প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দেয়ার অভিযোগে কারারুদ্ধ রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদকে আবার এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে রাজশাহী অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় মহানগরীর রাজপাড়া থানায় দায়ের করা নাশকতা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। পরে শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই মামলায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনকেও গতকাল দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রাজপাড়া থানা পুলিশ তাকে ওই মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শামসাদ বেগম মিতালী জানান, রাজপাড়া থানার একটি নাশকতার মামলায় সরকারপক্ষ আবু সাইদ চাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল। তবে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এক দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলায় ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার শফিকুল হক মিলনকে রাষ্ট্রপক্ষের শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। তবে বিএনপি নেতা শফিকুল হক মিলনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে এই মামলায়ও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠায়।
এর আগে গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপি জনসমাবেশে দেয়া বক্তব্যে আবু সাইদ চাঁদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ ওঠে। ওই রাতেই তার বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগর ও জেলায় ছয়টি মামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত মোট ২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মাগুরা সহ সারাদেশে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগায় মৃৎশিল্প প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। রান্না বান্নাই আধুনিক জিনিসপত্র তৈরি হওয়াতে এখন আর সচরাচর দেখা যায় না মাটির কলস, হাড়ি, বাসন ইত্যাদি। ফলে পাল বংশের পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। সীমিত কিছু মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে সংসার চালানো তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
একটা সময় পাল বংশ স্থাপত্য ও শিল্পকলার জন্য অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। আনুমানিক ৭৮১ থেকে ১১৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাল বংশ বাংলায় প্রায় ৪০০ বছর রাজত্ব করেছে। পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল। পরবর্তীতে ধর্মপাল ও দেবপাল এসে এই বংশের প্রসার ঘটান। দ্বাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পাল বংশের রাজত্বের অবসান ঘটে। পাল বংশের সেই রাজত্ব এখন আর না থাকলেও তাদের উত্তরশূরিরা এখনো অনেক জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের হাতের নিপুন কারু কাজের মাধ্যমে তারা বংশের নাম অক্ষুন্ন রেখেছেন।
মাগুরার বিভিন্ন এলাকায় পাল বংশের বসবাস থাকলেও অভাবের তাড়নায় তারা এ কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় নিযুক্ত হচ্ছেন। সদর উপজেলার শ্রীকুন্ডি গ্রামে পাল বংশের হাতের তৈরি মৃৎশিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। এক সময় এই গ্রামে ৩০-৪০ ঘর পাল বংশের লোকজন বাস করত। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে অনেকে গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছে। একটা সময় এই গ্রামের পালদের হাতে তৈরি মাটির জিনিসপত্রের খুব কদর ছিল। তাদের বাপ-দাদার আমলের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে তারা এখনো এই কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি তাদের ছেলে মেয়ে ও ঘরের বউদেরকেউ এই কাজ শেখানো হয়। তারা মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলনা, হাড়ি, কলস, মাটির ব্যাংক, ফুলের টব, বাসন, ফুলদানি, দইয়ের হাড়ি, ল্যাট্রিন এর চারি ইত্যাদি জিনিসপত্র বানাতো। শুধু তাই নয় এগুলো তৈরি করার পর হাতে সুন্দর করে নকশা কেটে রোদে শুকিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে সেগুলিকে রং করে বাজারে বিক্রি করতো। নিজেদের জেলার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এগুলো তারা বড় বড় শহরে বিক্রি করতো। আগে সবকিছুর দাম কম থাকায় তাদের সংসার ভালোভাবেই চলে যেত।
আগের দিনে দাদি নানীরা মাটির চুলায় মাটির হাঁড়িতে ভাত রান্না করত মাটির কলসে পানি রাখতো বাসনে ভাত খেত। কিন্তু বর্তমানে শহরের পাশাপাশি অনেক গ্রামেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাই এসব হাড়ি, কলস, বাসন এখন আর কেউ ব্যবহার করে না। এখন শুধুমাত্র মাটির চারি দইয়ের হাড়ি আর ব্যাংক তৈরি করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করছেন।
সবকিছুতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও ছোঁয়া লাগেনি মাটির জিনিসপত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে। সেই মান্ধাতার আমলের মাটির চুল্লি, কাঠের জালানী ও মাটির ছাঁচ দিয়েই কাজ সারতে হয় তাদের।
বর্তমানে জ্বালানি এবং রঙের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই অভাবের তাড়নায় এ কাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করছে। বর্তমানে এই গ্রামে ১৪-১৫ ঘর পাল বাস করে।
মাগুরা শ্রীকুন্ডি গ্রামে সরেজমিনে গেলে সঞ্জয় কুমার পাল দৈনিক বাংলাকে জানান, আমাগের বাপ-দাদার আমলের ব্যবসা আমরা ছাড়তে পারবো না। সরকার যদি আমাগের একটু সাহায্য করতেন তাহলে আমরা এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতি পারতাম । আমরা এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে কোনদিন কোন অনুদান পায়নি।
সঞ্জয় কুমার পালের মত একই এলাকার দিলিপ পাল, সুভাষ পাল, নির্মলপাল, হিমপাল, নিমাই পাল, সোনাপাল এরকম আরো অনেকেই এই একই কথা বলেছেন।
একই এলাকার রানী পাল বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ এখন আমি মাটির জিনিসপত্র বানায়ে সংসার চালাই। কিন্ত খরি আর রঙের দাম অনেক বেশি সেই সাথে এগুলো বাজারে আনানিয়ার খরচও অনেক হওয়ায় আমাগের অনেক কষ্ট হয়ে যায়। তাই সংসার চালাতি কষ্ট হয়। টাকার জন্যি আমরা ঠিক মত ওষুধ কিনতি পারিনি।
সঠিক তদারকির অভাবে একদিন হয়তো পাল বংশের এই ঐতিহ্য ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যাবে। গ্রামবাসীরা এ ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রাঙামাটি শহরের শিশু পার্কে কাপ্তাই লেকের মাঝখানে নির্মিত আধুনিক ওয়াচ টাওয়ার ইতিমধ্যেই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত এই শিশু পার্কে টাওয়ারটি ঘিরে এখন বাড়ছে পর্যটকের ভিড়। স্থানীয়রা এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুরা বলছেন, ওয়াচ টাওয়ার রাঙামাটির পর্যটনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৬ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় তিনতলা বিশিষ্ট ওয়াচ টাওয়ার ও ওয়াকওয়ে। এর দৈর্ঘ্যে ২৭৮ ফুট ও প্রস্থে ৮ ফুটের এই টাওয়ারে উঠে চোখ মেলে দেখা যায় এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ ও আশপাশের পাহাড়ি সৌন্দর্য।
শিশু পার্কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন বলেন, “সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে শিশু পার্কে আসি। কিন্তু আজ ওয়াচ টাওয়ারে উঠে কাপ্তাই লেকের অপার সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হয়ে গেলাম। এটি রাঙামাটির পর্যটনের জন্য এক নতুন সংযোজন।”
স্থানীয় পর্যটক রিয়া সেন বলেন, “আমি আগে অনেকবার কাপ্তাই লেকে ঘুরেছি, কিন্তু এত সুন্দর ভিউ একসাথে কখনো দেখিনি। এখানে দাঁড়িয়ে মনে হয় পুরো রাঙামাটিই চোখের সামনে।”
চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা শাহেদুল ইসলাম জানান, “ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে কাপ্তাই লেকের দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করেছি। এটি শুধু পর্যটকদের নয়, পুরো রাঙামাটির জন্যই এক নতুন সংযোজন।”
এদিকে, পাহাড়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিএইচটি ট্যুরিজম অ্যান্ড কালচার রিসার্চ সেন্টার-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “ওয়াচ টাওয়ারটি শুধু রাঙামাটির নয়, পুরো পাহাড়ি অঞ্চলের পর্যটন খাতকে আরও এগিয়ে নেবে। এতে দেশি-বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ বাড়বে।”
রাজশাহী থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মোহনা আক্তার বলেন, “রাঙামাটির পাহাড়-নদী-লেকের সমন্বয় সবসময় আমাকে টানে। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে মনে হলো আমি যেন আকাশের আরও কাছে চলে এসেছি।”
এ প্রসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা বলেন, “শিশু পার্কে ওয়াকওয়ে ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে। এখানে দাঁড়িয়ে পর্যটকেরা কাপ্তাই লেক ও পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন, যা রাঙামাটির পর্যটন বিকাশে বড় ভূমিকা রাখবে।”
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শিশু পার্কের ভেতরে লেকের মাঝখানে নির্মিত এই ওয়াচ টাওয়ার রাঙামাটিকে নতুনভাবে পরিচিত করবে দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রির অপরাধে দুই ডিম ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পৌর শহরের পুরাতন কাঁচা বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন।
