রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
৯ চৈত্র ১৪৩১

বিএনপি নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর

সংগৃহীত ছবি
প্রতিনিধি, নাটোর
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, নাটোর
প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:১২

নাটোরে বিএনপির রোডমার্চে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের বহনকারী মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মারপিট করার অভিযোগ করেছে জেলা বিএনপি। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সকালে সদর উপজেলার ডাল সড়ক, তেবাড়িয়া ও সৈয়দ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব দেওয়ান শাহীন জানান, বিএনপির রোর্ডমার্চ সফল করার লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা গাড় নিয়ে বের হন। এ সময় সদরের ডাল সড়ক এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বহনকারী একটি হাইয়েস গাড়ি থামিয়ে সরকারদলীয় ক্যাডাররা তাদের মারধর করেন এবং গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এ ছাড়াও সৈয়দ মোড় ও তেবাড়িয়া এলাকায় তাদের নেতাকর্মীদের আরো দুটি গাড়ি ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এতে তাদের ১৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

তবে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, ‘বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি তারা তাদের মতো করে পালন করছে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমরা শুনেছি ডাল সড়ক এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেটা গাড়িতে থাকা সিলিন্ডার ফেটেও হতে পারে। অথবা বিএনপির লোকজন নিজেরাই নিজেদের গাড়ি পুড়িয়ে দিতে পারে, ভাঙচুর করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, জনগণ বিএনপির এসব লংমার্চ, মিছিল, মিটিং, হরতাল কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে না। যার কারণে বিএনপি দেশে নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিভিন্ন বিষয়ে আওয়ামী লীগকে জড়ানোর চেষ্টা করছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ জানান, গাড়িতে আগুন ধরেছে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে গাড়িতে কীভাবে আগুন ধরেছে বা গাড়িতে কারা ছিল তা তিনি জানেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার, ভুল বোঝাবুঝির কথা জানাল পরিবার

বিল্লাল শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি সীমান্ত চৌকির অধীনে সিপাহী ছিলেন। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিরতলা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৩ মার্চ, ২০২৫ ১৫:৩৪
প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির পর উদ্ধারে গিয়ে নিখোঁজ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহী মো. বিল্লাল হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়ায় বঙ্গোপসাগর থেকে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিল্লাল শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি সীমান্ত চৌকির অধীনে সিপাহী ছিলেন। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিরতলা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।

এর আগে গত শুক্রবার গভীর রাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনায় নারী-শিশুসহ ২৫ জন রোহিঙ্গাকে জীবত উদ্ধার করে। সে সময় বিজিবির সদস্যের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নিখোঁজ হন।

ঘটনার পরের দিন শনিবার পর্যন্ত পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘নিখোঁজ থাকার দুই দিন পর সাগর থেকে বিজিবি সদস্যের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এর আগে সমুদ্রে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় বহনকারী নৌকায় উদ্ধার অভিযানে যায় বিজিবি সদস্য। ওই সময় নৌকাডুবির ঘটনায় সমুদ্রে নিখোঁজ হন তিনি। অবশেষে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া ঘটনার দিন খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার অভিযানে যান এবং শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। আমাদের উদ্ধার অভিযান চলছে।’

এদিকে নিহত বিজিবি সদস্যের ভাই আবু বকর বলেন, ‘ভাইকে খোঁজার জন্য টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। এর মধ্য খবর আসে সাগরে চরের মধ্য ভাইয়ের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

‘গত শুক্রবার সাগরে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকা উদ্ধার অভিযানে গেলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ছিল ভাই। ওই সময় আমাদের জানানো হয়েছিল তিনিসহ ৩৩ জন নিখোঁজ ছিল। এ নিয়ে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।’

নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘এর আগে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ চার রোহিঙ্গার মৃতদেহ ভাসমান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও বেশ কিছু রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে। তাদের বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’

স্থানীয়রা জানান, গত ২২ মার্চ রাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া এলাকায় সাগরে ভাসতে দেখেন বিজিবির সদস্যরা। তারা স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মালিকাধীন মাছ ধরার নৌকায় শাকের মাঝির নেতৃত্বে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাটি থামানোর সংকেত দেন সমুদ্রে। পরে ওই নৌকাতে ওঠেন বিজিবি সদস্য।

