বুধবার, ৭ মে ২০২৫
২৩ বৈশাখ ১৪৩২

সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭

আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশিত
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশিত : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:৪৩

সিলেট নগরের মিরাবাজার এলাকায় একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরিত হয়ে সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিরাবাজারের দাদা পীরের মাজার সংলগ্ন বিরতি ফিলিং স্টেশনে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

আহতদের মধ্যে পাঁচজন বিরতি সিএনজি স্টেশনের কর্মচারী এবং দুজন পথচারী বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে বিরতি ফিলিং স্টেশনের জেনারেটর হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে পড়ে। এতে জেনারেটরটিতে আগুন ধরে যায় এবং আশপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তখন সাতজন আহত হন।

সিলেট কতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার ইসকন নেতা চিন্ময়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা পুলিশের কাজে বাধাসহ চার মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দীনের আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ বলেন, কোতোয়ালী থানার পুলিশের কাজে বাধা, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলাসহ চার মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আদালতে শুনানি হয় ও আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কারাগার থেকে ভার্চুয়াল শুনানিতে যুক্ত ছিলেন। আদালত শুনানি শেষে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন।

এদিকে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর ভার্চুয়াল শুনানিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।


কমলনগরে ৮০ প্রভাবশালীদের দখলে জারিরদোনা খাল

উচ্ছেদের আদেশ হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এমরান হোসেন, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)

ময়লা-আবর্জনা আর অবৈধ দখলের কারণে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ জারিরদোনা শাখা খালটি। এ জন্য যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব ও প্রশাসনের উদাসীনতাকে দুষছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা সদর হাজিরহাট বাজার অংশে জারিরদোনা খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট-বড় বহু দোকানপাট ও বহুতল ভবন। কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই খালের পানি বাধাগ্রস্ত করে ইচ্ছামতো সরু পুল, কালভার্ট নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা। সেই সঙ্গে গড়ে তুলেছেন অবৈধ দোকানপাট। এ ছাড়া এলাকার কিছু প্রভাবশালী বাজারের আবর্জনা দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে খালটি ভর্তি করে ফেলেছেন। যাতে করে পরে সময় সুযোগ বুঝে ওই স্থান দখলে নেওয়া যায়।

এলাকাবাসী জানান, চরফলকন, চরলরেন্স, হাজিরহাট ও সাহেবেরহাট ইউনিয়নসহ উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষিকাজ এ খালের পানি প্রবাহের ওপর নির্ভরশীল। পানির স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে যেমন পানি সংকটে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনজনিত সমস্যায় সয়াবিন, ধান, মরিচ, বাদাম ও সবজীসহ বিভিন্ন ফসল ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বর্তমান এ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা চলছে। খালটি দখলের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় জীবনযাত্রা চরম দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে মানুষের। বন্যার পানি না নামার কারণ হিসেবে খাল দখলকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

হাজিরহাট এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নূর সেলিম বলেন, জারিরদোনা শাখা খালটির সংযোগ সরাসরি মেঘনা নদীর সঙ্গে। আশির দশক পর্যন্ত এ খালটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হিসেবেই বিবেচিত ছিল। এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যেও এর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ওই সময়ে কাঁচা রাস্তা দিয়ে বাস-ট্রাক যাতায়াত করা ছিল দুর্সাধ্য। এমনকি ৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এ অঞ্চলের সড়ক পথই ছিল না।

এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৮০ দখলবাজের কবজা থেকে খালটি উদ্ধার করতে উচ্ছেদের আদেশ হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। তারা খাল উদ্ধারে গড়িমসি করে সময় পার করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্যমতে, পিএস জরিপে হাজিরহাট বাজার অংশে খালের প্রশস্ততা ছিল গড়ে প্রায় ৩২ ফুট। বর্তমান আরএস জরিপে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০ ফুটে। কিন্তু কিছু ইমারত (ভবন) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে ওই সব অংশে খালের প্রশস্ততা বর্তমানে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি নেই।

হাজিরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাছান বলেন, ‘এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে খালটি সংস্কার করে পানির প্রবাহ ঠিক রাখা একান্ত জরুরি। পুরো খাল দখল করে যারা ইমারত তৈরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে খালটি দখলমুক্ত করা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন বলেন, ‘জারিরদোনা খাল দখলমুক্ত করতে ইতোমধ্যে আদেশ হয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ শুরু করব।’

এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত-উজ জামান বলেন, খালটি সংস্কার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।


ফেনীতে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন কর্মবিরতি পালন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

সারাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণ নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ০৫ মে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুই ঘণ্টা সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণভাবে কর্মবিরতি পালন করেছেন।

ফেনীতেও বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন, ফেনী শাখার সদস্যগণ দুই দফা দাবিতে আদালতে আঙ্গিনায় সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি পালন করেছেন ।

বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রীম কোর্টের অধীন পৃথক সচিবালয় করণ, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদানসহ বিদ্যমান জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের ১ম-৬ষ্ঠ গ্রেডের পরবর্তী ৭ম-১২তম গ্রেডভুক্ত করা এবং বিদ্যমান ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজনপূর্বক যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবিতে তারা এই কর্মবিরতি পালন করেছেন।

সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৯ টায় ফেনীতে আদালতের নিচ তলায় আয়োজিত দুই ঘণ্টাব্যাপি কর্মবিরতিতে সভাপতিত্ব করেন যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের সিনিয়র স্ট্রোনোগ্রাফার ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মহসিন।

বেঞ্চ সহকারি মোঃ জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম জেলা জজ প্রথম কোর্টের সেরেসতাদার ও অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আলতাফ হোসেন, জেলা ও দায়রা জজ ফেনী এর নাজির শাহনাজ বেগম,

স্টোনোগ্রাফার মো: দিদারুল ইসলাম, রেকর্ড কিপার সামছুল কিবরিয়া, স্টোনোগ্রাফার মো: শামছু উদ্দীন,

বেঞ্চ সহকারী আশিকুর রহমান ভূঁইয়া, তুলনা সরকারি মোঃ ইকবাল হোসেন, খোরশেদ আলম ভূঁইয়া, ইসমাইল ভূঁইয়া, আনোয়ারুল আজিম, ইউনুস শরীফ, মোঃ: জহির উদ্দিন মজুমদার, হারিস মাহমুদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন, ফেনী শাখা কর্মকর্তারা জানায়, এসব দাবী উপস্থাপন করে গত ০৪ মে তারিখের মধ্যে উক্ত দাবী বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আনা সত্বেও এসোসিয়েশনের ন্যায্য দাবী বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী হিসেবে এই কর্মবিরতি পালন করছেন।

বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন ফেনী শাখার কর্মকর্তারা আরো বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়। বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর শুধুমাত্র মাননীয় বিচারকগণের জন্য ৬টি গ্রেড রেখে পৃথক পে-স্কেলসহ নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও সহায়ক কর্মচারীগণকে উক্ত পে-স্কেলের আওতাভুক্ত করা হয়নি। মাননীয় বিচারকগণের সাথে আদালতের সহায়ক কর্মচারীগণ একই দপ্তরে কাজ করা সত্বেও জুডিসিয়াল সার্ভিস পে-স্কেলের আলোকে মাননীয় বিচারকগণের বেতন-ভাতাদি প্রদেয় হলেও সহায়ক কর্মচারীগণ জনপ্রশাসনের আলোকে বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন। মাননীয় বিচারকগণের জন্য বিচারিক ভাতা, চৌকি ভাতা, ডিসেম্বর মাসে দেওয়ানি আদালতের অবকাশকালীন (ডিসেম্বর মাস) দায়িত্ব ভাতা'সহ ফৌজদারি আদালতে দায়িত্ব পালনের জন্য এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অবকাশ ভাতা প্রদানের বিধান থাকলেও বিচার সহায়ক কর্মচারীগণকে অনুরূপ কোনো ভাতা প্রদান করা হয়না। এক কথায় বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর মাননীয় বিচারকগণের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হলেও সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত করা হয়েছে সহায়ক কর্মচারীগণকে।


চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৬

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির সরঞ্জামসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জন আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ মে) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

আটক হওয়া ডাকাতদের কাছে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, পুলিশি পোশাক, ওয়াকিটকি, ইয়াবা ট্যাবলেট ও ডাকাতির অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন—রুবেল রানা (২৯), আজিজুর মন্ডল (৩৬), শিলন মোল্লা (২১), সবুজ আলী মিঠু (৩০), মনিরুল ইসলাম (৪০) ও মারুফ শেখ (২০)। তারা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা।

