বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৯ আশ্বিন ১৪৩২

কালকিনিতে অপহরণের ১০ দিনেও উদ্ধার হয়নি কিশোরী

প্রতীকী ছবি
প্রতিনিধি, মাদারীপুর
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, মাদারীপুর
প্রকাশিত : ১৯ জুলাই, ২০২৩ ১৯:০১

প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাদারীপুরের কালকিনিতে ১২ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেছে এক বখাটে। ঘটনার ১০ দিন পার হলেও উদ্ধার হয়নি ওই কিশোরী।

এ ঘটনায় অপহরণের অভিযোগ এনে কালকিনি থানায় একটি মামলা করেছে কিশোরীটির পরিবার। বুধবার দুপুরে বিষয়টি জানা গেছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পৌর এলাকার উত্তর রাজদী গ্রামের জাহাঙ্গীর উকিলের বখাটে ছেলে মেহেদী হাসান উকিল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ জনারদন্দী গ্রামের ওই কিশোরীকে মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু ওই ছাত্রী প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। পরে নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রীর পরিবার বিষয়টি মেহেদী হাসান উকিলের পরিবার ও স্থানীয় মাতবরদের জানিয়ে বিচার চায়। এতে মেহেদী হাসান ক্ষিপ্ত হয়। গত ৯ জুলাই ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে তাকে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় মেহেদী হাসান ও তার সহযোগীরা।

অভিযোগে বলা হয়, এরপর থেকে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। পরে তার দাদা বাদী হয়ে মেহেদী হাসানসহ কয়েকজনকে আসামি করে কালকিনি থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

ওই কিশোরীর দাদা দৈনিক বাংলাকে বলেন, আমার নাতনিকে মেহেদী হাসান তার লোকজন দিয়ে তুলে নিয়ে গেছে। আমি আমার নাতনিকে ফেরত চাই।

অভিযুক্ত মেহেদী হাসানের বাবা জাহাঙ্গীর উকিল বলে, তাদের দুজনকে আমরাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। কী কারণে নিয়েছে বলতে পারব না।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন দৈনিক বাংলাকে জানান, থানায় অপহরণ মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জোর চেষ্টা চলছে।

বিষয়:

প্রাকৃতিক পানি শোধন ফিল্টার নামক প্রাণি শামুক নিধন করা হচ্ছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হারুনার রশীদ বুলবুল; কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুর ও আশপাশ এলাকা থেকে অবাধে কৃষকের অগোচরে বন্ধুর ভূমিকা পালনকারী প্রাকৃতিক পানি শোধন ফিল্টার নামক প্রাণি শামুক নিধন করা হচ্ছে। এর ফলে মৎস্য ও কৃষি বিভাগও এখন হয়ে পড়েছে চিন্তিত। দাবি উঠেছে এখনি শামুক নিধনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এলাকা থেকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে পড়বে।

