বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি, প্রথমবার পাড়ি দেবেন পদ্মা সেতু

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত : ৫ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:০৬

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন থেকে সড়কপথে রওনা হবেন তিনি। এবারই প্রথম তিনি পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন এই সফরের মাধ্যমে।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গোপালগঞ্জে যাবেন। যাওয়ার পথে তিনি পদ্মা সেতু এবং সংলগ্ন বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করবেন।’

গত ২৫ জুন ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।

উদ্বোধনের পর এবারই প্রথম এই সেতুতে উঠতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপ্রধান আবদুল হামিদ।

বঙ্গভবন থেকে জানা গেছে, আগামী শুক্রবার দুপুরে রাস্ট্রপতি বঙ্গভবন থেকে উদ্দেশে রওনা দেবেন। বিকেলে জাতির পিতার সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। পরে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নিয়ে পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে সই করবেন।

টুঙ্গিপাড়ায় চা চক্রে অংশ নিয়ে কাশিয়ানী উপজেলার কালনা সেতু পরিদর্শন করবেন আবদুল হামিদ। সেখান থেকে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় যাবেন। সেখানে তিনি সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সংসদ সদস্য প্রয়াত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর কবর জিয়ারত করবেন।

সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি সরাসরি বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব।

এদিকে, দৈনিক বাংলার গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষে আগামী ৬ ও ৭ অক্টোবর টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘৭ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতির পিতার সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়া আসছেন। তার আগমন উপলক্ষে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা ও ধোয়া-মোছাসহ বিভিন্ন সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করতে হবে। এ কারণে সমাধি কমপ্লেক্স দুই দিন সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে।’


কুমিল্লায় সবজিখেতে গাঁজা চাষ, গ্রেপ্তার চাষি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সবজিখেতে গাঁজা চাষের অভিযোগে মো. দুলাল মিয়া (৪৮) নামের এক কৃষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, গতকাল (বুধবার) মধ্যরাতে দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তিনি উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের বড়াইল পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, অভিযানে একটি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। দুলাল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সবজিখেতের আড়ালে গোপনে গাঁজা চাষ করে আসছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের অভিযানের আগেই তিনি অতিরিক্ত গাছ সরিয়ে ফেলেছেন।

পরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বক্সে রাখা শুকনা গাঁজা এবং ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে আসামিকে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


পঞ্চগড়ের রাবেয়া চক্ষু হাসপাতালের রোগিরা পাচ্ছে স্বল্প মূল্যে উন্নত সেবা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

পঞ্চগড়ের একমাত্র চক্ষু হাসপাতাল যেখানে রোগীরা পাচ্ছে স্বল্প মূল্যে উন্নত সেবা।

পঞ্চগড় শহরের জালাসী মোড়ের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে রাবেয়া চক্ষু হাসপাতালটি ২০২৩ সালের দিকে যাত্রা শুরু করে।

যাত্রা শুরু করার পর থেকেই তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে রোগীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করে ফেলেছে। তারা উন্নত মানের সেবা দিয়ে আসছে রোগীদেরকে।

রাবেয়া চক্ষু হাসপাতালে কম্পিউটারে চোখের পাওয়ার পরীক্ষা, স্লিট ল্যাম্পে চক্ষু পরীক্ষা, রেটিনা পরীক্ষা, নেত্রনালী পরীক্ষা, চোখের প্রেসার পরীক্ষা করতেছে। স্বল্প টাকায় বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর রিপোর্ট দেখে তারা চিকিৎসা দিচ্ছেন।

বড় ধরনের কোন সমস্যা দেখা দিলে তার জন্য অপারেশন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। অল্প টাকায় তারা অপারেশন করাচ্ছেন।


