সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
৭ পৌষ ১৪৩২

বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতার হামলায় যুবলীগ নেতা আহত

আহত আনোয়ার হোসেন মানিক। ছবি: দৈনিক বাংলা
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৭:৩৮

রাজশাহী মহানগরীর মেহেরচণ্ডী এলাকায় বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৮-১০ জনের হামলায় আনোয়ার হোসেন মানিক নামে এক যুবলীগ নেতা আহত হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন দায়রাপাকের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি আহতাবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

ছুরিকাঘাতে আহত আনোয়ার হোসেন মানিক মহানগর যুবলীগের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক। তিনি রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কর্মচারী। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন মহানগর ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তরিক ও তার অনুসারী শাকিল, আশিক, সনেট, অপু, আরিফ, আদর, রুবেল।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। মানিক মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী তৌরিদ আল মাসুদ রনির অনুসারী। যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় কার্যালয়ে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন মানিক। রাত ১১টায় মেহেরচণ্ডি এলাকায় পৌঁছালে তরিকের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা মানিকের পথরোধ করে বিভিন্ন ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তরিক ও শাকিল রিভলবার বের করেন। পরে তরিকের অন্য সহযোগী আশিক ও সনেট তার পেটে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেন। এসময় তিনি হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে হাত জখম হয়। পরে হামলাকারীরা তার মাথায় ধারালো ছুরি, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে চলে যায়। এরপর আহতাবস্থায় মানিককে উদ্ধার করে রাতেই রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আহত যুবলীগ নেতা মানিক বলেন, ‘যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। আমার মাথা ও হাত ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের ছুরিকাঘাতে আমার মাথা বেশ গুরুতর জখম হয়েছে এবং তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে।’

নিজ কর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় রাজশাহী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী তৌরিদ আল মাসুদ রনি বলেন, ‘মানিক যুবলীগের একনিষ্ঠ একজন কর্মী। তার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আসলে এই হামলা যুবলীগের সম্মেলনকেন্দ্রিক কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার ওপর যারা হামলা করেছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং ছিনতাইকারী। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মাদক, অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে গত ১৯ আগস্ট তরিকুল ইসলাম তরিককে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।


ইরি বোরো রোপণে কৃষকের ব্যস্ততা

কেশবপুরে গরুর বদলে মানুষ টানছে মই
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

কেশবপুরে ইরি বোরো রোপণের জন্য জমি প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা একাজে সহযোগিতা করছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এবার কেশবপুর উপজেলায় ৬৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির পর পুরোপুরি ইরি বোরো রোপণ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোরো আবাদের জন্য সরকারের দেওয়া বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয় ৩ হাজার কৃষককে উন্নত মানের এই বীজ সরবরাহ করেন কৃষি অফিস।

এবার কেশবপুর উপজেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়। এবার অনাবাদি কত হেক্টর জমি থাকতে পারে এখন কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়নি।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কৃষকরা খেতে গরুর বদলে মই টানছে মানুষ। আবার কেউ কেউ ইরি বোরো রোপণ ও রোপণের জন্য জমিতে পরিচর্যার কাজ করছে। জানা গেছে এক সময় এ এলাকার কৃষকদের ঘরে ঘরে গরু, জোয়াল এবং লাঙলসহ কৃষি যন্ত্রপাতি ছিল। কৃষকের জমি চাষের সঙ্গে গরু ও মহিষের সম্পর্ক সেই আদিকাল থেকে। সাধারণত কৃষিজমিতে গরু দিয়ে টানা লাঙলে জমি চাষ ও মই দিয়ে চাষের জমি সমান করে ফসল লাগানো হয়ে থাকে। আধুনিক যুগে এসে যোগ হয়েছে ইঞ্জিনচালিত পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর। গ্রামাঞ্চলে কৃষকের বড় পরিচয় ছিল যার বাড়িতে গরু, লাঙল ও মই আছে।

