সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্ত থেকে ২২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি গতকাল শনিবার ভোরে উদ্ধার করে পুলিশ। এই চিনিগুলো ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল। এ সময় চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটকও করা হয়।
এভাবে প্রতিদিন সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা শত শত বস্তা চিনি উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, যে পরিমাণ উদ্ধার করা হচ্ছে, তার চেয়ে বহু গুণ বেশি চিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসছে।
সম্প্রতি চিনি চোরাচালানের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে সিলেট। জেলার জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্তের শতাধিক স্থান দিয়ে চিনি দেশে প্রবেশ করেছে। অবৈধভাবে আসা এসব চিনিতেই এখন ছেয়ে গেছে সিলেটের বাজার।
অভিযোগ রয়েছে, এই চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ কিছুসংখ্যক নেতা। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে আসা চিনির ট্রাক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা পাহারা দিয়ে নগরের বড় পাইকারি বাজার কালীঘাটে নিয়ে আসেন। ট্রাকের সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পাহারা দেয়ায় এসব ট্রাক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও আটকায় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও ছাত্রলীগ নেতারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
১০ আগস্ট নগরের দাড়িয়াপাড়ায় এলাকায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা জজ কোর্টের এপিপি প্রবাল চৌধুরী পূজনের বাসায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পূজনের অভিযোগ, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। ছাত্রলীগ নেতাদের চিনি চোরাচালানে জড়িত থাকার বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় এই হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেন পূজন। এ ঘটনায় ১৩ আগস্ট সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতে ছাত্রলীগের ৫৫ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করেন প্রবাল চৌধুরী পূজন।
মামলায় আসামি হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ এবং মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম আহমদ, সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিছবাউল করিম ওরফে রফিক, জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল আলমের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে পূজন উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা চিনি চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। বাদী ফেসবুকে চিনি চোরাকারবারি ও অছাত্র দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রতিবাদমূলক স্ট্যাটাস দেন। এর জের ধরেই তাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। এতে তিনি আহত হন।
এ প্রসঙ্গে প্রবাল চৌধুরী পূজন বলেন, ‘সিলেট ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারাই চিনি চোরাচালানে জড়িত। তারা সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর ছাত্রলীগ নেতাদেরও এ কাজে সম্পৃক্ত করেছেন। চোরাইপথে আসা চিনি নিরাপদে নগরে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব পালন করেন তারা।’
এই ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রও চোরাচালান কাজে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, ছাত্রলীগের কিছু কর্মী মোটরসাইকেল পাহারায় অবৈধ চিনিবাহী ট্রাক কালীঘাটে পৌঁছে দেন। এ জন্য ট্রাকপ্রতি ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয় তাদের। সীমান্তরক্ষী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যও চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এসব ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
সিলেটে সম্প্রতি চিনি চোরাচালান বেড়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘কেন এখন চিনি চোরাচালান বেড়েছে। এর সঙ্গে কারা জড়িত এগুলো দেখার জন্য প্রশাসন আছে। তারাই অপরাধীদের খুঁজে বের করবে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম আহমদও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশে চিনির কেজি ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা। অপরদিকে ভারতে প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতে চিনির দাম কম হওয়ায় বেড়েছে চোরাচালান। সিলেটের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এখানকার বেশির ভাগ সীমান্তই দুর্গম এলাকায়। ফলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহলও কম। এই সুযোগে সিলেট দিয়ে চিনি চোরাচালান বেড়েছে। চিনি চোরাচালানে সীমান্তবর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তারা বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ‘ম্যানেজ’ করে এ কাজ করছেন। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারকরা।
জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী গত আগস্ট মাসে প্রায় দুই হাজার বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে।