ভবদহ অঞ্চলের কেশবপুর উপজেলায় ৫৫ হাজার ৮৬৭বিঘাতে ৪ হাজার ৬৫৮টি ঘের ও ৫ হাজার ৮৮৭ বিঘায় ৬ হাজার ৯৯৫টি পুকুর ও দিঘী রয়েছে। মনিরামপুর উপজেলায় রয়েছে ৬৮ হাজার ৬১০ বিঘায় ৪ হাজার ৮৮৯টি ঘের ও ৩৪ হাজার ২৩৭ বিঘায় আছে ১১ হাজার ৬৪৩টি পুকুর ও দিঘী এবং অভয়নগর উপজেলায় রয়েছে ৩৪ হাজার ৪২৫ বিঘা জমিতে ১ হাজার ২০৫টি ঘের ও ২৫ হাজার ৮৯০ বিঘায় ৪ হাজার ৮১০টি পুকুর ও দিঘী। এ ছাড়াও তিনটি উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য উন্মুক্ত জলাবদ্ধ বিল যা ঘের হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। এলাকার দরিদ্র নারী পুরুষ ও শিশুরা এ সব ঘের, পুকুর, দিঘী ও উন্মুক্ত জলাবদ্ধ বিল থেকে শামুক সংগ্রহ করে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ৭থেকে ৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে থাকে। ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে পাইকাররা ভ্যান, সাইকেল, দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসে থাকে। সকাল থেকেই ওই সব পয়েন্টে গিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুরা শামুক-ঝিনুক বিক্রি করে থাকে। এ সব পাইকারি ব্যবসায়ীরা শামুক-ঝিনুক থেকে মাংস বের করে ঘের মালিকদের কাছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন। আবার শামুক ঝিনুকের খোলা বস্তা প্রতি ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছে চুন তৈরির কারখানায়। মূলত ঘের ও চুন কারখানার মালিকরাই অস্বচ্ছল পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুদের উদ্বুদ্ধ করে শামুক-ঝিনুক ধরতে। চুন কারখানার মালিকরা পাইকারদের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখে শামুক-ঝিনুক কেনার জন্য। মনিরামপুরের গোপালপুরে ২টি ও চেচুড়িয়ায় ১টি মোট ৩টি বড় ধরণের চুন তৈরির কারখানা রয়েছে। উপজেলার আড়য়া গ্রামের ফতেমা বেগম জানান, তার পরিবারের ৩-৪ জন বিল খুকখিয়াসহ অন্যান্য জলাবদ্ধ বিল পুকুর ও দিঘী থেকে শামুক-ঝিনুক এনে ৭ থেকে ৮ টাকা কেজিতে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকি। প্রতিদিন এক থেকে দেড় মন শামুক-ঝিনুক তারা সংগ্রহ করে। সাগরদত্তকাটি গ্রামের শামুক ব্যবসায়ী জয়দেব বলেন, জলাবদ্ধ বিল এলাকা থেকে শামুক কিনে কপালিয়া এলাকার মাছের ঘের মালিকদের নিকট বিক্রি করে থাকি। এতে তাদের প্রতি কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে। চুন তৈরির কারখানার মালিক সমিরন দাস জানান, তার কারখানায় যে চুন তৈরি হয় তার তিন ভাগের দুই ভাগ চুন ঘের মালিকদের কাছে ৫০ কেজি বস্তা প্রতি ১ হাজার ৯০০ শত টাকায় বিক্রি করে থাকে। আর এক ভাগ চুন পান ও অন্যান্য কাজে ব্যবহারে বিক্রি করে দেয়। সে আরো জানান, শামুক-ঝিনুক কেনার জন্য পাইকারদের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়েও রাখেন। ঘের মালিক আকবর হোসেন ও মোস্তাক হোসেন জানান, ঘেরের মাছ মোটাতাজা করা ও খাদ্য হিসেবে তারা শামুক-ঝিনুকের মাংস কিনে ঘেরে দেয়।এলাকা থেকে অবাদে শামুক নিধন হওয়ায় সচেতন মহল মৎস্য ও কৃষি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট শামুক নিধনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শামুক মারা গেলে মাংস পঁচে ও খোলায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশ জাতীয় বস্তু মাটিতে তৈরি হয়। এর ফলে যে ক্ষেতে বেশি শামুক থাকে সেখানে ফসল ভাল উৎপাদন হয়। শামুকের কারণে ক্ষেতের উর্বরতা শক্তি বাড়ে।

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস বলেন, শামুকের শরীরে রয়েছে প্রাকৃতিক জল শোধন ব্যবস্থা (ফিল্টার)। এরা ময়লা যুক্ত পানি পান করে ময়লা খাদ্য হিসেবে ভেতরে রেখে যে পানিটা বাইরে ছেড়ে দেয় সেটা বিশুদ্ধ। শামুকের বিশুদ্ধ পানির কারণে বিলে কই, শোল, শিং ও কার্প জাতীয় মাছ শামুক ও শামুকের ডিম খেয়ে বেঁচে থাকে। জলাবদ্ধ বিল থেকে শামুক কমে গেলে পানি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পানির রং পরিবর্তন হয়ে রোগ জীবাণু বেড়ে যায়।তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালে ১০ জুলাই প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে শামুককে বন্য প্রাণি হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে অবৈধ ভাবে শামুক ধরা ও বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিষয়টি তিনি উপজেলা সমন্বয় সভায় উত্থাপন করে প্রতিকারের দাবি করবেন। শামুক কৃষকের অগোচরে ক্ষেত খামারে বন্ধুর ভূমিকা পালন করে থাকে জানান তিনি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, শামুক-ঝিনুক প্রকৃতির খাদ্য শৃঙ্খলার সাথে ওৎপ্রতভাবে জড়িত। কেউ শামুক ঝিনুক ধরে মাছ বা অন্য কোন প্রাণির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা শামুক-ঝিনুক ধরে পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ মৎস্য আইনে নেই। এ কারণে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না।


