ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে রংপুরে বিভিন্ন সংগঠনের কিশোর-কিশোরী-তরুণ সদস্যরা ডেঙ্গু প্রতিরোধী সচেতনতামূলক রোড শো ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে রংপুর শহরের রবার্টসনগঞ্জ মাঠের সামনে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর ফিল্ড সার্ভিস প্রধান ডক্টর সাজা আব্দুল্লাহ এবং ইউনিসেফ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের প্রধান এএইচ তৌফিক আহমেদ।
বিভিন্ন কিশোর-কিশোরী-তরুণদের সংগঠন মিলে রংপুরের ২৭ নং ওয়ার্ডে, স্কুলে এবং নগরীর সড়কগুলোতে ডেঙ্গু প্রতিরোধী সচেতনতামূলক বার্তার প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রদক্ষিণ করে এবং শহরের রবার্টসনগঞ্জ মাঠের সামনে লিফলেট, মশা নিরোধী মশারি এবং তিন দিনের পুরনো পানি ফেলে দেয়া নিয়ে প্রতীকী জনসংযোগ করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুমের হিসাব অনুযায়ী এ বছরের জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলাগুলোতে সব মিলিয়ে ৫০ হাজারের অধিক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে।
বিভিন্ন কিশোর-কিশোরী-তরুণদের প্রতিনিধিরা ‘ডেঙ্গু নিধনে যথাযথ বাজেট বরাদ্দ চাই’, ‘নিজেদের ঘর বাড়ির চারপাশ ডেঙ্গু মশা মুক্ত রাখুন’, 'তিন দিনের পুরনো পানি ফেলে দিন’, ‘স্কুলগুলো ডেঙ্গু মশামুক্ত নিরাপদ হোক’ – এরকম স্লোগান শীর্ষক প্ল্যাকার্ড বহন করে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর ফিল্ড সার্ভিস প্রধান ডক্টর সাজা আব্দুল্লাহ কিশোর-কিশোরী-তরুণদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘তোমাদের উদ্যমী এরকম ভুমিকার কারণে সমাজ ও পরিবার যেকোন মানবিক দুর্যোগ মুক্ত থাকবে।'
তিনি কিশোর-কিশোরী-তরুণদের এরকম দায়িত্বশীলতা নিয়ে বেড়ে ওঠার আহবান জানান।
ইউনিসেফ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের প্রধান এএইচ তৌফিক আহমেদ আগামী দুই মাস ব্যাপী কিশোর-কিশোরী-তরুণদের সমন্বয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন কর্মসূচীকে আরও জোরদার করার আহবান জানিয়ে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং রংপুরের শিশু- কিশোর-কিশোরী-তরুণদের জন্য ইউনিসেফ এর অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।
-বিজ্ঞপ্তি
রাজধানীর ডেমরার আমিনবাগ গেট বাঁশেরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ (২৫)। তিনি একজন সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবী। দীর্ঘদিন থেকে তিনি ফোরাম এসডিএ, উইন্টার প্রোজেক্ট, হিমু পরিবহন, আশার আলো সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।
তিনি আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১২ লাখ টাকা; কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
হোসাইন গত ১২ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ভারতে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হোসাইনকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন নিচের মাধ্যমগুলোতে
প্রাইম ব্যাংক শেরপুর, বগুড়া শাখা
ইসলামী ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা
বিকাশ/নগদ (মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট)
বিকাশ/নগদ (হোসাইনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট)
যেকোনো প্রয়োজনে রায়হান (০১৯৫৩৬১৯৪১৯), আশিক (০১৬১০২১৭০৬৪) ও তপুর (০১৫৬৮১০৯৯৫৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
নওগাঁয় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা মোছা. রিংকু (২০) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার আক্কেলপুর এলাকার তুলসীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধ রাস্তার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রিংকু জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রাইকাল ইউনিয়নের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুরের দিকে মরদেহটি রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। তারপর ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে মরদেহটি পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে (ওসি) আরও জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তারা মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারবে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মো. ময়নাল হোসেন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে পৌরসভার চাপানগর এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত ময়নাল দেবিদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বেনু দাশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ৬টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স পথচারী ময়নালকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে অ্যাম্বুলেন্সটি একটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায়।
