শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২১ ভাদ্র ১৪৩২

‘সবাই পয়সা খায়’ বলে সাত লাখ টাকা ঘুষ চান ওসি, প্রত্যাহার

ওসি মাহবুবুল আলম
আপডেটেড
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:০৮
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:০৪

অবাধে মাদক কারবার করতে দেওয়ার জন্য সাত লাখ টাকা ঘুষ চাওয়া রাজশাহী চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এক গৃহবধূর সঙ্গে আলাপচারিতার অডিও রেকর্ডে মাদক কারবারের জন্য ওই ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তাকে এক আদেশে চারঘাট থানা থেকে প্রত্যাহার করে রাজশাহী পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ঘুষ চাওয়ার অডিওটি গত শনিবার রাতে ফাঁস হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া অভিযোগসহ পেন ড্রাইভে করে সেই অডিও রেকর্ড পুলিশ সুপারের কাছে দাখিল করা হয়। পরে ওসি মাহবুবুল আলমকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়।

রোববার রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. রফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এই ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে চারঘাট মডেল থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার ওই অডিও সামাজি যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছয় মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সরাসরি ও ডাকযোগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছেও পাঠানো হয়েছে।

ওই নারী চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নের চামটা গ্রামের আবদুল আলিম ওরফে কালুর স্ত্রী। কালু গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি মামলায় ছয় মাস ধরে কারাগারে বন্দি।

ওই নারী অভিযোগপত্রে বলেন, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ও র‍্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করেন। চারঘাট উপজেলায় তার স্বামীর দেওয়া তথ্যে অনেক মাদক কারবারিকে র‍্যাব ও পুলিশ আটক করেছে। এতে তার স্বামী ও পরিবারের ওপরে চারঘাটের মাদক ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়। তার স্বামীকে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বামীকে গ্রেপ্তারের পর মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ওপর অত্যাচার শুরু করে। ১২ সেপ্টেম্বর ওসিকে ফোন দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। পরের দিন ওসি থানায় আসতে বলেন। থানায় গেলে ওসি পাশেই তার কোয়ার্টারে ডেকে নেন ওই নারীকে। এ সময় ওসি তার সঙ্গে ওইসব কথা বলেন। তিনি তা কৌশলে রেকর্ড করে রাখেন।

ছয় মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ওই কথোপকথনে ওই নারীর উদ্দেশে ওসি মাহবুবুল আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচন করতে মন্ত্রী আমাকে গাইবান্ধা থেকে এখানে নিয়ে এসেছেন। আমি তার কথা ছাড়া কারও কথা শুনি না।’ চারঘাট এলাকায় গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে মামলা দেওয়ার কারণে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসির সমালোচনা করেন তিনি। এরপর বলেন, ‘দুই লাখ টাকা দেন, কালকেই ডিবির ওসিকে বদলি করে দেব।’

এরপর গৃহবধূকে ওসি বলেন, ‘আপনার স্বামী আমার অনেক ক্ষতি করে গেছেন (ওসির বিরুদ্ধে এসপি অফিসে অভিযোগ করেছিলেন)। এবার আপনার পরিবারের কাউকে ধরলে ১০ লাখ টাকার কমে ছাড়াতে পারব না। ’

এরপর ওসি বলেন, ‘এখনো তোমার গায়ে আঁচড় দেইনি। বহুত ফাঁকি দিয়েছো। সাত লাখ টাকা লাগবে, কালকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আসবা। এখন সে রকম সময় নয় যে কেউ পয়সা খায় না। সবাই পয়সা খাচ্ছে। এমন কেউ বাদ নেই যে পয়সা খাচ্ছে না। পুরো জেলা পয়সা খাচ্ছে। এখানে আমার থানা চালাতে মাসিক অনেক টাকা লাগছে। আমি স্যারকে কথা দিয়ে এসেছি। স্যারকে বলেছি, এখানে মাদক ছাড়া কিছু নেই। ’

