রোববার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

স্মার্টফোনে আসক্ত ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করলেন মা!

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড
১৬ আগস্ট, ২০২৩ ১৫:২৮
প্রতিনিধি, রাজনগর (মৌলভীবাজার)
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, রাজনগর (মৌলভীবাজার)
প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট, ২০২৩ ১৪:৫৩

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় মোবাইলে গেম খেলা ও ভিডিও দেখতে মত্ত থাকা ছেলেকে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের ইন্দানগর পানপুঞ্জি (যাদুরগুল) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, যাদুরগুল এলাকার মো. আসলাম আলীর ছেলে আবির হাসান জয় (১২) বেশ কিছুদিন ধরে মোবাইলে গেম খেলা ও ইউটিউব দেখায় আসক্ত হয়ে পড়ে। মা সোহেনা বেগম (৩৫) এ নিয়ে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও শোনেনি আবির। বুধবার সকালেও অন্যান্য দিনের মতো তাকে গেম খেলতে দেখে সোহেনা বেগম রেগে যান। এ নিয়ে দুজনের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেনা নিজের ওড়না দিয়ে ছেলের গলায় পেঁচিয়ে চেপে ধরেন। এতে ছেলেটি শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায়।

পরে খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সোহেনাকে আটক করে।

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘মোবাইলে আসক্ত হওয়ায় মা রেগে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ছেলেকে হত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।’

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’


নাটোরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামে মামা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরের পানিতে ডুবে জুবাইরা খাতুন নামে আট বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত জুবাইরা ঢাকার মিরপুর পল্লবী এলাকার সোহেল রানার মেয়ে।

বনপাড়া আমিনা হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. আনছারুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আনছারুল হক জানান, নিহত জুবাইয়রা তার আপন বোন ফাহমিদা রুবির মেয়ে। কিছুদিন আগে তার বোন ও ভাগনি ঢাকা থেকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। শিশু জুবাইরা কিছুটা শারিরীক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ছিলো। শনিবার সকালে সে গৃহকর্মীর সাথে বাড়ির পেছনে পুকুর পাড়ে যায়। সেখানে তাকে বসিয়ে রেখে ঘরে ফিরে আসে গৃহকর্মী। কিছুক্ষণ পর ফিরে গিয়ে তাকে খুঁজে পাননি। পরে পুকুরে জুবাইরার মরদেহ ভেসে উঠে। জুবাইয়রা মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকার পল্লবীতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।

বিষয়:

চলমান উন্নয়নকাজ দ্রুত শেষ করতে হবে: মসিক মেয়র

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

চলমান উন্নয়নকাজ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) এলাকার মেয়র ইকরামুল হক টিটু।

শনিবার সকালে মসিকের ১, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে চলমান বিভিন্ন উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নির্দেশ দেন তিনি।

পরিদর্শনকালে চলমান উন্নয়নকাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করতে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নির্দেশ দেন মেয়র।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্নে ময়মনসিংবাসীকে সিটি কর্পোরেশন উপহার দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তারপরও কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।’

এ সময় মেয়র চলমান উন্নয়ন প্রসঙ্গে নাগরিকদের মতামত গ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘নগরের উন্নয়ন এবং নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও জীবনমানের উন্নয়নের জন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ‍উন্নয়ন প্রকল্প দিয়েছেন। চলমান উন্নয়নকাজ যেন মানসম্মতভাবে এবং দ্রুত সম্পন্ন হয় সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।এছাড়াও ঠিকাদাররা যেন নিয়মিত কাজ করে এজন্য কাজের অগ্রগতির হালনাগাদ তথ্য নিয়মিত উপস্থাপনের নির্দেশ দেন মেয়র।’

এ সময় ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান বাবু, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সেলিনা আক্তার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহুরুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ ও জীবনকৃষ্ণ সরকার, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

মসিক সূত্র জানায়, মসিকের সড়ক ও ড্রেনজ অবকাঠামো নির্মাণ ও নাগরিকসেবা উন্নতকরণে এক হাজার ৫৭৫ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় ওই তিনটি ওয়ার্ডে বর্তমানে প্রায় ৯০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।

