বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ইভিএমে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:৫০

কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে আসনটিতে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।

আজ বুধবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।

এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় ইভিএমসহ নির্বাচনী সকল সরঞ্জাম। ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বুধবার সকাল থেকেই ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন ভোটাররা। প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল সকাল ভোটারদের উপস্থিতি একেবারে কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।

ভোট শুরুর পর সাঘাটা উপজেলার কঞ্চিপাড়া এম এ ইউ একাডেমি কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি তেমন লক্ষ্য করা যায়নি।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।

চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ভোটের মাঠে র‌্যাবের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও ৫টি সাদা পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে রয়েছেন। তা ছাড়া ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

এ ছাড়া ১ হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকছে সবগুলো ভোটকেন্দ্র।

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

তিনি আরও জানান, এ উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নির্বাচনে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম। বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ করতে মাঠে থাকবেন বিজিবি, র‍্যাবের মোবাইল টিম, পুলিশের মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

আসনটিতে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।

দুই উপজেলর উন্নয়ন ধারা অব্যহত রাখতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী হলেও সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শঙ্কাসহ নানা অভিযোগ জাতীয় পার্টিসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের।

গেল ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। এর দুই দিন পর তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।


সিএনজিতে যাত্রী সেজে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করতে গিয়ে আটক দুই নারী 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিএনজিতে যাত্রী সেজে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করতে গিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আটক দুই নারী। আটকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ধরমণ্ডল এলাকার তামান্না বেগম (২৬) ও ফাতেমা বেগম (২২)।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ রোড এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিকাপ্রসাদের আকবরনগর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ভৈরব শহরে আসেন চার নারী। তাদের মধ্য দুই নারী রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ রোড এলাকায় নেমে গেলে অন্য যাত্রীরা তাদের স্বর্ণের চেইন খোয়া যাওয়ার বিষয়টি টের পান। সঙ্গে সঙ্গে তারা দুই নারী ছিনতাইকারীকে আটক করেন। এসময় তারা চেইন গিলে ফেলার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে চেইন উদ্ধার করে দেন এবং দুজনকে আটক করেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা আরও দুই নারী ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদের থানায় নিয়ে যায়।এ বিষয় ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক কবির জানান, আটক দুই নারী ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে ভৈরব থানাসহ আশপাশের বিভিন্ন থানায় চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।


সোনারগাঁওয়ে দুটি সেতু ভেঙে যান চলাচল বন্ধ, চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুই এলাকা দুটি ব্রীজ ভেঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই। উপজেলার সোনারগাঁ পৌরসভার ছাপেরবন্ধ খালের ব্রীজ ও সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও এলাকা ব্রীজটি ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এলাকাবাসী, পর্যটকরা, হাসপাতালের রোগীসহ সাধারণ মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। এলাকাবাসী ব্রীজ দুটি পুনঃ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালে সিআরডিপি প্রকল্পের আওতায় সোনারগাঁ পৌরসভার চৈতী কম্পোজিট লিমিটেড থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ২নং ফটক রাস্তা টেন্ডার দেওয়া হয়। এছাড়াও টিপরদী মধুমতি ফিলিং স্টেশন থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ১নং ফটক পর্যন্ত রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও একটি সেতু নির্মাণের জন্য ৭কোটি ৪৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই টেন্ডারে ছাপেরবন্ধ খালের ওপর নির্মিত ব্রীজটি অধিক ঝুঁকিপূর্ন হওয়ার পরও এ ব্রীজটি টেন্ডার প্রক্রিয়া আওতায় আনা হয়নি। ফলে দীর্ঘ ১০ বছরেও এ ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়নি। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই সময়ে পৌর কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে এ ব্রীজের মাঝে গর্ত হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অংশে সিমেন্ট সুরকি দিয়ে ঢেকে দেয়। গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে ব্রীজের ঝুঁকিপূর্ন অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে পৌর কর্তৃপক্ষ গত এক সপ্তাহ ধরে বাঁশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। বিকল্প পথে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, পর্যটন নগরীর পানাম, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আসা দর্শনার্থী,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের আসা জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়ছেন।
অপরদিকে সাদিপুর ইউনিয়নের কাজিপাড়া-আমগাঁও খালের ওপর নির্মিত বরগাঁও এলাকার ব্রীজ ভেঙ্গে দীর্ঘদিন যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর দাবি, বরগাঁও এলাকায় খালের ওপর প্রায় ৫০ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে তা ভেঙ্গে যায়। ব্রীজের রেলিং-পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে এ সড়কে চলাচলরত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিল্প-কারখানার শ্রমিকসহ প্রায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। দুই কিলোমিটার এলাকা ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সাদিপুরের দবির উদ্দিন ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, বরগাঁও এলাকার ব্রিজটির মধ্যঅংশ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে স্কুলে আসা-যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তাছাড়া এ ব্রীজের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি করেন।
সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ছাপেরবন্ধ এলাকার ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত এ ব্রীজটি নির্মাণ করে পর্যটক, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবের দাবি জানিয়েছেন।
সোনারগাঁ পৌরসভার আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা ইমরান খাঁন জানান, ১০ বছরেও ব্রীজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানের এ এলাকার মানুষ অনেক পথ ঘুরে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।
সোনারগাঁ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, ছাপেরবন্ধ ব্রীজটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। সংস্কার করে কোন লাভ হবে না। এ খালে নতুন ব্রীজ নির্মাণের টাকা তাদের ফান্ডে নেই বলে দাবি করেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী মো আলমগীর হোসেন চৌধুরী বলেন, বরগাঁও এলাকার ব্রীজটি ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ থাকার খবর পেয়ে সেখানে সহকারী প্রকৌশলীদের পাঠানো হয়েছে। আশা করি ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করা হবে।