অর্থদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাইফুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। এ দুজনকেই ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন বলেন, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে র্যাগিং একটি নিন্দনীয় প্রথা হিসেবে বিদ্যমান। নতুন শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে হয়রানি করার এ ধরনের কার্যক্রম শুধু পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করছে না, বরং অনেক সময় তা ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের বিপর্যস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে র্যাগিং প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) প্রশাসন। শুধু নিয়মকানুন প্রণয়ন নয়, প্রয়োজনে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। র্যাগিংকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে কমিটি গঠন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও নিয়মিত টহলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব বলেন, “র্যাগিং বন্ধ করার জন্য আমাদের একটি কমিটি আছে। অতি দ্রুতই আমরা উক্ত কমিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেবো। ইউজিসি থেকে মাদক এবং শৃঙ্খলাবিষয়ক একটি সেমিনার আয়োজনের নির্দেশনা আছে। আমরা উক্ত সেমিনারে র্যাগিংয়ের বিষয়টি সংযুক্ত করবো যেহেতু এটি আইনশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে।”
সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, “ক্লাস টাইমে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি নিয়মিত টহল দিচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের র্যাগিং ও মাদকের অপকারিতা সম্পর্কে কাউন্সেলিং করছি। যদি কোনও শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত অবস্থায় ধরা পড়ে তাহলে আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবো। এই শাস্তির মধ্য দিয়ে যাতে অন্য শিক্ষার্থীরা সচেতন হয় আমরা সেই ব্যবস্থাও গ্রহণ করবো।”
তিনি আরও বলেন, “র্যাগিংয়ের ভুক্তভোগী কোনও শিক্ষার্থী যদি যথাযথ প্রমাণসহ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে আমরা অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন কঠোর অবস্থান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকেই। অভিভাবকরাও আশা করছেন, এসব পদক্ষেপ র্যাগিংয়ের মতো নিন্দনীয় প্রথা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
অপহরণের পাঁচ দিন পর ঠাকুরগাঁওয়ে আখক্ষেত থেকে মোহাম্মদ রাকিব (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর এলাকায়
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সরোয়ারে আলম খান।
রাকিব, রোড এলাকার মাস্টার পাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
ওসি মো. সরোয়ারে আলম খান জানান, এটি প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে কিশোরের পরিবার থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এখন এটি হত্যা মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ স্কাউটস, মাগুরা জেলা রোভারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫: নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রক্তদান কর্মসূচি-২০২৫”।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ স্কাউটস জেলা রোভারের সভাপতি মোঃ অহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শামীম কবির, মাগুরা জেলা স্কাউটের সম্পাদক নাসিমা শিলা, রোভার স্কাউটের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শ্যামল কুমার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাগুরার তাজুল ইসলাম।
শহীদদের স্মরণে আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচিতে মাগুরা জেলা স্কাউট রোভারের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রোভার সদস্য স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন।
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় আদমপুর দুল্লী রাস্তার পাশের মরা বিল থেকে সিএনজি চালক নুরুজ্জামাল (৪০) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয় । নিহত জামাল নওপাড়া ইউনিয়নের পাঁচহার গ্রামের মৃত মগল চাঁন মিয়ার ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া-আটপাড়া) মো. গোলাম মোস্তফা, কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, পিবিআই ও সিআইডি সদস্যরা। কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পিবিআই ও সিআইডি টিমের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশেই নিহতের সিএনজি পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য মাঠে কাজ করছে।
গত ২০ আগস্ট থানা পুলিশের অভিযানে জিআর পরোয়ানাভুক্ত নাদিম প্রাং (২৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। নাদিম সারিয়াকান্দির কুঠিবাড়ী এলাকার মোঃ সলিম প্রামাণিকের ছেলে। অপরদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ এর এজাহার নামীয় আসামী মো. রোমান (১৯) কে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। সে একই উপজেলার কুতুবপুর বাজার এলাকার মোঃ সোহরাব ওরফে সরোয়ার ফকিরের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে উভয়কে বীজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়।
