বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন হিরো আলমের ওপর ভর করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এস এম কামাল হোসেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের শহীদ খোকন পার্কে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। পদযাত্রার নামে বিএনপির হামলায় পুলিশ-শিক্ষার্থীদের আহত এবং সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘আগে মির্জা ফখরুলের অনুপ্রেরণা ছিল খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া। এরপর অনুপ্রেরণা হলো আমেরিকা। তাদের কাছে যেতে যেতে পায়ের তলায় ঠোসা পড়ে গেছে। কিছু দিন আগে দেখলাম মির্জা ফখরুল বলছেন, ‘আমার শক্তি, সাহস আর অনুপ্রেরণা হচ্ছে হিরো আলম।’ এখন মির্জা ফখরুল হিরো আলমের ওপর ভর করছেন। হিরো আলমকে বলছেন, ‘তুমি এসো বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেব।’
তিনি আরও বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন হবে শেখ হাসিনা সরকারপ্রধান থেকে নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়। অন্য কোনো পন্থায় নয়। মির্জা ফখরুল তারেক জিয়ার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছেন।’
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক প্রমুখ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন ও রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘ইকসু গঠন আন্দোলন’ নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে (ক্যাফেটেরিয়া) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা আরম্ভ করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে আজ শনিবার অবস্থান কর্মসূচি ও ইকসু গঠনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর গ্রহণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্লাটফর্মটি।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের দাবি- ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা যখন বারংবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছাত্র সংগঠন গুলোকে ইকসু গঠনের দাবি নিয়ে যেতে দেখেছি, তখন আমরা বারবার আশায় বুক বাবলেও প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন না থাকার দোহাই দিয়ে ইকসু গঠনে অনাগ্রহ দেখিয়েছে।
আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, আইনে না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে ইকসু গঠন করা সম্ভব। কিন্তু অজানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার ইকসু গঠনে অনীহা দেখিয়েছে। অথচ আমাদের চব্বিশের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নয় দফার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিলো- প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইকসু গঠনের স্বার্থে প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো ব্যানার বা কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্লাটফর্মটি। তবে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা সংবাদ সম্মেলনটি সবার প্রতিনিধিত্ব করে কিনা প্রশ্ন উঠেছে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি- ইকসু গঠনের জন্য নারী শিক্ষার্থী, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভেরচী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় ও খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ভিলেজ পলিটিক্সের ফাঁদে পড়ে গত ৪৬ বছরেও সরকারি কোন বহুতল ভবন পাইনি বিদ্যালয়টি। ফলে প্রয়োজনীয় ক্লাসরুম না থাকায় ৩০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলেও আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান, ১৯৮৪ সালে কেশবপুর উপজেলার ভেরচী বাজার সংলগ্ন ভেরটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর এলাকার দানশীল কয়েকজন ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতায় তিন রুম বিশিষ্ট একটি টিনসেড আধাপাকা ঘর নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় চেয়ার, বেঞ্চ ও টেবিল জোগাড় করে সেখানে পাঠদান শুরু হয়। প্রায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পথচলা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০৫ জন। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৫ জন এবং ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন ৭ জন। সব নিয়মকানুন মেনে বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১৯৮৬ সালের ০১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করেন। চারটি গ্রামের মাঝখানে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ায় দিন দিন ছেলে মেয়েদের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি ভবন বা ক্লাসরুম। সেই পুরাতন টিনশেড দিয়েই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ৬ষ্ট শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় সংখ্যা ৩০৫ জন। কিন্তু জরাজীর্ণ পুরাতন ওই ভবনে রয়েছে মাত্র তিনটি ক্লাসরুম। সেখানে বসার ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষকরা ৮ম, ৯ম ও ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান ভবনের বারান্দায় এবং খোলা আকাশের নিচে। এছাড়া ছেলে মেয়েদের ব্যবহারের জন্য নেই প্রয়োজনীয় ওয়াসরুম বা কমনরুম। ফলে নানা সমস্যার মধ্যে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র পাল বলেন, প্রতিষ্ঠানের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হয়। একটি বহুতল ভবন বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ‘মাদকমুক্ত আখাউড়া গড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের দৌড়বিদদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আখাউড়া ম্যারাথন। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দুই ক্যাটাগরির ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন দেশের তিন শত দৌড়বিদ। আখাউড়া রানিং কমিউনিটির আয়োজনে এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
পুর্ব আকাশে সূর্য উঠার আগেই উপজেলা পরিষদ মাঠে হাজির হতে থাকেন দৌঁড়বিদরা। সকাল ছয়টায় শুরু হয় দৌঁড়। ১০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহনকারিরা উপজেলা-কলেজপাড়া-নারায়ণপুর-খালাজুড়া-আনোয়ারপুর রোড-কল্যাণপুর-চানপুর পথে পাঁচ কিলোমটার গিয়ে একই পথে ফিরে আসেন। পাঁচ কিলোমিটারে অংশগ্রহণকারীরা কলেজপাড়া-নারায়ণপুর-খালাজুড়া-আনোয়ারপুর রোডে আড়াই কিলোমিটার গিয়ে ফিরে আসেন। দুই ক্যাটাগরিতে ৬জনকে ক্রেস্টের পাশাপাশি নগদ অর্থ পুরস্কৃত করা হয়। অংশগ্রহণকারী সবাইকে মেডেল ও টি-শার্ট দেওয়া হয়।
আয়োজকদের অন্যতম মো. রুবায়েদ খান বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এ প্রতিযোগিতা। এর মাধ্যমে আমরা সমাজে মাদকবিরোধী বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের আয়োজন সফল হয়েছে। আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করে রাখা প্রতিযোগিরা বেশ আনন্দের সঙ্গে এতে অংশ নেয়।’
সিরাজগঞ্জ চৌহালীর এনায়েতপুরে সরকারি বরাদ্দের ৩৫ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় নৌকা ঘাট থেকে সরকারি ভর্তুকি মূল্যের ১৫ টাকা কেজি দরের চাল গুলো উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সরকারি ভর্তুকিমূল্যে দেওয়া চাল কিছু অসাধু ব্যক্তি ক্রয় করে বিক্রির উদ্দেশে গুদামে মজুদ করেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চালগুলো উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে চালগুলো জব্ধ করে সৌদিয়া চাঁদপুরের ইউনিয়ন ইউপি সদস্য জনাব মো. পরান বেপারীর জিম্মায় রাখা হয়েছে এবং এনায়েতপুর থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে নিলামের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হবে।
অভিযানে এনায়েতপুর থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এলাকায় আলোচনা চলছে, এ চালগুলো এনায়েতপুর থানাধীন ১৩ নম্বর জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে থাকা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের অবৈধভাবে বিক্রি করা চাল। চাল পরিবহনের নৌকার মালিক এবং এর সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করলেই প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চারদিক থেকে মেঘনা নদী দ্বারা পরিবেশিত, মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এক জনপদ গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেছে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ঐতিহাসিক উদ্যোগ বলে আখ্যায়িত করছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, সড়কপথে গজারিয়া উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা গুয়াগাছিয়া। ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ছাড়া সেখানে যাওয়ার কোন উপায় নেই। সন্ধ্যার পর অথবা বৈরি আবহাওয়ায় ট্রলার বন্ধ হয়ে গেলে নদী পার হতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের। ইউনিয়নটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সেভাবে। রাস্তাঘাট না থাকার কারণে সেখানে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তো। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি কম থাকায় সেখানে তৈরি হয়েছে কয়েকটি নৌডাকাত গ্রুপ। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মেঘনা নদীতে চলাচলকারী নৌযান থেকে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ওই নৌডাকাত গ্রুপের সদস্যরা। সম্প্রতি অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জেরে নৌডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর হাতে খুন হয় ডাকাত সর্দার বাবলা, স্যুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ। এরপর আবারো আলোচনায় আসে গুয়াগাছিয়ার নিরাপত্তার বিষয়টি।
গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সেখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প, একটি নৌপুলিশ ফাঁড়ি এবং একটি কোস্টগার্ড স্টেশন নির্মাণে উদ্যোগের কথা জানায় প্রশাসন। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সেখান একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হলো।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে ক্যাম্পটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালু করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম, গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. হামিদা মুস্তফা, গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ, গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.শহীদুল ইসলাম।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। যাক আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে অবশেষে আমরা কাজটি শুরু করতে পারলাম। আশা করছি এখন থেকে গুয়াগাছিয়ায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে পুলিশ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন’।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ করে রাতের আঁধারে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এই ক্যাম্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।’
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, এবার গুয়াগাছিয়ায় সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা কমে আসবে। যেহেতু সার্বক্ষণিক পুলিশ এখানে অবস্থান করবে যেকোনো ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে।
কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সাফারি পার্ক। প্রকৃত সাফারিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমে চলমান রয়েছে। যেখানে বিশাল বেষ্টরনিতে বন্যপ্রাণী ঘুরে-বেড়াবে আপন মহিমায়। আর পর্যটক-দর্শনার্থীরা এনক্লোজারের ভেতর থেকে এসব বন্য প্রাণীর বিচরণ স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করার মধ্য দিয়ে আনন্দ উপভোগে মেতে উঠবেন। তারই আলোকে এবার পার্কটিতে সংযোজন করা হয়েছে তিনটি সাব এডাল্ট বাঘ শাবক। সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সংগৃহীত এই বাঘ শাবককে ইতোমধ্যে পার্কে আনার পর সেগুলোকে আলাদা নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র তথা কোয়ারেন্টাইন শেডে রাখা হয়েছে। আর প্রতিনিয়ত এসব শাবকের আচার-আচরণ নজরদারির মধ্যে রেখে প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহসহ যত্ন-আত্তি করা হচ্ছে।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী চিকিৎসক (ভেটেরিনারী সার্জন) হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন জানান, সুদূর আফ্রিকা থেকে কার্গো বিমানে করে ঢাকায় আনার পর বাঘ শাবক তিনটিকে কোয়ারেন্টাইন শেডে একটানা ২১ দিন পর্যন্ত রাখা হবে। মূলত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনেই এসব বাঘ ২১দিন পর্যন্ত তত্ত্বাবধানে থাকবে বলে একটি সূত্র জানায়।
চিকিৎসক জুলকার নাইন আরও বলেন, ‘যখন কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় শেষ হবে তখনই বাঘ শাবক তিনটির শারিরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে পার্ক কর্তৃপক্ষ বুঝে নেবেন। যদি এই সময়ের মধ্যে কোনো শাবক অসুস্থ হিসেবে প্রতীয়মান হয় তাহলে তা গ্রহণ করা হবে না।’
কর্তৃপক্ষ জানায়, আর্ন্তজাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে আফ্রিকা থেকে বাঘ শাবক তিনটি কার্গো বিমানে করে আনা হয়। শাবক তিনটির মধ্যে রয়েছে পুরুষ লিঙ্গের একটি এবং অপর দুটি স্ত্রী লিঙ্গের। এগুলো মূলত এখনো সাব এডাল্ট তথা আনুমানিক আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে হবে বয়স। অবশ্য একটি বাঘ প্রাপ্তবয়স্ক হতে সময় লাগে ৪ থেকে ৬ বছরের মধ্যে। সেই হিসেবে এখনো বাঘ শাবকতিনটি সাব এডাল্ট হলেও এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে মায়ের দুধ ছেড়ে দিয়ে মাংসাশী খাবার গ্রহণ করতে শুরু করে। এবারের নতুন এই তিন অতিথিকেও আনার পর কোয়ারেন্টাই শেডে রেখে গরুর মাংস খেতে দিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্স।
