বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর: খুঁড়িয়ে চলছে সেবা

আপডেটেড
১৪ আগস্ট, ২০২৩ ১০:১৩
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর
প্রকাশিত
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর
প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০২৩ ১০:০৫

রংপুরে জনবলসংকটে ধুঁকছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। অর্ধেকেরও বেশি পদ খালি থাকায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন জেলার পশু পালনকারীরা। পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত ওষুধও। অচলাবস্থা নিরসনে দফায় দফায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।

গতকাল রোববার রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে গিয়ে জানা যায়, জেলায় ১ হাজার ৬৯০টি খামার ও গৃহপালিত প্রায় ১০ লাখ গরু আছে। আট উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মাধ্যমে সেগুলো দেখভালের দায়িত্ব জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের। জেলা দপ্তরে একজন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, প্রশিক্ষণ অফিসার, উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, একজন উচ্চমান সহকারী, ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহায়ক, চালক, নিরাপত্তা প্রহরীসহ ১১ জনের পদ থাকলেও বর্তমানে কাগজে-কলমে রয়েছেন সাতজন। এর মধ্যে আবার দুজন দীর্ঘদিন ধরে অন্যত্র প্রেষণে আছেন। ফলে এই কার্যালয়ে কর্মরত মাত্র পাঁচজন।

প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে জানা গেছে, কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ, পুনর্বাসন ও উপকরণ সহায়তা, প্রশিক্ষণ, পশুপাখিকে টিকাদান, চিকিৎসাসেবাদান, মাঠ পরিদর্শন, উন্নত প্রযুক্তি খামারিদের মধ্যে বিতরণ, পশুপাখির সুস্থতার সদন প্রদান, উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ, খামার নিবন্ধন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় জরুরি সেবাদানের কাজগুলো এই দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়।

দপ্তরটিতে কর্মরতরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে উচ্চমান সহকারী, ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, চালক ও নিরাপত্তা প্রহরীর পদ খালি। উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও অফিস সহায়কও প্রেষণে আছেন। ফলে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চালক না থাকায় কর্মকর্তারা যেতে পারছেন না মাঠপর্যায়ে। এতে কার্যালয়ের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার পশু পালনকারীরা। সেবা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে জনবল নিয়োগের জন্য দপ্তরটি সর্বশেষ ২৬ জুন মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করেছে।

গতকাল রোববার জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে কথা হয় রংপুর শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গুপ্তপাড়া এলাকার মাকছুমা আইভির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ হাসপাতালে অনেক সমস্যা। লোকজন নেই, তার ওপর ওষুধপাতিও নেই। এখান থেকে ভালো চিকিৎসা আশা করা যায় না। তাও বাধ্য হয়ে এখানেই আসি। এক সপ্তাহ আগে এখানে চিকিৎসা করাতে এসে প্রয়োজনীয় ওষুধ না থাকায় আমার একটা ছাগল মারা গেছে।’

কার্যালয়ে কথা হয় খামার নিবন্ধন করতে আসা নজিরেরহাট এলাকার পশু পালনকারী আমজাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে জনবলসংকটের কারণে অনেক সময় ধরে বসে আছি। খামার নিবন্ধন করব আর একটা প্রত্যয়ন নেব।’

রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকা থেকে আসা গোলজার হোসেন বলেন, ‘আমার একটি অসুস্থ গরুকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি। অনেক সময় অপেক্ষার পর আমাকে চিকিৎসাপত্র দিয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বলেছে।’

রংপুর ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান বলেন, ‘রংপুর একটি বিভাগীয় শহর। অথচ এ শহরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দপ্তরই লোকবলের অভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এতে আমাদের খামারিরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ ও লোকবল নিয়োগের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জোবায়দুল কবীর বলেন, ‘বর্তমানে এখানে কাগজে-কলমে সাতজন থাকলেও উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ঢাকা ও অফিস সহায়ক বদিউজ্জামান বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে প্রেষণে আছেন। জনবল না থাকায় অফিসের কাজে ঝামেলা পোহাতে হয়। মাঠপর্যায়ে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।’

জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক বলেন, ‘মাত্র কয়েক দিন হলো যোগ দিয়েছি। লোকবলসংকটের কারণে সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, শিগগিরই সমাধান হবে।’

সেবাপ্রার্থীদের ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. এনামুল বলেন, ‘সরকারিভাবে পাওয়া বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় কম। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সবাইকে সুন্দরভাবে সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