দিনাজপুর গাওসুল আজম বি এন এস বি চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন ডাঃ কাকলী চৌধুরী প্রতি শুক্রবার, চক্ষু এম সি এইচ এর সাবেক এম ও ডাঃ বিনু চরন রায় বিনয় শনিবার, রবিবার, মঙ্গলবার, পিজিটি চক্ষু ডাঃ রিয়াদ ইবনে মাহমুদ প্রতি সোমবার, ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের পিজিটি চক্ষু ডাঃ আরিফ চৌধুরী প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোগী দেখছেন।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার দশমাইল এলাকার মহিজান বেগম জানান, চোখের ছানি নিয়ে আমি খুব সমস্যায় ছিলাম। বিভিন্ন মানুষের কাছে শুনেছি রাবেয়া চক্ষু হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা দেয়। তাই এখানে এসে চিকিৎসা নিয়েছি। অপারেশন করার পর এখন অনেক ভালো আছি।

সদর উপজেলার জিয়াবাড়ি এলাকার আব্দুল আজিজ জানান, আমার চোখে পাথরের ঝাটা লাগছিল। তারপর থেকে চোখের সমস্যা হয়েছে। এখানে চিকিৎসা করানোর ফলএদ্রুত সময়ের মধ্যে ভালো হয়েছি।

হাসপাতালের প্রোগ্রাম অফিসার সাইফুল ইসলাম সুমন জানান, উন্নত সেবার অংগীকার নিয়ে এলাকার লোকজনের কথা চিন্তা করেই হাসপাতালটি তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিটি এলাকায় বিভিন্ন চিকিৎসক দিয়ে কম্পেইন করেছি। রোগীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। জটিল রোগীদেরকে উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। আমাদের এখানে পর্যাপ্ত পরিমানে বেডের ব্যবস্থা করা আছে। অভিঙ্গ চিকিৎসক ও নার্স রয়েছে তারা উন্নত মানের সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

রাবেয়া চক্ষু হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউন নবী সরকার জানান, পঞ্চগড়ের চক্ষু রোগীরা আগে ঠাকুরগাঁও, ভুল্লী, দিনাজপুর, রংপুর গিয়ে চোখের চিকিৎসা করতো। এতে তাদের অনেক টাকা খরচ হতো এবং অনেক সময় নষ্ট হতো। তাদের কথা চিন্তা করে আমি পঞ্চগড়ে এই চক্ষু হাসপাতাল স্থাপন করেছি। অল্প খরচে অল্প টাকায় তারা উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে।


সোনাইমুড়ীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা,জনদুর্ভোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী উত্তর 

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতঘরেও ঢুকে পড়েছে বৃষ্টির পানি।

গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পৌর এলাকার নাওতলা,শিমুলিয়া, ভানুয়াই,কৌশল্যারবাগ,বিজয়নগর, কাঁঠালি, পাপুয়া,বাটরা ও সোনাইমুড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।পৌর এলাকা ছাড়াও উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন খালে অবৈধ স্থাপনা থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বুলয়া খালে স্থানীয় ভানুয়াই গ্রামের চিহ্নিত ভূমিদস্যু মনির মিয়া,শিমুলিয়া গ্রামের রফিক উল্লাহ সহ ভূমি দস্যু কয়েকটি সিন্ডিকেট সরকারি এই খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনে ধীরগতি দেখা দেয়। অনেক বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসগামী লোকজনকেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। স্কুলে যাওয়ার পথে একাধিক শিশু জলকাদায় পড়ে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক দোকানপাটও।

সোনাইমুড়ী বিভিন্ন ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে সরজমিনে গেলে দেখা যায়, বজরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে পানি, কাশিপুর তহশিল অফিসের সামনে পানি উঠেছে। এতে করে জমির মালিকরা এ অফিসে যেতে পারছে না। আমিশাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় পানি ঢুকে গেছে। জয়াগ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভিতরে পানি ডুবে যাওয়ায় অফিস করা সম্ভব হচ্ছে না।