কথা হয় বোরো খেতে গরুর বদলে মই টানতে থাকা উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জমি চাষাবাদ করে ছয়-আট সদস্য পরিবারের সংসারের সারা বছরের জোগান দিতে হয়। কিন্তু আমাদের এলাকায় ইরি বোরো চাষ ছাড়া অন্য ফসল তেমন না হওয়ায় হালের গরু পালন করা হয় না। আগে আমারও হালের বলদ ছিল। সারা বছর গরু পালন করতে যে টাকা খরচ হয় তা দিয়ে আমাদের মতো কৃষকের গরু পোষা সম্ভব না। এখন বিচালীসহ গো খাদ্যের অনেক দাম। গরু দিয়েই খেতে মই দিতে হয়। বর্তমানে আমার হালের বলদ না থাকাই সকাল থেকে নিজেরায় খেতে মই টানছি।’

কৃষক হাবিবুর রহমান হবির ছেলে আবদুল মাজিদ বলেন, ‘বাগদহা বিলে ৬ বিঘা জমিতে আমরা চলতি বোরো মৌসুমে ধান চাষ করব। সকল জমিতেই গরুর বদলে নিজেদেরই মই টানতে হবে।’ মই টানতে সহযোগিতা করতে আসা কৃষক আবদুল জলিল বলেন, ‘গরুর বদলে মই টানতে তিনজন মানুষের প্রয়োজন। একজন দিয়ে মই টানা অসম্ভব। তাই প্রতিবেশী হিসেবে আরেক কৃষককে সহায়তার জন্য মই টানার কাজে আমি তাদের সাহায্য করতে এসেছি।’ বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, তিনি ওই গ্রামের একজন ভালো কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইরি-বোরো আবাদ করে আসছেন। এবারও তিনি ৩ বিঘা জমিতে ধান চাষ করবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এলাকায় হালের বলদ না পাওয়ায় নিজেরা খেতের মই দিতে হচ্ছে। ফতেপুর গ্রামের কৃষক হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘আগে হাল চাষের জন্য প্রত্যেক কৃষকের ঘরে গরু, লাঙল ও মই থাকত। সময়ের সাথে আধুনিকতার ছোঁয়া এখন গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে গেছে। এখন ফসল ফলানোর ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রযুক্তির পাশাপাশি জমি দ্রুত তৈরিতে গরু টানা লাঙল ও মইয়ের পরিবর্তে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে গরু টানা লাঙল ও মই এখন কেশবপুরে তেমন একটা চোখে পড়ে না।’ কেশবপুর থেকে হালের বলদ প্রায় বিলুপ্তির পথে। সে কারণে তিনি নিজে ও ভাইদের সহযোগিতায় চলতি বোরো মৌসুমে ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করা ৭ বিঘা জমির উঁচু-নিচু অংশসহ চাকার দাগ সমান করতে গরুর পরিবর্তে মই টানছেন। কিন্তু গ্রামবাংলার কৃষকের গরু দিয়ে টানা হাল, মইয়ে জমি তৈরিতে সময় লাগত। সময়ের সাথে আধুনিকতার ছোঁয়া এখন গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে গেছে। এখন ফসল ফলানোর ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রযুক্তির পাশাপাশি জমি দ্রুত তৈরিতে গরু টানা লাঙল ও মইয়ের পরিবর্তে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে গরুর টানা লাঙল, মই এখন কেশবপুরে তেমন একটা চোখে না পড়লেও ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করা জমির উঁচু-নিচু অংশ বা চাকার দাগ সমান করতে গরুর পরিবর্তে মই টানছে মানুষ। মইয়ে হালকা কিছু ওজন দিয়ে তা দুজন কিংবা একজন টেনে জমির প্রয়োজনীয় অংশ দ্রুত সমান করে ফেলছে। এলাকার কৃষকরা জানান, পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করা জমিতে চাকার দাগ থাকায় তা সমান করতে নিজেরা মই টেনে সমান করেছেন। ওই এলাকার আবুল হোসেন বলেন, ‘তার ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান চারা রোপণের পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করে নেওয়ার পর নিজেরাই মই টেনে জমি সমান করে চারা রোপণ করছেন।’ ব্রহ্মকাটি গ্রামের কৃষক জামাল সরদার, হামিদ সরদার, আনিছুর সরদার, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ময়েজউদ্দিন, আব্দুল সরদার, সুজাপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের সুজনসহ আরও অনেক কৃষকরা এ প্রতিনিধিকে জানান, আধুনিক যন্ত্র দিয়ে দ্রুত জমি চাষ হওয়ায় এখন গরুর লাঙল, মই হারিয়ে যাচ্ছে। গরুর বদলে বিকল্প হিসেবে মানুষই মই টেনে জমি সমান করে নিচ্ছে। এমন দৃশ্য উপজেলার প্রায় সব জায়গায়। তারা আরও বলেন, এই উপজেলাজুড়ে কৃষকরা ইরি বোরো রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এবার কেশবপুর উপজেলায় ৬৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির পর পুরোদমে ইরি বোরো রোপণ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। গত বছর উপজেলায় ১৩ হাজার ১ শত হেক্টর জমিতে ইরি বোরো আবাদ হয়। এবার ১৩ হাজর হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।’