ওই সময় উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। সেখানে চিৎকারে নারী-শিশুসহ ২৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলে ও বিজিবি। পরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের সন্ধানে সাগরে তল্লাশি চালানো হয়।

ডুবে যাওয়া নৌকায় অর্ধশতাধিক লোকজন ছিল বলে জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা।

মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য ঈমান হোসাইন ও আবুল মনছুর মিলে মিয়ানমারের থেকে রোহিঙ্গা পারাপার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।


৪০০ কিলোমিটার সাঁতরে চাঁদপুরে রফিকুল, গন্তব্য বঙ্গোপসাগর

আপডেটেড ২৩ মার্চ, ২০২৫ ১৩:০৯
ইউএনবি

দীর্ঘ ৪০০ কিলোমিটার নৌপথ সাঁতরে চাঁদপুরে পৌঁছেছেন সাহসী সাঁতারু রফিকুল ইসলাম। তার লক্ষ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত যাওয়া। কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকা ঝুনকারচর থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেছেন। এই যাত্রায় চাঁদপুরে পৌঁছাতে তার সময় লেগেছে ১৯ দিন।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম একজন সাহসী উদ্যমী সাঁতারু। তার আরেকটি বিশেষ পরিচয় হলো তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদারের স্বামী। তিনিও তার সঙ্গে রয়েছেন।

চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে শনিবার (২২ মার্চ ) বিকালে সাঁতারু রফিকুল ইসলাম সাঁতার কেটে মেঘনা পাড়ে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান চাঁদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ, বিশ্ব ভ্রমণকারী তানভীর অপুসহ চাঁদপুরবাসী।

সাঁতারু রফিকুল ইউএনবিকে জানান, অভিযাত্রী সংগঠনের পক্ষ থেকে কাজ করা হয় অ্যাডভেঞ্চার রোমাঞ্চকর বিষয়ে। এরই ধারাবাহিকতায়শোক থেকে শক্তিস্বাধীনতা দিবসের অর্জনের শক্তি হিসেবে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার নৌপথ সাঁতরিয়ে অতিক্রম করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে তিনি নদীতে ঝাপ দেন, শুরু করেন সাঁতার।

তিনি আরও বলেন, শনিবার শরীয়তপুরের সুরেশ্বর চরআত্রা এলাকা থেকে সকাল ৭টায় রওনা করে বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর মোলহেডে এসে পৌঁছেন তিনি।

সময় তিনি ২২ কিলোমিটার নদী পথ সাঁতরে আসেন। দেখা গেলো তিনি বেশ চাঙা উদ্যমী। (মরালী বুস্ট আপ)

তিনি আরও বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২২ মার্চ শনিবার দিন পর্যন্ত তিনি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার নদী পথ সাঁতার কেটেছেন।

এর মধ্যেকুড়িগ্রামের চিলমারী, যমুনা সেতু , পদ্মা-মেঘনাসহ অনেক নদী পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম রবিবার ভোরে চাঁদপুর থেকে রওনা করবেন ১৫০ কিলোমিটার নৌ পথ পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে। তার সঙ্গে রয়েছেন সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণাদানকারী এভারেষ্ট বিজয়ী সহধর্মীনি নিশাত মজুমদার, সহযাত্রী ফারুকসহ গ্রেট ডেলটা (কুড়িগ্রাম থেকে শুরু হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগর ) অভিযাত্রী সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

সাহসী এই সাঁতারু আরও বলেন, নদীমাতৃক আমাদের এই দেশ। এদেশে অনেক ছোট, বড় নদী রয়েছে। সাঁতার কাটতে কাটতে চেনা যায় নদীর পারের সহজ সরল মানুষদের। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সকলের দোয়াও কামনা করেন তিনি।


নাফ নদীতে ৩৩ জন বিজিবি সদস্য নিখোঁজের খবরটি গুজবনির্ভর অপপ্রচার: বিজিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে অভিযানে গিয়ে বিজিবির ৩৩ জন সদস্য নিখোঁজের বিষয়টি গুজবনির্ভর অপপ্রচার বলে জানিয়েছে বিজিবি