সিলেটের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার কালীঘাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালীঘাটে দৈনিক প্রায় কোটি টাকার চোরাই চিনি কেনাবেচা হয়। রাতে ট্রাকে করে এসব চিনি কালীঘাটে আসে। এসব চিনি দেশীয় নানা ব্র্যান্ডের স্টিকারযুক্ত বস্তায় ভরে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক চিনি কালীঘাটে আসে। একেকটি ট্রাকে গড়ে ৬৫ থেকে ৭০ বস্তা চিনি থাকে। এর বাইরে কালীঘাট ঘেঁষে থাকা সুরমা নদী দিয়েও প্রতিদিন অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ বস্তা চোরাই চিনি এখানে আনা হয়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি বস্তা ভারতীয় চিনি ৫ হাজার ৯০০ টাকায় কেনেন। পরে তা বাজারদরে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালীঘাটের এক চিনি ব্যবসায়ী বলেন, ‘দেশীয় চিনি আমরা ৫০ কেজির প্রতি বস্তা ৬ হাজার ২৪০ টাকায় ক্রয় করি। ১০ টাকা লাভে বিক্রি করে দিই। আর চোরাচালানে আসা চিনি বিক্রিতে প্রতি বস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা লাভ হয়।’
কদমতলী এলাকায় মুদি দোকানদার কয়েছ আহমদ বলেন, ‘দেশি চিনি বর্তমান ১৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। দাম কম হওয়ায় ক্রেতারাও এটি কিনছেন।’
চিনি চোরাচালান বাড়ার কথা স্বীকার করে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, চিনি চোরাচালান বন্ধে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে। পুলিশ প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে চিনি চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। প্রতিদিনই চোরাইপথে আনা চিনি জব্দ করা হচ্ছে। এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
এ প্রসঙ্গে বিজিবি সিলেটের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সেলিম হাসান বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থায় আছে বিজিবি। চোরাচালান রোধে নানা কৌশলে কাজ করছেন সদস্যরা। সীমান্তে নজরদারি ছাড়াও টাস্কফোর্স গঠন করে আমরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন গুদামে অবৈধভাবে মজুত করা ভারতীয় চিনি জব্দ করছি। প্রতিদিনই আমরা হাজার হাজার কেজি চিনি জব্দ করছি।’
বৃষ্টি ও পানি বাড়ায় অনেক সময় টহল দেয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সে সুযোগে মাঝেমধ্যে কেউ অবৈধভাবে ভারতীয় পণ্য নিয়ে আসতে পারে।’
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করছেন। এতে অচল হয়ে পড়েছে ব্যাংকের সব কার্যক্রম। রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শতাধিক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারী পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হন। এরপর তারা সড়কে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
পরে তারা পটিয়া সদরের বিভিন্ন ব্যাংকের মূল ফটকে ব্যানার টানিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে গ্রাহকরা ব্যাংকে প্রবেশ করতে না পারায় লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর চাকরিচ্যুতরা পটিয়া থানার মোড়ে অবস্থান নেন। এসময় পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, পটিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান এবং পটিয়া থানার ওসি নুরুজ্জামান আন্দোলনকারীদের অনুরোধ জানান, যাতে জনসাধারণের ভোগান্তি না হয়।
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা মফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি। পটিয়ায় সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। আজ বিকেল পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া চাকরিচ্যুতরা অভিযোগ করেন, অন্যায়ভাবে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
দিন ও রাতের তাপমাত্রা সারাদেশে সামান্য বাড়তে পারে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু স্থানে এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আরেকটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, আগামী ১৩ আগস্ট তারিখের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল (শনিবার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বাঘাবাড়ীতে ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ৬৮ মিলিমিটার।
আজ ভোর ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। ঢাকায় বাতাসের গতি দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে।
ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে এবং আগামীকাল সুর্যোদয় ভোর ৫টা ৩২ মিনিটে।
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাসহ সারাদেশে সাংবাদিক নিপীড়ণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ঝিনাইদহে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও মৌন মিছিল হয়েছে।
রোববার সকালে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে ঝিনাইদহ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। মুখে কালো কাপড় বেঁেধ ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক সাংবাদিক এম আর রাসেলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সদস্য সচিব সাংবাদিক শেখ ইমন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ রিপোর্টার্স ইউনিটের সভাপতি এম এ কবির, সাংবাদিক সম্রাট হোসেন, সুজন বিপ্লব, এম বুরহান উদ্দীন, এস এ এনাম,এস এম রবি,মর্নিং বেল চিলড্রেন একাডেমীর পরিচালক শাহিনুর রহমান লিটন, রেল আব্দুল্লাহ,জাহান লিমন প্রমুখ। অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচী থেকে সাংবাদিক হত্যার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান। সেই সাথে সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর সব ধরনের হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও নিপীড়ন বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে পোস্ট অফিস মোড় থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মডার্ন মোড়ে দিয়ে শেষ হয়।
