সোমবার, ১২ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

আইনশৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন শনিবার দুপুরে বগুড়ায় বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান উত্তরবঙ্গের অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্স ‘পুলিশ প্লাজা বগুড়া’ উদ্বোধন করেন। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:০৫

দেশে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলাজনিত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম।

আইজিপি শনিবার দুপুরে বগুড়ায় বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান উত্তরবঙ্গের অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্স ‘পুলিশ প্লাজা বগুড়া’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, ডিআইজি (অর্থ) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জের জেলাসমূহের পুলিশ সুপার, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্ন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে আসছে। নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।’

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ পুলিশের লজিস্টিকস, ইকুইপমেন্টস বেড়েছে। ফলে পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে দ্রুততম সময়ে অপরাধের রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে।’

পুলিশ প্লাজা বগুড়া উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে পুলিশ সফলভাবে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশে এখন স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। ফলে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে। দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ কোটি টাকার আর্থিক আনুকূল্যে ২০০০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অর্জিত অর্থ জনগণের জানমাল রক্ষার নিমিত্ত পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুরুতর আহতদের চিকিৎসা ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।’

আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত ১২ হাজার পুলিশ সদস্যকে ৭১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।’

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘পুলিশ প্লাজা বগুড়া উত্তরাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে। এ মার্কেটের আয় পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।’

১০তলা বিশিষ্ট পুলিশ প্লাজা বগুড়া শপিং কমপ্লেক্সে ২১৮টি দোকান রয়েছে।

এর আগে সকালে আইজিপি বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পরে আইজিপি বগুড়া জেলা পুলিশ লাইনসে ড্রিল শেড, নারী ব্যারাক ও কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করেন। তিনি পুলিশ লাইনস চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

সবশেষে আইজিপি রাজশাহী রেঞ্জ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন ও বগুড়া জেলা পুলিশের আয়োজনে বগুড়া পুলিশ লাইনসের উদ্বোধনকৃত ড্রিল শেডে রাজশাহী বিভাগের সব পুলিশ ইউনিটের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণ সভায় মতবিনিময় করেন।

বিষয়:

সাভারে সরকারি গবাদিপশু খাদ্য তৈরির কারখানায় ডাকাতি, আহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাভার প্রতিনিধি

সাভারে গবাদিপশুর পুষ্টিকর খাদ্য তৈরির কারখানা টোটাল মিক্সড রেশন (টিএমআর) এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

এসময় ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে দুই আনসার সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ডাকাত দল। লুটে নেয় ৯ লক্ষাধিক টাকার মালামাল।

রবিবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলমা এলাকায় গবাদিপশুর পুষ্টিকর খাদ্য তৈরির টিএমআর কারখানায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টিএমআর কারখানাটির প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, এদিন ভোররাতে কারখানাটিতে বিশ থেকে বাইশ সদস্যের একদল মুখোশধারী ডাকাত অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কারখানার দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে সিসিটিভি ক্যামেরা, ক্যাবল, জেনারেটরের ব্যাটারি ও অন্যান্য তারসহ প্রায় ৯ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদেরকে বাধা দেওয়ায় ডাকাতরা দুই আনসার সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে।

এব্যপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, ডাকাতির কোনো খবর এখনও পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে স্থানীয় এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। রবিবার (১১ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহতরা হলেন—ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের প্রয়াত আফসার উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (৬০), শ্রীনগর ইউনিয়নের ইউনুস মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (২৮) ও কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের হাজারীনগর গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী সফু মিয়ার ছেলে কবির হোসেন (১৭)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফারুক মিয়া বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাওরে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে, ফয়সাল বাড়ির পাশের জমিতে খড় আনতে গিয়ে ও কবির হোসেন জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।

নিহত কবির ভৈরবের হাজী আসমত কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মে হাবিবা জুঁই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বজ্রপাতে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার জেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তিন ছাত্রীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জেলার পাকুন্দিয়ায় তিন স্কুলছাত্রী এবং মিঠামইনে এক কৃষক রয়েছেন।