রৌমারীতে মুক্তাঞ্চলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নানা আয়োজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংঠন মুক্তাঞ্চলের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নানা উৎসাহ উদ্দীপনায় সংগঠনের সব সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শোভাযাত্রাটি উপজেলা চত্বর থেকে রৌমারী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। সংগঠনের পরিচালক প্রভাষক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে শোভা যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, জনাব শহীদ রেজাউল কবির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রৌমারী সরকারি কলেজ, আব্দুর রাজ্জাক উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক ও রৌমারী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মজিবর রহমান বিএসসি (অব.) শিক্ষক, প্রভাষক আবদুল হাই, প্রভাষক আনজুমানারা, রেজাউল ইসলাম রিজু, শিক্ষার্থী, শিল্পী ও সাংবাদিক প্রমুখ।


পঞ্চগড় সীমান্তে ২৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

পঞ্চগড় সীমান্তে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে ২৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করেছে ৫৬ বিজিবি। গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে বোদা উপজেলার হারিভাসা ইউনিয়নের ব্রমতল এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিজিবি জানায়, বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের তথ্যে অধিনায়ক, নীলফামারী ব্যাটালিয়নের (৫৬ বিজিবি) নির্দেশনায় ঘাগড়া বিওপির একটি বিশেষ টহল দল হাবিলদার আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সীমান্ত পিলার ৭৫৪/২-এস-সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরাচালানকৃত ২৯ বোতল ফেনসিডিল মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ফেনসিডিলের আনুমানিক মূল্য ১১ হাজার ৬০০ টাকা।

৫৬ বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান, নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। মাদকদ্রব্যসহ চোরাচালান রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।


বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

খুলনার এনসিপি বিভাগীয় প্রধান মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর সম্ভাব্য পলাতক আসামিরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালাতে না পারে, সে লক্ষ্যে বেনাপোল সীমান্তে কড়া নজরদারি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) সূত্র জানায়, ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেইন পিলার ১৮/১ এস থেকে ৪৭/৩ এস পর্যন্ত প্রায় ৭০.২৭৪ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি ও নজরদারি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব এলাকা কার্যত সিলগালা করা হয়েছে।

৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, মোতালেব শিকদারের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।


ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের জন্য ভোট চাইতে হবে : এস এ জিন্নাহ কবির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য মানিকগঞ্জ-১ ( দৌলতপুর-ঘিওর-শিবালয়) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এস এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের ভোট চাইতে হবে। আমরা সবাই ধানের শীষের লোক। বেদাভেদ ভুলে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে। ধানের শীষ বিজয়ী হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী। গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির উদোগে বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্বাস্থ্য ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এস.এ জিন্নাহ কবির এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

খলসী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং দৌলতপুর উপজেলার বিএনপির সহসভাপতি মো. লোকমান হোসেন, জেলা কৃষকদলের সিনিয়র সহসভাপতি মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঘিওর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিক, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান আনিস, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলার বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ নোমানী, ব্যারিস্টার জয়দুল করিম নয়ন, বাঘুটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, খলসী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া, ঘিওর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জানে আলম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান কুদরত, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ আলী প্রমুখ।