এসআই বেনু দাশ বলেন, ‘ভোর ৬টার দিকে কসবাগামী একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ওই ধাক্কায় যুবকের তার মৃত্যু হয়। এসময় ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
মানিকগঞ্জের ঘিওরে মোটরসাইকেল ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী আসিবুল ইসলাম (২২) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে বরংগাইল-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আসিবুল মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের চকমিরপুর এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সকালে দৌলতপুরগামী ট্রলির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ঘিওরগামী মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলচালক আসিবুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর মোটরসাইকেল ও ট্রলি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘিওর থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রলি চালক পলাতক রয়েছেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বর্হিবিশ্বের কোনো চাপ নেই উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘ইতোমধ্যে অনেক রাষ্ট্র থেকে কারা কারা নির্বাচন দেখতে আসছেন, তার তালিকাও পেয়েছি। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ নেই। আমাদের নির্বাচনের সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া সর্ম্পূণ হয়েছে। সঠিক সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কোনো কর্মকর্তা যেন পক্ষপাতদুষ্ট না হয়, সেদিকেও আমাদের কঠোর নজরদারী থাকবে।’
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় সভায় ইসি আলমগীর এ কথা বলেন।
তিনি এসময় বলেন, ‘শুরু থেকেই নিবন্ধিত ৪৪টি দলকেই নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছি। এখনো আহ্বান জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনের সময় সীমা হেরফের করা হবে। তারপরেও চাই প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিক।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনের দিন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ রিটানিং কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। সেই সাথে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকার সম্ভবনা রয়েছে। কারণ অন্যান্য জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সেনাবাহিনী মাঠে ছিল, এবারও সেনাবাহিনী মাঠে থাকার বিষয় সিদ্ধান্ত রয়েছে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনুদ্দিন প্রমুখ।
নাটোরে একটি দিঘি থেকে নবাব আলী (৫৫) নামে এক পাহারাদারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে শহরের লালদিঘি থেকে এই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নবাব আলী রাজশাহীর তালাইমাড়ি এলাকার দবীর হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ জানান, নাটোর শহরের উত্তর চৌকিরপাড় এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের মেয়েকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতেন আলী। তিনিসহ আরও চারজন লালদিঘিতে পাহারাদারের কাজ করতেন। রোববার রাতে দিঘিতে নৌকা দিয়ে পাহারা দেয়া শেষে ভোর থেকে নিখোঁজ হন তিনি।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে রাজশাহীর একটি ডুবুরি দলকে খবর দিলে তারা সেখানে নিখোঁজের ৯ ঘণ্টা পর দিঘি থেকে নবাবের মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গাজীপুর সদরে উত্তর ছায়াবিথী এলাকায় স্বল্পমূল্যে প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা দেয়ায় এক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার গাজীপুর সদরে উত্তর ছায়াবিথী এলাকায় এইচ.এম স্পিচ থেরাপী এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে এই হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সত্বাধিকারী কুদরত-ই-খুদা আরিফ জানান, স্বল্পমূল্যে রোগীদের সেবা দানের জন্য একটি স্কুল এবং সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী নানানভাবে তাকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার কিংবা তাদের সঙ্গে যৌথব্যবসা পরিচালনা করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আরিফ তাদের প্রস্তাবে রাজী না হলে মহলটি আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। স্বল্পমূল্যে রোগীদের সেবা দেয়ায় তার প্রতিষ্ঠানে রোগীদের ভীড় বাড়তে থাকে ফলে আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা।
