শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৮ ভাদ্র ১৪৩২

ওয়েটার থেকে অবৈধ বারের মালিক মুক্তার শত কোটি টাকার মালিক

ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত : ৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৩৮

২০০৮ সালেও বারিধারায় এভিলিয়ন নামে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এক বছর পর গুলশান-২ লেকভিউ নামের আরেকটি রেস্টুরেন্টেও একই কাজ করেছেন। তারপর কৌশলে বাগিয়ে নিয়েছেন মদের বারের লাইসেন্স। আর সেই লাইসেন্সের আড়ালে আবারও পাঁচটি অবৈধ বার চালিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মুক্তার আলীর নামের এক ব্যক্তি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সেই টাকা দিয়ে দেশে বাড়িগাড়ি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে করেছেন অঢেল সম্পদ। সেখানে রেখেছেন স্ত্রী সন্তানকেও। সেই মুক্তার আলীকেই খুঁজছেন তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর রাজধানীর উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গরিবে নেওয়াজ রোডে অবস্থিত একটি ভবনে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে সেখান থেকে ৫০০ বোতল মদ এবং ছয় হাজার ক্যান বিয়ার জব্দ করে। ওই ভবনে কিংফিশার রেস্টুরেন্টের নামে একটি অবৈধ ‘বার’ চালিয়ে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক মুক্তার হোসেন। মুক্তারকে না পেলেও সেখান থেকে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, কিংফিশার রেস্টুরেন্টের বারের লাইসেন্স আছে।

শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের কাছে তথ্য আসে, উত্তরার ওই বাসাতে শত শত ছেলেমেয়ে গানবাজনার নামে ডিজে পার্টি করছে। সেখানে প্রচুর পরিমাণে মদ বিক্রি হচ্ছে।

ডিবি প্রধান বলেন, প্রথমে বাড়িটির সাততলায় গিয়ে তারা দেখেন, অনেক ছেলেমেয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে। পরে ভেতরে গিয়ে দেখেন, সেখানে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মদ ও বিয়ার মজুত রয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠতলায় গিয়েও একই অবস্থা দেখতে পান। সব বিদেশি মদ ও বিয়ার একত্রিত করে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চায় যে, এগুলো তারা কীভাবে দেশে নিয়ে এসেছেন? কিন্তু তারা বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সেখান থেকে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

ভবনটিতে বারের কার্যক্রম কীভাবে চলত জানতে চাইলে ডিএমপির ডিবিপ্রধান বলেন, কিংফিশার রেস্টুরেন্টের নামে ওই ভবনের এসব কার্যক্রম (বার) চলত। তাদের মিরপুর, গুলশান ও নারায়ণগঞ্জসহ আরও পাঁচটি এমন বার রয়েছে।

মামলায় প্রতিষ্ঠানটির কাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, মালিক ও ম্যানেজারসহ অনেককে মামলায় আসামি করা হয়েছে। মুক্তার পলাতক। তাকে খোঁজা হচ্ছে।

বার চালানোর সঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোনো কোরিয়ান নাগরিক জড়িত কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা যাচাই-বাছাই করছি। বারে কারা যাতায়াত করত সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


আধুনিক পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন নারায়ণগঞ্জের কৃষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা

মাছের ঘেরে সারি সারি গাছে ঝুলছে হলুদ ও কালো রঙের অমৌসুমি তরমুজ। কৃষির এই নতুন উদ্যোগ আকৃষ্ট করেছে কৃষক ও ভোক্তাদের দৃষ্টি। আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়ায় অনেক কৃষক ঝুঁকছেন এ চাষের দিকে। এমনই আধুনিকভাবে তরমুজ চাষ করছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এক কৃষক। যার নাম আধুনিক চাষি রমজান আলী। তিনি উন্নত প্রযুক্তি ও উন্নত জাতের বীজ থেকে আধুনিক চাষে চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফসল উৎপাদন করছেন।

সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গৌরবরদী গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। বাবা কৃষক তাই তিনি কৃষিতে আগ্রহী হয়েছেন। বিএসএস পাস করে তিনি চাকরির পেছনে সময় নষ্ট না করে চাষবাসে সময় দিয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকেই তিনি কৃষিতে হাতেখড়ি নিয়েছেন। ২০১৪ সালে ঢাকা বিভাগে তিনি প্রথম মালচিং চাষ পদ্ধতি শুরু করেন। টমেটো ও চিচিঙ্গা চাষের মধ্য দিয়ে তার মালচিং চাষ পদ্ধতি শুরু হয়। পরবর্তীতে একে একে তিনি দেশি ও বিদেশি সবজি ও ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন। বর্তমানে তিনি উন্নত প্রযুক্তি ও উন্নত জাতের বীজ থেকে ফসল উৎপাদন করে থাকেন। আবহাওয়া ও বাজার দরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনি আধুনিক চাষে চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফসল উৎপাদন করছেন। তিনি এখন গ্রীষ্মের ফল তরমুজ উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাড়ে ৫ বিঘা জমির চারপাশে তিনি মাচা দিয়ে কালাচাঁন ও তৃপ্তি জাতের তরমুজ চাষ করছেন। মাঝে সেখানে হলুদ ও কালো রঙের তরমুজ থোকায় থোকায় ছোট বড় ঝুলে আছে। মাঝখানের মাছের ঘের। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রমজান আলীর ফলানো তরমুজ বাজারে আসবে। পাশাপাশি তিনি পুকুর পাড়ে করলা ও লাউ চাষ করেছেন। তিনি স্থানীয় কৃষকদের প্রেরণা হয়ে উঠেছেন।

রমজান আলী জানান, এসএসসি পরীক্ষার আগে থেকেই কৃষি কাজে আগ্রহী ছিল তার। গতানুগতিক চাষ পদ্ধতি বাদ দিয়ে তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করে। উন্নত উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ রোপন করে তিনি ফসল উৎপাদন করছেন। তিনি ইউটিউব দেখে ও কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কৃষিতে সাফল্য অর্জন করেছেন। তার উৎপাদিত ফসল যাত্রাবাড়ি ও গাউছিয়া কাঁচাবাজার ও ফলের আড়তে বিক্রি হয়।

রমজান আলী আরো জানান, হালাল টাকা উপার্জনে একমাত্র স্বাধীন পেশা কৃষি কাজ। আধুনিক কৃষি থেকে তিনি মাসে গড়ে ৫০ হাজার টাকা আয় করেন।

কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, অল্প বিনিয়োগে দ্বিগুন লাভের ফসল মালচিং চাষ পদ্ধতি। তিনিই প্রথম চাষবাস শুরু করেন বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান।

গৌরবদী গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম জানান, রমজান আলী এ এলাকার কৃষকদের প্রেরণা। তার পরামর্শে এ এলাকার কৃষকরা চাষ পদ্ধতি পরিবর্তন করে লাভবান হয়েছেন। তিনি পোকা মাকড় দমনের জন্য জৈব চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করেন। ফলে অর্গানিক বাম্পার ফলন উৎপাদন হয়।

নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, কৃষি প্রধান এলাকা হলেও কৃষকরা এক সময় চাষবাস করে লাভবান হতে পারিনি। রমজান আলীর কৃষিতে চমক দেখাচ্ছেন। দেশি ও বিদেশি সবজি ও ফল উৎপাদনে সাফল্য অর্জন করছেন। তাকে দেখে, ও তার পরামর্শ নিয়ে এ এলাকার অনেক কৃষকরা লাভজনক কৃষিতে উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন।

সোনারগাঁ উপজেলা জানায়, তরমুজ একটি লাভজনক চাষাবাদ। অল্প সময়ে কম খরচে কৃষকেরা অধিক লাভবান হয়ে থাকেন। দুমাসে ফলন পাওয়া যায়। বিঘা প্রতি ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ করে অল্প সময়ে লাখ টাকার ওপরে আয় করা সম্ভব। মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রতিনিয়ত আধুনিক চাষি রমজান আলীকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদিয়া সুলতানা জানান, প্রতিনিয়ত তিনি কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ দিচ্ছেন। তাছাড়া রমজান আলী তরমুজ চাষ এ এলাকার চাষিদের জন্য অনুকরণ হতে পারে। তার দেখানে পথে চাষবাস করলে চাষিরা লাভবান হবেন। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে রমজান আলীকে সার, বীজ ও কিটনাশকসহ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জানান, রমজান আলীর এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের কৃষির নতুন সম্ভাবনার দিক দেখাচ্ছে। বর্ষাকালে মাচায় তরমুজ চাষ একটি উদ্ভাবনী পদ্ধতি। এতে করে অনাবাদি কিংবা জলাবদ্ধ এলাকার জমিও ব্যবহার করা সম্ভব। স্থানীয় বাজারে এখন তরমুজের চাহিদা বেশি, কারণ এটি সাধারণত গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও এখন বর্ষাকালে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে এর দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।


অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের রাহাতপুর মৌজায় যমুনা নদীতে ইজারাকৃত বালু মহালের বাহিরে বালু উত্তোলন করার অপরাধে মেসার্স প্রিন্স কনস্ট্রাকশনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গত বৃহস্পতিবার দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদী থেকে ইজারাকৃত বালু মহালের বাহিরে বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলনের অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত মেসার্স প্রিন্স কনস্ট্রাকশনের সুপারভাইজারকে আটক করে। পরে জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে মুচলেকায় ছাড়া পান সুপারভাইজার।