স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বন্যার আগাম সতর্কবার্তা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক কনসালটেশন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত। রবিবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজনে উপজেলা মিলনায়তনে এই কমর্শালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন। প্রভাতি প্রকল্পের সমন্বয়ক ডিডিএম কম্পোনেন্ট নেতাই দে সরকার এর সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, সদর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি,গণমাধ্যম কর্মী,ঈমাম,ছাত্রসহ ৩২জন অংশ গ্রহন করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়,অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতি) প্রকল্প ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে। এই প্রকল্পটি ৩টি জেলার ১৯টি উপজেলার ১৭৪টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরমধ্যে কুড়িগ্রামের-৯টি, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলার ৫টি করে উপজেলা রয়েছে।
প্রশিক্ষণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা, আবহাওয়ার পুর্বাভাস,বন্যার আগাম সতর্কবার্তা এবং মানচিত্র ও প্লাবন মানচিত্র বিষয়ে জানানো হয়। এছাড়াও বন্যার পূর্বাভাস জানতে মোবাইলে হেল্প লাইন ফ্রিতে ১০৯০ এবং ভয়েস ম্যাসেজ এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ জানতে পারবে।
প্রকল্পের মূল সংস্থা হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ইফাদের আর্থিক সহযোগিতায় কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে রাইমস। অংশীজন হিসেবে রয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর শিশু টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। দেশের ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সি প্রায় পাঁচ কোটি শিশু এই টিকা পাবে। ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘যেসব শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও টিকা নিতে পারবে।
এক্ষেত্রে মা-বাবার মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ কর্মদিবস স্কুলে ক্যাম্প করে শিক্ষার্থীদের টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। স্কুল ক্যাম্পেইন শেষ হলে আট দিন ইপিআই সেন্টারে স্কুলে না যাওয়া শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।’
নিবন্ধনের পর ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধন করলে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড পাওয়া যাবে।
ইপিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, এক ডোজের ইনজেকটেবল এই টিকা তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। ভ্যাকসিনটি এসেছে গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েড জ্বর হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি সিস্টেমিক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এর উপসর্গ হলো দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামান্দ্য এবং কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, আবার কখনো ডায়রিয়া। উপসর্গগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে অন্য জ্বরজনিত রোগ থেকে আলাদা করা কঠিন হয়।
গ্যাভি সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ার ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। এটি শতভাগ নিরাপদ।
পৃথিবীর অনেক দেশে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও আগে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কোভিডের আগে টাঙ্গাইলে পাইলট প্রকল্পে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর সরকার গ্যাভিকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানায়। আগে দেশে এই ভ্যাকসিন বেসরকারি পর্যায়ে কিনে দেওয়া হতো, এবার সরকার বিনা মূল্যে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি শিশুকে দেবে।
থরে থরে সাজানো পেঁয়াজ, সরবরাহে কমতি নেই। তবুও অদৃশ্য কারণে বাড়ছে দাম। তবে কি মজুদ সিন্ডিকেট? নাকি অসাধু উপায়ে দাম বাড়ানোর কৌশল? এমনই-সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রেতাদের মাঝে।
খুলনায় দিন যত যাচ্ছে, পেঁয়াজের দামও বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনায় কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে অন্তত ২৫ টাকা। হাত ঘুরলেই যেন বেড়ে যায় দাম।
পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টিতে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। আর খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন তারা। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, মজুদ সিন্ডিকেট আর ঠুনকো অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়েছে।
নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, নিউ মার্কেট, ময়লাপোতা, জোড়াকল বাজার, নতুন বাজার, বয়রা বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় বাজারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। আর সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজারের আড়তে তা বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা দরে। অর্থাৎ, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দামের ব্যবধান ১২-১৩ টাকা।
পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
কেডিএ নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারে আসা হারুন অর রশীদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘৫০-৬০ টাকার পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা তো কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছি না। এটা মজুদের কারণে, নাকি বন্যার কারণে বাড়ানো হয়েছে?’