বিষয়:

মৌলভীবাজারে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ১৫

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৬:৩৭
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু ও নারীসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাত অবধি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আহতের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে ১২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তবে একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চিকিৎসক সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত কয়েকজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বলে জানা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সমরজিৎ সিংহ।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এ দুই দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিশু সহ কমপক্ষে ১৫ জনকে কামড়িয়ে আহত করেছে একটি কুকুর। শুক্রবার রাতে উপজেলার এম এ মুমীত আসুক চত্বরের টায়ার ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর হোসেন তার দোকানে কাজ করেছিলেন। হঠাৎ করে কুকুরটি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে আক্রমন করে গলায় কামড় বসিয়ে দেয়।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এছাড়াও ওই কুকুরের কামড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মানুষের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গবাদিপশুও ওই কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

কুকুরের কামড়ে আহতের খবরে বেশ কয়েকটি গ্রাম জুড়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে শুক্রবার বিকাল থেকে রাত অবধি উপজেলার এম এ মুমীত আসুক চত্বর এলাকায় যুবকরা লাঠি, কোচা নিয়ে কুকুর টি ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়‌। এদিকে চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়লে রাত ১১ টার দিকে বেশ কয়েকজন যুবক মিলে কুকুর টি আটক করে‌। এসময় আরো কয়েকজন আহত হয়। পরে কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কুকুরের কামড়ে আহত বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওই কুকুরের কামড়ে আমাদের একজন ব্যবসায়ী আহত হয়ে বর্তমানে সিলেটে চিকিৎসাধীন আছে।’

সমরজিৎ সিংহ বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশুসহ প্রায় ১২ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।’

বিষয়:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলিশ ক্যাম্প আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

বিদ্যালয় ভবন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

স্কুল নাকি পুলিশ ক্যাম্প, ভেতরে গেলে ভ্রম হতে বাধ্য। বিদেশি অনুদানপ্রাপ্ত সাইক্লোন সেল্টারটি তৃতীয় তলা বিশিষ্ট হলেও নিচের তলাটা দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য উন্মুক্ত। অবশিষ্ট আছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা। তৃতীয় তলা পুরোটাই পুলিশ ক্যাম্পের দখলে। দ্বিতীয় তলায় শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের পূর্ব কন্যারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।
শিশুদের স্বভাবজাত চপলতা এখানে নেই। কেমন যেন মনমরা মনমরা ভাব। দুই-একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে কারণটা জানা গেল।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তন্বিমা দে বলল, ‘স্কুলে খুব ভয় লাগে, আমরা খেলতে পারি না। একটু হইচই হলে উনারা বকা দেয়। আর উনারা হঠাৎ হঠাৎ এমন ভাবে নামধাম জিজ্ঞাসা করেন, গলার পানি শুকিয়ে যায়। বিভিন্ন সময় লজেন্স দিতে চায়, আমরা নিব না বললে বেঁধে নিয়ে যাবে বলে ভয় দেখান।’

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুমাশ্রী মল্লিক বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে বারান্দায় চট পেতে বসে পাঠদান করছি। তিনটি কক্ষে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করতে হচ্ছে, তাই বাধ্য হয়ে বারান্দায় পাঠদান চলছে। পুলিশ ক্যাম্পে রান্না-বান্না করে উচ্ছিষ্ট জানালা দিয়ে নিক্ষেপ করার ফলে চারপাশে নোংরা ও মশার উপদ্রব বেড়েছে। গ্রামাঞ্চলেও দিনের বেলায় মশার কামড় খেতে হয় শিশুদের।’
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, শিশুরা টিফিনের সময়ও শ্রেণিকক্ষে জড়সড় হয়ে বসে আছে। অথচ এ সময়টাতে বাচ্চাদের দাপিয়ে বেড়ানো, খেলাধুলায় মেতে থাকার কথা।

