শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
৬ আষাঢ় ১৪৩২

সংসদ সদস্য এ্যানি রহমান আর নেই

ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:২২

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাতো ভাই শেখ হাফিজুর রহমানের স্ত্রী শেখ এ্যানি রহমান আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।

থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। স্বামী শেখ হাফিজুর রহমান, ১ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন তিনি।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি এ্যানি রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত করেন।

প্রধানমন্ত্রী তার শোকবার্তায় বলেন, শেখ এ্যানি রহমান ছিলেন আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এবং একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তিনি এলাকার উন্নয়নে সব সময় উদ্যোমী ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পৃথক শোকবার্তায় এ্যানি রহমানের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


আ.লীগের পুনর্বাসনে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: রিজভী

শুক্রবার দুপুরে পাবনার চাটমোহরের প্রবীণ বিএনপি নেতা তাহের ঠাকুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী দল পলাতক আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনকে তারা সহ্য করতে পারছে না। লন্ডনে ড. ইউনুস-তারেক রহমানের বৈঠকের পর টার্গেট করে পার্শ্ববর্তী দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’

আজ শুক্রবার দুপুরে তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ উদ্যোগে পাবনার চাটমোহরের প্রবীণ বিএনপি নেতা আবু তাহের ওরফে তাহের ঠাকুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার চিকিৎসার জন্য তাহের ঠাকুরের হাতে আর্থিক অনুদান ও তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের ১৬ বছরে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেকে এখনো গুম আছে। নেতা-কর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা পায়নি। ফ্যাসিবাদের দিনগুলো ছিল ভয়ঙ্কর। তবে এখন আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। আজকে নির্ভয়ে কথা বলতে পারছি। যখন ড. ইউনুস ও তারেক রহমানের বৈঠক হয়েছে তখন থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘১৬ বছর ধরে নিপীড়ন করেছে; লুট করে দুবাই, কানাডা ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বেহেশতের মতো সুখে আছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে শেখ হাসিনা।… নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তবুও শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে; যৌক্তিক সময়েই হবে। আরও অনেক দল যে দাবি করেছে, সেই আলোকেই নির্বাচন হবে। আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এবারের নির্বাচনে জনগণের দাবির প্রতিফলন হবে।’

তাহের ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘লোহা পুড়িয়ে সংসার চালিয়েও তিনি দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। জেলা বিএনপিকে সর্বক্ষণ তার খোঁজখবর রাখতে বলেছি।’

‘আপনার পাশে সবাই দাঁড়াবে। আজ আমরা তারেক রহমানের উপহার নিয়ে এসেছি।’

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু, তাহের ঠাকুরের ছেলে চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বরিউল করিম গোলাম, এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

তিন যুগেরও বেশি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে আবু তাহের প্রামাণিক ওরফে তাহের ঠাকুরের। তিনি চাটমোহর উপজেলা শ্রমিদলের সাবেক সভাপতি। ত্যাগী এই বিএনপি নেতার অসুস্থতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন সম্পর্কে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে বিষয়টি। এরপর তিনি আর্থিক সহযোগিতা ও খোঁজখবর নিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেন।


সীমান্তের ওপারে গাছে ঝুলছিলো বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট ব্যুরো

সীমান্তের ওপারে ভারতের ভেতরে সিলেটের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমাছড়া সীমান্তের ওপারে জাকারিয়া আহমদ (২৩) নামের ওই যুবকের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে বলে খবর পান পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে জানিয়েছে পরিবার।

নিহত জাকারিয়া (২৩) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার লামারগ্রাম কামালবস্তির আলাউদ্দিন আলাইয়ের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে জাকারিয়া বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১২৫৭ নম্বর মেইন পিলারের ২০ নম্বর ছাফ পিলারের নিকটবর্তী ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছের ডালে দড়িতে ঝুলন্ত একটি মরদেহ দেখা গেছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তির পরিবার মরদেহটি জাকারিয়ার বলে শনাক্ত করে।

তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত সোমবার একই ইউনিয়নের কাকরাইল গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে জাকারিয়ার বিয়ে হয়েছিল।

সিলেট কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ জানান, ‘সীমান্তের পিলারের ওপারে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধারের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র উৎমাছড়া ক্যাম্পের কমান্ডারের সাথে আলাপ হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হলে পরবর্তীতে বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করতে পারবে। যেহেতু সীমান্তের ওপারে তাই কিছু আইনি জটিলতার জন্য লাশ উদ্ধারে বিলম্ব হচ্ছে।’

এদিকে , বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) উৎমা বিওপি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) সমন্বয়ে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি।


ফেনীর  ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে চার গ্রাম প্লাবিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফেনীর ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি ঢুকেছে । এতে চার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ২০২৪ এর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার বছর না পেরোতেই আবারও বাঁধ ভাঙনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দায়সারা কাজকে দুষছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনগণ বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারের দায়সারা সংস্কার ও মেরামতের কারণে এখানকার জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর বরইয়া বণিকপাড়া সহদেব বৈদ্যের বাড়ি-সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের একটি স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় জনগণ প্রাণপণ চেষ্টা করেও এ ভাঙ্গন ঠেকাতে পারেনি।

