বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য বাংলাদেশ

জাতিসংঘে মানবাধিকার কাউন্সিলের ভোটে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক পেজ থেকে
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০২২ ২২:৪২

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচসিআর) ২০২৩-২৫ মেয়াদের কমিটিতে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অনুষ্ঠিত ভোটে এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপে ১৮৯ ভোটের মধ্যে এককভাবে সর্বোচ্চ ১৬০টি ভোট পেয়ে বাংলাদেশ এই সদস্যপদ পেয়েছে। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ নিয়ে বাংলাদেশ পঞ্চমবারের মতো ৪৭ সদস্যের ইউএনএইচসিআরের সদস্য নির্বাচিত হলো। এর আগে, ২০০৬ সাল, ২০০৯ সাল, ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালে ইউএনএইচসিআর নির্বাচনেও বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ২০২৩-২৫ মেয়াদে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ চারটি সদস্যপদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সাতটি দেশ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০টি ভোট পেয়ে বাংলাদেশ নিজেদের স্থান সুনিশ্চিত করেছে। ভোটে জয়ী বাকি দেশ তিনটি হলো— মালদ্বীপ (১৫৪ ভোট, ভিয়েতনাম (১৪৫ ভোট) ও কিরগিজিস্তান (১২৬ ভোট)।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদের জন্য আগ্রহী বাকি তিনটি দেশের মধ্যে বাহরাইন কয়েকদিন আগের তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়। নির্বাচনে ১২৩ ভোট কোরিয়া প্রজাতন্ত্র ১২৩ ভোট ও আফগানিস্তান মাত্র ১২ ভোট পেয়ে এই নির্বাচনে হেরে গেছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। ছবি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম । ছবি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক পেজ থেকে

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনের এমন ফলাফল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার সুরক্ষা ও একে সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টা ও প্রতিশ্রুতির প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতিস্বরূপ। গত কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশে ও দেশের বাইরে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে যে মিথ্যাচার ও বানোয়াট প্রচারণা চালানো হচ্ছে, সেসব অভিযোগকেও নাকচ করে দেয় এই ভোটের ফলাফল। গোটা জাতির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই অসামান্য জয় উদযাপনে সামিল।

মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলছে, জাতিসংঘের একটি দায়িত্বশীল সদস্য দেশ এবং মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ আগামী তিন বছরেও মানবাধিকার সুরক্ষা ও সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়ে যাবে।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এই নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।


কামরুজ্জামানকে ভুলে গেছে জামায়াত: ডা. প্রিয়াঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

বিএনপির মনোনীত সর্ব কনিষ্ঠ এমপি প্রার্থী, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেত্রী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের মা, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও জাতীয় ঐক্যের প্রতিক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর অন্যায়ভাবে জুলুম নির্যাতন করায় এবং চিকিৎসা করতে না দেয়ায়, আজ তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আমরা আমাদের মায়ের রোগমুক্তির জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’

তিনি আরও বলেন, শেরপুর-১ আসনে এর আগে চারদলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন মরহুম কামারুজ্জামান চাচা। তিনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। তার ফাঁসি দেয়া নিয়ে সত্য-মিথ্যার বেড়াজাল রয়েছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী বিষয়টি নিয়ে কিছু বলছে না। তারা কামারুজ্জামান চাচাকে ভুলেই গেছে। আমি এমপি হতে পারলে কামরুজ্জামান চাচার স্বপ্ন চক্ষু হাসপাতালসহ সবগুলো পূরণ করার চেষ্টা করব। তিনি আরও বলেন উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকাগুলোতে অবশ্যই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করব। ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা ২ ও ৩ ডিসেম্বর শেরপুর পৌরসভার তাতালপুর এবং নওহাটা এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় শেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশীদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম স্বপন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ এমদাদুল হক মাস্টারসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


জামালপুরে দলিল লেখক সমিতির সভাপতির ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান নওশাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হামলার শিকার রাশেদুল হাসানের ছেলে তানভীর আল হাসান, স্ত্রী চামেলী আক্তার, ভাই এরশাদ হোসেন, জাহিদ হাসান জুয়েল, বোন নাদিয়া ইসলামসহ এলাকাবাসী।