পাকুন্দিয়ায় বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য যাওয়ার পথে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরটেকী গ্রামে বজ্রপাতে তিন ছাত্রীর প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতরা হলেন- ফারিয়া জান্নাত ইরিনা (১৫), আদ্রিতা ইসলাম প্রিয়া (১৫) ও বর্ষা (১৫)।

তিনজনই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দুপুর ১টার থেকে বিদ্যালয়ে তাদের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।


চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ভৈরবে সিএনজি চালকদের সড়ক অবরোধ

আপডেটেড ১১ মে, ২০২৫ ১৯:৪৫
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ভৈরবে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সিএনজি চালকদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এসময় ভৈরব -কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সহ তীব্র যানজটে সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা ।

রোববার বেলা ১ টার দিকে ভৈরব হাইওয়ে থানার সামনে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখেন সিএনজি চালকরা।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ভৈরব - কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন প্রতিবাদ করেন কয়েকশত সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। এসময় চালকরা এক ঘণ্টা যাবত সড়ক বন্ধ করে রাখে। এসময় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানবাহনে সারি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো যাত্রী। পরবর্তীতে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ভৈরব সার্কেল অফিসে এএসপি নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে একটি পুলিশের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। চালকদের হয়রানি ও সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ তুলে নেন।

এসময় সিএনজি চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সড়কে সিএনজি গাড়ি চালিয়ে যা ইনকাম করি তা দিয়েই আমাদের কোন রকম সংসার চালাই। ইদানীং সড়কে পুলিশ আমাদের গাড়ি আটকিয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা করেন। যদি তাদেরকে ১ হাজার টাকা দেয়া হয় তাহলে তারা গাড়ি ছেড়ে দেয়। এইভাবে প্রতিদিনই সড়কে আমাদের হয়রানি করছে হাইওয়ে পুলিশ। আমাদের অনেকের গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই সেইগুলি ঠিক করতে অনেক দিন সময় লাগবে। সেই সময়টায় পুলিশ আমাদের দেয় না। সারাদিন যা ইনকাম করি তা সব টাকাই পুলিশকেই দিয়ে দিতে হয়। এখন এসব হয়রানি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে আমরা সড়কে নেমেছি।

আরেক সিএনজি চালক উজ্জ্বল মিয়া বলেন, হাইওয়ে থানার পুলিশ ফ্যাসিস্ট সরকারের কতিপয় দালাল লোকের মাধ্যমে সিন্ডিকেট তৈরি করে সড়কে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও হয়রানি করছে। তারা সড়কে গাড়ি পেলেই কোন কারণ ছাড়াই মামলা দিয়ে দেয়। আমরা চাই যেসকল গাড়ির সঠিক কাগজপত্র নেই সেসকল গাড়ির কাগজপত্র ঠিক করার জন্য পুলিশ চালকদের সময় দেয়। ধরেই যেন মামলা দিয়ে হয়রানি না করে।

ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সাহাবুর রহমান বলেন, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। তবুও বর্তমান পরিস্থিতিতে সড়কে কিছু সিএনজি চলাচল করছে। এসব বিষয়ে আমাদের নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে সড়কে কোন সিএনজি চালকদের কোন ধরনের চাঁদাবাজি ও হয়রানি করা হয় না। আইন অনুযায়ী পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করেন।

এ বিষয়ে ভৈরব সার্কেল অফিসের এএসপি নাজমুস সাকিব জানান, ভৈরব -কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকসার চালকরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে আমরা সড়কের অবরোধ তুলে নিতে চালকদের সাথে আলোচনা করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়। পরবর্তীতে চালকরা সড়কে চাঁদাবাজি ও পুলিশের হয়রানি বন্ধের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন।


