সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

আট মাসে ৭ বার বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিনিধি, বাগেরহাট
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, বাগেরহাট
প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২১:২৯

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে উৎপাদন শুরুর পর থেকে গত আট মাসে সাত বার বন্ধ হলো কেন্দ্রটি।

বহুল প্রতীক্ষিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হয় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর। উৎপাদন শুরুর পর প্রথমে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি এই কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায়, ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফায়, ৩০ জুন চতুর্থ দফায়, ১৬ জুলাই পঞ্চম দফায় এবং ৩০ জুলাই ষষ্ঠ দফায় কেন্দ্রটিতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সবশেষ শুক্রবার সপ্তম দফায় বন্ধ হলো এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন।

এর মধ্যে কয়েকবার বন্ধ হয়েছে কারিগরি ত্রুটিতে, কয়েকবার কয়লার অভাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানান, এবার কয়লা সংকট নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে সবশেষ ৩০ জুলাই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে উৎপাদন বন্ধ হয় কয়লা সংকটে। সেবার কার্যক্রম বন্ধ ছিল ১৬ দিন।

তারও আগে টারবাইন ত্রুটির কারণে ১৬ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের ঘূর্ণায়মান যন্ত্র (টারবাইন) মেরামত শেষে ২০ জুলাই দুপুর থেকে উৎপাদন শুরু হয়।

এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জ্বালানি পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে।


নেত্রকোণায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ইমামের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নেত্রকোণা প্রতিনিধি

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল বাতেনকে (৬০) তার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিশাউতি জামে মসজিদের বারান্দায় থাকা শয়নকক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

মাওলানা আব্দুল বাতেন কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সন্যাসীপাড়ার বাসিন্দা মৃত বাশির পণ্ডিতের ছেলে। তিনি রংছাতি দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার ও পার্শ্ববর্তী বিশাউতি বাইতুন নুর জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন।

আজ সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক।

পুলিশ, স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ও নিহতের স্বজনরা জানান, মাওলানা আব্দুল বাতেন মাদ্রাসার সহ-সুপারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিশাউতি বাইতুন নুর জামে মসজিদে পেশ ইমামের দায়িত্বেও ছিলেন। রাতে মসজিদের বারান্দায় থাকা ইমামের কক্ষে থাকতেন। রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মসজিদের শয়নকক্ষে আব্দুল বাতেনকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে আব্দুল বাতেন মসজিদের পাশে একটি বাড়ির সামনে গিয়ে চিৎকার দেন। চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে ইমাম আব্দুল বাতেনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উঠানে পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) রের্ফাড করেন।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল বাতেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সৌরভ ঘোষ জানান, শেষ রাতের দিকে মাওলানা আ. বাতেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রে আঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়।

এ বিষয়ে মাওলানা আব্দুল বাতেনের বড় ছেলে বদিউজ্জামান বদি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে কলমাকান্দা হাসপাতালে যাই। সেখানকার দায়িত্বে থাকা ডাক্তার বাবার অবস্থা অবনতি দেখে তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করেন। পরে সোমবার সকালে ওখানে জরুরি বিভাগে পৌঁছা মাত্রই তিনি মারা যান। কে বা কারা এমন নির্মমভাবে আমার বাবাকে খুন করেছে জানি না। আমার বাবা তো কোনো অপরাধী ছিলেন না। কেন হত্যা করলো আমার বাবাকে। আমরা বাবা হত্যার ন্যায় বিচার চাই।’

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, ‘কি কারণে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সব দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে ক্রাইমসিনটি ঘিরে রেখে সেটি সংরক্ষণ করবে। এতে আরও আলামত পাওয়া যেতে পারে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’

তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। সেখান থেকে ময়না তদন্তের পর মরদেহ নিয়ে আসতে আরও হয়তো দুই-একদিন সময় লাগবে।


কোরবানি করতে গিয়ে গরুর লাথিতে প্রবাসীর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারা বাংলা ডেস্ক

কক্সবাজারের রামুতে কোরবানির পশু জবাই করতে গিয়ে গরুর লাথিতে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহার দিন রামু উপজেলা ঈদগড় ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের কোদালিয়াকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত প্রবাসী আব্দুল কাদির (৪৫) ওই এলাকার মৃত রামাদান করিমের ছেলে। তিনি সৌদি প্রবাসী ছিলেন।

ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো জানান, ঈদের জামাত শেষে গ্রামে গরু জবাই করার সময় হঠাৎ গরুটি আব্দুল কাদিরে বুকে লাথি মারে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। আাত্মীয়রা তাকে দ্রুত ঈদগড় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আব্দুল কাদিরের স্ত্রীসহ দুই ছেলে, পাঁচ মেয়ে রয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

