শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৯ ভাদ্র ১৪৩২

পরিবারের সবাই গেল দাওয়াতে, ঘরে পুড়ে মরল প্রতিবন্ধী শিশু

অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত ঘর। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিনিধি, চাঁদপুর
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, চাঁদপুর
প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০২৩ ১৮:০২

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় বসতঘরের আগুনে পুড়ে মারা গেছে সোহান (১০) নামে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক শিশু।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আলীপুর দক্ষিণ পাড়ার বেপারীতে দিনমজুর রবিউলের বসতঘরে এ আগুন লাগে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগে ভস্মীভূত হয়ে যায় ঘরটি। পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায় শারীরিক প্রতিবন্ধী সোহান।

দিনমজুর রবিউল আলম জানান, তার তিন ছেলের মধ্যে সোহান ছিল সবার ছোট। পরিবারের সবাই দাওয়াত খেতে যাওয়ায় ঘরে একা ছিল সোহান। আগুনে তার সব শেষ হয়ে গেল।

শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আলী আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।


আটোয়ারীতে ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)। এরই অংশ হিসেবে আটোয়ারী উপজেলার সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র সহ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, আটোয়ারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নে মোট সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪০টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ২২০ টি। এরমধ্যে স্থায়ী ১৯৯টি ও অস্থায়ী ২১ টি। এ উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১১,২০২১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫,৬,১৫০ ও মহিলা ভোটার ৫,৫,৮৭১ জন।উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাজাহান মানিক জানান, উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে ১নং মির্জাপুর ইউনিয়নে ৬টি ভোটকেন্দ্রে মোট ২০,৩৫৮ জন ভোটারের মধ্যে ১০,১৫৬ জন পুরুষ ও ১০,২০২ জন মহিলা ভোটার। ২নং তোড়িয়া ইউনিয়নে ৭টি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৮,৭১১ জন ভোটারের মধ্যে ৯,৩৭৮ জন পুরুষ ও ৯,৩৩৩ জন মহিলা ভোটার। ৩ নং আলোয়াখোয়া ইউনিয়নে ৮টি ভোটকেন্দের্র মোট ২৩,০৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ১১,৭৬৫ জন পুরুষ ও ১১,৩১০ জন মহিলা ভোটার। ৪নং রাধানগর ইউনিয়নে ৭টি ভোটেকেন্দ্রের মোট ২০,৩৩৫ জন ভোটারের মধ্যে ৯,৯৯৮ জন পুরুষ ও ১০,৩৩৭ জন মহিলা ভোটার। ৫নং বলরামপুর ইউনিয়নে ৬টি ভোটকেন্দ্রের মোট ১৪,৩২৪ জন ভোটারের মধ্যে ৭,০৯৭ জন পুরুষ ও ৭,২২৭ জন মহিলা ভোটার রয়েছে এবং ৬নং ধামোর ইউনিয়নে ৬টি ভোটকেন্দ্রের মোট ১৫,২১৮ জন ভোটারের মধ্যে ৭,৭৫৬ জন পুরুষ ও ৭,৪৬২ জন মহিলা ভোটার খসড়া তালিকাভুক্ত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকার উপর কারো কোন দাবী/ আপত্তি/ সুপারিশ থাকলে তা আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অফিস চলাকালীন সময়ে জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবরে লিখিতভাবে দাখিল করতে হবে। প্রাপ্ত দাবী/ আপত্তি নিস্পত্তির শেষ তারিখ ১২অক্টোবর ২০২৫ এবং খসড়া ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য তালিকা চুড়ান্তকরণ ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।