আরিফ দৈনিক বাংলাকে আরও জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী ওই ব্যবসায়ীরা সন্ত্রাসী পাঠিয়ে প্রতষ্ঠিানটি বন্ধ করে দেয়ার পায়তারা করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা। নাননভাবে তাকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংসার চালাতে চায়ের দোকানে কাজ করার পাশাপাশি এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ফাইভ পেয়েছেন স্মৃতি আক্তার নামে এক ছাত্রী। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ময়না গ্রামের বাসিন্দা। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বোয়ালমারীর কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে এ ফলাফল অর্জন করে সে।
স্মৃতি আক্তার সাংবাদিকদের জানান, পরিবারের আয়ের সংস্থানের পাশাপাশি পড়াশোনার খরচ জোগানোর জন্য তারা দুই বোন বাড়ির পাশের মুদি দোকানে চা বিক্রি করেন। প্রথমে একটু সমস্যা হলেও এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। সারাদিন চা বিক্রির পাশাপাশি সময় পেলেই পড়াশোনার কাজ সেরে নেন। পাশাপাশি রাতে যেটুকু সময় পান তা কাজে লাগান। এভাবেই তারা দুই বোন পড়াশোনা করে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার পথ বেছে নিয়েছেন। তবে মেডিক্যালে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও অর্থের অভাবে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে পড়াতে পারছেন না স্মৃতি।
বড় বোন মনিকা আক্তার দারিদ্রতার সঙ্গে সংগ্রামের পাশাপাশি ফরিদপুরের সারদা সুন্দরী কলেজ থেকে অনার্স পাশ করেন।
স্মৃতির মা আসমা আক্তার বলেন, ‘তার শ্বশুর প্রায় ৩০বছর আগে বাড়ির পাশেই একটি মুদি দোকান করেন। তিনি মারা যাওয়ার পরে তার স্বামী হারুন শেখ এই দোকানের দ্বায়িত্ব নেন। ছোটবেলা থেকে বাবাকে সহায়তা করতো তার মেয়েরা। তবে আয় উপার্জন তেমন না হওয়ায় এ দোকান ছেড়ে তিনি তালগাছ বেচাকেনার ব্যবসা শুরু করেন। এরপর পরিবারের অভাব ঘোঁচাতে বাবার বদলে দুই মেয়ে দোকানের দেখাশোনা শুরু করেন।
তাদের বাবা হারুন শেখ বলেন, ‘মেয়েদের এ সাফল্যে আমরা খুবই আনন্দিত। এর আগে তার আরেক মেয়ে মনিকা অনার্স পাশ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেন। এই টাকা কাজে লাগে তাদের পড়াশোনায়। মেয়েদের উচ্চশিক্ষা লাভে বড় বাধা আর্থিক সংকট। এই বাধা না থাকলে তারা আরও ভালো ফলাফল করতে পারত।’
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. বাচ্চু শেখ বলেন, ‘মনিকা ও স্মৃতির এই সাফল্যের খবর জেনে তিনি তাদের বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন জানান। সারা গ্রামের মানুষ এ খবরে আনন্দিত। তারা ভবিষ্যতে পড়াশোনা করে আরও বড় হোক এই কামনা পুরো গ্রামবাসীর।’
ঝিনাইদহে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার ঘটনায় মো. সুজন (৩৫) কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা দ্বিতীয় জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মতিন এ রায় দেন।
রায়ের বিবরণ ও এজাহার সুত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে জেলার শৈলকুপা উপজেলার নোন্দীরগাতী গ্রামের সালেহা বেগমের কন্যা ইয়াসমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় মো. সুজনের । একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়ার পর সুজনের পরকিয়া নিয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া-বিবাদ হতে থাকে। এর কিছুদিন পর তাদের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না। পরে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ওই বছরেরই মার্চ মাসের ২২ তারিখে অভিযোগ করে ইয়াসমিনের মা। আদালত সেটি এজাহার হিসাবে গণ্য করে।
আদালতের নির্দেশে শৈলকুপা থানা পুলিশ জানতে পারে সুজন ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার মৈজদ্দি-মাতব্বরকান্দি গ্রামে আত্মগোপনে আছেন। সেখানে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুজন স্বীকার করে ‘সে তার স্ত্রী ইয়াসমিনকে শ্বাসরোধ করে এবং ছেলে ইয়াসিনকে গলা টিপে হত্যা করে।’
