বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

দরিদ্রদের টার্গেট করে শত কোটি টাকা হাতিয়েছে চক্রটি

মানব পাচার চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত : ৭ অক্টোবর, ২০২২ ২০:৪৯

দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্রদের উচ্চ বেতনে বিদেশে চাকরি দেয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। চক্রটি অন্তত ৬০০ মানুষের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছে। অভিযোগ পেয়ে মূল হোতা মাহাবুব আল হাসান ও সহযোগী মাহমুদ করিমকে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, ভুয়া কোর্সের সনদ, ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব বলছে, বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র, ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে বিদেশ গমনেচ্ছুদের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে শুক্রবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, চক্রটি দালালের মাধ্যমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তিদের পাসপোর্ট সংগ্রহ করত। গত ২ বছরে ৫২১টি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে তারা। এর মধ্যে যারা মধ্যপ্রাচ্যে যেতে আগ্রহী, তাদের কাছ থেকে দুই-তিন লাখ টাকা করে আদায় করত তারা। ইউরোপ গমনেচ্ছুদের কাছ থেকে নিত ছয় থেকে সাত লাখ টাকা।

লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগীদের আশ্বাস দিয়ে সময় ক্ষেপণ করা হতো। যখন ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরতের জন্য তাগাদা দিতেন, তখন আর টাকা ফেরত দিত না। গত দুই বছরে পাসপোর্ট ও অর্থ জমাদানকারী কোনো ভুক্তভোগীকে চক্রটি বিদেশে পাঠাতে পারেনি।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আসামি মাহবুব ২০০০ সাল থেকে সংঘবদ্ধ মানব পাচার ও প্রতারক চক্রের সদস্য। সে প্রথমে বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রতারণার মাধ্যমে কিছু লোক পাঠায়। সেই সুবাদে অন্যদের ও তাদের অভিভাবকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রাজি করিয়ে পাসপোর্ট এবং প্রাথমিক খরচ বাবদ এক থেকে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিত। এ ছাড়া বিদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে ফোন দিয়ে অভিভাবকদের আশ্বস্ত করত, তাদের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে তারা খুব ভালো আছেন এবং অনেক অর্থ উপার্জন করে নিজেদের ভাগ্য বদল করতে সক্ষম হয়েছেন।

আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, এই চক্রের মাধ্যমে বিদেশে পৌঁছানোর পর বিদেশে অবস্থানরত এজেন্ট দ্বারা তাদের পুনরায় প্রতারিত করা হয়। তাদের কাজের নামে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। বন্দি করে রেখে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়। এ সময়ে মাহবুবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে ভুক্তভোগীদের অপেক্ষা করতে বলে। সে জানায়, কিছুদিন পরে কোম্পানি চালু হবে। তখন তারা বেতন ও কাজের সুযোগ পাবেন।


কতজন রোহিঙ্গা ভোটার হয়েছেন, জানতে চান হাইকোর্ট

হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারে বসবাসরত কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের ভেতর কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নে ভোটার হওয়া ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার কত রোহিঙ্গা নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তার তালিকা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয় রিটে। এ ছাড়া ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ রিট করেন।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ জন রোহিঙ্গা। তাদের তালিকাযুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়। এ ছাড়া একই ইউনিয়নে সাড়ে তিন শ রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।

বিষয়:

মিয়ানমারে সাজা ভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ১৭৩ বাংলাদেশী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৫৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি। আজ বুধবার বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘নেভাল শিপ চিন ডুইন’ জাহাজ থেকে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ এসব বাংলাদেশিদের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে নিয়ে গেলে তারা সেখানে পৌঁছায়।

কর্মকর্তারা জানান, মিয়ানমার ফেরত এই ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙ্গামাটি জেলার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ফেরত আসাদের বিজিবি গ্রহণ করে পুলিশকে হস্তান্তর করা হবে। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে স্বজনদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা অগ্রবর্তী মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি একটি বিশেষ ট্রলারে কক্সবাজার এসে পৌঁছান।

