বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫
২২ শ্রাবণ ১৪৩২

নগরকান্দায় জামাইর হাতে শাশুড়ি খুন

ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৮ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৫৭

ফরিদপুরের নগরকান্দায় শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ইউনুস মোল্লা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের সাবার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রহিমা বেগমের মেয়ে শিউলি বেগমের সঙ্গে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার ইউনুস মোল্লার বিয়ে হয়। বিয়ের পর শিউলি বেগম বিদেশে চলে যান। তিন বছর প্রবাসে থাকার পর দেশে ফিরে আসেন। এরপর আবারও বিদেশে যান। কয়েকদিন আগে দেশে এসে বাবার বাড়ি সাবার গ্রামে যান। ইউনুস মোল্লাও সেসময় শ্বশুরবাড়িতে যান।

শুক্রবার রাতে বারান্দায় ইউনুস আর ঘরে শিউলি ও রহিমা বেগম ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১ টার দিকে রহিমা বেগম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হন। পরে ঘরে ঢুকে দরজা আটকাতে গেলে ইউনুস ঘরে প্রবেশ করে স্ত্রীর শিউলির সামনে রহিমার গলায় চাকু ঢুকিয়ে দেন। এ সময় চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ইউনুস পালিয়ে যায়। পরে রহিমা বেগমকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।


হিরোশিমায় পারমাণবিক হামলার ৮০ বছর আজ

আপডেটেড ৬ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাপানের হিরোশিমায় বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমা হামলার ৮০ বছর পূর্ণ হলো আজ। ১৯৪৫ সালের এই দিনে আমেরিকার 'লিটল বয়' নামের পারমাণবিক বোমাটি শহরটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল।

এ দিনটি উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এ বছর ১২০টি দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিসহ অন্তত ৫৫ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। ১৯৪৫ সালের মার্কিন বি-২৯ বোমারু বিমান থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ‘লিটল বয়’ নামক বোমাটি ফেলা হয়েছিল। সেকারণে এই দিনের ওই সময়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং শান্তির ঘণ্টা বাজানো হয়।

হিরোশিমার মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, "আমরা বিশ্বকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে পারমাণবিক অস্ত্র মানবতার অস্তিত্বের জন্য হুমকি।" এই হামলায় প্রাথমিকভাবে ৭০ হাজার মানুষ নিহত হন এবং পরবর্তীকালে বিকিরণের প্রভাবে আরও ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ
এবারের অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো তাইওয়ান ও ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়া এবং চীন অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত রাহম ইমানুয়েল।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, "পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গঠনে জাপান নেতৃত্ব দেবে।" তিনি হিরোশিমা-নাগাসাকির ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন।

এই অনুষ্ঠানে হিরোশিমায় মৃত ব্যক্তিদের স্মরণে শান্তি ঘণ্টা বাজানো হয় এবং শান্তির প্রতীক হিসেবে সাদা কবুতর উড়িয়ে দেওয়া হয়। শহরজুড়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে, যা আগামী এক সপ্তাহ ধরে চলবে।


রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউয়ের রায় বৃহস্পতিবার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে রিভিউয়ের রায় আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করা হবে।

আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানি শেষে গত ৩০ জুলাই জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ রায়ের জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন। তবে আজ (মঙ্গলবার) সর্বোচ্চ আদালত রায়ের জন্য ৭ আগস্ট দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দিন দোলন। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির ও অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম। এছাড়া ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘রুলস অব বিজনেস’ অনুযায়ী ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে এটি সংশোধন করা হয়। তবে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ ও সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচে রাখা হয়েছে-এ অভিযোগ এনে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের (সংশোধিত) ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সেই রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া আট দফা নির্দেশনার কিছুটা সংশোধন করে তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হল: যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন; জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন এবং জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

একপর্যায়ে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পরবর্তীতে রিভিউ আবেদনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরাও পক্ষভুক্ত হন।


৩০০ কিমি পাড়ি দিয়ে তরুণীর বাড়িতে তরুণের ‘আত্মহত্যা’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

মোবাইল ফোনে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় দুই তরুণ-তরুণীর। এর পর সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। তিন মাস পর মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ঠাকুরগাঁও থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় আসেন তরুণ। সেখানে তরুণীর বাড়িতে তিনি বিষপানের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দুপুরে। সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন রাতে মারা যান ২৪ বছর বয়সী তরুণ গোলাম ফেরদৌস দুর্লভ। তাঁর বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাইরিহাট পাতিলভাসা গ্রামে। তিনি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে দুর্লভের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। এর আগে তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে চৌবাড়ি গিয়ে তরুণী, তাঁর মা এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয় কলেজে অনার্স পড়ুয়া মেয়েটি মা-বাবাসহ ঘটনার পর পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে তরুণের স্বজনের মুখোমুখি হন। মেয়েটি পুলিশের সামনে বলেন, বাবা-মা তাঁর বিয়ে ঠিক করেছেন।