এতে উত্তর বরইয়া, দক্ষিণ বরইয়া, বণিকপাড়া, বসন্তপুর এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যা থেকে ফুলগাজী তরকারি বাজার-সংলগ্ন স্থানে মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করে বাজারের একটি অংশ প্লাবিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বৃষ্টি না

হাওয়ায় ফুলগাজী বাজার থেকে পানি নেমে গেছে।

প্রতি বছর দায়সারা বাঁধ মেরামত ও নদী সংস্কার না করার কারনে স্থানীয় এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে এজন্য দায়ী করছেন। এখানকার জনগণ প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারণে কোন ত্রাণ নয়, তারা চায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার ফেনীর ফুলগাজী বাজার ও ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্থানীয় জনগণকে আতঙ্কিত না হয় সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় ফেনীতে নদীর পানি বাড়ছে। তবে মুহুরী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। বাঁধের ভাঙ্গন স্থল রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের নিরাপত্তায় আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।


ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১১ জনকে পুশইন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী

ফেনীর ছাগলনাইয়ার যশপুর সীমান্তের মটুয়া এলাকা দিয়ে ১১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবি জানায়, গভীর রাতে ফেনী ব্যাটালিয়নের টহলদল ছাগলনাইয়া উপজেলার যশপুরের মটুয়া এলাকায় টহল দেওয়ার সময় শিশুসহ ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ, সাতজন মহিলা ও তিনজন শিশু আছে। বিজিবি আরো জানায়, বিএসএফ রাতের অন্ধকার ও বৈরী আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে এবং সুকৌশলে বাংলাদেশে পুশইন করে। আটককৃতরা জানায়, তারা বাসা বাড়ির কাজ ও বিভিন্ন কাজের উদ্দেশে চোরাইপথে বিভিন্ন সময় দালালের মাধ্যমে বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।

আটককৃতদের থেকে প্রাপ্ত জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি সূত্রে জানা যায়, তারা সকলে বাংলাদেশের নাগরিক, তাদের বাড়ি ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরায়। বিজিবি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশী নাগরিক নিশ্চিত হয়ে আটককৃতদের ছাগলনাইয়া থানায় হস্তান্তরের করেছে।

আটককৃতরা হলেন: নড়াইল জেলার কালিয়া থানার যাদবপুর গ্রামের মৃত হাসান শেখের পুত্র মো. রাসেল হাসান শেখ (৩৩), একই গ্রামের মৃত আবু বক্কর এর মেয়ে শ্যামলী খাতুন (৩৫), একই জেলার নড়াইল থানার পলি ডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল ফকিরের মেয়ে সোনালী খাতুন (৩২), যশোর থানার পেরুলিয়া গ্রামের রবিউল হকের স্ত্রী হোসনেয়ারা (৪০), একই জেলার নোয়াপাড়া থানার নওলী মোল্লা বাড়ি গ্রামের মৃত রৌশন মোল্লার মেয়ে সালমা (৪৫), এই গ্রামের মৃত রৌশন মোল্লার মেয়ে মিনা (৪২), সাতক্ষীরা কলারোয়া থানার কাতপুর গ্রামের মৃত আকবর আলী মন্ডলের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৬০), একই গ্রামের প্রীত আনোয়ারুল হকের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৫), পুত্র জিয়ারুল (১১), পুত্র তৌহিদুল (০৯), পুত্র ইসমাইল (০৭)।

বিজিবি আরো জানায়, এ ঘটনায় ৪ বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার কর্তৃক প্রতিপক্ষ বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডারকে মৌখিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক কর্তৃক প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। পুশইন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।


ফুলবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এখন পানের হাট

আপডেটেড ১৯ জুন, ২০২৫ ২১:৫৯
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার পোস্ট অফিস রোডের সরকারি বড়পুকুর পাড় ঘেঁষেই ছিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতন হলে ওই দলীয় কার্যালয়ে বসে পানের হাট। বিভিন্ন সময়ে সাংগঠনিক অনুষ্ঠান ছাড়াও একসময় আওয়ামী লীগের এই কার্যালয়টিতে প্রতিনিয়ত দেখা যেতো দলীয় নেতাকর্মীদের পদচারণা। ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময়ে কার্যালয়টি ভাঙচুর করে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

এ অফিসটিতে দলীয় কার্যক্রমে একসময় জৌলসময় থাকলেও দেশের পট পরিবর্তন পরবর্তী এখন আর কোন কিছুই নেই। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসানো হয়েছে পানের হাট।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পান চাষিরা পানের হাটে পান বিক্রি করতে এসেছেন। পাশাপাশি পান ক্রয় করতে হাজির হয়েছেন স্থানীয় পাইকারও। আড়তদার ও পাইকাররা দর দাম নিয়ে হাঁক-ডাক ও করছেন। উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, সকালে শুরু হওয়া এই হাটে প্রায় দুই ঘণ্টা বিকিকিনি হয়। বিক্রি শেষে আড়তদারকে শতকরা ১০ টাকা হারে টাকা দিতে হয় কৃষকদের।

