শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
১৭ কার্তিক ১৪৩২

‘মুক্তিযুদ্ধ ছিল রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক মুক্তির লড়াই’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:০২

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, ‘সংস্কৃতি মানে শুধু নাচ, গান, কবিতা নয়। সংস্কৃতি মানে জীবনাচরণ। মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে আসে নাচ, গান, কবিতা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি, সে বিজয় শুধু রাজনৈতিক মুক্তির ছিল না, ছিল সাংস্কৃতিক মুক্তিরও।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্দর নগরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক উৎসব ও বইমেলা’র প্রথম দিনের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। হাটখোলা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় তিন দিনব্যাপী এই উৎসব শেষ হবে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর।

সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। এসময় শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তী, মূর্তজা বশীর, রশিদ চৌধুরী, সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, হাসি চক্রবর্তী, মনসুরুল করিম ও ভাস্কর নভেরার চিত্রকর্ম এবং বিভিন্ন দেশ ও চট্টগ্রামের প্রাচীন মুদ্রাসহ নানা শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ভাস্কর অলক রায়।

চট্টগ্রাম হাটখোলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রাবন্ধিক কাজী রুনু বিলকিসের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, ভারতীয় হাই-কমিশনের সহকারী কমিশনার রাজীব রঞ্জন, কথা প্রকাশের প্রকাশক জসিম উদ্দীন।

সভার শুরুতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক উৎসব ও বইমেলা পর্ষদের সদস্য সচিব এবং হাটখোলা ফাউন্ডেশনের সম্পাদক কবি ইউসুফ মোহাম্মদ।

সন্ধ্যার আলোচনায় সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে জ্ঞান-অর্জনের আহ্বান জানিয়ে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের উচিত সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়ানো। উদারভাবে এগিয়ে না এলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব না। বই জীবনের পরম বন্ধু, বইকে ছাড়া যাবে না।’

অনুপ জলোটার কথা উদ্ধৃত করে তিনি জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে, অন্যায় আর হিংসা-ক্রোধ থেকে দূরে থেকে ন্যায়ের পথে থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের কথা স্মরণ করে রিমি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার জীবনের বিশাল সময় জেলে কাটিয়েছেন। আমার মাত্র সাড়ে চার বয়সে আমি বন্দুক দেখি, বেয়নেট দেখি, পুলিশ দেখি। বাবা (তাজউদ্দীন আহমদ) যখন জেল থেকে ছাড়া পান তখন আমি ক্লাস থ্রিতে পড়ি। বাবাকে যখন মেরে ফেলা হয় তখন আমার বয়স ১৩ বছর। কিন্তু তারপরও আমরা থেমে থাকিনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জ্ঞান অর্জন করতে হলে আমাদের বই পড়তে হবে।’

এসময় তিনি প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান করেন। এতে পাহাড় ধসের মতো দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি মিলবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় ঢাবিতে ‘পিংক রান’

ঢাবিতে অনুষ্ঠিত হলো সচেতনতামূলক মিনি ম্যারাথন ‘পিংক রান ২০২৫’। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

অক্টোবর মাস বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ হিসেবে। নারীদের প্রাণঘাতী এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাসটি গুরুত্ব পায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো সচেতনতামূলক মিনি ম্যারাথন ‘পিংক রান ২০২৫’।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ক্যান্সার কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ ট্রাস্ট বাংলাদেশ (সিসিআরটিবি)-এর আয়োজনে এই মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়।

ম্যারাথন শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে জগন্নাথ হলের পাশ দিয়ে টিএসসি, শিববাড়ি মোড় হয়ে কার্জন হল ঘুরে পুনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। এতে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার এবং বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