তাঁর অন্যত্র বিয়ে হচ্ছে জেনেও দুর্লভ বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। আর নিহত তরুণের খালু সজীব হোসেন ও ভাই ওয়াজেদুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, পরিবারের সবাই শোকাহত। থানায় অভিযোগের বিষয়ে তারা কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

ঘটনার পর অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে জানিয়ে সদর থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান জানান, সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তিনিসহ কামারখন্দ থানার ওসি আব্দুর রউফ তরুণের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীর বিরুদ্ধে তরুণের স্বজনরা চাইলে থানায় অভিযোগ দিতে পারেন।


 নোয়াখালীতে মাইক্রোবাস খালে পড়ে এক পরিবারের ৭ জন নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে বেগমগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের আটজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সাতজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন একজন।

বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে উপজেলার চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জগদিশপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের সবাই নারী ও শিশু। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম ও পরিচয় জানানো হয়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীপুরের হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামের ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিন স্বজনদের নিয়ে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। ভোরে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে খালে পড়ে যায়। এ সময় বাহারের স্ত্রী কবিতা ও মেয়ে মিমসহ ৭ জন নিহত হন।

এদিকে, এক বার্তায় ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে সকাল ৬টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

হতাহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ও চৌমুহনী ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিট উদ্ধার কাজ করেছে।


জুলাই বিপ্লব শুধু ফ্যাসিবাদ নয় সার্বভৌমত্ব লুন্ঠনকারী ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও ছিল - মাহমুদুর রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি প্রতিনিধি

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, জুলাই বিপ্লবীরা রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যকে মোকাবেলা করেছে এবং পরাজিত করেছে। এভাবে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে তারা। বিশ্বের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন বিপ্লব বলে আমি মনে করি। এই বিপ্লবটি বাংলাদেশের জনগনের ওপরে যে ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছিল শুধু তাদের বিরুদ্ধে নয় বরং স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব লুন্ঠনকারী ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধেও ছিল।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর দেড় টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে জুলাই বিপ্লব বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই ‘বিপ্লব নাকি অভ্যুত্থান’ এই প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লব শুধু শাসক পরিবর্তনের আন্দোলন ছিল না। বরং শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের আন্দোলন ছিল। তাই শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের আন্দোলনকে বিপ্লব বলে অবিহিত করি। বিপ্লব মাত্র ৩৬ দিনে শেষ হয় না বরং একটা পর্যায় অবস্থান করে। রাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থা সংশ্লিষ্টসহ অভ্যন্তরীন ও বর্হিবিশ্বের হুমকি থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিপ্লব চলমান থাকবে।

সভায় জুলাই বিপ্লবের বিপদের আশংকা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের জন্য দেশের দুইটি থ্রেট বা বিপদের কথা বলবো যা দুই দিক থেকে আসবে। প্রথমত, অভ্যন্তরীণ বিপদ বলতে আমাদের দেশের সকল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের দালাল ও ভারতের আধিপত্য দালালদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। অনুপ্রবেশকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে চাইবে। এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। গতকাল সামরিক বাহিনীর মধ্যে ভারতীয় দালাল 'র' এর এজেন্টদের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল আমরা তাদের নিয়ে পত্রিকায় ক্রমাগতভাবে খবর প্রকাশ করেছি। এমন একটা সময় ছিল সামরিক বাহিনী নিয়ে খবর প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করত। এই দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার যুগটা পার করে এসেছি। এই ‘র’ কিংবা ভারতের দালালদের মুখোশ উন্মোচন না করলে বিপ্লব দীর্ঘজীবী হবে না।

মাহমুদুর রহমান বলেন, আরেকটা বিপদ হচ্ছে এক্সটার্নাল থ্রেট— যা আমার দেশের রাষ্ট্রীয় সীমানা নিয়ে। যেহেতু আমাদের দেশের চারপাশে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে হিন্দু বা বৌদ্ধিস্ট রাষ্ট্র। সুতরাং মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে সজাগ থাকতে হবে।

