বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সাঈদীর মৃত্যুতে স্ট্যাটাস: জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিসহ ১৩ জন বহিষ্কার

ছাত্রলীগ
আপডেটেড
২০ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:৫১
প্রতিনিধি, লালমনিরহাট
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, লালমনিরহাট
প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০২৩ ১৪:৩০

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় এবং এ নিয়ে তর্কে জড়ানোয় লালমনিরহাটের ১৩ ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে সংগঠনের জেলা শাখা।

গত শনিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সাময়িক বহিষ্কারের তথ্য জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনবিরোধী ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. হুমাউন কবির হিরুসহ মোট ১৩ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

অন্য ১২ নেতা হলেন—কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম সুমন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডীমারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ভূঁইয়া, গোতামারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোনাব্বেরুল হক মিশেল, টংভাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন সাগর, বড়খাতা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মানুনুর রশীদ লিওন খান, সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমিনুর ইসলাম রানা, মোগলহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, মোগলহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিন, লালমনিরহাট পৌর ছাত্রলীগের ৪নং সহ-সভাপতি শ্রাবণ হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা ইসমাঈল হোসেন আদর, পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সহিদ এবং পাটগ্রাম পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইবনে রুশদ।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ দৈনিক বাংলাকে বলেন, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকা, তথা যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন পদধারী ১২ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফের সঙ্গে ঢাকায় প্রকাশ্যে এসব বিষয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হুমাউন কবির হিরুকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সাময়িক বহিষ্কার হওয়া নেতাদের স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান রাশেদ জামান বিলাশ।

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন ছাত্রলীগের নেতা চাই না যারা যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে পোস্ট দেয়। এরা লেবাসধারী, তাই তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।


বেসরকারি খাতকে যুক্ত করেই খেলাধুলার উন্নয়ন করতে হবে: বিসিবি পরিচালক আসিফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত না করে কোনো খেলার উন্নয়ন চিন্তা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন, বয়সভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আসিফ আকবর। গত মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের খেলার মাঠগুলোর মানোন্নয়ন ও ব্যবহারযোগ্যতা বাড়াতে ৩ দিনের পরিদর্শনে নীলফামারী জেলা স্টেডিয়াম ও মিনি স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, যারা অ্যাকাডেমির সুবিধা পাচ্ছে না, তারা স্বেচ্ছাসেবীভাবে খেলায় নিয়োজিত। আমরা চাই কোয়ালিফাইং রাউন্ড চালু হোক, নতুন টিম যুক্ত হোক, নতুন সংগঠক ও বিনিয়োগকারীর জন্ম হোক। বেসরকারি খাতকে উৎসাহ না দিলে ৪৭ সালের পরের ক্লাবগুলোর ওপর নির্ভর করে কোনো খেলার উন্নয়ন সম্ভব নয়।

আসিফ আকবর বলেন, নীলফামারী স্টেডিয়ামকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে খেলাধুলার উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। এখানে কোনো ফুটবল টুর্নামেন্ট, ঢাকার কোনো লীগ বা ন্যাশনাল খেলা না হওয়ায় এত সুন্দর একটি মাঠ ফেলে রাখার মানে নেই। এনএসসি ও ডিএফএর ফুটবল ক্যালেন্ডার মিলিয়ে মাঠ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

ফুটবল ও ক্রিকেট একই স্টেডিয়ামের আয়োজনের বিষয়ে তিনি বলেন, স্থায়ী উইকেটে ফুটবল খেললে উইকেটের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এজন্য সিনথেটিক টার্ফ বসানো হলে ফুটবল ও ক্রিকেট দুই খেলারই অসুবিধা হবে না। নীলফামারী ভেন্যুর ডরমিটরি, প্রেসবক্স, গ্যালারি, প্র্যাকটিস সুবিধাসহ জাতীয় লিগ বা বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সব সুযোগই রয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর কাছে থাকায় প্রয়োজনীয় ফ্যাসিলিটিও সহজ।