চাকরিবিধি না মানায় রূপপুর প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চাকরিবিধি না মানায় জেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একইসাথে নিরাপত্তার স্বার্থে চাকরিচ্যুতদের রূপপুর প্রকল্প ও গ্রিনসিটি বহুতল আবাসিক এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে রুপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রূপপুর প্রকল্প পরিচালক ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. জাহেদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে এ অব্যাহতি প্রদানের কথা জানানো হয়। পরে কোম্পানির প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মচারীকে বৃহস্পতিবার (৮ মে) থেকে শনিবার (১০ মে) পর্যন্ত ই-মেইল বার্তাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলেও এ অব্যাহতির বিষয়ে অবহিত করা হয়।

অব্যাহতি পত্রে বলা হয়, ‘এনপিসিবিএল কোম্পানিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এনপিসিবিএল এর চাকুরি হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আপনারা নোটিশ পেমেন্ট বাবদ তিন মাসের বেতন-ভাতা পাবেন।’

নিরাপত্তার স্বার্থে চাকরিচ্যুত ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রুপপুর প্রকল্প এলাকায় ও গ্রিনসিটিতে প্রবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে ।

ড. মো. জাহেদুল হাছান বলেন, চাকরিবিধি না মানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানির ১৮জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইড ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত অথরিটির প্রধানকে অবহিত করা হয়েছে। তিনিও বিষয়টি জেনেছেন।

এর আগে এই কর্মকর্তা কর্মচারীরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২৮ এপ্রিল থেকে পাবনার ঈশ্বরদীতে আন্দোলন শুরু করে। মঙ্গলবার ঈশ্বরদী শহরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। পরদিন বুধবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ভেতরে কোম্পানির অফিসে তারা অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করে। তারপরেই কর্তৃপক্ষ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহিতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।


বিনা কারণে শুধু শুধু সেতু ভেঙে পড়লো খালে

গাজীপুর-কাঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালের ভেঙ্গে পড়া সেতু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর-কাঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালের নড়বড়ে আয়রণ সেতুটি কোনো কারন ছাড়াই ভেঙ্গে পড়েছে। গতকাল ১০ মে শনিবার সন্ধ‌্যায় সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয়রা এর আগেই সেতুর নড়বড়ে অবস্থা দেখে গত ২৫ এপ্রিল স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর পাশে বাঁধ নির্মাণ শুরু করছেন। বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ না হতেই শনিবার সন্ধ‌্যায় সেতু ভেঙ্গে পরেছে। এতে ছয়টি ইউনিয়নসহ আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার অন্তত এক লাখ মানুষের চলাচলে কষ্ট হবে।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর- কাঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালে ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ কোটি টাকা ব্যয়ে আয়রণ সেতু নির্মাণ করে। তৎকালীন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম মৃধা ওই সেতু নির্মাণ করেন। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার সেতু নির্মাণ করায় পাঁচ বছরের মাথায় বীম ভেঙ্গে সেতু নডবড়ে হয়ে যায়। গত ১০ বছর ওই নড়বড়ে সেতু দিয়ে আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলাসহ ছয় ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করেছে। বর্তমানে ওই সেতুটি চলাচলের সম্পুর্ন অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সেতু নির্মাণে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে মানুষ ও যানবাহনের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে স্থানীয়রা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে গত ২৫ এপ্রিল স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর পাশের খালে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। গত ১৫ দিন ধরে ওই সেতুর পাশে বাঁধ নির্মাণ কাজ করে স্থানীয়রা। কাজ শেষ না হতেই শনিবার সন্ধ‌্যায় সেতু ভেঙ্গে পরেছে।

হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সালেহ বলেন, স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বাজে সিন্ধুক খালে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। গত ১৫ দিন ধরে কাজ চলছে। কাজ শেষ হতে না হতেই সেতু ভেঙ্গে পরেছে। এতে লাখো মানুষ ও যানবহানের চলাচলে কষ্ট হবে।

আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মৃধা বলেন, ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ২০১০ সালে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বাজে সিন্ধুক খালে আয়রণ সেতু নির্মাণ করেছেন। গত পাঁচ বছর আগে ওই সেতু অত্যন্ত ঝুকিপুর্ণ হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চিহিৃত করেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতো। ওই সেতু চলাচলের একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে যায় , যার ফলে গত ১৫ দিন ধরে এলাকাবাসী সেতুর পাশে বাঁধ নির্মাণ করছিল। কাজ শেষ না হতেই সেতু ভেঙ্গে পরেছে। ওই খালে সরকারীভাবে গার্ডার সেতু নির্মাণের দাবী জানান তিনি।

হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম‌্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধার সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, সেতু ভেঙ্গে পরার খবর পেয়েছি। আগেই ওই সেতু ঝুকিপুর্ণ ছিল। ওই খালে গার্ডার সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে ।


আজ সারা দেশে কমতে পারে তাপমাত্রা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

রবিবার (১১ মে) সারা দেশের সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, বিদ্যুৎ চমকানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ছাড়া, রাজধানী ঢাকাসহ পাশ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরের ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ (রবিবার) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকার আকাশ এ সময় পরিষ্কার থাকবে। পাশাপাশি পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। তবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে গতকাল (শনিবার) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চাঁদপুরে ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


১৫ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

১৫ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

শনিবার (১০ মে) বেলা ১১টার পর পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তা।

এর আগে, গতকাল (শুক্রবার) দিবাগত রাত ৯টার পরপর পয়েন্টম্যানের ভুল সিগন্যাল দেওয়ার কারণে ঢাকা থেকে খুলনা গামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি ভাঙ্গার বামনকান্দা জংশন এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বেনাপোল ও ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়লেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।

লাইনচ্যুত ট্রেনটিকে উদ্ধারে ঈশ্বরদী ও খুলনা থেকে দুটি রিলিফ ট্রেন নিয়ে এসে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন।

ভাঙ্গা জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সুমন বাড়ৈ জানান, ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসটি ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে বের হওয়ার কিছুদূর পরে গিয়ে ইঞ্জিন সহ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ট্রেনের সামনের ইঞ্জিন ও লাগেজ ভ্যান এক লাইন থেকে অন্য লাইনের ওপর চলে যায়।

তিনি আরও জানান, গতকাল রাত ৯টা ৫ মিনিট থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ক্রেনসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করার পর আজ (শনিবার) বেলা ১১টার দিকে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাচিনা খাতুন বলেন, পয়েন্টম্যানের ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই সিগনাল বা পয়েন্ট পরিবর্তন করেছেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


রাজধানীতে বাসাবাড়ি থেকে দুই বোনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় একট আবাসিক ভবনের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দুই বোনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই দুইজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (৯ মে) রাতে মেট্রো স্টেশন-সংলগ্ন পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ৬৪৯ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলার বি-১ ফ্ল্যাট থেকে লাশদুটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন— মরিয়ম (৬০) ও তার বোন সুফিয়া (৫০)।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদুর রহমান ইউএনবিকে জানান, শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে আমরা ঘটনার খবর পাই। তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি দল গিয়ে ছয় তলা বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে লাশদুটি উদ্ধার করে।

লাশদুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, নিহত দুইজনকে শীল-পাটা ও ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত মরিয়মের সন্তান মিষ্টি (২৬) ওই ফ্লাটে থাকেন এবং তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করেন। কিন্তু ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না।

পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির দারোয়ানকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।


উত্তরা গণভবনের আঙিনায় হৈমন্তি আর ম্যাগনোলিয়ার ম-ম গন্ধ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নাটোর জেলার উত্তরা গণভবনে এখন হৈমন্তি আর ম্যাগনোলিয়ার ভরা মৌসুম। সাতটি করে হৈমন্তি আর ম্যাগনোলিয়ার রুপে রসে গন্ধে অনন্য হয়ে উঠেছে উত্তরা গণভবনের আঙিনা। এছাড়া দুটি হোয়াইট এলামন্ড গন্ধ বিলিয়ে যাচ্ছে। ফুলের কানে ভ্রমরের গুঞ্জনে মোহনীয় চারিদিক।