সাফারি পার্কে বাঘ শাবক সরবরাহের জন্য নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান- সুদূর আফ্রিকা থেকে কার্গো বিমানে করে বাঘ শাবকতিনটিকে ঢাকায় আনার পর খাঁচায় বন্দি করে ট্রাকে করে সোজা নিয়ে আসা হয় ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে। এর পর থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে ২১দিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাই শেডে রেখে তাদের প্রাত্যহিক খাবারসহ প্রয়োজনীয় যত্ন-আত্তি করা হবে। এর পর আনুষ্ঠানিকভাবে পার্ক কর্তৃপক্ষকে বাঘ শাবক তিনটিকে হস্তান্তর করা হবে।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মনজুরুল আলম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুদূর আফ্রিকা থেকে সংগৃহীত এই তিন বাঘ শাবককে এখনো পার্ক কর্তৃপক্ষ বুঝে নেয়নি। কারণ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা-নেওয়াসহ পরিবেশ-প্রতিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিষয় অন্যতম। তাই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন শেডে রেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট বন্যপ্রাণী চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পরিচর্যার মধ্যে রাখা হয়েছে শাবকগুলোকে। এর পর নিয়মানুযায়ী আমরা সাব এডাল্টের এসব শাবক বুঝে নেওয়ার পর নির্দিষ্ট বেষ্টনিতে রাখা হবে এবং অন্যান্য প্রাণীর মতোই তাদেরও যত্ন-আত্তি করা হবে পার্কের পক্ষ থেকে।
তিনি আরও জানান- আগে থেকেই এই সাফারি পার্কে বাঘ রয়েছে দুই জোড়া। তন্মধ্যে নয়ন-আঁখি এবং জয়-জ্যোঁতি দম্পতি পার্কে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটক-দর্শনার্থীকে আনন্দ দিয়ে আসছে। এবার নতুন করে অতিথি হিসেবে ঠাঁই পেয়েছে আরও তিন বাঘ শাবক। আগামীতে এসব শাবকও পরিপূর্ণ বয়সের হয়ে উঠবে এবং বাঘের প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এমনটাই জানান পার্কের এ কর্মকর্তা।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, ‘সুদূর আফ্রিকা থেকে আনার পর সাফারি পার্কে প্রেরিত বাঘ শাবক তিনটি যাতে এখানকার বন-জঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এসব শাবকের কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় পার হলেই তাদের নির্দিষ্ট বেষ্টনীতে রাখা হবে এবং তাদের প্রত্যেকের নামও দেওয়া হবে।’
ডিএফও আরও বলেন, ‘মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ইতোমধ্যে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কটিকে প্রকৃত সাফারি পার্কে রূপান্তরের প্রক্রিয়া প্রায়ই সম্পন্ন হয়ে গেছে। এরই অংশ হিসেবে বাঘ ও সিংহের বেষ্টনি নির্মাণ করা হয়েছে একরের পর একর বনভূমিতে। যাতে এসব বন্য প্রাণী দীর্ঘ এলাকাজুড়ে তাদের বিরচণ করাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ-প্রতিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। আগামীতে এসব বাঘ প্রাপ্তবয়স্ক হলেই উন্মুক্ত বিচরণের জন্য নির্মিত বেষ্টনীতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর দেশি-বিদেশি পর্যটক-দর্শনার্থীরা খাচায় বন্দি হয়ে এসব বন্য প্রাণীর বিচরণ ও জীবনাচার স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।’
জামালপুরে আজ শনিবার জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে শহরের বেলটিয়া এলাকায় সম্মেলনের মাঠে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর পর আজ শনিবার জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলা ও ৮টি পৌর কমিটির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা স্বতস্ফুর্তভাবে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জেলা বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে শহরের ভিন্ন জায়গায় তোরণ, ব্যানার ফেস্টুনে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। এছাড়াও নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি লিয়াকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান আহমেদ খান লোটন, শফিকুল ইসলাম খান সজিবসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালে শহরের সিংহজানী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সর্বশেষ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ৫ বছর ধরে কাজ করছেন হোটেলে। আবার পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন। হাজারো খাবার হোটেলের ভিড়ে চোখ থেমে যায় ছোট্ট একটি হোটেলে, যেটিতে কাজ করছেন ১৮ বছরের কলেজপড়ুয়া এক মেধাবী ছাত্রী। নাম তার নাসরিন আক্তার। তার নামেই হোটেলটির নামকরণ করা হয়েছে ‘নাসরিন হোটেল’। প্রায় ১২ বছর আগে হোটেলটি চালু করেন তার বাবা মোকাব্বর মণ্ডল। বাবার সঙ্গে খুবই ছোট পরিসরে এই হোটেল চালাচ্ছেন মেধাবী এ কলেজ শিক্ষার্থী।