আটককৃত সুপারভাইজার মো. শরিফুল ইসলাম চাঁন মিয়া (৪৫)। তিনি সদর উপজেলার জয়রা এলাকার সালাউদ্দিনের ছেলে এবং মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা গেছে, মেসার্স প্রিন্স কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রিন্স। তিনি মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

আরো জানা যায়, বালু মহালের ইজারাকৃত অংশের ২ হাজার ফিট বাহিরে গিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। এ অপরাধে ইজারাকৃত প্রতিষ্ঠানকে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪, ৫ এবং ১৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দৌলতপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসানুল আলম বলেন, রাহাতপুর বালু মহালের ইজারাদার মেসার্স প্রিন্স কনস্ট্রাকশন ইজারা এলাকার বাহিরে গিয়ে বালু উত্তোলন করছে এমন অভিযোগে অভিযানে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থল থেকে সুপারভাইজার শরিফুল ইসলাম চানকে আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে তাকে মুচলেকায় ছাড়া হয়। এরপরেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে ইজারা বাতিলের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণ চাওয়া হবে।


নওগাঁয় আউশ ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক, ফলন ও দামে হতাশা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

উত্তরের জেলা নওগাঁয় এখন চলছে আউশ ধান কাটা-মাড়াইয়ের ব্যস্ততম সময়। মাঠে-ঘাটে কৃষকদের প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেলেও তাদের মুখে নেই হাসি। কারণ, চলতি মৌসুমে বৈরি আবহাওয়া, পোকার আক্রমণ ও কৃষি উপকরণের ঊর্ধ্বগতির কারণে আউশ ধানের ফলন যেমন কম হয়েছে, তেমনি বাজারে দামও আশানুরূপ নয়। ফলে চাষাবাদে খরচের টাকা উঠানো নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
জেলার মহাদেবপুর, মান্দা, বদলগাছী, ধামইরহাটসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠ ঘুরে জানা গেছে, বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে গড়ে ১২ থেকে ১৬ মন। যেখানে গত বছর ফলন ছিল ১৮ থেকে ২০ মন পর্যন্ত। এ বছর বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়, যা দিয়ে খরচই উঠছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।
উত্তরগ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, ‘শীষ বের হওয়ার সময় অতিবৃষ্টি আর পরে পোকার আক্রমণে অনেক ধান চিটা হয়েছে। পারিজা জাতের ধান বিঘাপ্রতি ১২-১৪ মন হয়েছে, আর ব্রি-৪৯ ধান ১৫-১৮ মন পর্যন্ত। দামও ঠিক নাই, মনপ্রতি যদি অন্তত ১২০০ টাকা পেতাম তাহলে কিছুটা লাভ হতো।’
ভীমপুরের কৃষক ওবাইদুল ইসলাম জানান, ‘৮ বিঘা জমিতে আউশ ধান করেছি। ফলন আশানুরূপ হয়নি। সার, কীটনাশক, ডিজেল সবকিছুর দাম বেশি। এগুলোর দাম না কমলে আমাদের পক্ষে লাভবান হওয়া সম্ভব না।
শ্রমিক সংকট ও খরচের বোঝা:
আউশ ধান কাটা ও মাড়াইয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি আশেপাশের জেলা থেকে আসা মৌসুমি শ্রমিকরা কাজ করছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা শ্রমিক সমশের আলী বলেন, ‘আমরা ১০ জনের দল নিয়ে ১৫ দিন ধরে মহাদেবপুরের বিভিন্ন মাঠে কাজ করছি। ধান কাটা হচ্ছে বিঘাপ্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় অথবা ৩ মন ধান মজুরি হিসেবে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু ফলন কম হওয়ায় কৃষকেরা খুশি না।’
চাষিরা জানান, সার, কীটনাশক, ডিজেল ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে বিঘাপ্রতি খরচ দাঁড়িয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। অথচ বিক্রি করে সেই খরচও উঠছে না।
কৃষি বিভাগ যা বলছেন:
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খলিলুর রহমান বলেন, ‘এ বছর জেলায় ৫৮ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ হেক্টর বেশি। ফলন কিছুটা কম হলেও ব্রি-৯৮ ও ব্রি-১৯ জাতের ধানে ফলন তুলনামূলক ভালো। কৃষকদের উৎসাহ দিতে আমরা ৪০ হাজার কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা দিয়েছি।’
তিনি আরও জানান, কিছু এলাকায় অতিবৃষ্টি ও পানি জমে থাকায় ফলন কম হয়েছে। তবে আগামীতে উন্নত জাত ও সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকরা আউশে ভালো ফলন পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নওগাঁর মাঠে এখনো ধান কাটার ধুম পড়লেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। তারা চায় সরকারিভাবে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হোক এবং কৃষি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হোক। তবেই কৃষক বাঁচবে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার স্বপ্নও বাস্তবায়ন হবে।