দুর্গাপূজায় বেনাপোল বন্দর গিয়ে ৫ দিন আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি 

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে পাঁচ দিন যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

এ সময়ে বেনাপোল বন্দরে পণ্য উঠানামা,খালাস এবং বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে জানান বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, “পূজায় ২৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে ০২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার কারণে পেট্রাপোল বন্ধরে পন্য জটের সৃষ্টি হয়েছে।

৪ অক্টোবর শনিবার পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হবে বলে জানান কার্তিক চক্রবর্তী।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার বিষয়টি ওপারের সিঅ্যান্ডএফ থেকে চিঠি দিয়ে আমাদের জানিয়েছে।” ভারতে দুর্গাপূজার উপলক্ষে পাঁচ দিন ছুটি থাকার কারণে পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়বে শত শত পন্যবাহি ট্রাক। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের শতভাগ রপ্তানি মুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল থাকবে বলে তিনি জানান।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি বলেন বলেন, “ছুটিতে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।”

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. শামীম হোসেন বলেন, আমাদের সরকারী ছুটি ১ ও ২ অক্টোবর। তবে বাংলাদেশে আমদানি রপ্তানি কাজে সংশ্লিষ্টরা এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকরা ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছেন।

ভারতে ”দুর্গা পূজার পাঁচ দিনের ছুটি থাকায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে বেনাপোল বন্দর ও শুল্ক ভবনের কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। বন্দরে পণ্য খালাস করে ভারতীয় খালি ট্রাক সেদেশে ফিরে যেতে পারবে।”


গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

হত‍্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে 
আপডেটেড ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৬
মেহেরপুর প্রতিনিধি  

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে দুই সন্তানের জননী টলি খাতুন নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) সকাল নয়টার দিকে গৃহবধুর নিজ ঘরে ঝুলন্ত মরদেহ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে নিহতের বসত ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

সায়ত্রিশ বছর বয়সি নিহত গৃহবধু টলি খাতুন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সবেদ আলীর মেয়ে এবং বিগত ত্রিশ বছর পূর্বে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর সর্দ্দার পাড়ার অফেজ উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়।

নিহত গৃহবধুর পরিবারের অভিযোগ, টলি খাতুন কে তার স্বামী তাজুল ইসলাম রাতের আধারে নির্যাতন করে মেরে ফেলে দড়ি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে এখন আত্মহত্যার কথা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আমরা এই হত‍্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোশির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি করছি। সে যদি অপরাধী নাই হবে তাহলে বাড়িতে বৌয়ের মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছে কেনো?

নিহতের ফুফু মুর্শিদা খাতুন বলেন, আমার ভাইয়ের মেয়ে টলির শরীরে অনেক ক্ষতের দাগ আছে। গলাই নির্যাতনের চিন্হ আছে। পেটে মারার দাগ আছে। আমি নিশ্চিত তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি তাজুলের ফাসি চাই।

নিহতের স্বামী তাজুল ইসলামের চাচা এনামুল হক বলেন, তাজুল তার স্ত্রী টলিকে খুব ভালো বাসে। তাজুল বছর খানেক আগে তার মায়ের নামে থাকা জমি তার স্ত্রী টলি খাতুনের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। অথচ সেই শাশুড়িকে গতকাল ভাত খেতে দেয়নি টলি খাতুন। আর তাতেই তাজুল রেগে গিয়ে টলি খাতুন কে বকাবকি করে। আর সেই সময় টলি একটা দড়ি নিয়ে এসে বালিসের নিচে রেখে বাহিরে বলে বেড়াই আমি আত্মহত্যা করে তোকে জেলের ভাত খাওয়াবো।

গাংনী থানা পুলিশের ভবানীপুর পুলিশ ক‍্যাম্প ইনচার্জ এস আই আব্দুল করিম বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমারা আজ সকালে সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে গৃহবধু টলি খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ তার বসত ঘরে আড়া থেকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্ত শেষ নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন‍্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তাছাড়া নিহতের পরিবারের মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান।


