ইউনিয়নের বৃন্দাবন- বেনারস, পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ড ও রাউজান সদর ইউনিয়নের পূর্ব রাউজান এলাকা পরিদর্শন কালে এমন চিত্র দেখা যায়। অপরদিকে গত বছর (২০২৪ সাল) জেলা পরিষদের পরিবেশ লাইসেন্স ও অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে অবৈধভাবে কাঠ জ্বালিয়ে ইটভাটা পরিচালনার অভিযোগে গুড়িয়ে দেওয়া ইটভাটা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

পরিবেশ আইন তোয়াক্কা না করে রাবার বাগান ঘেঁষে কিছু কিছু ইটাভাটা পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইটভাটায় আগুন দেওয়ার আগে জ্বালানি কাঠ ব্যবহারকারী ও রাবার বাগান ঘেঁষে গড়ে উঠা ইটভাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠন। গত বছর পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক গুড়িয়ে দেওয়া ডাবুয়া ইউনিয়নের মেলুয়া এলাকার বিবিসি নামক একটি ইটভাটা পুনরায় চালু করেছে। ডাবুয়া রাবার বাগান ঘেঁষে এ ইটভাটা বাংলা চিমনি স্থাপন করে জ্বালানি হিসাবে স্তুপ করেছে কাঠ। বনের কাঠ উজার করে কেটে জ্বালানি স্তুপ জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই ইটভাটায় আগুন দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ভাটার মালিক।

বিবিসি নামক ইটভাটার ম্যানেজার শাহাবুদ্দিন জানান, এই ইটভাটার মালিক সৈয়দ হোসেন কোম্পানি। এ ভাটায় কয়লার পরিবর্তে জ্বালানো হবে বন থেকে সংগ্রহ করা কাঠ। তিনি আরো বলেন, একসাথে ৯ লাখ করে ইট পোড়ানো হবে। গত বছর ৮ রাউন্ডে ৬৩ লাখ ইট বিক্রি করা হয়েছিল। এছাড়া মেলুয়া এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের গুড়িয়ে দেওয়া আরো তিনটি ইটভাটা নতুন করে চালু করতে প্রস্তুতি নিয়েছে। একসাথে ইটভাটায় আগুন দিতে গাড়ি করে কাঠ সংগ্রহ চলছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভাটায় আগুন দেওয়ার কথা জানান ইটভাটার দায়িত্বে থাকা ম্যানেজাররা। হলদিয়া ইউনিয়নের বৃন্দাবন ও বেনারস এলাকায় নির্বিচারে সরকারি-বেসরকারি বন উজার করে কাটা হচ্ছে। ওই এলাকায় রয়েছে ১১ টি ইটভাটা। কয়েকটিতে কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানো হয়। বাকি ইটভাটায় জ্বালানো হয় বনের কাঠ। অনেক ইটভাটার লাইসেন্স নেই। নেই পরিবেশের ছাড়পত্র। পরিবেশ দূষণে এ এলাকায় ফলজ গাছের ফলন হয় না। বনজ বাগান শীত মৌসুমে মরুভূমিতে পরিণত হয়।

রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোনো ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করতে পারবে না। সরকারি নিয়ম মেনে ইটভাটা পরিচালনা করতে হবে, না হয় আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।


ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়িবাঁধে মৎস্য উৎসবে হতাশ শিকারিরা!

ঠাকুরগাঁওয়ে বাঁধে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে শিকারী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়িববাঁধে মৎস্য উৎসবে এসে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মাছ শিকারিরা। জেলা ও জেলার বাহির থেকে মৎস্য উৎসবের দিন মাছ ধরতে আসেন মাছ শিকারিরা। অর্ধবেলা জাল ফেলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ না পাওয়ায় হতাশা বাড়ছে তারা। তার উপরে অসাধুদের পাতানো নিষিদ্ধ রিং জালের খুঁটিতে নিজেদের জাল ছিড়ে যাওয়াতে কষ্টেরও কোনো শেষ নেই মাছ শিকারিদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারো ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ও আকচা ইউনিয়নের শুক নদীত তীর বুড়ির বাঁধে শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব। বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন আশে পাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