অপরুপ স্থাপত্য শৈলীর রাজপ্রাসাদ আর বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসা অসাধারণ সব সামগ্রীর সংগ্রহশালাকে ছাড়িয়ে যায় গণভবনের দুষ্প্রাপ্য কিছু গাছের সমাহার। এর বেশির ভাগটাই ফুল গাছ। এরমধ্যে পারিজাত, ম্যাগনোলিয়া, নাগালিঙ্গম, এগপ্লান্ট, হোয়াইট এলামন্ড, সুরভিকা আর হৈমন্তি অন্যতম। এসব ফুল গাছের উপস্থিতি জানান দেয়, উত্তরা গণভবন শুধু রাজপ্রাসাদই নয় সুবিশাল পুষ্প সাম্রাজ্যও বটে।

এরমধ্যে পারিজাত চক্রাকারে পাতার রঙ পাল্টিয়ে লাল রঙের ফুলের থোকায় পরিণত হয় বসন্তে। এগপ্লান্টে প্রায় সারা বছর দু’একটা ফুল থাকলেও শীত আর বর্ষা এর ভরা মৌসুম। নাগালিঙ্গম আর ম্যাগনোলিয়া বসন্তে ফুটলেও বিস্তৃতি বর্ষাকাল পর্যন্ত। সুরভিকা ফোটে মূলত শীতকালে। গ্রীষ্মের তাপদাহকে উপেক্ষা করে হোয়াইট এলামন্ড তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে যাচ্ছে এখন।

আর বসন্তে পাতা হারিয়ে হৈমন্তি গাছগুলো হয়ে পড়ে বিবর্ণ। বসন্তের শেষার্ধে ফুল আসতে শুরু করলেও গ্রীষ্মে হৈমন্তির রুপ হয়ে ওঠে অপরুপ। সারাগাছ জুড়ে ফুল আর ফুল, কোন পাতা নেই। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে এ যেন শুভ্র সুন্দর শান্তির পরশ। গ্রীষ্মের এই ফুল সুবাস ছড়াবে অন্তত দুই মাস। এটিই হৈমন্তির ভরা মৌসুম। শরতে আরো একবার হৈমন্তি শুভ্র সুন্দর হয়ে ওঠার চেষ্টা করে। তবে এত ফুলের প্রাচুর্য আর সুবাস তখন থাকে না।

গণভবনের সিংহ দুয়ার পেরিয়ে সোজা এগিয়ে গেলে ইটালিয়ান গার্ডেনের প্রবেশপথের আগে দাঁড়িয়ে আছে একটি হৈমন্তি। ইটালিয়ান গার্ডেনে একটি, হরিণনিবাসে একটি, সংগ্রহশালার সাথে একটি, রাজপ্রাসাদের সামনে দুইটি হৈমন্তি গাছ। আর রাণীমহলে একটি হৈমন্তি গাছ। ধীরে বর্ধনশীল হৈমন্তির সাতটি গাছের মধ্যে রাজপ্রাসাদের সামনের গাছটি ফুলে ফুলে সবচেয়ে সমৃদ্ধ।

দুষ্প্রাপ্য গাছের তালিকায় আছে ম্যাগনোলিয়া। এর সংখ্যাও সাতটি। কুমার প্যালেস এর সাথে একটি ছাড়া অন্য ছয়টি ইটালিয়ান গার্ডেনে। কাঁঠাল পাতার মত প্রায় পাঁচ মিটার উঁচুতে সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে থাকা ম্যাগনোলিয়ার প্রতিটি গাছে শত শত ফুলের কলি আর ফুল। বিরাট আকৃতির সাদা ফুল অকৃপণভাবে সুবাস ছড়িয়ে যাচ্ছে। ইটালিয়ান গার্ডেনকে সুশোভিত করে রাখে অতিকায় দুটো হোয়াইট এলামন্ড। এখন শুধু সুশোভিতই নয় সারা গাছ জুড়ে সাদা ঝিরিঝিরি ফুল রাশি পুরো গার্ডেনকে সুরভিত করে রেখেছে।