কেশবপুরে মাছের খাদ্য হিসেবে শ্যাওলার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে ভবদহ অঞ্চলে পরিবেশ বান্ধব টেকসই মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছে ঘের ব্যবসায়ীরা। মাছ রোগবালাই থেকে রক্ষা করতে মালিকরা প্রাকৃতিক খাদ্য সরবরাহে ঘেরে শ্যাওলার ব্যবহারে ঝুকে পড়ছে। মৎস্য অধিদপ্তর এটি একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছে।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮টি, মণিরামপুরে ৪ হাজার ৮৮৯টি ও অভয়নগরে ১ হাজার ২০৫টি মাছের ঘের রয়েছে। বর্তমানে ঘের মালিকরা উপজেলার বিভিন্ন জলাবদ্ধ বিল থেকে পাটা শ্যাওলাসহ জলজ জাতীয় উদ্ভিদ সংগ্রহ করে মাছের ঘেরে ব্যবহার করছে। প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে শ্যাওলা ব্যবহার করায় ঘের মালিকদের বাণিজ্যিক খাদ্যের খরচও কম হচ্ছে। এ সকল উপজেলায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯০২ বিঘা জমিতে মোট ১০ হাজার ৭৫২টি মৎস্য ঘের রয়েছে। সরেজমিন কেশবপুর, মণিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন জলাবদ্ধ বিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই ঘের মালিকদের পাটা নামক এক প্রকার চিকন শ্যাওলা সংগ্রহ করতে। পাঁজিয়া জলাবদ্ধ বিল থেকে শ্যাওলা সংগ্রহ করার সময় বাগডাঙ্গা এলাকার ঘের ব্যবসায়ী পরেশ মন্ডল বলেন, ঘেরের মাছ মোটাতাজাসহ রোগ বালাই থেকে রক্ষা করতে শ্যাওলা খুবই উপকারী। মণিরামপুরের গৌরীপুর বিল থেকে শ্যাওলা সংগ্রহ করাকালীন ঘের ব্যবসায়ীর শ্রমিক তাজুল ইসলাম বলেন, ঘের মালিকরা মাছ চাষে বিলের শ্যাওলা ব্যবহার করায় তারা প্রতিদিন কাজ পাচ্ছে। মণিরামপুর উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী সুলতান হোসেন বলেন, ঘেরে প্রাকৃতিক খাদ্য সরবরাহ করা গেলে মাছ সতেজ হয়ে উঠে। শ্যাওলা ব্যবহারে পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় না। তাছাড়া যে সমস্ত বিল থেকে শ্যাওলা তোলা হয় সে সমস্ত বিলেও দেশী প্রজাতি মাছ সহজে চলা ফেরা করে প্রজননে সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তুলতে পারে। অভয়নগরের ভবদহ এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মোস্তাক হোসেন বলেন, মাছের খাদ্য হিসেবে পাটা শ্যাওলা এখন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই শ্যাওলা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে মাছের রোগ বালাই এয় না। তা ছাড়া বানিজ্যিক খাদ্যের খরচের হাত থেকেও অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়। জলাবদ্ধ বিল থেকে শ্যাওলা সংগ্রহ করে ঘের মালিকরা প্রতিদিন মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। পাটা শ্যাওলা মাছো শ্যাওলা নামেও পরিচিত। চিংড়ি মাছ ছাড়া সব ধরনের সাদা মাছের প্রিয় খাদ্য শ্যাওলা।

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, বিল থেকে শ্যাওলা তুলে ঘেরে মাছকে খেতে দেওয়ায় মাছের বৃদ্ধি ঘটে। এ পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই। ঘেরে প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবহার করতে পারলে মালিকদের বাণিজ্যিক খাদ্যের খরচ কম হয়। এ পদ্ধতি ব্যবহার করায় প্রতিদিন শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান হয়। এটি স্থানীয় মৎস্যজীবীদের আয় বৃদ্ধিসহ মাছ উৎপাদনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। শ্যাওলা মাছের খুবই পুষ্টিকর খাদ্য।


বুড়িচংয়ে ১৮ বছর ধরে টিউবওয়েলের হাতল ছাড়াই অনবরত পানি পড়ছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