গত শুক্রবার বিকেলে ছেড়ে দেয়া হয় বাধের পানি। সেদিন থেকেই শুরু হয়ে জেলেদের আগমন। উৎসবটি চলবে শনিবার দিনব্যাপী। এই উৎসবে যোগ দিয়ে অসংখ্য মানুষ মাছ ধরতে ব্যস্ত। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ১৯৫১-৫২ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য এলাকায় একটি জলকপাট (স্লুইস গেট) নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতি বছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনাগুলোর দেখভাল করে আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)।

৫০ একর এলাকাজুড়ে সুক নদীর উপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রম। সারা বছর কাউকে এখানে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। শুধু জমানো পানি ছেড়ে দেওয়ার পর এ সময়ই মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।

সদর উপজেলার নারগুন থেকে মাছ ধরতে এসেছেন রমজান আলী। বলেন বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে অনেক মানুষ আসেন মাছ ধরতে। আমিও এসেছি। কিন্তু অর্ধবেলা জাল ফেলেও এক কেজি মাছ ধরতে পারিনি। ভেতরে রিং জাল পাতানো আছে। ওই খুঁটিতে জাল ছিড়েছে। এখন দেখছি উৎসবে এসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।

পঞ্চগড় থেকে মাছে শিকারে এসেছেন দুই বন্ধু আতিক ও ফয়সাল। তারা জানান, মাছে নেই। দেশি প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। রিং জাল আর কারেন্ট জালের ব্যবহারের কারনে আমরা প্রাকৃতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সেই সাথে দেশী মাছ হারাচ্ছি। আমরা তবুও সময়টাকে উপভোগ করছি।

এই উৎসবে মাছে কিনতে এসেছেন অনেক ক্রেতা। বিক্রেতাও আছে উৎসব জুড়ে।

এ সময় ক্রেতা রহিমুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এখানে তো তেমন মাছ নেই। অনেক বিক্রেতা বাহিরের মাছ এনে এখানে বিক্রি করছে। এখানে যারা মাছ বিক্রি করছে অধিকাংশ জনই বাহির থেকে মাছ আনছে। দামও অনেক বেশি। টাটকা মাছ ভরসা করে কিনতে এসেছি। দেখি পাই কি না?

অপরদিকে শহর থেকে দেশীয় মাছ কিনতে যাওয়া ক্রেতারা অভিযোগ করেন মাছের দাম অনেক বেশি। দেশীয় মাছ তেমন পাওয়া যায় না এখানে। যা পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম অনেক। পুঁটি মাছ ৩০০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই অনেক ক্রেতাই মাছ কিনতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

মৎস্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, আমরা আমাদের জায়গা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি রিংজাল ও কারেন্টজাল রোধে। অনেক অভিযানও করা হয়েছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, কারেন্ট জাল ও রিংজালের ব্যবহার নিষিদ্ধ। আমরা ইতিমধ্যে অনেক জাল জব্দ করেছি। জালগুলো ধ্বংস করেছি। আইনের প্রয়োগ হচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করি মানুষ সচেতন হবে এবং এসব নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার থেকে দূরে থাকবে। আগামীতে মৎস্য উৎসব আরও ভিন্নরকম ভাবে উপভোগ করবে মানুষ এমনটি প্রত্যাশা এই কর্মকর্তার।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম যাকারিয়া জানান, ১৯৫১-৫২ সালের দিকে বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। বাঁধটির সামনে একটি অভয়াশ্রম আছে। প্রতি বছর বাঁধটি ছেড়ে দেওয়ার পরে মাছ ধরার জন্য এখানে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। আমরা মনে করছি এটার মাধ্যমে আমিষের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।


কুমিল্লার দিদার সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা দক্ষিণ প্রতিনিধি

