বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

একই আঙিনায় মন্দির ও মসজিদ

লালমনিরহাটে পুরান বাজার জামে মসজিদ এবং কালীবাড়ি দুর্গামন্দির ও কালীমন্দিরের সহাবস্থান।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৫ অক্টোবর, ২০২২ ০৭:৫৯

মো. শাহ্জাহান সাজু, লালমনিরহাট

লালমনিরহাট জেলা শহরের পুরান বাজার এলাকা। এখানে একই সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে পুরান বাজার জামে মসজিদ এবং কালীবাড়ি দুর্গামন্দির ও কালীমন্দির। বিগত দুই শতাব্দী ধরে মসজিদে চলছে মুসলমানদের নামাজ, আর সেই মসজিদ লাগোয়া মন্দিরে বাজছে কাঁসর ঘণ্টা, চলছে পূজা অর্চনা।

এক পাশে সৌরভ ছড়াচ্ছে ধূপকাঠি, অন্য পাশে আতরের সুঘ্রাণ মসজিদে। এভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করে যুগ যুগ ধরে চলছে পৃথক দুটি ধর্মীয় উপাসনালয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি।

গত শনিবার দুপুরে মহাষষ্ঠী পূজায় দেখা গেছে, জোহরের নামাজের আজানের সময় থেকে নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের মাইক, ঢাকঢোলসহ যাবতীয় শব্দ বন্ধ রেখেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। নামাজের জামাত শেষ হলে মন্দিরের পূজা অর্চনার কার্যক্রম শুরু হয়। এভাবেই দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষ পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে পালন করছেন ধর্মাচার।

১৮৩৬ সালে দুর্গামন্দির প্রতিষ্ঠার আগে এখানে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে ঠাঁই নেন শ্রীশ্রী কালীমূর্তি, দেবাদিদেব মহাদেব, শ্রীশ্রী বাবা লোকনাথ। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় চলে এসব দেবদেবীর পূজা অর্চনা। দুর্গামন্দিরে প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। পরে পুরান বাজার সম্প্রসারিত হলে ১৯০০ সালে বাজারের ব্যবসায়ীরা মন্দির প্রাঙ্গণে একটি নামাজের ঘর নির্মাণ করেন। সেই নামাজের ঘরটিই পরবর্তী সময়ে পুরান বাজার জামে মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। এখানে নামাজ আদায় করতে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন।

স্থানীয়রা বলেন, কালীবাড়ি মন্দিরটি প্রায় ২০০ বছরেরও পুরোনো। তৎকালীন মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীরা এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পূজা অর্চনা করতেন। তারা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও মন্দিরটি থেকে যায় অক্ষত। পরবর্তী সময়ে অবকাঠামোগত কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে মন্দিরে। দুর্গাপূজা যখন শুরু হয়, সে সময় এলাকাটি হয়ে ওঠে আনন্দমুখর।

‘ধর্মীয় সম্প্রীতি কী, ধর্মীয় সম্প্রীতি কাকে বলে, তা কেমন হওয়া উচিত- তা জানার জন্য, দেখার জন্য সবার এখানে আসা উচিত,’ বললেন মন্দিরের পুরোহিত সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী। তিনি আরো বলেন, ‘মন্দিরে নিয়মিত পূজা অর্চনা হয়। আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়। ধর্মীয় সম্প্রীতির বিঘ্ন ঘটে- এমন অবস্থার মধ্যে আমাকে কোনো দিনই পড়তে হয়নি বরং স্থানীয় মুসল্লিদের সহযোগিতা পেয়ে আসছি। উভয় ধর্মের অনুসারীরা এটা নিয়ে গর্ব করেন। পৃথিবীজুড়ে চলমান সহিংসতা আর সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সংবাদের মধ্যে এমন দৃশ্য নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।’

পুরান বাজার জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে একই উঠানে দুইটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। আমরা মুসলমান এবং হিন্দুরা যে যার ধর্ম সুষ্ঠুভাবে পালন করে আসছি। আমরা নামাজ পড়ছি, তারা পূজা করছেন। কেউ কারো ধর্মে কোনো হস্তক্ষেপ করে না। আমাদের উভয় সম্প্রদায়ের মাঝে ধর্মীয় আচার-বিধি পালন করা নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’

একই মসজিদের ইমাম মো. আলাউদ্দিন বলেন, ঐতিহ্যবাহী পুরান বাজার জামে মসজিদের পাশেই এক সঙ্গে দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। মন্দিরটি মসজিদের আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষ স্বাধীনভাবে যার যার ধর্ম পালন করেন।