ওই বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শুকুর আলী বলেন, ‘আমি সামান্য বেতনে কাজ করি। সীমিত টাকায় পেঁয়াজ কিনব, মাছ কিনব, নাকি তরকারি ও চাল কিনব? বাজারের এমন অবস্থায় গরীব মানুষের খুবই কষ্ট।’
খালিশপুরের খুচরা বিক্রেতা সোহাগ বলেন, ‘সীমিত লাভ রেখেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তাই আমাদেরও বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে পেঁয়াজ মানভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা দুই সপ্তাহ আগেও ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করেছি।’
কেডিএ নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারের বিক্রেতা মহাদেব সাহা বলেন, ‘এখন পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে। এই সময়ে দাম কিছুটা বাড়ে। তার ওপর ঘন বর্ষা। দীর্ঘদিন মাল ওঠে না, আমদানিও কম। এই কারণে দাম একটু বেশি।’
তবে দাম অতিরিক্ত বাড়বে না। ৮০ টাকা হলেও এখনও তা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই বিক্রেতা।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় ৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বেশি না। আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ছিল, এখন ৮০ টাকা হয়েছে। অস্বাভাবিক নয়। এক মণ কাঁচা পেঁয়াজ কিনলে ৮-১০ কেজি শুকিয়ে যায়। কিছু দাগি-পচা বের হয়। এ জন্য এই সময়ে দাম একটু বেড়ে থাকে।’
বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই উল্লেখ করে এই বিক্রেতা বলেন, ‘দাম কিছুটা বেড়েছে। এলসি করে আনা হলে দামে কিছুটা প্রভাব পড়বে। এখনও এলসি করে না আনা উচিত। পেঁয়াজের দাম এখনও স্বাভাবিক আছে।’
সোনাডাঙ্গা কাঁচা বাজারের আল্লাহর দান-১ আড়তের পাইকারি বিক্রেতা ইয়াদ আলী বলেন, ‘দেশে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ কম আসছে। এ ছাড়া এলসি দেওয়া হয়নি এখনো, আগামী ১৫ তারিখে এলসি দেবে। তখন আবার পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমে যাবে। বর্তমানে আমরা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছি।’
তিনি বলেন, ‘১৫ তারিখে এলসির অনুমোদন দিলেও পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, বরং তখন দাম ৫০ টাকা কেজিতে নেমে আসবে।’
সোনালী বাণিজ্য ভান্ডারের বিক্রেতা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সময় পেঁয়াজের বাজার একটু চড়া হয়। বৃষ্টির সিজনে মালের সংকট হয়, কারণ পেঁয়াজ পচনশীল। বৃষ্টি হলে পেঁয়াজ সরবরাহ কমে যায়, তাই বাজারে দাম বেড়ে যায়। এখন সরবরাহ বাড়লে বাজার আবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রাণ হারানো সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের কবর জিয়ারত ও শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি নেতারা।
গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিনের গ্রামের বাড়িতে তার কবর জিয়ারত ও শোকাহত পরিবারকে আর্থিক সহয়তা দেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শনিবার সেখানে ছুটে যান তারা।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, ফুলবাড়িয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি'র অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে।
চট্টগ্রামে লোহাগাড়ায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে এলজি এবং পিস্তলসহ নিজাম সিকদার(৪০) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার ( ১০ আগষ্ট) রাত আনুমানিক ৪ঘটিকার সময় লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নে বিশেষ টিমের সাহায্যে অভিযান চালিয়ে ১৯ পিস ইয়াবাসহ নিজাম সিকদারকে আটক করা হয়। পরবর্তী আসামির স্বীকাররোক্তীতে তার নিজ বাড়ি থেকে ৩টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র এলজি, ১টি ৯ মিঃমিঃ পিস্তল, এ্যামুনেশন ৪ রাউন্ড, ১৯ পিচ ইয়াবা, রাম দাঃ ৪টি,কার্তুজ ০৫ রাউন্ড ও ৫ লিটার দেশীয় মদ উদ্ধার করা হয়৷
সূত্রে জানা যায়, আটককৃত আসামি নিজাম সিকদার(৪০) উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়ন এর হরিদাগুনা এলাকার আক্তার কামাল এর সন্তান এবং বড়হাতিয়ার কুখ্যাত সন্রাসী ও ডাকাত তৌহিদ গ্রুপের একজন গোপনীয় সদস্য।
সেনা কমান্ডার শাহরিয়া কবির জানান, বিশেষ সূত্রে আমরা খবর পেয়ে কয়েকদিন আমাদের সামরিক গোয়েন্দার নজরে রাখি । পরবর্তী আমরা বিশেষ আভিযান পরিচালনা করি এবং আমরা সফল হই৷ বড়হাতিয়া ইউনিয়ন এ অভিযান চালিয়ে নিজাম সিকদার নামের এক আসামিকে হাতেনাতে ১৯পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়৷ পরবর্তীতে আসামির নিজ বাড়ি হতে ৩টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র এলজি, ১টি ৯ মিঃমিঃ পিস্তলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করতে সক্ষম হই ।
পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত অস্ত্র, ইয়াবা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সহ আসামীকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে আছে আ’লীগ আমলে নির্মিত রূপগঞ্জের মঠেরঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কোটি টাকার ঘাট। নষ্ট হচ্ছে অযত্ন-অবহেলায়। ২০১৯ সালে এটা নির্মিত হলেও আজ অবধি এটি উদ্বোধন করা হয়নি। ঘাট এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শীতলক্ষ্যার তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি ঘাট ব্যবহৃত হওয়ায় সরকারি এ ঘাটটি লোড-আনলোডে ব্যবহার করা হচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন ঘাটটি চালু করছে না। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ঘাটগুলো উচ্ছেদ করা হলে সরকারি এ ঘাটের চাহিদা বাড়বে। রাজস্ব পাবে সরকার।