সোনাইমুড়ী সহকারী কমিশনার ভূমি দ্বীন আল জান্নাত বলেন, দেশের অন্যান্য উপজেলা থেকে সোনাইমুড়ি উপজেলায় সরকারি খাল, নালা বেদখল হয়েছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কিছু কিছু জায়গায় উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার দৈনিক বাংলাকে জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিপূর্বে খাল পরিষ্কার করা হয়েছে। উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


শিশু আছিয়ার পরিবারে দুটি গাভী উপহার দিলেন জামায়াতে আমির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরার আলোচিত নিহত শিশু আছিয়ার পরিবার কে কেন্দ্রীয় জামায়াতে আমির ডা: শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে দুটি গাভী বাছুর সহ একটি গোয়ালঘর উপহার দেয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেলে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার পরিবারে আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন উপস্থিত হয়ে গরু প্রদান করেন। এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এমবি বাকের, সাবেক আমির কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিন সহ জামাতের স্থানীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ মাগুরা নিজনান্দুয়ালী বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশু আছিয়া তার বোনের শ্বশুর দ্বারা ধর্ষিত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে ধর্ষকের ফাঁসি দাবি উঠে। গত ১৭ ই মে ধর্ষক হিটু শেখের ফাঁসির রায় ঘোষণা হয়।

দরিদ্র আছিয়ার পরিবারকে সান্তনা দিতে গত ৫ই মার্চ জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা: শফিকুর রহমান আছিয়ার মাকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।


রাজশাহীতে বালাইনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত- বারসিকের গবেষণা, সংবাদ সম্মেলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আমিনুল ইসলাম বনি, রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহীতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান মূলক সমীক্ষা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর জিরোপয়েন্টে একটি রেস্তোরায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে যে গবেষণা পত্র উপস্থাপিত হয়েছে তাতে দাবি করা হয়, দেশের চারটি এলাকায় নিষিদ্ধ কীটনাশকের ভয়াবহ প্রভাব পড়তে দেখা গেছে। সেখানে বলা হয়, শুধু রাজশাহীর ৮ জেলায় ১৯ টি গ্রামে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গেছে দেশে নিষিদ্ধ বালাইনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতকরা ৯৩.৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারী জানেনা এটি নিষিদ্ধ বিপজ্জনক কীটনাশক। বারসিকের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজারে অহরহ এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে, যেটি দেখার জন্য সরকারের কোন তদারকি নেই। গবেষণায় বলা হয়, এসব নিষিদ্ধ কিটনাশক ব্যবহার করে কৃষক ও সাধারন মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। আয়োজকরা বলেন,কীটনাশকের সহজলভ্য ও অনিয়ন্ত্রিত বিক্রয় শুধু জনস্বাস্থ্য নয় আত্মহত্যার একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে দেখা যায় ৩২ জনের মধ্যে তিনজনায় আত্মহত্যা করার জন্য কীটনাশক পান করেছিল। গবেষণা এলাকা রাজশাহী জেলার আটটি উপজেলা থানার সকল ১৯ টি গ্রামে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে গবাদি পশু পাখি যেমন হাঁস মুরগি কবুতর গরু ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শুধু মানব সাস্থ্য নয় বরং পরিবেশের প্রতি মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে ফুরাডন, প্যারাকয়েট ও ক্লোরোপাইরিফ জাতীয় কীটনাশক মাটি-পানি ও প্রাণী বিচিত্র ধ্বংসের বড় ভূমিকা রাখছে। কীটনাশক প্রয়োগের পরপর পুকুরের মাছ ব্যাঙ ও মৌমাছি বা মৌ পতঙ্গ জাতীয় কমেছে এবং কিছু বিলুপ্ত হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের ও খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) বিপদজনক কীটনাশক যেমন প্যারাকোয়েট,ফুরাডন, মনোকটোপাস এসব কীটনাশক ত্বক, চোখ ও শ্বাসনালী মাধ্যমে দিয়ে দেহে প্রবেশ করে ক্যান্সার মাথাব্যথা বমি, বুক ধরফরানি কিডনি বিকলতা, এবং অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। তাই উক্ত মালের মাধ্যমে নিষিদ্ধ কীটনাশক বিপণন ও ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করার আহবান জানানো হয়েছে। নিষিদ্ধ কিটনাশকও ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। কিটনাশক আইন ও বিধির প্রয়োগ করতে হবে। কিটনাশক সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য নিবন্ধন করতে হবে। কিটনাশকের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপুরণ তহবিল গঠন করতে হবে। শিঘ্রই এ সকল বিষয় নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানান আয়োজকরা।