এ সময় বক্তারা বলেন, গত ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের বুড়ির দোকান মোড় এলাকায় একদল সন্ত্রাসী রাশেদুল হাসানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় রাশেদুল হাসানের ছেলে তানভীর আল হাসান বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করে।

তানভীর আল হাসান বলেন, হত্যার উদ্দেশে আমার বাবার মাথায় একাধিক আঘাত করা হয়েছে। এখনো তিনি মৃত্যুশয্যায় হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এ ঘটনায় জামালপুর সদর থানার ওসি নাজমুস সাকিব বলেন, আজকের মানববন্ধনের মাধ্যমে ঘটনা জানতে পারলাম। আদালতের কোন আদেশ এখনো হাতে পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্মরণীয় দিন ছিল ৩ ডিসেম্বর

ঠাকুরগাঁওয়ে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

গৌরবময় মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সর্বস্তরের মানুষ। বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব মাঠে স্থাপিত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সংবলিত স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর দখল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয় সীমান্তবর্তী এই জেলা। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী লড়াই এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় শত্রুবাহিনীকে পরাজিত করে ঠাকুরগাঁওয়ে উড়ে যায় বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা।

ঐতিহাসিক এই দিনটিকে সকালে স্মরণ করে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সংবলিত স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। আলোচনা সভা, র্যালি, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলাজুড়ে পালিত হচ্ছে মুক্ত দিবস।

জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘৩ ডিসেম্বর কেবল একটি তারিখ নয় এটি ঠাকুরগাঁওবাসীর আত্মমর্যাদা গৌরব এবং স্বাধীনতার স্বাক্ষর। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এ দিনের গুরুত্ব অপরিসীম।’

দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বর্ণিলভাবে উদযাপিত হচ্ছে ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস, আর সর্বস্তরের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ ও গর্বের আবহ।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় জেলার ১০টি থানা মিলে ওই মহকুমা ছিল। এ অঞ্চলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণান্তকর লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয় আসে ৩ ডিসেম্বর এই দিনটিতে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদাররা ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের নিরীহ মানুষের ওপর। এ সময় হানাদাররা গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এরপর ১৫ এপ্রিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকবাহিনীর দখলে চলে যায় ঠাকুরগাঁও। ঠাকুরগাঁওয়ের ইসলামনগর থেকে ছাত্রনেতা আহাম্মদ আলী, ইয়াকুব আলী, মাজারুল, দবিরুল ইসলাম, নুরুজ্জামান ও সিরাজউদ্দীনকে ধরে এনে হানাদার বাহিনী ঠাকুরগাঁও ক্যাম্পে আটক করে রাখে। পরে তাদের হত্যা করে টাঙ্গন নদীর পাড়ে ফেলে রাখা হয়। যেখানে বর্তমানে বধ্যভূমি গড়ে তোলা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও তখন ছিল ৬ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার এম খাদেমুল বাশার। এ সেক্টরে প্রায় ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল। ২৯ নভেম্বর এ মহকুমার পঞ্চগড় থানা প্রথম শক্রমুক্ত হয়। পঞ্চগড় হাত ছাড়া হওয়ার পর হানাদার বাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। এরপর তারা প্রবেশ করে ঠাকুরগাঁওয়ে।

২ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচুর গোলাগুলি শুরু হয়। ওই রাতেই শক্রবাহিনী ঠাকুরগাঁও থেকে পিছু হটে ২৫ মাইল নামক স্থানে অবস্থান নেয়। ৩ ডিসেম্বর ভোরে ঠাকুরগাঁও শহর শক্রমুক্ত হয়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফাড়াবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধার বাবা শেখ শহর আলী ও তার ভাই শেখ বহর আলীসহ ১৯ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে হত্যা করে। তাদের মরদেহ আব্দুর রশিদ ডিগ্রি কলেজের পাশের একটি কূপে ফেলে দেয়। হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা গণহত্যা চালায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জাঠিভাঙ্গা গ্রামে। সেখানে স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় আশ-পাশের অনেক গ্রামের প্রায় ৩ হাজার নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে হানাদার বাহিনী গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। পরে তাদের মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয়। ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক স্থানে গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসররা।