পুলিশ জানিয়েছে, লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে খাসকররা যাওয়ার পাকা সড়কে একটি ডিজেলের দোকানের সামনে মাইক্রোবাসে একদল অস্ত্রধারী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মাইক্রোবাসটি ঘিরে ফেলে এবং তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১টি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ২টি তালা কাটার যন্ত্র, ৫টি মাস্টার চাবি, ১টি পুলিশের জ্যাকেট, ১টি ওয়াকিটকি সদৃশ্য মোবাইল সেট, ৫০ পিস ইয়াবা, ১টি মোবাইল ফোন ও ঢাকা মেট্রো-গ-১২-৩০৯৭ নম্বরের একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান। ঘটনার পর আলমডাঙ্গা থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদক আইনে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।


রাজশাহী বিভাগের ৬১ চালকলের লাইসেন্স বাতিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী ব্যুরো

গত মার্চের ১৯ তারিখে চাল না দেওয়া ও চাল সংগ্রহে চুক্তি না করায় রাজশাহী বিভাগে ৯১৩টি চালকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে খাদ্য বিভাগ। রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য বিভাগ থেকে চাল সংগ্রহ মৌসুম শেষ হওয়ার পর সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এই সুপারিশ পাঠানো হয়। সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেও চাল সরবরাহ না দেওয়ায় রাজশাহী বিভাগের ৬১টি চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ হয়েও কোনো চাল সরবরাহ করেনি এসব চালকল মালিকরা। এছাড়া চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে অসহযোগিতাকারী ৯১৩টি চালকলকেও সাবধান করা হয়েছে।

খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সাথে চুক্তি করেও ঠিকভাবে চাল সরবরাহ দেয়নি এমন চালকলের সংখ্যা ১৬২টি। এর মধ্যে চুক্তির ৮০ ভাগ চাল দিয়েছে এমন চালকলের সংখ্যা ৩০টি। ৫০ ভাগ চাল দিয়েছে- এমন চালকলের সংখ্যা ৭১টি। আর চুক্তিবদ্ধ হয়েও কোনো চালই দেয়নি এমন চালকলের সংখ্যা ৬১টি। এছাড়া, ব্যবসা করলেও চাল সরবরাহের চুক্তি না করা চালকলগুলোরও লাইসেন্স বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ।

রাজশাহী খাদ্য অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহী বিভাগে আমন সংগ্রহ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫৬,৩৫৯ টন, সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৩৯৫ টন (লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৭%), সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে ৯৪ হাজার ৭০৭ মেট্রিক টন। আর আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন। সংগ্রহ হয়েছে ১৯ হাজার ৫২৯ মেট্রিক টন।

৬১টি চালকলের মধ্যে যারা সিদ্ধচালের কোনো চালই প্রদান করেনি- এমন চালকল রাজশাহীর একটি, নওগাঁয় ৮টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ তিনটি, পাবনায় ১১টি, বগুড়ায় ৩৪টি ও জয়পুরহাটে তিনটি। আর আতব চাল দেয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি মিল। এর আগে এসব চালকল মালিকদের ব্যাখ্যা তলব করা হয়। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এসব চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

রাজশাহী খাদ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি উপপরিচালক ওমর ফারুক বলেন, সরকারি যেকোনো কাজে চুক্তিবদ্ধ হলে তা বাস্তবায়ন না করতে পারলে অপরাধ বলে গণ্য হবে। যেসব মিল চুক্তি করেও ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ চাল সরবরাহ করেছে, তাদের জামানত থেকে জরিমানা কেটে নেওয়ার আর যারা কোনো চাল সরবরাহ করেনি, তাদের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছিলাম। রাজশাহী বিভাগের যে সব মিল চাল দেয়নি বা চুক্তিযোগ্য ছিল কিন্তু চুক্তি করেনি- এমন মিল ৯১৩টি মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে দিয়েছিলাম। এদের মধ্যে ৬১টি চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাকিদের শোকজ করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা চাল সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।