পটুয়াখালীর বগা ফেরিতে ৪ গুণ বেশি ভাড়া আদায়,ইজারা বাতিল করলো সওজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদীর বগা ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফেরির ইজারা বাতিল করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। গত ২৪ জুলাই ফেরিঘাটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সওজকে বুঝিয়ে দিয়ে ইজারাদার দায়িত্ব ছাড়েন। প্রতিদিন সহস্রাধিক যানবাহন এ ফেরি দিয়ে পারাপার হয়।

সওজ সূত্র জানায়, বাস ও মিনিবাসের জন্য নির্ধারিত ভাড়া ছিল যথাক্রমে ৪৫ ও ২৫ টাকা, যা থেকে নেওয়া হতো ৩০০ ও ২০০ টাকা। ভারী ট্রাকের ১০০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের ১৫ ও ২৫ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হতো। মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহন থেকেও দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠে।

জানা যায়,এনসিপি যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন প্রথমে পটুয়াখালী সড়ক বিভাগে মৌখিক অভিযোগ এবং পরে সওজর উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের পর পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইজারাদারকে তিন দফা নোটিশ ও কারণ দর্শানোর চিঠি দেন। কোনো জবাব না পাওয়ায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি চিফ ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তর থেকেও আলাদা তদন্ত হয়। দুই দফাতেই অভিযোগের সত্যতা মেলে।

পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামিল আক্তার লিমন বলেন, ইজারাদারকে সংশোধনের জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। তদন্তে প্রমাণ মেলায় চিফ ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তরের নির্দেশে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ইজারাদার শিবু লাল দাস বলেন,আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আগের ইজারাদারের মতোই ভাড়া নিয়েছি। সরকার ভুল ভাড়া নির্ধারণ করেছে। আদালতে আছি, আশা করি ফের দায়িত্ব ফিরে পাব।


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি ডিসেম্বরের মধ্যে হয়, তাহলে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী জেলা প্রতিনিধি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি ডিসেম্বরের মধ্যে হয়, তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ফেনীর গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মিন্টু বলেন, ফেনীর নির্বাচনী ইতিহাস সবার জানা। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ বিএনপি এখানে জয়ী হবে। আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া)ও নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন। ফেনীতে নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।

তিনি আরও বলেন, লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। আমরা আশা করি, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তা আগেও হতে পারে, এমনকি জানুয়ারিতেও। সুপ্রিম কোর্টে কেয়ারটেকার সরকার সংক্রান্ত মামলা চলছে। যদি কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহাল হয়, তবে তাদের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।

সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকলে ভালো কাজ করবে না উল্লেখ করে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বিগত ১৯ বছর আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে আসছি। কেউ যদি বলে আমরা হঠাৎ করে নির্বাচন চাচ্ছি বিষয়টি সঠিক নয়।

২০০৬ সাল থেকেই আমরা নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না হলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকেন তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না। তাই আমরা চাচ্ছি নির্বাচনটি হোক।

তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। গত দুই যুগে প্রকৃত নির্বাচিত সরকার না থাকায় জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে।