সীমান্ত সুরক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির মতবিনিময়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

সীমান্ত অঞ্চলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বিজেপির মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পৃথক দুটি বিওপি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় তেঁতুলবাড়ীয়া বিওপি এলাকার তেঁতুলবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এবং রংমহল বিওপি এলাকার খাসমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পৃথক দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুটি সভাতেই স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানগুলো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি। তিনি তাঁর বক্তব্যে সীমান্ত সুরক্ষায় স্থানীয় জনগণের অপরিহার্য ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “সীমান্ত আইন মেনে চলা এবং যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবিকে জানানো প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।”তিনি আরও সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের আইনি জটিলতা, সামাজিক ক্ষতি এবং মাদক চোরাচালানের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করেন।

মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান কিভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে—তাও তিনি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। এসব অপরাধ থেকে দূরে থাকতে এবং অন্যদের সচেতন করতে তিনি স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানান।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, “এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিজিবি ও সাধারণ জনগণের পারস্পরিক সমন্বয় অপরিহার্য।”

সভা শেষে স্থানীয়রা বিজিবির এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং সীমান্ত সুরক্ষায় সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে মেহেরপুরের গাংনী সীমান্তের তেঁতুলবাড়ীয়া সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ, শিশুসহ ৩০ বাংলাদেশিকে ভোরে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।


অতিথি পাখির কলতানে মুখর রাউজানের পুকুর-দিঘি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রতি বছর শীতের শুরুতে আমাদের দেশে নাম না জানা রং-বেরঙের অনেক অতিথি পাখি বেড়াতে আসে। নদী, বিল, জলাশয় ও পুকুরে এসে ভরে যায় এসব পাখির কাকলিতে। তেমনি চট্টগ্রামের রাউজানে প্রতি বছরই একটা নির্দিষ্ট সময়ে এই পাখিদের আগমন দেখা যায়। হালদা নদী, ঈসা খাঁ দিঘি, পরীর দিঘি, ইউসুফ খাঁ দিঘি, নরসরত বাদশা দিঘি, জল পাইন্ন্যা দিঘি, রায় মুকুট দিঘি, ভিক্ষু ভানুপুর দিঘিসহ বড় আকৃতির জলাশয়গুলোতে এসব পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে এসে জলখেলিতে আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন। আমাদের দেশে অতিথি পাখিরা অতটা পথ পাড়ি না দিলেও তারা অনেক দূর থেকেই আসে। বরফ শুভ্র হিমালয় এবং হিমালয়ের ওপাশ থেকেই বেশির ভাগ অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এসব পাখিরা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তিব্বতের লাদাখ থেকে সেন্ট্রাল এশিয়ান ইন্ডিয়ান ফ্লাইওয়ে দিয়ে আমাদের দেশে প্রবেশ করে।

এছাড়া ইউরোপ, দূরপ্রাচ্য সাইবেরিয়া থেকেও এসব পাখি আসে। এরা কিছুদিন থাকার পর আবার ফিরে যায় নিজ দেশে। আগত অতিথি পাখিগুলো অনেক সময় শিকারির কাছে ধরা পড়ে। এটা ঘোরতর অপরাধ। এসব দুষ্কর্মে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে এ দেশে আসা পাখিদের মধ্যে রয়েছে- সোনাজঙ্গ, খুরুলে, কুনচুষী, বাতারণ, শাবাজ, জলপিপি, ল্যাঞ্জা, হরিয়াল, দুর্গা, টুনটুনি, রাজশকুন, লালবন মোরগ, তিলে ময়না, রামঘুঘু, জঙ্গী বটের, ধূসর বটের, হলদে খঞ্চনা, কুলাউ ইত্যাদি। রাউজান উপজেলা নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন পরিষদ-সংলগ্ন ঈসা খাঁ দিঘিতে কয়েক হাজার অতিথি পাখির দেখা গেছে। কিচিরমিচির শব্দে এই এলাকায় আনন্দঘন পরিবেশ পরিলক্ষিত হয়।