জানা যায়, মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মঠেরঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীপথের বিভিন্ন মালামাল লোড-আনলোডের জন্য ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৮ টাকা ব্যয়ে ঘাটটি নির্মাণ করা হয়। ঘাট নির্মাণের দরপত্র পায় মেসার্স আজমত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি ঘাটের নির্মাণকাজ শেষ হয়। কিন্তু সাত বছর পেরিয়ে গেলেও ঘাটটি এখন পর্যন্ত কোন অদৃশ্য কারণে উদ্বোধন হয়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঘাটটি চালু না করায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘাটের বেশ কয়েকটি অংশের সিমেন্টের পলেস্তারা উঠে গেছে। সিঁড়িগুলোর বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেছে। এ ছাড়া ঘাটের যাত্রীছাউনিতে মাদক সেবীদেও আসর বসে। ঘাটের পাশে কয়েকটি ঝোপে রিকশাওয়ালা ও স্থানীয়রা মিলে জমিয়ে তোলেন মাদক ও জুয়ার আসর। এ আসর চলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়েই।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার রূপসী, মুড়াপাড়া, বানিয়াদি, হাটাবো, কাঞ্চনসহ কয়েকটি এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন ঘাট (জেটি)। এসব ঘাটে প্রতিদিন মালবাহী জাহাজ নোঙ্গও করে মালামাল লোড -আনলোড করা হচ্ছে। এসব অবৈধ ঘাট থেকে প্রভাবশালীরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর অবৈধ ঘাটগুলোর কারণে সরকারি ঘাটটি ব্যবহার করা হচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়দের অনেকেই জানান, ঘাটটি চালু না হওয়ায় এখানে সাধারণ মানুষের আনাগোনা খুবই কম থাকে। ফলে ঘাটটি মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী ও জুয়াড়িদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঘাটের পাশে কয়েকটি নির্জন স্থানে বসে রমরমা জুয়ার আসর। এলাকাটি সুনসান থাকায় এ ঘাট দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জাহাজের চোরাই তেল লোড-আনলোড করেন।
মাসুদ করিম নামে এক ব্যক্তি বলেন,ঘাটটি নির্মাণের পর ব্যবহার না হওয়ায় এখানে অপরাধীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। ঘাটের এলাকাটি নীরব হওয়ায় সচরাচর লোকজন যায় না। ঘাটটি চালু হলে জায়গাটি লোকারণ্য থাকবে তখন আর মাদক ও জুয়ার আসর বসবে না।
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ঘাটটি কি কারণে উদ্বোধন হয়নি সে বিষয়ে আমরা দেখছি খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, এটা যখন তৈরি হয়েছিল একটা ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল। এখান থেকে মানুষ পাড়াপাড় হবে ওপারে যাবে এবং ঘাঠের পাশে একটা ব্রিজ তৈরি হয়েছে শহীদ ফারহান সেতু নামে। মানুষ কিন্তু এখন সেতুতে পারাপার হচ্ছে। এই কারণেই একেবারে ব্যবহার নাই বললেই চলে। মাদকের যে বিষয়টা আমরা অলরেডি ঘাটটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এলাকার মানুষ যাতে বিকালে এসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। আমরা দেখব উদ্বোধন করা যায় কিনা। যদি কেউ ইচ্ছুক থাকে তাহলে টেন্ডারের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি ব্যবহার করতে পারবে
জেলার সেনবাগের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র সেবারহাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকটি উৎপাদনমুখী কারখানাসহ ২৫টির বেশি দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে শত কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার দিকে সেবারহাট বাজারের মহিব উল্যাহর প্লাইউডের কারখানায় আগুন লাগার পর মুহূর্তেই তা আশপাশের প্রায় ২৫টি দোকান ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। আগুনের তীব্রতা বাড়ায় যোগ দেয় আরো ২ টি ইউনিট। তাদের সহযোগিতা করে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শতকোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, এখন পর্যন্ত আগুন লাগার সঠিক কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিস এর সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনা স্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। পরে আরো দুটি ইউনিট এর সাথে যুক্ত হয়। পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ স্থানীয়রা প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। এখন পর্যন্ত আগুনের প্রাথমিক সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নেশার টাকা যোগাতে জান্নাতুল মাওয়া মিমহা (৩ মাস) নামে একমাত্র কন্যা সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা মিরাজ উদ্দীনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আকবর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আটক মিরাজ উদ্দীন সদর ইউনিয়নের আকবর পাড়ার মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে। সে পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।
জানা গেছে, গত ২ বছর আগে বান্দরবানের নেক্ষ্যংছড়ির বদ্দানঝিরির আছারতলি এলাকার আসমাউল হোসনার সঙ্গে বিয়ে হয় মিরাজ উদ্দীনের। সেই ঘরে তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। নেশার টাকা যোগাতে একমাত্র সন্তানটিই বিক্রি করেছিল বাবা। খবর পেয়ে লোহাগাড়া পুলিশ উপজেলার মছদিয়া এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