ম্যারাথন উদ্বোধনকালে সিসিআরটিবির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ুব বলেন, ক্যান্সার নিয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে নারীদের স্তন ক্যান্সার নিয়ে যথেষ্ট সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমরা শুরু থেকেই সচেতন থাকলে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব। তা ছাড়া, যেকোনো ক্যান্সারের জন্য ডায়েট (খাবারে সচেতন হওয়া) পর্যাপ্ত ঘুম ও শারীরিক পরিশ্রম এর গুরুত্ব অনেক বেশি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের ট্রাস্টি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ট্রেজারার কামরুল ইসলাম রিপন ক্যান্সার সচেতনতায় দিকনির্দেশনামূলক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। ম্যারাথনে কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্র সংসদের এজিএস শিমু আক্তার ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শুভ্র দেব অন্যান্যরা।


পুলিশ একাডেমি থেকে ‘নিখোঁজ’ ডিআইজি এহসানউল্লাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে রহস্যজনকভাবে ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এহসানউল্লাহ। গত বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সূত্রে জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় বৃহস্পতিবার সকালে সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ডিআইজি এহসানউল্লাহকে আটক করতে যায়। পুলিশ কর্মকর্তা এহসানউল্লাহ বিষয়টি জানতে পেরে আগেই সেখান থেকে ‘আত্মগোপনে’ চলে যান। বরিশালের সাবেক এই পুলিশ সুপার বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ডিআইজি হিসাবে সাপ্লাই বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডিআইজি এহসানুল্লাহ বুধবার থেকে একাডেমিতে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি ছুটির আবেদন বৃহস্পতিবার ডাকযোগে পাঠিয়েছেন। কিন্তু সে আবেদন গৃহীত হয়নি। উনার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডিআইজি এহসানুল্লাহকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একটি টিম একাডেমিতে আসছেন এ খবর তিনি আগেই জেনে ফেলেন। তিনি মোটরসাইকেলে একাডেমি ত্যাগ করেন বলেও জানা গেছে।


কুমিল্লার চার গ্রামে পান চাষে এসেছে সমৃদ্ধি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলেই উৎসব, আড্ডা, চায়ের দোকান আর গৃহস্থের বাড়িতে পান খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। এই পান চাষেই কুমিল্লার চারটি গ্রামে এসেছে রঙিন সমৃদ্ধি।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরুড়া সীমান্তবর্তী কাদুটি, পাইকের করতলা, চাঁদসার ও লনাই গ্রামে প্রায় শত বছর ধরে পানের চাষ হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি পান চাষ হয় কাদুটি গ্রামে। এই গ্রামের ৮০ শতাংশ মানুষ পান চাষি, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। এখানে মহালনী, চালতাগোটা ও সাচি জাতের পানের চাষ হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের টুকরোতে খুব যত্নে বেড়ে উঠেছে পানের চারা। সবুজ পান চারায় যেন হাসছে পুরো জমি। ওপরে দেওয়া হয়েছে খড়ের হালকা ছাউনি, যার ফাঁক দিয়ে হালকা সোনালি আলো পানের পাতায় পড়ে লুকোচুরি খেলছে।
কাদুটি গ্রামের পানচাষি ইউনুছ মিয়া বলেন, এক একরের বেশি জমিতে পান চাষ করেছেন তিনি। খরচ হয়েছে সাড়ে আট লাখ টাকা, বিক্রি হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। একটি জমিতে একবার পান চাষ করলে তা ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ফলন দেয় বলেও জানান তিনি।
আরেক কৃষক আবুল বাশার বলেন, ‘আমাদের কাদুটি গ্রামের ৮০ ভাগ মানুষ পান চাষে জড়িত। এই পান ১৫ দিন পর পর উঠানো হয়। পান চাষের কারণে এলাকায় মানুষ সচ্ছল হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, এই গ্রামের পান কাদুটি, নবাবপুর, গৌরীপুর, সাচার, বদরপুরসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়। আগে পানের ভিড়া ২০০-২৬০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষক কামাল হোসেন বলেন, ৩০ শতক জমিতে পান চাষ করতে তার চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ভালো লাভ পেয়েছেন। তবে বর্তমানে পানের দাম কমায় তারা বেকায়দায় পড়েছেন।
ব্যবসায়ী রমিজ মিয়া বলেন, যে পান ৩০০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবার ও অন্যান্য খরচ বাড়ায় কৃষকরা বেকায়দায় পড়েছেন।
পাইকারি ব্যবসায়ী মিন্টু চন্দ্র দত্ত বলেন, কাদুটি, ঝলম, মাধাইয়া ও বদরপুরসহ বিভিন্ন হাট থেকে তিনি পান কেনেন। এখানের পান বিভিন্ন উপজেলায় যায়। এই পানের স্বাদ চমৎকার।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, এই পানের রোগ কম, ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষক দাম কম পাচ্ছেন। কিছুদিন পর সে সমস্যা কেটে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, চান্দিনা উপজেলায় ৪২ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়। কাদুটিতে হয় ১২ হেক্টর জমিতে। এক বিঘা জমিতে খরচ হয় ৩ লাখ টাকা আর বিক্রি হয় সাড়ে ছয় লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, এটি ছায়া জাতীয় ফসল। সরাসরি আলো পড়লে ফলন ভালো হয় না। বৃষ্টি বেশি হওয়ায় এবার উৎপাদন ভালো হয়েছে। এজন্য এখন একটু দাম কম। তবে সামনের শীতে দাম আরও বাড়বে। চান্দিনায় পান চাষের আরও সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র: ইউএনবি


নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ৫ জন আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মশাল মিছিল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ফতুল্লার রঘুনাথপুর এলাকার ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন— ফাহিম আহম্মেদ (২৩), মো. নিরব হোসেন (১৮), মো. ফয়সাল (২০), মো. অনিক আহমেদ অনিন (২১), মো. আবির (১৫)। তবে তাদের পদবী জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাসপোর্ট অফিসের সামনে ছাত্রলীগের ৬০- ৭০ জন নেতাকর্মী মশাল হাতে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল বের করে। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে ও পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ছাত্রলীগের ৫ জনকে আটক করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যানার, কয়েকটি মশাল, লাঠি ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করে।

এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, রাতে একটি কাজে যুবদলের নেতা কর্মীদের নিয়ে সাইনবোর্ড এলাকায় যাই। ওই সময় সেখানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। এ ঘটনা দেখে পুলিশকে অবহিত করলে, পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ব্যানার, লাঠিসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী মামলা হবে।


দিনাজপুরে সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং চাকরিচ্যুত

সাংবাদিকদের পূণর্বহালের দাবিতে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

শনিবার শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের সভাপতি অধ্যাপক সাদাকাত আলী খান।

সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের সহসাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি'র পরিচালক জেলা বিএনপি'র তথ্য ও প্রচার বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর মুর্শেদ সুমন, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহফিজুল ইসলাম রিপন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মােঃ ফারুক হোসেন, অর্থ সম্পাদক আব্দুস সালাম দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান প্রমূখ।

সমাবেশ থেকে সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পূণর্বহালসহ সাংবাদিকদের ২১ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান বক্তারা। শুধু কথায় নয়, কথার সাথে কাজের মিল রেখে তা বাস্তবায়ন করার আহবান জানান বক্তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন আহেমদ, স্বপ্ন মৃধা.আবুল ওহাব, লুৎফর রহমান, সাজেদুর রহমান নওশাদ মামুনুর রশিদ বিপ্লব, মেনহাজুল ইসলাম, মোঃ ইসমাইল হোসেন প্রমূখ।


রেললাইনে হাঁটু পানি, ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

রাতভর বৃষ্টির কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকাসহ রেললাইনে পানি জমে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আন্তঃনগর বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে গেছে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

শনিবার (১ নভেম্বর) সিডিউল অনুযায়ী ট্রেনটি সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, রেললাইনে পানি জমে থাকার কারণে এটি সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন ছেড়ে যায়।

আব্দুল হামিদ নামে এক যাত্রী বলেন, ঢাকায় বিকেল ৩টার দিকে একটি ব্যাংকের চাকরি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। কিন্ত আজকে প্রায় ২ ঘণ্টা মতো ট্রেন লেট হয়েছে। এর ফলে আমরা সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করেন।