বিষয়:

রাস্তার পাশ থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি: প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:৪১
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা মোছা. রিংকু (২০) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার আক্কেলপুর এলাকার তুলসীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধ রাস্তার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

রিংকু জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রাইকাল ইউনিয়নের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুরের দিকে মরদেহটি রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। তারপর ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে মরদেহটি পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে (ওসি) আরও জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তারা মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারবে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

বিষয়:

বিএনপির নির্বাচনে আসা না আসা তাদের ব্যাপার: ইসি আনিসুর

আপডেটেড ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:০৮
কক্সবাজার প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি আসবে না সেটি তাদের ব্যপার বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিসুর রহমান।

তিনি বলেছেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সবাই আসবে এটি স্বাভাবিক। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এখনো সুযোগ থাকার কথা বিএনপিকে বলেছেন। যদি তারা আসে তাহলে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হবে।’

মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলার শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন ইসি আনিসুর।

তিনি বলেন, ‘কোনো আসনকে হালকাভাবে নেয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক আসনই গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি খারাপ হতে সময় লাগে না। তাই ব্যাপক প্রস্তুতি রাখা হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে কাজ করে যাবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যা করা প্রয়োজন কমিশন তা করবে। সেই উদ্দেশ্যে আমরা চার কমিশনার সারাদেশে সরেজমিনে যাচ্ছি।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম, কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, ৩০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ ও টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ জেলার শীর্ষ কর্মকর্তারা।


লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:০৪
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার দেবিদ্বারে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মো. ময়নাল হোসেন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে পৌরসভার চাপানগর এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত ময়নাল দেবিদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বেনু দাশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ৬টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স পথচারী ময়নালকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে অ্যাম্বুলেন্সটি একটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায়।

এসআই বেনু দাশ বলেন, ‘ভোর ৬টার দিকে কসবাগামী একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ওই ধাক্কায় যুবকের তার মৃত্যু হয়। এসময় ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

বিষয়:

মানিকগঞ্জে মোটরসাইকেল-ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

আপডেটেড ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:২২
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে মোটরসাইকেল ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী আসিবুল ইসলাম (২২) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে বরংগাইল-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আসিবুল মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের চকমিরপুর এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সকালে দৌলতপুরগামী ট্রলির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ঘিওরগামী মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলচালক আসিবুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর মোটরসাইকেল ও ট্রলি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘিওর থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রলি চালক পলাতক রয়েছেন।

বিষয়:

পাথরখেকোদের থাবায় মৃত্যুর পথে ডাহুক নদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হোসেন রায়হান, পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ডাহুক নদের গতিপথ বন্ধ করে পাথর উত্তোলন করছে প্রভাবশালী পাথর ব্যবসায়ীরা। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ডাহুকের দুই পাড়ে বন বিভাগ ও সরকারি জমি খনন করেও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ডাহুক নদ। নদের গতিপথ পরিবর্তনের পাশাপাশি শুকিয়ে যাচ্ছে নদ। নদের দুই পাড়েও দেখা দিয়েছে ভাঙন। নষ্ট হচ্ছে শত শত একর কৃষিজমি।

ভারতে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশে ১৪ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করেছে ডাহুক নদ। ডাহুকের পশ্চিমে শালবাহান ইউনিয়ন এবং পূর্ব দিকে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের হাজার হাজার একর কৃষিজমি রয়েছে। রয়েছে চা-বাগান, আমসহ নানা ফলের বাগান। স্থানীয়রা বলছেন, ডাহুক নদের পানি দিয়েই এসব জমি চাষাবাদ করা হয়। প্রতিবছর বর্ষাকালে পলিমিশ্রিত পানি ছড়িয়ে দেয় এই নদ। শুষ্ক মৌসুমে ডাহুকের পানি সেচ দিয়ে চলে শস্যের আবাদ। নানা প্রজাতির মাছের আবাসও এই ডাহুক নদে। দুই ইউনিয়নের শতাধিক জেলে সারা বছর এখান থেকে অন্তত ১৪ টন মাছ আহরণ করেন। এলাকার হাজার হাজার মানুষের আমিষের চাহিদা মেটায় এই মাছ।