একই আঙিনায় দাঁড়িয়ে পুরান বাজার কালীবাড়ি মন্দিরের সভাপতি ও পুরোহিত শংকর চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার জন্মের পর থেকেই এভাবে চলতে দেখছি উভয় সম্প্রদায়ের লোকজনকে। কোনো সমস্যা হয়নি কখনো। আশা করি, হবেও না।’

এ বিষয়ে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে এলে আমি অভিভূত হই সব সময়। এখানে যে যার ধর্ম পালন করছেন, কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এবার দুর্গাপূজা ঘিরে এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বেড়েছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।’

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো আবু জাফর বলেন, ‘এখানকার মানুষ ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করেন। আর এই বিশ্বাসের প্রমাণ তারা দিয়ে যাচ্ছেন যুগ যুগ ধরে। তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব রক্ষায় আমরাও প্রশাসনের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছি, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।’


নরসিংদীতে বিকপ এর উদ্যোগে ১৭ জুলাই জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এম.এ আউয়াল, নরসিংদী প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ (বিকপ) এর উদ্যোগে ১৭ জুলাই ২০২৫ জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের বিদ্যালয়সমূহকে বৃত্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে নরসিংদী জেলা কিন্ডারগার্টেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী জেলা কিন্ডারগার্টেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: রমজান আলী প্রামাণিক ও সাধারণ সম্পাদক মো: মুজিবুর রহমানসহ নরসিংদী জেলা উপজেলা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ বলেন, নরসিংদী জেলায় ৬ শতাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় ১,২৫,০০০ জন শিক্ষার্থী, ৬৫০০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ৩০০০ জন উদ্যোগক্তা বা পরিচালক কর্মরত রয়েছে। এছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে ১,০০,০০,০০০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে। তাতে ৬৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৫০ হাজার কর্মচারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যা প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবদান নি:সন্দেহে সর্বমহলে প্রশংসার দাবী রাখে।

বক্তাগণ আরো বলেন, শিক্ষা শিশুদের মৌলিক অধিকার। কোন শিশুকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অনেক শিক্ষার্থীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান বৈষম্য বিরোধী সরকার। বিধায় বর্তমান সরকারের সময়ে কিন্ডারগার্টেনের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আবার সেই বৈষম্যের শিকার হোক এটা অপ্রত্যাশিত।

বিগত ১৭.০৭.২৫ইং তারিখে জারিকৃত পরিপত্রটি বাতিল করে ২০২৫ইং এ অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিক বৃত্থি পরীক্ষাসহ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য গৃহীত অন্যান্য যে কোনো কার্যক্রমে প্রাথমিক শিক্ষার অংশীজন হিসেবে কিন্ডারগার্টেন ও বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সমঅধিকার যেন অক্ষুন্ন থাকে, তার প্রতি সদয় দৃষ্টি দানের জোর দাবী জানানো হয়।


মাগুরায়  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে ময়লার স্তুপ, জনস্বাস্থ্য হুমকিতে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি

মাগুরা শহরে স্কুল ও হাসপাতালের সামনে ফেলা হচ্ছে বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা, মানা হচ্ছে না কোন বিধি নিষেধ। ফলে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে কোমলমতি শিশুসহ সাধারণ মানুষ।

মাগুরা শহরের পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় , পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সামনে মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে এসব ময়লা আবর্জনা। এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলার কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিন শতশত ছেলে মেয়েরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে ।বিশেষ করে, পিটিআই স্কুলের সামনে ময়লার স্তূপ থেকে বেশি দুর্গন্ধ ছড়ায় যার কারনে আশেপাশের মানুষ নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ।

পি টি আই স্কুলের এক অভিভাবক তামান্না তাবাসসুম বলেন , প্রতিদিন বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় নাকে কাপড় চেপে ধরেও এই দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না।

এরকম শত শত অভিভাবকের দাবি এইখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করা হোক।

দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে ময়লা ফেলার কারণে সেটা এখন ভাঙারে পরিণত হয়েছে , একটু বৃষ্টি নামলেই ময়লাগুলো মহাসড়কের উপর চলে আসে ফলে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলেও অসুবিধা হয়।