আবু সাঈদ নামে আরেক যাত্রী বলেন, আমার মায়ের অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা করাতে ঢাকায় যাচ্ছি। কিন্ত রেললাইনে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে ট্রেন লেট হয়েছে। একদিকে রাতভর বৃষ্টি, অপরদিকে ট্রেন লেটের ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনমাস্টার শহিদুল আলম বলেন, শনিবার সারারাত ধরে বৃষ্টি হয়েছে, এতে স্টেশনের রেললাইনে হাঁটু পানি জমে যায়। এমনকি রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের বিভিন্নস্থানে পানি জমে ছিল। তাই বনলতা এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর ছেড়ে যায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তোফিকুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় কয়েকটি স্থানে ড্রেনের কাজ চলমান আছে। এজন্য হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছুটা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। শহরে জমে থাকা পানি মেশিনের মাধ্যমে নিষ্কাশন করা হচ্ছে। এছাড়া আশা করি ড্রেনের কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।


মেয়েকে শেষবারের মত দেখতে হেলিকপ্টারে ছুটে এলেন আফ্রিকা প্রবাসী বাবা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে পানিতে ডুবে মারা গেছে তিন বছরের শিশু আরওয়া। একমাত্র সন্তানের মৃত্যুসংবাদ শুনে আফ্রিকা প্রবাসী বাবা ওসমান গনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টার যোগে ছুটে আসেন মেয়ের শেষ দেখায়।

শুক্রবার বিকেলে গ্রামের গুণবতী স্কুল মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণের সময় সেখানে উপস্থিত সবাই চোখে জল নিয়ে দেখেন এক বাবার ছুটে যাওয়া। কোনো হৈচৈ ছিল না— ছিল শুধু নিস্তব্ধতা, কান্না আর বুকভাঙা আহাজারি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওসমান গনি বাদল গত ১৫ বছর ধরে আফ্রিকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। দেশে থাকাকালীন মেয়ের জন্মের পর তিনি ছয়-সাত মাস তাদের সঙ্গে কাটিয়ে চলতি বছরের আগস্টে আবার বিদেশে ফিরে যান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির সামনের পুকুরে পড়ে যায় আরওয়া। পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একমাত্র সন্তানের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে প্রবাসী বাবা ওসমান গনি বৃহস্পতিবার রাতেই ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরেন এবং শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টারে নিজ গ্রামে পৌঁছান।

তিনি মেয়ের জানাজায় অংশ নিয়ে নিজ হাতে দাফন সম্পন্ন করেন।

এ সময় উপস্থিত সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।

ওসমান গণির বন্ধু মো. ইস্রাফিল বলেন, “ওসমান আরওয়াকে শেষবারের মতো দেখতে চেয়েছিলেন। তাই আমরা লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে মেয়ের মরদেহ সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম।”

ওসমান গণির ফুফা সাইদুল ইসলাম জানান, “বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি রাতেই রওনা দেন, পরদিন সকালে আমাদের গ্রামে পৌঁছান।


কালীগঞ্জে অল্পের জন্য রক্ষা পেল ‘এগার সিন্ধুর গোধূলি’ এক্সপ্রেস

হুইস পাইপ খুলে যান্ত্রিক ত্রুটি, দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে অল্পের জন্য বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে কিশোরগঞ্জগামী ‘এগার সিন্ধুর গোধূলি (৭৪৯) এক্সপ্রেস’ ট্রেনের শতাধিক যাত্রী। ট্রেনটির একটি হুইসপাইপ খুলে যাওয়ায় আকস্মিকভাবে গতি কমে যায় এবং এক পর্যায়ে ট্রেনটি সম্পূর্ণ থেমে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে, যখন ট্রেনটি আড়িখোলা রেলস্টেশন অতিক্রম করছিল।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, টঙ্গী–ভৈরব রেলপথে চলাচলরত ট্রেনটি আড়িখোলা স্টেশন পার হওয়ার পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ধীরে ধীরে গতি হারায়। কিছুদূর এগিয়ে মুনসরপুর টেকপাড়া এলাকায় গিয়ে ট্রেনটি সম্পূর্ণ থেমে যায়। পরে চালক ও ট্রেনের পরিচালকেরা দেখতে পান, ট্রেনের ‘ক’ বগির হুইসপাইপ খুলে গেছে- এই পাইপ দিয়েই ট্রেনের ব্রেকসহ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় কমপ্রেসড এয়ার প্রবাহিত হয়। পাইপটি খুলে যাওয়ার ফলে ট্রেনের ব্রেক সিস্টেম অচল হয়ে পড়ে, ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়।

রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ ও উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেনটি পেছনের দিকে চালিয়ে আড়িখোলা স্টেশনে আনা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ভৈরবগামী লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও ঢাকাগামী লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

পরে ক্ষতিগ্রস্ত ‘ক’ বগিটি আড়িখোলা স্টেশনে রেখে বাকি বগিগুলো নিয়ে রাত ১০টা ১৮ মিনিটে ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। এরপর টঙ্গী–ভৈরব রেললাইনে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) নাজিমুদ্দিন বলেন, ‘এটি একটি যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।’

এদিকে ট্রেন হঠাৎ থেমে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে সৌভাগ্যক্রমে কেউ আহত হননি।


পর্যটন খাতে অবদানে পুরস্কার পেলেন ৩ সাংবাদিকসহ ১৩ জন

দেশের পর্যটন খাতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিন সাংবাদিকসহ ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পর্যটন খাতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিন সাংবাদিকসহ ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে (বিসিএফসিসি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘১৩তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) ২০২৫’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত এ মেলায় দেশের শীর্ষ পর্যটন ব্যক্তিত্ব, ভ্রমণ ব্লগার, ফটোগ্রাফার ও সাংবাদিকরা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছেন। সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন- দৈনিক কালের কণ্ঠের বিজনেস এডিটর মাসুদ রুমী, এশিয়ান টিভির চিফ নিউজ এডিটর ও এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লব এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ও এটিজেএফবির যুগ্ম সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন। এছাড়া প্রেস্টিজিয়াস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শুভাশীষ ভৌমিক।
অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন- স্টোরিটেলিং ট্রাভেল ভ্লগার আরকে সোহান, উইমেন ট্রাভেল ভ্লগার জান্নাত (দ্য লুনাটিক ট্রাভেলার), কাপল ও ফ্যামিলি ট্রাভেল ভ্লগার পেটুক কাপল, রাইজিং ট্রাভেল ভ্লগার জাস্ট এ মিনিট, ফটো প্রতিযোগিতায় হৃদয়, বিপুল আহমেদ ও তন্ময় দাস, ভিডিও প্রতিযোগিতায় শাহরিয়ার হোসেন শিজু এবং গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় সাজিব মাহমুদ।
এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি ১২০টির বেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, যেখানে ২২০টি স্টল ও ২০টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, তুরস্ক ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।


মণিপুরিদের মহারাস উৎসবকে ঘিরে চলছে ঐতিহ্যবাহী নাচের প্রস্তুতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সালাহউদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার

আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। পূর্ণিমার আলোয় মহারাস উৎসবে মেতে উঠবেন মণিপুরিরা। এটিই তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। মণিপুরি পাড়াগুলোতে বিকেল থেকেই মৃদঙ্গের তালে মণিপুরি গান ভেসে বেড়ায়। গান আর মৃদঙ্গের তাল অনুসরণ করে একটু এগিয়ে গেলেই চোখে পড়ে মণিপুরিদের নাচের প্রস্তুতি। মণিপুরি–অধ্যুষিত গ্রাম ও পাড়াগুলোতে বইছে উৎসবের হাওয়া। চলছে গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য এবং রাসনৃত্যের মহড়া।

বৃহত্তর সিলেটের আদিবাসী মণিপুরি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব মহারাসলীলা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অন্যান্য বছরের মতো এবারও মণিপুরিদের পৃথক দুটি গ্রামে আয়োজন করা হয়েছে রাস উৎসবের। উপজেলার মাধবপুরের জোড়া মণ্ডপে বিষ্ণুপ্রিয়া (মণিপুরি) সম্প্রদায়ের ১৮৩তম এবং আদমপুর মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মীতৈ (মণিপুরি) সম্প্রদায়ের ৪০তম মহারাস উৎসব হবে। রাসপূর্ণিমার আলোয় ভেসে যাওয়ার জন্য মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষার পালা।