বাংলাদেশ ভারতের সীমান্তবর্তী কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ভবেরমূড়া গ্রামে পাক দরবার শরীফ নামে মাজার প্রাঙ্গণে একটি টিউবওয়েল দিয়ে ১৮ বছর ধরে পানি পড়ছে। কারো সাহায্য ছাড়া টিউবওয়েল দিয়ে পানি আসার ঘটনায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহলের শেষ নেই। সীমান্তবর্তী হওয়ায় পাশের দেশ ভারত থেকেও অনেক লোকজন আসেন টিউবওয়লের পানি দেখতে। এই পানি পান করলে মনের আশা পূরণ হবে, সে জন্য যাওয়ার সময় পানি নিয়ে যান অনেকে। এছাড়াও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার মানুষজন আসেন মাজারে।

মাজারটির বর্তমান খাদম মাওলানা কাজী দিদারুল হক জানান, এই মাজারে যিনি সমাহিত আছেন তিনি একজন পীর। তার নাম কাজী আবদুল আলী শাহ। সর্ম্পকে আমার দাদা হয়। এই মাজার আরেকজনকেও সমাহিত করা হয়েছে। তিনি পীর আবদুল আলী শাহের বাবা কাজী সাফাল উদ্দিন শাহ। বাংলাদশ ও ভারত মিলিয়ে পীর আবদুল আলী শাহের ভক্ত অনুসারীর সংখ্যা লক্ষাধিক। প্রতি বছর মাঘ মাসের পূর্নিমায় এই মাজারে ওরস হয়। সে সময় অনেক ভক্ত আসেন মাজার।

শতবর্ষী এই মাজারর সুপেয় পানির অভাব ছিল। মাজারের ভক্তরা পুকুর থেকে পানি পান করতো। বিশুদ্ধ না হওয়ায় এই পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকিপূর্ণ ছিল। এই এলাকার অন্যরাও বিশুদ্ধ পানির বড় সমস্যায় ছিলেন।

আঠারা বছর আগে বুড়িচং উপজেলা প্রশাসনের সহয়তায় এই মাজার প্রাঙ্গণে একটি টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য পাইপ বসনো হয়। তারপর আর টিউবওয়েলের হাতল লাগানোর দরকার হয়নি। পাইপ দিয় অনবরত পানি আসছে। সেই থেকে শুরু। এখনই একই রকমভাবে পানি পড়ছে।

ভারতের নজিরপুরা গ্রামের বাসিন্দা মো. শরীফুল হাসান বলেন, এই টিউবওয়েলের পানি দিয়ে ওজু গোসলসহ খাবার ও রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বেশ কিছু জমির ফসলও ফলে এই টিউবওয়েলের পানি দিয়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা দ্বীন ইসলাম জানান, দূরদুরান্ত থেকে অনেকেই আসেন এই মাজারে। তারা কৌতূহল নিয়ে দেখেন কিভাবে একটি টিউবওয়েল দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি পড়ে। তবে চৈত্রমাসে পানি প্রবাহ কিছুটা কম থাকে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নত্বত্ত বিভাগের সরকারি অধ্যাপক মুর্শেদ রায়হান জানান, পৃথিবীতে যা কিছু ঘটুক না কেন সেটি ব্যাখ্যাযোগ্য এবং প্রাকৃতিক যেকোনো ঘটনা বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। নলকূপ স্থাপনের জন্য পাইপ স্থাপনের পর অনবরত পানি নির্গমনের ভূতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে এবং ভূ-গর্ভস্থ লেয়ারে গ্যাস থাকলে গ্যাসের চাপে অনবরত পানি বের হতে পারে। যেহেতু কুমিল্লায় গ্যাস কূপ আছে, সেহেতু পানি নির্গমনের স্থানেও ভূগর্ভে গ্যাস থাকতে পারে। বর্ষাকালে ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার উপরে থাকায় বেশি পানি বের হয়, চৈত্র মাস বা গ্রীস্মকালে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় কম পানি নির্গত হয়। এ বিষয়ে একজন ভূতাত্ত্বিক আরও ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।

কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর হাসান জানান, মাটির নিচে বিভিন্নস্তরে পানি জমা থাকে। সেখান থেকে পানি নির্গমনের সুযোগ পেলে পানি উপরে উঠবে। ভবেরমূড়ার নলকূপ দিয়ে পানি উঠার বিষয়টি এমন হতে পারে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হোসাইন মোহাম্মদ সায়েম বলেন, বাংলাদেশের মাটির অবকাঠামো কিছুটা জটিল প্রকৃতির। এখানে মাটির বিভিন্নস্তরে পানি ও গ্যাস জমা থাকে। সেখানে অনেক চাপ থাকে। এই গ্যাস বা পানি লিকেজের সুযোগ পেলে নির্গত হয়। তবে ভবেরমূড়া এলাকায় টিউবওয়েল দিয়ে যে পানি নির্গমণ হচ্ছে সেটা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। পানিতে কোন ঘ্রাণ আছে কি না। এছাড়াও মাটির নিচেও গবেষণা করার দরকার মনে করছি। সেখানে কোথাও গ্যাসের চাপ বা অন্য কিছু রয়েছে কিনা।


নওগাঁয় ৪০ লাখ টাকার বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর পোরশায় একটি আম বাগান থেকে ৪০লাখ টাকা মূল্যের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৫। এসময় পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। র‌্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দয়হার এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে ১২ কেজি ওজনের ওই বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলার পোরশা থানার শিশাবাজার এলাকায় র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি টহল টিম ডিউটি করা কালিন সময়ে জানতে পারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মূর্তি পাচারের উদ্দেশে অপেক্ষা করছে। এমন সংবাদে তেতুলিয়া ইউনিয়নের দয়হার গ্রামের একটি আমবাগানের ভেতর অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই আমবাগানের ভেতর থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় একটি কালো কষ্টি পাথর এর মুল্যবান বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা। প্রায় ৮ ইঞ্চি উচ্চতার বিষ্ণুমূর্তিটির ওজন প্রায় ১২.৩ কেজি। যার মূল্য আনুমানিক ৪০ লাখ টাকা। পরে উদ্ধারকৃত বিষ্ণুমূর্তিটি পোরশা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রতারণা ও চেক জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ও সিইও, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, শাখা ব্যবস্থাপকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা হয়েছে। সম্প্রতি ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের সালিম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ইয়াসমিন আক্তার। মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে ঝিনাইদহ সি.আর মামলা নং-৮০৭/২০২৫ হিসেবে।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক, ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও, চারজন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এবং কোটচাঁদপুর উপজেলার আদর্শপাড়ার আবু জাফরের ছেলে আলমগীর হোসেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালে ঝিনাইদহ শাখা থেকে ১৮ লাখ টাকা ঋণ নেন ইয়াসমিন আক্তার। ঋণ নেওয়ার সময় তিনি জমির দলিল, বিভিন্ন কাগজপত্র ও ৩৭টি স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ব্যাংকে জমা দেন। কিন্তু সম্প্রতি কোটচাঁদপুরের আলমগীর হোসেন ওই চেকগুলোর একটি ব্যবহার করে আদালতে মামলা করেন। তিনি দাবি করেন, ইয়াসমিনের স্বামী তার কাছে ৯৭ লাখ টাকা দেন।

বাদীর অভিযোগ, যে চেক ব্যাংকের ভল্টে থাকার কথা, সেটি কীভাবে আলমগীর হোসেনের হাতে গেল তা রহস্যজনক। তার দাবি, ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তারা আলমগীরের সাথে যোগসাজশ করে চেক চুরি করেছে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে মামলা দায়ের করেছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লাল বলেন, ‘আমার মক্কেলের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। চেক জালিয়াতি ও জাল কাগজপত্র দেখানো হচ্ছে। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে এ অপকর্ম করেছে। এ জন্য আমরা আদালতে মামলা দায়ের করেছি।’

এ ঘটনায় আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াজিদুর রহমান মামলা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন পিবিআইকে। আগামী ৬ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তবে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।