শনিবার রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে কথা জানানো হয়।

বিজিবি জানিয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, গত দুই দিন ৩৩ জন বিজিবি সদস্য নাফ নদীতে মিশনে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজবনির্ভর এই অপপ্রচারে বিজিবির দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এই তথ্যটি ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ২২ মার্চ ভোররাতে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিমপাড়া ঘাটের নিকট দিয়ে রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা অবৈধ উপায়ে সাগরপথে বাংলাদেশে আসার সময় প্রবল স্রোতের কারণে নৌকাটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে সৈকতের পার্শবর্তী স্থানে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা স্থানীয় জেলেদেরকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের জন্য ছুটে যায় এবং ২৪ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকাজ চলাকালে সমুদ্র উত্তাল থাকায় এবং অন্ধকার রাতের কারণে একজন বিজিবি সদস্য সম্ভাব্য পা পিছলে পড়ে সমুদ্রে নিখোঁজ হয়।

পরবর্তীতে ডুবে যাওয়া নৌকাসহ ২৪ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করেছে বিজিবি। সম্পূর্ণ দুর্ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক এবং বর্তমানে নিখোঁজ একজন বিজিবি সদস্যসহ অন্যান্য রোহিঙ্গাদেরকে উদ্ধার সার্চ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।


গাজীপুরে একই পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার

আপডেটেড ২৩ মার্চ, ২০২৫ ১১:৪৯
ইউএনবি

গাজীপুরের কাশিমপুরে নিজ বসত ঘর থেকে স্বামী- স্ত্রী ও এক সন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৩ মার্চ) লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, রবিবার সকালে কাশিমপুরের গোবিন্দবাড়ি এলাকার একটি বাসা থেকে নাজমুলের লাশ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তার স্ত্রী খাদিজা ও শিশু কন্যা নাদিয়ার লাশ বিছানা থেকে উদ্ধার করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, নাজমুল নিজে ফাঁসিতে ঝুলার আগে স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদের জেড়ে এর আগে নাজমুল ব্লেড দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত করে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


গলার কাঁটা এলেঙ্গা-যমুনা সেতুর ১৩ কি.মি মহাসড়ক, যানজটের শঙ্কা

ঈদযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। তবে এখনো ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা অংশে ৪ লেনের কাজ চলছে। ফলে এখানে গাড়িজটের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)  

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। প্রতি বছর ঈদে এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন, যা বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। যার কারণে এ মহাসড়কে যানবাহনের চাপে জটলা বাঁধে। অন্যদিকে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কের চার লেনের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হওয়ায় গতবারের মতো এবারও তা ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে আন্তরিকতার সঙ্গেই কাজ করছে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন। যমুনা সেতু সাইট অফিসের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়ককে ৪টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। এতে মহাসড়কে সাড়ে ৭শ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। লিংক রোডগুলোতে বাঁশকল বসানো হবে। সেখানে পুলিশের পাশাপাশি টাঙ্গাইল শ্রমিক ফেডারেশন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে।

পরিবহন চালকরা বলছেন, ঈদ এলেই মহাসড়কে তড়িঘড়ি কাজ শুরু হয়। এতে গাড়ির গতি ঠিক থাকে না এবং দেবে যাওয়া রাস্তায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর মহাসড়কের চার লেনের কাজ শেষ হয়েছে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ৪ লেনের কাজ এখনও চলমান। এর ফলে মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, যমুনা সেতুতে টোল আদায় দুই প্রান্তেই হয়। তবে সফটওয়ারে সমস্যার কারণে কোন কোন প্রান্তে টোল আদায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধের ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটে। ফলে সেতুর ওপর দীর্ঘ সময় গাড়ি আটকা থাকলে যানজট হয়। এবার এসব আশঙ্কা তো আছেই সঙ্গে বড় আশঙ্কা সেতু থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা অংশ পর্যন্ত রাস্তায় চার লেনের উন্নয়ন কাজের জন্য ধীরগতি। ধারনা করা হচ্ছে, ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে ছেড়ে আসা যমুনা সেতু হয়ে উত্তরবঙ্গগামী গাড়ি এলেঙ্গা এলাকায় আসার পর সড়ক সংস্কার কাজের জন্য ধীরগতিতে পড়ায় এর প্রভাব পড়বে পেছনে থাকা টাঙ্গাইল শহর অথবা বাইপাস সড়কে। আর সিরাজগঞ্জ পার হয়ে যমুনা সেতু অতিক্রম করা যাত্রীবাহী বাসগুলোও এলেঙ্গাতে এসে ধীরগতিতে পড়লে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হলে এর প্রভাবে যমুনা সেতুর ওপরেওযানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর ওপর যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ও যানজট না হয় সে লক্ষ্যে ১৯টি পদক্ষেপ নিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, মহাসড়কের এলেঙ্গার পর থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে উন্নয়ন কাজ চলছে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গগামী লেনে পুরোদমে কাজ চলছে। বিশেষ করে এই অংশে থাকা ছোট ছোট সড়ক সেতুর কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।