ফরিদপুরে সাহিত্য পরিষদের ৪২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সনেট কবি সুফি মোতাহার হোসেন এর ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরে সাহিত্য সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, স্বরচিত কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মো: আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি সুস্মিতা সাহা, ফরিদপুরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম এ সামাদ, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদের মা নুরুনহার মাসুদ, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক মফিজ ইমাম মিলন । অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফরিদপুরে সাহিত্য পরিষদের যুগ্ন-সম্পাদক মৃর্ধা রেজাউল করিম।
স্বরচিত কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে ১৫ জন কবি তাদের কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এতে ফরিদপুরের তরুন শিল্পি শরিফ মাহমুদ সোহান, বন্যা ঘোষ, পাপিয়া সিুলতানা ও রুপম হোসেন সংগীত পরিবেশন করেন।
“বিআরডিবি’র অঙ্গীকার, উন্নত সমৃদ্ধ পল্লী গড়ার” স্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহের মহেশপুরে কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) মহেশপুরের উদ্যোগে খালিশপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান হয়। দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্প (ইরেসপো)-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা আক্তারের সভাপতিত্ব ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বাহাউল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১নং এস বি কে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফান হাসান চৌধুরী,খালিশপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কিশোরীদের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সমাজ সচেতনতায় এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা কিশোরীদের আত্মবিশ্বাসী হয়ে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।
পরিশেষে উপস্থিত কিশোরীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ সামগ্রী স্যানেটারী নাপকিন, খাতা, কলম ও স্কুল ব্যাগ বিতরণের পাশাপাশি সকল কিশোরী, অভিভাবক, শিক্ষকমন্ডলী, উপস্থিত অতিথি সহ বাল্য বিবাহকে না বলুন শপথ নিয়ে প্লাকাড প্রদর্শন করা হয়।
জয়পুরহাটে এক নারী ‘পরিবার কল্যাণ সহকারীকে’ যৌন নিপীড়নের দায়ে ইউনিয়ন পরিষদের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে করা মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত আবু মুসা (৩৭) জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি জয়পুরহাট পৌরসভার গাড়িয়াকান্তা এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, পরিচয়ের সুবাদে ওই নারীকে প্রায়ই মোবাইল ফোনে বিরক্ত করতেন আবু মুসা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মেসেঞ্জারে আপত্তিকর বার্তাও পাঠাতেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ওই নারী অসুস্থ ফুফুকে দেখতে জয়পুরহাট শহরে গেলে আবু মুসা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চা খাওয়ার প্রলোভনে কৌশলে শহরের মাস্টারপাড়ার একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে একটি ঘরে বসে তিনি ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে জোরপূর্বক ধস্তাধস্তি শুরু করেন এবং যৌন কামনা চরিতার্থের উদ্দেশ্যে ওই নারীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন।
এসময় ওই নারী চিৎকার করে তাকে ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে আবু মুসা তার হাত চেপে ধরেন। পরে আবারও চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আবু মুসাকে আটক রাখেন। এরপর ভুক্তভোগী নারী জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবু মুসাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তামবিরুল ইসলাম বলেন, ওই নারী বাদী হয়ে আবু মুসার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) আফরোজা আক্তার চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থার গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
অটোরিকশা বা ইজিবাইকের নগরী এখন কুমিল্লা। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অটোরিকশার কারনে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নগরীজুড়ে যানজট লেগেই থাকে। এতে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘন্টা, ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেপোরোয়া গতির কারনে নিত্যদিন ঘটছে দূর্ঘটনা। বাড়ছে পঙ্গুত্ব।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মতে, নগরীর প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে চলাচলের উপযুক্ত ৫ হাজার ইজিবাইক। সেখানে এখন প্রায় ৪৫ হাজার অটোরিকশা সড়ক দাপিয়ে বেড়ায়। শুধু তাই নয়, বেপোরোয়া অটোরিকশা চালকদের কারনে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে।