তৃতীয় তলায় দেখা গেল পুলিশ সদস্যদের কেউ ক্যারম খেলছেন, কেউ বসে ভাত খাচ্ছেন, আবার কেউ গল্প করছেন। চারপাশে সিগারেটের খালি প্যাকেট। রান্না ঘরের দেয়াল নোংরা। বাইরে থেকে রঙিন হলেও ভেতরের চিত্র ভিন্ন।

স্কুলের অভ্যন্তরে এ পরৈকোড়া পুলিশ ক্যাম্পের বিষয়ে ইনচার্জ এসআই কাজী দুলাল বলেন, ‘চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে প্রতি মাসের রোটেশনে আমরা দায়িত্ব পালন করতে আসি এখানে। এখানে আমিসহ ১২ জন দায়িত্ব পালন করছি। কোনো সদস্য বাচ্চাদের ধমক দেয়া হয়নি কিংবা তাদের ভয় হয় এমন আচরণ আমাদের সদস্যরা করেননি। অতীতে কারা দায়িত্ব পালন করেছে, তারা আদৌ এমন কিছু করেছে কি না আমাদের জানা থাকার কথা নয়। আমরা ওসি মহোদয়ের নির্দেশনায় দৈনন্দিন দায়িত্ব পালন করি। কোনো ধরনের অভিযোগ থাকলে তা আমাদের ঊর্ধ্বতনকে জানাতে পারেন।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জসীম উদ্দীন বলেন, মাত্র চারটি কক্ষ নিয়ে অফিস, শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। পাশাপাশি বাচ্চাদের মধ্যে পুলিশ আতঙ্ক কাজ করছে। আপনি তো জানেন গ্রামের বাচ্চারা পুলিশ নামকেই ভয় পায়। সেখানে তাদের স্কুলেই পুলিশের বসবাস। এটা তাদের কোমল মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাদের স্বতঃস্ফূর্ততা কমে গেছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিজুল হক চৌধুরী বাবুল বলেন, বিষয়টি বিগত দুটি মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে উপস্থাপন করেছি। ইউএনও মহোদয় এ স্থান পরিদর্শন করেছেন। বাজারে একটি ভবন খালি আছে। আমরা সেখানে স্থানান্তরের সুপারিশ করেছি। আশা করছি একটা সমাধান হবে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সানাউল্লাহ কাউছার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাচনের পরপর এটি সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস পেয়েছি।’

এ ব্যাপারে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, ‘স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য ১৯৯৫ সালে এখানে ক্যাম্প স্থাপিত হয়, কখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। যেহেতু বিষয়টা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন, তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইউএনও মহোদয়ের পরামর্শে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে শিগগির।’

বিষয়:

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে অংশ নিচ্ছে ২২ রাজনৈতিক দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রতন কান্তি দেবাশীষ, চট্টগ্রাম 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১৫১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগসহ ২২টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এসব মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ সময় অনেক প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শোডাউন করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে ৮ জন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ১৪, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ১০, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে ৯, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ১০, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে ৫, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে ৭, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালি-চান্দগাঁও) আসনে ১৩, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে ৭, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে ১২, চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে ৯, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ১০, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে ৭, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে ৮, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে ৯ ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চট্টগ্রামের সব আসনে প্রার্থী রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১৫টি আসনে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ১১টি, তৃণমূল বিএনপি ১০টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৯টি, বিএনএফ ৬টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ৫টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি ৪টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ২টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, গণফোরাম, বিএনএম ও খেলাফত আন্দোলন ১টি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আসনে বেশ কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল ইসলাম ও আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১ আসনে মাহবুব-উর রহমান (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন (স্বতন্ত্র), দিলীপ বড়ুয়া (বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল), মো. আবদুল মন্নান (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. নুরুল করিম আফছার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ), মো. ইউসুফ (বিএনএফ), মো. এমদাদ হোসেন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।

চট্টগ্রাম-২ আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (আওয়ামী লীগ), ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মোহাম্মদ গোলাম নওশের আলী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ শাহজাহান (স্বতন্ত্র), রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (স্বতন্ত্র), মাজাহারুল হক শাহ চৌধুরী (বিকল্পধারা বাংলাদেশ), মো. শফিউল আজম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট) ও এম এ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট)।