আসন্ন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, অন্যদিকে ভারত আমাদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী কারণ তাদের পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে তরুণদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বর্হিবিশ্বের হুমকি মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষিত তরুণরাই যথেষ্ট।

সর্বশেষ তিনি জুলাই বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তরুণদের প্রশংসা করে বলেন, জুলাই বিপ্লবীদের সাথে ভালো আচরণ করুন। তাদের সম্মান করতে শিখুন। ভারতীয় এজেন্ডার বিরুদ্ধে ও ইসলামের প্রশ্নে বাংলাদেশের তরুণদের দৃঢ়তা আমাকে মুগ্ধ করে।

উল্লেখ্য, বর্ষপূর্তি উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা। ৩৬ জুলাইয়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আনন্দ র্যালি-সহ জুলাই স্মৃতিকথা মোড়ক উন্মোচন ও জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা উদ্বোধন করা হয়।


সুনামগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যূত্থান দিবস পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

জুলাই গণ-অভ্যূত্থান দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আহত জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা, জুলাই শহীদ পরিবারের সম্মিলন ও স্মৃতিচারণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) সকাল সাড়ে নয়টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা মিলনায়তনে এসে অনুষ্ঠানে মিলিত হয়।

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্ব আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহাম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন। স্মৃতিচারণ তুলে ধরেন আহত জুলাই যোদ্ধা জহুর আলী, ফয়সল আহমেদ এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এসময় ছাত্র সংসদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক ওসমান গনি, জুলাই যোদ্ধা আব্দুল বারী, তাসনিয়া হক তাজিন, ইকরাম আলী সায়েম, মাহফুজুর রহমান মেহিত বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখ সারি যোদ্ধাদের সমাগম অনুষ্ঠান, প্রধান উপদেষ্টার আহতদের প্রতি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সম্মান প্রদর্শন, জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, শহীদ পরিবারের সম্মিলন ও স্মৃতিচারণ করা হয়।

পরে ফ্যাসিস্ট পলায়নের ক্ষণ উদযাপন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য জিম্মি সাধারণ রোগী ও স্বজনরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে গড়ে উঠেছে এক শক্তিশালী অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট, যার জেরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনদের। অভিযোগ উঠেছে, এই সিন্ডিকেট অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছে এবং রোগী পরিবহনে বাধা দিচ্ছে। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট থাকার কারণে এই সিন্ডিকেট আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ৩১শে জুলাই, নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল থেকে রেফার করা ৬৫ বছর বয়সী রোগী অনিল চন্দ্রকে ভাড়া করা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। যে অ্যাম্বুলেন্সটি তাকে ময়মনসিংহ নিয়ে গিয়েছিল, সেই একই অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু ময়মনসিংহ হাসপাতালের সামনে থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালকরা তাতে বাধা দেয়। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মৃতদেহ নিয়ে ফিরতে হলে তাদের ময়মনসিংহ সিন্ডিকেটকে ১৫০০ টাকা ‘সেলামি’ দিতে হবে অথবা তাদের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ নিয়ে যেতে হবে। এটি তাদের নীরব চাঁদাবাজির একটি কৌশল। তারা জানায়, মৃতদেহ পরিবহনে বাধা দেওয়ার এমন অমানবিক ও বেআইনি নিয়ম তাদের কায়দা করে টাকা আদায়ের লিপ্সা মাত্র। একইভাবে, নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের সামনেও একই ধরনের নিয়ম চালু আছে বলে জানা যায়। বাইরের কোনো অ্যাম্বুলেন্স যদি রোগী নিয়ে নেত্রকোনা আসে, তবে তাদেরও ১৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হয়। অন্যথায় তারা হাসপাতাল থেকে কোনো রোগী নিতে পারে না। এই ধরনের নীরব চাঁদাবাজির কারণে গরিব ও সাধারণ রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের দাবি, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সংকট এবং সেগুলোর অব্যবস্থার কারণেই এই অসাধু চক্র এমন সুযোগ পাচ্ছে। তারা এই অবৈধ প্রতারক ও অমানুষ অ্যাম্বুলেন্স চালকদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, জরুরি স্বাস্থ্যসেবার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এমন অনৈতিক ও অমানবিক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।