দলটি কক্সবাজার পৌঁছার পরপরই ঘাট থেকে গাড়ি নিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় রওয়ানা হয়েছেন। যেখানে বিজিবির অধীনে রয়েছেন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য।

তাদের ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়ার জন্যই প্রতিনিধি দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে আশ্রয়রত সেনা ও বিজিপি সদস্যদের নিয়ে মিয়ানমারের ফেরত যাবে দলটি।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি ও সেনা সদস্যদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন পালিয়ে এসেছিলেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ এবং সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না।

তবে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানা গেছে।


রেল লাইনে বাস, প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৪৮
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনের ওপরে উঠে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাস ও ট্রাকচালকসহ ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সেখানে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারও যাত্রীরা।

বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় ঢাকাগামী আরপি এক্সপ্রেস নামে একটি বাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব দিকে যাওয়া একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনের ওপরে উঠে পড়ে। এ সময় মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে ডিউটিরত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরীসহ আরও বেশ কয়েকজন। তারা জানতে পারেন টাঙ্গাইল থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব রেলস্টেশনের দিকে আসছে। একপর্যায়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট জায়গায় ফোন করে ট্রেনটি থামানোর জন্য অনুরোধ জানান এসআই টিটু। পরে ট্রেনটি ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়ালে বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের যাত্রীরা। এরপর দ্রুত বাসটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনের যাত্রী সবুজ আহমেদ ও হৃদয় ইসলাম বলেন, “হঠাৎ করে ট্রেনটি হাতিয়া নামক এলাকায় এসে থেমে যায়। পরে জানতে পারি, ‘এখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনে উঠে পড়েছে।’ ঘটনাস্থলে দ্রুত ট্রেনটি দাঁড় না করালে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আগেই অবগত হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় ট্রেনের যাত্রীরা।”

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে বাসটি রেল লাইনে উঠে যায়। পরে দ্রুত পুলিশ কন্ট্রোলরুম বা রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে থামানো হয়। এতে করে ট্রেনের যাত্রীরা রক্ষা পায়।’

এসআই আরও বলেন, এ ঘটনায় বাসের ৪ জন যাত্রী ও ট্রাকের চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি সেতুর পূর্ব থানায় রাখা হয়েছে।


কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে তিনটি কোচ লাইনচ্যুত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:৫৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডুলহাজারা স্টেশনে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে ঈদ স্পেশাল ট্রেনের তিনটি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ট্রেনটি আটকা পড়ে তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের চকরিয়া রেলস্টেশনের ইনচার্জ মো. ফরহাদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ট্রেনটির কয়েকটি বগি কেবল লাইন থেকে সরে গেছে। ট্রেনে আসনের বিপরীতে ৫০০ যাত্রীর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা আরও ৮০ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিজ ব্যবস্থাপনায় গন্তব্য রওনা হয়েছেন।’

ডুলাহাজারা স্টেশনের ইনচার্জ আবদুল মান্নান বলেন, ‘ঈদ স্পেশাল-৯ ট্রেনটি সকাল ৭ টায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পৌনে ১০টার দিকে ডুলাহাজারা স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ তিনটি কোচ লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘লাইনচ্যুত কোচগুলো লাইনে তুলতে সময় লাগবে। তবে বিকল্প থাকায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকবে না।’

বিষয়:

সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না সেতু

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:৫২
মো. আজিজুল হাকিম, মানিকগঞ্জ

প্রান্তিক জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের স্বার্থে মানিকগঞ্জের ঘিওরের কালীগঙ্গা নদীর ওপর ৩৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কাজে আসছে না সরকারের ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের অভাবে দুই বছর ধরে কালীগঙ্গায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি।

উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর কালীগঙ্গা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স এবং মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ।

সংযোগ সড়ক ছাড়াই ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এরপর সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত। প্রথমার্ধে সেতু নির্মাণের ব্যয় ৩০ কোটি থাকলেও পরবর্তী সময়ে সংযোগ সড়ক ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য ৫ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দুই বছর পরও ব্যবহারের উপযোগী হয়নি সেতুটি।