ভিসি এবং প্রক্টর জামাতীকরণের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনকে কলুষিত করেছে: যুবদল সভাপতি মুন্না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাকিবুল হাসান রোকেল, স্টাফ রিপোর্টার- কিশোরগঞ্জ

ভিসি এবং প্রক্টর জামাতীকরণের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনকে কলুষিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না।

শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মুন্না বলেন, ব্যাপকভাবে কারচুপির মাধ্যমে ডাকসুতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে তারা জয়লাভ করেছে। কিন্তু সাধারণ প্রত্যেকটি প্যানেল এটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সেটা এনসিপি’র প্যানেল বলেন, স্বতন্ত্রের প্যানেল বলেন, উমামা ফাতেমার প্যানেল বলেন, প্রত্যেকেই এটাকে তীব্র ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা মনে করি, ভিসি এবং প্রক্টর জামাতীকরণের মাধ্যমে নির্বাচনকে কলুষিত করেছে। আমরা মনে করি, এটা কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে। গতকালকে জাকসুতেও তারা একই কাজ করার চেষ্টা করেছে। ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করেছে।

যুবদল সভাপতি বলেন, আপনারা দেখেছেন, দুটো নির্বাচনের মধ্যে আমরা কোনোরকম বিশৃঙ্খলায় যাইনি। আমরা জনগণকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। জাতীয় নির্বাচনে আমরা মনে করি, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং আমাদের নেতাকর্মীরা সঠিকভাবে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে ঠিকমতো মনিটরিং করতে পারলে আমরা মনে করি না বাংলাদেশের জনগণের বিপক্ষে কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে তারা পার পাবে।

নরসুন্দা নদী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্যোগ সম্পর্কে আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ৫ই আগস্টের পর থেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদেরকে বার্তা দিচ্ছেন এবং চাচ্ছেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে, জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। তার এই নির্দেশনা অনুযায়ী, দায়িত্বের এবং মানবিক সমাজ বিনির্মাণের যে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি, তারই অংশ হিসেবে জেলা যুবদল নরসুন্দা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য এডভোকেট আশরাফ জালাল খান মনন, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান জিএস শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশতাক আহমেদ শাহীন, সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন । এছাড়া কেন্দ্রীয় ও জেলা যুবদলসহ বিভিন্ন ইউনিটের কয়েকহাজার নেতাকর্মী তাদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন।


ডাকসু নির্বাচনের মতই আগামী জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য হবে: শফিকুল আলম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা :-

ডাকসু নির্বাচনে যেমন শান্তি-শৃঙ্খলা ছিল, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন তেমনি শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে নির্বাচনে সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিবে।
শুক্রবার সকালে মাগুরা মাঝাইল গ্রামে রেল প্রকল্প এবং রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমেদের বাড়ি পরিদর্শন কালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সেভাবেই কাজ এগিয়ে চলছে। দেশে কারো ক্ষমতা নেই এ নির্বাচন ঠেকানোর। সকল রাজনৈতিক দলের সাথে কথাবার্তা চলছে সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় মাগুরা জেলা প্রশাসক মো: অহিদুল ইসলাম এবং রেল প্রকল্পের প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আসাদ সহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।


স্ত্রীসহ বগুড়ার সাবেক এমপি রিপুর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বগুড়া-৬ আসনের সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু ও তার স্ত্রী জোবাইদা আহসান জবার দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ইব্রাহীম মিয়া এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

আবেদনে বলা হয়, বগুড়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি মাধ্যমে শত কোটি টাকা অর্জনের একটি অভিযোগের অনুসন্ধান দুদকে চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রাগেবুল আহসান ও তার স্ত্রীর বিদেশ যাওয়া রহিত করা প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়।


পূজা মণ্ডপ স্থানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে নৌ অধিক্ষেত্রের পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জনের স্থানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য নৌ পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ান।

বৃহস্পতিবার নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার সম্মেলন কক্ষে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ‘নৌ অধিক্ষেত্রে পূজা মণ্ডপ, প্রতিমা বিসর্জন ঘাট ও নদীতে প্রতিমা বিসর্জন’ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