রাউজানের প্রতিটি জলাশয়, দিঘি, খাল, বিলে অতিথি পাখির বিচরণ দেখা যায়। প্রতি বছর শীত মৌসুমে ঈসা খাঁ দিঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আগত অতিথি পাখিগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নোয়াজিষপুর এলাকার সকল মানুষ আন্তরিকভাবে দেখভাল করে। এই এলাকার মানুষ অতিথি পাখি দেখতে এই দিঘিতে আসে। পাখিদের সাথে ছবি ধারণ করেন।

অপরদিকে ঈসা খাঁ দিঘি নানা মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আশ্রিত পাখিদের জলখেলি দেখতে পাখিপ্রেমীরা দিঘিতে আসেন বলে স্থানীয়রা জানান।

আর জলাশয়ের জলে নেমে স্নান, আবার ডানা মেলে আকাশে উড়ে বেড়ানো- এসব দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন স্থানীয় মানুষ ও দূর-দূরান্তের পাখিপ্রেমীরা ভিড় করছেন দিঘির পাড়ে। কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।

বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির পাখির অস্তিত্ব রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশে ৭১৪ প্রজাতি। এর মধ্যে প্রায় ৩২০ প্রজাতির অতিথি পাখি প্রতি বছর শীতে বাংলাদেশে আগমন করে। রাউজানের জলাশয়গুলোতে দেখা মিলছে সোনাজঙ্গ, বাতারণ, খুরুলে, কুনচুষী, ল্যাঞ্জা, শাবাজ, জলপিপি, হরিয়াল, ধূসর বটের, কুলাউসহ নানা প্রজাতির পাখির। পাশাপাশি ধূসর ও গোলাপি রাজহাঁস, বালি হাঁস, সরালি, পাতিহাঁস, নীলশীর পিয়াং, কালোহাঁস, রাঙামুড়ি, চখাচখি, পানি মুরগি ও কমনচিলও এসেছে এবারও।

সম্প্রতি উপজেলার নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের বিপরীতে থাকা শিব মন্দিরের বিশাল পুকুরে দেখা গেছে, শত শত অতিথি পাখি কিচিরমিচির শব্দে পানিতে জলকেলিতে ব্যস্ত।

পুকুর পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, সকালে তাদের ঘুম ভাঙে পাখির কুঞ্জনে। শীতের শুরুতেই হাজার হাজার পাখি নেমেছে নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ইতিহাস খ্যাত ঈশা খাঁ দিঘিতে। এই দিঘির পাড়ে আছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল্লাহ আনছারী বলেন, ‘ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এসেছে লস্কর উজির দিঘিতে। ভিনদেশি অতিথি পাখিগুলো হয়ে ওঠেছে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। তবে এবার কদলপুরের মানছি পুকুরেও বেশ অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে।’

নোয়াপাড়ার জালোয়ার দিঘি এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রতিদিন বেলা ১১-১২টার মধ্যে এই দিঘিতে অতিথি পাখিসহ হাজার হাজার পাখি অবস্থান করে। পাখিদের ওড়াউড়ি স্থানীয়দের আনন্দ দেয়। অনেকে ঢিল মেরে পাখির নাচন দেখতে চায়। সন্ধ্যায় এসব পাখি চলে যায় অন্য অজানা স্থানে।’

রাউজান উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. জয়িতা বসু জানান, শীত প্রধান দেশ-হিমালয়, সাইবেরিয়া, রাশিয়া, ফিলিপাইন, ফিনল্যান্ডসহ বরফাচ্ছন্ন অঞ্চলে খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাব দেখা দিলে এসব পাখি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় এবং প্রায় ৬-৭ মাস অবস্থান করে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বিচারে শিকার চলতে থাকলে অতিথি পাখির আগমন ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রাউজানে প্রায় সময় জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে, পাখির বাসস্থান নষ্ট হচ্ছে, তাই প্রাকৃতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এসব পাখিকে রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।


গুদামে জমাছে ইউরিয়া সার, ডিএপির সরবরাহ না থাকায় ক্ষতির মুখে ডিলার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কৃষকের চাহিদা কম থাকায় ডিলারদের ঘরে দীর্ঘদিন পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ইউরিয়া সার। এতে তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন।