জেলা প্রশাসক ও উত্তরা গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আসমা শাহীন বলেন, হৈমন্তী, ম্যাগনোলিয়া আর হোয়াইট এলামন্ড গণভবনকে সুশোভিত সুরভিত করে রেখেছে। প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থীদের আগমনে মুখর উত্তরা গণভবনের আঙিনা। সৌন্দর্য পিপাসুদের মধ্যে অনেকেই গ্রীষ্মের এই তাপদাহে এসব ফুল গাছের তলায় দু’দণ্ড শান্তির পরশ খুঁজে পাচ্ছেন। দুষ্প্রাপ্য এসব গাছের সুরক্ষায় জেলা প্রশাসন সদা সচেষ্ট।


চাল-তেলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও সবজি ও মাছের বাজার চড়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সবজির পাশাপাশি রাজধানীর বাজারে বেড়েছে মাছ এবং মুরগির দামও। এছাড়া পেঁয়াজ এবং ডিমের দামও কিছুটা উর্ধ্বমুখী। তবে চাল ও ভোজ্যতেলসহ বেশকিছু পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। গতকাল সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বেগুন, করলা, ঢেঁড়স, শসা, কাঁচা মরিচ, পটোল- সব কিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী। আগে যেসব সবজি ৬০-৭০ টাকায় মিলত, এখন সেগুলোর দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০-৯০ টাকা, কাঁকরোল ১০০-১৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৭০ টাকা, ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা দরে। এছাড়া পেঁপে ৭০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৭০-৮০ টাকা, পটোল ৭০-৮০ টাকা, সজনে ডাটা ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির মান ও বাজারভেদে কিছুটা দাম ওঠানামা করছে।

মুরগির বাজারেও দেখা দিয়েছে নতুন চাপ। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে এখন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা, কক ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফিডের দাম বৃদ্ধি, খামারে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং পরিবহণ ব্যয় বাড়ায় এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন, এই সুযোগে এক শ্রেণির মজুতদার ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বাড়িয়ে চলছে।

গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই রয়েছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের মাংস ১১০০ টাকা কেজি। বাজার করতে আসা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মিরপুরে বাজার করতে আসা তানভীর বলেন, ‘সবজির দাম শুনলেই ভয় লাগে। মুরগি কিনতে গেলেও একই অবস্থা।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার ব্যবস্থাপনায় নজরদারির ঘাটতি এবং সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতাই এই পরিস্থিতির মূল কারণ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন- টিসিবির মাধ্যমে কম দামে পণ্য সরবরাহ বাড়ানো, বাজার মনিটরিং জোরদার করা, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য সংগ্রহ করা এবং মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে।

রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৬০ থেকে ধরনভেদে ৬৫ টাকা। তবে তুলনামূলক কিছুটা কম মানের পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। দেশি ছোট্ট রসুনের কেজি ১৪০ টাকা, আমদানি করা বড় রসুনের কেজি ২৪০ টাকা টাকা, আদার কেজি বাজার ও ধরনভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত মিলছে। চিকন মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১২০ টাকা, আমদানি করা মুগডাল ১৪০ টাকা এবং দেশি মুগডাল ১৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।

তবে চাল ও ভোজ্যতেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারগুলোতে দেখা গেছে, চিকন চাল ৮০ থেকে ধরনভেদে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ বাজার ও ধরনভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজিতে। এর মধ্যে স্বর্ণার কেজি ৫৫ টাকা আর গুটিসহ অন্যান্য মোটা চাল সর্বোচ্চ ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বেশ কিছুদিন ধরেই চাল এ দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন চাহিদামতো সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে এবং লিটার ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের দাম দীর্ঘদিন ধরে চড়া অবস্থায় রয়েছে। বাজারে সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। ক্রেতাদের অভিযোগ, নজরদারি নেই বলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা চড়া যাচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।