সভার শুরুতেই প্রতিমা তৈরির স্থানে পূজা কমিটির করণীয়, নৌ পুলিশের করণীয়, পূজা চলাকালীন পূজা কমিটি ও নৌ পুলিশের করণীয় এবং প্রতিমা বিসর্জনের সময় করণীয় বা বর্জনীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

আলোচনায় পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ দুর্গাপূজা শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত নৌ পথে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে নৌ টহল জোরদার করার পরামর্শ দেন এবং নৌ পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।

নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ান বলেন, সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও অপরাধ রোধে নৌ অধিক্ষেত্রে নৌ পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পূজামণ্ডপের উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রেখে নারী ও শিশুরা নির্বিঘ্নে সেখানে যাতায়াত করতে পারে সেই ব্যাপারে পরামর্শসহ গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পুলিশ সুপারদের উপস্থিত থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে নৌ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পূজা কমিটির বিভিন্ন পদবির নেতৃবৃন্দ সরাসরি ও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।


সিংগাইরের চন্দনপুর স্কুল মাঠে ৬ মাসই জমে থাকে পানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের চন্দনপুর সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার কিংবা মাটি ভরাট না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বছরে ৬ মাসই মাঠ জলাবদ্ধতা থাকে। ফলে কোমলমতি শিশু কিশোরেরা খেলাধূলা ও চিত্তবিনোদন হতে বঞ্চিতসহ ভোগান্তি হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজলোর জামির্ত্তা ইউনিয়নের ৪৫ নং চন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ যেন একটি ডোবা নালা পুকুরে পরিনত হয়েছে। স্কুলটি ১৯২২ সালে ৬১ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। স্কুলের ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুল মাঠ ও জমির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি স্কুলের জমি সংক্রান্ত তথ্য জানেন না বলে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে সহকারী শিক্ষকের কাছ হতে জানাগেছে স্কুল সংলগ্ন পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত ৩৬ শতাংশ। আর বাকী ২৫ শতাংশ জমি রয়েছে বিছিন্ন। স্কুলের সমানে উত্তর দক্ষিণে রয়েছে বাড়ী পূর্ব পাশে রয়েছে ক্লিনিক। দুই পাশের বাড়ী হতে স্কুলের মাঠ নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

এ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেরুন জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে থাকে। এতে মাঠের ঘাস ও আগাছা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ায়, চার পাশে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে মশা বংশ বিস্তার করছে বিধায় ডেঁঙ্গু আক্রান্ত নিয়েও আমরা চিন্তিত। দ্রুত বিদ্যালয় মাঠটি মাটি ভরাট সংস্কারের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় ব্যাংকার আব্দুস সালাম জানান, এ সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। মাঠ ভরাটে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার বলেন দূর্ভোগের কথা কি বলব, কত সাংবাদিক ছবি নিল, বড় স্যারদের ভিডিও করে দিলাম কিছুই হলো না। মাঠের পানি নিয়ে মুশকিলে আছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.কামরুল হাসান সোহাগ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে প্রধান শিক্ষক আবেদন দিলে সরকারি বরাদ্দে দ্রুত মাঠ ভরাটের ব্যবস্থা করা হবে।


জয়পুরহাটে ডিমের খোসা থেকে পাউডার তৈরি করে স্বাবলম্বী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান, জয়পুরহাট

জয়পুরহাটে ডিমের নষ্ট ও পরিত্যাক্ত খোসা থেকে পাউডার তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন এক উদ্যোক্তা। এই পাউডার ব্যবহার হচ্ছে মাছ, মুরগি, গরুর খাবারের ক্যালসিয়াম হিসেবে ও জমির জৈব সার হিসেবে। জেলার বিভিন্ন পোল্ট্রি-হ্যাচারি থেকে ডিমের খোসা সংগ্রহ করে এই পাউডার তৈরি করা হয়। বর্তমানে যা বিক্রি হচ্ছে জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে ভাগ্য বদলেছে বেলাল মোল্লার। আর এই পাউডার নিয়ে নানা সম্ভাবনার কথা বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার বেলতলী গ্রামের বাসিন্দা বেলাল মোল্লা ১০-১২ বছর থেকে জেলার বিভিন্ন পোল্ট্রি হ্যাচারি থেকে পরিত্যক্ত ডিমের খোসা সংগ্রহ করতেন। সেই খোসা তিনি বগুড়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করতেন। এরপর জানতে পারেন সেই খোসা দিয়ে পাউডার তৈরি করে বিক্রি করা হয়। সেই ভাবনা থেকে ২০২৪ সালে স্থাপন করেন ডিমের খোসা থেকে পাউডার তৈরির কারখানা। এরপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার ছোট কারখানায় প্রতিদিন ডিমের খোসার পাউডার তৈরি করে জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছেন। আর এ পাউডার ব্যবহার হচ্ছে জৈব সার হিসেবে। এছাড়া গরু, মাছ ও মুরগির জোগান দিচ্ছে ক্যালসিয়ামের। উপকার পেয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ডিমের পাউডার নিতে আসছেন কৃষক ও মৎসচাষিরা। ৫০ কেজির পাউডার বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে তার লাভ থাকছে ২০ হাজার টাকা।