স্থানীয় মির্জাপুর এলাকার কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, ‘সেতুর নির্মাণকাজ দেইখা ভাবছিলাম, আমাগো এতদিনের কষ্ট দূর হইব। কিন্তু ব্রিজের দুই পাশে রাস্তা না থাকায় আমরা কেউ সেতু ব্যবহার করতে পারি না। আগের মতো নৌকায় করে খেতের ফসল আনতে হয়। আমাগো মনের আশা মনেই রইল। তাইলে সরকার এত টাকা দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করল ক্যান।’

আরেক কৃষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সেতুর পাশে আমার দেড় শতাংশ কৃষিজমি আছে। সেতুর রাস্তার জন্য আমার জমি নিতে চাইছে। এলাকার মানুষের ভালোর জন্য আমার জমি দিতে চাইছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে খালি শুনতেছি আমাগো জমি অধিগ্রহণ করা হবে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় জমিতে আগের মতো ইরি ধান আবাদ করছি।’

স্থানীয় বালিয়াবাধা এলাকার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সেতুটি ব্যবহার করতে পারলে সেতুর আশপাশের অন্তত ৫০টি গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হতো। সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী না হওয়ায় আমাদের ১৫ কিলোমিটার ঘুরে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে। আমাদের দাবি দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী করবে সরকার।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মাসুদ মিয়া জানান, সেতু নির্মাণের পর সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার জমির মালিকদের বাধার মুখে পড়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন সংযোগ সড়কের জায়গা বুঝে পেলেই তারা কাজ শুরু করবেন। এ কাজ করতে তাদের সময় লাগবে ৪-৫ মাস।

এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই ভূমি জটিলতা কেটে যাবে এবং সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে মানিকগঞ্জ রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর এল এ শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার মামুনুর রশিদ জানান, সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ৪.৯৬ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান। ইতোমধ্যে ভূমির মালিকদের ৭ ধারা নোটিশ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে খুব দ্রুত ভূমির মালিকদের তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।


খুলনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০৮
খুলনা ব্যুরো

প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সর্বস্তরের মানুষ। একের পর এক জারি করা হচ্ছে হিট অ্যালার্ট। হিটস্ট্রোকে অনেকে মারা যাচ্ছেন। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে খুলনায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর শাখার আয়োজনে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ।

নামাজে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন খুলনা গোয়ালখালি ক্যাডেট স্কিম মাদ্রাসার মুহতামিম অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নামাজে অংশ নেওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এই অবস্থায় বৃষ্টি হওয়াটা খুব দরকার। বৃষ্টি হলে গরম কমে যাবে। আল্লাহতাআলা সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি বা পানি চাইতে বলেছেন। তাই আমরা মুসল্লিরা সবাই একত্রে নামাজ আদায় করেছি।’

বিষয়:

ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ ব্যুরো

ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পঁচাপুকুরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে জামালপুরের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ব্রক্ষপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের পঁচাপুকুরপাড় এলাকায় আসতেই যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা রেলক্রসিংয়ের ওপর উঠে যায়। এসময় অটোরিকশাটিকে ট্রেন ধাক্কা দিলে অটোরিকশা দুমড়েমুচড়ে গিয়ে দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। রেলক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার না ফেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটছে কি-না তাও জানার চেষ্টা চলছে।’

বিষয়:

শিবচর এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১, আহত ১০

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৪৩
মাদারীপুর প্রতি‌নি‌ধি:

মাদারীপুরের শিবচরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত হয়েছেন একজন ও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের বন্দরখোলা নামক স্থানে কুয়াকাটাগামী ইউনিক পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।

পু‌লিশ জানায়, ভোর রা‌তের দিকে বাসটি চট্টগ্রাম থেকে কুয়াকাটার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় নিয়ন্ত্রন হা‌রি‌য়ে উল্টে যায় বাসটি। ফ‌লে ঘটনাস্থ‌লেই একজন মারা যান।