রামপুরা-মালিবাগ এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতল ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা ও তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা। বাজারে কিছু দেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর দাম তুলনামূলক আরও বেশি। যেমন, বোয়াল বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়, পোয়া ৪৫০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি কৈ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা।

এদিকে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম সবসময়ই চড়া থাকে। আজকের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২৫০০ টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি হালি ডিমের দাম ৪৫ টাকা, ডজন ১৩৫ টাকা। মিরপুর-৬ বাজারের ডিম একজন বিক্রেতা বলেন, ডিমের দাম কিছুটা বেশি; কেন বেশি জানি না! মোকামে বাড়তি দাম নিয়েছে, আমিও বেশি দামে বিক্রি করছি।


ফুলবাড়িয়ায় সার্ভার জটিলতায় কর আদায়ে বিড়ম্বনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফুলবাড়িয়া(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সার্ভার জটিলতায় বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সেবা গ্রহিতারা। ভূমির এমন স্থবির সেবায় দলিল সম্পাদনের কার্যক্রমেও বিঘ্নতার সৃষ্টি হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮মে) উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ১১টি ইউনিয়ন ভূমি উপ- সহকারী কর্মকর্তাদের অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে একযোগে দু- সপ্তাহ ব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ক্যাম্পেইন শুরু হলেও ভূমিসেবা অনলাইন সার্ভারের সমস্যায় কর আদায়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় সেবা গ্রহিতাদের। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও সার্ভার সমস্যার কোন নিরসন না হওয়ায় কর না দিয়েই অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন।

ফুলবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি উপ- সহকারী লুৎফর রহমান জানান, কর আদায়ে আজ থেকে ক্যাম্পেইন শুরু হলেও সকাল থেকেই সার্ভারের সমস্যা দেখা দিয়েছে। মাঝে মধ্যে সার্ভার কিছুটা সচল হলেও পরে আবার তা বন্ধ হয়ে যায়। এ সমস্যায় আমরা কাজ করতে পারতেছিনা। যার কারণে সেবা প্রত্যাশীরা খাজনা না দিয়েই বাড়ি চলে যাচ্ছে। এ রিপোর্ট লোখার আগ মুহুর্তে দুপুর আড়াইটা নাগাদ পর্যন্ত তিনি এ সমস্যায় ভোগেন। একই অবস্থা বাকতা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের।

পৌর সদরের গৌরীপুর এলাকার বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র বোরহান উদ্দিন জানান, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ক্যাম্পেইন উপলক্ষে পৌত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত ২৭.৭৫ শতক জমির খাজনা আদায়ে গিয়েছিলাম। সার্ভারের জটিলতার কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও খাজনা দিতে পারিনি।
কৈয়ারচালা গ্রামের জাকির হোসেন ও আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামের আঃ মজিদ বলেন, কতক্ষন পরপর ভূমি অফিস ও কম্পিউটারের দোকানে খোঁজ খবর নিচ্ছি সার্ভারের সমস্যা দূর হয়েছে কিনা? সারাদিনেও কোন সু- সংবাদ পাইনি। এ সমস্যায় আমরা খুব বেকায়দায় পড়ে গেছি। দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করা প্রয়োজন। ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনেই এমন ভোগান্তিতে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।

ফুলবাড়িয়া উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান বলেন, চালান পরিশোধপূর্বক দলিলের লেখা শেষ করেও দাখিলার জন্য দলিল সম্পাদনা করতে পারিনা। সার্ভারের সমস্যায় সকলেই এ ভোগান্তিতে পড়ছে।

ফুলবাড়িয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেরুন্নাহার দৈনিক বাংলা কে বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সকালে ক্যম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী ২২ মে পর্যন্ত আমাদের এ ক্যম্পেইন চলবে। নতুন ভার্সনের ফলে সার্ভারের সমস্যা হচ্ছে।