বেলাল মোল্লা বলেন, আগে বিভিন্ন হ্যাচারি ও পোল্ট্রি থেকে ডিমের খোসা সংগ্রহ করতাম। পাউডারের বিষয়ে জানতে পেরে নিজে কারখানা স্থাপন করেছি। আমার এখানে ৫ জন কাজ করে। এই পাউডারের প্রচুর চাহিদা। বর্তমান জয়পুরহাটসহ আরও ১৫টি জেলায় এই পাউডার সরবরাহ করছি। চাহিদা মতো সরবরাহ দিতে পারছিনা।

কারখানার শ্রমিক আব্দুল খালেক বলেন, ডিসের খোসা পরিষ্কার করে মেশিনের ভেতর দেওয়ার পর তা পাউডার হয়ে বের হয়ে আসে। তারপর এখান থেকে বাজারজাত করা হয়। আমরা এখানে ৫ জন কাজ করি। এখান থেকে যে বেতন পাই তা দিয়ে আমাদের সংসার ভাল মতো চলে।

সদর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকার হাবিব হাসান বলেন, এতদিন জানতাম ডিমের খোসা অপ্রয়োজনীয় জিনিস। কখনো ভাবিনি যে এটা কোন কাজে লাগতে পারে। এখন দেখছি এখান থেকে যে পাউডার তৈরি হচ্ছে তা মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। কেউ জমির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

সদর উপজেলার বেতলী গ্রামের বিপ্লব হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকাতে ডিমের খোসা থেকে যে পাউডার তৈরি হচ্ছে সেটা অনেক ভালো বিষয়। এমন উদ্যোগে পরিবেশ রক্ষা হচ্ছে তেমন বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।’

কালাই উপজেলার মাদাই গ্রামের মকবুল হোসেন বলেন, আমি একজন মাছ চাষি। এখান থেকে ডিমের পাউডার কিনে দানাদার খাদ্যের সাথে মিশিয়ে মাছকে খাইয়েছি। এতে দেখছি, মাছ যে পরিমাণ বাড়ার কথা ছিল, তার চেয়ে একটু বেশি বেড়েছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফসিয়া জাহান বলেন, এই ডিমের খোসার পাউডার অনেক কৃষক জমিতে ব্যবহার করছে। ডিমের খোসাতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার এই জাতীয় উপাদানগুলো পাওয়া যায়। যেটা কোন গাছের খাদ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। এটাকে আমরা যদি গাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে নিশ্চিতভাবে উপকারে আসবে। বেলাল মোল্লা যে পাউডার উৎপাদন করছেন সেটাতে কি পরিমাণ কোনো উপাদান আছে সেটা যদি পরীক্ষা করা হয়, তাহলে জমিতে কি পরিমাণ ব্যবহার করা যাবে তার একটা মাত্রা নির্ধারণ করা যাবে। এ ব্যাপারে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান বলেন, জয়পুরহাট জেলায় পোল্ট্রি অধ্যষিত এলাকা হওয়ায় এখানকার প্রচুর ডিম বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হতো। এখন সেই ডিমের খোসা থেকে বেলাল মোল্লা পাউডার তৈরি করছেন। এই পাউডার মৎস্য, পোল্ট্রি ও কৃষি জমিতে ব্যবহার হচ্ছে। ডিমের খোসায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাংগানিজ, বোরন, জিংকসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই খোসা ব্যবহারের মাধ্যমে একদিকে পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্ত হচ্ছে, অন্যদিকে আমাদের খাদ্যের মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। এই উপাদানগুলো আমাদের আমদানি করতে হয়, যখন আমরা এর উৎপাদন বাড়াতে পারব, তখন আমদানি পরিমাণ কমে আসবে।


বিএফআইডিসি আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি সম্ভাবনা তৈরি করতে সক্ষম: রিজওয়ানা হাসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফআইডিসি) দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও উল্লেখযোগ্য রপ্তানি সম্ভাবনা তৈরি করতে সক্ষম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গ্রিনরোডের পানি ভবনে উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইউএনসিডিএফ)-এর এশিয়া প্যাসিফিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন ডিভিশনের রিজিওনাল ইনভেস্টমেন্ট টিম লিড মারিয়া পেরডোমো বৈঠক করেন।