পুলিশ আরও জানায়, নিহত ব‌্যক্তি বরিশালের বা‌খেরগ‌ঞ্জ উপ‌জেলার কো‌লোসকা‌ঠি গ্রা‌মের গোলাম রহমান (৫৫)। এ সময় আরও ১০ জন আহত হয়। আহত‌দের উদ্ধার ক‌রে শিবচর উপ‌জেলা স্বাস্থ‌্য কম‌প্লে‌ক্সে ভ‌র্তি করা হয়েছে।

শিবচর হাইও‌য়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তমাল সরকার ব‌লেন, ‘ঘটনার প‌রে ভে‌ঙে যাওয়া বাস‌টি উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। আহত‌দের চি‌কিৎসা দেওয়ার ব‌্যবস্থা করা হ‌য়ে‌ছে।’


আবারও তিনদিন বন্ধ বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

ভারতের দার্জিলিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লোকসভার সাধারণ নির্বাচনের কারণে আজ বুধবার থেকে টানা তিনদিন পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশনসহ সকল ধরণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। দার্জিলিং জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কালেক্টর এবং নির্বাচন অফিসার ডা. প্রীতি গোয়েলের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা ও বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয়দফার ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৬ এপ্রিল। আর এ ভোট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভারতের দার্জিলিং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কালেক্টর এবং নির্বাচন অফিসার ডা. প্রীতি গোয়েলের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞোপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার থেকে আগামী শুক্রবার (২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল) টানা তিনদিন ইমিগ্রেশনসহ সকল ধরণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এর মাঝে ভারতীয় ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র ভারতীয় সকল যাত্রী এবং বাংলাদেশের জরুরী মেডিকেল যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ভারত থেকে সকল বাংলাদেশী যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে কোনো টুরিস্ট-যাত্রী এই সময়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না। বন্ধের পর আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে আবারও স্বাভাবিক হবে বন্দরের কার্যক্রম।

বিষয়:

মা-বাবা হারানো ২১ শিশু বড় হচ্ছে অরকা হোমসে

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:০৯
মাসুম বিল্লাহ, গাইবান্ধা

আজ ২৪ এপ্রিল, সাভারের রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর। ২০১৩ সালের আজকের এই দিনে সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামে একটি ৯ তলা ভবন ধসে ঘটেছিল বাংলাদেশ তথা এশিয়ার অন্যতম বড় শিল্প দুর্ঘটনা। বিশ্ব ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা বলা হয় একে। সে দিনের সেই ভয়াল দুর্ঘটনায় জীবন দিতে হয়েছিল ১ হাজার ১৭৫ জন শ্রমিককে। আর সে দিন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়। তাদের মধ্যে অনেকে বেঁচে থাকলেও আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণে বাধ্য হয়েছেন।

লোমহর্ষক এই ট্র্যাজেডির শিকার অনেকেরই সন্তান নিঃসঙ্গতা আর অর্থাভাবে ভিন্ন ভিন্ন পথের সারথি হলেও অত্যন্ত মমতার আশ্রয়ে গাইবান্ধার ‘অরকা হোমস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বেড়ে উঠছে ২১ জন শিশু, কিশোর-কিশোরী। যাদের কেউ হারিয়েছে বাবাকে, কেউবা মাকে। কেউ কেউ আবার বাবা-মা উভয়কে হারিয়ে একেবারেই হয়েছে নিঃস্ব। কারও কারও বাবা-মা আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে আজীবনের জন্য। এ ছাড়াও আরও ৩২ জন এতিম-অসহায় শিশু-কিশোর-কিশোরীর ঠিকানা হয়েছে অরকা হোমস। বাবা-মা হারানো বিভিন্ন জেলার এসব শিশুর লেখাপড়া, খেলাধুলা ও বিনোদনসহ পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে জেলার অরকা হোমস নামের প্রতিষ্ঠানটি।