স্থানীয় লোকজন জানায়, মণিপুরের রাজা ভাগ্যচন্দ্র মণিপুরে প্রথম এই রাসমেলা প্রবর্তন করেছিলেন। মণিপুরের বাইরে ১৮৪২ সালে কমলগঞ্জের মাধবপুরে প্রথম মহারাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রাস উৎসবে সকাল বেলা ‘গোষ্ঠলীলা’ বা ‘রাখাল নৃত্য’ হয়। গোধূলি পর্যন্ত চলে এই রাখাল নৃত্য। এরপর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা শেষে রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয় রাস উৎসবের মূল পর্ব শ্রী শ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলা অনুসরণ। মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের পোশাকে নেচে গেয়ে কৃষ্ণবন্দনা ভোর পযন্ত চলে রাসলীলা। রাসনৃত্যে শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও প্রায় ৫০ জনের মতো গোপী থাকেন। গোপীর সংখ্যা অনেক সময় কমবেশি হয়। শুক্রবার দেখা যায়, পাড়াগুলোতে চলছে রাস উৎসবের মহড়া। প্রায় ১৫ দিন ধরে এখানে রাস উৎসবের মহড়া চলছে। মহড়ায় আসা মণিপুরি ছেলেমেয়েদের রাসনৃত্যের বিভিন্ন কৌশল ও নিয়মকানুন শিখিয়ে দিচ্ছিলেন রাসনৃত্যের শিক্ষক অজিত কুমার সিংহ। সঙ্গে সজল কুমার সিংহ মৃদঙ্গ বাজিয়ে ও রীনা সিংহা গান গেয়ে সেই মহড়ার তাল দিচ্ছিলেন। রাস উৎসবে এই গান ও তালের সঙ্গেই সারারাত ধরে নাচতে হবে শিল্পীদের। প্রায় ১৫-২০ জন ছেলে-মেয়ে শিক্ষকদের কথা অনুযায়ী মহড়া দিচ্ছিলেন।

শিক্ষক অজিত কুমার সিংহ বলেন, ‘মূলত রাস উৎসবের প্রায় এক মাস আগ থেকেই মহড়া শুরু করি। রাস উৎসবে অংশ নেওয়া মণিপুরি ছেলে-মেয়েদের অনেকেই নতুন। আবার অনেকে পুরোনো। আমরা এক মাস প্রস্তুতি নিয়ে তাদের প্রস্তুত করি। প্রতিদিন নিয়ম মেনে সবাই আসেন। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ মহড়া চলছে।’

রাসনৃত্যের শিক্ষক সজল কুমার সিংহ বলেন, ‘৫ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাখাল নৃত্য শুরু হবে। সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হবে রাস নৃত্য। এই রাসনৃত্যের জন্যই মহড়া হচ্ছে। দেশ-বিদেশ দর্শনার্থীরা এই রাস উৎসব দেখতে এখানে ভিড় করেন। এটা মণিপুরিদের ঐহিত্যবাহী উৎসব।

মণিপুরি মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন, ‘রাস উপলক্ষে আমাদের পাড়ায় পাড়ায় প্রস্তুতি চলছে। প্রতি বছরের মতো ঐতিহ্য ও ধর্মীয় ভাবধারায় ১৮৩তম শ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই মহোৎসব উপলক্ষে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। রাসলীলা মণিপুরিদের আয়োজন হলেও সকলের আগমনে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির পাশাপাশি অপরাপর সকল জাতিগোষ্ঠীর মাঝে সম্প্রীতির বাঁধনে বেধে চলেছে এই উৎসব রাসলীলা, গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের প্রেমপ্রীতির ঐতিহ্য দর্শন।


দুই শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে

শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

সপ্তাহ পার হয়েছে। লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচার পায়নি দুজন শিক্ষক। এ নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এমন ঘটনা নড়াইলের কালিয়া উপজেলা শহরের প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয় প্রধান বলছেন, অভিযুক্তদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের দুজন সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত বিশ্বাস ও সহকারী শিক্ষক চৈতালী বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় কোনো প্রতিকার মেলেনি। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।