বিএফআইডিসির আধুনিকায়ন নিয়ে আলোচনাকালে তিনি বলেন, তবে পুরনো যন্ত্রপাতি ও প্রক্রিয়ার কারণে আধুনিক আসবাবপত্র শিল্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

উপদেষ্টা আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন, নকশা উদ্ভাবন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যৌথ বিনিয়োগ চুক্তির জন্য উপযুক্ত আইন প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বিএফআইডিসি দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও উল্লেখযোগ্য রপ্তানি সম্ভাবনা তৈরি করতে সক্ষম। তবে পুরনো যন্ত্রপাতি ও প্রক্রিয়ার কারণে আধুনিক আসবাবপত্র শিল্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তিনি আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন, নকশা উদ্ভাবন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যৌথ বিনিয়োগ চুক্তির জন্য উপযুক্ত আইন প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, কৌশলগত অংশীদারিত্ব, সময়োপযোগী সম্পদ সংগ্রহ ও সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে বিএফআইডিসিকে সৃজনশীল ও প্রতিযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা সম্ভব। রাবার চাষের পাশাপাশি বাঁশ ও বেতের মতো বিকল্প উপকরণে বৈচিত্র্য আনা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করলে বনজ সম্পদের ওপর চাপ কমবে। সরকার জাতীয় উন্নয়ন অগ্রাধিকার ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিএফআইডিসি আধুনিকায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মারিয়া পেরডোমো আর্থিক, কারিগরি ও সক্ষমতা উন্নয়নে ইউএনসিডিএফ-এর সহায়তার আশ্বাস দেন এবং জানান, এ প্রক্রিয়ায় ইউএনডিপি ও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীর সম্পৃক্ততাও নিশ্চিত করা যেতে পারে।

সভায় বিএফআইডিসি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল হাসানসহ ইউএনসিডিএফ ও বিএফআইডিসি-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রকল্প সংক্রান্ত নথি ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পর্যালোচনার জন্য ভাগাভাগি এবং সম্পদ সংগ্রহ ও উন্নয়ন সহযোগীদের সম্পৃক্ততা জোরদারে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


পদ্মার বিলুপ্ত এক ঢাই বিক্রি হলো লক্ষাধিক টাকায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্ত সাড়ে ২২ কেজি ওজনের একটি ঢাই মাছ। বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতদিয়া মৎস্য আড়তে উন্মুক্ত নিলামে উঠলে মাছটি দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান কিনে নেন। এসময় মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করে।

তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো জেলে জীবন হালদার মধ্যরাতে তার ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও তার সহযোগীদের নিয়ে পদ্মা নদীর উজানে চর কর্ণেশন এলাকায় মাছ ধরতে যায়। ভোররাতে জাল তুলতেই দেখতে পায় বড় একটি ঢাই মাছ ধরা পড়েছে। পরে ২২ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ঢাই মাছটি

সকালে দৌলতদিয়া মৎস্য আড়তে আনলে উন্মুক্ত নিলাম উঠলে সম্রাট শাহাজান প্রতি কেজি ৪৬০০'শ টাকা কেজি দরে কিনে নেন নিয়ে ফেরিঘাটে তার আড়তঘরে নিয়ে আসেন।

তিনি আরও বলেন, মাছটি সর্বমোট আমি ১ লক্ষ ৩ হাজার ৯৬০ টাকায় কিনে নেই। মাছটি বিক্রয়ের জন্য আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করছি। আরও বলেন, আমার জীবনে এতো বড় ঢাই মাছ কখনো দেখিনি, আজ মাছটি কিনতে পেরে আমার সবচেয়ে ভালো লাগছে।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের স্থানীয়া মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, পদ্মার এ ধরনের বড় মাছ নিলামে উঠলে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে যায়। দাম যতোই বেশি হোক, মাছটি কেনার চেস্টা করে সবাই। তাছাড়া ঢাই মাছ অনেক সুস্বাদু।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, ঢাই মাছ এখন খুবই কম দেখা যায়, তাছাড়া এটি বিলুপ্তির পথে। মাছগুলো খেতেও অনেক সুস্বাদু। পদ্মার এ ধরনের মাছ আকারে বড় হয়ে থাকে। এই মাছের দামও তুলনামূলক বেশি। এ ধরনের মাছ কিনতে বড় বড় ব্যবসায়ী, প্রবাসীদের চাহিদা থাকে।


রাউজানে ২৩৩ পূজা মন্ডবে হবে দুর্গা পূজা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

