রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে দীপু চাকমা (২২) ও শান্তি জীবন চাকমা (২০) নামের দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। বুধবার হ্রদের পৃথক এলাকায় মরদেহ দুটি পাওয়া যায়।
দীপু চাকমা নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের গোলসাছড়ি গ্রামের শান্তি লাল চাকমার ছেলে। আর শান্তি জীবন চাকমার বাড়ি জেলা সদরের জীবতলী ইউনিয়নের বাকছড়ি এলাকায়। তিনি হ্রদে রবি মোহন চাকমার নৌকার জেলে হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাতে দীপু চাকমা নানিয়ারচর বাজার থেকে নৌকাযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু সারারাত বাড়িতে না পৌঁছালে পরিবারের লোকজন বুধবার সকাল থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ডুবুরি দল নদী থেকে দীপু চাকমার মরদেহ উদ্ধার করে।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন হালদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হবে।
অপরদিকে সকালে জেলা সদরের বালুখালী ইউনিয়নের আমতলী এলাকার কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে নেমে তলিয়ে যান শান্তি জীবন চাকমা। পরে অন্য জেলেদের সংবাদের ভিত্তিতে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাকে হ্রদের পানিতে খুঁজতে থাকে। বিকেলে তাকে হ্রদ থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার আমতলী বন্দর কালিবাড়ী এলাকায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী মরিয়ম (১২) ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কালিবাড়ী এলাকার আজিজ মোল্লার মেয়ে মরিয়ম। সে আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়াশুনা করত। বৃহস্পতিবার রাতে মরিয়ম তার ঘরে ঘুমাতে যায়। আজ শুক্রবার সকালে তার মা নাজমা বেগম ঘুম থেকে জাগানোর জন্য ডাকাডাকি করে। মেয়ের কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়।
ছাত্রীর বাবা আজিজ মোল্লা বলেন, ‘কি কারনে আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে তা আমি জানিনা।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
আগামীকাল আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৩২তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে সম্মিলিত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯(১) নম্বর অনুচ্ছেদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ দেশের সকল নাগরিকের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করেছেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতাহারেও প্রতিবন্ধী জনগণের জীবনমান উন্নয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে সরকার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ন্যায় বহুবিধ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিবন্ধী ও অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদানে দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় মোট ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় থেরাপিউটিক সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে ৪৫টি ভ্রাম্যমাণ মোবাইল রিহ্যাবিলিটেশন থেরাপি ভ্যান কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার পথ অবারিত করতে সারাদেশ ৭৪টি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও ১২টি স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে ঢাকার মিরপুরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স (সুবর্ণ ভবন) নির্মাণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে অনুপ্রাণিত করতে প্রায় ৪৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা জেলার সাভারে একটি আন্তর্জাতিকমানের ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় আনা ও দেশের উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত করে তাদের জীবনমান উন্নয়ন, সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন, ২০২৩ একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশনে পাস হয়েছে। ফলে, একদিকে যেমন ২০৩০ সাল নাগাদ জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের অবস্থান থেকে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে সক্ষম হবো বলে আমি প্রত্যাশা করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের সার্বিক উন্নয়নে আমি সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের জনগণ, সংশ্লিষ্ট সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত কর্মপ্রয়াসে সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এদেশকে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব, ইনশাল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রী ৩২তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
নাটোরের বড়াইগ্রামে মামা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরের পানিতে ডুবে জুবাইরা খাতুন নামে আট বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত জুবাইরা ঢাকার মিরপুর পল্লবী এলাকার সোহেল রানার মেয়ে।