এ সময় আসিফ আকবর, উপস্থিত খুদে ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে তুলে ধরা বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত লজিস্টিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে বিসিবি পরিচালক হাসানুজ্জামান, সদস্য সচিব আরমানুল ইসলাম, আম্পায়ার শাকির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য জহুরুল আলম, অ্যাড. আবু মো. সোয়েমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


বেনাপোল দিয়ে ৪ মাসে সাড়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাশেদ রহমান, বেনাপোল

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে গত ৪ মাসে বেনাপোল বন্দরে এসেছে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল। গত ২১ আগস্ট ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চালের প্রথম চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। ২১ আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৪ মাসে প্রায় ১৪৫টি চালানের বিপরীতে ৩৯৫টি ট্রাকে করে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন মোটা চাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে।

দেশে চালের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ সরকার দেশের সব বন্দর দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। অর্থাৎ আগস্ট মাসে ১২৬০ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে ৫ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ৫ হাজার ১৮৮ মেট্রিক টন এবং নভেম্বরে ১ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। আমদানি করা চাল ছাড় করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চার থেকে পাঁচটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কাজ করছে। বন্দরের ৩১ নম্বর শেডে আমদানি করা চালের খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি বাবলুর রহমান বলেন, ‘চাল আমদানির শুরু থেকে আমরা কাস্টমস হাউজে চাল ছাড়করণের জন্য কাজ করে আসছি। চার মাস পর গত ২১ আগস্ট থেকে পুনরায় ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, গত ২১ আগস্ট থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। কিছুদিন বাদে বাদে এ সমস্ত চালের চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। প্রতিদিন চালের চালান আসেনা। গত আগস্ট মাসে চাল আমদানি শুরুর দিকে চাল আমদানির পরিমান বেশি থাকলেও বর্তমানে অনেকাংশে কমে গেছে। তবে দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হওয়ায় চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে চালের দামে তেমন একটা প্রভাব পড়বে না বলে তিনি মনে করেন।

বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, “চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সবশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপত্র ইস্যু করে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠায়।

“বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে আমদানিকারকদের ‘ইমপোর্ট পারমিট’ বা আমদানি অনুমতিপত্র জারি করে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলে ২১ অগাস্ট থেকে আবার চাল আমদানি শুরু করে।”

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৩ হাজার ৫২৮ টন চাল আমদানি হয়েছে। বর্তমানে আমদানি কমে গেলেও তেমন সমস্যা হবে না। এর মধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ ধান বাজারে আসলে চালের দাম কমে আসবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। পুনরায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলে গত ২১ আগস্ট থেকে আবার চাল আমদানি শুরু করে। অর্থ্যাৎ ২১ আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। বর্তমানে চাল আমদানি কমে গেলে ও তেমন সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যে কৃষকরা আমন ধান কাটতে শুরু করেছে। এ ধান বাজারে আসলে চালের দাম কমে আসবে এবং দেশে চালের ঘাটতি পূরণ হবে।

বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ৪ মাসে ভারত থেকে ১৪৫টি চালানে ৩৯৫টি ট্রাকে করে ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়েছে। আমদানি করা চাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক অভিযান, জরিমানা আদায়’’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে জনাব মিল্টন রায়, সিনিয়র সহকারী সচিব ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-সোনারগাঁও আওতাধীন ইছাপাড়া ও সোনারগাঁও থানা সংলগ্ন এলাকা, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ৩টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, অবৈধ ১টি চুনা কারখানা, ১টি ঢালাই কারখানা ও ১টি খানাঢুলি কারখানা এবং ১টি আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের এমএস পাইপ -৩৫ফুট, ৩টি বার্নার, ১টি ডিজেল ইঞ্জিনসহ জেনারেটর (১০কি.ও.) ও ২টি পাথর ওজন করার যন্ত্র অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। উক্ত অভিযানে চুন কারখানার মালিককে ৫০,০০০/- জরিমানা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি স্পটের অবৈধ বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্টে কিলিং/ক্যাপিং করা হয়েছে। চুন এবং ঢালাই কারখানাগুলোর স্থাপনা এক্সক্যাভেটর মেশিনের সাহায্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং পানি স্প্রে করে চুন বিনষ্ট করা হয়েছে।