বিয়ে করলে হলুদ ফ্রি!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

স্বনামধন্য ইভেন্ট ভেন্যু ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার লিমিটেড (আইসিসিএল) গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘সেপ্টেম্বর অফার’ নিয়ে এসেছে। এ মাসের শেষ পর্যন্ত গ্রাহকরা আইসিসিএলে একটি ইভেন্ট বুক করলে অপর একটি ইভেন্টের জন্য ভেন্যু ফ্রিতে উপভোগ করতে পারবেন। বলা চলে, আপনি যদি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য আইসিসিএল বুক করেন, তাহলে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানটির ক্ষেত্রে ভেন্যু ভাড়া ফ্রি উপভোগ করার সুযোগ পাবেন! এই বিশেষ অফারটি আইসিসিএলের পক্ষ থেকে পরিবার, কর্পোরেট এবং বিভিন্ন কমিউনিটির জন্য অনন্য সুযোগ হিসেবে এসেছে।

এই অফারটি কেবল ভেন্যু ভাড়ার ওপর প্রযোজ্য; কেটারিং, ডেকোর বা অন্যান্য ইভেন্ট সংক্রান্ত সেবা এই অফারটির আওতাভুক্ত নয়। এই উদ্যোগটি উন্নত পরিবেশ এবং নিখুঁত সেবার জন্য পরিচিত আইসিসিএলের চমৎকার ভেন্যুতে উৎসব উদযাপনে গ্রাহকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। ‘এলিগ্যান্ট ভেন্যু, ডেলেক্টেবল ডাইনিং’ – এই স্লোগান নিয়ে আইসিসিএল, এক্সিলেন্স ও সেবার এক অনন্য সমন্বয় নিয়ে এসেছে।

এ বিষয়ে আইসিসিএলের সেলস ও মার্কেটিং কনসালট্যান্ট জোশিতা সানজানা রিজভান বলেন, “গ্রাহকদের জন্য আইসিসিএলকে আরও সহজলভ্য করে তুলতে এবং তাদের প্রতি আরও বেশি গুরুত্বারোপ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। আমাদের বিশ্বমানের ভেন্যুতে পরিবার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর জন্য বিশেষ মূল্য উপভোগ করার এ এক অনন্য সুযোগ।”

উন্নত মানের ডাইনিং এবং বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা সহ আইসিসিএল প্রতিটি গ্রাহকের জন্য অবিস্মরণীয় ইভেন্ট তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অফারটি পরিবারিক জমায়েত থেকে শুরু করে কর্পোরেট ইভেন্ট পর্যন্ত যে কোনো অনুষ্ঠান শহরের অন্যতম সেরা ভেন্যুতে আয়োজন করার এক সুবর্ণ সুযোগ।

বিস্তারিত জানতে আইসিসিএলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://iccldhk.com/ অথবা অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/conventioncenterbd/ ভিজিট করুন


কুমিল্লায় টাস্কফোর্সের  অভিযান বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা দশ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ।

বিজিজির এই কর্মকর্তা জানান, বুধবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে চোরা কারবারিরা ভারতীয় ১৫৮ বোতল অলিভ অয়েল তেল, ১,১২০ পিস ডেরোবিন ক্রিম, ৮৬০ পিস স্কিন সাইন ক্রিম, ১,৩৩০ পিস জনসন বেবী লোশন এবং বাজি ৩,৪০,৬০০ পিস ফেলে পালিয়ে যায়।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সরোয়ার জাহানের উপস্থিতিতে ভারতীয় পণ্যগুলো জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য ৮৭ লাখ ৭ হাজার টাকা।

পরে জব্দকৃত মালামাল গুলো আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে কাস্টমসে জমা করা হয়।


বেগমগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের রুমে তালা, ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী উত্তর 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের রুমের বাহিরে ঝুলছে তালা। চিকিৎসা সেবা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। বুধবার সকাল ৯ টার দিকে ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার গোপালপুর গ্রাম থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ফরিদ হোসেন (৩৫) নামে এক রোগী। সে নাকের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। বহি বিভাগের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ৫ টাকার টিকিট ১০ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করেন। পরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় কনসালটেন্ট (ইএনটি) ডাক্তার আলমগীর হোসেনের ২১০ নং রুমের বাহিরে সকাল ৯ টা থেকে ১০ টার পর্যন্ত বসে রয়েছেন। দরজায় তালা ঝুলছে। কবে ডাক্তার আসবেন জানেন না। উপজেলা চৌরাস্তা নামক স্থান থেকে পায়ের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন আব্দুর রহমান (৬০)।সকাল সাড়ে ৯ টায় তিনি ১৫ টাকা দিয়ে রিসিট সংগ্রহ করে প্রায় দেড় ঘন্টা বসে রয়েছেন।জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার ফজলে আখবর খানের রুম নং ২১১ নং বাইরে তালা ঝুলছে। উপজেলার মীর আলিপুর গ্রাম থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে কুলসুম আক্তার (১৬)।২২১ নং রুম গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফারজানা রায়হান সকাল ১০ টায়ও আসেননি। তিনি আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সেবা না নিয়ে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়,হাসপাতালের জুনিয়ার কনসালটেন্ট ডাক্তার মোঃ আব্দুল আউয়াল প্রতিদিন এই হাসপাতালে চেম্বার করার নিয়ম থাকলেও তিনি বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আসেন।দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে রোগীরা ডাক্তার না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। ডেন্টাল সার্জন ডাক্তার মোঃ শরিফুল ইসলাম এখানে পোস্টিং থাকলেও তিনি ডিউটিরত অবস্থায় চৌমুহনীর প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