জুলাই শহিদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে এদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না: আব্দুস সালাম পিন্টু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান এবং সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন,' জুলাই বিপ্লবের শহিদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবেনা। জুলাই বিপ্লব শুধু ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন ঘটায়নি, বাংলাদেশকে গনতন্ত্রের পথ দেখিয়েছে। বিএনপির এ বর্ষীয়ান নেতা আজ মঙ্গলবার গোপালপুর উপজেলার বিআরডিবি মাঠে 'ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ, ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থান বিজয়ের বর্ষ পূর্তি পালন' উপলক্ষে গনজমায়েতে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং সাবেক মেয়র অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম রুবেল। বক্তব্য রাখেন উপেজলা বিএনপির সম্পাদক কাজী লিয়াকত, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবু ঈশা মুনিম, সাবেক সহসভাপতি এবং ব্যবসায়ী খোরশেদুজ্জামান মন্টু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এহসানুল হক ওপেল, শহর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উথান, সম্পাদক চানঁ মিয়া, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার লেলিন, শহর যুবদলের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্স, কৃষক দলের সভাপতি অধ্যাপক হাতেম আলী, শ্রমিক দলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, মহিলা দলের সভানেত্রী নাজমা পারভীন, ছাত্র দলের সভাপতি রোমান আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম।

আব্দুস সালাম পিন্টু আরো বলেন,' চাঁদাবাজ, মাদকবাজ এবং সন্ত্রাসীদের দলে ঠাঁই হবেনা। বিএনপিকে পরিশুদ্ধ রাজনৈতিক দলে পরিনত করা হবে। বিগত ১৬ বছরে গোপালপুর- ভূঞাপুরে কোন উন্নমূলক কাজ হয়নি। সামনের নিঅবাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গোপালপুর-ভূঞাপুরসহ সারা দেশে সুষম উন্নয়ন করা হবে।

জুলাই আহতের সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীর দলীয় শৃঙ্খলা এবং শহিদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতিতে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।


সাজেক-মাচালং সড়ক পানিতে তলিয়ে, যানচলাচল বন্ধ,  ২ শতাধিক পর্যটক আটকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট–সাজেক সড়কের মাচালং বাজার অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে সাজেক-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ও মাচালং বাজার এলাকায় ২ শতাধিক পর্যটক আটকে পড়েছেন।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাঘাইহাট জোনের সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন উদ্ধার কাজে সহায়তা করছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সড়কে পানি ওঠায় সাজেকের সঙ্গে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিকল্প উপায়ে বাঁশের ভেলা ও নৌকার মাধ্যমে পর্যটকদের পারাপার করা হচ্ছে।

এদিকে সাজেক-খাগড়াছড়ি সড়কে চলাচলকারী মাহিন্দ্রচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “ভারী বৃষ্টির কারণে মাচালং এলাকায় সড়কে পানি উঠে গেছে। এই কারণে পুরো সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সাজেকে অন্তত দুই শতাধিক পর্যটক আটকে পড়েছেন। বিকেলে যেসব পর্যটক খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন, তাদের বাঘাইহাট থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, “সড়কের উপর এখন আনুমানিক ৫ থেকে ৬ ফুট পানি। এই অবস্থায় কোনোভাবেই যান চলাচল সম্ভব নয়।”

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আকতার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “অনেক পর্যটক বাঁশের ভেলা ও নৌকার মাধ্যমে ডুবে যাওয়া অংশ পার হচ্ছেন। যারা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন, তারা আবার সাজেকে ফিরে গেছেন। সড়ক থেকে পানি নামলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।”

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া ও পানির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।


৩৬শে জুলাই বিশ্বের অন্য কোনো ক্যালেন্ডারে নেই, কেবল আমাদের আছে; এই অর্জনকে ধরে রাখতে হবে: ডিএসসিসি প্রশাসক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক আজ জুলাই র‍্যালি, বৃক্ষরোপন, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ডিএসসিসির মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া উপর্যুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসসিসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে জুুলাই র‍্যালিটি নগর ভবন থেকে আরম্ভ করে বঙ্গবাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে নগর ভবনে এসে শেষ হয়। র‍্যালি শেষে ৩টি কাঠবাদাম গাছের চারা রোপণ করা হয়। আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে মাননীয় প্রশাসক বলেন, "৩৬শে জুলাই বিশ্বের অন্য কোনো ক্যালেন্ডারে নেই, কেবল আমাদের আছে; এই অর্জনকে ধরে রাখতে হবে।" তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য ডিএসসিসিতে কর্মরত সকলকে আহ্বান জানান।

এ সময় প্রশাসক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদের স্মরণে ডিএসসিসি কর্তৃক প্রকাশিত "অগ্নিঝরা জুলাই, অতঃপর... নাগরিক প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ১ বছর" শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।