তার স্ত্রী আসমাউল হোসনা বলেন, আমার স্বামী নিয়মিত মাদক সেবন করত। প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করত।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, শিশু বিক্রি হয়েছে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শিশুটির বাবা মিরাজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
শনিবার ০৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ শনিবার সকাল ৭ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা কর্তৃক নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন পাগলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় সন্দেহজনক ১ টি ট্রাক তল্লাশি করে প্রায় ৫০ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪ শত ৭২ টাকা মূল্যের অবৈধভাবে শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে আসা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কসমেটিক্স এবং ১২ সিএফটি বালুসহ ট্রাক, ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত মালামালের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চোরাচালান রোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গাজীপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচার দ্রুত বিচার আদালতে এবং আসাদুজ্জামান তুহিনের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানান।
শনিবার দুপুরে পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, আইনজীবী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, পথচারী সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যোগ দেন।
সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি পঙ্কজ কান্তি দে’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ আর জুয়েলে’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, কবি ইকবাল কাগজী, স্পেশাল পিপি সাংবাদিক অ্যাড. আনিসুজ্জামান শামীম, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের এপিপি সাংবাদিক অ্যাড. আমিরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি শহিদুল ইসলাম, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরি ভট্টাচার্য, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যনিবার্হী সদস্য প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক খলিল রহমান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল কাদির শিহাব, জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুল, প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুব জমিয়তের সভাপতি হাফেজ মাও. ত্বাহা হোসাইন, দৈনিক বিজয়ের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি ও সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সমাজকল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুস শহীদ, সাংবাদিক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের ভূমিকা পালন করে, তাদের ওপর হামলা মানে সত্যকে দমিয়ে রাখা। তুহিনের হত্যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি। এসময় বক্তারা হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করেতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জোর দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে এমন নৃশংস হত্যাকান্ড দেশের বিবেকবান মানুষকে ব্যতিত করেছেন। এটি স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকতার প্রতি চরম হুমকি। দেশের সর্বত্র একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ আতঙ্কিত।
বক্তারা আরও বলেন, এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বক্তারা নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আকরাম উদ্দিন, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফা আশ্রাফী, জেলা যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাঈনউদ্দিন, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আবুল হাসান লিপন, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের বার্তা সম্পাদক সজীব নন্দন দেব, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের স্টাফ রিপোর্টার (দোয়ারাবাজার) আশিক মিয়া, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের স্টাফ রিপোর্টার মোশফিকুর রহমান স্বপন, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও এখন টিভির সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি লিপসন আহমেদ, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহযোগি সদস্য ও ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি তামিম রায়হান, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক ও যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি সোহানুর রহমান সোহান, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যনিবার্হী সদস্য উস্তার আলী, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য রাজু আহমদ, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও বাংলা টিভির প্রতিনিধি আল হাবিব, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের স্টাফ রিপোর্টার জাকারিয়া আহমদ, তুর্য দাশ, এনটিভি ইউরোপ প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান, সুনামগঞ্জ টুডে প্রতিনিধি রুহুল আমিন, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের স্টাফ রিপোর্টার জুনিয়া আক্তার, ইসরাত জাহান মৌ প্রমুখ।