যশোরের ৫টি উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরশনের লক্ষে চায়নার প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুরসহ ৫টি উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরশনের লক্ষে ভবদহসহ ভরাট হওয়া মুক্তেশ্বরি, টেকা ও তেলিগাতি নদী পরিদর্শন করেছেন চাইনার চেংগিং ওয়াটার রিসোর্সের একটি প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে প্রতিনিধি দলটি যশোরের মরণফাঁদ ভবদহ সুইচ গেট পরিদর্শন শেষে কেশবপুর উপজেলার আগ্রহাটি সোলগাতি ব্রিজের নিজ দিয়ে বয়ে যাওয়া তেলিগাতি নদী পরিদর্শনে আসেন।

এসময় প্রতিনিধিদের সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুৎফর রহমান ,যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্যা, আল মামুন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার ও দোভাষিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।

সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১৯৬১ সালে ভবদহ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশন লক্ষে ভবদহ সুচইগেট নির্মাণ করা হয়। এর বিরূপ প্রভাবে ১৯৮২ সালের পর থেকে ভয়াদহ অঞ্চলে মানবিক বিপর্যায়ের স্বীকারে পরিনত হয় এ জনপদের মানুষ। এরপর থেকে এর বিরূপ প্রভাবে এ অঞ্চলের শ্রীনদী, হরিনদী, টেকানদী, মুক্তেশ্বরি ও তেলিগাতি নদী ভরাট হয়ে ভবদহ অঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং যশোর জেলার ৫টি উপজেলার কয়েশ গ্রাম ও হাট বাজার তলিয়ে প্রায় কর্মহীন হয়ে পড়ে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। ২০০৫ সালে ৪৮ দিন ভবদহ'র সুচই গেট বন্ধ থাকায় সংকট আরো ঘনিভূত হয়। এর প্রভাবে কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলাসহ এ অঞ্চলে প্রতি বছর দেখা দেয় বন্যা। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয় এলাকার জলাবদ্ধ মানুষ। খাল ও বিল তলিয়ে থাকায় ফসল উৎপান না হওয়ায় তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেয়। তৎকালীন সরকার এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরশনের লক্ষে ২০০২ সালে শ্রী, হরি ও টেকা নদীর পলি অপসারনের জন্য সংশ্লিষ্ট নদী গুলি খনন করেন। ২০১৬ সালে যশোর জেলার কেশবপুর ও মনিরামপুরসহ ৫টি উপজেলার ৫০০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। এতে কৃষকের ফসল, হাজার হাজার মৎস্য ঘের ভেসে যেয়ে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এসময় হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এসময় ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচুবাঁধ ও সড়কের উপর আশ্রয় নেয়। পরবর্তিতে ভবদহ সমস্যা সমাধানের লক্ষে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের খাল ও নদী খননসহ কেশবপুর উপজেলার কাশিমপুর ভানদীর মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৯৬ সালে ক্রাসবাঁধ দেয়। এতেও বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনসহ সমস্যার সমাধান না হওয়ায়, বর্তমান অন্তবর্তি কালীন সরকার সেনা বাহিনীর তত্বাবধানে শ্রী, হরি ও টেকা নদীসহ ৩টি নদী খনন করার লক্ষে প্রকল্প গ্রহন করেছেন। এর সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষে সরকার চায়না চেংগিং ওয়াটার রিসোর্স'র সহযোগিতা কামনা করেন। সরকারের নেয়া প্রকল্পে সহযোগীতা করতে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) চায়নার একটি প্রতিনিধি দল ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শনে আসেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, চীনের একটি উচ্চ প্রতিনিধি দল ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরশনের জন্য ভবদহসহ হরি, তেলিনদী, টেকা ও শ্রীনদী পরিদর্শনে আসেন।

যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম বলেন, যশোরের জলাবদ্ধতা নিরশনের লক্ষে ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শনে আসেন চায়নার একটি প্রতিনিধি দল।


নবীনগরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
‎ ‎নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

‎ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎‎৩০ জুলাই (বুধবার) সকালে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জনাব রাজীব চৌধুরী।

‎‎সভায় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম ও অন্যান্য পেশাজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।

‎‎সভায় এলাকায় বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদক নিয়ন্ত্রণ, ইভটিজিং, যানজট, জলাবদ্ধতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ইউএনও রাজীব চৌধুরী সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান এবং জনস্বার্থে প্রশাসনের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

‎‎সভায় নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর, নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শুক্লা রানী দেব, জেলা বিএনপি নেতা মাসুদুল হক মাসুদ, উপজেলা বিএনপি নেতা মফিজুল হক মুকুল, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।

‎‎উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের সমন্বিত মাসিক সভা নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হলে স্থানীয় সমস্যা দ্রুত সমাধানের পাশাপাশি জনগণের সেবার মানও আরও বৃদ্ধি পাবে।


তেঁতুলিয়ায় পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ৩০ জুলাই, ২০২৫ ১২:৪৯
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় আল হাবিব (৬) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। সকলের ধারণা, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে হত্যা করে পরিত্যক্ত ভবনের ওই টয়লেটে ফেলে রেখে গেছে।

জানা গেছে, নিহত আল হাবিব উপজেলার একই ইউনিয়নের শিলাইকুঠি এলাকার বাসিন্দা ও আশরাফুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বিকেলে খেলতে বের হয়ে আর ফিরে বাড়িতে যায় নি আল হাবিব। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যার পর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়।
মরদেহটি ভাঙা টয়লেটের ছড়ানো ইটের ওপর পড়ে ছিল। গলায় নিজের পরনের শার্ট দিয়ে পেঁচিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল শিশুটি। মাথার পেছনেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, আল হাবিবের বাবা আশরাফুল ইসলাম পেশায় বিদ্যুৎ মিস্ত্রি ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। পরিবারটি চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন ব বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে পরিত্যক্ত ভবনে বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ও গ্রাম পুলিশ আমাদের খবর দেয়। তার পর আমরা থানা পুলিশকে খবর দেই।


এদিকে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে৷ ঘটনাটি তদন্ত চলমান৷


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুর্বৃত্তদের হামলায় ব্যবসায়ী খুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুর্বৃত্তদের হামলায় মোস্তফা কামাল নামে একজন ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন।মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে

উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল কালিকচ্ছ নন্দীপাড়া গ্রামের মৃত মমিন মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানান, মোস্তফা কামাল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাড়ির কাছেই সড়কে তাকে একা পেয়ে দুর্বৃত্তরা তার মাথায় ও ঘাড়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে একজন পথচারী তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কের পাশে পরে থাকতে দেখে বাড়িতে পরিবারের লোকদের খবর দেন। সেখান থেকে তাকে গুরুতর অবস্থায় উ'দ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে রাতেই সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন এক ব্যবসায়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


নওগাঁয় আলুর ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে কৃষকদের মানববন্ধন 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ

ধান-গমের মতো আলুর সরকার কতৃক মূল্য নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নওগাঁর আলু চাষিরা।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের সামনে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার কৃষক পরিবার এবং আলু ব্যাবসায়ী পারিবারের ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষকরা বলেন, বাজারে আলুর দাম উৎপাদন খরচের অর্ধেকেরও নিচে। প্রতি কেজি আলুতে ১৭-১৮ টাকা লোকসান হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে ঋণ করে আলু চাষ করায় বাজারে দাম না পয়ে সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন আলু চাষিরা।

নওগাঁ সদর উপজেলার চকবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, সার ফসফেটের দাম দাম অনেক বেশি সেই হিসাবে শুরু থেকেই এবছর আলুর দাম নাই। খরচের টাকায় উঠছে না। ধান চালের সরকারি মূল্য নির্ধারণ করতে পারলে আলুর কেনো হবে না? সরকারের কাছে দাবি জানাই দ্রুত আলুর মূল্য যেনো নির্ধারণ করে দেয়।

সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের আরেক কৃষক বুলবুল ইসলাম বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি চালের দামও বেশি। কিন্তু আলুর কোন দাম নাই। হিমাগারেও খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে। এক মণ আলু চাষ করতেই ১২০০-১৩০০ টাকা করে খরচ হয়েছে। বাজারে এখন আলু বিক্রিই করতে হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা মণ। তাহলে আমরা যাবো কোথায়? সরকার যদি আমাদের জন্য কোন উদ্যোগ না নেয় তাহলে আমরা শেষ হয়ে যাবো।

শহরের বালুডাঙ্গা এলাকার আলু চাষি সাইফুল আলম বলেন, গরু বিক্রি করে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে লাভের আশায় আলু চাষ করেছিলাম। কিন্তু বাজারে এখন আলু বিক্রি হচ্ছে না। হিমাগারে প্রতি কেজি আলুতে আগের থেকে ৪ টাকা করে বেশি দিতে হচ্ছে। এক কেজি আলু উৎপাদনসহ হিমাগারে রাখতে ২৫-২৬ টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে পাইকারি দরে ১১-১২ টাকার বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না। ঋণের টাকা পরিশোধ করা তো দূরের কথা খরচের টাকা উঠানো নিয়েই এখন চিন্তার মধ্যে আছি।

এ বিষয়ে নওগাঁ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় আলুর উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। বছরের এই সময়টাতে অন্যান্য সবজি বাজারে বেশি থাকায় মানুষ আলু কম কিনে। সরকারের পক্ষ থেকে ওএমএস অথবা টিসিবির মাধ্যমে আলু বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।


গাংনীতে  চাঁদাবাজির অভিযোগে জনতার হাতে আটক একজন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে পল্লী চিকিৎসকের কাছে দ্বিতীয় দফায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে আব্দুর রউফ (৫০) নামের এক কথিত সাংবাদিককে গণধোলাইয় শেষে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।

কথবত ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গরছে।

আটকের পর আব্দুর রউফ নিজেকে মেহেরপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার পরিচয় দেন।

গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী গাংনী পৌরসভার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মাবুদ জানান, কথিত ওই সাংবাদিক আমার চেম্বারে গতকাল এসে সিভিল সার্জন এবং জেলা প্রশাসনের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিশ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যাায় সে আবারো চেম্বারে আসে। এবার সে বলে, আপনাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ সিভিল সার্জন এবং ডিসি অফিসে গেছে। সিভিল সার্জনকে ঠেকাতে হলে বিশ হাজার টাকাতে হবেনা। আবারও টাকা দিতে হবে। এক পর্যায়ে সে আরও ভয়ভীতি দেখায়। এঘটনার পর আমরা গাংনীর স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে আব্দুর রউফ নামে কোনো সাংবাদিক আছে কিনা। তারা জানান, এই নামে কোনো সাংবাদিক নেই। এরপর আমরা তার কাছ থেকে পরিচয় পত্র দেখতে চাই। এক পর্যায়ে সে মেহেরপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারের পরিচয় পত্র দেখান। পরে স্থানীয় জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে গাংনী সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেন।

এঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গাংনী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে জানা গেছে, কথিত ওই সাংবাদিক আব্দুর রউফের বাড়ি ভারতে। সে বৈবাহিক সূত্রে মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়াতে বসবাস করে আসছেন। সে প্রথমদিকে নিজেকে চিকিৎসক দাবি করতেন। নিজের নামের সাথে ডাক্তার যুক্ত করে ডাক্তার আব্দুর রউফ লিখতেন। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় ও ভূয়া ডাক্তারখানা বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে সে নিজেকে সাংবাদিক বনে যান। ২০২৩ সালে মেহেরপুর শহরের এক সার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে। পরে সেটি ফেসবুকে ভায়রাল হলে ওই সার ব্যবসায়ীর পা ধরে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়। গত বছরে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়াতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে উতরতম মাধ্যম খান। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, আব্দুর রউফ এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দাবী করে আসছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


বেনাপোল স্থলবন্দরের চাঁদা উত্তোলনকারী ৪০ জন আনসার সদস্যদেরকে প্রত্যাহার 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি

বেনাপোল স্থলবন্দরে ট্রাক চালকদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলনকারী ৪০ জন আনসার সদস্যদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রথম ধাপে ৪০ জন আনসার সদস্যকে অনত্র বদলি করা হয়।

বেনাপোল বন্দরের সদ্য যোগদানকারী আনসার কমান্ডার শ্রী অসিত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আনসার ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে মোট ১৬৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। প্রথম ধাপে ৪০ জন বদলি হলেও পরবর্তীতে অনান্যদেরও বদলি করা হবে।

গত কয়েকদিন আগে বন্দরে ট্রাক প্রবেশের বিভিন্ন গেট থেকে বকশিসের নামে ট্রাক প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা আদায় ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসেন উর্ধতন কর্মকর্তারা। ট্রাক থেকে আনসার কর্তৃক চাঁদা নেয়ার সত্যতা পাওয়ার পর প্রথম ধাপে ৪০ আনসার সদস্যকে অন্যাত্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আনসার সদস্যরা জানান, আমরা পরিস্থিতির শিকার। এই টাকা আমরা একা নেয় না। এর একটি অংশ আমাদের উপরের সারদের কাছে চলে যায়।

জানা যায়, বন্দরে আমদানি, রফতানি পণ্যের নিরাপত্তা ও পণ্যবাহী ট্রাকের গেটপাশ পরীক্ষা, নিরীক্ষায় রয়েছে ১৬৩ জন আনসার ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থ্যা পিমার ১২৯ জন সদস্য দায়িত্বে রয়েছেন। বন্দরে ট্রাক ঢোকা ও বেরোনোর সময় বকশিসের নাম করে ট্রাক প্রতি তারা ২০ থেকে ৪০ টাকা চাদা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই দুই নিরাপত্তা সংস্থার নামে।

অবশেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে কর্তৃপক্ষ চাঁদার বিষয়টির সত্যতা পেলে বেনাপোল বন্দর থেকে আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেয়। যেকোনো সময় নিরাপত্তা সংস্থা পিমার সদস্যদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ হতে পারে বলে জানা গেছে।