এ ব্যাপারে মাগুরা পৌরসভার প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আব্দুল কাদের দৈনিক বাংলা কে জানান , পৌরসভার ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ভ্যান গাড়ি এবং ড্রামের ব্যবস্থা আছে কিন্তু শহরের কিছু ভদ্র সমাজের লোকজন টাকা খরচের ভয়ে নিজেরাই পলিথিনের ব্যাগে করে এই ময়লা গুলো ফেলেন, ফলে জনসাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এটা বন্ধ করা পৌর কর্তৃপক্ষের একার দ্বারা সম্ভব নয় ,আগে জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে ।সবাইকে একসঙ্গে এটাকে প্রতিরোধ করতে হবে ।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব স্থান থেকে দ্রুত ময়লা অপসারণ ও ময়লা ফেলা বন্ধ করতে পৌর কর্তৃপক্ষকে মাইকিং ও জরিমানা সহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে বলেন । অন্যথায় মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।


পঞ্চগড়ে সেরা শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হোসেন রায়হান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস স্কিমের (পিইডিপি) আওতায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বুধবার পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন স্টিভ, জেলা শিক্ষা অফিসার খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফুল কবির মো. কামরুল হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশপ্রেম ও সততার সাথে জীবন যাপন করতে হবে। যত্ন এবং সহমর্মিতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আপন করতে হবে। পরচর্চা পরিহার করতে হবে। শুধু নম্বরের জন্য নয়, বুঝে পড়তে হবে। তিনি সকলকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ফুটকিবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এমদাদুল হক, জগদল দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট দেলোয়ার হোসেন, করতোয়া কালেক্টরেট শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক নাসিমুল গণি, অভিভাবকদের মধ্যে কিশোয়ার জাহান, ২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষার সেরা শিক্ষার্থী আহসানউল্লাহ ২০২২ সালে আলিম পরীক্ষার সেরা শিক্ষার্থী আফরিনা সুরাইয়া অনন্যা বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক ও সমমান ও উচ্চমাধ্যমিক সমমান পরীক্ষায় সবোর্চ্চ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৮ জন করে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।
এছাড়া এসএসসি ও সমমান শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকে ১০ হাজার এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ২৫ হাজার করে টাকা নিজ নিজ ব্যাংক হিসেবে পাঠানো হয়েছে।


‘ফ্যাসিজমের কারণে জনগণ বিগত দিনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী প্রতিনিধি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, এদেশে আওয়ামী ফ্যাসিজমের কারণে জনগণ বিগত দিনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সব গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দলীয় লোক বসিয়ে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার।

আজ বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে নীলফামারীর জলঢাকার বগুলাগাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্থে ২০জন শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারানো শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় যারা গুম, হত্যা ও নির্যাতনে সাথে জড়িত ছিল, তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।

তিনি বলেন বিগত দিনে তত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়েছিল, অথচ এক বছর হতে যাচ্ছে, অন্তর্র্বতীকালীন সরকার এখনও নির্বাচন দেয়ার কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। বরং ফ্যাসিস্ট শাসনকে পুন:র্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। আমরা চাই দ্রুত রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন দিয়ে জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন হোক।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহবায়ক মীর সেলিম ফারুক, সদস্য সচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল,যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা প্রধান হক বাচ্চু,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ আলী,আনিছুর রহমান কোকো,শেফাউল জাহাঙ্গীর শেপু,গোলাম মোস্তফা রঞ্জু,ময়নুল ইসলাম,সাবেক ছাত্রনেতা ও কৃষিবিদ মোক্তার আলী সরকার মিথুনসহ নের্তৃবৃন্দ।


দেবীগঞ্জে কলেজ ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু; ধানক্ষেত থেকে মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হোসেন রায়হান , পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে সুলতানা আক্তার রত্না (২০) নামের এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রাম থেকে পুলিশ তার মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত রত্না মাঝাপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে এবং দেবীগঞ্জ মহিলা কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, যে জায়গায় রত্নার মরদেহ পাওয়া যায়, সেখানে কিছুদিন আগে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল। জমিতে পানি ছিল। রত্নার সঙ্গে ছিল একটি কাপড়ের ব্যাগ, যার ভেতর ছিল পরনের কাপড় ও দুইটি সিদ্ধ ডিম। এছাড়া, সে এক হাতে মোবাইল ফোনের কাভার ধরে রেখেছিল, তবে মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি।