পরবর্তিতে পুলিশ ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ আদালতে চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই মামলার শুনানী শেষে আজ আদালত সুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
রাজধানীর আগারগাঁও তালতলা এলাকায় তারপিনের ড্রাম কাটার সময় আগুন লেগে চারজন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন রফিকুল ইসলাম (১৮) মোজাফফর (২৬) রবিন (১৯) ও সরলাল দাস (৪৫ )
তাদের সহকর্মী শফিকুল ইসলাম জানান, আজ সকালে আগারগাঁও তালতলায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে গ্রেন্ডিং মেশিন দিয়ে তারপিনের ড্রাম কাটার সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে তাদের চারজন সহকর্মী দগ্ধ হয়। পরে তাদের সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আগারগাঁও থেকে চারজন দগ্ধ শ্রমিককে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে বার্ন ইউনিটে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনজন সামান্য দগ্ধ এবং একজনের দুই হাত পা দগ্ধ হয়েছে।’
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ডাহুক নদের গতিপথ বন্ধ করে পাথর উত্তোলন করছে প্রভাবশালী পাথর ব্যবসায়ীরা। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ডাহুকের দুই পাড়ে বন বিভাগ ও সরকারি জমি খনন করেও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ডাহুক নদ। নদের গতিপথ পরিবর্তনের পাশাপাশি শুকিয়ে যাচ্ছে নদ। নদের দুই পাড়েও দেখা দিয়েছে ভাঙন। নষ্ট হচ্ছে শত শত একর কৃষিজমি।
ভারতে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশে ১৪ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করেছে ডাহুক নদ। ডাহুকের পশ্চিমে শালবাহান ইউনিয়ন এবং পূর্ব দিকে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের হাজার হাজার একর কৃষিজমি রয়েছে। রয়েছে চা-বাগান, আমসহ নানা ফলের বাগান। স্থানীয়রা বলছেন, ডাহুক নদের পানি দিয়েই এসব জমি চাষাবাদ করা হয়। প্রতিবছর বর্ষাকালে পলিমিশ্রিত পানি ছড়িয়ে দেয় এই নদ। শুষ্ক মৌসুমে ডাহুকের পানি সেচ দিয়ে চলে শস্যের আবাদ। নানা প্রজাতির মাছের আবাসও এই ডাহুক নদে। দুই ইউনিয়নের শতাধিক জেলে সারা বছর এখান থেকে অন্তত ১৪ টন মাছ আহরণ করেন। এলাকার হাজার হাজার মানুষের আমিষের চাহিদা মেটায় এই মাছ।
কিন্তু বর্তমানে পাথর উত্তোলনের ফলে নদের গতিপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আসছে শুষ্ক মৌসুমে এই নদ মরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যত্রতত্র পাথর উত্তোলনের ফলে ডাহুকের সীমানাও হারিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় অন্তত ১০০ জন পাথর ব্যবসায়ী নদটির যেখানে-সেখানে খনন করে ডুবুরিদের মাধ্যমে পাথর উত্তোলন করছেন। ফলে নদের কোথাও কোথাও বালির ঢিবি হয়ে যাচ্ছে আবার কোথাও কোথাও সৃষ্টি হচ্ছে বিশাল গর্ত। এতে নদের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদের জল বিকল্প দিকে প্রবাহিত হওয়ার ফলে দুই দিকের পাড় ভাঙছে। কমে যাচ্ছে কৃষিজমি।
জানা গেছে, পাথর উত্তোলনে স্থানীয় একজন চেয়ারম্যান নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বেই একটি সিন্ডিকেট আইন অমান্য করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছেন। তিনি নিজেও বালাবাড়ি ফরেস্ট এলাকায় ডাহুক নদের গতিপথ বন্ধ করে পাথর উত্তোলন করছেন।
নাম গোপন রাখার শর্তে একাধিক শ্রমিক ও কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, লোহাকাচি গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আব্দুল জলিল সিন্ডিকেট ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামে প্রত্যেক পাথর উত্তোলন সাইট থেকে সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা নিচ্ছেন। এই টাকা সিন্ডিকেটের বিভিন্ন সদস্যের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল জানান, ‘আমি কোনো চাঁদা নেই না। মালিকানা জমিতে পাথর উত্তোলন করছি।’
নাওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুখ হোসেন বলেন, ‘ডাহুক শেষ। কেউ কিছু বুঝতে চাচ্ছে না। নিজেদের স্বার্থে নদটিকে হত্যা করে পাথর উত্তোলন করছে। আমার ব্যক্তিগত কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় কয়েক’শ জেলে আজ বেকার হয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ এলে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়। চলে গেলে আবার উত্তোলন শুরু হয়। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া এই নদ বাঁচানো সম্ভব না।’