পাটুলি এলাকার কাদের মিয়া বলেন, আগে এটি আওয়ামী লীগের অফিস ছিল, হাসিনা পালানোর পর থেকে এটি পরিত্যক্ত। তাই এখানে পানের হাট বসানো হয়েছে। সবাই এখানে পান নিয়ে আসে তাই আমরাও পান বিক্রি করতে নিয়ে আসছি। আলমগির ও সুজাৎ বলেন, এই পানের হাটে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শতাধিক পান চাষি ও পাইকাররা উপস্থিত হন। এই হাটে মুটামুটি বেশ ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। পান নিয়ে আসা কৃষক ও পাইকাররা জানান, এ পানের বাজারে আড়ৎদারির মাধ্যমে পান বিক্রি হয়। আর এ আড়তদারের দায়িত্বে রয়েছেন আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।


কালিয়াকৈরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ৮ দপ্তরের কার্যক্রম

প্রায়ই খসে পড়ছে ছোট-বড় পলেস্তারা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সরকারি ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই খসে পড়ছে পলেস্তারা। দেয়ালের পলেস্তারে দেখা দিয়েছে ছোট-বড় অংসখ্য ফাটলের দাগ। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে থাকে। আর যেকোনো সময় মাথার ওপর ছাদ ধ্বসে পড়ার ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ৮ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। তবে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এলাকাবাসী, সেবা প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার একটি ৩ তলা ভবনে উপজেলা হিসাব রক্ষক, মৎস্য, সমাজসেবা, মহিলা বিষয়ক, যুব উন্নয়ন, সমবায়, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস এই ৮টি দপ্তরের কার্যক্রম চলে আসছে। কিন্তু দীর্ঘ দিনের পুরাতন ভবনটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ওই ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় প্রায় ছোট-বড় পলেস্তার খসে পড়ছে। ফলে ছাদের রড ও ইটের সুরকি দেখা যাচ্ছে।

বিকল্প কোনো ভবন না থাকায় নিরুপায় হয়ে ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই সরকারি সেবা দিচ্ছেন বলে জানান অনেকে।

এদিকে, গত বুধবার বিকেলে এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা যুব উন্নয়ন দপ্তরের একটি অফিস কক্ষে হঠাৎ ছাদের বড় পলেস্তার খসে পড়ে সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহানারা খাতুনের টেবিল ও যন্ত্রপাতি ওপর। এতে টেবিলসহ কিছু আসবাবপত্রের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই খসে পড়া পলেস্তারের কিছু অংশ ছিটকে অফিস সহকারী তমিজুর রহমানের হাতে পড়ে। এ সময় তিনি ভবন ধ্বসে পড়ার আতঙ্কে দৌড়ে অফিস থেকে নিচে নেমে আসে। শুধু ওই অফিস সহকারী নয়, ওই ভবনের অন্যান্য দপ্তরের উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও দৌড়ে নিচে নেমে যায়। এর আগেও ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ২য় দিনে তৃতীয় তলায় ছাদের পলেস্তার খসে সিড়ির ওপর পড়ে। এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে ওই ৮ দপ্তরের ৪৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সরকারী সেবা দিচ্ছেন ও নিচ্ছেন। এছাড়াও পাশেই উপজেলা পরিষদের পরিত্যক্ত পুরাতন দ্বিতীয় তলা ভবন রয়েছে। ওই পুরাতন ভবনের কিছু অংশ কেটে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই ভবনের এক তলার ছাদ ও বিম খসে খসে পড়ছে। সে জরাজীর্ণ ভবনটিও যেকোনো সময় ধ্বসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতিদিন প্রায় শত শত মানুষ উপজেলার ১৭টি দপ্তরে যাতায়াত করে থাকেন। চলাচলরত সেবা গ্রহীতাসহ অন্যান্য লোকজন যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।

ওই উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস সহকারী বিএম তমিজুর রহমান বলেন, ‘ওইদিন হঠাৎ করেই আমাদের অফিসের ছাদের পলেস্তার একটি বড় অংশ খসে পড়ে। এর কিছু অংশ আমার হাতের ওপর পড়ে। অল্পর জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি। পরে আমিসহ অন্যান্য দপ্তরের স্যাররাও আতঙ্কে তাড়াহুড়ো করে নিচে নেমে যাই।

সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী মুনসের আলী বলেন, ‘আমাদের অফিসের ভবনটি এখন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই ওই ভবনের ছাদ ও ভীমের বড় পলেস্তার খসে খসে পড়তে দেখা যায়।

সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন বলেন, ‘ওইদিন বিকেলে অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আমার টেবিলের ওপর ছাদের বড় প্লাস্টারের অংশ খসে পড়ে। এখনো আমার মাথার ওপর ছাদ ও দেওয়ালে আরো ফাটল আছে। আতঙ্কে আমার টেবিলে বসতে পারছি না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা কিভাবে অফিস করবো? মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে শিগগিরই জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা উচিত।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বাছেদ জানান, আজকেই এখানে যোগদান করেছি। তবে খুব দ্রুতই খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ জানান, ছাদের পলেস্তার খসে পড়ার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যক্রমের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তবে ওই ভবনে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে যাতে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেণ তার জন্য প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