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈরাগীহাট মোড়ে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় নাসরিন হোটেল। এই হোটেল চালিয়েই সংসার ও পড়াশোনার খরচ চালান নাসরিন। নাসরিন এসএসসি পরীক্ষায় পেয়েছিলেন এ+। তিনি বর্তমানে উপজেলার কালাই সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার স্বপ্ন উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করে মেডিকেলে পড়াশোনা করা। নাসরিনের মতো মেধাবী শিক্ষার্থীরা পরিবার ও দেশের জন্য সম্পদ।
সরেজমিনে দেখা যায়, শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও এই মেধাবী শিক্ষার্থী বাবার সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন খাবার হোটেলের কাজ। বর্তমানে চাকচিক্যতার ভিড়ে নিজের হোটেলটি টিকিয়ে রাখতে রীতিমতো ঘাম ঝড়াচ্ছেন তিনি। এলাকার বিভিন্ন মানুষের কটু কথা শুনেও দমে যাননি এই সংগ্রামী কলেজ শিক্ষার্থী। নিজেই তৈরি করছেন পুঁড়ি, পিঁয়াজু, সিংগারা, সামুচা, মোগলাই, চানাচুর। রান্না করেন ভাত, মাছ, মাংসসহ হরেক রকমের তরকারি। আবার নিজেই করছেন খাবার পরিবেশন।
স্বল্প মূল্যে সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করায় বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাস্টমাররা ছুটে আসে তার হোটেলে। খাবার খেতে আসা কাস্টমরা বলছেন এই হোটেলের খাবার দামে কম মানে ভালো ও সুস্বাদু।
হোটেল এ খাবার খেতে আসা ট্রাকচালক হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি বগুড়া। আমি এই এলাকায় আসি কারণ গাড়ি চালাই। আমি এখানে আসছি গাড়ি লোড করতে। এই হোটেলের খাবারের মান ভালো।
হোটেলে খাবার খাচ্ছিলেন মোখলেছুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, আমার বাসা দিনাজপুর। আমি এই দিকে হরেক মালের ব্যবসা করি। বাড়ির মতো রান্নার স্বাদ পাওয়ায় এ হোটেলে খাওয়া দাওয়া করি। সকালে খিচুড়ি খেয়েছি, দুপুরে ডিম ভাজি, ডাল, ভর্তা দিয়ে ভাত খেলাম। পাশের মুদি দোকানি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার পাশেই নাসরিন হোটেল। তাদের হোটেলে আর্থিক সমস্যার কারণে তারা কোন কারিগর বা মেসিয়ার রাখতে পারেনা। এ কারণে মেয়ে হয়েও সে তার বাবার হোটেলের যাবতীয় কাজে সাহায্য করে থাকনে। পাশাপাশি আবার সে পড়াশোনাও করে। সে একজন ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট। এসএসসিতে এ+ পেয়েছিল।
কলেজ শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের হোটেলটি খুব ছোট। টাকার অভাবে হোটেলে কারিগর রাখা হয়না। কারিগর রাখতে হলে তাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। যেটা আমার বাবা দিতে পারবে না। তাই আমি নিজেই এ কাজগুলো করি। আমি স্কুলে পড়াশোনার সময় তখনকার কারিগরের কাছে কাজগুলো শিখেছি। কালাই সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছি। আমি ভোর ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত কাজ করে কলেজে যাই। এরপর কলেজ ছুটি দিলে ৩টার দিকে বাড়িতে আসি। তারপর বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হোটেলে মা-বাবার কাজে সাহায্য করি। দিনে ৩-৪ হাজার টাকা বেচাকেনা হয়।
নাসরিন আক্তারের বাবা মোকাব্বর মণ্ডল বলেন, আমার মেয়ে কালাই সরকারি মহিলা কলেজ পড়াশোনা করছে। সকালে কাজ শেষ করে কলেজে যায় আবার কলেজ থেকে ফিরে এসে বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করে। আমার মেয়েই আমাকে সব কাজে সহযোগিতা করে। মেয়ে হয়েও আমাকে একজন ছেলের মতোই কাজে সহযোগিতা করে এতে আমি গর্বিত।
কালাই সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন বলেন, সে ব্যবসা করে লেখাপড়া চালায় এবং কস্টের মধ্যে দিয়ে লেখাপড়া করেই এসএসসি পাস করে এখানে ভর্তি হয়েছে। শুনে আমি খুব অবাক বিস্ময়ে তাকালাম, এই মেয়েটা তো খুব মেধাবী। এই মেয়েটাকে সহযোগিতা করা হলে কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান বলেন, বৈরাগীর মোড়ে নাসরিন হোটেলে নাসরিন আক্তার পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার সাথে বাবার হোটেলে কাজ করছে এটা একটা চমৎকার উদ্যোগ। তবে, এ কাজটি করতে গিয়ে তার পড়াশোনার যেন ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। তাকে যতটুকু আর্থিক সহযোগিতা করা যায় উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনে সেটা আমরা করব।