প্রতিবেশী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা জানান, এক সপ্তাহ আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো এক বিষয় নিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক শেখ সাহিদুর রহমান বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত বিশ্বাস ও চৈতালী বিশ্বাস সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করলে সহকারী প্রধান শিক্ষক শেখ সাহিদুর রহমাস ও তার এক ছোট ভাই শেখ তবিবুর রহমান উত্তেজিত হয়ে প্রশান্ত বিশ্বাস ও চৈতালী বিশ্বাসকে অপমান-অপদস্তকরাসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তারা বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই সহকারী প্রধান শিক্ষক স্যার আমাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করে থাকেন। ভদ্রতার খাতিরে আমরা তাদের কিছুই বলি না।

জানতে চাইলে চৈতালী বিশ্বাস বলেন, ঘটনার দিনে সব শিক্ষকরা শিক্ষক রুমে গল্প করছি। কোনো এক বিষয় নিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক স্যার শেখ সাহিদুর ইসলাম অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সহকর্মী প্রশান্ত বিশ্বাসকে হাতুড়ি দিয়ে মারতে গেলে আমিসহ অন্য সহকর্মীরা ঠেকাতে যাই। তখন সহকারী প্রধান শিক্ষক স্যার আমাকে একটা ঘুষি দেন। ঘুষিটি কপালের ডান পাশে লেগে রক্ত জমাট হয়ে যায়। প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেই। গত ২৭ অক্টোবর খুলনায় গিয়ে সিটিস্ক্যান করেছি। চিকিৎসক বলেছেন কপালের উপরিভাগে বেশ ক্ষত হয়েছে। বিশ্রামসহ চিকিৎসা নিতে হবে। তিনি বলেন, আমি ১৫ দিনের ছুটিতে আছি। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ওই দিনই প্রধান শিক্ষক বরাবরে আবেদন করছি। আজ ৮ দিন পার হয়েছে কোনো বিচার পাইনি।

সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ঘটনার দিনে আমি প্রতিবাদ করলে সহকারী প্রধান স্যার রুমের বাইরে গিয়ে হাতুড়ি নিয়ে এসে আমাকে মারতে যান। সহকর্মী চৈতালী ম্যাডাম ঠেকাতে গেলে তাকে ঘুষি মারেন। তিনি গুরুতর আহত হন। আজও তার বিচার পাইনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, সহকারী প্রধান স্যারের ছোট ভাই শেখ তকিবুর রহমান। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেও মাসের বেশিরভাগ দিন ছাত্রদের ক্লাস নেন না। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে জমি বেচাকেনা কাজে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। মাস পেরোলেই বেতন নিতে বিদ্যালয়ে থাকেন। বিদ্যালয়ের পাশে কালিয়া পৌরসভার বেন্দা গ্রামে তাদের বাড়ি।

গত ১৯১১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে লেখাপড়ার মান ধরে রাখার চেষ্টা করা হলেও স্থানীয় শিক্ষকদের দাপটে অন্যরা ভয়ে থাকেন। তাদের অনুকূলে চলতে হয়। বিপক্ষে গেলে লাঞ্ছিত ছাড়াও করা হয় হাতুড়ি পেটা। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫১ জন। কয়েক বছর আগেও ৭৫০ থেকে ৮০০ ছিল।

শিক্ষক লাঞ্ছিতের সঙ্গে জড়িত সহকারী প্রধান শিক্ষক শেখ সাহিদুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এমনটাই বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তি রানী বৈরাগী। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষক শেখ তকিবুর রহমান মাঝে মধ্যে জমির কাজ করতে যান। তবে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে নয়। আশেপাশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় আমাদের এখানে দূল থেকে আসা কিছু শিক্ষার্থী কমে গেছে।

কালিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বে) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে সে অভিযোগ পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত শিক্ষককের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


৪০ বছরেও হয়নি সড়ক সংস্কার, দুর্ভোগে কয়েক গ্রামের মানুষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