সুনামগঞ্জে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান নির্ধারণের লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা তথ্য অফিসের সমন্বয়ে এবং ইউনিসেফের সহায়তায় ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন এনডিসি ৩.০ বা জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান নির্ধারণের লক্ষ্যে কিশোর কিশোরী ও তরুণদের নিয়ে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে মঙ্গলবার দিন ব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল এর সভাপতিত্বে এবং ইউনিসেফের সোসাল এন্ড বিহেভিয়র চেঞ্জ অফিসার উম্মে হালিমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসের উপ পরিচালক শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ। বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের সিলেট অফিসের চীফ অব ফিল্ড অফিসার কাজী দিল আফরোজা ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোহাইমিনুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপ, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। তাই পরিবেশ বিপর্যয় এড়াতে আমাদের জীবন যাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে। বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ এমনভাবে ভোগ করতে হবে যেন সেগুলো দিয়ে কয়েক প্রজন্ম চলে যায়। বৈশ্বিক বাণিজ্য হচ্ছে পরিবেশগত পরিবর্তনের অন্যতম মাধ্যম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ভ্যালেনটিনা স্পিনেডি, কমিউনিকেশন অফিসার নুসরাত শবনম তুর্ণা, ইউরিপোর্ট অফিসার সিহাব উদ্দিন সানি এবং তরুণ জলবায়ুকর্মী ফাজানা ফারুক ঝুমু।


ভৈরবে দিনকালের সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টা। থানায় অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজীবুল হাসান, ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জে ভৈরবে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধিকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক সোহেলুর রহমানকে হত্যার চেষ্টায় কুখ্যাত মাদক কারবারি ও ছিনতাইকারী শাহিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।

সাংবাদিক সোহেলুর রহমান ভৈরব প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় ভৈরব প্রেসক্লাব, টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, বিএমইউজে ভৈরব উপজেলা শাখাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত শাহিনসহ তার মূল হোতাদের গ্রেফতারের দাবী জানান।

লিখিত অভিযোগে সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুলাই সোমবার সাংবাদিক সোহেলুর রহমান তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুখ্যাত ও একাধিক মাদক মামলার আসামি শাহিনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে পোষ্ট দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাহিন তার দলবল নিয়ে গভীর রাতে ভৈরবপুর মধ্যপাড়ায় অবস্থিত সোহেলুর রহমানের বাস ভবনে গিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় । এঘটনায় রাতেই বিষয়টি ফোনে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে অবগত করেন। পরবর্তীতে আজ সকালে সোহেলুর রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে ভৈরব বাজারে যাওয়ার পথে মনামরা ব্রীজ সংলগ্ন জান্নাত ফার্মেসী থেকে ঔষধ কিনতে গেলে অভিযুক্ত শাহিন ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে । এসময় আশপাশের লোকজন এসে শাহিনকে দুরে সরিয়ে দিয়ে সাংবাদিককে রক্ষা করে ।

এবিষয়ে সাংবাদিক সোহেলুর রহমান জানান, মাদক ও ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে আমি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি। শাহিন মাদক কারবারি ও ছিনতাইকারী। গত কয়েক দিন আগে জেল থেকে জামিনে এসে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলবল নিয়ে গভীর রাতে আমার বাড়িতে এসে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় । আজ সকালে আবার ভৈরব বাজারে যাওয়ার পথে জান্নাত ফার্মেসীর সামনে ধারালো অস্ত্র আমাকে হত্যার চেষ্টা করে । এসময় লোকজন তাকে বাধাঁ দিলে সে পালিয়ে যায়। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছেন বলে তিনি জানান।


জুলাই সনদ ইহবে পরবর্তী নির্বাচনের ভিত্তি :নাহিদ ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ৯০ এর গণ অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো জনগণ ও ছাত্রদের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া এসেছে। আমরা বলেছি, এতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য থাকতে হবে। জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে এবং এর আইনি ভিত্তি থাকতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচিত যেই সরকারে আসুক, তাকে এই সংস্কার বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা থাকবে। আমরা আশা করি, ৫ আগষ্টের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে।

মঙ্গলবার (২৯ ‍জুলাই) বিকালে জেলা শহরের রাজবাড়ী সড়কে আয়োজিত পদযাত্রা শেষে গাজীপুর মহানগর ও জেলা এনসিপি আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সেনাবাহিনীকে রাজমিস্ত্রীতে পরিণত করেছিলেন। পুলিশকে রাজনৈতিক লাঠিয়ালে পরিণত করেছিলেন। এখন পুলিশ সংস্কার হচ্ছে, যাতে কেউ পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে। সেনাবাহিনীকে আধুনিক করতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, আমরা এনসিপি সুযোগ পেলে সেনাবাহিনীকে সমৃদ্ধ করব।