৬ কোটি টাকার সেতুতে ওঠতে হয় মই বেয়ে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসরিন সিপু, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে সোয়া ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গুলিশাখালী খালের ওপরে নির্মিত সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। মই বেয়ে ওঠতে হয় সেতুতে। যা রীতিমতো ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া ও চাওড়া এই তিন ইউনিয়নের সংযোগস্থল আমড়াগাছিয়া বাজারের পশ্চিমপাশে গুলিশাখালী খালের ওপর ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্য ৬.৭৭ মিটার প্রস্থের এই গার্ডার সেতু ৬ কোটি ২২ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৩ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণের চুক্তি করে বরগুনা এলজিইডি। কাজটি পায় বরিশালের মেসার্স কহিনুর এন্টার প্রাইজ অ্যান্ড ত্রিপুরা জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের ১৯ মে কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালের জুনে নির্ধারিত সময়ের আগেই মূল সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন। কিন্ত বিপত্তি দেখা দেয় সংযোগ সড়ক নির্মাণ নিয়ে। সেতুর পশ্চিম পাশের সেতুর ঢালের ৫ ফুটের মাথায় রয়েছে পূর্ব খেকুয়ানি গ্রামের চলাচলের জন্য সড়ক। সেতুর ডিজাইন এবং উচ্চতা অনুযায়ী সংযোগ সড়ক নির্মাণ করলে এই সড়কটি বন্ধ হয়ে যাবে এ নিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সেতু নির্মাণের ১১ মাস ধরে সংযোগ সড়ক ছাড়া এভাবে পরে আছে। এতে তিন ইউনিয়নের ২০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে। যাতায়াতের জন্য স্থানীয়রা সেতুর পশ্চিম পারে কাঠ ও বাঁশের মই বানিয়ে কোনো রকমে যাতায়াতের উপযোগী করে চলাচল করছে। এই মই বেয়ে বয়স্ক ও শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। কোনো ধরনের যানবাহন সেতুতে ওঠতে না পারায় পণ্য পরিবহনে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। পণ্য পরিবহন করতে দশ কি. মি. ঘুরে মহিষকাটা সেতু পাড় হয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এতে ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেতুটি গুলিশাখালী, চাওড়া ও কুকুয়া এই তিন ইউনিয়নের সংযোগস্থল । এই সেতু পার হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়নের পূর্ব খেকুয়ানী, গুলিশাখালী, ডালাচারা, বাইবুনিয়া, কলাগাছিয়া গ্রামের শত শত মানুষ আমতলী সদর, বরিশাল, ঢাকাসহ সারা দেশে চলাচল করে। চাওড়া ও কুকুয়া ইউনিয়নের মানুষও এই সেতু পার হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়নে যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় আমাদের চলাচলে অনেক কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে পণ্য পরিবহন, রোগী আনা-নেওয়ায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। মরদেহ আনা-নেওয়ায়ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দ্রুতই সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে যাতায়াতের সুব্যবস্থার দাবি করছেন এলাকাবাসী । ঠিকাদার মো. কাওছার মিয়া বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই মূল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছি। সংযোগ সড়কের জন্য আলাদা দরপত্র হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ পাবে তারাই কাজ করবে। এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, সেতুর উচ্চতা অনুযায়ী সংযোগ সড়ক তৈরি করতে গেলে পাশের একটি সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে বিকল্প হিসেবে সেখানে আন্ডারপাস নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যাতে মূল সড়কটি ঠিক থাকে। এতে ব্যয় কিছুটা বাড়বে। এ লক্ষ্যে নতুন করে নকশা ও বাজেট তৈরি করে প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলেই দরপত্র আহ্বান করে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।


রাঙ্গামাটির দুর্গম পাহাড়ে বিরল প্রজাতির গোলাপি হাতির বাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম পাহাড়ে বিরল প্রজাতির গোলাপি রঙের নতুন হাতির বাচ্চা দেখা গেছে। দেশে প্রথমবারের মতো রাঙ্গামাটির পাহাড়ে দেখতে পাওয়া বিরল এই গোলাপি হাতির বাচ্চাটির বয়স দুই সপ্তাহের একটু বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেলার বরকল উপজেলার সুভলংয়ের বরুনাছড়ি ইউনিয়নের ফরেস্টের এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) এর প্রধান সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এর আগে গোলাপি রঙের হাতির দেখা পাওয়া যায়নি। এটা বাংলাদেশের প্রাণিজগতে হাতির প্রথম বিস্ময়কর ঘটনা হতে পারে। রাঙ্গামাটি শহর থেকে এক থেকে দেড় ঘণ্টায় স্পিডবোটে করে ঘটনাস্থলে যাওয়া যায়। সাধারণ বোটে হলে সময় আরো একটু বেশি লাগতে পারে।

জেলার বরকল উপজেলার বরুনাছড়ি ইউনিয়নে দুর্গম পাহাড়ে হাতির অবস্থান সম্পর্কে মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনিই প্রথম দেখতে পান একটি হাতির পাল গোলাপি রঙের হাতি শাবকসহ বরুনাছড়ি এলাকায় কাপ্তাই হ্রদ পার হতে । পরে জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গে সঙ্গে সেই দৃশ্যটির ভিডিও ধারণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমকে পাঠান। তিনি সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

