তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি তিনবারের মতো করোনায় আক্রান্ত হলেন।
পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে স্বজনহারা মানুষদের মাঝে গত রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ত্রাণ ও অর্থ সহায়তা বিতরণ শেষে ঢাকা ফিরে পরদিন দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থতা অনুভব করেন মন্ত্রী।
একজন কর্মকর্তা বলেন, বিকেলে সচিবালয় ক্লিনিকের চিকিৎসকরা দেখেন মন্ত্রীর শরীরে বেশ জ্বর। তাদের পরামর্শে আইইডিসিআরের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করানো হয়। মঙ্গলবারের রিপোর্টে দেখা যায়, তিনি কোভিড পজিটিভ।
হাছান মাহমুদ আগে দুইবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এবার করোনায় আক্রান্ত হলেও মন্ত্রী মোটামুটি সুস্থ আছেন বলে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অবস্থান করছেন এক তরুণী। তার দাবী, হয়তো প্রেমিকের সঙ্গে তার বিয়ে হবে, নয়তো প্রেমিকের বাড়িতেই তিনি আত্মহত্যা করবেন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেল থেকে এখন পযন্ত প্রেমিকের বাড়ির সিঁড়ির উপরে বসে অবস্থান করছেন ওই তরুণী।
ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আ.আজিজুল হকের বাড়িতে। তরুণীর প্রেমিকের নাম রিপন। তিনি ওই বাড়ির আঃ আজিজুল হকের ছেলে।
তরুণী জানায়, প্রেমিক রিপনের বাড়ির পাশে তার খালার বাসা রয়েছে। দেড় বছর আগে ওই তরুণী তার খালার বাসায় বেড়াতে আসলে রিপনের সঙ্গে তার দেখা হয়। পরে রিপন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। সেখান থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্কে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলেও দাবী করেন তরুণী।
তরুণী আরও জানান, রিপন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করেছেন। এখন আর তাকে পাত্তা দেন না। তরুণীর সঙ্গে রিপন সকল ধরণের যোগাযোগ বিছিন্ন করে রেখেছেন। সম্প্রতি অন্য মেয়ের সঙ্গে রিপনের বিয়ে ঠিক হয়েছে জানতে পেরে তিনি অনশনে বসেছেন।
তরুণী দৈনিক বাংলাকে জানান, বিয়ের কথা শুনে কোন উপায় না পেয়ে রিপনের বাসায় আসছি। এখন রিপন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবো।
এদিকে, প্রেমিক রিপন ঢাকাতে অবস্থান করায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে, তার বাবা আজিজুল হক দৈনিক বাংলাকে বলেন, তার ছেলে ঢাকায় থাকেন। তিনি এবং তার ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। মেয়েটির খালা বাসা তাদের বাসার পাশে। এই সুবাধে প্রায়ই মেয়েটির যাতায়াত ছিলো তাদের বাসায়। পারিবারিক শত্রুতার জেরেই মেয়েটির দ্বারা ষড়যন্ত্রের শিকার তার ছেলে।
তার ছেলের সাথে তরুণীর দেড় বছরের সম্পর্কের বিষয়টি মিথ্যা দাবী করে তিনি আরও বলেন, অন্য মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ের বিষয়টিও মিথ্যা। আমার ছেলেকে এখন বিয়ে দিচ্ছি না। এছাড়াও তার সঙ্গে আমার ছেলের কোন প্রেমের সম্পর্কও হয়নি।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনাটি তার জানা নেই। প্রতিবেদকের থেকে মাত্র শুনলেন। তবে, ভুক্তভোগীর থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
নাটোরের সিংড়ার চলনবিলের কয়েকটি স্থান থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা মুল্যের ১৫০টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল উদ্দার করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ডাহিয়া ফকিরপাড়া ও চামারী ইউনিয়নের বিলদহর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে নিষিদ্ধ জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংশ করা হয়।
সিংড়ার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন জানান, চলনবিলেন বিভিন্ন অংশে অসাধু মৎস শিকারীরা নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মা মাছসহ পোনা মাছ নিধনে মেতে উঠেছে। চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৫০টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন স্বাধীনচেতা ও প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। ব্যক্তি জীবনে কোন ধরণের রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ও বাজে আড্ডায় জড়িত না থাকায় গ্রামের লোকজনের কাছে অদ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে বেশ সমাদৃত ছিলেন।