হত্যা ভাঙচুর ও আগুন, পাবনায় প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

দেশব্যাপী মব সন্ত্রাসে উদীচী-ছায়ানট, প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট, সাংবাদিক নিপীড়ন, পিটিয়ে মানুষ হত্যা, জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে পাবনায় প্রতিবাদী অবস্থান করেছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সুশীল সমাজের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় শহরের আব্দুল হামিদ সড়ক প্রেসক্লাবের সামনে সাংস্কৃতিক কর্মী মির্জা রানার আয়োজনে আহ্বান ঘণ্টাব্যাপী এ প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেশের চলমান সহিংসতা মাধ্যমে গুম, খুন, লুটপাট, জ্বালাও-পোড়াও এবং মব সৃষ্টির মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার প্রতিবাদে হুশিয়ারি দেওয়া হয়। এবং সেইসাথে এসব অরাজকতার বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মী ভাস্কর চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম হীরা, ফিরোজ খন্দকার, দিবাকর চক্রবর্তী, তিমির হায়দার, আবদুল হাফিজ রতন, বিপ্লব ভৌমিক, সামুন সাব্বির সহ পাবনার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সুশীল সমাজের নেতাকর্মীরা।


প্রথম আলো-দ্য ডেইলি স্টার অফিসে হামলার প্রতিবাদে শ্রীপুর প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

দৈনিক প্রথম আলো-দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার অফিসে হামলার প্রতিবাদে গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রীপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন হয়েছে। দুপুরে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন হয়। এতে অংশ নেন শ্রীপুর কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি বশির আহমেদ কাজলের সভাপতিত্বে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি রাতুল মন্ডলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আ.সালাম রানা, আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মো. আ.লতিফ, কালের কণ্ঠের শাহীন আকন্দ, গাজী টিভির মোতাহার খান, প্রথম আলোর সাদিক মৃধা, দ্য ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি মঞ্জুরুল আলম, দৈনিক গনমুখের শফিকুল ইসলাম, দৈনিক চিত্র প্রতিনিধি কবির সরকার, চ্যানেল নাইনের আরিফ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুবুর রহমান, দেশ রুপান্তরের রেজাউল করিম সোহাগ, এনটিভির আ.রউফ রুবেল, গ্লোবাল টিভির সোলাইমান মাহমুদ, এশিয়ান টেলিভিশনের সুমন গাজী, তৃতীয় মাত্রার আরিফ মন্ডল, চ্যানেল এস এর কাওসারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা।

বক্তারা অভিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার ও সারাদেশে সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।


মেরিন ড্রাইভ-সংলগ্ন সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কসংলগ্ন সৈকত এলাকায় আবারও একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) উখিয়া উপজেলার মনখালী সৈকত অংশে ডলফিনটির মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।

স্থানীয় জেলে ছৈয়দ মিয়া জানান, ডলফিনটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাত ফুট এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তীব্র দুর্গন্ধ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এটি দুই থেকে তিন দিন আগেই মারা গেছে।

এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৮ ডিসেম্বর মেরিন ড্রাইভ-সংলগ্ন টেকনাফ উপজেলার শিলখালী সৈকত এলাকা থেকে আরেকটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে ডলফিনকে সংরক্ষিত স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ আইনে ডলফিন শিকার, ভক্ষণ, দেহাংশ পরিবহন কিংবা বেচাকেনা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কক্সবাজার উপকূলে ভেসে আসা ডলফিনগুলোর অধিকাংশই বিপন্ন ইরাবতী প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত, যার বৈজ্ঞানিক নাম Orcaella। এই প্রজাতির ডলফিন পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম শরীফ বলেন, ‘ডলফিন বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে। অনেক ক্ষেত্রে মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে। তবে প্রতিটি ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান প্রয়োজন।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েক দিনের মধ্যেই অন্তত চারটি মৃত ডলফিন তারা সৈকত এলাকায় দেখতে পেয়েছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে এমন ধারাবাহিক মৃত্যুর ঘটনা সামুদ্রিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য গভীর উদ্বেগের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি ইরফান উল হাসান বলেন, ‘একসময় কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় ডলফিনের অবাধ বিচরণ চোখে পড়ত। বর্তমানে সেই চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে।’ ডলফিন মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয় এবং সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।