চার দশক পেরিয়ে গেলেও সংস্কার হয়নি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের ধনেশ্বর-গবরখোলা সড়ক। প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক এখন খানাখন্দে ভরা। ধুলোবালি ও কাদা-পানিতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক গ্রামের হাজারও মানুষ। এখানকার শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী এবং কৃষকের পোহাতে হয় বাড়তি বিড়ম্বনা।

স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই সড়কটি তাদের চলাচলের একমাত্র পথ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় রাস্তায় তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। বর্ষা মৌসুমে কাদা জমে রাস্তায় হাঁটা-চলাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। শুকনো মৌসুমে ধুলোবালিতে হাঁসফাঁস অবস্থা।

ধনেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটা এখন আর রাস্তাই নেই। বৃষ্টির সময় পা ফেলার জায়গা থাকে না, শুকনো মৌসুমে ধুলায় চোখ খুলে রাখা যায় না। তিনি আরও বলেন, এ এলাকায় প্রচুর আলুর আবাদ হয়। কিন্ত রাস্তা-ঘাট দুরবস্থার জন্য পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় কৃষক আলুর ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অটোরিকশাচালক ফরিদ আহম্মেদ বলেন, এই পথে গাড়ি চালাতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যেকোনো সময় গাড়ি উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দুর্ঘটনার আতঙ্ক কাজ করে সব সময়।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী দিদার হোসেন বলেন, অন্যান্য বাজার থেকে এখানকার বাজারে সব ধরনের পণ্য মূল্য বেশ কিছুটা বেশি। কারণ দোকানিরা পণ্য ক্রয় করে এ সড়ক দিয়ে আনতে বাড়তি পরিবহন খরচ গুণতে হয়। এর প্রভাব পড়ে ক্রেতার উপর। দীর্ঘদিন আমরা বিভিন্ন জায়গায় সড়ক নির্মাণের জন্য যোগাযোগ করেছি। কিন্ত কোনো সুফল পাইনি।

সড়কটি ব্যবহার করে প্রতিদিন গবরখোলা, ধনেশ্বরসহ ও আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ গৌরীপুরসহ উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করেন। তবে বছরের পর বছর ধরে সড়ক সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে চলতি অর্থবছরেই সংস্কারকাজ শুরু হবে।

স্থানীয়রা বলছেন, শুধু প্রতিশ্রুতি নয় এবার দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু না হলে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।


দেশে গণভোটের কোনো প্রয়োজনই নেই: শামসুজ্জামান দুদু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গণভোটের কোনো প্রয়োজনই নেই। জাতীয় সংসদে আলোচনা করে যেটি গ্রহণযোগ্য সেটি পাস না করে কোনো কিছু সম্ভব নয়।

শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও ধানের শীষের প্রচারণা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জামায়াত ও এনসিপিসহ কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দল তাদের মেজাজে আছে সরকার গঠন করবে। কিন্তু বিএনপি সরকার গঠন করবে বুঝতে পেরে নির্বাচন ঠেকানো বা পেছানোর কৌশল অবলম্বন করছে তারা। বিরোধী দলে যাবে বুঝতে পেরে এক ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা। তার ভেতরে একটি হচ্ছে পিআর পদ্ধতি। যেটি দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা জানে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ১৭ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের একটাই লক্ষ্য ছিল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সাধারণ মানুষ যেন ভোট দিতে পারে। আমরা যত দ্রুত নির্বাচনের দিকে দেশকে নিয়ে যেতে পারব তত দ্রুত বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, দেশ রক্ষা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচিত সরকার যেভাবে সংকট মোকাবিলা করতে পারে অন্য কোনো সরকার পারে না।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশের স্বীকৃত গণহত্যাকারী হচ্ছে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ। দেশে এত ভয়াবহ লুটপাট এর আগে কেউ করতে পারেনি। তাদের অবশ্যই দেশের মাটিতে বিচার হবে। শেখ হাসিনার যদি হিম্মত থাকে তাহলে আদালতে এসে মামলার লড়াই করুক।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম রতন, আসিরুল ইসলাম সেলিম বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।


banner close