তবে এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ২ টি,এমও প্যাথলজিস্ট ১ টিসহ কয়েকটি পদ দীর্ঘ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের অধিকাংশই ডাক্তার সংকট রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান।

বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কয়েকজন দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কয়েকদিন আগে এখানে ডাক্তার আসে না নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেখেছেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা এখানে রীতিমতো চেম্বার করেন না। এতে এই উপজেলার নিরীহ জনগণ সেবা না নিয়ে অনেকেই চলে যান।

বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এমও ডাক্তার সালেহ আহমদ সোহেল জানান, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মধ্যে কয়েকজনই সদর হাসপাতালে বসেন। তবে ডাক্তার আসেন না এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ হাসান গায়েব চৌধুরীর বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।


দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অপর ট্রাকের ধাক্কা, চালক-হেলপার নিহত 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মইনুল হক মৃধা, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী

রাজবাড়ী সদর উপজেলার কল্যাণপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অপর ট্রাকের ধাক্কায় চালক-হেলপার নিহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন, কু‌ষ্টিয়া সদরের পারখানা ত্রিমোহনীর মনসুর মোল্লার ছেলে নাজমুল (৩৫) ও প‌শ্চিম মৌজমপুরের শা‌হিন মোল্লার ছেলে কাওসার (৩০)।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জানা গে‌ছে, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত ১টার দিকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কল্যাণপুরে ঢাকামু‌খী সব‌জিবোঝাই একটি ছোট ট্রাক দাঁড়িয়ে চাকা পরিবর্তন করছিল। এসময় পেছন থেকে আসা চালবোঝাই ট্রাকটি পিকআপকে সজোড়ে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ওই ট্রাকের চালক ও তার সহকারী (হেলপার) নিহত হন। পরে খবর পেয়ে আহলাদীপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে থাকা কর্তব্যরত চি‌কিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আহলা‌দীপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম শেখ জানান, দুর্ঘটনা কবলিত দু‌টি ট্রাক কু‌ষ্টিয়া থেকে ঢাকার দিকে যা‌চ্ছিল। প‌থিমধ্যে রাজবাড়ী সদর কল্যাণপু‌রে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নিহ‌তদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুটি ট্রাক করে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


কমলগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এম, কে, এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন, পিপিএম-সেবা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, এআই (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হতে পারে, তাই কোনো গুজবে প্রভাবিত না হয়ে পুলিশকে জানাতে হবে। তিনি আরও বলেন, সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আনিসুর রহমান।

এছাড়া পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কমলগঞ্জ শাখার আহবায়ক বাবু পুষ্প কুমার কানু, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণিত রঞ্জন দেবনাথ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন বাবু, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাসুক মিয়া, এনসিপি জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী শামায়েল রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ও ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


ভোলাহাট সীমান্তে ১৯ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্তে ১৯জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে ১০জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছেন।
বুধবার ভোট ৫টার দিকে তাদের ভোলাহাট উপজেলার চামুচা ও চাঁদশিকারী সীমান্ত ফাঁড়ির মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ অভ্যান্তরে ঠেলে পাঠানো হয়। পুশইনের শিকার হওয়াদের বিজিবির টহলদল নিজেদের হেফাজতে নেয় ও পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের জন্য ভোলাহাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম কিবরিয়া জানান, পুশইনকরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, তারা ২০১৫-২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে ভারতীয় পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর, তাদেকে ভারতীয় পুলিশ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে, পরে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে।
তাদের পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের জন্য ভোলাহাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