রামু থানার তদন্ত কর্মকর্তা ঈমন চৌধুরী জানান, সংগঠিত গঠনায় কারো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।


সেতুর নিচে মিলল কারা হিসাবরক্ষকের মরদেহ

প্রাণ হারানো শহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারা বাংলা ডেস্ক

মানিকগঞ্জে সেতুর নিচ থেকে এক কারা হিসাবরক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঈদের দিন সোমবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাগীর ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর জাগীর সেতুর নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাণ হারানো শহিদুল ইসলাম (৫২) সিরাজগঞ্জের বাজন দারগাতী এলাকার বাসিন্দা। তিনি গাজীপুর কারাগারে কারা হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নিহতের স্ত্রী শামসুন্নাহার রুমি জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে ফোনে কথা বলে ঈদ করার জন্য গাজীপুর থেকে রওনা দেন স্বামী শহিদুল ইসলাম। এর পর একাধিকবার ফোন করেও শহিদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে ঈদের দিন সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে মরদেহের কথা জানতে পেরে জাগীর সেতুর নিচে যান এবং নিহত শহিদুল ইসলামকে শনাক্ত করেন তিনি।

মানিকগঞ্জ সদর ওসি মো.হাবিল হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় কৃষকরা জাগীর সেতুর নিচে একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে জরুরি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে এবং খবর পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে নিহতের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিহত শহিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন বলেও জানান ওসি।


সিলেটে পানিময় ঈদ, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৭ জুন, ২০২৪ ১৩:১৭
দেবাশীষ দেবু, সিলেট

ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে নগরের বেশিরভাগ এলাকা। ঈদের দিন সকালে এমন পরিস্থিতির কারনে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। জলাবদ্ধতার কারনে নগরের অনেক এলাকায় ঈদগায়ের ঈদের জামাত পেছানো হয়। বাসা বাড়ি ও সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কোরবানি দেয়া নিয়েও দুশ্চিন্তায় নগরবাসী।

এদিকে পাহাড়ি ঢলে নগরের বাইরে উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিশেষত সুনামগঞ্জ শহরে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি।

জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত থেকেই সিলেটে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। যা আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এতে সিলেট নগরের অর্ধেকের বেশি এলাকা জলমগ্ন হয়ে গেছে। কোথায়ও হাটু সমান, কোথাও কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে নগর।

আজ সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহার ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমনটা জানা গেছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে অনেক এলাকার মসজিদ ও ঈদগাহ।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো সজিব জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত সিলেটে ১৭৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও দুদিন এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সান্তনু দত্ত সন্তু জানান, রোববার রাতেই আমার ওয়ার্ডের তালতলা, মাছুদিঘীর পাড়, জামতলা, মনিপুরী রাজবাড়ী, রামের দিঘীরপাড়, খুলিয়া পাড়া, তোপখানাসহ প্রায় সকল এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। মানুষের বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় ঈদ উদযাপনে ভাটা পড়েছে।

নগরের বনকলা পাড়া এলাকার আব্বাসী জামে মসজিদে পানি ঢুকে পড়েছে। এই মসজিদে সকালে ঈদের জামাত হওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকে স্থানীয়রা মসজিদ থেকে পানি সেচে বের করার চেষ্টা করেছেন।

এদিকে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থতির অবনতি হয়েছে। সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ প‌য়ে‌ন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপ‌র দিয়ে প্রবাহিত হ‌চ্ছে। পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ পৌর শহ‌রের বেশ কয়েকটি এলাকার। এসব এলাকার বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

এছাড়া জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর ও তা‌হিরপুর উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হ‌য়ে আছে। জেলার অন্তত শতা‌ধিক অভ্যন্তরীণ সড়ক ত‌লি‌য়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভো‌গে পড়েছেন বা‌সিন্দারা।


গজারিয়ায় পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে চার গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৬ জুন, ২০২৪ ১৬:১৭
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে চারটি গাড়ির সংঘর্ষে একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার দুপুরে ভিটিকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে গাড়ি চারটির সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। তবে প্রাণ হারানো ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৫৮ বছর হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আহতরা হলেন, বাইকের চালক শাহাদাত হোসেন (৩৪), বাসের যাত্রী বেলাল হোসেন (৪০), শাকিল দেওয়ান (৩৮) ও শিল্পী আক্তার (৩৫)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন এক পথচারী। এ সময় ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী দ্রুত গতির একটি মোটরসাইকেল ওই পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রেক করে তার উপরে উঠে যায়। তখন বাইকের পেছনে থাকা একটি প্রাইভেট কার বাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এমন সময় প্রাইভেট কারটির সামনে ও পেছনে যাত্রীবাহী দুটি চলন্ত বাস এসে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাইভেট কারটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং যাত্রীবাহী বাস দুটিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ ঘটনায় পথচারী, বাইকের চালক ও বাসের তিনজন যাত্রী আহত হন। হতাহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় স্থানীয়রা।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কামরুন নাহার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের পাঁচজনকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে হাসপাতালে আনার পরপরই একজনের মৃত্যু হয়। আহত অপর চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, মরদেহ গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।


পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যা আসছে ধেয়ে

আপডেটেড ১৬ জুন, ২০২৪ ১২:০৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঈদের ছুটিতে গ্রামে ছুটছে মানুষ। কর্মজীবনের ক্লান্তি কাটিয়ে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাওয়ার একটাই উদ্দেশ্য শান্তিময় আনন্দে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন। তবে ঈদের দিনটাও অনেকের জন্যই হতে পারে উদ্বেগের। কারণ দেশের উত্তরবঙ্গ ও সিলেট বিভাগের নিম্নাঞ্চলগুলোতে বাড়ছে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি। ফলে তিস্তা, সুরমা, যমুনা অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষ। এ অঞ্চলের প্রতিটি নদীতে বেড়েছে পানি সমতলের উচ্চতা। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। প্লাবিত করেছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে ২৬ নদীর পানি: সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারাসহ ২৬ নদনদীর পানি বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ২৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামছে। আর সেই ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের সব নদনদীর পানি দ্রুত বাড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে পাহাড়ি ঢল নামা অব্যাহত থাকলে আজকেই নদ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। এতে সুনামগঞ্জে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’

এ দিকে দ্রুত নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যা আতঙ্কে দিন পার করছেন জেলার ২০ লাখ বাসিন্দা। তাদের শঙ্কা, যেভাবে নদীর পানি বাড়ছে তাতে ঈদের আগে বন্যা হয়ে যেতে পারে। আর বন্যা হলে তাদের ঈদ আনন্দ শেষ হয়ে যাবে।

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার পূর্বাভাস: লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। ইতোমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য বলছে, গতকাল শনিবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই দিন সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সর্দারপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, সিংগীমারী এবং সিন্দুর্না ইউনিয়ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নবাসী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা হলে নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এতে চিনাবাদাম ও বিভিন্ন শাকসবজিসহ ফসলেরও ক্ষতি হবে। আর কাউনিয়ার চরগনাই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার ভোর থেকে পানি বাড়ছে এবং আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে আছি। ঈদের আগে যদি আমাদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়, তাহলে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ব। বড় কষ্ট হবে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, আগামী ৫ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী এবং কিছু স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ইত্যাদি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদীর কিছু পয়েন্টে স্বল্প মেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

উজানে ভারী বৃষ্টি, কুড়িগ্রামে বন্যার শঙ্কা: কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে বৃষ্টি ঝরতে থাকলে ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদ অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান। পাউবো নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দেশের অভ্যন্তর ছাড়াও এসব নদ-নদীর উজানে ভারতের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলার পানি কুড়িগ্রাম শহর (ধরলা সেতু) পয়েন্টে ৮৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। একই সময়ে দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা অববাহিকায় ১০২ দশমিক ২ মিলিমিটার এবং তিস্তা অববাহিকায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা দুধকুমার, ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি কিছু সময় দ্রুত বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে পাউবো। আগামী কয়েক দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রাম সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদ-নদীতে জেগে ওঠা চরগুলো নিমজ্জিত হতে শুরু করেছে। সদরের হলোখানা ইউনিয়নের ধরলাতীরবর্তী বাসিন্দা আহমেদ বলেন, ‘গতকাল থেকে পানি খুব বাড়তি। দুই ফুটের বেশি বেড়েছে। কিছু চর ডুবতে শুরু করেছে। তবে সেগুলোতে জনবসতি নেই।’

রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা মিলন বলেন, ‘শুক্রবার সারা দিন পানি খুব বেড়েছে। কিন্তু রাতে কমেছে। তবে আবার ভারী বৃষ্টি হয়েছে।’

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী কয়েক দিন উজানে ভারী বৃষ্টিপাত রয়েছে। এ সময় জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে। পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির ওপর আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।’

তীব্র হচ্ছে যমুনার ভাঙন: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র হয়েছে। গত কয়েকদিনে নিঃস্ব হয়েছে ৩৫ পরিবার। বাড়িঘর হারিয়ে তাদের কেউ কেউ খোলা আকাশের নিচে আছেন। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের জমিতে। এসব পরিবারের দাবি, সাহায্য নয়- ভাঙন রোধে এলাকায় বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন।