খুলনায় এনসিপি নেতা মোতালেব শিকদারকে মাথায় গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক

আপডেটেড ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতাকে মাথায় গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে খুলনা বিভাগীয় প্রধান এবং এনসিপি শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোতালেব শিকদার এই হামলার শিকার হন। দুর্বৃত্তরা তাঁর মাথা লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গুরুতর আহত অবস্থায় মোতালেব শিকদারকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে জরুরি সিটি স্ক্যানের জন্য তাঁকে শেখপাড়া সিটি ইমেজিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর মাথার আঘাত অত্যন্ত গুরুতর এবং বর্তমানে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনিমেষ মণ্ডল জানিয়েছেন, গুলির খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং সিসিটিভি ফুটেজসহ অন্যান্য আলামত বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ন্যাক্কারজনক হামলার খবর নিশ্চিত করে মোতালেব শিকদারের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর একই কায়দায় ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করা হয়েছিল, যিনি দীর্ঘ ছয় দিন লড়াই করার পর গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মৃত্যুবরণ করেন। হাদি হত্যাকাণ্ডের পর এনসিপি এবং সমমনা দলগুলোর নেতাদের ওপর এমন সিরিজ হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আতঙ্ক ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকার যখন জুলাই যোদ্ধাদের জন্য গানম্যান ও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে, ঠিক সেই মুহূর্তেই নতুন করে এই হামলার ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


হাদির হত্যাকারী সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই : অতিরিক্ত আইজিপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারী ফয়সাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ফয়সালের শেষ অবস্থান নিয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। এটা পেতে আমাদের বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তবে সে যে দেশের বাইরে চলে গেছে, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাইনি। অনেক সময় অপরাধীদের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। রোববার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এ হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন কি না– এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা এখনো স্পেসিফিক কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পাইনি। তবে আমরা সঠিক তথ্য পেতে চেষ্টা করছি।

এ সময় ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। এখানে ব্যক্তিগত কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে হয়নি। ঘটনার শুরু থেকে আমরা মাঠে ছিলাম। সব এজেন্সি সমন্বিতভাবে কাজ করেছি। এটাকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সবগুলো দিক দেখছি।

এসময় ডেভিলহান্ট-২ অভিযান নিয়ে অতিরিক্ত আইজিপি জানান, এই অভিযানে ১৩ ডিসেম্বর থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত ছয় হাজার ৫৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে বিজিবি ময়মনসিংহ রিজিওনের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সীমান্তের অনেক কাছে যারা থাকেন তারা চোরাচালানো জড়িত। সুস্পষ্ট তথ্য না পেলে ধরা কঠিন হয়ে যায়। তবে আমাদের কার্যক্রম চলছে। ফয়সাল সীমান্ত পার হয়ে ভারতে গেছে কিনা সেই তথ্য নেই।