তিনি জানান, বর্তমানে বরুনাছড়িতে হাতির নতুন গোলাপি বাচ্চাসহ দুটি হাতির শাবক এবং আরো ৬টি হাতিসহ সর্বমোট ৮টি হাতি রয়েছে। এর মধ্যে নতুন গোলাপি বাচ্চাসহ ৫টি একটি দলে, ২টি হাতি একসাথে এবং আরো একটি বড় হাতি সেখানে অবস্থান করছে। সরজমিনে দেখা যায়, সদ্য জন্ম নেয়া হাতির ছোট শাবকটি গোলাপি রঙের। সাধারণত বাচ্চা হাতির সারা গায়ের লোম কালো হলেও নতুন বাচ্চার গায়ের রং অনেকটাই গোলাপি এবং কিছুটা ব্যতিক্রম এই গোলাপি শাবক।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল সরকার বলেন, পাহাড়ে হাতি সংরক্ষণের জন্য বন বিভাগ ছাড়াও ফরেস্ট বিভাগের দায়িত্বরত ব্যক্তির পাশাপাশি আরো একটি ইআরটি রয়েছে। তারা সব সময় পাহাড়ে থাকা হাতির সমস্যাসহ নানা বিষয় তদারক করে। আমরা এই টিমের মাধ্যমেই গত ১৩ জুন গোলাপি রঙের হাতির নতুন শাবকের কথা জানতে পারি। খবর পেয়ে আমরা বন বিভাগের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

তিনি বলেন, ‘নতুন এই বিস্ময়কর গোলাপি রঙের হাতির দিকে বন বিভাগ নজর রাখছে।’

হাতির বাচ্চাটির গায়ের রং গোলাপি হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল সরকার বলেন, নিউট্রিশনজনিত কারণেও হাতির বাচ্চার রং এরকম পরিবর্তন হতে পারে। এটি একটি গবেষণার বিষয় এবং এটা নিশ্চিত করতে একটু সময় লাগবে।

বরুণাছড়ির ঘটনাস্থলেই দেখা হয় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও অধ্যাপক এম মনিরুল এইচ খানের সঙ্গে। তিনি হাতির বাচ্চার গোলাপি রঙের বিষয়ে বলেন, সাধারণত হাতির গায়ের রং কালচে ধরনের হয়ে থাকে।

হাতির চামড়ায় যে রঞ্জক পদার্থ তৈরি হয় তা যদি কোন অস্বাভাবিকতার কারণে তৈরি হতে না পারে সেটি কিছুটা ফ্যাকাসে বা গোলাপি রং ধারণ করে। এই নতুন হাতি শাবকটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা এবং স্বাভাবিক অবস্থায় এটি হয় না।

তিনি বলেন, ‘হাতির জিনগত কোন অস্বাভাবিকতার কারণে অনেক সময় হাতির গায়ের রঙের ভিন্নতা আসে এবং এই ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’

অধ্যাপক এম মনিরুল এইচ খান বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ডসহ পুরো অঞ্চলে এশীয় হাতির রং এরকম গোলাপি হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। রাজাদের শাসনামলে এ ধরনের বিরল সাদাটে বা গোলাপি হাতিগুলো রাজাদের কাছে খুবই কদরের ছিল। রাজারা তাদের হাতিশালায় এসব হাতি শখ করে পুষতেন এবং হাতিগুলোকে তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার করতেন। তিনি এরকম বিরল হাতি সংরক্ষণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে যথাযথ ভূমিকা পালনের সুপারিশ করেন।

তিনি বলেন, পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের যে সব অঞ্চলে বন্য হাতি আছে সে সব অঞ্চলের প্রায় বনাঞ্চলই দখল হয়ে বসতি, বাজারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে উঠছে। ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে হাতির আবাসস্থলসহ পাহাড়ের বনাঞ্চল। এ কারণে এক সময় হাতির নিরাপদ আবাসভূমি এখন তাদের জন্য বিপদসংকুল হয়ে উঠেছে। বর্তমানে পাহাড়ে হাতি আর মানুষ অনেকটা একসঙ্গেই বসবাস করছে। যার কারণে হাতি আর মানুষের দ্বন্দ্ব অনেকটাই বেড়ে চলেছে এবং যার অনেক আলামত আমরা চারপাশেই দেখতে পাচ্ছি।

তিনি বিরল প্রাণীর অভয়ারণ্য তৈরির জন্য সরকারি বনভূমি সংরক্ষণ করে সেখানে প্রাকৃতিকভাবে স্থানীয় উদ্ভিদ বেড়ে ওঠার পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে এনরিচমেন্ট প্ল্যান্টেশন বা স্থানীয় যে সব উদ্ভিদ প্রজাতি ও বৃক্ষ প্রজাতি আছে সেগুলো বন বিভাগের মাধ্যমে রোপণ ও সংরক্ষণে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করতে হবে।

পাহাড়ের প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকাতে গোলাপি হাতিটি দেখতে এখন প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে গবেষকসহ উৎসুক জনগণ। হাতির বাচ্চাটি ছোট থাকায় মা হাতিসহ অন্য হাতিরা তাকে হাতির শুড়ের ওপর করেও কাপ্তাই লেক পাড় হতে দেখেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে যে টিলাতে হাতিগুলো অবস্থান করছে হাতির গোলাপি শাবকটি বড় না হওয়া পর্যন্ত এই বুনো হাতির দল সেখানেই অবস্থান করতে পারে বলে ধারণা করছেন ইআরটির সদস্যরা।