আনালিয়াবাড়ী এলাকায় সেতুর কাজ করা শ্রমিক সেলিম মিয়া বলেন, কয়েকদিন আগে আমাদের কাজ করা জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। ঈদের আগে সেতুর কাজ শেষ করার তাগিদ রয়েছে। আমরা আট জন শ্রমিক মিলে এখানে সার্বক্ষণিক কাজ করছি। আশা করছি যথা সময়ে কাজ শেষ করতে পারবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারীর তয়েজ এন্টারপ্রাইজের বাসচালক ইকবাল হোসেন বলেন, মহাসড়কে পুলিশের সঠিক তদারকি প্রয়োজন। এছাড়া এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত কাজ করছে। কাজ শেষ না হলে এবারও মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করছি। গতবছরও এ মহাসড়কে যানজট হয়েছিল। প্রতিবছরই আমাদের যানজটের কবলে পড়তে হয়।

এ প্রসঙ্গে চার লেন বাস্তবায়ন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রবিউল আউয়াল জানান, এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত মহাসড়কের সাড়ে ১৩ কিলোমিটারের ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে ঈদের আগেই মহাসড়কের এই অংশের কাজ শেষ করে উত্তরবঙ্গগামী পুরো লেন চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে ১৯টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যমুনা সেতু দিয়ে সার্বক্ষণিক টোল চালু রাখার চেষ্টা করা হবে। এবার সেতু পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের ১৪টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে। এর মধ্যে ৪টি করে উভয় প্রান্তে ৮টি বুথে ফাস্ট ট্রাক লেন এবং মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে আলাদা ৪টি বুথ থাকবে।

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। যানজট নিরসনে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জেলা পুলিশের সাড়ে ৭শ সদস্য দায়িত্ব পালন করাসহ মোবাইল টিম ও প্রিকেট টিম কাজ করবেন। তিনি আরও জানান, আগামী ২৫ মার্চ থেকে পুলিশ মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। ঈদের পরেও যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আশা করেন এবার মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হবে না।


আগুনে জ্বলছে সুন্দরবন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪ ইউনিট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন টেপারবিল এলাকায় গহীন বনে আগুন লেগেছে। শনিবার সকালে লাগা এ আগুন এখনও নেভানো সম্ভব হয়নি। এমন পরিস্থিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে বাগেরহাট মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও কচুয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানা যায়।

তবে পর্যাপ্ত পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস। এরই মধ্যে বনরক্ষীরা ফায়ার লাইন কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তবে আগুন লাগার স্থানে আশপাশে কোন পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে বনরক্ষী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশন কর্মকর্তা ফরেষ্টার বিপুলেশ্বর দাস জানান, আশেপাশে পানির কোন উৎস নেই। বনের খাল থেকে প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে গহীন বনের মধ্যে আগুন জ্বলছে। আগুন যেন বনের ব্যাপক এলাকাজুড়ে ছড়াতে না পারে সেজন্য আগুনের চারপাশে ফায়ারলাইন কাটা শুরু করেছেন বনরক্ষীরা।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করীম জানান, সুন্দরবনে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসে ৪টি ইউনিট কাজ করছে। রাত হয়ে যাওয়ায় আজকের মত কাজ বন্ধ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুন্দরবনের কি পরিমান ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে তা জানাতে পারেননি তিনি।


রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবি: ৪ মরদেহ উদ্ধার

বিজিবি সদস্যসহ নিখোঁজ অনেকে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাডুবিতে নারীসহ চার রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিজিবির এক সদস্যসহ আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিখোঁজ বিজিবি সদস্য শাহপরীর দ্বীপ বিওপির অধীনে কর্মরত বিল্লাল হোসেন (সিপাহি)।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম উপকূল এলাকা থেকে ভেসে আসা রোহিঙ্গাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় টেকনাফে নৌকাডুবির ঘটনায় নারী, পুরুষ, শিশুসহ ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে বিজিবি।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনায় চার রোহিঙ্গার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিজিবির সদস্যসহ আরও বেশকিছু রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, 'সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা ডুবে যায়। নৌকার তলা ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।'

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া এলাকায় সাগরে ভাসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মালিকানাধীন মাছ ধরার নৌকায় শাকের মাঝির নেতৃত্বে মাঝিমাল্লারা রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাটি থামানোর সংকেত দেন সমুদ্রে। পরে ওই নৌকাতে ওঠেন বিজিবি সদস্য। এ সময় উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে নারী-শিশুসহ ২৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলে ও বিজিবি।


বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাভারে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

আপডেটেড ২২ মার্চ, ২০২৫ ১৮:১৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাভারে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ ইকবালের নির্দেশে সাভার পৌর ছাত্রদলের মেহেদী হাসান সানির উদ্যোগে সাভার পৌর ১নং ওয়ার্ডের কো-অপারেটিভ অগ্রণী হাউজিং সোসাইটি মাঠে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাভার পৌর মেয়র প্রার্থী লায়ন মো: খোরশেদ আলম।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সাভার পৌর ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এসময় প্রধান অতিধির বক্তব্যে লায়ন মো: খোরশেদ আলম বলেন,বিগত ১৫-১৬ বছর আমরা যারা বিএনপি করেছি শুধু আমি নই সাভারের নেত্রীবৃন্দসহ সারা বাংলাদেশে বিরোধী দলে যারা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো তাদের উপর অত্যাচারের একটি স্টীম রোলার চালিয়েছে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। নানা রকম মামলা হামলা নির্যাতন সয্য করেও যারা আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সম্পর্ক রেখেছে এবং দলের কাজ কর্ম করে যাচ্ছে তাদেরকে আমি দলের পক্ষ থেকে ও আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাই। কারন চরম দৈর্য্য না ধরলে এই দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরোদ্ধে করা ভাবে লড়ে না গেলে আমরা সফল হতে পারতাম না।

তিনি এসময় আরো বলেন,পাঁচ আগষ্ট যে স্বাধীনতা এসেছে এই স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আর যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করছি।

লায়ন মো: খোরশেদ আলম বলেন,আমরা একটু সাভারের দিকে তাকাই। এই সাভার একটি অবহেলিত সাভার। দীর্ঘদিন এই সাভারে যে পরিমান উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিলো তা হয়নি। এই না হওয়ার পিছনে একটি জিনিস দায়ী সেটি হলো-দায়িত্বশীল যারা ছিলেন তারা কখনোই আপনাদের নিজের মানুষ মনে করেনি। যদি তারা কাজ করতো বা সাভারকে নিজের পৌরসভা হিসেবে যদি গ্রহন করতো তাহলে কাজ করতে পারতো।
আমি দীর্ঘদিন কাউন্সিলর ছিলাম সমস্যাগুলো আমি কাছ থেকে দেখেছি। এখানে শুধু দরকার একটু প্রচেষ্টা এবং জনগনের সহযোগীতা।
একজন মেয়র যদি চিন্তা করে আমি সাভারের জন্য কাজ করবো আর জনগন যদি চিন্তা করে আমরা মেয়রের পাশে আছি তাহলে কোন কিছুতেই সেই উন্নয়ন ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব না।

এসময় তিনি আরো বলেন,আমার কাজ দ্বারা যদি আমাকে আপনাদের যোগ্য মনে হয় তাহলে আপনারা আমাকে নির্বাচিত করবেন। যতদিন বেচে আছি আমি সাভারের জন্য এবং সাভারের মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।


রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবিতে উদ্ধার ২৫

নিখোঁজ বিজিবির এক সদস্য
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারের টেকনাফে ঢেউয়ের কবলে পড়ে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত নারী, পুরুষ, শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ ঘটনায় বিজিবির এক সদস্যসহ নিখোঁজ রয়েছেন বেশকিছু রোহিঙ্গা।

শনিবার রাত আড়াই টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়া এলাকার সমুদ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ বিজিবির সদস্য একজন সিপাহি। তিনি টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি বিওপির অধীনে কর্মরত ছিলেন।

নৌকা ডুবির ঘটনা স্বীকার করে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, 'মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ২৫জন রোহিঙ্গাকে জীবত উদ্ধার করা হয়েছে। সাগরে বিজিবির উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে নিখোঁজ বিজিবির সদস্য বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।'

এ বিষয়ে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, 'মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি অনুপ্রবেশের খবরে বিজিবি অভিযানে গেলে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবির এক সদস্যসহ বেশ কিছু রোহিঙ্গা নিখোঁজ থাকার খবর পেয়েছি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।'

স্থানীয়দের মতে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়া এলাকায় সাগরে ভাসমান দেখে বিজিবির সদস্য স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মালিকাধীন মাছ ধরার নৌকায় শাকের মাঝির নেতৃত্বে মাঝিমল্লারা রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি থামানোর চেষ্টা করে। এক প্রকারে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকায় বিজিবি সদস্য পার হয়। এ সময় সাগরের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে তাদের জোর চিৎকার শোনে স্থানীয় জেলেরা এগিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে। পরে বিজিবি খবর পেয়ে ১০-১৫ কাঠের নৌকায় নিখোঁজ বিজিবির সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের সন্ধ্যানে সাগরে তল্লাশি চালায়। তবে ডুবে যাওয়া নৌকায় অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা ছিল বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকৃতরা।

নৌকার মালিক মো. আমিন বলেন, 'মাঝ রাতে সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ধরতে যাওয়ার কথা বলে ওই বিজিবির সদস্য আমার নৌকাটি নিয়ে যায়। পরে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাটি কুলে নিয়ে আসার পথে সাগরে ঢেউর স্রোতে সাগরে ডুবে যায়। এতে ২৫ জনের মতো রোহিঙ্গা জীবত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির এক সিপাহী নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে সাগের তল্লাশি চলছে।'


ট্রেনের ১৩০ টিকিটসহ আটক যুবক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে ট্রেনের ১৩০টি টিকিটসহ সাজেদুর রহমান (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। আটক সাজেদুর রহমান ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রাধানাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে দিনাজপুর জিআরপি থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের পার্বতীপুর সার্কেলের পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিভিন্ন রুটের ট্রেনের ১৩০টি টিকিট ছাড়াও তাঁর কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ও বিভিন্ন কোম্পানির ১৪টি সিম কার্ডও পাওয়া গেছে।

দিনাজপুর জিআরপি থানা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও পৌঁছলে প্ল্যাটফর্মে টিকিট চেক শুরু করেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় সাজেদুরের টিকিট চেক করার সময় এক টিকিটে ২২ জনের আসন দেখতে পান।

বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ঠাকুরগাঁও জিআরপি থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে টিকিট কালোবাজারির কথা স্বীকার করেন। পরে তার কাছে ট্রেনের বিভিন্ন রুটের আরও ১০৮টি আসনের টিকিট পাওয়া যায়। এসব টিকিট ২১ থেকে ২৫ মার্চের এবং যাত্রাপথ ঢাকা থেকে পার্বতীপুর ও পঞ্চগড়ের। রাতেই তাকে ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুর জিআরপি থানায় নিয়ে আসা হয়।

অভিযুক্ত সাজেদুর রহমান বলেন, খুলনায় থাকা অবস্থায় ১০ দিন আগে থেকে এসব টিকিট সংগ্রহ করি।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের পার্বতীপুর সার্কেলের পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম বলেন, আমরা রেলওয়ের ১৩০টি টিকিটসহ এক যুবককে ঠাকুরগাঁও থেকে আটক করি। তার কাছ থেকে আমরা ১৩০টি টিকিট, ১৪টি সিমকার্ড, তিনটি মোবাইল ফোনসহ আইডি কার্ড জব্দ করেছি।


নরসিংদীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে নরসিংদীর রায়পুরায় দুর্গম চরাঞ্চল চাঁনপুর ইউনিয়নে মোহিনীপুর গ্রামে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— রায়পুরা উপজেলা চাঁনপুর ইউনিয়নে মোহিনীপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন (২৩) ও একই গ্রামের বারেক হাজীর ছেলে বাশার (৩৫)।

স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁনপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর সালাম মিয়া ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সোহাগের সঙ্গে চাঁনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসু মেম্বারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতা সামসু মেম্বর ও তার সমর্থকরা এলাকাছাড়া ছিলেন। ৫ আগস্টের পর এলাকায় ফিরে আসেন তারা।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এমনকি দুপক্ষই মারামারি ও গোলাগুলি করে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মিয়া ও তার সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সবশেষ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সালাম মিয়া ও তার সমর্থকরা এলাকায় ফিরতে চান। এতে বাধা দেয় বিএনপি নেতা সামসু মেম্বার ও তার লোক জন।

পরে দেশীয় অস্ত্র, টেঁটা-বল্লম, দা, ছুরি, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে একজন ও টেঁটা ও ছুরিকাঘাতের আরও একজনসহ দুইজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ১০ জন।

নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’


শেরপুরে ট্রাকচাপায় নিহত ২, আহত ২১

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বগুড়ার শেরপুরে ট্রাকচাপায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শেরপুর-ধুনট সড়কের রনবীরবালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (৫২) ও একই ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান প্রামানিকের ছেলে হানিফ উদ্দিন (৩৫)।
আহতরা হলেন— সুন্দরী, বসন্তী, সুর্বতি, চায়না, পবিত্র, স্বরসতি, সাগরিকা, সুনিল, মনন্তর, পয়ত্রি, মো. সাত্তার, বাসরি, বাশরি, ক্ষন্নষশি। এরা সকলে খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঝর এলাকার বাসিন্দা।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ট্রাকটি ধুনট থেকে শেরপুর যাওয়ার সময় রনবীরবালা বশীর পাগলা মাজারের কাছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা হানিফ নামের একজনকে চাপা দিয়ে ২০০ গজ দুরে গিয়ে আবার আরেকটি যাত্রীবাহী ভটভটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রাক ও ভটভটি উল্টে যায়। এতে পথচারী হানিফ ও ভটভটি যাত্রী হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আরও ২১ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকে থাকা কাউকে আটক করা যায়নি। তবে ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।’


এবার জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে এক শহীদের ১৭ বছর বয়সি মেয়েকে পটুয়াখালীর দুমকিতে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আলগী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার ভুক্তভোগী নিজে দুমকি থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন: পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আলগী গ্রামের মৃত মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি (১৭) এবং সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সি (১৯)। অভিযুক্ত সাকিব মুন্সিকে পুলিশ আটক করলেও পলাতক রয়েছে সিফাত মুন্সি।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন শহীদ জসিম উদ্দীনের মেয়ে তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথে নলদোয়ানী এলাকা থেকে সাকিব ও সিফাত তাকে অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মুখ চেপে ধরে পাশের জলিল মুন্সির ভিটা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানেই দুজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে এবং ঘটনার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

দুমকি থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই এজহার নিয়ে মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে এবং ভুক্তভোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুলিশ প্রহরায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ১৯ জুলাই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার গাড়ি চালক জসিম উদ্দীন হাওলাদার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোহাম্মদপুর চৌরাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে জসিমের স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছুটে যান। পরে গুলিবিদ্ধ জসিমকে ২১ জুলাই মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়। দুদিন পর সেখানে তার একটা অপারেশন করা হয়। কিন্তু এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি জসিমের। পরের দিন ২২ জুলাই জসিমকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এবং এভাবে ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হেরে যান জসিম। ১ আগস্ট তার মরদেহ পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়। এর পর থেকে জসিমের স্ত্রী পার্শ্ববর্তী বাবার বাড়িতেই থাকতেন।


banner close