আমরা কঠিন সহিংসতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : উপদেষ্টা শারমীন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, চব্বিশের জুলাইয়ের পরও আমরা কঠিন সহিংসতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। শুধু বর্বর মৃত্যুগুলো নয়, আমাদের সন্তানরাও বিশেষ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের জন্য সাইকোলজিস্ট ও সাইক্রিয়াটিকের ব্যবস্থা করতে হবে। কাউন্সিলিং ও থেরাপি দুই ধরনের সেবার ব্যবস্থা রাখতে হবে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এবছর ঢাকা মেডিকেল কলেজে বেশি মেয়ে ভর্তি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ ভাগ মেয়ে পড়ালেখা করছে। শিক্ষার সব ক্ষেত্রে মেয়েদের উপস্থিতি বাড়ছে। এটা যেমন আনন্দের তেমনই শঙ্কারও। কারণ ছেলেদের ক্ষেত্রে কী হচ্ছে, তারা কেন ঝরে পড়ছে, শিক্ষাবিমুখ হচ্ছে, অন্য কোন আকর্ষণে লেখাপড়া থেকে দূরে থাকছে তা জানতে হবে। এটা চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ এ নতুন সংকট তৈরি করবে।’ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. খাদেমুল ইসলাম মোল্যার নেতৃত্বে শুরু হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান। উপদেষ্টা শারমিন এস মুর্শিদ সমাবর্তনের চেয়ার হিসেবে গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি প্রদান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সামার ২০২০ থেকে ২০২৫ এর স্প্রিং সেমিস্টার পর্যন্ত স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫ হাজার ৩৭৫ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সভায় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক একরাম হোসেন। ‎বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. এম. আনোয়ার হোসেন। এছাড়া বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান সমাবর্তনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।


মন ভালো রাখার আহ্বান, বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে

নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো শান্তিপ্রিয় মানুষের মেডিটেশন চর্চা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশের দূষণের মতোই মনের দূষণও ব্যক্তি ও সমাজকে কষ্ট দেয়, এমন বার্তা নিয়ে রাজধানীতে পালিত হয়েছে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। আয়োজকেরা বলছেন, ব্যক্তির মন ভালো থাকলে পরিবার, সমাজ ও বিশ্বও ভালো থাকে। যুগ যুগ ধরে মানুষের মন ভালো রাখার চর্চাই করে আসছে মেডিটেশন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বাংলাদেশে মেডিটেশন চর্চার পথিকৃৎ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। এ আয়োজনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নানা শ্রেণি–পেশার হাজারো শান্তিপ্রিয় মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মিলিত কণ্ঠে ভালো থাকার প্রত্যয় উচ্চারণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে এক অডিও বার্তায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানান কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মাদাম নাহার আল বোখারী।

বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন পদ্ধতি ‘কোয়ান্টাম মেথড’–এর উদ্ভাবক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক এক অডিও বার্তায় বলেন, কোয়ান্টাম তিন দশক ধরে বলে আসছে- মন ভালো তো সব ভালো। ২০২৪ সালে জাতিসংঘ ২১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় সারাবিশ্বের মেডিটেশন চর্চাকারীদের মতো বাংলাদেশের মানুষও আনন্দিত হয়েছে।

শহীদ আল বোখারী বলেন, কোয়ান্টাম ২০২৫ সালকে ঘোষণা করেছে ‘দ্য ইয়ার অব মেডিটেশন’ হিসেবে, যা সমাজের সর্বস্তরে মেডিটেশন চর্চাকে নতুন গুরুত্ব দিয়েছে।

আলোচনায় বর্তমান ডিজিটাল জীবনে বেড়ে যাওয়া উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা, ট্রমা, ভয় ও অনিশ্চয়তা এবং সেখান থেকে সৃষ্ট মনোদৈহিক রোগের বিষয়টি উঠে আসে। বক্তারা বলেন, এসব থেকে মুক্তির পথ দেখায় মেডিটেশন। তাই মেডিটেশনের বাণী বিশ্বের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে মেডিটেশন চর্চার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সাবেক সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সভাপতি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের হেড অব নিউজ রেজওয়ানুল হক রাজা, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসীন ও স্কলাস্টিকা স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহিদা রহমান।

ঘণ্টাব্যাপী আয়োজনে মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন। রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেটসহ দেশব্যাপী শতাধিক স্থানে একযোগে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালিত হয়। এ ছাড়া বিদেশের বিভিন্ন স্থানেও দিবসটি পালিত হয়। শিশু–কিশোরসহ অসংখ্য মানুষ মেডিটেশনে অংশ নিয়ে জানিয়ে দেন তাদের বিশ্বাস- মন ভালো থাকলেই সব ভালো।


ডেঙ্গুতে দুজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৯৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ থামছেই না। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর আসছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শত শত ডেঙ্গুরোগী। সারাদেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুজন মারা গেছেন। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী। রোববার (২১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।


banner close