তবে পাহাড়ে বিরল প্রজাতির এই গোলাপি হাতির বাচ্চাসহ পুরো হাতির দলকে নিরাপদে রাখতে সেখানে মানুষের অবাধ বিচরণকে নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তা না হলে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাসহ হাতির আক্রমণের শিকার হতে পারে মানুষ। তাই পুরো এলাকাটি সরকারিভাবে সংরক্ষণ করাটা অনেক জরুরি।

সূত্র: বাসস


বরগুনায় ফের বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব

পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি টাস্কফোর্স গঠন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। জেলায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১৯ শতাধিকের বেশি।

জানা গেছে, প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েই চলছে।

বিশেষ করে ‎‎বরগুনা সদর, আমতলী, পাথরঘাটা, বেতাগী, তালতলী ও বামনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেশি। বরগুনা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে রোগীদেরও চাপ বেড়ে গেছে। অনেক হাসপাতালে রোগীর বেড ও জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে।

‎‎বরগুনা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, চলতি জুন মাসের প্রথম দুসপ্তাহেই প্রায় ৫০০ জন নতুন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই শহর এলাকার বাসিন্দা হলেও গ্রামীণ অঞ্চলেও আক্রান্তের হার বেড়ে যাচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।

‎বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকা বলেন, ‎‘চিকিৎসা দিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তবে প্রতিদিন যে হারে রোগী আসছে, তা সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে। হাসপাতালের বেড সংকট, স্যালাইন ও ওষুধের ঘাটতি এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।’‎

‎তিনি আরও জানান, অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের মশার কামড়ে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকায় হাসপাতাল চত্বরেও মশা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছি। এবং হাসপাতালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বরগুনা ইউনিটের সেচ্ছাসেবকরা জনসচেতনা মূলক মাইকিং ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন।‎

‎জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‎আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি টাস্কফোর্স গঠন করেছি। জেলার প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ‎তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুধুমাত্র চিকিৎসা নয়, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত সামাজিক উদ্যোগ জরুরি। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, নিয়মিত মশা নিধন কার্যক্রম ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে না পারলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে বলে আশঙ্কার কথা বলেন তিনি।

‎‎বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‎‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোকেও মশক নিধনে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।’

‎তবে বরগুনা পৌরসভার অনেক নাগরিক অভিযোগ করছেন, পৌরসভার মশক নিধন কার্যক্রম যথেষ্ট নয়। অনেক এলাকায় এখনো মশার প্রজননস্থল পরিষ্কার করা হয়নি। ‎বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তি ও পারিবারিক সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি কার্যকর। প্রতিদিন ঘরের আশপাশের জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া, ফুলের টব, ড্রাম, কনটেইনার, এসি ট্রে ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। এছাড়া দিনে ও রাতে মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহার ও মশা নিধনের স্প্রে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।


১৫ বছর ধরে শিকলে বন্দি মেধাবী ছাত্র রুহুল আমিন

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

শিক্ষার্থী লেখাপড়া করবে, খেলাধুলা করবে, এটাই স্বাভাবিক। তারওপর একজন কোরআনে হাফেজ, সে তো বসে থাকার কথা নয়, কোরআন তেলোয়াত করে, মাহফিল করে মঞ্চ মাতানোর কথা যার, বিধির নির্মম পরিহাস, সে মেধাবী রুহুল আমিন এখন লোহার শিকলে বন্ধি। একেই বলে মেধাবীরা বিভিন্ন প্রতিবন্ধিকতায় আস্টে-পিস্টে আটকে আছে। রূপগঞ্জের জাঙ্গীর এলাকার হতদরিদ্র ঘরের সন্তান রুহুল আমিন। হয়েছিল কোরআনে হাফেজ, মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় পেয়েছিল জিপি-এ গ্রেড। এমনকি আজান প্রতিযোগীতায় জেলা পর্যায়ে হয়েছিল তৃতীয় স্থান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার দুই দিন পর হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে সে। মানুষ দেখে অস্বাভাবিক আচরণ করার কারণে রুহুল আমিনকে ১৫ বছর ধরে জরাজীর্ণ একটি ঘরে শিকলে বন্দি করে রেখেছেন তার পরিবারের লোকজন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রূপগঞ্জের সদর ইউনিয়নের জাঙ্গীর দারকাবো টেক এলাকার হতদরিদ্র ইদ্রিস আলীর চার ছেলের মধ্যে সবার ছোট রুহুল আমিন। বড় ছেলে সিএনজি চালক, মেজো ছেলে রং মিস্ত্রি আর সেজো ছেলে পেশায় স্যানেটারির কাজ করেন। অসুস্থতার কারণে রুহুল আমিনের বাবা ইদ্রিস আলি কোনো কাজ করতে না পারায় সংসারে বেড়েছে অভাব অনটন। পারছে না চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করতে। এলাকাবাসী জানায়, ছোট বেলা থেকেই মেধাবী হওয়ায় রুহুল আমিনকে লেখাপড়ার জন্য ভর্তি করা হয় স্থানীয় ফাজিল মাদ্রাসায়। হয়েছিলেন কোরআনে হাফেজ। ২০০৬ সালে জেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু কিশোর সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতায় আজানে তৃতীয় স্থান অর্জন করে সে। ২০১০ সালে দাখিল পরীক্ষার শেষের দিকে অসুস্থবোধ করে সে।