কিন্তু বর্তমানে পাথর উত্তোলনের ফলে নদের গতিপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আসছে শুষ্ক মৌসুমে এই নদ মরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যত্রতত্র পাথর উত্তোলনের ফলে ডাহুকের সীমানাও হারিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় অন্তত ১০০ জন পাথর ব্যবসায়ী নদটির যেখানে-সেখানে খনন করে ডুবুরিদের মাধ্যমে পাথর উত্তোলন করছেন। ফলে নদের কোথাও কোথাও বালির ঢিবি হয়ে যাচ্ছে আবার কোথাও কোথাও সৃষ্টি হচ্ছে বিশাল গর্ত। এতে নদের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদের জল বিকল্প দিকে প্রবাহিত হওয়ার ফলে দুই দিকের পাড় ভাঙছে। কমে যাচ্ছে কৃষিজমি।

জানা গেছে, পাথর উত্তোলনে স্থানীয় একজন চেয়ারম্যান নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বেই একটি সিন্ডিকেট আইন অমান্য করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছেন। তিনি নিজেও বালাবাড়ি ফরেস্ট এলাকায় ডাহুক নদের গতিপথ বন্ধ করে পাথর উত্তোলন করছেন।

নাম গোপন রাখার শর্তে একাধিক শ্রমিক ও কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, লোহাকাচি গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আব্দুল জলিল সিন্ডিকেট ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামে প্রত্যেক পাথর উত্তোলন সাইট থেকে সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা নিচ্ছেন। এই টাকা সিন্ডিকেটের বিভিন্ন সদস্যের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল জানান, ‘আমি কোনো চাঁদা নেই না। মালিকানা জমিতে পাথর উত্তোলন করছি।’

নাওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুখ হোসেন বলেন, ‘ডাহুক শেষ। কেউ কিছু বুঝতে চাচ্ছে না। নিজেদের স্বার্থে নদটিকে হত্যা করে পাথর উত্তোলন করছে। আমার ব্যক্তিগত কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় কয়েক’শ জেলে আজ বেকার হয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ এলে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়। চলে গেলে আবার উত্তোলন শুরু হয়। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া এই নদ বাঁচানো সম্ভব না।’

প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশবিষয়ক বেসরকারি সংগঠন কারিগরের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ বলেন, পাথরখেকোরা নদী হত্যার উৎসব শুরু করেছে। দ্রুত এই অপরিকল্পিত পাথর উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে ডাহুক চিরতরে হারিয়ে যাবে।

পাথর শ্রমিকরা বলছেন, ডাহুকে হাজার হাজার শ্রমিক পাথর উত্তোলন করে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। দেশের রাস্তাঘাট, ভবন নির্মাণে কাজে লাগছে এই পাথর। তবে অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে ডাহুকের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফজলে রাব্বি বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিষয়:

সিলেট বিভাগে আওয়ামী লীগের ৯ নতুন মুখ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট ও সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ৯টিতে এসেছে পরিবর্তন।

তাদের মধ্যে সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। ২০০৮ সালে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শফিকুর। তবে গত দুটি নির্বাচনে এ আসনে দলীয় প্রার্থী না দিয়ে জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ।

সিলেট-৫ আসনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ মনোনয়ন পেয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার বার্ধক্যজনিত কারণে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি।

এ ছাড়া মৌলভীবাজার-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাওয়া সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিকল্প ধারার প্রার্থী এম এম শাহীন এখানে নির্বাচন করেন।

মৌলভীবাজার-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জিল্লুর রহমান, বঞ্চিত হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, বাদ পড়েছেন বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।

সুনামগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন পুলিশ প্রধানের ভাই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। এমপি পদে নির্বাচন করতে তিনি সম্প্রতি শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনের স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্ত।

সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সাদিক। গত দুটি নির্বাচনে এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি নির্বাচিত হন। এ দুই নির্বাচনেই এখানে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ।

এ ছাড়া হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট ড. মুশফিক হোসেন। বাদ পড়েছেন বর্তমান দলীয় এমপি গাজী মো. শাহনেওয়াজ এবং হবিগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান এমপি আব্দুল মজিদ খানের বদলে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ময়েজ উদ্দিন শরিফ রুহেলকে।

এই ৯ আসনে প্রার্থিতা রদবদল হলেও বাকি ১০ আসনে প্রার্থী অপরিবর্তিত রেখেছে আওয়ামী লীগ।

পুনরায় যারা নৌকার মনোনয়ন পেয়েছে তারা হলেন, সিলেট-১ আসনে ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৩ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট-৪ আসনে ইমরান আহমদ, সিলেট-৬ আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদ, মৌলভীবাজার-১ আসনে শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-৪ আসনে উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মুহিবুর রহমান মানিক, হবিগঞ্জ-৩ আসনে আবু জাহির ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে মাহবুব আলী।