খাস খতিয়ানে যাওয়া পশুরহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর জলঢাকায় ইজারাবিহীন খাসে যাওয়া মীরগঞ্জ হাট-বাজারে গরু-ছাগল ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, সরকারি খাস খতিয়ানে যাওয়া মীরগঞ্জ হাট-বাজারের পশুরহাটে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গরু ক্রেতার কাছ থেকে রশীদ ফি ৬০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত ২০০ টাকা চাঁদাসহ গরু প্রতি মোট ৮০০ টাকা আদায় করছেন হাট-বাজারের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ। এ হাট-বাজারে প্রশাসনের কাউকে দেখা না গেলেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুইজন ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক হাট বাজারের অফিসে উপস্থিত হতে দেখা যায়। তারা হলেন গোলনা ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম ও কাঁঠালী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। মীরগঞ্জ হাট-বাজারের টোল আদায়ের মুল দায়িত্বে ছিলেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে হাটে এসেছি। তারা আমাদের চাপে ফেলে হাটের টোল আদায় করছেন। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করেছি।

তারা কারা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। সংবাদকর্মীদের দেখে হাট-বাজারের থাকা ক্রেতা বিক্রেতা এগিয়ে এসে বলেন, গত ৩টা হাটে শুধু গরু ক্রেতার কাছে রশীদের ফি বাবদ ৬০০ টাকা নিয়েছেন। আর যারা গরু বিক্রেতা ছিলাম আমাদের কাছ তেকে কোন প্রকার চাঁদা নেয়নি। কিন্তু আজকের হাটে গরু ক্রেতার কাছে রশীদের মাধ্যমে ৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে বিধি পরিপন্থি অতিরিক্ত ২০০ টাকা চাঁদা নেয়। হাটের লোকজন আমাদের কাছে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে অতিরিক্ত ২০০ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন। একপর্যায়ে একদল লোক দৌড়ে এসে সংবাদকর্মীদের ওপর চড়াও হয় এবং আক্রোশমুলক গালমন্দ করতে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা এবং হত্যার হুমকি প্রদর্শন করেন।

লোকমুখে জানা যায়, তারা উপজেলা বিএনপির একাংশ একটি গ্রুপের বাহিনী। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরের বাংলা ১৪৩২ সালে উপজেলার ২৬টি হাট ইজারা দেওয়ার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরমধ্যে ১৭টি হাটের দরপত্র জমা হলে বিধিমোতাবেক দরপত্র দর দাতাদের মধ্যে হাট-বাজার গুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ৯টি হাটের কোন দরপত্র জমা না হওয়ায় হাট-বাজার গুলো খাস খতিয়ানে চলে যায়। খাস খতিয়ানে যাওয়া হাট-বাজার গুলো হলো, মীরগঞ্জ হাট-বাজার, পাঠানপাড়া হাট-বাজার, হলদিবাড়ী নালারপাড় হাট-বাজার, হলদিবাড়ী জয়বাংলা হাট-বাজার, নবাবগঞ্জ হাট-বাজার, ডিয়াবাড়ী হাট-বাজার, বালারপুকুর চৌধুরীর হাট-বাজার, হরিশ্চন্দ্রপাঠ হাট-বাজর, খুটামারা রহমানিয়া হাট-বাজার ইত্যাদি। এই হাটগুলো বর্তমানে উপজেলা প্রশাসন তাদের নিজেদের নিয়োগকৃত জনবল দিয়ে হাট-বাজারের টোল আদায় করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেন, লিখিতভাবে কাউকে হাট-বাজার দেওয়া হয়নি। কিন্তু খাস খতিয়ানের হাট-বাজারে কিছু লোকের সহযোগিতা নিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ২০০ টাকা টোল আদায়ের কোন এখতিয়ার নেই। যদি এরকম কোনো প্রমাণ আপনারা দিতে পারেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

দুর্নীতির অভিযোগে, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সেনেরচর শাহসুফি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এরপর মাদ্রাসার প্যাডে ও স্ট্যাম্পে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিলাম লিখে স্বাক্ষর দেন অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান।

রবিবার (৪মে) বেলা ১২টায়, মাদ্রাসা অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আজকের মধ্যে নগদ ২০লাখ টাকা বুঝিয়ে দিয়ে অফিস ত্যাগ করবেন। এর মধ্যেই গোপালপুর থানা থেকে পুলিশ এসে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান।