এনসিপির সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আর বক্তব্য দেন, অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, এম এম সোহাইব, এম এম মুহিত, নাহিদা সারওয়ার নিভা প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে ডা. তাসনিম জারা, শামান্তা শারমিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের লড়াই শেষ হয় নাই। আমাদের একটি নতুন বাংলাদেশ হিসেবে লড়াই চলমান আছে। আজকেও দেখেছেন গাজীপুরের সন্ত্রাসীরা টহল দিচ্ছে মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। ভয় দেখিয়ে নাগরিক পার্টি জাতীয় গণঅভুত্থানের শক্তিকে তারা রুখে দেবে।

তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জেও আমাদের বাঁধা দিয়ে রাখা যায় নাই। আমরা গোপালগঞ্জের মাটিতে গিয়েছি। আমরা গাজীপুরের মাটিতেও এসেছি। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় আমরা গিয়েছি, যাবো। আমরা ঘোষণা করেছি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইঞ্চি মাটি থেকে আমরা মুজিববাদ বিতাড়িত করব। মুজিববাদদের আমরা বিচারের আওতায় আনব।

জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণঅভুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের সঙ্গে থাকবেন তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

এসময় স্থানীয় এনসিপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শ্রীপুরের মাওনায় আয়োজিত পদযাত্রায় নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ঘোষণা করেছি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইঞ্চি মাটি থেকে আমরা মুজিববাদ বিতাড়িত করব। মুজিববাদদের আমরা বিচারের আওতায় আনব।


নরসিংদীতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে তরুণীর অনশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শিল্পী আক্তার নামে এক তরুণী তার স্বামীর বাড়িতে অনশন করছে। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের সাতপাখিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের বাড়িতে। অনশনরত শিল্পী আক্তার নরসিংদীর পলাশ উপজেলার দড়িহাওলা গ্রামের জালাল মিয়ার মেয়ে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে সাতপাখিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে তরুণী অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে শিল্পী আক্তারের স্বামী ও তার পরিবারের লোকেরা ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। অনশনরত শিল্পী আক্তারের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান আজ থেকে ৬ বছর পূর্বে লেবালন প্রবাসী মো: ইমরান মোল্লার সাথে মোবাইল ফোনে তার পরিচয় ঘটে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় ২ মাস পূর্বে ইমরান মোল্লা প্রেমের টানে লেবালন থেকে নিজ বাড়িতে চলে আসে। অতপর গত ১২.০৬.২৫ইং তারিখে তাদের পরিবারের সম্মতি না নিয়ে ৩ লাখ টাকা কাবিনমুলে ইসলামী শরিয়ত মতে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রী নরসিংদী শহরের তরোয়া মহল্লায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। সুখেই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু শিল্পী আক্তারের পরিবার গরিব বিধায় তার শ্বশুর-শাশুরী বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি।
প্রায় দেড় মাস ঘর সংসার করার পর শিল্পী আক্তারের স্বামী ইমরান মোল্লা পরিবারের চাপ সহ্য করতে না পেরে সে তার স্ত্রী শিল্পী আক্তারকে ফেলে রেখে পিত্রালয়ে চলে যায়। এদিকে অসহায় শিল্পী আক্তার কোন উপায়ন্তর না দেখে তার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর দাবি নিয়ে অনশন করতে থাকে। পরে শিল্পী আক্তারের স্বামী ইমরান মোল্লা ও তার পরিবারের লোকেরা এসে শিল্পী আক্তারকে মারধর করতে থাকে। এ সময় শিল্পী আক্তার ত্রিপল ৯৯৯ এ খবর দিলে শিবপুর থানা পুলিশ অনশনরত শিল্পী আক্তারকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশের সহযোগিতায় তার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা ইমরান মোল্লাকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে সবকুল হারিয়ে শিল্পী আক্তার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। না পারছে পিত্রালয়ে থাকতে, না পাচ্ছে স্বামীর স্বীকৃতি। সে স্থানীয় প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফজাল হোসাইন জানান, এব্যাপারে কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


banner close