অরকা হোমসের প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গায়। পরে একই বছরের ২২ ডিসেম্বর গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে অরকা-হোমস প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেছে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ওল্ড রাজশাহী ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন (অরকা)।

অরকা হোমস কার্যালয় সূত্র জানায়, ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলাবিশিষ্ট দুটি এবং পরবর্তীতে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে চারতলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। যেখানে ৫২ জন এতিম অসহায় শিশু, কিশোর-কিশোরী আশ্রয় পেয়েছে। এর মধ্যে ২১ জন মেয়ে, ৩১ জন ছেলে। তাদের মধ্যে ২১ জন রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ঘটনায় এতিম হওয়া শিশু। এখানে থেকেই তারা লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৯ জন মেয়ে, ১২ জন ছেলে।

এদের মধ্যে ২০১৪ সালে অরকা হোমস যখন গাইবান্ধায় প্রতিষ্ঠিত হয় তখন রানা প্লাজা ধসে মাকে হারিয়ে ভর্তি হয় সব থেকে কম বয়সি শিশু সৌরভ। তখন সৌরভের বয়স মাত্র ছয় বছর। সেই সৌরভের বয়স এখন ১৭। সে বর্তমানে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সৌরভের বাড়ি জামালপুর জেলার সদর উপজেলার বলমুইপাড়া গ্রামে। ছয় বছরে বয়সে আসা শিশু সৌরভের তখনকার কোনো কিছুই মনে পড়ে না। তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবই জেনে গেছে সৌরভ। প্রতিবছরই পড়ে পত্রিকার পাতায়, দেখে টেলিভিশনে।


একান্ত সাক্ষাৎকারে দৈনিক বাংলার গাইবান্ধার এ প্রতিবেদককে সৌরভ জানায়, তারা বাবা বাদশা মিয়া কাজ করতে অক্ষম হওয়ায় তার মা কল্পনা বেগম পোশাক শ্রমিকের কাজ নেন। তার মা ওই ভবনের তিন তলায় পোশাক শ্রমিকের অপারেটর ছিলেন।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান তিনি। এরপর এতিম সৌরভের জায়গা হয় অরকা হোমসে।

সৌরভ জানায়, ‘শুনেছি আমার বয়স যখন ছয় বছর; তখন মা রানা প্লাজায় মারা যান। ধ্বংসযজ্ঞের ১৬ দিন পর মাকে খুঁজে পান বাবা-ভাই ও আমার স্বজনরা। মায়ের দেহ নাকি তখন গলে পচে গেছে, কিন্তু তার গলায় থাকা পোশাক কারখানার আইডি কার্ড দেখে আমার মাকে চিনতে পারেন আমার বাবা।

এ ছাড়া সৌরভ আরও জানায়, শুনেছি মায়ের উপার্জনে আমাদের পরিবার চলত। মা চলে যাওয়ার পর বাবা নিরূপায় হয়ে আমাকে এখানে রেখে যান। আমার ভাই বড় হয়ে বিয়ে করে সংসার করছেন। বাবাও দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এখন আমার খোঁজ-খবর রাখছেন দাদা। এখানে আমি ভালো আছি।

মাকে মনে পড়ে কি না জানতে চাইলে সৌরভ বলে, ‘সব সয়ে গেছে’। ছয় বছরের শিশু থাকতেই মাকে হারিয়েছি তো। এখন খুব একটা কষ্ট হয় না। তবে প্রতিবছর এই দিনটি আসলে সাংবাদিক এবং বিভিন্নভাবে মায়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। তখন মনে হয় আমারও একজন মা ছিলেন।

সৌরভ জানায়, বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আর কাজ করতে গিয়ে আমার মা জীবন দিয়েছেন। একটা মাহারা শিশুর আশ্রয় হয়েছে অরকা হোমসে। আমিও এরকম একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন দেখি। যেখানে অসহায়-এতিম ছেলে-মেয়েরা বিনা টাকায় খেয়ে-থেকে পড়ালেখা করতে পারবে।