একই দিনে, জনাব মো: তারিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ- এনায়েতনগর-কাশীপুর আওতাধীন মর্ডাণ হাউজিং, পঞ্চবটি, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, মডার্ণ হাউজিং এলাকায় অনুমোদন অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহারের কারণে ০৩টি আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে ১৬টি আবাসিক সংযোগের প্রায় ৩০০ টি ডাবল চুলা সংযোগ বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়েছে। উক্ত অভিযানে ৩/৪" ব্যাস প্রায় ৩৫০ ফুট বিতরণ পাইপ জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ২,২০,০০০/- জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ -৬, মিরপুর বিক্রয় শাখা আওতাধীন এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ন্যাশনাল ওয়াশিং প্লান্ট, ঠিকানা: ২৩/৮/১, শাহ আলিবাগ, মিরপুর-১, ঢাকা -নামক প্রতিষ্ঠানে গ্যাসবিহীন পরিত্যক্ত একটি সার্ভিস লাইনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের আলামতের প্রেক্ষিতে ড্রেনের আরসিসি ব্লক অপসারণ করে অবৈধ সার্ভিস লাইন গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আরসিসি ঢালাই ও বিটুমিনাস রড ভেঙে মাটি খনন করে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতঃ সোর্স লাইন হতে সার্ভিস লাইন কিল করা হয়েছে। এ সময় ৭৫ ফুট এমএস পাইপ ও ০১টি রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।

এছাড়াও, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ -চন্দ্রা আওতাধীন সফিপুর পূর্ব পাড়া, এবং মন্ডলপাড়া, চন্দ্রা, গাজীপুর এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, মো আহসান, সফিকুল সোহাগ, নাজমুল হোসেন মৃধা, মো কবির, মো আকবর, মো রমজান আলী ও মো: শামিম নামক অবৈধ আবাসিক গ্যাস ব্যবহারকারীর মোট ৯৪টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ০৪টি রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর রাজস্ব উপশাখা টাঙ্গাইল ও বিক্রয় শাখার যৌথ উদ্যোগে অনুমোদন অতিরিক্ত চুলার কারনে বিচ্ছিন্ন ০৯টি ও অতিরিক্ত চুলার সংখ্যা ১৭টি ডাবল ও ০৩ সিঙ্গেল আবাসিক সংযোগ হতে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে ০১(এক) টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

অধিকন্তু, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সাভার, জোবিঅ- আশুলিয়া আওতাধীন ধনাইদ ইউসুফ মার্কেট, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ বিহীন অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ইউসুফ মার্কেট এলাকায় ৫ টি গলিতে প্রায় ২৫ টি বাড়িতে আনুমানিক ২০০ টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ৩০০ ফুট এমএস পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এতে মাসিক ২,১৬,৪০০/- টাকার গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য যে, উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বেও ( গত সপ্তাহে) অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় হাউজলাইল অপসারণ করে সোর্স কিল করা হয়েছিল। এ ছাড়াও জামগড়া, আশুলিয়াতে মিজান সি এন জি তে বকেয়ার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ৪১৯টি শিল্প, ৫৪৪টি বাণিজ্যিক ও ৭৫,৩৪৮টি আবাসিকসহ মোট ৭৬,৩১১টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,৬৩,৬৭৫টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ৩১৭ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।


খাদ্যে অননুমোদিত ‘গোলাপজল’ ও ‘কেওড়া জল’ নামক সুগন্ধি ব্যবহার সম্পর্কিত সতর্কীকরণ