বনপাড়া আমিনা হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. আনছারুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আনছারুল হক জানান, নিহত জুবাইয়রা তার আপন বোন ফাহমিদা রুবির মেয়ে। কিছুদিন আগে তার বোন ও ভাগনি ঢাকা থেকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। শিশু জুবাইরা কিছুটা শারিরীক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ছিলো। শনিবার সকালে সে গৃহকর্মীর সাথে বাড়ির পেছনে পুকুর পাড়ে যায়। সেখানে তাকে বসিয়ে রেখে ঘরে ফিরে আসে গৃহকর্মী। কিছুক্ষণ পর ফিরে গিয়ে তাকে খুঁজে পাননি। পরে পুকুরে জুবাইরার মরদেহ ভেসে উঠে। জুবাইয়রা মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকার পল্লবীতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।
চলমান উন্নয়নকাজ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) এলাকার মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
শনিবার সকালে মসিকের ১, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে চলমান বিভিন্ন উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নির্দেশ দেন তিনি।
পরিদর্শনকালে চলমান উন্নয়নকাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করতে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নির্দেশ দেন মেয়র।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্নে ময়মনসিংবাসীকে সিটি কর্পোরেশন উপহার দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তারপরও কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।’
এ সময় মেয়র চলমান উন্নয়ন প্রসঙ্গে নাগরিকদের মতামত গ্রহণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নগরের উন্নয়ন এবং নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও জীবনমানের উন্নয়নের জন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প দিয়েছেন। চলমান উন্নয়নকাজ যেন মানসম্মতভাবে এবং দ্রুত সম্পন্ন হয় সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।এছাড়াও ঠিকাদাররা যেন নিয়মিত কাজ করে এজন্য কাজের অগ্রগতির হালনাগাদ তথ্য নিয়মিত উপস্থাপনের নির্দেশ দেন মেয়র।’
এ সময় ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান বাবু, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সেলিনা আক্তার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহুরুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ ও জীবনকৃষ্ণ সরকার, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
মসিক সূত্র জানায়, মসিকের সড়ক ও ড্রেনজ অবকাঠামো নির্মাণ ও নাগরিকসেবা উন্নতকরণে এক হাজার ৫৭৫ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় ওই তিনটি ওয়ার্ডে বর্তমানে প্রায় ৯০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু ও নারীসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাত অবধি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আহতের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে ১২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তবে একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চিকিৎসক সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত কয়েকজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বলে জানা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সমরজিৎ সিংহ।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এ দুই দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিশু সহ কমপক্ষে ১৫ জনকে কামড়িয়ে আহত করেছে একটি কুকুর। শুক্রবার রাতে উপজেলার এম এ মুমীত আসুক চত্বরের টায়ার ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর হোসেন তার দোকানে কাজ করেছিলেন। হঠাৎ করে কুকুরটি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে আক্রমন করে গলায় কামড় বসিয়ে দেয়।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এছাড়াও ওই কুকুরের কামড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মানুষের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গবাদিপশুও ওই কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কুকুরের কামড়ে আহতের খবরে বেশ কয়েকটি গ্রাম জুড়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে শুক্রবার বিকাল থেকে রাত অবধি উপজেলার এম এ মুমীত আসুক চত্বর এলাকায় যুবকরা লাঠি, কোচা নিয়ে কুকুর টি ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এদিকে চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়লে রাত ১১ টার দিকে বেশ কয়েকজন যুবক মিলে কুকুর টি আটক করে। এসময় আরো কয়েকজন আহত হয়। পরে কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কুকুরের কামড়ে আহত বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওই কুকুরের কামড়ে আমাদের একজন ব্যবসায়ী আহত হয়ে বর্তমানে সিলেটে চিকিৎসাধীন আছে।’