এসএসসি  জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

এসএসসি -২০২৫ এর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আ. খ. ম ফারুক আহমেদ।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি ) তাপস শীল, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। শিক্ষকদের পক্ষ বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র শিক্ষক রতন কুমার রায়, তাপস রায় চৌধুরী, মো. মফিজুর রহমান, অসীম চন্দ্র বর্মণ।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, ফাতিমা ইসলাম রিচি, সিলভিয়া রউফ, মিতিলা দাস মিলি, সাহিবা রহমান সাহেরী প্রমুখ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে কৃতী শিক্ষার্থীদেরকে সম্মাননা সহ ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া এবং অতিথিবৃন্দ।

এসএসসি -২০২৫ সালে সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ- ৫ পেয়ে জেলায় সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়।


আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসরিন সিপু, বরগুনা প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের শরীফবাড়ী ষ্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী জেএইচ ক্লাসিক নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ছয়জনকে বরিশাল ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার বিকেলে।

জানাগেছে, কুয়াকাটা থেকে জেএইচ ক্লাসিকের যাত্রীবাহী বাস পটুয়াখালী যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের শরীফবাড়ী ষ্ট্যান্ডে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ওই বাসে থাকা ১৫ জন যাত্রী আহত হয়। গুরুতর আহত অপরাজিতা (খুলনা), সুলতানা পারভীন (কুমিল্লা) , নাহিদা সুলতানা (জয়পুরহাট), নুসরাত জাহান (খুলনা), রনজিৎ ও দুলাল চন্দ্রকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অপরাজিতা, রনজিৎ ও সুলতানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম ) হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহত যাত্রী সুলতানা পারভীন বলেন, কুয়াকাটা ভ্রমণ শেষে গ্রামের বাড়ী যেতে কুয়াকাটা থেকে গাড়ীতে ওঠি। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেছে। এতে বাসের অনেক যাত্রী আহত হয়েছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহত তিনজনতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেছে। এতে বেশ কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছেন।


কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবেছে রাঙামাটির আইকন ঝুলন্ত সেতু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা উজানের পানিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির আইকন খ্যাত পর্যটকদের আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতু ডুবে গেছে। কতৃপক্ষ জানায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে সেতুর পাটাতনে পানি ছুই ছুই করছিলো। আজ বুধবার সকালে সেতুর পাটাতন ৪ ইঞ্চি পানির নিচে তলীয়ে যায়।

এদিকে সেতুটি পানিতে তলীয়ে যাওয়ায় রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশন কতৃপক্ষ নিরাপত্তা ও সেতু সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করে সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন পরিচালিত রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, এই বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টির কারনে উজানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লেকের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারনে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনে পানি উঠে যাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে আসা পর্যটক রাশেদা বেগম বলেন, বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটির প্রকৃতি অনেক সুন্দর তাই ঘুরতে এসেছি কিন্তু এসে দেখি ব্রীজের উপর পানি।

রাঙামাটি পর্যটন বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধি পেলে প্রতি বছর ঝুলন্ত সেতু পানিতে ডুবে যায়। আজকে সকাল থেকে সেতুর পাটাতনে পানি উঠে গেছে। তিনি বলেন, সেতু ডুবে গেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায় ,পর্যটকরা আর ঝুলন্ত সেতুতে বেড়াতে আসেনা। পর্যটন ব্যবসায় ধ্বস নামে।

কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য মতে, এ সময় হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৯ এমএসএল। কিন্তু হ্রদে পানি রয়েছে ১০৫.৫৪ এমএসএল। ৫টি ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২২ মেগাওয়াট।

উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল হলেও ১০৮ এমএসএল হলেই প্রতি বছর ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগের কথা বললেও কার্যকর কোনও ভূমিকা চোখে পড়েনি।


কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযান; ৯৫ লাখ টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ভোররাতে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর একটি বিশেষ টহল দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল মীর আলী এজাজ।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল ও চোরাচালানবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। বুধবার ভোরে সীমান্ত পিলার ২০৮০/এম হতে সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত বাজির সংখ্যা ৪,৭৫,৮৪০ পিস, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৯৫,৬৭,২০০ টাকা। বাজিগুলো বিভিন্ন প্রকার ও আকারের ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি আরও জানিয়েছে, আটককৃত মালামাল যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কুমিল্লা কাস্টমসে জমা করা হয়েছে।