ফেনীতে সাড়ে ১২ শত অসহায় দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল, ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ এ১, বাংলাদেমের উদ্যোগে এবং এলসিআইএফ ইমার্জেন্সি গ্র্যান্টের সহায়তায় ফেনী জেলার বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় ফেনী চাড়িপুর বিসিক শিল্প নগরী এলাকা এবং সাড়ে ১২টায় উত্তর সহদেবপুর খায়রুল ইসহাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ কর্মসূচিতে ১২ শত ৫০ জন সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে চাল, ডাল, আলু, লবণ, চিনি, তেল ও ওষুধপত্রসহ জরুরি খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর লায়ন এ. কে. এম. গোলাম ফারুক। এছাড়া লায়ন্স জেলা ৩১৫ এ১-এর ডিস্ট্রিক্ট এলসিআইএফ কোঅর্ডিনেটর আনিসুর রহমান পিএমজেএফ, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি মিজানুর রহমান মিজান, ক্যাবিনেট ট্রেজারার মো. সাইদুর রহমান খান পিএমজেএফ, ডিস্ট্রিক্ট জিএসটি কোঅর্ডিনেটর মো. রমজান খান এমজেএফ, ডিস্ট্রিক্ট জিএমটি কোঅর্ডিনেটর মো. মোরসালিন খান, ডিস্ট্রিক্ট মার্কেটিং চেয়ারপারসন নুর মোহাম্মদ হাওলাদার চুন্নু, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নরের প্রোটোকল কামার উদ্দিন আহমেদ এমজেএফ, আরসি (এইচকিউ)-প্রজেক্ট মো. ইউসুফ আলী খান এমজেএফ, আরসি (এইচকিউ)-লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স কানু বিশ্বাস দুলাল এবং ফেনী অঞ্চলের বিশিষ্ট লায়ন রিজিয়ন চেয়ারপারসন লায়ন আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, লায়ন ওমর ফারুক ভূঁইয়া বেলালসহ নেতারা এবং লিও নেতারা উপস্থিত থেকে ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

লায়ন নেতারা জানিয়েছেন, মানবতার সেবায় নিবেদিত লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল সবসময় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। দ্রুততম সময়ে সহায়তা প্রদান ও বিপর্যস্ত মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা লায়নদের অঙ্গীকার।


গজারিয়ায় ইউটার্নে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউটার্নে যাত্রীবাহী বাস ও রেডিমিক্সের গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ উভয় পরিবহনের ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মহাসড়কের আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ জনের নাম জানা গেছে গেছে। তারা হলেন- আয়াজ (৩৫), ইউনুস মুন্সী (৪৫), মাইন উদ্দিন (৪২), রাসেল(৪০), ওমর ফারুক (২৫), মারুফ (৪০), তারেক রহমান (৩০), হারুন-অর-রশিদ(৪০), হাবিবুর রহমান (৪৫) ও জেমস(২৮)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস। পথে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের আনারপুরা এলাকায় প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানির একটি রেডিমেক্সের গাড়ি ইউটার্ন নেওয়ার সময় সেটিকে ধাক্কা দেয় বাসটি। ঘটনায় বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় রেডিমিক্সের গাড়ির চালক ও হেলপার ও বাসের ১০ জন যাত্রী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় স্থানীয়রা।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১০ জন গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। গুরুতর অবস্থায় ইউনুস মুন্সী, মাইন উদ্দিন, মারুফ ও রাসেলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।

এ বিষয়ে গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’


তারেক রহমান দ্রুত দেশে আসবেন এবং জেলায় জেলায় সফর করবেন: রাজিব আহসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বলেছেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সংগঠন শক্তিশালী না থাকলে কারোরই মূল্যায়ন থাকবে না। তিনি বলেন দ্রুতই তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। জেলায় জেলায় সফর করবেন। আমরা যেন তাকে বিজয়ের বেশে বরণ করতে পারি। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল, জনগণ বিরক্ত হয় বা কষ্ট এমন কাজ করা যাবে না। কেউ এ ধরনের কাজ করলে তাদের স্থান বিএনপিতে হবে না। গত শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল শেরপুর জেলা শাখার এক মতবিনিময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেরপুর জেলা শহরের মাধবপুর শপ্নিল কমিউনিটি সেন্টারে সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ মামুনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নিয়ামুল হাসান আনন্দের সঞ্চালনায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনে কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি, ইয়াছিন আলী, সহসভাপতি সফি উদ্দিন আহমদ সেন্টু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার সেতু, সাহিত্য সম্পাদক মিজানুর রহমান সজিবসহ মহিলা সম্পাদক পারভেছুন্নাহার নিপুসহ আরও অনেকে।

সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তৃণমূলের কমিটি পুনর্গঠনসহ নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


পাথরঘাটায় বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

আওয়ামী সরকারের পতনের পরেও দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎ খাতে পরিবর্তন আসেনি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলাকাবাসী বলছেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় দীর্ঘসময় লোডশেডিং চলছে। দিনে প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে লাখো মানুষ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছেন, ‘ঢাকায় আগে লোডশেডিং হলে তবেই বাইরে হবে। কিন্তু বাস্তবে দক্ষিণাঞ্চলেই দীর্ঘ লোডশেডিং চলছে। স্থানীয়রা বলছেন, জাতীয় গ্রিডে কোনো ঘাটতি না থাকলেও কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ভোগান্তি বাড়ছে।

জাতীয় গ্রিড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো সংকট নেই বরং চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তাদের ভাষায়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল সব জায়গায় সমানভাবে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। দক্ষিণাঞ্চলে সামান্য লোডশেডিং হতে পারে, কিন্তু দিনে ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার প্রশ্নই ওঠে না।’

অভিযোগ রয়েছে, পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ থেকে খুলনার কিছু কলকারখানায় ৩ টাকা বেশি দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফলে ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পাথরঘাটা, মঠবাড়িয়া ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত লোডশেডিং চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

দীর্ঘ লোডশেডিংয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জেলে ও কৃষকরা। পাথরঘাটার সমুদ্রগামী ট্রলারগুলোতে সময়মতো বরফ সরবরাহ করতে না পারায় মাছ দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে উপকূলীয় জেলেরা। কৃষকরাও সেচ যন্ত্র চালাতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। সরকারি রাজস্ব হারাচ্ছে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় মৎস্য খাত।

পাথরঘাটা সাব-জোনাল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজিএম জানান, ‘পিরোজপুর থেকে পাথরঘাটার দূরত্ব ৬৬ কিলোমিটার। ঝড়-বৃষ্টিতে গাছপালা পড়ে গেলে লাইনে সমস্যা হয়। তখন মেরামতের জন্য কিছু সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়।


তালেপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র জলাবদ্ধতার কারণে সেবা বঞ্চিত রোগী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

কেরানীগঞ্জের তালেপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে কার্যত সেবা বন্ধনের মধ্যে পড়ে আছে। হাসপাতালের ভেতরে ও মাঠে জমে থাকে কোমর থেকে হাঁটু সমান পানি। সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই রোগীরা আসেন না তেমন। হাসপাতাল দেখে মনে হয় হাসপাতাল নিজেই রোগী।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা দিতে ডাক্তার আসেন সপ্তাহে মাত্র তিন দিন। ডাক্তার আঞ্জুমান আরা দুয়েল ওই তিন দিনে রোগী দেখেন। বাকি দিনগুলোতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শারমিন এবং ফার্মাসিস্ট অজিৎ কুমার দাস সীমিত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী রোগীরা বলছেন, এখানে কোনো ওষুধ দেওয়া হয় না, শুধু প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেন। গরিব রোগীরা বাধ্য হয়ে বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে নেন। স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে সেবা দেওয়ার ফলে রোগীরা সুস্থ হওয়ার বদলে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।
রোগী সালেহা বেগম জানান, বাড়ির কাছে সরকারি হাসপাতাল ভালো মনে করে আসতে আসতে দেখি কোন ডাক্তার নাই, নেই কোনো ওষুধ। আগে এখানে সব ওষুধ পাওয়া যেত, ডাক্তারও আসত কয়েকজন। এখন শুধু কাগজে প্রেসক্রিপশন।
অবকাঠামোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে সেবা দিতে হচ্ছে হাসপাতাল ছেড়ে সামান্য দূরের একটি যাত্রী ছাউনিতে। সেখানে ধুলাবালি, যানবাহনের শব্দ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রোগীদের ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে।
স্থানীয় খাইরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালটি এমন অবস্থায় পড়ে আছে যে কোনো দিন এটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এত বড় জায়গা, মাঠ, একাধিক বিল্ডিং সবই নষ্ট হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘদিন কোনো মাটি পড়েনি, কোন নতুন বিল্ডিংও হয়নি।
দুই দশক আগে উপজেলার কলাতিয়া ইউনিয়ন ও তার আশেপাশের এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে আশির দশকের মাঝামাঝি এলাকার কৃতি সন্তান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল ডা. হেদায়েত নিজ গ্রাম তালেপুরে স্থাপন করেন একটি দাতব্য চিকিৎসালয়। উদ্দেশ্য ছিল এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা। শুরুতে চোখের অপারেশন, ছোট ও মাঝারি সার্জারি, টিকা এবং ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হতো।