সমরজিৎ সিংহ বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশুসহ প্রায় ১২ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।’
স্কুল নাকি পুলিশ ক্যাম্প, ভেতরে গেলে ভ্রম হতে বাধ্য। বিদেশি অনুদানপ্রাপ্ত সাইক্লোন সেল্টারটি তৃতীয় তলা বিশিষ্ট হলেও নিচের তলাটা দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য উন্মুক্ত। অবশিষ্ট আছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা। তৃতীয় তলা পুরোটাই পুলিশ ক্যাম্পের দখলে। দ্বিতীয় তলায় শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের পূর্ব কন্যারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।
শিশুদের স্বভাবজাত চপলতা এখানে নেই। কেমন যেন মনমরা মনমরা ভাব। দুই-একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে কারণটা জানা গেল।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তন্বিমা দে বলল, ‘স্কুলে খুব ভয় লাগে, আমরা খেলতে পারি না। একটু হইচই হলে উনারা বকা দেয়। আর উনারা হঠাৎ হঠাৎ এমন ভাবে নামধাম জিজ্ঞাসা করেন, গলার পানি শুকিয়ে যায়। বিভিন্ন সময় লজেন্স দিতে চায়, আমরা নিব না বললে বেঁধে নিয়ে যাবে বলে ভয় দেখান।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুমাশ্রী মল্লিক বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে বারান্দায় চট পেতে বসে পাঠদান করছি। তিনটি কক্ষে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করতে হচ্ছে, তাই বাধ্য হয়ে বারান্দায় পাঠদান চলছে। পুলিশ ক্যাম্পে রান্না-বান্না করে উচ্ছিষ্ট জানালা দিয়ে নিক্ষেপ করার ফলে চারপাশে নোংরা ও মশার উপদ্রব বেড়েছে। গ্রামাঞ্চলেও দিনের বেলায় মশার কামড় খেতে হয় শিশুদের।’
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, শিশুরা টিফিনের সময়ও শ্রেণিকক্ষে জড়সড় হয়ে বসে আছে। অথচ এ সময়টাতে বাচ্চাদের দাপিয়ে বেড়ানো, খেলাধুলায় মেতে থাকার কথা।
তৃতীয় তলায় দেখা গেল পুলিশ সদস্যদের কেউ ক্যারম খেলছেন, কেউ বসে ভাত খাচ্ছেন, আবার কেউ গল্প করছেন। চারপাশে সিগারেটের খালি প্যাকেট। রান্না ঘরের দেয়াল নোংরা। বাইরে থেকে রঙিন হলেও ভেতরের চিত্র ভিন্ন।
স্কুলের অভ্যন্তরে এ পরৈকোড়া পুলিশ ক্যাম্পের বিষয়ে ইনচার্জ এসআই কাজী দুলাল বলেন, ‘চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে প্রতি মাসের রোটেশনে আমরা দায়িত্ব পালন করতে আসি এখানে। এখানে আমিসহ ১২ জন দায়িত্ব পালন করছি। কোনো সদস্য বাচ্চাদের ধমক দেয়া হয়নি কিংবা তাদের ভয় হয় এমন আচরণ আমাদের সদস্যরা করেননি। অতীতে কারা দায়িত্ব পালন করেছে, তারা আদৌ এমন কিছু করেছে কি না আমাদের জানা থাকার কথা নয়। আমরা ওসি মহোদয়ের নির্দেশনায় দৈনন্দিন দায়িত্ব পালন করি। কোনো ধরনের অভিযোগ থাকলে তা আমাদের ঊর্ধ্বতনকে জানাতে পারেন।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জসীম উদ্দীন বলেন, মাত্র চারটি কক্ষ নিয়ে অফিস, শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। পাশাপাশি বাচ্চাদের মধ্যে পুলিশ আতঙ্ক কাজ করছে। আপনি তো জানেন গ্রামের বাচ্চারা পুলিশ নামকেই ভয় পায়। সেখানে তাদের স্কুলেই পুলিশের বসবাস। এটা তাদের কোমল মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাদের স্বতঃস্ফূর্ততা কমে গেছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিজুল হক চৌধুরী বাবুল বলেন, বিষয়টি বিগত দুটি মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে উপস্থাপন করেছি। ইউএনও মহোদয় এ স্থান পরিদর্শন করেছেন। বাজারে একটি ভবন খালি আছে। আমরা সেখানে স্থানান্তরের সুপারিশ করেছি। আশা করছি একটা সমাধান হবে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সানাউল্লাহ কাউছার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাচনের পরপর এটি সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস পেয়েছি।’
এ ব্যাপারে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, ‘স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য ১৯৯৫ সালে এখানে ক্যাম্প স্থাপিত হয়, কখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। যেহেতু বিষয়টা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন, তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইউএনও মহোদয়ের পরামর্শে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে শিগগির।’
কুমিল্লায় ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে কুমিল্লায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া একটি মসজিদের দেয়ালে ফাটল ধরেছে বলে জানা গেছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, ভূমিকম্পের সময় দৌড়াদৌড়ি করে বের হতে গিয়ে ইপিজেডের তিনজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্মস্থলে ফিরে গেছেন। একজন ভর্তি আছেন। এছাড়া সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে এক ছাত্রী পা ভেঙ্গে গেছে। তার চিকিৎসা চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা জানান, উপজেলার মীরশ্বানি এলাকায় ভূমিকম্পের সময় দৌড়াদৌড়ি করে বের হতে গিয়ে একটি গার্মেন্টসের ১৭ জন শ্রমিক আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ভুইয়া জানান, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তর স্থল ছিল কুমিল্লা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে।
শনিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে অধিদপ্তরের ভূমিকম্প কেন্দ্র থেকে ৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর উৎপত্তিস্থল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১৫১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগসহ ২২টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এসব মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ সময় অনেক প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শোডাউন করেছেন।
রিটার্নিং অফিসার সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে ৮ জন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ১৪, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ১০, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে ৯, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ১০, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে ৫, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে ৭, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালি-চান্দগাঁও) আসনে ১৩, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে ৭, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে ১২, চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে ৯, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ১০, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে ৭, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে ৮, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে ৯ ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
চট্টগ্রামের সব আসনে প্রার্থী রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১৫টি আসনে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ১১টি, তৃণমূল বিএনপি ১০টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৯টি, বিএনএফ ৬টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ৫টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি ৪টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ২টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, গণফোরাম, বিএনএম ও খেলাফত আন্দোলন ১টি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আসনে বেশ কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল ইসলাম ও আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-১ আসনে মাহবুব-উর রহমান (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন (স্বতন্ত্র), দিলীপ বড়ুয়া (বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল), মো. আবদুল মন্নান (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. নুরুল করিম আফছার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ), মো. ইউসুফ (বিএনএফ), মো. এমদাদ হোসেন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।
চট্টগ্রাম-২ আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (আওয়ামী লীগ), ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মোহাম্মদ গোলাম নওশের আলী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ শাহজাহান (স্বতন্ত্র), রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (স্বতন্ত্র), মাজাহারুল হক শাহ চৌধুরী (বিকল্পধারা বাংলাদেশ), মো. শফিউল আজম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট) ও এম এ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট)।
চট্টগ্রাম-৩ আসনে মাহফুজুর রহমান মিতা (আওয়ামী লীগ), নুরুল আক্তার (জাসদ), মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), এম এ ছালাম (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ উল্লাহ খান (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মো. মোকতাদের আজাদ খান (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), মো. আবদুর রহিম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. নিজাম উদ্দিন নাছির (জাকের পার্টি), আমিন রসুল (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট)।
চট্টগ্রাম-৪ আসনে এস এম আল মামুন (আওয়ামী লীগ), দিদারুল আলম (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ ইমরান (স্বতন্ত্র), মো. দিদারুল কবির (জাতীয় পার্টি), মো. আকতার হোসেন (বিএনএফ), খোকন চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. সালাউদ্দিন (স্বতন্ত্র)।