আপডেটেড ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি বাজারে গোলাপজল ও কেওড়া জল নামক সুগন্ধির প্যাকেটের লেবেলে ‘খাবার উপযোগী’, ‘ফুড গ্রেড’, ‘খাদ্য আইন অনুসরণ করে প্রস্তুতকৃত’, ভেজিটেরিয়ান খাদ্য মর্মে ‘সবুজ চিহ্ন’ ইত্যাদি অভিব্যক্তি ব্যবহার করে উক্ত সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহার উপযোগী মর্মে প্রচার করা হচ্ছে। এরূপ পণ্যের লেবেলে উক্ত সুগন্ধির উপাদান হিসেবে বিশুদ্ধ পানি ও গোলাপ/কেওড়া ফ্লেভার বা শুধু ফ্লেভার (Flavour) মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে উক্ত সুগন্ধি কীসের তৈরি তা নির্ণয় করা যাচ্ছে না এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। খাদ্যে অননুমোদিতভাবে কোন খাদ্য সংযোজন দ্রব্য ব্যবহার অথবা যথাযথভাবে লেবেলিং না করা নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর ২৭ ও ৩২ ধারা অনুযায়ী অপরাধ। সম্প্রতি গোলাপজল ও কেওড়া জল উৎপাদনকারী কয়েকটি কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় দেখা যায় অননুমোদিত রাসায়নিক (এমনকি কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক) ব্যবহার করে এরূপ সুগন্ধি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এমতাবস্থায় খাদ্যে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে ঘোষিত যে সকল সুগন্ধির লেবেলে মোড়কাবদ্ধ খাদ্য লেবেলিং প্রবিধানমালা, ২০১৭ অনুযায়ী ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক’, ‘অনুমোদিত কৃত্রিম’ অথবা ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম’ সুগন্ধি অভিব্যক্তি ব্যবহার করা হয়নি এবং কৃত্রিম সুগন্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সুগন্ধি দ্রব্যের সাধারণ নাম ও, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, ইনডেক্স (আইএনএস) নম্বর উল্লেখ করা হয়নি এ রূপ সুগন্ধি দ্রব্যের উৎপাদন ও বিপণন থেকে বিরত থাকার এবং বাজার থেকে প্রত্যাহারের জন্য সকল খাদ্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
সকল খাদ্য প্রস্তুতকারী/সরবরাহকারীদের (যেমন- রেস্টুরেন্ট, বেকারি, কমিউনিটি সেন্টার, ক্যাটারিং সার্ভিস ইত্যাদি) উপরের বিবরণ অনুযায়ী অভিব্যক্তি উল্লেখ করা হয়নি এ রূপ কোন সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
সর্বসাধারণকে এ ধরনের যথাযথ লেবেলিং ব্যতীত সুগন্ধি দ্রব্য খাদ্যে ব্যবহার বা ক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।


তেতুলিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জন আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তেতুলিয়া প্রতিনিধি

তেতুলিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাবান্দা স্থলবন্দরে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে বাংলাবান্দা এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা সকলে বাংলাবান্দা স্থলবন্দরে আমদানি, রপ্তানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক চালক।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বগুড়া জেলার মানিকচর মিন্টু মিয়া ছেলে হাসান আলী(২০), বগুড়া জেলার থানা বগুড়া ডাকঘর নামুজা পলাশ ছেলে মো. রাজিব (২৮), বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুরের মানিকের ছেলে হানিফ (২০), বগুড়া জেলা শিবগঞ্জ থানার সাং চাদিনা দক্ষিণ পাড়া মালেক ছেলে সোহেল (৩৫) বাংলাবান্দা স্থলবন্দর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভিকটিম তরুণী বর্তমান তেতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

জানা যায়, তেতুলিয়া উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণী (১৯)রাতে পাগলিডাঙ্গি বাজার থেকে ধরে নিয়ে যান। এরপর বাংলাবান্দা স্থলবন্দর এলাকা নিয়ে আসেন ৪ জন। ওই তরুণীকে একটি দোকানের পাশে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর ওই চার যুবক ওই তরুণীকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে। এরপর সকালে অভিযুক্ত চার যুবককে আটক করা হয়।