তিনি ফুলবাড়িয়া পৌর সদরের আল হেরা স্কুল থেকে এসএসসি শেষে ২০০২ সালে ভর্তি হন সিলেট এম সাইফুর রহমান কলেজে। তার সহোদর জসিম উদ্দিন গাজীপুরে ব্যবসা করায় ভাইয়ের বাসায় থেকেই গাজীপুর ভাওয়াল কলেজ থেকে অনার্স করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিভ হিসেবে চাকুরি করেন। বাবা মা বারণ করলেও ২০১২ সাল থেকেই পুরোদমে সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন। যার দরুণ পেশাগত কারণে পরিবার নিয়ে তিনি গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চান্দনা চৌরাস্তার ফুটপাত ও দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজির ঘটনা লাইভ করেন তুহিন। পরে নিজ ফেইসবুকে “ যেমন খুশি তেমন রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য গাজীপুর চৌরাস্তা” লিখে ভিডিও পোস্ট করেন। এর পরপরই মসজিদ মার্কেটের সামনে চায়ের দোকানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে নিহতের স্বজেনরা জানান।
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে। তিনি বয়োবৃদ্ধ হাসান জামাল ও সাবিহা খাতুনের পুত্র। পাঁচ ভাই ও দুই বোনদের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্ব কনিষ্ঠ। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের মৃত্যুতে গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবারের লোকজন বিচারের দাবি জানিয়ে আহাজারী করছেন।
সরেজমিনে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখাযায়, নিহতের মা সাবিহা খাতুন বকুল (৭৫) বিলাপ করে বলছেন আমার ছেলে তুহিন কালকেও বলেছে, আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাবো, আম্মা কোন চিন্তা করিও না তুমি ভালো হয়ে যাবা । এখন আমগরে কেডা খোঁজ নিবো। কেডা মোবাইল করবো? আমগরে কেডা দেখবো
বলে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। একই অবস্থা বয়োবৃদ্ধ পিতা হাসান জামিলের। দুদিন আগেও তাকে ওষুধ কিনার টাকা পাঠিয়েছেন বলে চিৎকার করছেন।
স্বজেনরা জানান সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন ২০০৫ সাল থেকে গাজীপুরে বসবাস করছেন। স্ত্রী মুক্তা আক্তার সেখানকার একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চাকুরি করতেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সেখানেই ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। তাদের ঘরে সাত বছর বয়সি তৌকির তিন বছর বয়সি ফাহিম নামে দুই শিশু সন্তান রয়েছে। আসাদুজ্জামান তুহিন কে হত্যা করায় তার দুই শিুশু সন্তান, স্ত্রী ও বয়োবৃদ্ধ বাবা মায়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিৎ হয়ে পড়েছে। তুহিন হত্যার বিচারের পাশাপাশি সরকারি অথবা ব্যক্তি উদ্যোগে তাদের পরিবারের পাশে দাড়ানোর অনুরোধ করেন।
প্রতিবেশি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, তুহিন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার বৃদ্ধ বাবা মা তার উপর নির্ভরশীল ছিলেন। এখন এ পরিবারটি কিভাবে চলবে, কী করবে বুঝতেছি না।
চাচাতো ভাই নাছির উদ্দিন বলেন, আমার ছোট ভাইকে যারা প্রকাশ্যে হত্যা করেছে তাদের প্রকাশ্য ফাঁসি চাই, আমাদের আর কোন কিছুই চাওয়ার নাই।
বোন সাইদা আক্তার রত্না বলেন, মাঝে মাঝে আমাদের খোজ খবর নেয়, আমার ভাই কোন দিন কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিন না, কখনো খারাপ ছেলেদের সাথে আড্ডা দিত না, কেন আমার ভাইকে হত্যা করা হলো? আমার ভাইয়ের কি অপরাধ আমরা বিচার চাই। পুলিশ কেন আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করছেনা এর জবাব চাই।
এদিকে তুহিন হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে তার নিজ মাতৃভূমি ফুলবাড়িয়াতে শুক্রবার সকালে ফুলবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিকরা মানবন্ধন করেন। পরে বাদ মাগরিব দ্বিতীয় জানাযা নামাজ শেষে তাকে বাড়ির পাশেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, নির্বাচন হচ্ছে ব্যালটের যুদ্ধ ।নবী রাসূলের জমানায় সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে তারা অংশগ্রহণ করেছে ।এখন তো আধুনিক যুগ ।আধুনিক যুগের হচ্ছে ব্যালটের যুদ্ধ।নির্বাচনটা সুধু নির্বাচন না ,এটা হচ্ছে আমাদের ব্যালটের যুদ্ধ ।