চট্টগ্রাম-৩ আসনে মাহফুজুর রহমান মিতা (আওয়ামী লীগ), নুরুল আক্তার (জাসদ), মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), এম এ ছালাম (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ উল্লাহ খান (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মো. মোকতাদের আজাদ খান (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), মো. আবদুর রহিম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. নিজাম উদ্দিন নাছির (জাকের পার্টি), আমিন রসুল (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট)।

চট্টগ্রাম-৪ আসনে এস এম আল মামুন (আওয়ামী লীগ), দিদারুল আলম (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ ইমরান (স্বতন্ত্র), মো. দিদারুল কবির (জাতীয় পার্টি), মো. আকতার হোসেন (বিএনএফ), খোকন চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. সালাউদ্দিন (স্বতন্ত্র)।

চট্টগ্রাম-৫ আসনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কাজী মহসীন চৌধুরী (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম (স্বতন্ত্র), সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (কল্যাণ পার্টি), মো. নাজিম উদ্দিন (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম), আবু মোহাম্মদ শামশুদ্দীন (বিএনএফ)।

চট্টগ্রাম-৬ আসনে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), স ম জাফর উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), শফিউল আজম (স্বতন্ত্র), মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), মো. সফিক উল আলম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।

চট্টগ্রাম-৭ আসনে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), মো. মোরশেদ আলম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), আহমেদ রেজা (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), খোরশেদ আলম (তৃণমূল বিএনপি), মুছা আহমেদ রানা (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।

চট্টগ্রাম-৮ আসনে নোমান আল মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), আবদুচ ছালাম (স্বতন্ত্র), সোলায়মান আলম শেঠ (জাতীয় পার্টি), মো. আরশেদুল আলম বাচ্চু (এনপিপি), বিজয় কুমার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এস এম আবুল কালাম আজাদ (বিএনএফ), সন্তোষ শর্মা (তৃণমূল বিএনপি), মোহাম্মদ ইলিয়াছ (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), সৈয়দ মো. ফরিদ উদ্দিন (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. কামাল পাশা (এপিপি), আবদুল নবী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মহিবুল রহমান বুলবুল (স্বতন্ত্র), মনজুর হোসেন বাদল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

চট্টগ্রাম-৯ আসনে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (আওয়ামী লীগ), মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মিটুল দাশগুপ্ত (ন্যাপ), সৈয়দ আবু আজম (ইসলামী ফ্রন্ট), মুহাম্মদ নুরুল হুসাইন (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), সুজিত সরকার (তৃণমূল বিএনপি), সানজীদ রশীদ চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু (আওয়ামী লীগ), সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম (স্বতন্ত্র), ফরিদ মাহমুদ (স্বতন্ত্র), মো. ফেরদৌস রশিদ (তৃণমূল বিএনপি), মো. ওসমান গণি (স্বতন্ত্র), মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), ও মিজানুর রহমান (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট), জহুরুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), মো. আনিসুর রহমান (জাসদ), মঞ্জুরুল ইসলাম (বিএনএফ), মো. ফয়সাল আমিন (স্বতন্ত্র)।

চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম আবদুল লতিফ (আওয়ামী লীগ), মো. জসিম উদ্দিন (জাসদ), আবুল বসার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. মহিউদ্দিন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), জিয়াউল হক সুমন (স্বতন্ত্র), দীপক কুমার পালিত (তৃণমূল বিএনপি), রেখা আলম চৌধুরী (স্বতন্ত্র), নারায়ণ রক্ষিত (এনপিপি), উজ্জ্বল ভৌমিক (গণফোরাম)।