বর্তমানে এটি শুধুই রোগীর দুর্ভোগের জায়গা। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, অবিলম্বে হাসপাতালের সংস্কার, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, নিয়মিত ডাক্তার নিয়োগ এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। না হলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র কেবলই অকার্যকর ভবনের খোলস হয়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোকাদ্দেস হোসেন জানান, এ বছরের মধ্যেই এটিকে সাময়িক সংস্কার করা হবে। হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে গেছেন এবং আগামী বছর আশা করি এখানে ৮ তলা বিল্ডিং হবে যার পরিকল্পনাও ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ন্যাশনাল ইপিআই ড্রাই স্টোর হবে। আর আগামী মাসের ৩ তারিখ থেকে ওষুধ পাওয়া যাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।


ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা

আপডেটেড ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫৮
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। সভায় সনাতন ধর্মালম্বী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।

শনিবার জেলা শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক মিলন কুমার ঘোষ। জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সদস্য সচিব সমীর কুমার হালদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সিনিয়র সহ সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সহ সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পপ্পু, ঝিনাইদহ পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান লাকী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান শেখর, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক তপন বিশ্বাস, সদস্য সচিব প্রহল্লাদ সরকার ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক চন্দন বসু মুক্ত ।
প্রধান অতিথি এম এ মজিদ বলেন, সম্প্রীতির এই বাংলাদেশ কারো একার পক্ষে স্বাধীন করা সম্ভব হয়নি। মুসলিমদের যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান আছে, তেমনি আছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের। সবার মিলিত প্রচেষ্টার ফসল আজকের বাংলাদেশ।
তিনি বলেন এই দেশকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করে তারা কখনোই সফল হয়নি। শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশকে ভারতের কদর রাজ্য করতে চেয়েছিল কিন্তু এদেশের মানুষ তার সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে।
বিএনপির এই তরুণ নেতা বলেন, আসন্ন দূর্গা পূজা নির্বিঘ্ন করতে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।


মৌলভীবাজারে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে প্রেস কাউন্সিলের কর্মশালা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আয়োজনে ‘গণমাধ্যমে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজ কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম। তিনি বলেন, অপসাংবাদিকতা গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে। সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল থেকে জনগণের কাছে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপন করতে হবে।

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. আব্দুস সবুর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল খায়ের।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় মৌলভীবাজার জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। শেষে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। বক্তারা সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্ব ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।


ভালুকায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় বন বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেন জেলার জ্যেষ্ঠ ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। তারা জানান, দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জুয়েল, নয়া দিগন্তের আসাদুজ্জামান ফজলু, মানবকণ্ঠের শফিকুল ইসলাম ও গ্লোবাল টিভির শাহিদুজ্জামান সবুজের বিরুদ্ধে বন বিভাগ কর্তৃক দায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক ও প্রতিহিংসার অংশ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ভালুকা রেঞ্জের বিট অফিসার আনোয়ার হোসেন ও হারুন অর রশিদের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তাদের প্রভাব খাটিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিকরা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছেন।

বক্তারা আরও বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলেই এ ধরনের মামলা দায়ের করা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা। অতীতে এমন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে।

মানববন্ধনে অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।


banner close