রাতভর পুলিশি অভিযানের পর সাবেক নাসিক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার

শুক্রবার সকালে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাতভর অভিযানের পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৯ মে) সকাল পৌনে ৬টার দিকে দেওভোগের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, সাবেক এ মেয়রকে দেওভোগের ‘চুনকা কুটির’ থেকে জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনায় একাধিক থানায় হওয়া অন্তত পাঁচটি মামলার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিনসহ অন্তত ৫০ জন পুলিশ সদস্যের একটি দল পশ্চিম দেওভোগে ডা. আইভীর পৈত্রিক বাড়িতে অভিযান চালায়। এরপর রাত ১২টার দিকে সদর থানা, সিদ্দিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানার ওসি ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। সে সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য বাড়িটি ঘেরাও করে রাখেন।

পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে আইভীর সমর্থকরা দেওভোগ ও বাবুরাইল এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। এর পরপরই হাজারো সমর্থক আইভীর বাড়ির সামনে জড়ো হন। সে সময় তারা আইভীর পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। এমনকি বাড়ির প্রবেশপথের দুই রাস্তায় বাঁশ, ঠেলাগাড়ি ও ভ্যানগাড়ি ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা। এতে পুরো এলাকাজুড়ে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

অভিযান চলাকালে বাড়ির ভেতরেই ছিলেন আইভী রহমান। সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পুলিশকে বলুন, আমি রাতের বেলা বাড়ি ছেড়ে যাব না। আমাকে গ্রেপ্তার করতে হলে দিনের আলোতে করতে হবে।’

রাতভর কর্মী-সমর্থক ও জনতার প্রতিরোধের পর শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের আগে সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান আইভী। গ্রেপ্তার করলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নারায়ণগঞ্জ জেলার অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে গেলেও নিজের বাড়িতেই ছিলেন আইভী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে তাকে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।

সাবেক এই নাসিক মেয়রের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। পুলিশে সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলায় আসামি করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভীকে।

সবশেষ গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিহত রিকশাচালক তুহিনের স্ত্রী আলেয়া আক্তার মীম বাদী হয়ে ৯৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায়ও তাকে আসামি করা হয়। তার আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর গুলিবিদ্ধ হয়ে মনিরুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় ভাই নাজমুল হকের করা মামলায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। ওই হত্যা মামলায়ও শামীম ওসমান ও আইভী দুজনকেই আসামি করা হয়।


ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: যশোরের ৭০ কিলোমিটার সীমান্তে সতর্ক বিজিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতকে ঘিরে যশোরের ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। তবে বিজিবি টহল জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোয় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

বিজিবির দেওয়া তথ্যমতে, যশোরে ৭০ কিলোমিটার এই সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সাতক্ষীরার ৭০ ব্যাটালিয়ন রয়েছে। সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নীরব নজরদারির সঙ্গে বিজিবি জোরদার করেছে টহল। এলাকাবাসীও সীমান্তের দিকে নজর রাখছেন।

সীমান্তবাসী আল মামুন জানিয়েছেন, এখনও যশোর সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিএসএফের অপতৎপরতায় কোনো প্রকার অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান বিজিবির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিহত করতে প্রস্তুত এলাকাবাসী।

সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের থাকলেও এই সীমান্ত এখন স্বাভাবিক। তবে আগে ৫০০ গজ অন্তর একজন বিএসএফ সদস্য দায়িত্ব পালন করলেও এখন ৩০০ গজ অন্তর দেখতে পাওয়া গেছে। এটা কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে। যদি বিএসএফ কোনোরকম তৎপরতা দেখায়, তাহলে বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।’

৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, সীমান্তে বিজিবিকে কঠোর আবস্থানে রাখা হয়েছে।

নিরাপওা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভারত থেকে যাতে কোনো অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সেজন্য বিজিবিও টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে।


banner close