রত্নার বড় ভাই মামুন ইসলাম জানান, আমি সকাল ছয়টায় বাসা থেকে কাজে বের হই। সাতটার দিকে প্রতিবেশী কাওসার তার জমিতে আগাছানাশক দিতে গিয়ে ধান ক্ষেতে একজন মেয়েকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে। তার চিৎকারে ছুটে গিয়ে দেখি, সেটি আমার বোন। কোলে তুলে বাসায় নিয়ে আসি।

রত্নার বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, রাত ১২টার দিকে আমি বাইরে থেকে বাসায় ফেরার পর রত্না আমাকে ভাত বেড়ে দেয়। রাত দেড়টা পর্যন্ত জেগে ছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, মেয়ের ঘরের দরজা খোলা। স্ত্রী জানায় মেয়ে ঘরে নেই। এর কিছুক্ষণ পর খবর পাই ধান ক্ষেতে এক মেয়েকে পাওয়া গেছে। পরে দেখি সেটা আমার মেয়ে।

খবর পেয়ে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রত্নার গলায় দাগ পাওয়া গেছে। এছাড়া আর তেমন কোন অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি'র ক্রাইম সিন ইউনিট ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। যেহেতু এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা গভীর ভাবে খতিয়ে দেখছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।


সিএনজিতে যাত্রী সেজে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করতে গিয়ে আটক দুই নারী 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিএনজিতে যাত্রী সেজে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করতে গিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আটক দুই নারী। আটকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ধরমণ্ডল এলাকার তামান্না বেগম (২৬) ও ফাতেমা বেগম (২২)।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ রোড এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিকাপ্রসাদের আকবরনগর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ভৈরব শহরে আসেন চার নারী। তাদের মধ্য দুই নারী রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ রোড এলাকায় নেমে গেলে অন্য যাত্রীরা তাদের স্বর্ণের চেইন খোয়া যাওয়ার বিষয়টি টের পান। সঙ্গে সঙ্গে তারা দুই নারী ছিনতাইকারীকে আটক করেন। এসময় তারা চেইন গিলে ফেলার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে চেইন উদ্ধার করে দেন এবং দুজনকে আটক করেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা আরও দুই নারী ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদের থানায় নিয়ে যায়।এ বিষয় ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক কবির জানান, আটক দুই নারী ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে ভৈরব থানাসহ আশপাশের বিভিন্ন থানায় চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।


সোনারগাঁওয়ে দুটি সেতু ভেঙে যান চলাচল বন্ধ, চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুই এলাকা দুটি ব্রীজ ভেঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই। উপজেলার সোনারগাঁ পৌরসভার ছাপেরবন্ধ খালের ব্রীজ ও সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও এলাকা ব্রীজটি ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এলাকাবাসী, পর্যটকরা, হাসপাতালের রোগীসহ সাধারণ মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। এলাকাবাসী ব্রীজ দুটি পুনঃ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালে সিআরডিপি প্রকল্পের আওতায় সোনারগাঁ পৌরসভার চৈতী কম্পোজিট লিমিটেড থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ২নং ফটক রাস্তা টেন্ডার দেওয়া হয়। এছাড়াও টিপরদী মধুমতি ফিলিং স্টেশন থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ১নং ফটক পর্যন্ত রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও একটি সেতু নির্মাণের জন্য ৭কোটি ৪৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই টেন্ডারে ছাপেরবন্ধ খালের ওপর নির্মিত ব্রীজটি অধিক ঝুঁকিপূর্ন হওয়ার পরও এ ব্রীজটি টেন্ডার প্রক্রিয়া আওতায় আনা হয়নি। ফলে দীর্ঘ ১০ বছরেও এ ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়নি। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই সময়ে পৌর কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে এ ব্রীজের মাঝে গর্ত হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অংশে সিমেন্ট সুরকি দিয়ে ঢেকে দেয়। গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে ব্রীজের ঝুঁকিপূর্ন অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে পৌর কর্তৃপক্ষ গত এক সপ্তাহ ধরে বাঁশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। বিকল্প পথে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, পর্যটন নগরীর পানাম, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আসা দর্শনার্থী,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের আসা জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়ছেন।
অপরদিকে সাদিপুর ইউনিয়নের কাজিপাড়া-আমগাঁও খালের ওপর নির্মিত বরগাঁও এলাকার ব্রীজ ভেঙ্গে দীর্ঘদিন যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর দাবি, বরগাঁও এলাকায় খালের ওপর প্রায় ৫০ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে তা ভেঙ্গে যায়। ব্রীজের রেলিং-পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে এ সড়কে চলাচলরত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিল্প-কারখানার শ্রমিকসহ প্রায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। দুই কিলোমিটার এলাকা ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সাদিপুরের দবির উদ্দিন ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, বরগাঁও এলাকার ব্রিজটির মধ্যঅংশ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে স্কুলে আসা-যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তাছাড়া এ ব্রীজের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি করেন।
সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ছাপেরবন্ধ এলাকার ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত এ ব্রীজটি নির্মাণ করে পর্যটক, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবের দাবি জানিয়েছেন।
সোনারগাঁ পৌরসভার আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা ইমরান খাঁন জানান, ১০ বছরেও ব্রীজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানের এ এলাকার মানুষ অনেক পথ ঘুরে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।
সোনারগাঁ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, ছাপেরবন্ধ ব্রীজটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। সংস্কার করে কোন লাভ হবে না। এ খালে নতুন ব্রীজ নির্মাণের টাকা তাদের ফান্ডে নেই বলে দাবি করেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী মো আলমগীর হোসেন চৌধুরী বলেন, বরগাঁও এলাকার ব্রীজটি ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ থাকার খবর পেয়ে সেখানে সহকারী প্রকৌশলীদের পাঠানো হয়েছে। আশা করি ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করা হবে।