কিন্তু ডাই এনোমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও প্রয়োজনীয় সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে করে ডিলার ও কৃষকদের মাঝে এক প্রকার হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা সহ নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, খানিকটা উঁচু এলাকা হওয়ায় গোয়ালন্দ উপজেলায় রবি মৌসুম শুরু হয়েছে চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে। যা চলবে আগামী ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। এ অঞ্চলের কৃষকরা সবজি, মাছের খামার, কলা বাগান সহ নানা ধরনের ফসলের আবাদে ডিএপি সার বেশি ব্যবহার করছেন।

কৃষকরা জানান, জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগের পর কার্যকারিতা থাকে সর্বোচ্চ ১০দিন। এ সারে থাকে শুধু নাইট্রোজেন। সেখানে ডিএপি সারের কার্যকারিতা থাকে অন্তত ৩ মাস। এ সারের মধ্যে ইউরিয়া ও টিএসপির সংমিশ্রণ থাকে। যে কারনে তারা এই সার ব্যবহার করতে অধিক আগ্রহী।

গোয়ালন্দ উপজেলায় সরকার নিযুক্ত বিসিআইসি ডিলাররা জানান, কৃষকের চাহিদা বিবেচনায় এনে তারা গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার ৫ জন বিসিআইসি ডিলারের জন্য ৫০০ মেট্রিক টন এবং বিএডিসি'র ৪ জন ডিলারের জন্য ২০০ মেট্রিক টন ডিএপি সারের চাহিদা জানিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিডি'র কাছে লিখিত আবেদন করেন।

বিষয়টি অক্টোবর মাসের জেলা সার ও বিজ মনিটরিং সভায় আলোচনা ও রেজুলেশন ভুক্ত করা হয়।

কিন্তু অক্টোবর মাসে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সার না দিয়ে কতৃপক্ষ তাদের ৯ ডিলারকে সমবন্টন করে সর্বমোট মাত্র ২১২.৭৫ মেট্রিক টন ডিএপি সার বরাদ্দ দেয়।

ঘাটতি মেটাতে আশপাশের কম চাহিদা সম্পন্ন উপজেলা হতে এনে বিক্রির অনুমতি চাইলেও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাতে সায় দেননি। তারপর থেকে এভাবেই ডিএপি'র সংকট চলছে।

এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে খুচরো পর্যায়ে কোন কোন বিক্রেতা অধিক মূল্যে ডিএপি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তার দায়ভারও বিসিআইসি ডিলারদের উপর চাপানোর চেষ্টা চলছে।

ডিলাররা জানান, প্রয়োজন না থাকলেও তাদের ৫ জন বিসিআইসি ডিলারকে প্রতি মাসে মোট ২৭৭ মেট্রিকটন করে ইউরিয়া সার দেয়া হচ্ছে। এর অন্তত ৩০ শতাংশ সার অবিক্রীত অবস্হায় প্রতিমাসে গুদামে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।

সরেজমিন আলাপকালে গোয়ালন্দ বাজারের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স নুরুজ্জামান মিয়ার স্বত্বাধিকারী হোসনে জামান বলেন, নভেম্বর মাসে তার বরাদ্দ ১২৪০ বস্তা হতে এখনো পর্যন্ত অবিক্রীত পড়ে রয়েছে ৯৮৪ বস্তা।

মেসার্স হোসেন আলী বেপারির প্রতিনিধি (ছেলে) ওহিদুল ইসলাম বলেন, নভেম্বর মাসে তার ইউরিয়ার সরবরাহ ছিল ৬২ মেট্রিক টন। বিক্রি বাদে এখনো ৭০০ বস্তা বা ৩৫ টন গুদামে পড়ে রয়েছে।

মেসার্স সপ্তবর্ণা ট্রেডার্স এর প্রতিনিধি প্রনব কুমার দাস জানান, গত ৪ মাসে তাদের গুদামে ৭৬ বস্তা অবিক্রীত ইউরিয়া সার দলা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। খুচরো হিসেবে ১৩২৫ টাকা বস্তা দরে এতে তাদের লোকসান হয়েছে ১ লক্ষাধিক টাকা।