শুক্রবার (৮ আগষ্ট )দুপুর ১২টায় বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ অডিটোরিয়ামে কালাইয়া ইউনিয়ন জামায়াতের মহিলা বিভাগের উদ্যোগে কেন্দ্রভিত্তিক ছাত্রী ও মহিলা দায়িত্বশীল সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, এই যুদ্ধ আল্লাহ আমাদের প্রত্যেক ভাই -বোনদের জন্য ফরজ করেছে ।সুতরাং ফরজ কাজ মনে করে ,আমরা সালাত যেমন আদায় করি ।আল্লাহ্ জমিন ,আল্লাহ্ দিনকে বিজয় করার কাজ টাকেও ঠিক একই ভাবে আমাদের দায়িত্বশীল যারা,কর্মী যারা ,সহযোগী যারা তাদের একই ভাবে ধারণ করতে হবে ।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ আমাদের দাওয়াতি কাজ করতে হবে ,বোনদের কাছে পৌঁছাতে হবে ।এটা মৌলিক কাজ ।বাড়ি বাড়ি,ঘরে ঘরে ,জনে জনে ,বারে বারে এই স্লোগান নিয়ে বোনদেরকে বের হতে হবে ।আমরা বোনদের কাছে দাওয়াত দিবো জনে জনে ,বারে বারে ।
তিনি বলেন, বাউফলে অনেক বলেন মাসুদ ভাই আপনার সালাম আমাদের কাছে এই পর্যন্ত ২-৩ বার পৌছেছে, অন্য কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আসে নাই । এই প্রথম আপনি যার কাছে পৌঁছাতে পারবেন স্বাভাবিকভাবেই তার আপনার প্রতি একটা দূর্বলতা থাকবে ।আমরা এই দূর্বলতাকে কাজে লাগাতে চাই ।আমরা সবার আগে সবার কাছে পৌঁছাতে চাই ।
এতে সভাপতিত্ব করেন কালাইয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা মোঃ মোশাররফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাউফল উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইসাহাক। জামায়াত নেতা মোঃ হাসনাইন, মোহাম্মদ রাসেল, মাহমুদ হাসানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
রুবাইয়াত হোসেন খানকে সভাপতি এবং মনিরুজ্জামান রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার মিরাজকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ মাগুরা জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ মাগুরা জেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটি হলো :
সভাপতি: মোঃ রুবাইয়াত হোসেন খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি: মোঃ আসলাম পারভেজ পলাশ, সহ-সভাপতি:মোঃ মারুফ হোসেন মুন্না ও মোঃ শামীম হোসেন মিলন।
সাধারণ সম্পাদক: মোঃ মনিরুজ্জামান রাসেল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক: এ্যাড. জিয়াউর রহমান তিতাস,যুগ্ম সম্পাদক:অনিক অপু ও মোঃ লাবু ইসলাম
সাংগঠনিক সম্পাদক: ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক: মোঃ অনুপ সিদ্দীকি , প্রচার সম্পাদক: নাঈমুর রহমান কোষাধ্যক্ষ:মোঃ সাইফুল ইসলাম ক্রীড়া সম্পাদক:মোঃ আল আমিন ডলার সহ ক্রীড়া সম্পাদক:মোঃ হাদীউজ্জামান লেলিন
সম্মানিত সদস্য:মোস্তাক বিশ্বাস , রিপন ইসলাম জনি, মোঃ আরমান হোসেন,মোঃ আল আমিন মোল্যা,মোঃ সাইদুজ্জামান হামীম , মোঃ রিফাতুল ইসলাম রায়হান, শাহ আলম,জুলফিকার আলি,আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা: আলী আহমেদ,
উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য:
আখতার হোসেন,আহসান হাবিব কিশোর, ফারুকুজ্জামান ফারুক,খাঁন হাসান ইমাম সুজা,এ্যাড. রোকনুজ্জামান,আলগীর হোসেন,মিথুন রায় চৌধুরী,শাহেদ হাসান টগর ,পিকুল খান।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক: মনোয়ার হোসেন খান
পৃষ্ঠপোষক বৃন্দ:
শরীফ আজিজুল হাসান মোহন, শামসুর রহমান শামসু্,শহিদুল ইসলাম রুপক,মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ডলার,মাহফুজুর রহমান,ইঞ্জিঃ জিয়াউর রহমান,আবুল হোসেন মিনা লিটন,মোঃ সুমন হোসেন,কাজী আল-আমিন।
‘মাদকের বিরুদ্ধে হই সচেতন, বাঁচাই প্রজন্ম বাঁচাই জীবন’—এই প্রতিপাদ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাদক ও অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হেল্প সোসাইটি’র আয়োজনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
তিরনইহাট ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত কর্মী মাহমুদুল ইসলাম মামুন, তেঁতুলিয়া মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর কমলেশ, শিক্ষক হুমায়ুন কবির, সমাজসেবক তুষার হোসাইন, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমানুল্লাহ আমান এবং হেল্প সোসাইটির সভাপতি শাকিল আহমেদ।
সভায় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০ সদস্যের মাদকবিরোধী কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘মাদক ও অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে ইউনিয়নে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ ছাড়া, যুব সমাজকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে ফকিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘চেয়ারম্যান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট’ আয়োজনেরও ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে পরিবেশকর্মী মাহমুদুল ইসলাম মামুনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে হেল্প সোসাইটি। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে এলাকার গুণীজনদের সম্মাননা জানানোসহ মাদক ও অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