টাঙ্গাইল সদরের কাকুয়া ইউনিয়নের চরপৌলি গ্রামের মুক্তার মণ্ডল। একসময় জমিজমা বাড়িঘর থাকলেও এখন তিনি নিঃস্ব। যমুনায় হারিয়ে গেছে তার আবাদি জমি ও বাড়িঘর। শুধু মুক্তারই নন, যমুনার ভাঙনে এই এলাকায় প্রতিবছর ভিটেমাটি হারান বহু মানুষ। তবে এবারের ভাঙন শুরু হয়েছে বর্ষার আগেই।

এলাকাবাসীর দাবি, টাঙ্গাইল সদরের কাকুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনের দুর্যোগ রয়েছে ৩০ বছর ধরে। যমুনার পূর্বপাড় গোয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় স্থায়ী বাঁধ হয়েছে। কিন্তু এ পাড়ে বাঁধ না হওয়ায় তারাই বার বার ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা সবার কাছেই বলছি। কিন্তু কেউ কিছুই করছেন না।

টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, সদরের চরপৌলী, কালিহাতী উপজেলার ভৈরববাড়ী ও আলীপুর এলাকার বাকি এক হাজার ৬২৫ মিটার বাঁধের কাজের জন্য নতুন প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে। সাময়িকভাবে আমরা নতুন ভাঙন রোধেরও চেষ্টা করছি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে যমুনার তীর রক্ষার চেষ্টা চলছে।


প্রথম দিন পদ্মা সেতুতে ৪ কোটি ৮২ লাখ, বঙ্গবন্ধুতে টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুন্সীগঞ্জ ও ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে ছুটছে মানুষ। তাদের বহনকারী ব্যক্তিগত পরিবহন ও গণপরিবহনে মহাসড়কগুলোতে দেখা দিয়েছে ঠাসা ভিড়। এ ছাড়া পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বিধিনিষেধের কারণে চলাচল কম করলেও মফস্বল থেকে ঢাকার পথে আসছে গরুবাহী ট্রাক। ফলে দুই পাড়ের দুই বড় নদী পদ্মা ও যমুনার ওপরে নির্মিত দুই সেতুর টোলপ্লাজায় টোল আদায়ও বেশ জমজমাট। এবারের ঈদের তিন দিন ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার মিলে যাওয়ায় টানা ৫ দিনের ছুটি পেয়েছেন কর্মজীবীরা। গতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির প্রথম দিন। শুক্রবারের ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ ১৭ হাজার ৪০০ টাকা, পারাপার হয়েছে ৪৪ হাজার ৩৩টি যানবাহন। অন্যদিকে টোল আদায়ের রেকর্ড করে ফেলেছে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজায়। এদিন ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৫৩ হাজার ৪০৭টি যানবাহন, টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সেতু চালু হওয়ার পর থেকে গত ২৬ বছরে এটি নতুন রেকর্ড। আজ শনিবার উভয় সেতুর কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এবারের ঈদুল আজহার সরকারি ছুটির প্রথম দিনে শুক্রবার (১৪ জুন) পদ্মা সেতু পারাপার হয়েছে ৪৪ হাজার ৩৩টি যানবাহন, যা থেকে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

পদ্মা সেতুর ব্যবস্থাপক (টোল) মো. আহমেদ আলী জানান, ‘১৪ জুন ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতুতে পারাপার হয়েছে ৪৪ হাজার ৩৩টি যানবাহন, যা থেকে সর্বমোট আয় হয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ ১৭ হাজার ৪০০ টাকা। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয় ২৮ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন, যা থেকে নগদ টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া বাকিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের যান পারাপারে টোল রয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৩৫০ টাকা। আর চলন্ত অবস্থায় ইটিসিএস পদ্ধতিতে টোল জমা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। অন্যদিকে জাজিরা প্রান্ত থেকে সেতু পার হয়েছে ১৫ হাজার ১৩৭টি যানবাহন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫৩ হাজার ৭৫০ টাকা বকেয়াসহ মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ ১৯ হাজার ৩০০ টাকা।’

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব সাইট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত ১২টা থেকে শুক্রবার (১৪ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ এক দিনে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা আদায় করা হয়েছে এবং এর বিপরীত সেতুর উভয় টোল দিয়ে ৫৩ হাজার ৪০৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ১৯৯৮ সালে সেতুটি উদ্বোধনের পর এর চেয়ে বেশি টোল আদায় আর কখনো হয়নি।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব সাইট অফিস সূত্র আরও জানায়, শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশের ঢাকা ও ময়মনসিংহের দিকে ৩৩ হাজার ২৫টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং সিরাজগঞ্জ সেতু পশ্চিম অংশে উত্তরবঙ্গের দিকে ২০ হাজার ৬৮৩টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ২৩ হাজার ৪০০ টাকা।

এর মধ্যে সেতুর টাঙ্গাইলের পূর্ব প্রান্তে ও সিরাজগঞ্জের পশ্চিম প্রান্তে ১০ হাজার ১০৫টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। হালকা ছোট যানবাহনের সংখ্যা ১৯ হাজার ৯৭২টি, বাস পারাপারের সংখ্যা ১২ হাজার ৮৭১টি এবং ট্রাক পারাপার হয়েছে ১০ হাজার ৭৬০টি। এদিকেও যানবাহন পারাপারে বেশি রয়েছে।