চট্টগ্রাম-১২ আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), সামশুল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মো. গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এম এয়াকুব আলী (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএসএম), মো. নুরুচ্ছফা সরকার (জাতীয় পার্টি), মো. ইলিয়াছ মিয়া (স্বতন্ত্র), এম এ মতিন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), কাজী মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), রাজীব চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), সৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (আওয়ামী লীগ), সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মোহাম্মদ আরিফ মঈনু উদ্দীন (সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি), আবদুর রব চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মৌলভী রশিদুল হক (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো. আবুল হোসাইন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মকবুল আহম্মদ চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি)।

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), মো. আবদুল জব্বার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আবুল হোছাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. গোলাম ইসহাক খান (বিএনএফ), মোহাম্মদ আয়ুব (সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি), আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ (জাতীয় পার্টি), মোহাম্মদ আলী ফারুকী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।

চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী (আওয়ামী লীগ), আবদুল মোতালেব (স্বতন্ত্র), আ ম ম মিনহাজুর রহমান (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ ছালেম (জাতীয় পার্টি), ফজলুল হক (এনপিপি), মো. সোলাইমান কাশেমী (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), মোহাম্মদ হারুণ (ইসলামিক ঐক্যজোট), মো. জসীম উদ্দিন (মুক্তিজোট), মুহাম্মদ আলী হোসাইন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।

চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান (আওয়ামী লীগ), মুজিবুর রহমান সিআইপি (স্বতন্ত্র), মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মো. খালেকুজ্জামান (স্বতন্ত্র), আব্দুল্লাহ কবির (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ এমরানুল হক (স্বতন্ত্র), মুহাম্মদ মামুন আবছার (এনপিপি), আবদুল মালেক (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. মহিউল আলম চৌধুরী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), কামাল মোস্তফা চৌধুরী (জাসদ), আশীষ কুমার শীল (ন্যাপ), এম জিল্লুর করিম শরীফি (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. শফকত হোসাইন চাটগামী (ইসলামী ঐক্য জোট)।

বিষয়:

বরগুনায় ৬ষ্ঠ শ্রেনী ছাত্রীর আত্মহত্যা

ছবি: প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৩:১১
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী বন্দর কালিবাড়ী এলাকায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী মরিয়ম (১২) ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কালিবাড়ী এলাকার আজিজ মোল্লার মেয়ে মরিয়ম। সে আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়াশুনা করত। বৃহস্পতিবার রাতে মরিয়ম তার ঘরে ঘুমাতে যায়। আজ শুক্রবার সকালে তার মা নাজমা বেগম ঘুম থেকে জাগানোর জন্য ডাকাডাকি করে। মেয়ের কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়।

ছাত্রীর বাবা আজিজ মোল্লা বলেন, ‘কি কারনে আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে তা আমি জানিনা।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

বিষয়:

ডেমরার পশ্চিম বক্স নগরে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি: প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:৫৩
ঢামেক প্রতিনিধি

প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে রাজধানীর ডেমরার পশ্চিম বক্স নগরে একটি বাসায় ফাঁস দিয়ে রোজি আফসানা রিমা (২৪) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তিনি এই উদ্যোগ নেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রোজির মা আসমা বেগম জানান, আমার মেয়ের জামাই নয়ন মিয়ার সঙ্গে রোজির বিয়ে হয় আরও ১১বছর আগে। ৬মাস আগে নয়ন এক দালালের মাধ্যমে সৌদিতে কাজে যায়। সেখানে কোন কাজ না পেলে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে থাকত সে। এ সকল বিষয় নিয়ে আজ তিন দিন ধরে তাদের ভেতর কথা হচ্ছিল। আজ দুপুরে নয়ন ফোন করে বলে ‘আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও আমি দেশে চলে আসব’ এ সকল বিষয় নিয়ে আজ দুজনার ভেতর কথা কাটাকাটি হয়। রোজি ফোন কেটে দিয়ে ঘরে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় লাগিয়ে ঝুলে পড়ে। আমরা টের পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের মা আরও জানান, এলাকায় শাহিন নামে এক দালালের বুদ্ধিতে জমি বিক্রি করে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে ছয় মাস আগে সৌদিতে কাজে যান নয়ন। সেখানে কথা অনুযায়ী দালালের কোন লোক কাজ না দেয়ায় তারা ধরে নয়ে কোম্পানিটি ভুয়া। এভাবে এলাকা থেকে আরও আট জন যুবক একই দালালের মাধ্যমে সৌদিতে গেলে তাদেরও একই অবস্থা হয়।

ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ডেমরা থেকে গৃহবধূকে অচেতন অবস্থা ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকত তাকে মৃত বলে জানান। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ডেমরা থানাকে জানানো হয়েছে।’

বিষয়:

আশুলিয়া থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:২৫
সাভার প্রতিনিধি

সাভারের আশুলিয়া থানায় আখ খেতে পড়ে থাকা অজ্ঞাত এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার সকালে থানার ভট্টাচার্য পাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীদের কাছ থেকে শুনে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, সকালবেলা আখ খেতে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন এলকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের মাথায়, চোখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

এ বিষয়ে এসআই আরও জানান, নিহতের গায়ে থাকা জ্যাকেটের একটি পকেটে ম্যাচ, ব্লেড ও পাঁচ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ কিছুই বলতে পারছে না। আজ শুক্রবার দুপুরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়:

টাঙ্গাইলে মসজিদ থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:০৩
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মসজিদের বারান্দা থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তার বয়স আনুমানিক ৭৫ বছর। তিনি পেশায় একজন ভিক্ষুক। এ ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাত ওই বদ্ধের পরিচয় শনাক্তের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার আওতাধীন কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের গোহালিবাড়ীস্থ জোকারচর বাসস্ট্যান্ড মসজিদের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহাগ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দেড় বছর ধরে সেতু পূর্ব থানা ও জোকারচরসহ আশপাশের এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করতো। তার কোনো থাকার জায়গা ছিল। দিন শেষে গোহালিয়াবাড়ীস্থ জোকারচর বাজার মসজিদের বারান্দায় থাকতো। কেউ তার পরিচয় জানে না।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে মসজিদের টিউবওয়েলের পানি নিয়ে বারান্দায় হাত-মুখ ধোয়ার সময় হঠাৎ সেখানে মাটিতে পড়ে গিয়ে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশকে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে তার মরদেহ থানা নিয়ে যান।

সোহাগ চৌধুরী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পরিচয় শনাক্তের জন্য কাজ করছে পুলিশ। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করা হয়েছে।’

বিষয়:

মেহেরপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

মেহেরপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে সাইমন ইসলাম (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার সকালের দিকে জেলার সদর উপজেলার কলাইডাঙা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

নিহত শিশু সাইমন ইসলাম কলাইডাঙ্গা গ্রামের দিনমজুর হাসান আলীর ছেলে।

মেহেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম এসব তথ‍্য নিশ্চিত করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার সকালে বাড়ীর আঙ্গিনায় খেলা করছিল শিশু সাইমন। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে এবং বাড়ির আশেপাশে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর পরিবার ও স্থানীয়রা মিলে শুরু করে খোঁজাখুঁজি।

একপর্যায়ে বাড়ির অদূরে প্রতিবেশি মুকুল মেম্বারের পুকুরে তার ভাসমান মরদেহটি দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা পুকুর থেকে সাইমন কে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে আসলে সেখানে থাকা চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাইফুল ইসলাম এসব তথ‍্য নিশ্চিত করে জানান, সদর থানাধীন কলাইডাঙা গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা ও হয়েছে।

বিষয়:

চট্টগ্রামে মেয়ের হাতে বাবা খুন

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৭:৫৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে মেয়ের দায়ের কোপে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার পুঁটিবিলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম খান।

নিহত ৫০ বছর বয়সী মো. আব্দুর রহমান পুঁটিবিলা এলাকার বাসিন্দা। হত্যার দায়ে তার ২০ বছর বয়সী কন্যা হুমাইরাকে আটক করা হয়েছে।

পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সকালে পারিবারিক কলহের জেরে বাবার ঘাড়ে দা দিয়ে কোপ দেন হুমাইরা। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আব্দুর রহমান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।’