তেতুলিয়া থানার ওসি মুসা মিয়া জানান, ওই তরুণীকে ভুল বুঝিয়ে আসামি বাংলাবান্দা স্থলবন্দরে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় জড়িত চার জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

‘গাছেরও জীবন আছে, পেরেক ঠুকে আঘাত বন্ধ করুন’ এই স্লোগান তুলে মানববন্ধনে বক্তারা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি, ডাক্তার, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, কোচিং ও স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গাছে সাইনবোর্ড, ফেস্টুন ঝুলানো বন্ধকরণ এবং অবিলম্বে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ‘গ্রিন ভয়েস’ একটি মানববন্ধন করে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, গ্রিন ভয়েসের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম নোমান, কুড়িগ্রাম সরকারি শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্ন, অর্থ সম্পাদক আবু রায়হান জাকারিয়া, উলিপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সারফরাজ সৌরভ, রোমিও রায়হান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পেরেকের আঘাতে গাছের কাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রসক্ষরণ বন্ধ হয় এবং গাছ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এটি শুধু পরিবেশ নয়, শহরের সামগ্রিক সৌন্দর্য নষ্ট করে।

গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে ব্যানার, পোস্টার, সাইনবোর্ড ও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সামগ্রী ঝুলানোর প্রতিবাদে জানানো হয়।

গাছের গায়ে পেরেক ঠুকার মতো পরিবেশবিরোধী আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রয়োগ দাবি জানান।

কর্মসূচিতে গ্রিন ভয়েসের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন অংশ নেন।


ময়মনসিংহে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে দুর্বত্তের আগুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ ব্যুরো

নাশকতার উদ্দেশে ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের ওয়াশপিটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই দ্রুততার সাথে তা নিয়ন্ত্রণে আনেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে য়ায়। রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের ধারণা, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আগুন পার্শ্ববর্তী কোচ, ট্রেনের ইঞ্জিন এবং স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের অন্যান্য অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়ত।

আগুন নেভানোর পর দেখা যায়, একটি বগির কয়েকটি সিটের বেশকিছু অংশ পুড়ে গেছে এবং অন্যান্য আরও কয়েকটি সিটে গান পাউডার জাতীয় দ্রব্য ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। এগুলোতে পেট্রলজাতীয় তরল পদার্থ ঢালা হয়েছিল, যেন দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) তাৎক্ষণিক সাহসি ভূমিকার কারণে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেনি।

এ ঘটনার পর ময়মনসিংহ জংশন রেলস্টেশনের ট্রেন চলাচল এবং সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানান স্টেশন সুপার আব্দুল্লাহ আল হারুন।

আগুনের বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ময়মনসিংহ কার্যালয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের বাইরের অংশে জারিয়া লোকাল ট্রেনের কোচগুলো ধোয়া-মোছা করার জন্য ওয়াশপিটে দাঁড় করানো ছিল। সেখানে এমনিতেই রাতে অনেক অন্ধকার থাকে। এই সুযোগে নাশকতার উদ্দেশে ভোররাতে একদল দুর্বৃত্ত অপকৌশলে গানপাউডার এবং পেট্রল দিয়ে ট্রেনে আগুন দেয়।

আগুন জ্বলতে শুরু করলে আরএনবির তিন সদস্য দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা এক দুর্বৃত্তকে ধাওয়া দেয়। তবে অন্ধকার থাকায় দৌড়ে তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। পরে আরএনবি সদস্যরা দ্রুত পানি ছিটিয়ে আগুন নেভায়। যার ফলে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রেলওয়ের জানমাল রক্ষা পায়। এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।