কোটালীপাড়ায় অকেজো স্লুইস গেটে ৩ বছর ধরে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)

অকেজো স্লুইস গেটের কারনে ৩ বছর ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামবাসী। স্লুইস গেটটির কপাট ভেঙ্গে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জানাগেছে, কোটালীপাড়া-গোপালগঞ্জ খাল থেকে একটি শাখা খাল তারাশী বিলে প্রবেশ করেছে। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রায় ২০ বছর পূর্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে উত্তর তারাশী জামে মসজিদের পাশে এই খালের উপর একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করে। ৩ বছর আগে স্লুইস গেটের কপাট ভেঙ্গে নিচে পড়ে যাওয়ায় খালের দুইপাশে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পানি চলাচল না থাকায় পানি পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে।

তারাশী উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা খুব সমস্যায় পড়ছি। খালের পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাছাড়া পানি পচে যাওয়ায় মশা ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারনে এলাকার শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের মাঝে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জোর দাবী জানাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, বিষয়টি গতকাল আমি জেনেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্লুইচ গেটের কপাট ঠিক করে জনদুর্ভোগরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মাদারীপুরে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাদারীপুর প্রতিনিধি 

অগ্রণী ব্যাংক (পিএলসি) ঘোষিত ১০০ দিনের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও মাদারীপুর অঞ্চলের সার্বিক ব্যবসায়িক অগ্রগতি পর্যালোচনাকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো টাউন হল মিটিং (মিট দ্যা বরোয়ার) ও ব্যবস্থাপক সম্মেলন। গত সোমবার বিকালে অগ্রণী ব্যাংক (পিএলসি) মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সার্কেলের মহাব্যবস্থাপক সুপ্রভা সাঈদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুর সার্কেলের উপমহাব্যবস্থাপক সাবিনা সুলতানা এবং সহকারী মহাব্যবস্থাপক অমল চন্দ্র সিকদার। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মো. আসাদুজ্জামান, এস,পি,ও নিউমার্কেট শাখা, মাদারীপুর। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদারীপুর অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান জনাব মনজুর হোসেন। এ সময় বক্তারা অগ্রণী ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসায়িক উন্নয়ন, নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, গ্রাহকসেবা আরও সহজীকরণ করার কৌশল এবং ব্যাংকের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরেন। উক্ত সম্মেলনে মাদারীপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শাখার শাখা ব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন।

অগ্রণী ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম, ব্যবস্থাপনা, খেলাপী ঋণ, কু-ঋণ ও ঋণ আদায়ের হার সম্পর্কে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফরিদপুর অঞ্চল সার্কেলের মহাব্যবস্থাপক সুপ্রভা সাঈদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয় অফিসসহ বিভিন্ন শাখার সার্বিক কার্যক্রম অত্যন্ত সন্তোষজনক, ঋণ আদায়ের হার ৯৫%, খেলাপী ঋণ তেমন নেই বললেই চলে। খেলাপী ঋণ আদায়ে আমাদের সহকর্মীরা অত্যন্ত জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছেন, আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যেই অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি মাদারীপুর অঞ্চলের ঋণ আদায় হার ৯৯% এ উন্নীত হবে।


আঞ্চলিক মহাসড়ক ছয় লেন বাস্তবায় ও সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

অর্থায়ন বন্ধের ফলে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ছয় লেন প্রকল্পের মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত দুই বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় এই মহাসড়কজুড়ে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এতে জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে এই মহাসড়কটি। তীব্র যানজটে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত কুমিল্লার ৪০ কিলোমিটার অংশে ছয় লেন কাজ শুরু ও সংস্কারের দাবি জানিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদ। মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আমিরুল কায়ছারের এই স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১৩টি দাবি তোলে ধরা হয়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র মতে, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। মূল মহাসড়কটি হবে চার লেনের। ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য দুপাশে থাকবে সার্ভিস লেন। কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার ময়নামতি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধরখার পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৪০ কিলোমিটার অংশ পড়েছে কুমিল্লা জেলায়।

সড়কটি এখন ১৮ ফুট চওড়া। চার লেন হলে এটি প্রস্থে ৬০ ফুট হবে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল সাত হাজার ১৮৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ২০২২ সালেই প্রকল্পের কাজ শুরু করে আগামী বছরের জুনে তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ অর্থায়নের কথা ছিল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর ভারত অর্থায়নের বিষয়ে নীরবতা পালন করে।

ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর উপজেলার সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন থেকে অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশার মধ্যদিয়ে যাতায়েত করছে। বর্তমানে এই মহাসড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত দুই বছরে প্রায় এই মহাসড়কে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে দুই সহস্রাধিক। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাসড়কটি সংস্কার করে একটি নিরাপদ মহাসড়ক হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা এই বিষয়ে যেন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ছয় লেন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে। তবে হঠাৎ করে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাস্তবায়ন শুরু করা যায়নি। আমরা বিকল্প অর্থায়নের খুঁজে রয়েছি। নতুন বিনিযোগকারী পেলে দ্রুত বাস্তবায়ন শুরু করা হবে।


পঞ্চগড়ে চুইঝাল গাছ চাষ করে স্বাবলম্বী সামসুউদ্দীন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মিজানুর রহমান, পঞ্চগড়

পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ৩ নং বনগ্রাম বেংহারী ইউনিয়নের বন্দরপাড়া এলাকার কৃষক সামসুউদ্দীন চুইঝাল গাছ চাষ করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ চাষাবাদের সাথে যুক্ত থেকে আজ নিজের পরিবারকে স্বচ্ছল জীবনের পথে এগিয়ে নিচ্ছেন।

চুইঝাল গাছ মূলত সুপারি গাছ ও মেহগনি গাছে ভর করে বেড়ে ওঠে। চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। সামসুউদ্দীন জানান, দুই বছরের একটি চুইঝাল গাছের দাম প্রায় দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। আর যদি গাছটি পাঁচ বছর পর্যন্ত পরিচর্যা করা যায় তবে প্রতিটি গাছের বাজার মূল্য দাঁড়ায় ১৪ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। এতে কম খরচে ভালো আয় করা সম্ভব হয়।

স্থানীয় বাজারে চুইঝাল গাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে শিকড় বা লতা ছোট ছোট টুকরো করে রান্নার মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে গরু, খাসি কিংবা মুরগির মাংস রান্না করলে ভিন্ন রকম ঘ্রাণ ও স্বাদ পাওয়া যায়। কাণ্ডের তুলনায় শিকড়ে বেশি ঝাঁঝালো স্বাদ ও কড়া সুবাস থাকায় বাজারে এর চাহিদা তুলনামূলক বেশি।

শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ানোই নয়, ঐতিহ্যবাহী খাবারের অন্যতম উপাদান হিসেবে চুইঝাল গাছ বর্তমানে গ্রামীণ রান্নাঘরের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

চাষি সামসুউদ্দীন বলেন, ‘প্রথমে আমি ছোট পরিসরে চুইঝাল গাছ চাষ শুরু করি। এখন নিয়মিত পরিচর্যা ও বিক্রির মাধ্যমে ভালো আয় হচ্ছে। অনেকে আমার কাছ থেকে চাষাবাদের কৌশল শিখতে আসে।’

কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, চুইঝাল গাছ চাষে তেমন কোনো বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। বরং কম খরচে কৃষকেরা অল্প সময়ে ভালো আয় করতে পারেন। যদি সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হয় তবে পঞ্চগড়ের চুইঝাল গাছ চাষ দেশের অন্যান্য জেলাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

স্থানীয়রা বলছেন, চুইঝাল গাছ শুধু একটি ফসল নয়; এটি পঞ্চগড়ের ঐতিহ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক উদ্যোগ ও প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে এ পণ্য জেলার কৃষকদের আর্থিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

চুইঝাল গাছের পাতা এবং পানপাতা দেখতে একই। পানপাতা খেতে সুস্বাদু কিন্তু চুইঝাল গাছের পাতা তিতা করে। চুইঝাল গাছের মগডাল দুইটি যখন বের তখন একটি মগডাল আলাদা করে রোপণ করা হয়। রোপণ করার সময় জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাস।

বোদা উপজেলা অফিসার (বি,সি,এস,) কৃষি পঞ্চগড়, আহমেদ রাশেদ উন নবী, তিনি জানান সুপারি বাগানে চুইঝাল গাছ রোপণ করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছে, একদিকে সুপারি বিক্রি করে, অন্যদিকে চুইঝাল গাছ বিক্রি করেন, একই জায়গায় দুটি আবাদ হচ্ছে, বোদা উপজেলায় কয়েকজন সুপারি বাগান চাষি চুইঝাল গাছ রোপণ করতেছে দীর্ঘদিন থেকে।


banner close