যশোরের ৫টি উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরশনের লক্ষে চায়নার প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুরসহ ৫টি উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরশনের লক্ষে ভবদহসহ ভরাট হওয়া মুক্তেশ্বরি, টেকা ও তেলিগাতি নদী পরিদর্শন করেছেন চাইনার চেংগিং ওয়াটার রিসোর্সের একটি প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে প্রতিনিধি দলটি যশোরের মরণফাঁদ ভবদহ সুইচ গেট পরিদর্শন শেষে কেশবপুর উপজেলার আগ্রহাটি সোলগাতি ব্রিজের নিজ দিয়ে বয়ে যাওয়া তেলিগাতি নদী পরিদর্শনে আসেন।

এসময় প্রতিনিধিদের সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুৎফর রহমান ,যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্যা, আল মামুন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার ও দোভাষিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।

সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১৯৬১ সালে ভবদহ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশন লক্ষে ভবদহ সুচইগেট নির্মাণ করা হয়। এর বিরূপ প্রভাবে ১৯৮২ সালের পর থেকে ভয়াদহ অঞ্চলে মানবিক বিপর্যায়ের স্বীকারে পরিনত হয় এ জনপদের মানুষ। এরপর থেকে এর বিরূপ প্রভাবে এ অঞ্চলের শ্রীনদী, হরিনদী, টেকানদী, মুক্তেশ্বরি ও তেলিগাতি নদী ভরাট হয়ে ভবদহ অঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং যশোর জেলার ৫টি উপজেলার কয়েশ গ্রাম ও হাট বাজার তলিয়ে প্রায় কর্মহীন হয়ে পড়ে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। ২০০৫ সালে ৪৮ দিন ভবদহ'র সুচই গেট বন্ধ থাকায় সংকট আরো ঘনিভূত হয়। এর প্রভাবে কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলাসহ এ অঞ্চলে প্রতি বছর দেখা দেয় বন্যা। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয় এলাকার জলাবদ্ধ মানুষ। খাল ও বিল তলিয়ে থাকায় ফসল উৎপান না হওয়ায় তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেয়। তৎকালীন সরকার এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরশনের লক্ষে ২০০২ সালে শ্রী, হরি ও টেকা নদীর পলি অপসারনের জন্য সংশ্লিষ্ট নদী গুলি খনন করেন। ২০১৬ সালে যশোর জেলার কেশবপুর ও মনিরামপুরসহ ৫টি উপজেলার ৫০০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। এতে কৃষকের ফসল, হাজার হাজার মৎস্য ঘের ভেসে যেয়ে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এসময় হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এসময় ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচুবাঁধ ও সড়কের উপর আশ্রয় নেয়। পরবর্তিতে ভবদহ সমস্যা সমাধানের লক্ষে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের খাল ও নদী খননসহ কেশবপুর উপজেলার কাশিমপুর ভানদীর মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৯৬ সালে ক্রাসবাঁধ দেয়। এতেও বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনসহ সমস্যার সমাধান না হওয়ায়, বর্তমান অন্তবর্তি কালীন সরকার সেনা বাহিনীর তত্বাবধানে শ্রী, হরি ও টেকা নদীসহ ৩টি নদী খনন করার লক্ষে প্রকল্প গ্রহন করেছেন। এর সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষে সরকার চায়না চেংগিং ওয়াটার রিসোর্স'র সহযোগিতা কামনা করেন। সরকারের নেয়া প্রকল্পে সহযোগীতা করতে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) চায়নার একটি প্রতিনিধি দল ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শনে আসেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, চীনের একটি উচ্চ প্রতিনিধি দল ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরশনের জন্য ভবদহসহ হরি, তেলিনদী, টেকা ও শ্রীনদী পরিদর্শনে আসেন।

যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম বলেন, যশোরের জলাবদ্ধতা নিরশনের লক্ষে ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শনে আসেন চায়নার একটি প্রতিনিধি দল।


নবীনগরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
‎ ‎নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

‎ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎‎৩০ জুলাই (বুধবার) সকালে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জনাব রাজীব চৌধুরী।

‎‎সভায় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম ও অন্যান্য পেশাজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।

‎‎সভায় এলাকায় বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদক নিয়ন্ত্রণ, ইভটিজিং, যানজট, জলাবদ্ধতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ইউএনও রাজীব চৌধুরী সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান এবং জনস্বার্থে প্রশাসনের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

‎‎সভায় নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর, নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শুক্লা রানী দেব, জেলা বিএনপি নেতা মাসুদুল হক মাসুদ, উপজেলা বিএনপি নেতা মফিজুল হক মুকুল, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।

‎‎উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের সমন্বিত মাসিক সভা নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হলে স্থানীয় সমস্যা দ্রুত সমাধানের পাশাপাশি জনগণের সেবার মানও আরও বৃদ্ধি পাবে।


তেঁতুলিয়ায় পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ৩০ জুলাই, ২০২৫ ১২:৪৯
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় আল হাবিব (৬) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। সকলের ধারণা, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে হত্যা করে পরিত্যক্ত ভবনের ওই টয়লেটে ফেলে রেখে গেছে।

জানা গেছে, নিহত আল হাবিব উপজেলার একই ইউনিয়নের শিলাইকুঠি এলাকার বাসিন্দা ও আশরাফুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বিকেলে খেলতে বের হয়ে আর ফিরে বাড়িতে যায় নি আল হাবিব। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যার পর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়।
মরদেহটি ভাঙা টয়লেটের ছড়ানো ইটের ওপর পড়ে ছিল। গলায় নিজের পরনের শার্ট দিয়ে পেঁচিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল শিশুটি। মাথার পেছনেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, আল হাবিবের বাবা আশরাফুল ইসলাম পেশায় বিদ্যুৎ মিস্ত্রি ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। পরিবারটি চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন ব বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে পরিত্যক্ত ভবনে বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ও গ্রাম পুলিশ আমাদের খবর দেয়। তার পর আমরা থানা পুলিশকে খবর দেই।


এদিকে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে৷ ঘটনাটি তদন্ত চলমান৷


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুর্বৃত্তদের হামলায় ব্যবসায়ী খুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুর্বৃত্তদের হামলায় মোস্তফা কামাল নামে একজন ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন।মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে

উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল কালিকচ্ছ নন্দীপাড়া গ্রামের মৃত মমিন মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানান, মোস্তফা কামাল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাড়ির কাছেই সড়কে তাকে একা পেয়ে দুর্বৃত্তরা তার মাথায় ও ঘাড়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে একজন পথচারী তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কের পাশে পরে থাকতে দেখে বাড়িতে পরিবারের লোকদের খবর দেন। সেখান থেকে তাকে গুরুতর অবস্থায় উ'দ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে রাতেই সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন এক ব্যবসায়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


নওগাঁয় আলুর ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে কৃষকদের মানববন্ধন 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ

ধান-গমের মতো আলুর সরকার কতৃক মূল্য নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নওগাঁর আলু চাষিরা।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের সামনে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার কৃষক পরিবার এবং আলু ব্যাবসায়ী পারিবারের ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষকরা বলেন, বাজারে আলুর দাম উৎপাদন খরচের অর্ধেকেরও নিচে। প্রতি কেজি আলুতে ১৭-১৮ টাকা লোকসান হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে ঋণ করে আলু চাষ করায় বাজারে দাম না পয়ে সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন আলু চাষিরা।