২০২৩ সালের ২৮ জুন ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ এক দিনে ২৪ ঘণ্টায় সেতুর ওপর দিয়ে ৫৫ হাজার ৪৮৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছিল। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা। এটিই ছিল সর্বশেষ এ বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ের রেকর্ড, যা গত বছরের তুলনায় বেশি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করা হয়। আর ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।


রাঙামাটিতে বজ্রাঘাতে নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু  

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় পৃথক স্থানে বজ্রাঘাতে এক নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

লংগদু থানা পুলিশের ওসি হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে বজ্রাঘাতে চার জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ি চেয়ারম্যান টিলার মো. ইব্রাহিমের স্ত্রী রিনা বেগম (৩৬) নিজ বাড়িতে বজ্রপাতে মারা যান। এ ছাড়া কাপ্তাই হ্রদে বোট চলমান অবস্থায় বজ্রপাতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

অন্য আরেকটি সূত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের একজন ও কাপ্তাই হ্রদে চলমান বোটে বজ্রপাতে তিনজন নিহত হন।

আটরকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আল আমিন বলেন, ‘আটারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ি চেয়ারম্যান টিলার ইব্রাহিম ভাইয়ের স্ত্রী রিনা বেগম (৩৬) বজ্রপাত নিহত হয়েছেন।’

ভাসান্যদম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, ‘মাইনীমুখ থেকে মিনা বাজার যাওয়ার পথে বজ্রপাতে তিনজন নিহত হন এবং একজন পানিতে ডুবে নিখোঁজ রয়েছেন।’

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লংগদু সার্কেল) মো. আবদুল আউয়াল জানান, লংগদু উপজেলার দুই স্থানে বজ্রপাতে মোট চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছেন।


শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার জামাত সকাল ৯ টায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঈদুল আজহার জামাত নির্বিঘ্নে করতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জামাত শুরু হবে ঈদের দিন সকাল ৯টায়।

জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, ঈদগাহ কমিটির কর্মকর্তাদের তৎপরতা ও দিন-রাতের পরিশ্রমে নামাজের উপযোগী হয়ে উঠছে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। এ মাঠে একসঙ্গে এক লাখের বেশি মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন। রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে বন্দুকের গুলির শব্দে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার সংকেত দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে মাঠে দাগ কাটা, বালু ফেলা, দেয়ালে রং করাসহ শোলাকিয়া ময়দানকে জামাতের উপযোগী করার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে ওজুখানা ও টয়লেট। চলছে শোভাবর্ধনের কাজও।

তাছাড়া মুসল্লিদের জন্য সুপেয় পানি, মেডিক্যাল টিম, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ নানা আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে এরই মধ্যে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও কয়েকটি মেডিক্যাল টিম।

দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেন দুটি মুসল্লি নিয়ে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে এসে নামাজের শেষে আবার ফিরে যাবে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। জামাতের মুসল্লিদের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। যেন মুসল্লিরা নিরাপদে জামাতে এসে নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারেন। জামাতে শুধু টুপি, মাস্ক ও জায়নামাজ ছাড়া কিছুই বহন করা যাবে না।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ২০১৬ সালে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে এবারও অন্যান্য বারের চেয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাঠসহ আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি জানান, নামাজের সময় ২ প্লাটুন বিজিবি, বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব. আনসার সদস্যের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করবে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এছাড়াও মাঠসহ প্রবেশ পথগুলোতে থাকছে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। আর আকাশে উড়বে পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা। এর ফলে নিরাপদে, নির্বিঘ্নে ও নিশ্চিন্তে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারবেন।

মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হয়বত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজি ১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির উপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। সে বছর শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশ নেন বলে মাঠের নাম হয় “সোয়া লাখি মাঠ”। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে পরিণত হয়ে নাম হয়েছে আজকের শোলাকিয়া মাঠে। মাঠে একসঙ্গে দুই লাখেরও বেশি মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন। প্রায় সাত একর আয়তনের মাঠটিতে নামাজের ২৬৫টি কাতার রয়েছে। এবার এ মাঠে ১৯৭তম ঈদের জামাত হবে।