অত্র মাদরাসার ইবতেদায়ী সহকারী শিক্ষক মৌলভী আব্দুল খালেক বলেন, অধ্যক্ষের নামে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। দুর্নীতির টাকায় বিভিন্ন স্থানে টাইলস করা বাড়ি বানিয়েছে। অধ্যক্ষ কাউকে কোন হিসাব দেয় না। হিসাব চাওয়ার কারনে সে সকল শিক্ষকদের নামে মামলা করেছে।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, প্রিন্সিপাল স্যার অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছে, অন্য স্যারদের নামে মামলা করেছে এবং নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসে না। আমরা আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরৎ ও প্রিন্সিপালের পদত্যাগ চাই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি, অধ্যক্ষকে ইউএনও অফিসে আনা হয়েছে। এখনো বসা হয়নি, কিছুক্ষণ পর বসা হবে তারপর বিস্তারিত বলতে পারবো।

অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছেনা বলে ছাত্ররা আমাকে মাদরাসায় ডেকে নিয়ে যায়, আজকে মাদরাসায় যাওয়ার পর পদত্যাগপত্র ও টাকা দিতে হবে। পদত্যাগপত্রে এসব লিখে নিয়েছে।

ইউএনও মো. তুহিন হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় আটক ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।

রবিবার (৪ মে) রাতে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রবিউল হাসান।

ডিসি রবিউল ইসলাম জানান, হামলার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যান্য দোষীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

তবে তিনি আটক হওয়া ওই দুই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি।

এছাড়া, জিএমপি কমিশনারের নির্দেশে হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন বলেও জানান ডিসি রবিউল।

তিনি বলেন ‘হামলাকারী যেই হোন না কেন, আমরা তাদের খুঁজে বের করব এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’

তিনি জানান, হাসনাতের সঙ্গে কথা বলার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এ সময় তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে হাসনাত শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।

এছাড়া তার (হাসনাত) থেকে অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এর আগে রবিবার সন্ধ্যার দিকে গাজীপুর থেকে ঢাকার দিকে ফেরার পথে চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে হাসনাতের গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান এনসিপির আরেক নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদ।

হামলায় গাড়ির কাচ ভেঙে আঘাত পান হাসনাত, তবে গুরুতর আহত হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই হামলার প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা গাজীপুরে মশাল মিছিল করেন। মিছিলে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।


ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের একশত পরিবারের মাঝে ২০ লক্ষ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ইউনিসেফ-বাংলাদেশের স্টাফ এসোসিয়েশন সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনীর একশত পরিবারের মাঝে ২০ লক্ষ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

রবিবার (৪ মে ) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো. বাতেন, ইউনিসেফ চট্টগ্রামের রিজিওনাল হেড মাধুরী ব্যানার্জি।

ফেনী সদর উপজেলার ৪০টি, ছাগলনাইয়া উপজেলার ২৫টি, ফুলগাজী উপজেলার ২০টি ও পরশুরাম উপজেলার ১৫টি সর্বমোট ১০০টি পরিবারকে এই আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। ১০০টি পরিবারের প্রত্যেকটি পরিবারকে ২০ হাজার টাকা মোট ২০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।

উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে -যেসব পরিবারে গোল্ডেন সিটিজেন কার্ড (সুবর্ণ কার্ড) সহ প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে; যেসব পরিবারে এসএএম শিশু, চরম-দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবার, বন্যার কারণে বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যেসব পরিবারের মহিলা প্রধান এবং যারা ইতোপূর্বে সরকারি সহায়তা পাননি তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।


দালালের খপ্পরে সৌদি গিয়ে নিখোঁজ দুই ভাই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজবাড়ীর জালদিয়া গ্রামের দুই ভাই সোহেল মোল্লা ও ইকবল মোল্লা দালালের মাধ্যমে এক বছর আগে ১০ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি গিয়ে কাজ না পেয়ে উল্টো নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

তিন মাস ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছে পরিবার। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবার। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ভুক্তভোগীরা হলেন— উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের জালদিয়া গ্রামের কামাল মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা ও মৃত ইয়াছিন মোল্লার ছেলে ইকবাল মোল্লা। তারা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।