এদিকে ২০১৮ সালে পরিবারের লোকজন এলাকাবাসীর সহায়তায় রাজধানীর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায় তার চিকিৎসার জন্য। ২০২১ সাল পর্যন্ত সেখানে চলে তার চিকিৎসা। সর্বশেষে ২ মাস সেখানে ভর্তি রাখা হয়। কিছুটা উন্নতির দিকে যাচ্ছিল তার অবস্থার। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন রুহুল আমিনকে রাজধানী যেকোনো সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে সমাজসেবা অধিদপ্তর সার্বিক সহায়তা করবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা ছিল না। রুহুল আমিনের উন্নত চিকিৎসার জন্য যা করা দরকার সব ব্যবস্থা করব। আর্থিক সহায়তা লাগলে উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে নিয়ে সবাই মিলে ব্যবস্থা করব।


 পাহাড়ী টিলায় জীববৈচিত্র্য  ধ্বংস করে পার্ক নির্মাণ

• বনবিভাগ-উপজেলা প্রশাসন বলছেন জানে না • ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে পার্ক তৈরির কথা বলছেন পার্ক উদ্যোক্তা
বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদি এলাকায় পাহাড় কেটে তৈরি করা আমানা পার্ক। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৯ জুন, ২০২৫ ১১:৩১
আনোয়ারা ও বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
    • বনবিভাগ-উপজেলা প্রশাসন বলছেন জানে না • ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে পার্ক তৈরির কথা বলছেন পার্ক উদ্যোক্তা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পাহাড়ি টিলা কেটে প্রায় ১ একর জায়গাজুড়ে স্থাপিত হয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন পার্ক। বাঁশখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর জলদি এলাকায় স্থাপিত এই পার্কটির নামকরণ করা হয়েছে ‘আমানা পার্ক’। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে পাহাড়ি টিলার সঙ্গে প্রায় ৫ হাজার গাছ কেটে ওই পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ার বাজার থেকে পূর্বপাশে ২ কিলোমিটারের মধ্যেই চোখে পড়ে পাহাড়ি অঞ্চল। মিয়ার বাজার থেকে দুর্গম পথ ধরে পৌঁছাতে হয় সেই পার্কে। বর্ষায় যাতায়াতের রাস্তা চলার অযোগ্য হয়ে ওঠায় দর্শনার্থী তেমন চোখে পড়েনি। যে কয়জন চোখে পড়ল দম্পতি কিংবা জুটি বেঁধে আসা তরুণ-তরুণী। প্রবেশ মুখেই টিকেট কাউন্টার, প্রতি টিকিটের প্রবেশ মূল্য নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। টিলায় উঠার জন্য দৃষ্টিনন্দন সিড়ি করে দেওয়া হয়েছে। টিলার ওপরে বন্য পশুর আদলে গড়ে তোলা হয়েছে ভাস্কর্য। দর্শনার্থীদের বসার জন্য তৈরি করা হয়েছে কংক্রিটের আসন। আয়োজন বলতে এইটুকুই।

স্থানীয়রা জানান, ‘২০২৪ সালের শুরুর দিকে ওই স্থানে টিলা কেটে পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ১ বছর পর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে এটি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, চারপাশে বনাঞ্চল বেস্টিত পার্কটির জায়গায় এক সময় গাছ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারাও দাবি করেছেন, উক্ত জায়গায় প্রায় ৫ হাজারের মত বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি ছিল। স্বাভাবিকভাবে এই পাহাড়ি টিলা বনবিভাগের জায়গা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পার্কটির উদ্যোক্তা মোহাম্মদ মুমিন বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে আমি এই পার্ক স্থাপণ করেছি। এটি আমার মালিকানাধীন জায়গা। আমি গাছপালা ও পাহাড় কাটিনি। উপজেলা প্রশাসন কিংবা বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে এই স্থাপনা করেছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি এবং প্রতিবেদককে কোন প্রকার অনুমতি পত্র তিনি দেখাতে পারেননি।

কলেজ পড়ুয়া এনামুল হক নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘পার্কে উঠতি বয়সি ছেলেমেয়েদের আনাগোনা বেশি, আর ইউটিউবার-টিকটকার যায়। পার্ক হওয়ার মত কিংবা অবলোকন করার মত কিছুই তো নেই সেখানে। শুধু পাহাড়ের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এটি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এমন একটা জায়গায় পার্ক করার অনুমতি কীভাবে পেল? পাহাড়ের মোহনীয়তা তো প্রকৃতির দান এর বাইরে আর কিছু নেই।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ‘পাহাড় কেটে পার্ক তৈরি করা এটি তো আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয় প্রশাসনকে হাইকোর্ট থেকেও নির্দেশ দেওয়া আছে, পাহাড় ও গাছ কাটলে কঠোর আইণানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এরপরও যদি পাহাড় কাটা হয়, গাছ কাটা হয় তাহলে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হল। এসব কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