কুমিল্লায় দিদার সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির ৫৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর দিদার সমিতির সম্মেলন কক্ষে এ সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। দিদার সমিতির চেয়ারম্যান জিএম নোমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ সালমান ইকবাল, সদর দক্ষিণ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ভুঁইয়া। কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বার্ডের কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাকির হোসেন, ম্যানেজার মোস্তফা কামাল, সমিতির সহ সভাপতি মো. সৈয়দ, মো. রেজাউল করিম, কামাল হোসেন, হারিজ মিয়া, আ. মমিন, জিয়াউর রহমান জিয়া, জাকির হোসেন রনি, জান্নাতুল ফেরদৌস লিজা, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সদস্য প্রায় ১২ শতাধিক। বক্তারা বলেন, দিদার সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি হলো বাংলাদেশের একটি সমবায় ভিত্তিক জন-কল্যাণমূলক সংগঠন। ওই সমিতির প্রাথমিক সল্প সদস্যদের উদ্যোগে ১৯৬০ সালে এ সমিতির যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে গ্রামের চায়ের দোকানের মালিক মোহাম্মদ ইয়াছিন তার দোকানে আগত ৮ জন রিকশা ও ভ্যান চালক মো. বেনু মিয়া, মো. নুরু মিয়া, মো. আতর আলী, মো. নিলু মিয়া, মো. চরু মিয়া, মো. অহিদ মিয়া, মো. আব্দুল খালেক এবং মো. রফিক মিয়াকে নিয়ে প্রত্যেক সদস্য প্রতিনিদিন ১ আনা করে জমা রাখবে। এই শর্তে ১৯৬০ সালের ৯ অক্টোবর ৯ সদস্যবিশিষ্ট এই সমবায় সমিতিটির গোড়া পত্তন করেন তৎকালীন ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আখতার হামিদ খান।

দিদার সমিতি মানব সেবায় অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে ‘পল্লী উন্নয়নে স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন করে।


ফরিদপুরে অ-স্বচ্ছল ১০ নারী পেলো সেলাই মেশিন

শিকড়ে স্বাবলম্বীর যাত্রা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর

অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শিকড়ের হাত ধরে স্বাবলম্বীর যাত্রায় অংশীজন হচ্ছেন সমাজের পিছিয়ে পড়া ও হতদরিদ্র পরিবার। স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য সেলাই মেশিন ও ছাগল বিতরণ করা হচ্ছে এসব পরিবারের মাঝে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ১০টি পরিবারের নারী সদস্যদের মাঝে দেয়া হয়েছে সেলাই মেশিন। শনিবার জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সমাজের অ-স্বচ্ছল দশজন নারীকে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১০টি সেলাই মেশিন দেয়া হয়। সংগঠনটি ২০২০ সালের ২৬ মার্চ যাত্রা শুরু করে এবং ২০ তম কর্মসূচি হিসেবে সেলাই মেশিন দেয়া হয় বলে প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক (প্রধান) শফিকুল ইসলাম খোকন জানান।

তিনি বলেন- সমাজের অসহায় অ-স্বচ্ছল মানুষদের স্বাবলম্বি করার প্রচেস্টা থেকে আমাদের এই যাত্রা। বিগত দিনে আমরা ১৯টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি, তার মধ্যে রয়েছে- ছাগল বিতরন, সেলাই মেশিন বিতরন, গ্রামের ছোট টং দোকানদারকে মুলধনী পন্য বিতরন। এছাড়াও ঈদে খাদ্যসামগ্রী ও পূজায় শাড়ি বিতরন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন, স্কুল পোষাকসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এ কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে সেলাই মেশিনগুলো তুলে দেন শিকড়ের পরিচালনা পর্ষদ (নীতি-নির্ধারনী ফোরাম) এর প্রধান ও কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধাব শিক্ষক শাহ মো. শাহজাহান মোল্যা, প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল ইসলাম খোকন, প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মো. আশরাফুল আলম কাজল, মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মো. কামাল হোসেন মিয়া, প্রদীপ সাহা, মো. হাবিবুর রহমান সাইফুল, মো. সেলিম মিয়া, মো. মুজিবুর রহমান মিয়া, মুহাম্মদ জাকারিয়া আসিফ, মো. ফজলুর রহমান সুমন, মো. সবুজ মোল্যা প্রমুখ।