কামাল মোল্লা বলেন, ‘গ্রামের প্রতিবেশী মনিরদ্দিন মোল্লা ও তার শ্যালক মামুন মোল্লা ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথম দফায় গত বছরের ৫ মার্চ নগদ ছয় লাখ ও ২৬ মে ব্যাংকের মাধ্যমে আরও চার লাখসহ মোট ১০ লাখ টাকা নিয়ে ছেলে সোহেল ও ভাতিজা ইকবলকে সৌদি আরব পাঠান। সেখানে কাজ না পেয়ে উল্টো তারা দালাল চক্রের নির্যাতনের শিকার হন।’

‘কাজ দেওয়ার আশ্বাসে চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি মনিরদ্দিন ও মামুন তাদের কাছ থেকে আরও দুই লাখ টাকা নেন। এরপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে সোহেল ও ইকবলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিন মাস ধরে তাদের খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবার দুটির।’

এমতাবস্থায় ২৭ এপ্রিল রাজবাড়ীর মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে দুই দালালের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন সোহেল মোল্লার স্ত্রী রিনা আক্তার।

রিনা আক্তার বলেন, ‘তিন মাস ধরে স্বামী ও দেবরের খোঁজ নেই। মনিরউদ্দিন ও মামুন আবার আমাদের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন। টাকা দিলে স্বামী ও দেবরকে এনে দেবেন। আমরা তাদের মোট ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। নতুন করে ১০ লাখ টাকা কোথায় পাব।’

ইকবাল মোল্লার স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী ও ভাসুর বেঁচে আছে নাকি মারা গেছেন জানি না। তিন মাস ধরে যোগাযোগ নেই। আমার দুই মেয়ে ও ভাসুরের ছোট এক মেয়ে রয়েছে।’

‘বাচ্চারা সবসময় কান্নাকাটি করে, তাদের বাবাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমরা অনেক খুব কষ্টে দিন পার করছি। সরকারের কাছে দাবি, আমার স্বামী ও ভাসুরকে দেশে ফেরত এনে দিক।’

সোহেলের মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমরা ছেলে দুটিকে ফেরত চাই। আর দালালদের কঠিন শাস্তি চাই। যাতে দালালদের খপ্পড়ে পড়ে আমাদের মতো অন্য কোনো পরিবার সর্বশান্ত না হয়।’

অভিযুক্ত মামুন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সোহেল ও ইকবলকে যে কোম্পানিতে কাজ দিয়েছিলাম তারা সেখানে কাজ না করে পাসপোর্ট ফেরত চায়। এজেন্সির মাধ্যমে কোম্পানির কাছ থেকে তাদের পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছি। এখন আর তাদের বিষয়ে আমার কোনো দায়ভার নেই।’

মামলার ব্যাপারে পিবিআই ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আদালত এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কাগজ হাতে পায়নি। পাওয়া মাত্র অফিসার নিয়োগ দিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় তদন্ত করে প্রকৃত সত্যকে সামনে আনা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে থাকি। তবে কর্মসংস্থানের জন্য যারা বিদেশে যাবেন, তাদের দালালদের মাধ্যমে না গিয়ে জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরো ও বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে প্রচলিত নিয়ম মেনে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দেব।’


যশোরে ১০ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

যশোরের শার্শা উপজেলায় ১০টি সোনার বারসহ শুভ ঘোষ (৩৫) নামে যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম।

আটক শুভ ঘোষ মনিকগঞ্জের সুনীল ঘোষের ছেলে।

পুলিশ জানায়, পুলিশের একটি দল বাঁগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে শুভ ঘোষ নামে এক যুবককে আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের পকেট থেকে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। স্বর্ণের বারগুলো সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে শুভ ঘোষ মনিকগঞ্জ থেকে বাঁগআচড়ায় আসে।

এছাড়া জব্দ করা স্বর্ণের ওজন এক কেজি ১৯২ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা বলে জানায় পুলিশ।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘যুবকের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং আদালতে সোর্পদ করা হবে। স্বর্ণের বারগুলো ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হবে।’


বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসঃ বিজেআইএম এর সিম্পোসিয়াম অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) শনিবার (৩ মে) বিকেলে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় একটি সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত দর্শকদের সাথে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণমাধ্যমের অবস্থা নিয়ে একটি প্রশ্নোত্তর ‍পর্বে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক শরীফ খিয়াম আহমেদ।