পাকিস্তানের ইসলামাবাদে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পাকিস্তানের ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনে আজ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস, ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল পৌনে ৯টায় ইসলামাবাদের ডিপ্লোমেটিক এনক্লেভে নবনির্মিত বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এ সময় মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্য ও স্থানীয় পাকিস্তানি নাগরিকসহ চার শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

পরে দূতালয়ের সম্মেলনকক্ষে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পরে মিশনের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা আলোচনায় অংশ নেন। আলোচকগণ জুলাই পুনর্জাগরণে ছাত্র-জনতার সাহসী ভূমিকার স্মৃতিচারণ করেন। আলোচকরা বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানান।

হাইকমিশনার রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে বৈষম্যমুক্ত করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সুসংহত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

আলোচনা শেষে ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শীদ ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

হাইকমিশনার অতিথিদের সাথে নিয়ে দূতালয়ে স্থাপিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে ঘুরে দেখেন।


'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫' উদযাপন উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫' উদযাপন উপলক্ষ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আয়োজনে মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) বাদ যোহর ঢাকার তেজগাঁওস্থ সড়ক ভবন সংলগ্ন মসজিদে সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শেখ মইনউদ্দিন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে সড়ক ভবনের সামনে প্রধান অতিথি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এসময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: এহছানুল হক সহ মন্ত্রণালয় ও সওজ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: এহছানুল হক জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫ এর অংশ হিসেবে ঢাকার তেজগাঁওস্থ ডিটিসিএ ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) কর্তৃক আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি পরিদর্শন করেন। এসময় ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নীলিমা আখতার উপস্থিত ছিলেন।


আমরা চাই জুলাই হত্যাকারীদের বিচার ও অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা: এম. জহির উদ্দিন স্বপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম. জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে হামলা চালিয়ে যারা আন্দোলনকারী ও সাধারন মানুষকে হত্যা করেছে তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। হত্যাকারীদের রক্ষা করতে যারা চেষ্টা চালাবে তাদেরকেও আমরা ছাড়বো না। বিচার বিভাগ যদি আমাদের কাছে রশি চায় তাহলে আমরা বিচার বিভাগকে রশি সরবরাহ করব। কেননা স্লোগান উঠেছে, রশি লাগলে রশি নে, জুলাই হত্যাকারীদের ফাঁসি দে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ফ্যাসিবাদ মুক্তির বছর পূর্তির আনন্দ র‍্যালি পূর্ব জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা কালে তিনি এ কথা বলেন।

হাজার হাজার জনতা ও দলীয় নেতাকর্মীদের মূহু মূহু স্লোগানে মুখর ওই জনসমাবেশে জহির উদ্দিন স্বপন আরো বলেন, জাতিকে আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পথ দেখাতে পারছি তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাষ্ট্র মেরামত করে।

এখন জাতির মুক্তির জন্য একটাই কাজ, পলাতক শেখ হাসিনা এবং সমস্ত খুনিদেরকে বিচার করা আর অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

আমরা বড় বড় কথা বলি কিন্তু যদি দেখা যায় আমাদের দলের মধ্যেই মাদক ব্যবসায়ী, যদি দেখা যায় আমাদের দলের মধ্যেই গডফাদার। আমাদের দলের মধ্যেই নতুন নতুন হারিছ, আপনারা কি তার মানবেন।

সময় হাজার হাজার জনতা সমস্বরে উত্তর দেন না।

এ পর্যায়ে স্বপন বলেন, কিন্তু গডফাদাররা যদি বিরাট শক্তি নিয়ে ১০-১২-২০ জনের বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করে আপনারা কি করবেন, ৫ আগস্ট যেভাবে গডফাদারের রানী শেখ হাসিনাকে মোকাবেলা করেছি গৌরনদী আগৈলঝাড়ায় যে কোন গডফাদার, সে বিএনপি হোক আর আওয়ামী লীগ হোক তার বিরুদ্ধে আমরা গণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সরোয়ার আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মিজানুর রহমান খান মুকুল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন, নিউ ইংল্যান্ড বিএনপি’র সভাপতি সৈয়দ বদরে আলম।

বক্তব্য রাখেন, আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সিকদার হাফিজুর রহমান, গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীর জহির সাজ্জাদ হান্নান, আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা বশির আহমেদ পান্না, গৌরনদী পৌর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শরীফ শফিকুর রহমান স্বপন, বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোঃ সাইয়েদুল আলম খান সেন্টুসহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী ১৭ বছরের আন্দোলন সংগ্রাম ও জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদের স্বজনরা।

সমাবেশ ও র‍্যালিতে গৌরনদী আগৈলঝাড়ার উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্রদলসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।


banner close