বাকৃবির জব্বারের মোড়ে আর নেই সেই জব্বার হোটেল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাকৃবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ইতিহাসে একসময়কার প্রাণকেন্দ্র ‘জব্বার মোড়’ এখন বিলীন হওয়ার পথে।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেট (কেবি কলেজ মোড়) থেকে ফসিল মোড় পর্যন্ত চার লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ কাজের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসছে। এই প্রকল্পের আওতায় জব্বার মোড় হয়ে যাওয়া সড়কের দুই পাশের দোকানগুলো স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, মোড়ের পূর্ব পাশের দোকানগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামের সামনে স্থানান্তর করা হচ্ছে, আর পশ্চিম পাশের দোকানগুলোকে সামান্য পেছনের দিকে সরিয়ে রাখা হবে। উন্নয়ন কার্যক্রমের এই ধাপটি মূলত যান চলাচলের সুবিধা ও নগর অবকাঠামোর আধুনিকায়নের লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।

এই মোড়ের অন্যতম পুরনো ও জনপ্রিয় খাবারের স্থান ছিল ‘জব্বার হোটেল’। হোটেলটির বর্তমান মালিক মাহবুব আলম, যিনি শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত ‘হাবিব’ নামে, বলেন, ‘আমি গত চার বছর ধরে জব্বার হোটেল চালাচ্ছি। চার বছর আগে দোকানটি নতুন করে গড়ে এখানে ব্যবসা শুরু করি। কিছুদিন আগে রাস্তার কাজের জন্য দোকান ভাঙতে হয়, এরপর এই নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছি। এখানে এসেছি মাত্র দুই মাস হলো। শুরুতে তিন মাস সময় লেগেছিল সবকিছু গুছাতে, তখন আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হই। আমার ১৭ জন স্টাফেরও তখন অনেক কষ্ট হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ব্যবসা এখনো পুরোপুরি জমে ওঠেনি, পরিচিতি তৈরি হতে সময় লাগছে। তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার হোটেলে খেতে পছন্দ করে। তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। আমি চেষ্টা করি যেন তারা ভালো খাবার পায়, কারণ অনেকেই বাড়ি থেকে দূরে থাকে। যখন দেখি আমার হোটেলের খাবার খেয়ে অনেক শিক্ষার্থী জীবনে ভালো করছে, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ। আশা করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা আরও ভালো হবে, আর জব্বার হোটেল আবারও শিক্ষার্থীদের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, ‘আমরা প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে যখন বাকৃবিতে আসি, তখনই সবাই বলত-‘চলো, জব্বারের দিকে যাই’। এখন নতুন জায়গায় গেলে হয়তো সেই আগের আবহটা থাকবে না। তবু আশা করি, নতুন জায়গাতেও সেই আন্তরিকতা থাকবে।’

সময়ের সঙ্গে জীবনের নানা দিক বদলে গেলেও—রাস্তা, ভবন ও মানুষের জীবনযাত্রার মতো—কিছু স্থান থেকে যায় চিরস্মরণীয় হয়ে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জব্বার মোড় এমনই এক জায়গা, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মের শিক্ষার্থীর হাসি, বন্ধুত্ব ও আবেগের সাক্ষী। বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নের পথে এগিয়ে চললেও, জব্বার মোড়ের আড্ডা, গল্প আর সম্পর্কের উষ্ণতা আজও বাকৃবির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে। সময়ের দাবিতে এই স্থানের পরিবর্তন অনিবার্য হলেও, প্রজন্মের স্মৃতি ও অনুভূতিতে ভরা জব্বার মোড় আগামী দিনগুলোতেও শিক্ষার্থীদের মনে অমলিন হয়ে থাকবে।


banner close