রাউজানে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে রাউজানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলা কৃষি বিভাগীয় প্রশিক্ষণ হলে এ সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। রাউজান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুম কবিরের সভাপতিত্বে ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজীব কুমার সুশীলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সীকু কুমার বড়ুয়া, মিল্টন দাশ, মো. জিয়া উদ্দীন মামুন, অসিম বিকাশ সেন, বলরাম দে, আহমদ শাহ, মোজাম্মেল হক, জুয়েল দাশ প্রমুখ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৬৩০ জন কৃষক-কৃষাণীকে দেওয়া হয়েছে গম ৪ শত কেজি, সরিষা ৩ শত ৩০ কেজি, চিনা বাদাম ৫ শত কেজি, সূর্যমুখী হাইব্রীট শস্য ১০ কেজি, মুগ ডাল ৪ শত কেজি, ফেলন ৭ শত কেজি, অড়হর ২০ কেজি। এছাড়াও ডিএসপি সার ৭৫ বস্তা, এমওপি সার ৬০ বস্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, সরকার কৃষকদের জন্য প্রণোদনা প্রদান একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমরা যেহেতু কৃষি নির্ভরশীল দেশ। সেহেতু কৃষকের অধিক ফলন বৃদ্ধি করতে হবে। সার, বীজ ও কৃষি কাজের আধুনিক সরঞ্জাম বিতরণ করে সরকার কৃষকদের উৎসাহিত করে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুম কবির বলেন, প্রান্তিক কৃষকরা আমাদের সহায়ক শক্তি। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে শস্য ফলাতে পারলে একদিকে কৃষক উপকৃত হবে অন্যদিকে দেশ হবে কৃষিবান্ধব।


মেহেরপুরে ২৪ নারী-পুরুষকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর প্রতিনিধি

গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ২৪ জন বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কাছে হস্তান্তর করেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১৩২/৩ এস এর সামনে টেইপুর এলাকায় এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, হস্তান্তর হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে।

তারা হলেন শরিফুল ইসলাম (৪৭), নিলিমা বেগম (৪১), আব্দুর রহিম (১৪), আদুরী খাতুন (৮), আশিক বিশ্বাস (১৬), রাতুল হোসেন (২১), কুলছুম খাতুন (১৮), উজ্জ্বল হোসেন (২), রেজাউল (৪০), জনি আহম্মেদ (১৮), রকিব হোসেন (২১), জিহাদ (২০), আবুবক্কর সিদ্দিক (২৪), হাসান আলী (২৬), জিন্নাত আলী (৩৪), জাফর চাপরাশি (৩৯), রাছেল হাওলাদার (২৭), আকতার হোসেন (৩২), রাজু (৩১), সিমা বেগম (৩১), শান্তা আক্তার (২৭), কাজী জসিম উদ্দিন (৪৭), লিলি খাতুন (৪৩) ও আছিয়া আক্তার (৮)।

পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে কাথুলী কোম্পানির দপ্তর কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. কামরুজ্জামান এবং বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের নদীয়া জেলার তেহট্টার ৫৬ ব্যাটালিয়নের টেইপুর কোম্পানি কমান্ডার এসি আনচ কুমার উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি জানায়, এসব ব্যক্তি দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। সেখানে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিজিবির কাছে ফেরত দেয়।

কাথুলী বিজিবির দপ্তর কমান্ডার নায়েক সুবেদার কামরুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে সবাইকে গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, হস্তান্তর হওয়া ২৪ জনকে থানায় রাখা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।


মৌলভীবাজারে ফসল রক্ষায় রাত জেগে পাহারায় কৃষক

*রাতের অন্ধকারে ক্ষেত নষ্ট করছে বন্যপ্রাণীর দল *দলবদ্ধভাবে বাঁশ ও টিনের শব্দ করে জমি পাহারা দিচ্ছেন
বন্যপ্রাণী থেকে ফসল রক্ষায় জমির মাঝে বাঁশের খুঁটি পুঁতে উঁচু ঘর তৈরি করেছে।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা

অন্ধকার হলেই ফসলি জমিতে নেমে আসে বনের একঝাঁক বুনো শূকর । নষ্ট করে ফেলে কৃষি জমির ধান ও সবজির খেত। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় এক মাস ধরে প্রায় চার-পাঁচটি এলাকায় চলছে এই তাণ্ডব। পাকা ধান ঘরে তোলার সময় এ ভোগান্তিতে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। এ অবস্থায় বুনো শূকর থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ‘বন্যপ্রাণীর দল রাতের অন্ধকারে হানা দিয়ে পাকা ধান বা সবজির ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। এতে তাদের বছরের পরিশ্রম মুহূর্তেই পণ্ড হয়ে যায়। এই ক্ষতি এড়াতে, অনেক কৃষক দলবদ্ধভাবে বাঁশ, টিনের শব্দ এবং লাঠিসোঁটা হাতে সারারাত জমিতে পাহারা দিচ্ছেন।’

কৃষকেরা অভিযোগ করে জানান, ‘কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লংগুরপার, দক্ষিণ বালিগাঁও, বাঘমারা, সরইবাড়ি, ভেড়াছড়া, ছাতকছড়া এলাকার ফসলি জমিতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বনের বুনো শূকর প্রতি রাতে হানা দেয়। আমন পাকা ধান ও শীতকালীন সবজিখেতে শূকরের দল এসে তা নষ্ট করে। ধান, আলু, মুলা এমনকি কলাগাছসহ বিভিন্ন গাছ উপড়ে ফেলে।

এদিকে শূকর তাড়ানোর চেষ্টা করলে উল্টো মানুষকে ধাওয়া করে। সারাদিন কাজ করে আবার রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। কৃষকেরা বুনো শূকরের হানায় ফসল মাঠে রাখতে পারছেন না। শীতের মধ্যে পাকা ধান রক্ষায় মাঠে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে পাহারা দেন কৃষকেরা। সঙ্গে রাখেন প্লাস্টিক ও টিনের তৈরি ড্রাম। কিছুক্ষণ পর শব্দ করে চিৎকার করেন, যাতে শূকর চলে যায়। কৃষক মফিজ মিয়া ফসলি মাঠে বাঁশ দিয়ে ৬ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মাচা তৈরি করে রাতে বসে থাকেন শূকর তাড়ানোর জন্য।

মফিজ মিয়া বলেন, ‘শূকর আমাদের সব ফসল নষ্ট করে ফেলছে। এ অবস্থায় প্লাস্টিক ও টিনের ড্রামের শব্দ করে রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। এসব শূকর মানুষকেও আক্রমণ করে। এ কারণে ৬ ফুট উঁচুতে বাঁশের মাচা তৈরি করেছি, যাতে বন্য শূকর আক্রমণ করতে না পারে।’

মফিজ মিয়ার মতো এভাবে মাচা তৈরি করে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন কৃষক কনাই মিয়া, আবুল মিয়া ও আশিক মিয়া। ফসল কাটার আগ পর্যন্ত চলবে তাদের পাহারা দেওয়ার কাজ। তবে বুনো শূকরের আক্রমণ ঠেকাতে এখন পর্যন্ত সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি করেন কৃষকেরা।

এদিকে তীব্র শীতের রাতে ফসল পাহারা দেওয়া রাতজাগা মাধবপুর এলাকার এই কৃষকের নাম সুফি মিয়া। বন্যশূকরের ক্ষতির হাত থেকে ফলসকে রক্ষা করতেই তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ধানের সাথেই শীতের রাত্রীযাপন কৃষক সুফি মিয়া। তিনি থাকেন কমলগঞ্জ উপজেলার বাগবাড়ি এলাকায়। সম্রতি কথা হয় এই প্রতিবেদকের সাথে।

সুফি জানান, ‘বনোরতা’ আমার সব ফসল নষ্ট করে দেয়। তাই নিজেই ধানগুলো রক্ষার জন্য পাহারা দেই। একটি-দুটি নয়, একসাথে ১০ থেকে ১৫টির দল নামে। দেখে ভয় লাগে তখন। টর্চ মেরে জোরে জোরে শব্দ করলে তারা পালিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টা/৮টার দিকে তারা নামে। আবার আসে মাঝরাতে। পুরো রাত জেগে ধান পাহারা না দিলে জমির সব ধান নষ্ট করে দিতে চায় তারা।’