ঘুষ না দিলে বিল আটকে রাখেন গণপূর্তের হিসাবরক্ষক

আপডেটেড ১৫ জুন, ২০২৪ ১৪:৪৮
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় চাহিদা মতো ঘুষ না দেওয়ায় বিভাগীয় হিসাবরক্ষক গণপূর্ত বিভাগের তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকজন ঠিকাদারের বিল আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সম্প্রতি ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা নেত্রকোনা গণপূর্ত কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ওই হিসাব রক্ষকের একটি এলিয়ন ব্যান্ডের সাদা রঙের ব্যক্তিগত গাড়ি আটক করে বিক্ষুব্ধ ঠিকাদাররা। পরে আবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশে হিসাব রক্ষক নাছিমা আক্তার রেখার চালকের কাছে গাড়ীর কাগজপত্রসহ গাড়ী ফেরত দেন ঠিকাদাররা। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নেত্রকোনা গণপূর্ত অফিসের সামনে ঠিকাদাররা গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই হিসাব রক্ষককে প্রত্যাহারের দাবি জানান ।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, যোগদানের পর থেকেই নাছিমা আক্তার রেখা টাকা ছাড়া কোনো বিল-নথিতে হাত দেন না। যারা তাকে টাকা দেন তিনি তাদের বিল ছেড়ে দেন। এ ছাড়া তার চাহিদা মতো টাকা আগে না দিলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে বিল আটকে রাখেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাদিরা কনস্টাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গত দুই বছর আগে আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২ লাখ ৬১ হাজার টাকার সংস্কার কাজ করি। যথাসময়ে কাজ শেষ করে বিল জমা দেই। নিয়ম মাফিক অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বিলে স্বাক্ষর করলেও হিসাবরক্ষক নাছিমা আক্তার রেখা বিলটি টাকার জন্য আটকে রাখেন। গত জুন মাসে আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ চাইলে ওই সময় নগদ ৮ হাজার টাকা দেই। কিন্তু তার চাহিদা পূরণ না হওয়ায় তিনি বিভিন্ন অজুহাতে আমার বিলটি আটকে রাখেন।’

চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সুজন ভূঁইয়া বলেন, ‘নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে সংস্কার কাজ শেষে ২০২২ সালের জুলাইয়ে ১৫ লাখ টাকার বিল জমা দেই। কিন্তু হিসাব রক্ষক ওই কার্যালয়ে যোগদান করেই আমার কাছে ৭৫ হাজার ঘুষ চান। টাকা না দেওয়ায় তিনি আমার বিলের পুরো ফাইলটি গায়েব করে দিয়ে এখন বলছেন আমি নাকি কোনো বিল জমা দেইনি। পরে আমি ফটোকপি দেখালে তিনি বলেন এক লাখ টাকা নিয়ে আসেন। এমনকি ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েও কাজ করছেন না। তিনি দামি গাড়িতে করে অফিস করেন।’

ঠিকাদার এনামুল হক রুমেল বলেন, হিসাব রক্ষককে টাকা না দেওয়ায় তার ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিল আটকে রেখেছেন দেড় বছর ধরে। আমার মতো এ রকম সূচি কনস্টাকশন, নাহিদ এন্টারপ্রাইজ, সরকার এন্টারপ্রাইজ, সাদ এন্টারপ্রাইজ, চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ, ইমন এন্টারপ্রাইজ, নাদিরা কনস্ট্রাকশন, সরকার ট্রেডার্স, রহিমা এন্টারপ্রাইজ, জয়শ্রী এন্টারপ্রাইজ, এস. এ এন্টারপ্রাইজ সহ ২০ জন ঠিকাদারের বিল আটকে রেখেছেন।

জানতে চাইলে হিসাব রক্ষক নাছিমা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কোনো কথা বলবো না। আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। আর টাকা চাইলেই সহজেই কি কেউ দিয়ে দেয়?’ গাড়িটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঠিকাদাররা এভাবে আমার গাড়ির আটকে রেখে কাগজপত্র নিতে পারে না। তবে গাড়িটি আমার না। এটা আমার বোন জমাইয়ের।’ নেত্রকোনা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসিনুর রহমান বলেন, ‘হিসাব রক্ষকের বিষয়ে অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব।’


ঈদ ঘিরে দর্শনীয় স্থানগুলো দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

আপডেটেড ১৫ জুন, ২০২৪ ১৩:৫৭
হোসেন রায়হান, পঞ্চগড়

ঈদে পঞ্চগড়ের বিনোদনের স্থানগুলো থেকে অবৈধ স্থাপনাসমূহ সরিয়ে নিয়ে পর্যটকদের ভ্রমণ স্বাচ্ছন্দময় করতে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সমাজের সচেতন মহল।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন ছুটে এসেছেন বাড়িতে। উৎসবের এই আয়োজনকে ঘরে ছুটিকালীন পরিবার-পরিজন নিয়ে জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করেন সবাই। কিন্তু একটি সুবিধাভোগী মহল জেলার এসব পর্যটন কেন্দ্রে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে। তারা পর্যটকদের জিন্মি করে প্রতারণাসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় ফেলে। এলোমেলো পার্কিং, রাস্তা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, স্থানীয় ক্লাব সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজি করে সাধারণ মানুষকে করা হয় হয়রানি। বিশেষ করে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের মহারাজার দিঘি, চাওয়াই অববাহিকা, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো শহরের তুলারডাঙ্গা হিমালয় পার্ক, বোদার টাঙ্গন ব্যারেজ এলাকায় ঘটে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। ফলে এসব পর্যটন কেন্দ্রে আসতে আগ্রহ হারাচ্ছেন পর্যটকরা।