মেসার্স স্বপন কুমার সাহার স্বাত্তাধিকারী পলাশ কুমার সাহা বলেন, ইউরিয়া সারের সরকারী ডিলার মূল্য ১২৫০ টাকা বস্তা। সাব ডিলারদের কাছে আমাদের ১৩২৫ টাকা বস্তা বিক্রি করার কথা। কিন্তু গুদামে থেকে নষ্ট হওয়ার ভয়ে বিক্রি করছি ১২৮০ টাকা করে । অথচ ডিএপির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও দিতে পারছি না।

ডিলাররা আরও জানান, এভাবে প্রত্যেক ডিলারের ঘরেই ইউরিয়া সার অবিক্রিত অবস্হায় পড়ে আছে।

এর মধ্যে নতুন করে আবার ডিসেম্বরের জন্য ডিলার প্রতি ১১২০ বস্তা করে ৫৬০০ বস্তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এমতাবস্থায় তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। প্রতি মাসে বরাদ্দকৃত সার না তুললে তাদের লাইসেন্স বাতিলেরও ঝুঁকি রয়েছে।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রায়হানুল হায়দার বলেন, এ উপজেলায় মোট আবাদি জমি ও তাতে সার ব্যবহারের নির্দিষ্ট পরিমান হিসেব করে সরকার বিভিন্ন ধরনের সারের বরাদ্দ দিয়ে থাকে। গোয়ালন্দের অনেক কৃষক কৃষি বিভাগের অনুমোদিত পরিমানের চাইতে বেশি পরিমানে ডিএপি সার ব্যবহার করে। যে কারনে এখানে ডিএপি'র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কৃষকদের আরো সচেতন হতে হবে।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) ড. মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, এ জেলায় ডিএপি সারের কোন ঘাটতি নেই। সারের চাহিদা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে নেয়া হয়। গোয়ালন্দে ডিএপি'র ঘাটতির বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিলারের গুদামে পড়ে থাকা ইউরিয়া সার চলমান রবি মৌসুমে শেষ হয়ে যাবে আশা করছি।


গোয়ালন্দে মেডিকেল  টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের  কর্মবিরতি, দুপুর পর্যন্ত সেবা পাননি রোগীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে দ্বিতীয় দিন কর্মবিরতি পালন করছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সরজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজি ও ফার্মেসির সামনে রোগীদের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে আগত রোগীরা। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে প্যাথলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা সকাল ৮ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত কর্মদিবস বন্ধ ঘোষণা করে ব্যানার টাঙ্গিয়ে অর্ধদিবস পালন করছে।

বেশ কয়েকজন রোগী আক্ষেপ করে বলেন, সকাল ৯টার পর হাসপাতালে এসেছি। টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখানোর পর পরীক্ষা দিলে প্যাথলজিতে গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারছি না। প্যাথলজিতে লোক নেই। প্যাথলজির লোক হাসপাতালের বাইরে ব্যানার টাঙ্গিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে। তারা আরো বলেন, মেডিসিন কর্নারে গিয়েও কোন লোক পাওয়া যায়নি। দরজা তালাবন্ধ।এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এমনকি সেবা না পেয়ে সকাল থেকে নিরলস বসে থাকতে হয় হাসপাতাল চত্বরে অনেক রোগীকে।

কর্মবিরতি পালন সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আমিরুল ইসলাম রনী ও ফার্মাসিস্ট প্রদীপ দাস বলেন, আমরা নিরলসভাবে উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছি। সেই তুলনায় আমাদের মূল্যায়ন করা হয় না। আমরা ১০ম গ্রেড পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য। এজন্য ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। ৩০ নভেম্বর থেকে নির্ধারিত সময় ধরে আমাদের কর্মবিরতি চলছে। ৩ নভেম্বর আমরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি।

মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা বলেন, আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা ৪ ডিসেম্বর থেকে শাট ডাউন কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


মুরাদনগরে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু

তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুরাদনগর (কুমিল্লা)

সারা দেশের মতো কুমিল্লার মুরাদনগরেও তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেছেন।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার সব স্কুলে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় শিক্ষকরা ঘোষণা দেন, তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত এই শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।

তিন দফা দাবিগুলো হলো - বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান সংশ্লিষ্ট জটিলতার সমাধান ও সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, মুরাদনগরের সভাপতি