নওগাঁর ধামইরহাট ও সাপাহার সীমান্ত দিয়ে নারী শিশুসহ ১৮জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্ত পিলার ২৭১/১ এস ও সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২ এস এর কাছ দিয়ে পুশইন করলে বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করেছে।
ধামইরহাটে আটককৃতরা হলেন- খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাদশা মিয়া (২০), ইমরান গাজী (৩৪), নাজমুল হাসান (২৪), খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শিশু মোছা. সুমা মোল্লা (৪), শিশু রায়হান মোল্লা (৪), নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মোছা. নুপুর খানম (২২), শিশু মোছা. আশিকা খানম (৪), মোছা. মনিরা খাতুন (১৮), মোছা. রাবেয়া শেখ (২৮), বাবু শিকদার ( ১৭), প্রিয়া শিকদার (২৬), শিশু ফাতেমা শেখ (৭), মোছা. ববিতা শিকদার (৩৫), যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার মোছা. দুলি বেগম (৪০)।
সাপাহারে আটককৃতরা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার উথলী গ্রামের ইমদাদুলের স্ত্রী মোছা. হেনা খাতুন (৩৮), একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের বালাম শিকদারের স্ত্রী রূপালী (৩৫), তাদের মেয়ে চাঁদনী (৮) এবং ছেলে রমজান (২ বছর ৬ মাস)।
বিজিবি ১৪ (পত্নীতলা) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, ভোরে ১৪ বিজিবির কালুপাড়া বিওপির টহল দল হাবিলদার রুপম চাকমার নেতৃত্বে একটি টহল দল বাংলাদেশের ৫০গজ অভ্যন্তরে সাতনাপাড়া আম বাগানে তাদেরকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের বোম্বাই শহরে ৪জন পুরুষ রাজমিস্ত্রী এবং ৭জন মহিলা বাসা বাড়ীতে কাজ করতে যান। পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশ (সিআইডি) তাদের আটক করে। আজ ভোরে ভারতের বালুরঘাট বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা বাংলাদেশে পুশইন করে।
এদিকে সাপাহার সীমান্তে আটকৃতরাও কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়ে বাসা–বাড়িতে কাজ করতেন। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে ‘চেকব্যাক’ প্রক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের ছত্রাহাটি বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠালে ভোরে তাদেরকেও বাংলাদেশ পুশইন করা হয়। ভোরে সাপাহারের বামনপাড়া বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২ এস থেকে প্রায় ৮০০ গজ ভেতরে রসুলপুর গ্রামের জামে মসজিদের পাশ থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাম জাফর বলেন, বিজিবি এখনো আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করেনি। হস্তান্তরের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আজিজ জানান, আটককৃতদের ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে চলতি বছরের ৩১ জুলাই ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০জনকে পুশইন করে বিএসএফ।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজ রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক আলী রীয়াজ একথা জানান।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন করার একটা বড় রকমের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে যতটা সম্ভব স্বচ্ছতার সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিশন একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছে বলে আমি মনে করি। এর ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।
এ সময় তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ২০টি বিষয়ের মধ্যে ১১টি বিষয়ে কোনো ধরনের ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট ছিল না, বাকি ৯টি বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’সহ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্থানীয় শাসন ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধি বা জাতীয় সংসদ সদস্যদের যে প্রভাব থাকে, তা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আইনত বৈধ নয়। যেভাবে স্থানীয় পর্যায়ের কার্যক্রমে জাতীয় সংসদের সদস্যগণ যুক্ত থাকে, সেটা তাদের থাকার কথাও নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় যে ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সাংসদদের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে।
যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট আছে জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণের পর তার ভবিষ্যত কী হবে, তা জানতে চাওয়া একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক অবস্থা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা কী এবং কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করলে নোট অব ডিসেন্ট গুরুত্ববহ হবে, তা জানতে বিশেষজ্ঞগণের মতামত নেওয়া হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল যখন ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তার গুরুত্বও বিবেচনা করতে হবে।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের কথা বলছে- এই প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন যুক্ত নয়।
কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের কথা বলেছে। এ সনদ বাস্তবায়নের জন্য পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। এ আলোচনার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদী হবে না বলেও জানান তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ঐকমত্য কমিশনের এই সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, কমিশনের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর কিভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা কেমন হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসবে কমিশন।
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিকেরা।
কর্মসূচি থেকে সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টানমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন বন্ধের দাবি জানানো হয়।
শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজার মোড়ে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব।
প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি দৈনিক মানবজমিন-এর স্টাফ রিপোর্টার (কিশোরগঞ্জ) আশরাফুল ইসলাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক নয়াদিগন্তের জেলা প্রতিনিধি মো. আল আমিনের সঞ্চালনায় এতে নিউ নেশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আলম সারোয়ার টিটু, বাংলাদেশ প্রতিদিন এর জেলা প্রতিনিধি সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কালের কণ্ঠ ও এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি শফিক আদনান, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি তাফসিলুল আজিজ, মাছরাঙা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি বিজয় রায় খোকা, সংবাদের জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান সাজু, ডিবিসি নিউজ ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি রাকিবুল হাসান রোকেল, এখন টিভি’র জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমান কায়েস, দেশ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি তোফায়েল আহমেদ তুষার, দৈনিক ডেসটিনি’র জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম শাহীন, কালের নতুন সংবাদের সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, দৈনিক ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর শাহ্ বাদশাহ্, সকালের সময়ের জেলা প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম ভূঁইয়া, আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাজন আহম্মেদ পাপন, স্বদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আলী রেজা সুমন, আজকের বিজনেস বাংলাদেশ এর নিজস্ব প্রতিবেদক আতা মোহাম্মদ উবায়েদ, আজকের দর্পনের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান খান লিপন, খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি তাসলিমা আক্তার মিতু, দৈনিক নতুন দিনের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবু সাঈদ, মুফতি মাহমুদুর রহমান, দৈনিক দেশের কণ্ঠ এর জেলা প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক ভূঁইয়া, শুরুক নির্বাহী সম্পাদক মো. সাইফুল্লাহ সাইফ, সাউথ এশিয়ান টাইমস এর জেলা প্রতিনিধি মো. মনির হোসেন, জনবানীর জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমান নাদিম, ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি হারিছ আহমেদ, দৈনিক গণজাগরণের জেলা প্রতিনিধি তন্ময় আলমগীর, বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ এর জেলা প্রতিনিধি মো. সাখাওয়াত হোসেন আকাশ, আজকের বাংলা’র প্রতিনিধি মো. আলাউদ্দিন শুভ, মাইমশিল্পী রিফাত ইসলাম, সাংবাদিক জাহিদ হাসান মুক্তার প্রমুখসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বক্তারা সাংবাদিক তুহিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি সব ধরনের সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা বন্ধের দাবি জানান।