দ্বিতীয়ার্ধে দিবসটি উপলক্ষে ছয়জন বিশিষ্ট সাংবাদিক একটি প‍্যানেল আলোচনায় অংশ নেন যেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সেলিম সামাদ, সাংবাদিক আয়শা কবীর, সাংবাদিক এবং গবেষক এম আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক ওমর ফারুক, সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ ও সাংবাদিক জায়মা ইসলাম। তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশী সাংবাদিকতার জগতের পরিবর্তন এবং অভিযোজন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য।

বিজেআইএমের আহ্বায়ক স্যাম জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সদস‍্য সচিব মুহাম্মদ আলী মাজেদ।

প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে শফিকুল আলম নবীন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা মন খুলে লিখতে থাকেন। যত লিখবেন, সাংবাদিকতা তত শক্তিশালী হবে। সরকার তত ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং গণতন্ত্র তত শক্তিশালী হবে।"

স‍্যাম জাহান তার বক্তব্যে বলেন, “সম্ভবত অনেক অনেক বছরের মধ্যে এবারই প্রথম কিংবা হয়তো একেবারেই প্রথমবারের মতন বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস যথেষ্ট ঘটা করে বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে। এবং এর উদযাপনের আয়োজক হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”

অনুষ্ঠানে বিজেআইএম সদস্য তাসনীম খলিল ও তাঁর সংবাদমাধ্যম নেত্রনিউজের পাওয়া সাম্প্রতিক স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত শোরেনস্টাইন এওয়ার্ড করতালির সাথে উদযাপন করা হয়।

মুহাম্মদ আলী মাজেদ বলেন, “আজকের দিনে আমাদের লক্ষ্য হলো বিগত বছরগুলোতে আমরা এদেশে সাংবাদিকতায় কি সমস্যা মোকাবেলা করেছি সেগুলোর উপর আলোকপাত করা, সেই সাথে সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত নীতি পালনে আমরা কোথায় কোথায় আরো ভালো মোকাবেলা করতে পারতাম। কারণ মুক্ত গণমাধ্যম বলতে শুধু বহিঃশক্তি থেকে প্রভাবমুক্ত থাকা না, একই সাথে নিজেদের ভেতরের পক্ষপাত থেকে মুক্ত থাকা।”

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এর এশিয়া বিষয়ক সমন্বয়ক বেহ লিহ য়ি বিজেআইএম এবং বাংলাদেশের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "গত বছর দেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সময় আপনাদের প্রতিবেদন বিশ্বকে অবহিত রেখেছিল… আমি আশা করি এই নতুন যুগ আপনার কাজ করার জন্য আরও স্বাধীনতা এবং সুযোগ নিয়ে আসবে এবং সিপিজে এই যাত্রায় আপনার পাশে থাকবে।"

সিম্পোজিয়ামে উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ গণমাধ্যম ও অধিকারকর্মী, রাজনীতিবিদ, কলামিস্ট, ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ জনগণ। স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।


পতেঙ্গায় নারী ও শিশুসহ ৩৫ রোহিঙ্গা আটক

শনিবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সাগরতীরবর্তী খেজুরতলা বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র‌্যাব। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সাগরতীরবর্তী খেজুরতলা বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

আজ শনিবার দুপুরের দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা সবাই নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং অবৈধভাবে সেখান থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামে আসে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ আর এম মুজাফফর হোসেন জানান, আটকদের মধ্যে ১৯ জন শিশু রয়েছে। তারা শুক্রবার রাতে দালালের সহায়তায় ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করে এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে র‌্যাব তাদের পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করে।

পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা পুরুষ জানান, ভাসানচরের স্থানীয় দুই দালাল প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে তাদের ক্যাম্প থেকে বের করে। এরপর রাত ১টার দিকে একটি নৌকায় করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় তারা।

ভোরে পতেঙ্গায় পৌঁছানোর পর দালালরা তাদের ফেলে পালিয়ে যায়। তাদের পরিকল্পনা ছিল সড়কপথে কক্সবাজারের উখিয়ায় পৌঁছানো, তবে তার আগেই তারা ধরা পড়ে।


banner close