বিষয়:

মহেশপুর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশী যুবকের লাশ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার চাপাতলা সীমান্ত থেকে রকিবুল ইসলাম নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার সকালে ওই গ্রামের ইছামতি নদীর পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বিজিবি। নিহত রকিবুল ইসলাম উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মৃত মনিরুল ইসলামের ছেলে। সে চাপাতলা গ্রামে শ্বশুড়বাড়িতে থাকত।

স্থানীয়রা জানান, সকালে ইছামতি নদীর পাড়ে রকিবুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয় গ্রামবাসী। পরে বিজিবি এসে তার লাশ উদ্ধার করে।

পেশায় রাজমিস্ত্রী রকিবুল রোববার সকালে বাড়ি থেকে বের হন। পরে আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে তার লাশ পাওয়া যায়। রকিবুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে স্থানীয়রা।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পরিচালক লে. কর্ণেল মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি লাশ পাওয়া গেছে। তাকে কে বা কারা কী কারণে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বিষয়:

ফিলিং স্টেশনে ৩ বাসে আগুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ায় একটি ফিলিং স্টেশনে রাখা তিন বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মহিষভাঙ্গা এলাকায় পাটোয়ারী ফিলিং স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে ।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম জানান, ফিলিং স্টেশনটিতে জিএম এবং আরকে.আর পরিবহনের ২০টি বাস রাখা রাখা ছিল। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ জিএম পরিবহনের তিনটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখে পাম্পের কর্মচারিরা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। তার আগেই আগুনে তিনটি বাস পুড়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।’

বিষয়:

সাতক্ষীরায় ২ ভারতীয় নাগরিক নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালক গ্রেপ্তার

আপডেটেড ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:৪৮
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থেকে মো. রেজাউল করিম (৩৮) ও মো. ইয়াকুব হোসেন (২২) নামে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা কালিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি নাজমুল হক।

তিনি জানান, সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত হন। তারা হলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এলাকার অসীম কুমার বিশ্বাস ও তার স্ত্রী ছবি বিশ্বাস। এতে গুরুতর আহত হন প্রাইভেটকারের চালক রফিকুল ইসলাম সজীব।

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর থেকেই ট্রাকের চালক পালিয়ে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চালক ও হেলপারকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়:

নির্বাচন করতে বাধা দিলে ব্যবস্থা: ইসি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন ‘সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও শৈথিল্যতা প্রদর্শন করা যাবে না। দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। যদি কারো পক্ষপাতমূলক আচরণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে তিনিই দায়ী থাকবেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে চট্রগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা-না করার এখতিয়ার সবার আছে। কিন্তু নির্বাচন বানচাল করা বা অন্যকে নির্বাচন করতে না দেওয়ার অধিকার আইন কাউকে দেয়নি।

‘এরকম কেউ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ নির্বাচন না করার অধিকার তাদের একক কিংবা দলীয় সিদ্ধান্ত। তাই বলে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। ভোটের পরিবেশ সৃষ্টিতে যা যা দরকার সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি।’

ইসি আরও বলেন, ‘কমিশন বরাবরই বলে আসছে, আমরা সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই এবং এর জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে যা যা দরকার সবই করা হবে।’

নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো শঙ্কা প্রকাশ করেছে- এই প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ এখনও শঙ্কা প্রকাশ করেনি। এরই মধ্যে ছোট-বড় বিভিন্ন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এতে মনে হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে অনেকেই মাঠে থাকবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বীতাও হবে। এই নির্বাচন আমরা আমাদের চোখ দিয়ে দেখছি না। বিশ্ববাসীও দেখছে। কাজেই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার কোনো বিকল্প নাই। যে কোনো মূল্যে গ্রহণযোগ্য করতে হবে।’

বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল পুনর্বিবেচনা করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও কারো কাছ থেকে কোনো আবেদন পাইনি। যদি কেউ নির্বাচনে আসে বা নির্বাচনের সময় নিয়ে যদি কারো কথা থাকে তবে সেক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করবো। সেই বিবেচনা করার মত যথেষ্ট সময় আমাদের আছে।’

এর আগে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজিদুর রহমান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুছ আলী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক।