চট্টগ্রাম-৫ আসনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কাজী মহসীন চৌধুরী (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম (স্বতন্ত্র), সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (কল্যাণ পার্টি), মো. নাজিম উদ্দিন (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম), আবু মোহাম্মদ শামশুদ্দীন (বিএনএফ)।
চট্টগ্রাম-৬ আসনে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), স ম জাফর উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), শফিউল আজম (স্বতন্ত্র), মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), মো. সফিক উল আলম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।
চট্টগ্রাম-৭ আসনে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), মো. মোরশেদ আলম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), আহমেদ রেজা (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), খোরশেদ আলম (তৃণমূল বিএনপি), মুছা আহমেদ রানা (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।
চট্টগ্রাম-৮ আসনে নোমান আল মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), আবদুচ ছালাম (স্বতন্ত্র), সোলায়মান আলম শেঠ (জাতীয় পার্টি), মো. আরশেদুল আলম বাচ্চু (এনপিপি), বিজয় কুমার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এস এম আবুল কালাম আজাদ (বিএনএফ), সন্তোষ শর্মা (তৃণমূল বিএনপি), মোহাম্মদ ইলিয়াছ (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), সৈয়দ মো. ফরিদ উদ্দিন (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. কামাল পাশা (এপিপি), আবদুল নবী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মহিবুল রহমান বুলবুল (স্বতন্ত্র), মনজুর হোসেন বাদল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।
চট্টগ্রাম-৯ আসনে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (আওয়ামী লীগ), মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মিটুল দাশগুপ্ত (ন্যাপ), সৈয়দ আবু আজম (ইসলামী ফ্রন্ট), মুহাম্মদ নুরুল হুসাইন (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), সুজিত সরকার (তৃণমূল বিএনপি), সানজীদ রশীদ চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।
চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু (আওয়ামী লীগ), সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম (স্বতন্ত্র), ফরিদ মাহমুদ (স্বতন্ত্র), মো. ফেরদৌস রশিদ (তৃণমূল বিএনপি), মো. ওসমান গণি (স্বতন্ত্র), মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), ও মিজানুর রহমান (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট), জহুরুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), মো. আনিসুর রহমান (জাসদ), মঞ্জুরুল ইসলাম (বিএনএফ), মো. ফয়সাল আমিন (স্বতন্ত্র)।
চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম আবদুল লতিফ (আওয়ামী লীগ), মো. জসিম উদ্দিন (জাসদ), আবুল বসার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. মহিউদ্দিন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), জিয়াউল হক সুমন (স্বতন্ত্র), দীপক কুমার পালিত (তৃণমূল বিএনপি), রেখা আলম চৌধুরী (স্বতন্ত্র), নারায়ণ রক্ষিত (এনপিপি), উজ্জ্বল ভৌমিক (গণফোরাম)।
চট্টগ্রাম-১২ আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), সামশুল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মো. গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এম এয়াকুব আলী (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএসএম), মো. নুরুচ্ছফা সরকার (জাতীয় পার্টি), মো. ইলিয়াছ মিয়া (স্বতন্ত্র), এম এ মতিন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), কাজী মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), রাজীব চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), সৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।
চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (আওয়ামী লীগ), সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মোহাম্মদ আরিফ মঈনু উদ্দীন (সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি), আবদুর রব চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মৌলভী রশিদুল হক (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো. আবুল হোসাইন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মকবুল আহম্মদ চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি)।
চট্টগ্রাম-১৪ আসনে মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), মো. আবদুল জব্বার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আবুল হোছাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. গোলাম ইসহাক খান (বিএনএফ), মোহাম্মদ আয়ুব (সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি), আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ (জাতীয় পার্টি), মোহাম্মদ আলী ফারুকী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।
চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী (আওয়ামী লীগ), আবদুল মোতালেব (স্বতন্ত্র), আ ম ম মিনহাজুর রহমান (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ ছালেম (জাতীয় পার্টি), ফজলুল হক (এনপিপি), মো. সোলাইমান কাশেমী (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), মোহাম্মদ হারুণ (ইসলামিক ঐক্যজোট), মো. জসীম উদ্দিন (মুক্তিজোট), মুহাম্মদ আলী হোসাইন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।
চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান (আওয়ামী লীগ), মুজিবুর রহমান সিআইপি (স্বতন্ত্র), মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মো. খালেকুজ্জামান (স্বতন্ত্র), আব্দুল্লাহ কবির (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ এমরানুল হক (স্বতন্ত্র), মুহাম্মদ মামুন আবছার (এনপিপি), আবদুল মালেক (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. মহিউল আলম চৌধুরী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), কামাল মোস্তফা চৌধুরী (জাসদ), আশীষ কুমার শীল (ন্যাপ), এম জিল্লুর করিম শরীফি (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. শফকত হোসাইন চাটগামী (ইসলামী ঐক্য জোট)।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মিয়াজী টি.এইচ. মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় সিজারিয়ান অপারেশনে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও রোগীর স্বজনরা শনিবার ( ১ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়ে কর্মরত স্টাফদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।তবে ঘটনার পর পর ডাক্তার ও হাসপাতালটির ম্যানেজার কৌশলে সটকে পড়ে।
মারা যাওয়া ঐ প্রসূতির নাম নিপা আক্তার (২৬)। সে ভবেরচর এলাকার মো.শামীমের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
গজারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এটিএম আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত প্রসূতির স্বজনরা জানায়, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে তাকে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মিয়াজী টি.এইচ. মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে ডা. রাজিয়া বেগমের তত্ত্বাবধানে প্রসূতি নিপার সিজারিয়ান অপারেশন শুরু হয়। অপারেশন শুরুর ১০-১৫ মিনিট পরে তাদের জানানো হয় মেয়ে বাচ্চা হয়েছে, বাচ্চার অবস্থা ভালো। কিন্তু দীর্ঘ দুই ঘণ্টা পরও নিপাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করায় তাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পরে তাদের জানানো হয় বাচ্চার মায়ের অবস্থা খারাপ তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে হবে। এসময় নিপার নিথর দেহ তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তারা তড়িঘড়ি করে তাকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার প্রো-একটিভ মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সেখান তাদের জানানো হয় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে অনেক আগেই নিপার মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টা সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে ডাঃ রাজিয়া বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ' রোগীর আগ থেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ছিল আমি অপারেশন করার পরে বিষয়টি ধরতে পেরেছি। আমি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠিয়ে দিতে বলেছিলাম। এখানে আমার কোন অবহেলা ছিল না'।
আক্তারুজ্জামান বলেন, নিহতের স্বজনরা থানায় এসেছেন। এ বিষয়ে গজারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, হাসপাতাল পরিচালনায় অব্যবস্থাপনা, ডাক্তারের বদলে নার্স দিয়ে অপারেশন করা, রোগীদের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এর আগেও ২০২০সালের ১৯ জুলাই এই হাসপাতালে ডাক্তারের বদলে নার্স দিয়ে অপারেশন করার কারণে পুরান বাউশিয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর সন্তান সম্ভবা স্ত্রী খাদিজা আক্তারের (৩০) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সে সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে, যেটির উৎপত্তিস্থল ছিল লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে অধিদপ্তরের ভূমিকম্প কেন্দ্র থেকে ৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ছিল এর উৎপত্তিস্থল ছিল।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, বাংলাদেশের রামগঞ্জের আট কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, ভূমিকম্পটি বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
অন্তত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হওয়া এই ভূমিকম্পে রাজধানীবাসী অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
চালু হলো জামালপুরবাসীর বহু কাঙ্ক্ষিত ট্রেন জামালপুর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ট্রেন। শুক্রবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর এ ট্রেনটি।