কুড়িগ্রামে দুর্যোগ মোকাবেলায় লাইট হাউজের কার্যক্রমে সুফল পাচ্ছে দুর্যোগ প্রবণ এলাকার জনগোষ্ঠী। দুর্যোগ মোকাবেলায় লাইট হাউজ একটি স্বেচ্ছাসেবী ও উন্নয়নমূলক বেসরকারী সংস্থা ১৯৯২ সালে অনুমোদন পায়। এরপর লাইট হাউজ একটি স্বেচ্ছাসেবী ও উন্নয়নমূলক বেসরকারি সংস্থাটি দেশের গ্রামীণ-শহরে দরিদ্র, প্রান্তিক ও উচ্চ ঝুঁকির জনগোষ্ঠী, হিজড়া, আদিবাসী, কৃষকসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি জেলার পাঁচটি উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী এবং রাজিবপুর। এসব উপজেলার মধ্যে দুর্যোগ প্রবণ ৩৫টি ইউনিয়নে স্থানীয় পর্যায়ে ৭০জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা নদী ঘেঁষা রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বীর তৈয়ব খাঁ গ্রামে পিছিয়ে পড়া দরিদ্র প্রায় ৩০ জন কিশোরী-মহিলাকে নিয়ে আগাম দুর্যোগ পূর্বাভাস ও দুর্যোগকালীন স্বাস্থ্য ও সহিংসতা বিষয়ে উঠা বৈঠক করছে।
স্বেচ্ছাসেবক কমলা খাতুন, স্বেচ্ছাসেবক প্রীতিলতা রায়, স্বেচ্ছাসেবক জিহাদ হাসানসহ অনেক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী লাইট হাউজের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবক শাহিন আলম, জিহাদ হাসান জানান, অনেকের ধারণা আমাদের এসব উঠান বৈঠকের কারণে হয়তো কোন পারিশ্রমিক পেয়ে থাকি। কিন্তু এখানে কোন ধরনের পারিশ্রমিক পাইনা আমরা স্বেচ্ছাসেবকরা। মানুষের জন্য কাজ করার অনেক প্লাটফরম থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ব্যতিক্রম মনে হওয়ায় এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছি। দুর্যোগকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য, দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং সহিংসতা নিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে স্থানীয়দের সচেতনা তৈরিতে কাজ করছি আমরা স্বেচ্ছাসেবকরা।
এছাড়াও দুর্যোগ প্রবণ এলাকার দারিদ্রপীরিত এবং ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় নারী, কিশোরী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে দুর্যোগকালীন সময়ে জেন্ডার সহিংসতা হ্রাসে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালানোর জন্য ৯০জন স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
প্রকল্পের সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রকল্পের শুরু থেকেই স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নে প্রায় এক শতাধিকেরও বেশি উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্প শেষ হলেও স্বেচ্ছাসেবকগণ তাদের সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক চালিয়ে যাবেন। এভাবে করে প্রায় ২০ হাজারের ও বেশি দুর্যোগ প্রবণ এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত ও ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় নারী, কিশোরী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সচেতন করে গড়ে তোলা সম্ভব। এর ফলে মানুষ বিভিন্ন দুর্যোগ থেকে নিজে এবং নিজেদের পরিবার সহ জানমাল এবং তাদের সম্পদ গুলোকে রক্ষা করতে পারবে।
আজ বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলার কমলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রাবাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করছে। বিশেষ করে পাহাড়ি কন্যারা তাদের দক্ষতা ও প্রতিভা দিয়ে দেশ-বিদেশে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। উপদেষ্টা আরও বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোর রাস্তাঘাটের উন্নয়নের ফলে এখন মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে এবং উৎপাদিত পণ্য সহজে পরিবহণ করা সম্ভব হচ্ছে।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা কমলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন জীর্ণশীর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি দ্রুত মেরামত ও পুনঃনির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে ছাত্রাবাস নির্মাণের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য বৌদ্ধ মিশন (পিবিএম) কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে পার্বত্য বৌদ্ধ মিশন পালি কলেজ প্রাঙ্গণ, ম্যাপল হাউস গার্লস হোস্টেল এবং অনাথালয় ভবন ঘুরে দেখেন। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। উপদেষ্টা এসব প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে অনাথালয় পরিচালনা কমিটি গঠনসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সকল কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে আধুনিক ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা চালু এবং স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে ইংলিশ ভার্সনে রূপান্তরের পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য এডভোকেট মঞ্জিলা, সদস্য কংজপ্রু মারমা, সদস্য প্রফেসর আবদুল লতিফ, সদস্য অনিময় চাকমা, সদস্য শহীদুল ইসলাম সুমন, সদস্য প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, সদস্য বঙ্গমিত্র চাকমা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুলের সাজা বাতিল ও নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান যুবদল নেতা বেনজির আহমেদ তাবরিজ এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের আরেক সাবেক সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো.সেলিম মিয়া সেলিম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাউয়ুম মিয়া, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান বকু, যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লিটন, বিএনপি নেতা শাহিন হক, জরিুলহক ঝন্টু, তামজিদ মোল্যা, বাচ্চু মোল্যা, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন সাদ্দাম সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম খাঁন বাবুলকে কারাগারে পাঠানোর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে শহীদুল ইসলাম বাবুলকে মুক্তি দেওয়া না হলে বৃহত্তর ফরিদপুরে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নে চুরির আপবাদে মাহিন (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চেঙ্গুয়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মানিক ও রাহাত নামে দুই কিশোরকে বেড়ধক পেটানো হলে, তারা গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও মাহিন ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়।
নিহত মাহিন স্থানীয় কাঞ্চন নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র এবং একই এলাকার সাগর আলী তালুকদার বাড়ির জনৈক লোকমানের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোরে মাহিনসহ তিন কিশোর চেঙ্গার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। সেসময় কয়েকজন কিশোর দৌড়ে এসে তাদের ধাওয়া করে। প্রাণ ভয়ে তিনজন পাশ্ববর্তী একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে আশ্রয় নেয়। হামলাকারীরা ছাদে উঠে জোরপূর্বক তাদের নিচে নামিয়ে এনে ব্রিজের উপর বেধড়ক মারধর করে সটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে মাহিনের মৃত্যু ঘটে। গুরুতর আহত দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতদের পরিবারের অভিযোগ, মানিক ও রাহাত আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। চোর সন্দেহে তাদের উপর এমন নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি। ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে নোমান ও আজাদ নামে দুইজনকে আটক করেছে। কেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশের পৃথক দুটি মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইয়াবাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার সলিমগঞ্জ ও মিরপুর এলাকায় এ অভিযান দুটি পরিচালিত হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীনগর থানার এএসআই শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল সলিমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদী-সংলগ্ন খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক পুরুষ ও চার নারীকে আটক করে। সেসময় তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন মো. আরিফুল ইসলাম (৪২) ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩৭), বাড়ি: গৌরীপুর, ময়মনসিংহ নাজমা (২৬), বাড়ি: পঞ্চগড় মাইমুনা (২২), বাড়ি: আশুলিয়া, ঢাকাআমেনা (২৭), বাড়ি: বগুড়া । একই রাতে নবীনগর থানার এসআই শাহ আলমের নেতৃত্বে আরেকটি দল মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার মোল্লা (৪৮) কে আটক করে। তার দেহ তল্লাশি করে ২৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মাদক বিক্রির নগদ ৩,৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘দুটি পৃথক অভিযানে মোট ১২ কেজি গাঁজা, ২৬০ পিস ইয়াবা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।’
গ্রেপ্তারকৃতদের গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।