কুমিল্লায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪শতাংশ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:৪১
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যা গত দুই বছরের তুলনায় কম। ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছেন মেয়েরা।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৩ টায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড.আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে অংশগ্রহণ করেছে এক লাখ ১০ হাজার ৬৫৫ জন। সকল বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৩ হাজার ৩৭০ জন। যা মোট ফলাফলের ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এবারের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ৬৫৫ জন। যা মোট ফলাফলের ছয় দশমিক ৭৮ শতাংশ।

২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৫ হাজার ২৪ জন। এ ছাড়া ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ ছিল ১৪ হাজার ১৬২ জন।

এ বছর ৪৬ হাজার ৯৮৫ জন ছেলে ও ৬৩ হাজার ৬৭০ জন মেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭৭ জন ছেলে ও ৪৯ হাজার ১৯৩ জন মেয়ে পাস করেছে। এবং জিপি-৫ পেয়েছে দুই হাজার ১৩২ জন ছেলে ও তিন হাজার ৫২৩ জন মেয়ে শিক্ষার্থী।

বিষয়:

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

আপডেটেড ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:৩৩
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের গচিহাটা এলাকায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইচ্যুত হওয়া বগি দুটি ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকাল ৭টার দিকে এই উদ্ধার কাজ শেষ হয়। যার ফলে স্বাভাবিক হয়েছে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রুটে ট্রেন চলাচল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন মাস্টার মো. মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের পয়েন্টে সমস্যা হবার কারণে ইঞ্জিনসহ বগি দুটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এতে বন্ধ হয়ে যায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রুটে ট্রেন চলাচল। পরে আখাউড়া ও ময়মনসিংহ থেকে আসা দুটি রিলিফ ট্রেনের সাহায্যে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। সকাল ৭টার দিকে ইঞ্জিনসহ বগি দুটি উদ্ধারের কাজ শেষ হয়।

এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার গচিহাটা স্টেশনে পৌঁছাবার আগে ইঞ্জিনসহ বগি দুটি লাইনচ্যুত হয়।

বিষয়:

সিলেটে আরও একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট প্রতিনিধি

দেশের সবচেয়ে পুরনো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। খনন কাজ শেষে রোববার গ্যাস প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড।

এর আগে গত জুনে এই কূপ খনন কাজ শুরু হয়। ১৪৯ কোটি টাকায় সিলেট-১০ নম্বর কূপ খনন করে চীনা কোম্পানি সিনোপেক।

কূপটিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাসফিল্ডস কর্তৃপক্ষ।

সিলেট গ্যাসফিল্ডসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, সম্পূর্ণ নতুন এই কূপটিতে গ্যাসের সন্ধান মিললো। এখানে থেকে দৈনিক ১৩ মিলিয়ন গ্যাস গ্যাস পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই কূপে মজুদ গ্যাসের মূল্য ৩৬০০ কোটি টাকা। এলএনজি আমদানি মূল্য হিসেবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

এর আগে, গত ২২ নভেম্বর সিলেট কৈলাসটিলায় পরিত্যক্ত ২ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। যেখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

এই কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘হরিপুর গ্যাসফিল্ডে মোট নয়টি গ্যাস কূপ রয়েছে। এবার ১০ নম্বর কূপ থেকে উত্তোলন শুরু হবে।’

সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৫৫ সালে। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএল-এর আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সেগুলো হলো, হরিপুর গ্যাসফিল্ড, রশিদপুর গ্যাসফিল্ড, ছাতক গ্যাসফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

জানা যায়, জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে দেশের ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে এসব খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা। এতে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসজিএফএল-এর আওতাধীন ১৪টি কূপ খনন ও পুনঃখননের কাজ চলছে। সিলেটের ১৪ কূপের মধ্যে তিনটির খনন কাজ থেকে গত বছর থেকে উৎপাদন শুরু হয়। চলতি মাসে কৈলাশটিলার ২ নম্বর কূপ থেকে উত্তোলন শুরু হয়। এবার আরেকটি কূপ উৎপাদন শুরুর অপেক্ষায় আছে।

হরিপুরে গ্যাস পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, ‘এই কূপ থেকে উৎপাদনে যেতে আরও ছয় মাসের মতো সময় লাগবে। পাইপ লাইন বসিয়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে।’

এর আগে গত বছর সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের আওতাধীন সিলেট-৮, কৈলাশটিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ নামে তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন করা হয়। এসব কূপ থেকে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে।

বিষয়:

banner close