পরিবেশবাদী সংগঠন জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি কমলগঞ্জের সহসভাপতি অজানা আহমেদ কামরান বলেন, ‘বন উজাড় ও বনভূমি বেদখল হওয়ার কারণে এখন বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। আগে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দেয়নি, মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি। লাউয়াছড়ার বেদখল বনভূমি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণীদের জন্য বনজ গাছ লাগানোর দাবি জানান তিনি।’

এ নিয়ে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান জানান, ‘বন্যপ্রাণীর নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই। বন্যপ্রাণীরা খাবারের জন্য লোকালয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বুনো শূকরের বংশবিস্তার আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। শূকরের দলের বনের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বিচরণ করা স্বাভাবিক বিষয় হলেও ফসল নষ্ট হওয়ায় ঘটনা দুঃখজনক। তবে বন্যপ্রাণী হত্যা একটা দণ্ডনীয় অপরাদ। কেউ যেন প্রাণী মারার জন্য মরণ ফাঁদ ব্যবহার না করে। যদি সেটা করে তাহলে আইনের আওতায় আনা হবে।


মাগুরায় গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের অগ্নি সংযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা সদরের গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় দুর্বৃত্তরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে মহম্মদপুর সদরের আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজের পাশে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংক শাখার জানালা দিয়ে পেট্রোল দিয়ে কে বা কাহারা আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে।

আগুনের সূত্রপাত দেখে প্রতিবেশীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দ্রুত তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। বেশ কিছু কাগজপত্র চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, রাতের অন্ধকারে কোন দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের জানালা দিয়ে পেট্রোল ফেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

মহম্মদপুর গ্রামীণ ব্যাংকের সেকেন্ড ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান, রাত তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা জানালার লক ভেঙে ভেতর দিয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে। কিছু কাগজপত্র চেয়ার টেবিল আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন স্থাপনের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

গাছেরও জীবন আছে, পেরেক ঠুকে আঘাত বন্ধ করুন” এই স্লোগান তুলে মানববন্ধনে বক্তারা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি, ডাক্তার, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, কোচিং ও স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গাছে সাইনবোর্ড, ফেস্টুন ঝুলানো বন্ধকরণ এবং অবিলম্বে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১৯ নভেম্বর সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস একটি মানববন্ধন করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, গ্রীণ ভয়েসের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম নোমান, কুড়িগ্রাম সরকারি শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্ন, অর্থ সম্পাদক আবু রায়হান জাকারিয়া, উলিপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সারফরাজ সৌরভ, রোমিও রায়হান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পেরেকের আঘাতে গাছের কান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রসক্ষরণ বন্ধ হয় এবং গাছ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এটি শুধু পরিবেশ নয়, শহরের সামগ্রিক সৌন্দর্য নষ্ট করে।

গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে ব্যানার, পোস্টার, সাইনবোর্ড ও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সামগ্রী ঝুলানোর প্রতিবাদে জানানো হয়।

গাছের গায়ে পেরেক ঠুকার মতো পরিবেশ বিরোধী আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রয়োগ দাবী জানান।
কর্মসূচিতে গ্রীন ভয়েসের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন অংশ নেন।


সাভারে ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাভার প্রতিনিধি

সাভারে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা-উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের চলমান অভিযানের প্রতিবাদে এবং ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে স্থানীয় ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে।

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাভারের তুরাগ এলাকায় ‘ভাকুর্তা ভাঙ্গা ব্রিজ’ সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় লেনে যানচলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মূলত ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে মালিক ও শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। মহাসড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ কাজ করছে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মালিক-শ্রমিকরা ব্যারিকেড তৈরি করেছেন এবং যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।


banner close