কলেজ শিক্ষক নুরুল মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘বন বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসনের অবহেলার সুযোগে একের পর এক পাহাড় বন ধ্বংস হচ্ছে। বাঁশখালীর একাধিক জায়গায় ভূমিদস্যুরা পাহাড় ও বনভূমি উজাড় করলেও উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগ এ বিষয়ে কখনোই পদক্ষেপ নেয় না।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। জায়গা যদি ব্যক্তিমালিকানাধীন হয়, তবে এটি উপজেলা প্রশাসন দেখার কথা। যদি বন বিভাগের জায়গা হয় সেক্ষেত্রে বিষয়টা বন বিভাগ দেখবে।’

এ বিষয়ে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জলদি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, ‘বন অধিদপ্তর থেকে কোন প্রকার অনুমতি গ্রহণ করা হয়নি। তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্ষার পর জরিপ করে সীমানা চিহ্নিত করা হবে। সেখানে বন বিভাগের জায়গা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বাঁশখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বনাঞ্চলের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে লোকালয়ে হাতির আনাগোনা বেড়ে যায় এবং অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের বনাঞ্চলের পরিবেশ ক্ষুন্ন হয় এমন ঘটনা চলমান থাকলে সামনে আরও বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশেদুল আলম বলেন, ‘আমি বাঁশখালীতে যোগদানের আগেই এটি তৈরি করা হয়েছে। পার্কটির সম্পর্কে গতকালকে আমি অবগত হলাম। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গা হলেও ব্যবসায়িক উদ্দেশে সেখানে স্থাপনা করলে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতির একটি ব্যাপার-স্যাপার থাকে। আমি আরও খোঁজখবর নিয়ে দেখতেছি।’


লিবিয়া থেকে ১৫৮ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

লিবিয়ার তাজোরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক কাগজপত্রবিহীন ১৫৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গত মঙ্গলবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইট (ইউজে ০২২২) তাদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি যৌথভাবে সমন্বয় করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধিকাংশ বাংলাদেশি সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর উদ্দেশে অনিবন্ধিতভাবে/ অবৈধভাবে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন এবং মানবপাচারকারীদের দ্বারা অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।

ঢাকায় বিমানবন্দরে সরকার এবং আইেএমের প্রতিনিধি দল ফেরত আসা ব্যক্তিদের স্বাগত জানান। প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, খাদ্যসামগ্রী, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী আশ্রয় প্রদান করা হয়।

সরকারি কর্মকর্তারা এই ধরনের বিপজ্জনক যাত্রা থেকে বিরত থাকার জন্য অভিবাসী ও সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


মিরপুরে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই

মাইক্রোর সূত্র ধরে গ্রেপ্তার ৬
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে মানি এক্সচেঞ্জে ব্যবসায়ীর ২২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর আসামিদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সূত্র ধরেই অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-চক্রের হোতা মো. জলিল মোল্লা (৫২), মো. জাফর (৩৩), মোস্তাফিজুর রহমান (৪০), সৈকত হোসেন ওরফে দিপু মৃধা (৫২), মো. সোহাগ হাসান (৩৪) ও পলাশ আহমেদ (২৬)। এ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, তিনটি মোটরসাইকেল, পিস্তল, গুলি, জাল টাকা ও লুণ্ঠিত টাকা-বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়েছে।

পেশাদার চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে আসছিল। চক্রটি দীর্ঘদিন মানি এক্সচেঞ্জের মালিকের ওপর নজরদারি করে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর মিন্টুরোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যুগ্ম-কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাহমুদ মানি এক্সচেঞ্জের মালিক রাসেল ও তার ভগ্নিপতি জাহিদুল হক চৌধুরী মিরপুর-১১ সি-ব্লকের বাসা থেকে ২১ লাখ টাকা ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নিয়ে হেঁটে মিরপুর-১০ নম্বরের অফিসে যাচ্ছিলেন। শেরে বাংলা স্টেডিয়াম ও ফায়ার সার্ভিসের মাঝামাঝি গলির মুখে পৌঁছালে মোটরসাইকেলযোগে ওত পেতে থাকা ৭ থেকে ৮ জন মুখোশধারী ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। তাদের একজন পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে আরেকজন গুলি ছোড়ে এবং একজন ধারালো চাপাতি দিয়ে জাহিদুলের কোমরে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুল রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। ডাকাতরা চারটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার ভিডিও একজন পথচারী মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় আহত জাহিদুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। ঘটনার পরপরই ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে ডিবির একাধিক টিম মাঠে নামে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিবি প্রথমে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস শনাক্ত করে। মাইক্রোবাসের চালক জাফরকে (৩৩) গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাফর ছিনতাইয়ের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে তথ্য বিশ্লেষণ করে একযোগে ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ ও যশোরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারী জলিল মোল্লাসহ চক্রের আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতির ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা, ১০৬টি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, ২ লাখ ১২ হাজার টাকার জাল নোট, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি চাপাতি এবং তিনটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এ চক্র আগেও ভয়াবহ কয়েকটি ঘটনায় জড়িত ছিল। গত ২৪ জানুয়ারি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গুলি করে ৫০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই এবং ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে গুলি চালিয়ে ৫২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এ চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামিরা।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতি চালাতে এ চক্র আধুনিক প্রযুক্তি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন ছদ্মবেশে কার্যক্রম পরিচালনা করতো। বাকি অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত সম্পদ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে যুগ্ম-কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।


banner close