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে ১১ জন নারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোরে তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানী সীমান্ত এলাকায় এই অভিযান চালায় ৫৬ বিজিবির সদস্যরা।
নীলফামারী ব্যাটালিয়নের (৫৬ বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুকানী বিওপির দুটি দল সীমান্ত পিলার ৭৪২/১-এস এর কাছাকাছি আমজোয়ানী এলাকায় অভিযান চালায়। ভোর ৪টার দিকে তারা ওই ১১ নারীকে ভারতে অনুপ্রবেশের আগে আটক করে।
আটকৃতরা যশোর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা।
বিজিবি জানায়, তারা দালালের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, একাধিক দালাল চক্রের মাধ্যমে তারা মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা চুক্তিতে সীমান্ত এলাকায় আসেন। আটক নারীদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজিবি আরও জানায়, সীমান্তে চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
ভারতে চোরাচালানের সময় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় আড়াই কেজি ওজনের ২১টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় আটক করা হয়েছে আবদিন মিয়া নামে এক চোরাকারবারিকে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ৮৯০ টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী। আটক আবদিন মিয়া (৩৫) জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আনার আলীর ছেলে।
বিজিবি জানায়, দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণ চোরাচালানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনার ঈশ্বরচন্দ্রপুর সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। এসময় একটি মোটরসাইকেলযোগে দুই ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যাওয়ার পথে তাদেরকে থামার সংকেত দেওয়া হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে একজন পালিয়ে যায়, অন্যজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পরে পুকুর থেকে তাকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা। পরে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২১টি স্বর্ণের বার।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী জানান, ২১টি স্বর্ণের বারের ওজন ২ কেজি ৪৪৯ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ৮৯০ টাকা। আটক আসামিকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে বড় অগ্রগতি এসেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে। বর্তমানে সিসিটিভি ফুটেজের সাথে তাদের মিলিয়ে সনাক্তকরণের কাজ চলমান রয়েছে
সরজমিনে জানা যায় , ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল এক হানিট্র্যাপ থেকে। গোলাপি নামে এক নারী বাদশা নামের একজনকে প্রলোভনে ফেলে, তার সঙ্গে থাকা সশস্ত্র যুবকরা বাদশাকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। কাছাকাছি দাঁড়িয়ে মোবাইলে দৃশ্যটি ধারণ করছিলেন সাংবাদিক তুহিন। এ সময় হামলাকারীরা তার ওপর চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, দাড়িওয়ালা ও মাথায় ক্যাপ পরা ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান চাপাতি হাতে দৌড়াচ্ছে। তার সঙ্গে শাহজামাল, বুলেট ও সুজনসহ আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় উদ্ঘাটনের জন্য কাজ চলছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (ক্রাইম) রবিউল হাসান বলেন- পাঁচজনকে আটক করে আনা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের সাথে মিলিয়ে এদের সনাক্তকরণের কাজ চলছে। আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি এই মামলায় জড়িয়ে না যায়।”