প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশবিষয়ক বেসরকারি সংগঠন কারিগরের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ বলেন, পাথরখেকোরা নদী হত্যার উৎসব শুরু করেছে। দ্রুত এই অপরিকল্পিত পাথর উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে ডাহুক চিরতরে হারিয়ে যাবে।
পাথর শ্রমিকরা বলছেন, ডাহুকে হাজার হাজার শ্রমিক পাথর উত্তোলন করে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। দেশের রাস্তাঘাট, ভবন নির্মাণে কাজে লাগছে এই পাথর। তবে অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে ডাহুকের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফজলে রাব্বি বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ৯টিতে এসেছে পরিবর্তন।
তাদের মধ্যে সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। ২০০৮ সালে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শফিকুর। তবে গত দুটি নির্বাচনে এ আসনে দলীয় প্রার্থী না দিয়ে জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ।
সিলেট-৫ আসনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ মনোনয়ন পেয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার বার্ধক্যজনিত কারণে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি।
এ ছাড়া মৌলভীবাজার-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাওয়া সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিকল্প ধারার প্রার্থী এম এম শাহীন এখানে নির্বাচন করেন।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জিল্লুর রহমান, বঞ্চিত হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, বাদ পড়েছেন বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন পুলিশ প্রধানের ভাই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। এমপি পদে নির্বাচন করতে তিনি সম্প্রতি শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনের স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্ত।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সাদিক। গত দুটি নির্বাচনে এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি নির্বাচিত হন। এ দুই নির্বাচনেই এখানে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ।
এ ছাড়া হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট ড. মুশফিক হোসেন। বাদ পড়েছেন বর্তমান দলীয় এমপি গাজী মো. শাহনেওয়াজ এবং হবিগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান এমপি আব্দুল মজিদ খানের বদলে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ময়েজ উদ্দিন শরিফ রুহেলকে।
এই ৯ আসনে প্রার্থিতা রদবদল হলেও বাকি ১০ আসনে প্রার্থী অপরিবর্তিত রেখেছে আওয়ামী লীগ।
পুনরায় যারা নৌকার মনোনয়ন পেয়েছে তারা হলেন, সিলেট-১ আসনে ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৩ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট-৪ আসনে ইমরান আহমদ, সিলেট-৬ আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদ, মৌলভীবাজার-১ আসনে শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-৪ আসনে উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মুহিবুর রহমান মানিক, হবিগঞ্জ-৩ আসনে আবু জাহির ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে মাহবুব আলী।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার চাপাতলা সীমান্ত থেকে রকিবুল ইসলাম নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ওই গ্রামের ইছামতি নদীর পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বিজিবি। নিহত রকিবুল ইসলাম উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মৃত মনিরুল ইসলামের ছেলে। সে চাপাতলা গ্রামে শ্বশুড়বাড়িতে থাকত।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ইছামতি নদীর পাড়ে রকিবুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয় গ্রামবাসী। পরে বিজিবি এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
পেশায় রাজমিস্ত্রী রকিবুল রোববার সকালে বাড়ি থেকে বের হন। পরে আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে তার লাশ পাওয়া যায়। রকিবুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পরিচালক লে. কর্ণেল মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি লাশ পাওয়া গেছে। তাকে কে বা কারা কী কারণে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’