জেলা নাগরিক কিমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এরশাদ হোসেন সরকার বলেন, ‘দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত এই সীমান্ত নগরী। অসংখ্য নদনদী, সমতলের চা, মাল্টা, আমের বাগান, মহানন্দর তীরে বসে ভারতীয় সার্চ লাইটের তীর্যক আলোকরশ্মি, বাংলাবান্ধা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ প্যারেড, রওশনপুরে কাজী অ্যান্ড কাজীর আনন্দধারাসহ মহানন্দা থেকে নীল নুড়ি পাথর সংগ্রহের অপরুপ সৌন্দর্য দেখার জন্যে ছুটে আসে মানুষ। জেলা সদর থেকে সোজা উত্তরে ১৫ কিলোমিটার দূরে পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়ক ঘেঁষে চাওয়াই নদীর পাড়ে ‘৭১ এর মুক্তাঞ্চল’। প্রশাসনের উচিত এসব পর্যটনস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় চাওয়াই নদীর ওপর সেতুটি বিধ্বস্ত করে দেয় মুক্তিবাহিনী। ফলে পাক বাহিনী প্রবেশ করতে পারেনি এ এলাকায়। যুদ্ধের পুরোটা সময় তাই মুক্ত ছিল এ অঞ্চ। স্বাধীনতার পর চাওয়াই এর ওপর নির্মিত হয়েছে নতুন সেতু। চাওয়াই এর অববাহিকায় কংক্রিটের সুন্দর স্থাপনায় তৈরি হয়েছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। উপজেলা প্রশাসন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখানে গড়ে তুলেছে শিশুদের জন্যে পার্ক, ভ্রমণকারীদের জন্য নদীর তীর ঘেঁষে বসার ব্যবস্থা, সীমান্ত জেলার নামকরণ ফলক। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত পর্যটকদের পদচারণায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠে এ এলাকা। শীত মৌসুমে এখানে দাঁড়িয়ে সোজা উত্তরে তাকালে চোখে পড়ে সুনীল আকাশ আর হিমালয় দাঁড়িয়ে আছে পাশাপাশি। প্রতি বছর শীত মৌসুমে দেশের নানা স্থান থেকে তেঁতুলিয়ায় ছুটে আসে অসংখ্য পর্যটক। এই অববাহিকায় সড়ক বিভাগের পরিত্যক্ত সড়কের বিশাল অংশে পর্যটকদের জন্য খোলা স্থানে পার্কিংসহ শিশুদের জন্যে খাবার দোকান, খেলনার দোকানসহ নানা স্থাপনা গড়ে উঠেছে। পর্যটকরা স্বচ্ছন্দেই সেই জায়গাটি ব্যবহার করে আসছে। হঠাৎ করেই স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী সেটি দখল করে পুরো জায়গাটিতে স্তূপ করে রেখেছে বালি পাথর। ফলে বিড়ম্বনায় পড়েছে সাধারণ পর্যটকরা।

জেলা সদর থেকে বেড়াতে আসা পুলিশ কর্মকর্তা কাইয়ুম আলী বলেন, ‘শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে মানুষ অবসরে পরিবার-পরিজন নিয়ে চাওয়াই নদীর মুক্ত বাতসে ছুটে আসে। সড়ক বিভাগের পরিত্যাক্ত সড়কের ওপর পার্কিং করে এলাকা ভ্রমণ করে। হঠাৎ করেই কিছু বালি ব্যবসায়ী জায়গাটি দখলে নিয়ে বালি পাথরের স্তূপ করেছে। এতে সমস্যায় পড়েছে সকলে।’

জেলা শহরের ব্যবসায়ী হাজী আকতারুল ইসলাম বলেন, শহরে শিশুদের বিনোদনের কোন জায়গা নেই। চাওয়াই অববাহিকায় মানুষজন পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে আসে। সুন্দর নান্দনিক এই পরিবেশটি এখন অবৈধ বালি ব্যবসায়ীদের দখলে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। স্থানীয় অমরখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘মহানন্দা, করতোয়া, চাওয়াই, ডাহুক, গবরা, তিরনইসহ অসংখ্য ছোট নদ নদীর পানিপ্রবাহ, সমতলের চা বাগান, শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা, রুপ লাবণ্যে ভরা টিউলিপ, সীমান্ত নদীর নীল নুড়ি পাথর পর্যটকদের নানা ভাবে বিমোহিত করে আসছে। সামনে ঈদে এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটবে। পরিষদের পক্ষ থেকে এলাকাটি দখলমুক্ত করতে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে শীতলক্ষ্যা এখন মৃত প্রায়!