পুলিশের একাধিক টিম এখনো পলাতক গোলাপি ও চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিং ও আধুনিক শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম (সিএইচটি) অঞ্চলের ১০০টি বিদ্যালয়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগ চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, এই উদ্যোগ শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত এক বিপ্লব হবে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাসে অংশ নিতে পারবে। এতে শিক্ষার মানে সমতা নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলবে, যা তাদের উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনে সহায়ক হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে জাতিগত জনগোষ্ঠীর মানসম্পন্ন শিক্ষার নিশ্চয়তা সম্পর্কে জানতে চাইলে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমার মূল চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা। অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। আমরা সবসময় কোটা পাবো না। প্রতিযোগিতা করতে হলে কিছু ভালো স্কুল-কলেজ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আমার প্রধান চিন্তা স্যাটেলাইট শিক্ষাব্যবস্থা। এ জন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে হোস্টেল নির্মাণ করতে হবে।
সরকার পার্বত্য অঞ্চলে প্রকৌশল কলেজ, একটি নার্সিং কলেজ, হোস্টেল, অনাথালয় এবং ছাত্রাবাস নির্মাণের পরিকল্পনাও করছে বলে জানান উপদেষ্টা।
পার্বত্য এলাকার জনগণকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে সরকার তিন বছর মেয়াদি বাঁশ চাষ পরিকল্পনা এবং আরও পশুপালন ও মৎস্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, পার্বত্য জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হবে বাঁশ চাষ। আমরা বাঁশের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলতে চাই এবং এ অঞ্চলের পানি সংকট কমাতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা প্রকৃতি ও পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখেই পাহাড়ি অঞ্চল উন্নয়ন করতে চাই। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ একটি অত্যন্ত কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজু বাদাম, কফি ও ভুট্টার চাষেরও উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোর উন্নয়নে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরতা গড়ে তোলা এবং এলাকার সব সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, এই সরকার সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সবার অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরতা অর্জনে আমরা নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। পাশাপাশি আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই , পার্বত্য চট্টগ্রামে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়।
বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেই দেশকে এগিয়ে নিতে চায় উল্লেখ করে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এই সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে সকল সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা এবং একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের সকল দুয়ার উন্মুক্ত করেছে। পাহাড়ি জনগণ কৃষিখাতে পিছিয়ে আছে। আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় উৎপাদিত কফি ও কাজু বাদামের উৎপাদন সারাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে দিতে।
তিনি বলেন, আমরা পাহাড়ি জনগণ আর পিছিয়ে থাকতে চাই না। আমরা দেশের মূল স্রোতের সঙ্গে একীভূত হতে চাই। সমাজে সকলে যেন ভূমিকা রাখে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সমাজ, ধর্ম ও রাষ্ট্র সম্পর্কে ভাবতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকবে হবে।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদের সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো উচিত।
তিনি রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদকে সোনার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এই জলাশয় থেকে মাছ আহরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।
উপদেষ্টা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান সরকার আমাদের সবদিক থেকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় আমরা একটি সমৃদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই সরকার সকল নাগরিকের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সরকার পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উন্নত ও সহায়ক ক্রীড়া পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।