নওগাঁ সদর উপজেলার চকবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, সার ফসফেটের দাম দাম অনেক বেশি সেই হিসাবে শুরু থেকেই এবছর আলুর দাম নাই। খরচের টাকায় উঠছে না। ধান চালের সরকারি মূল্য নির্ধারণ করতে পারলে আলুর কেনো হবে না? সরকারের কাছে দাবি জানাই দ্রুত আলুর মূল্য যেনো নির্ধারণ করে দেয়।

সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের আরেক কৃষক বুলবুল ইসলাম বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি চালের দামও বেশি। কিন্তু আলুর কোন দাম নাই। হিমাগারেও খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে। এক মণ আলু চাষ করতেই ১২০০-১৩০০ টাকা করে খরচ হয়েছে। বাজারে এখন আলু বিক্রিই করতে হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা মণ। তাহলে আমরা যাবো কোথায়? সরকার যদি আমাদের জন্য কোন উদ্যোগ না নেয় তাহলে আমরা শেষ হয়ে যাবো।

শহরের বালুডাঙ্গা এলাকার আলু চাষি সাইফুল আলম বলেন, গরু বিক্রি করে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে লাভের আশায় আলু চাষ করেছিলাম। কিন্তু বাজারে এখন আলু বিক্রি হচ্ছে না। হিমাগারে প্রতি কেজি আলুতে আগের থেকে ৪ টাকা করে বেশি দিতে হচ্ছে। এক কেজি আলু উৎপাদনসহ হিমাগারে রাখতে ২৫-২৬ টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে পাইকারি দরে ১১-১২ টাকার বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না। ঋণের টাকা পরিশোধ করা তো দূরের কথা খরচের টাকা উঠানো নিয়েই এখন চিন্তার মধ্যে আছি।

এ বিষয়ে নওগাঁ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় আলুর উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। বছরের এই সময়টাতে অন্যান্য সবজি বাজারে বেশি থাকায় মানুষ আলু কম কিনে। সরকারের পক্ষ থেকে ওএমএস অথবা টিসিবির মাধ্যমে আলু বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।


গাংনীতে  চাঁদাবাজির অভিযোগে জনতার হাতে আটক একজন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে পল্লী চিকিৎসকের কাছে দ্বিতীয় দফায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে আব্দুর রউফ (৫০) নামের এক কথিত সাংবাদিককে গণধোলাইয় শেষে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।

কথবত ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গরছে।

আটকের পর আব্দুর রউফ নিজেকে মেহেরপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার পরিচয় দেন।

গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী গাংনী পৌরসভার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মাবুদ জানান, কথিত ওই সাংবাদিক আমার চেম্বারে গতকাল এসে সিভিল সার্জন এবং জেলা প্রশাসনের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিশ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যাায় সে আবারো চেম্বারে আসে। এবার সে বলে, আপনাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ সিভিল সার্জন এবং ডিসি অফিসে গেছে। সিভিল সার্জনকে ঠেকাতে হলে বিশ হাজার টাকাতে হবেনা। আবারও টাকা দিতে হবে। এক পর্যায়ে সে আরও ভয়ভীতি দেখায়। এঘটনার পর আমরা গাংনীর স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে আব্দুর রউফ নামে কোনো সাংবাদিক আছে কিনা। তারা জানান, এই নামে কোনো সাংবাদিক নেই। এরপর আমরা তার কাছ থেকে পরিচয় পত্র দেখতে চাই। এক পর্যায়ে সে মেহেরপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারের পরিচয় পত্র দেখান। পরে স্থানীয় জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে গাংনী সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেন।

এঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গাংনী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে জানা গেছে, কথিত ওই সাংবাদিক আব্দুর রউফের বাড়ি ভারতে। সে বৈবাহিক সূত্রে মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়াতে বসবাস করে আসছেন। সে প্রথমদিকে নিজেকে চিকিৎসক দাবি করতেন। নিজের নামের সাথে ডাক্তার যুক্ত করে ডাক্তার আব্দুর রউফ লিখতেন। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় ও ভূয়া ডাক্তারখানা বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে সে নিজেকে সাংবাদিক বনে যান। ২০২৩ সালে মেহেরপুর শহরের এক সার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে। পরে সেটি ফেসবুকে ভায়রাল হলে ওই সার ব্যবসায়ীর পা ধরে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়। গত বছরে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়াতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে উতরতম মাধ্যম খান। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, আব্দুর রউফ এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দাবী করে আসছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


banner close