জামালপুরে পানি নিষ্কাশনের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজু আহমেদ, জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের হাট চন্দ্রা পলাশ তলা ও কাজির আখ এলাকায় জলবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে হাটচন্দ্রা পলাশ তলা ও কাজির আখ এলাকার ভুক্তভোগীদের ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় এলাকাবাসী। ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন মো: হারেজ আলী, জয়বানু,শহিদুল্লাহ আব্দুর রহিম,মহসিন আলী সহ আরো অনেকে।

এ সময় বক্তারা জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টির কারণে জামালপুর পৌরসভার হাটচন্দ্রা কাজির আখ ও পলাশ তলা এলাকা পানিতে তলিয়ে যায় পুরো এলাকা। বছর জুড়ে জলাবদ্ধতার কারনে পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগ এখন চরমে। পানিতে তলিয়ে কারনে গত ৪/৫ বছর যাবৎ অনাবাদি রয়েছে ৩শ একর জমি। জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর সভায় বার বার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি তারা। অনতিবিলম্বে পানি নিষ্কাশনের জোর দাবী জানান বক্তারা।


সাটুরিয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই স্কুল মাঠে হাটু পানি, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহমুদুল হাসান, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মাত্র কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতেই মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার হরগজ নয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জমে হাটু পানি। এ অবস্থায় পানি মাড়িয়ে ক্লাসে যেতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকদেরও। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এমন পরিস্থিতি চললেও এখনো স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮১ জন। মাঠে পানি নিষ্কাশনের কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাবিখা প্রকল্প থেকে ড্রেন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা কোন কাজে আসেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪৬ হাজার টাকার বরাদ্দে মাঠে কিছু মাটি ফেলা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাজাহান মোল্লা এ কাজের দায়িত্বে থাকলেও অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ কাজ না করেই কাজ শেষ বলে দাবি করেছেন।বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় ,স্কুল মাঠজুড়ে পানি জমে আছে। নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের পানি মাড়িয়ে ক্লাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।

৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, পানি জমে থাকলে প্রায়ই আমাদের বই খাতা পানিতে পড়ে যায়। পানি জমে থাকার সময় আমরা কোন খেলাধুলা করতে পারি না। আমরা এ পরিবেশ চাই না। পড়ালেখার পাশা পাশি নিয়মিত মাঠে খেলাধুলা করতে চাই।

বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নিরবের বাবা রাসেল মিয়া জানান, বাচ্চারা স্কুলে গেলে আমাদের সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়-কখন যে পানিতে পড়ে যায় কে জানে।

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সোহানার মা শিখা আক্তার অভিযোগ করেন, শুনেছি টাকা এসেছে মাঠে কাজের জন্য, কিন্তু কাজের চেয়ে দুর্নীতিই বেশি হয়েছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই।

এ বিষয়ে হরগজ ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাজাহান মোল্লার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সীমা রানী সরকার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৮১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। স্থানীয় মেম্বার কিছু মাটি ফেলেছেন, ভবিষ্যতে আবার ফেলবেন বলেছেন। তবে মাঠে পাইপ লাগানো হয়েছে।

হরগজ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন বলেন, হরগজ নয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে পানি জমে থাকে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে কাবিখা ২৪-২৫ অর্থ বছরে বরাদ্ধ দেওয়া হয় একটি ড্রেন নির্মাণ করার জন্য। আমার জানামতে কাজটি সঠিকভাবে করা হয়নি বলে পানি সমস্যা রয়েই গেছে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে থাকা এবং কাবিখা প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে আমার দপ্তরে কেউ জানায়নি। লিখিত আকারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।


banner close