কুমিল্লা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শোয়েব সোহেল জানান, সম্প্রতি তিনি মোটরবাইকে করে কান্দিরপাড় হয়ে পদুয়ার বাজার যাচ্ছিলেন। পথে নগরীর শাকতলা এলাকায় একটি অটোরিকশা তাকে বহনকারী মোটরবাইকটিকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পরে গুরুতর আহত হন। আহমেদ শোয়েব সোহেল বলেন, এই নগরীতে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত অটোরিকশা চলে। চালকরা জানেন না নিয়ম নীতি। এখন যদি এই অটোরিকশাগুলোকে শৃংখলায় না আনা যায়, তাহলে সামনের দিনগুলো আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবে।
গণমাধ্যমকর্মী আনোয়ার হোসেন বলেন, জরুরী কাজে তিনি কুমিল্লা নগরীর সার্কিট হাউজ দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশার সংঘর্ষে তার পা ভেঙে যায়। ছয়মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হন। তবে এখনো তার পা ব্যাথা করে।
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কানাই দত্ত জানান, অটোরিকশার ধাক্কায় তার পায়ের আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নগরীর ফৌজদারী এলাকায় দুই অটোরিকশার সংঘর্ষে পা ভাঙলো গৃহবধু রোকসানা আক্তার। স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তিনমাসের জন্য হাটাচলা বন্ধ করে চিকিৎসা নিতে বলেছেন। নিত্যদিন দুর্ঘটনার কারনে অটোরিকশা এখন নগরবাসীর কাছে রীতিমতো আতংকের হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুমিল্লা নগরীর প্রধান সড়কের মধ্যে শাসনগাছা, কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ, চকবাজারে সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অটোরিকশা স্ট্যান্ড। এতে করে প্রতিনিয়ত যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। অটোরিকশা বন্ধে আমদানি নিষিদ্ধ হলেও টমসমব্রীজ থেকে জাঙ্গালিয়া পর্যন্ত বেশকিছু দোকানে তৈরী করা অটোরিকশা পাওয়া যাচ্ছে।
নগরীর ব্যস্ততম সড়কে অটোরিকশা কেন এত বেপোরোয়া এই বিষয়ে এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, অটোরিকশা চালকদের মধ্যে নেশা করার প্রবনতা আছে। নাম পরিচয় গোপন রেখে বেশ কয়েকজন অটোরিকশা চালক জানান, নেশার ঘোরের মধ্যে থাকার কারনে গতি তাদের কাছে ভালো লাগে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নগরীর একশজন অটো রিকশা চালকের মধ্যে অন্তত ৩০ জন চালক নেশা করে অটোরিকশা চালায়। যার কারনে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন গঠিত ২০১২ সালে। এক যুগের বেশী সময়ে অন্তত ৩ জন মেয়র সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তাদের মধ্যে কেউ নগরীর সড়কের শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে পারেন নি।
নগরীর সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন জানান, ছয় হাজার অটোরিকশাকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। গ্রাম থেকে আসা অটোরিকশাগুলোকে শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এছাড়াও কিউআর কোড বসানো হবে। নিবন্ধনের বাইরে কোন অটোরিকশা নগরীতে চলতে পারবে না। সে জন্য অভিযান পরিচালনাও করা হবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার জানান, নগরীর সড়কগুলোতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনাসহ অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধে জেলা প্রশাসন আগেও সিটি কর্পোরেশনকে সব ধরনের প্রশাসনিক সহযোগীতা করেছে, এখনো করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় দায়ের করা মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৬টি মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে হত্যা মামলা ৮টি এবং অন্যান্য ধারায় মামলা ১৮টি।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা, চার্জশিটকৃত ৮টি হত্যা মামলা হলো- শেরপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও কুড়িগ্রাম জেলার ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের। অন্যান্য ধারার ১৮টি মামলা হলো- বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও জামালপুর জেলার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের।
হত্যা মামলায় মোট আসামি ১ হাজার ১৫৩ জন এবং অন্যান্য ধারার মামলায় মোট আসামি রয়েছে ৬৮২ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে দায়েরকৃত মামলার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ মামলাসমূহ তদারক করছেন।
অন্যান্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।