জানা গেছে, বিজয় এক্সপ্রেস জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন। এর আগে এটি ময়মনসিংহবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রা শুরু করে। জামালপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনে রেল কর্তৃপক্ষ এ ট্রেনের রুট বর্ধিত করে জামালপুর-চট্টগ্রাম পর্যন্ত চালু করেছে।
৩৪০ কিলোমিটার দূরত্বের এ রুটে কয়েকটি শ্রেণিতে যথারীতি শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার, এসি কেবিন ও নন এসি কেবিন সংবলিত ট্রেনের সর্বনিম্ন শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ এসি কেবিনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা। এ ট্রেনে জামালপুর থেকে ২১৭টি টিকিট বরাদ্দ রয়েছে।
প্রতিদিন রাত ৮টা ১০ মিনিটে জামালপুর রেলওয়ে জংশন থেকে ছেড়ে গিয়ে পিয়ারপুর, ময়মনসিংহ, গৌরীপুর, আঠারবাড়ি, কিশোরগঞ্জ, সরারচর, ভৈরব, আখাউড়া, কুমিল্লা, লাকসাম, ফেনী, ভাটিয়ারী যাত্রাবিরতি শেষে ভোর ৫টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে জংশনে পৌঁছাবে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে জামালপুরে পৌঁছার কথা রয়েছে। সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার বাদে ৬ দিন নিয়মিতভাবে এ রুটে যাতায়াত করবে এ ট্রেন।
জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. উজ্জ্বল শেখ বলেন, চলতি মাসের ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (এফ) (পূর্ব) কামাল আক্তার হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ওয়ার্কিং টাইম টেবিল-৫৩ আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। সেখানে বিজয় এক্সপ্রেসের স্টার্টিং পয়েন্ট ময়মনসিংহের পরিবর্তে জামালপুর করা হয়েছে। বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ায় চালু হয়েছে।
জামালপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রিজের সহসভাপতি ইকরামুল হক নবীন বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো জামালপুর জেলা। বিশেষ করে কৃষি শিল্প-বাণিজ্য, বিপণনসহ নানা ক্ষেত্রে দেশের অন্য যেকোনো জেলার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হওয়ায় জামালপুর থেকে এখন দ্রুত সময়ে পণ্য আনা-নেয়ার পাশাপাশি অর্থ সাশ্রয় হবে এবং ভোগান্তিও কমবে।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকের ভেতর ৮হাজার পিস ইয়াবা লুকিয়ে পাচার করার সময় মো. ওসমান (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ডুলাহাজারা রিংভং এলাকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে তল্লাশিকালে এই ইয়াবা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত মো. ওসমান মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওসমান জানায়, ১০ হাজার টাকার জন্য কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে ৮হাজার পিস ইয়াবা মহেশখালীতে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গ্রেফতার মো. ওসমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ব্যবসার সঙ্গে আরও কারা জড়িত তাদেরও খুঁজে বের করা হবে। আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি থানায় জব্দ করা হয়েছে।’
প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে রাজধানীর ডেমরার পশ্চিম বক্স নগরে একটি বাসায় ফাঁস দিয়ে রোজি আফসানা রিমা (২৪) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তিনি এই উদ্যোগ নেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রোজির মা আসমা বেগম জানান, আমার মেয়ের জামাই নয়ন মিয়ার সঙ্গে রোজির বিয়ে হয় আরও ১১বছর আগে। ৬মাস আগে নয়ন এক দালালের মাধ্যমে সৌদিতে কাজে যায়। সেখানে কোন কাজ না পেলে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে থাকত সে। এ সকল বিষয় নিয়ে আজ তিন দিন ধরে তাদের ভেতর কথা হচ্ছিল। আজ দুপুরে নয়ন ফোন করে বলে ‘আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও আমি দেশে চলে আসব’ এ সকল বিষয় নিয়ে আজ দুজনার ভেতর কথা কাটাকাটি হয়। রোজি ফোন কেটে দিয়ে ঘরে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় লাগিয়ে ঝুলে পড়ে। আমরা টের পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের মা আরও জানান, এলাকায় শাহিন নামে এক দালালের বুদ্ধিতে জমি বিক্রি করে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে ছয় মাস আগে সৌদিতে কাজে যান নয়ন। সেখানে কথা অনুযায়ী দালালের কোন লোক কাজ না দেয়ায় তারা ধরে নয়ে কোম্পানিটি ভুয়া। এভাবে এলাকা থেকে আরও আট জন যুবক একই দালালের মাধ্যমে সৌদিতে গেলে তাদেরও একই অবস্থা হয়।
ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ডেমরা থেকে গৃহবধূকে অচেতন অবস্থা ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকত তাকে মৃত বলে জানান। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ডেমরা থানাকে জানানো হয়েছে।’