প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ম্যানেজার মিল্লাত মণ্ডল প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই অরকা হোমসে আছেন। সৌরভের বিষয়ে জানতে চাইলে স্মৃতিচারণ করে তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ২০১৪ সালে সৌরভ যখন এখানে আসে তখন ওর বয়স ছয় বছর। তখন এটি প্রসারিত ছিল না, ছিল না জনবলও। ও (সৌরভ) তখন বিছানায় পেশাব করত, আমি পরিষ্কার করতাম। এখন অনেক বড় হয়েছে। এখানে আসার পর প্রায় টানা এক মাস সৌরভ প্রায় সার্বক্ষণিক মায়ের জন্য, বাড়ির জন্য কেঁদেছে। ওকে আমরা সবাই অনেক স্নেহে মানুষ করেছি। কারণ সব থেকে ছোট এবং কম বয়সের ছিল সৌরভ।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মাহারা সৌরভ অনেক ভদ্র এবং নম্র। সৌরভ প্রচণ্ড মেধাবী। সে এখানে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক ক্লাসে প্রথম ছিল। আর এবার নবম শ্রেণিতে উঠেছে সৌরভ। এ সময় সৌরভের আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে প্রাণ ভরে দোয়া করেন- সৌরভ জীবনে অনেক বড় হোক।

শুধু সৌরভই নয়, আল-আমিন মিয়া, জিয়াদ হোসেন, তাহমিনা আক্তার, বীথিসহ হোমসে আশ্রয় হওয়া সবারই আছে প্রায় একই রকম শোকগাথা ইতিহাস। তবে, এতিম-অসহায় এই শিশুদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করেই চলেছে অরকা হোমস।

প্রকৃতির ছায়াঘেরা অরকা হোমসের ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের ভেতরেই ভবন, স্কুল, চারতলা ভবনের একটিতে থাকে ছেলেরা। আর মেয়েরা থাকে তিনতলার অপর ভবনটিতে। এখানে থাকা শিশু-কিশোরের সবাই পড়াশোনা করছে পাশের মুসলিম একাডেমিতে। আছে খেলার মাঠ, লাইব্রেরি ও বিনোদনের ব্যবস্থা। এ ছাড়া তাদের দেখভালের জন্য রয়েছেন একজন তত্ত্বাবধায়ক, একজন ম্যানেজার, সহকারী ম্যানেজার, নারী কেয়ারটেকারসহ আটজন। তাদের জন্য রয়েছে ২২ জন গৃহশিক্ষক। রয়েছেন শরীরচর্চার শিক্ষকও। ধর্ম শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। নামাজের জন্য ক্যাম্পাসেই রয়েছে পাকা মসজিদ।

গাইবান্ধা অরকা হোমসের পরিচালক মো. জাহিদুল হক জানান, ২০১৪ সালে মাত্র ৮টি শিশু নিয়ে অরকা হোমসের যাত্রা শুরু হয়। এখন এখানে শিশু রয়েছে ৫২টি। তার মধ্যে ২১টি শিমু রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির বাবা-মা হারানো; বাকিরা এতিম অসহায়। তাদের পড়াশোনা থেকে সবকিছুই আমরা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, এই ২১ জন ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এখানকার ৩১ শিশু-কিশোরের কেউ মাধ্যমিক পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ছে, কেউ কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হচ্ছে, আবার কারও কর্মসংস্থান হওয়ায় অরকা হোমস ছেড়ে চলেও গেছে।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে থাকা অরকার সদস্যদের আর্থিক সহায়তায়ই মূলত হোমসের ব্যয় মেটানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই অনুদান প্রদানে বিজিএমইএ গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ হোমস-সংশ্লিষ্টদের।


কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৭ জন কারাগারে

কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে আটককৃতরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যৌথ অভিযানে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আদালতে তোলা হলে বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এএসএম এমরান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রুমা সদর ইউনিয়নের মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা লাল নুন নোয়াম বম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান বম (৩২), ভান মুন নোয়াম বম (৩৩), লাল মিন বম (৫০) ও বান্দরবান সদর লাইমি পাড়ার বাসিন্দা ভান বিয়াক লিয়ান বম (২৩)।