তিনি বলেন, ‘মেয়ে বিবাহিত, তবে তিনি বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।’

এই ঘটনায় আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বিষয়:

নোয়াখালীতে সিএনজি-ট্রাক সংঘর্ষে মা-মেয়ের মৃত্যু

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৫:৩৬
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক সহ এক যাত্রী আহত হয়।

নিহতরা হলেন, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের শুক্কুর মিয়ার স্ত্রী শিল্পী আক্তার (৩০) ও তার মেয়ে শারমিন (২)।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনপুর-চেয়ারম্যান সড়কের চরজুবলি ইউনিয়নের মেজর মান্নানের গার্মেন্টসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের পশ্চিম চর জব্বর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী মেম্বারের ছেলে সিএনজি চালক মো. ফারুক (৩০) এবং একই গ্রামের মো.মোস্তফার ছেলে মো.আবদুল্লাহ (৩০)।

চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি চালিত অটোরিক্সার সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটি ধুমড়ে মুছড়ে যায়। এতে শিশু শারমিন ঘটনাস্থলে মারা যায়। আহতাবস্থায় অন্যদের সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিল্পী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।’

ওসি আরো বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক ও ড্রাইভারকে আটক করে। নিহতদের স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ হস্তান্তের জন্য আবেদন করেছেন। তাদের কোন অভিযোগ না থাকলে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হবে।’


গর্ভপাত ঘটিয়ে নবজাতক হত্যা, নার্স গ্রেফতার

দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৫:২৪
মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের রাজৈরে গর্ভাবস্থার ৮ মাসে গর্ভপাত ঘটিয়ে নবজাতককে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পিতা। জানা যায়, বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্কের পর অন্তসত্বা হয়ে পড়ে ভুক্তভোগী।

পরে রাজৈর থানা পুলিশ ওই হাসপাতালের নার্স শাহিদা আক্তারকে (২৮) গ্রেফতার করে। তবে মামলার প্রধান আসামি প্রেমিক শামীম হাওলাদার (২১), আকাশী বেগম (২৫), আমিনুর হাওলাদার (৩০) ও গ্রাম্য ডাক্তার নিজাম (৪৫) পলাতক। পুলিশ এখনো ওই আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনাটি ২৫ নভেম্বর ঘটলেও একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।

১ ডিসেন্বর শুক্রবার ঘটনাটি প্রকাশ পায়।

স্থানীয়রা জানায়, এ সেন্ট্রাল হাসপাতালটিতে ইতোপুর্বে অপচিকিৎসায় বেশ কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়। পরে বিভিন্ন উপায়ে আপস করে নেয়। এঘটনাটিও পুর্বের ন্যায় আপস করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল।

রাজৈর থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পাখুলা গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদারের প্রেমের ফাঁদে পড়ে ওই যুবতী। পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরী করে শামীম। একপর্যায়ে সে গর্ভবতী হয়ে পড়লে শামীম গাঢাকা দেয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গত ২৫ নভেম্বর ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ওই যুবতীকে টেকেরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যায় শামীমের ভাবি আকাশী বেগম। এরপর গ্রাম্য ডাক্তার নিজাম ও নার্স শাহিদার সাহায্যে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে ৮ মাসের নবজাতককে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে তাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ভুক্তভোগীর স্বজনেরা। এ ঘটনায় ২৭ নভেম্বর তার পিতা বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উলে­খ করে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী যুবতী বলেন, ‘প্রায় এক বছর যাবত তাদের প্রেমের সম্পর্ক। এরই সূত্র ধরে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক তৈরী হয়। একপর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ায় বিয়ের চাপ দিলে সে গড়িমসি করতে থাকে। ২৫নভেম্বর বিকেলে প্রেমিক শামিমের ভাবি (আকাশী) আমাকে ঘুরতে যাওয়ার বলে উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এরপর কিছু না বলেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় সে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘এ মামলায় টেকেরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের মালিকের স্ত্রী ও নার্স শাহিদা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।’

বিষয়:

banner close