জামাল হোসেন, উপজেলা মডেল সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন, দৌলতপুর পূর্ব সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- সহকারী শিক্ষক সৈকত জামান দোলন, আব্দুল জলিল, সামছুন্নাহার, শারমিন ফাতেমা, জান্নাতুল ফেরদৌস, মাসুমা আক্তার, ওমর ফারুক, রঞ্জন কুমার পোদ্দার।

উপস্থিত ছিলেন— প্রশিক্ষক মহিউদ্দিন, ফাইজুর মনির, মনির শিকদার, বাবুল আক্তার, মোশাররফ হোসেন, মজিবুর রহমান, কামরুল হাসান, রায়হান, আলাউদ্দীন, সুমন, শফিকুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন, আতিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, নির্মল, আলেকজান্ডার, তাসলিমা আক্তার, লুৎফা বেগম, রহিমা আক্তার, কানন, সৈয়দা নার্গিস, রাখি প্রমুখ।

শিক্ষকরা জানান, ২০৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সব শিক্ষকই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।

তাদের ভাষ্য, দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নে যখনই গড়িমসি দেখা যায়, তখনই আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হই। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত শাটডাউন চলবে।


কুলাউড়ায় মালিকবিহীন ৩ লাখ টাকার ভারতীয় সিগারেট আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ৩ লাখ ২ হাজার টাকার ভারতীয় সিগারেট আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী দত্তগ্রাম এলাকা থেকে সিগারেটগুলো জব্দ করে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি)।

শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দত্তগ্রাম সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় মালিকবিহীনভাবে ফেলে রাখা অবস্থায় ভারতীয় এসব সিগারেট উদ্ধার করা হয়।


কুলাউড়ায় মালিকবিহীন ৩ লাখ টাকার ভারতীয় সিগারেট আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ৩ লাখ ২ হাজার টাকার ভারতীয় সিগারেট আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী দত্তগ্রাম এলাকা থেকে সিগারেটগুলো জব্দ করে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি)।

শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দত্তগ্রাম সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় মালিকবিহীনভাবে ফেলে রাখা অবস্থায় ভারতীয় এসব সিগারেট উদ্ধার করা হয়।


নীলফামারীতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

ছবি : দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ছকত আলী (৬৭) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

৩ ডিসেম্বর (বুধবার) ভোর চারটায় নীলফামারী-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বনফুল মোড়ে এই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত ছকত আলী সদর উপজেলার পুর্ব কুখাপাড়া এলাকার মৃত. জসির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, শহরের একটি আবাসিক হোটেলের নাইট ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ছকত আলী (৬৭)। রাতের অন্ধকারে বনফুল এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.আর সাঈদ বলেন, দুর্ঘটনার পর চালক ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ট্রাকটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


মেহেরপুরের গাংনী সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাংনী, মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে রাতের আধারে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩০ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

৩ ডিসেম্বর (বুধবার) রাতে সিমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে হেফাজতে নেয় বিজিবি। পুশ-ইন হয়ে আসা ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।

পরে তাদের পরিচয় যাচাই বাছাই শেষে গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইল জানিয়েছেন, ৩ ডিসেম্বর (বুধবার) রাতে তেঁতুলবাড়িয়া সিমান্ত এলাকার ১৪০/৬ এস পিলারের আনুমানিক ১০০ গজ ভেতরে ৩০ জন বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। সিমান্ত এলাকা থেকে রাতেই তাদের হেফাজতে নেয় বিজিবি।

আটককৃত ব্যক্তিরা দালালের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে বসবাস করছিল।

পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে কলকাতা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ।

পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ১০ নারী ও ৪ শিশু রয়েছে। বিজিবি ৩০ জনকে থানায় সৌপর্দ করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুশ-ইন হয়ে আসা ব্যক্তিদের স্ব-স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


নওগাঁয় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক, সামাজক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নওগাঁয় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী পালিত হয়েছে।

৩ ডিসেম্বর (বুধবার) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসানুর রহমান ভূঁইয়া, ডেপুটি সিভিল সার্জন মুনির আলী আকন্দ, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রায়হান আলম, আশার আলো অটিষ্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. অছিম উদ্দিন।

পরে প্রতিবন্ধী শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ ও হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।


banner close