দুয়ারে কড়া নাড়ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। কিছুদিন পরেই বাঁজবে দুর্গাপূজার সুর। সারাদেশের মত রাউজানেও চলছে পূজার প্রস্তুতি। শুরু হয়েছে উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ। প্রতিমা তৈরির কাজও শেষের দিকে। প্রতীমাকে রংতুলিতে সাঁজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা। এ ব্যস্ততা শুধু প্রতিমা তৈরির নয়; অমল-সুজন-সুশান্তদের এ ব্যস্ততা করোনার ক্ষত সারানোরও। সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে থাকে নানা আয়োজন। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্নস্থানে প্রতিমা তৈরির কারিগরদের দম ফেলবার ফুসরত নেই। প্রতিমালয়গুলো ঘুরে দেখা গেছে মৃৎশিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় নবরুপ পাচ্ছেন দেবী দুর্গা। একইসঙ্গে চলছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশের প্রতিমার ফিনিশিং। নানা রঙে দৃষ্টিনন্দন সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিমাগুলোকে। উৎসুক অনেক দর্শনার্থী ভিড় করছেন এসব প্রতিমার তৈরির কারখানায়। মৃৎশিল্পীরা জানান, প্রতিমার তৈরির কাজ ৯৫ ভাগ প্রায় শেষ। দিন-রাত কাজ চলছে। বাকি পাঁচ ভাগ কাজ তিন-চারদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। এরপর অর্ডার অনুযায়ী বুঝিয়ে দেওয়া হবে প্রতিমা। রাউজান উপজেলায় প্রতিবছরের ন্যায় ২৩৩ টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয়া দুর্গাপূজা। রাউজানের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের ২৩৩ টি মন্ডপের স্থানগুলো পরিদর্শন করেছে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাকর্মিরা। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুণ কান্তি ও সাধারণ সম্পাদক সুমন দাশ গুপ্ত বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্যে পূজা মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক টিম থাকবে। তদারকি করা হবে সকল কার্যক্রম। আমরা প্রশাসনের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পূজার কর্মকান্ড পরিচালনা করবো। ইতোমধ্যে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, রাউজানের ২৩৩টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পৌর এলাকায় থাকবে মন্ডপ। সড়কে যাতায়াতের সুবিধার্থে ট্রাফিক পুলিশ থাকবে। পূ

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, পূজারীরা যাতে সুশৃঙ্খলভাবে পূজা দিতে পারে সেজন্যে পুলিশ তদারকিতে থাকবে। আমরা পূজা কমিটির সাথে বৈঠক করেছি। তাদের জানিয়েছে, কোন অবস্থাতে বিশৃঙ্খলা মেনে নেয়া হবে না। কোন মাদকাসক্ত পূজা মন্ডপে থাকতে পারবে না।


ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে বেশ কয়েক স্থানে অতি সম্প্রতিকালে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়েজুল্লাপুর, হাটখোলাপাড়া এবং বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি ও মাধবপুর এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমিসহ হিন্দুদের ব্যবহৃত শ্মশানঘাটও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।এতে ৭০--৮০ জনের পান চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে এবং তাদের ৩০০০ পান বরজের সারি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর, হাটখোলাপাড়া ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি ও মাধবপুরে গত কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীর পাদদেশে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। জুনিয়াদহ ইউপি'র ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে পদ্মা নদী রক্ষা বাঁধের রায়টা-মহিষকুন্ডি বেরিবাঁধের দূরত্ব ৫০ মিটারেরও কিছুটা কম। উক্ত এলাকার বসতবাড়িসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নিয়ে ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটচ্ছে।

গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে ৭০-৮০ জন পান চাষির প্রায় ৩০০০ পিলি পান বরজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাছাড়া এ অঞ্চলে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সৎকারে ব্যবহৃত একমাত্র শ্মশান ঘাটটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

মবির পন্ডিত, রেজাউল, জামশেদ, রাব্বি, রহমান, কাশেম, নুরা,নাসির, আনেজ, আজগর, আবু, শিহাব নামের কৃষকরা সকলেই ১০০ পিলি করে পানের বরজ হারিয়েছেন।

পানচাষি আবুল আলী জানান, মাধবপুর এলাকায় গত দুই বছর আগে এই সমস্ত বরজ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।এবার তা পদ্মা নদী গ্রাস করলো। আমরা কৃষকরা খুবই অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছি।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গনের বিষয়টি আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। অতি শীঘ্রই আমরা সেখানে পরিদর্শনে যাবো।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীতে ভাঙ্গনের বিষয়টি আমরা জেনেছি।ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের আবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


banner close