দুর্গন্ধযুক্ত পানি নদী-তীরবর্তী এলাকার পরিবেশে বিপর্যয় ডেকে আনছে
আপডেটেড ১৫ জুন, ২০২৪ ১১:০৪
মো. লতিফ আহম্মেদ আকাশ, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সীমানায় এক সময়ের পরিবেশবান্ধব ও পরিষ্কার পানির ভাণ্ডার শীতলক্ষ্যা নদী এখন মৃত প্রায়। অসংখ্য শিল্প কারখানার অপরিশোধিত বিষাক্ত বর্জ্য ও ডিএনডি এলাকার ময়লা অবাধে নদীতে মিশে পরিবেশ আজ বিপন্ন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিচ্ছে। তবে দূষণের এই পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে পারছে কেউই। এতে নদীটি এখন জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিল্পবর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এক সময়ের নজরকাড়া শীতলক্ষ্যা। নদীর পানিতে তরল নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানের বিষাক্ত বর্জ্য পড়তে পড়েতে ভিন্ন রং ধারণ করেছে। দুর্গন্ধযুক্ত পানি নদী-তীরবর্তী এলাকার পরিবেশে বিপর্যয় ডেকে আনছে। পানি দূষিত হওয়ায় নদীর জলজ প্রাণী মরে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে নদীর সৌন্দর্য।

স্থানীয়দের মতে একসময় শীতলক্ষ্যা নদীর পানি আয়নার মতো পরিষ্কার থাকলেও কালের পরিবর্তনে আর অসাধু শিল্প কারখানা মালিকদের প্রয়োজন মিটাতে গিয়ে শীতলক্ষ্যা কালো পানির নদীতে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, নদীর পাড়ে যেসব প্রতিষ্ঠান পানি শোধনাগার ইটিপি প্ল্যান না করেই নদীতে বর্জ্য ফেলছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সক্রিয় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর।

আব্দুল করিম নামে শিমড়াইল এলাকার বাসিন্দা দৈনিক বাংলাকে বলেন, এক সময়ে এই নদী ছিল আয়নার মতো। পানি টলমল করত তার। এই পানি খেয়ে পিপাসা মিটাত সবাই। আজ তা এখন সুদূর অতীত। নদীটি এখন মরা খালে রূপ নিয়েছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আবার যদি ফিরে পেতাম সেই নদীটি। তাহলে কতই না শান্তি পেতাম।’ আমেনা আক্তার নামে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘নদীর পাড়ে বসবাসকারীরা এখন নদীর পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ। এ ছাড়া নদীর কালো পানি গায়ে লাগলে নানাবিধ অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ি আমরা।’

নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘শীতলক্ষ্যার দূষণ রোধে নদী-তীরবর্তী এলাকার সব তরল নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানকে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা ও সাবধান করা হচ্ছে। নদীটি রক্ষায় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, শীতলক্ষ্যা নদী আমাদের ঐতিহ্য। তাকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।


প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেল জাহাজ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেলসহ নানা ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও মালামাল নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে এমভি ‘বারো আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজ।

আজ শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর ২টা ১৫মিনিটের দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

জানা যায়, জাহাজটিতে দেড় শতাধিক লোকজন ও সরকারি সহায়তায় খাদ্যপণ্য এবং পাঁচটি কোরবানির গরু রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, দ্বীপের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে জাহাজটি পাঠানো হয়েছে। এটি বঙ্গোপসাগর দিয়ে টেকনাফ পৌঁছে ঘোলারচর হয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে। পণ্য সামগ্রীর পাশাপাশি কক্সবাজারে আটকে পড়া সেন্টমার্টিনের অনেক বাসিন্দাও এই জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাবেন।

শুক্রবার সকাল ১০টায় বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ‘এমভি বারো আউলিয়া’ জাহাজে তোলা হয় চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ নানা ধরনের ভোজ্যপণ্য। একই সঙ্গে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারাও জড়ো হন নিজ এলাকায় ফেরার জন্য।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকালে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক মানুষ টেকনাফ পৌঁছান। এ সময় টেকনাফ থেকে চারটি ট্রলারে করে তিন শতাধিক লোক সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে চারটি ট্রলার লোকজন নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যায়। সেখান থেকে অন্তত দুই শতাধিক মানুষ টেকনাফে ফিরে আসেন। এসময় বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদার করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ করে মিয়ানমার থেকে বার বার গুলি ছোঁড়া হয়। এ ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্বীপটিতে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার থেকে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল শুরু করা হয়।


banner close