তাদের মধ্যে ভান মুন নোয়াম বম রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সংগঠনবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২৩ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলুয়ের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এর আগে গতকাল সোমবার রুমা সদর ইউনিয়নের মুনলাইপাড়া থেকে ছয়জন এবং বান্দরবানের মিলনছড়ি পুলিশ চেকপোস্ট থেকে ভান বিয়াক লিয়ান বমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, মসজিদে হামলা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুটের ঘটনায় পাঁচটি মামলা হয়। এরপর ৩ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তাতে চারটি মামলা দায়ের হয়। এ পর্যন্ত নয় মামলায় সর্বমোট ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৫৬ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়:

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী যারা

নির্বাচন কমিশন ভবন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সাতজন চেয়ারম্যান, নয়জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১০ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। চূড়ান্ত তালিকা এলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার ইসি থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

যেসব উপজেলায় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, হাকিমপুর (দিনাজপুর) উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাঘাটা (গাইবান্ধা) উপজেলার চেয়ারম্যান, বেড়া (পাবনা) উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সিংড়া (নাটোর) উপজেলার চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া সদরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া, বাগেরহাট সদরে তিনটি পদে, মুন্সীগঞ্জ সদরে তিনটি পদে ও শিবচর (মাদারীপুর) তিনটি পদে প্রার্থীরা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

পাশাপাশি, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পরশুরাম (ফেনী) উপজেলায় তিনটি পদে, সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রোয়াংছড়ি (বান্দরবান) উপজেলার চেয়ারম্যান পদ ও কাউখালী (রাঙ্গামাটি) উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতোমধ্যে তফসিল দিয়েছে ইসি। এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে ৫ জুন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সময় ছিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে, সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এতে করে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে।

চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।

চতুর্থ ধাপের নয়টি উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে। বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।

বিষয়:

মসজিদ নির্মাণ না হওয়ায় গোডাউনে নামাজ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বরাব শুয়াপুর গ্রামে গত দুই বছর ধরে অর্থাভাবে বন্ধ রয়েছে মসজিদ সংস্কার কাজ। ফলে অন্যের গোডাউনে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।

বরাব শুয়াপুর গ্রামটি উপজেলার একেবারে শেষপ্রান্তে। এক সময় এ গ্রামে জনসংখ্যা ছিল অনেক কম। বর্তমানে নদীভাঙন কবলিত বিভিন্ন জেলার লোকজন এখানে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন। বাসিন্দাদের বেশির ভাগই হতদরিদ্র।

প্রায় আড়াই যুগ আগে ওই গ্রামের চাঁন মিয়া মাতব্বর মসজিদের নামে ৯ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে দেন। এরপর গ্রামের সবাই মিলে মাটি তুলে সেখানে বরাব (শুয়াপুর) জামে মসজিদ স্থাপন করা হয়। সেই ছাপড়া মসজিদেই নামাজ আদায় করা হচ্ছিল। দুই বছর আগে মসজিদটি সংস্কারের জন্য ভাঙা হয়। এরপর অর্থাভাবে আর নতুন করে গড়ে তোলা যায়নি। পাঁচ তলা ভবনের ফাউন্ডেশন দিয়ে মসজিদের কাজ শুরু করলেও বর্তমানে শুধু নিচ তলার পিলার তৈরি করা হয়েছে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে পাশের একটি ব্যক্তি মালিকের গোডাউনে মসজিদের কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করছেন এলাকার মুসল্লিরা।

মসজিদ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মসজিদের কিছু কাজ করার পর টাকার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন কিছু অনুদান পেয়েছি, গ্রামের সবাই সহযোগিতা করছে। খুব দ্রুত আবার কাজ শুরু করব। তবে মসজিদ তৈরিতে আরও অর্থ প্রয়োজন।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম বলেন, ‘ওই মসজিদের এমন অবস্থার কথা আগে জানা ছিল না। আবেদন করলে ওই মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিষয়:

banner close