ওসি আরও বলেন, ‘মুক্তা (চারঘাটের মাদক সম্রাট নামে পরিচিত) অ্যাকশন নিতে পারবে না, শুভ (ছাত্রলীগ নেতা ও মাদক কারবারি) অ্যাকশন নিতে পারবে না। তোমরা পাঁচ লাখ টাকা দিতে পারবা? ধরে ওদের চালান দিয়ে দেব। থাকি না থাকি ওদের সাইজ করব। তোমরা বাইরে থেকে ব্যবসা (মাদক ব্যবসা) করবে। ’

রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আতিকুর রেজা সরকার আতিকের আবারও সমালোচনা করে ওসিকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচনের আগে শুভকে ধরতে পারব না। কথা সব ভেঙে বলব না। কথা সব হয়ে গেল; যদি আতিকের বদলি চাও দুই লাখ টাকা দাও। কালকেই আতিকের বদলি হয়ে যাবে। ’

ওসি মাহবুবুল আরও বলেন, ‘পাঁচ লাখ আর দুই লাখ সাত লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করো। আতিক বাদ, ওই দুইজনকে (মুক্তা ও শুভ) ট্যাকেল দেওয়ার দায়িত্ব আমার। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে মন্ত্রীকে বলে ওই দুইজনকে ধরে অ্যারেস্ট করে চালান করে দেবো। আমার সব ওপরের লাইন। যে টাকা দিবা এই টাকাই ওপরে কাজ করবে।’

অডিওতে গৃহবধূর ‘সুন্দর চেহারা’ নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা যায় ওসি মাহবুবুল আলমকে।


মাগুরায় দেড় বছর পর অপহৃত কিশোর উদ্ধার,পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলো সেনাবাহিনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা :-

মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার বরুরিয়া গ্রামের হত দরিদ্র কৃষক মোঃ বাদশা শেখের পুত্র মোঃ আরশাদুল শেখ (১৪), খানিকটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে অপহরণের দেড় বছর পর উদ্ধার করে তার পিতামাতার কাছে ফিরিয়ে দিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাগুরা আর্মি ক্যাম্প।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাগুরা সদর উপজেলার বেরোইল-পলিতা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ লিটন শেখ আরশাদুলকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে ফরিদপুরে নিয়ে যায়। সেখানে সে আরশাদুলকে নিজের সন্তান পরিচয়ে একটি মৎস্য খামারে কাজে লাগায় এবং তার বেতন নিজেই ভোগ করে।

পরে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে লিটন শেখ আবারও আরশাদুলকে মাগুরা সদরে নিয়ে আসে এবং একটি পোল্ট্রি ফার্মে কাজে লাগায়। এখানেও সে ছেলেটিকে নিজের সন্তান পরিচয় দেয়।

অসহায় বাবা-মা সন্তানের খোঁজ না পেয়ে হতাশার মধ্যে ছিলেন। অবশেষে চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে তারা জানতে পারেন, তাদের সন্তানকে মাগুরা সদরে দেখা গেছে। এরপর তারা মাগুরা আর্মি ক্যাম্পে সহযোগিতা চাইলে সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক তৎপর হয়ে ওঠে।

দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে মাগুরা আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা সদর থানার কাদিরপাড় এলাকা থেকে অপহৃত আরশাদুলকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে যথাযথ প্রমাণ যাচাই শেষে তাকে তার বাবা-মায়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

অপহরণের খবর জানাজানি হলে প্রধান আসামি লিটন শেখ পালিয়ে যায়। তবে সংশ্লিষ্ট পোল্ট্রি ফার্মের মালিক এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানতেন না বলে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ দেড় বছর পর সন্তান ফিরে পেয়ে অসহায় পরিবারটি আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি মাগুরা আর্মি ক্যাম্প তাদেরকে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেছে।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় জনমনে তাদের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।


হাইওয়ে পুলিশের হাতে ৫০ কেজি গাঁজাসহ এক ব্যক্তি আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের হাতে ৫০ কেজি গাঁজাসহ এক ব্যক্তিকে আটক হয়।

আটককৃত ব্যক্তি কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলার মিন্নতনগর এলাকার বাসিন্দা মো: ইব্রাহিম (৩৮)।

শুক্রবার ১১ টায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের আলেখারচর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার।

পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল বাহার জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি
কুমিল্লা সদর দক্ষিন সীমান্ত এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট কার যার রেজিষ্ট্রেশন নং- ঢাকা মেট্টো-গ-১৫-৯০৬৪ এর চালক মাদক বহন করে মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ময়নামতি ক্রসিং হাইওয়ে থানার এসআই ইকবাল হোসেন এএসআই রাজিবুল আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ প্রাইভেটকারটিকে ব্যারিকেড দিয়ে আটক করা হয় । এসময় প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করে প্রাইভেট কারের পেছনের অংশের মধ্যে ২৫ (পঁচিশ) টি পোটলায় প্রতিটিতে ২ কেজি করে মোট ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

পরে আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা
কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকায় বিজিবি অভিযানে প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যমানের মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ও একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
কুমিল্লা ১০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ শুক্রবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজিবি থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টহল দল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা মোবাইল ডিসপ্লে ভর্তি কাভার্ড ভ্যান ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে বিজিবি সদস্যরা কাবার্ড ভ্যান তল্লাশি করে ১৩ হাজার ৫শ ২৭ পিস মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জব্দ করে। কাভার্ড ভ্যান ও জব্দ করার ডিসপ্লে গুলোর আনুমানিক মূল্য চার কোটি ৯৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। জব্দকৃত মালামাল গুলো কাস্টমসে জমা দেওয়া হয়েছে।


দৈনিক বাংলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

দৈনিক বাংলা পত্রিকার ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে কেক কেটে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠানটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পত্রিকাটি আরও এগিয়ে যাবে সেই কামনা করছি।

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও এনটিভির প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন রবিন বলেন, দৈনিক বাংলা প্রতিষ্ঠানটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে আসছে। আগামীর পথচলা আরও সুদৃঢ় হবে বলে প্রত্যাশা করছি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক তমিজ উদ্দিন, একাত্তর টেলিভিশনের হাবিবুর রহমান, একুশে টেলিভিশনের রবিউল ইসলাম, বাংলা ট্রিভিউনের আরিফ হোসাইন কনক, দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি সেলিম আহমেদ ডালিম, দৈনিক বাংলার ফটো সাংবাদিক পাপ্পা ভট্টাচার্য, প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক সংবাদের প্রণব কৃষ্ণ রয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার খন্দকারসহ প্রমুখ।


মাদারীপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাদারীপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাদারীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা আলম ঢালী ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাউছ উর রহমানের নেতৃত্বে বর্ণিল উৎসবে বিশাল আনন্দ র‍্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার মাদারীপুর সদর উপজেলা কমপ্লেক্সের সম্মুখে এ আলোচনা সভা ও আনন্দ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা আলম ঢালীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাউছ-উর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. জাফর আলী মিয়া, সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. ফারুক বেপারী, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান ফুকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন হাওলাদার প্রমুখ। এতে জেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক লালচান, পৌর বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান কিচলু খানসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত হাজার হাজার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় এদেশের মানুষ বিএনপি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপর আস্থা রেখেছে, তাই তারেক রহমানকেই আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় মানুষ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে ইনশাআল্লাহ।


নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ১জনের মৃত্যুদণ্ড

১৭ জনের যাবজ্জীবন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নজরুল ইসলাম বাবু হত্যা মামলায় তাওলাদ ওরফে জহিরুল নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই মামলায় আরও ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন, তাওলাদ ওরফে জহিরুল। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ জন হলেন, মিজান, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল লতিফ, হানিফ, সোহেল, সবুজ, মিলন, সেলিম, গুলজার, লেদা ফারুক, রাসেল, মোমেন, সাদ্দাম, শাহীন, রুহুল আমিন, আবুল, পণ্ডিত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ২০১২ সালের ওই হত্যা মামলায় ২৬ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে তাওলাদকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া ৬ জন খালাস এবং ২ জন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় একজন আসামি উপস্থিত ছিলেন, বাকি আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২ মে রূপগঞ্জের মাছিমপুর এলাকার নজরুল ইসলাম বাবু (৪৮) মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের বাবা জালালউদ্দিন বাদী হয়ে ভিপি সোহেল ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এই রায় দেন।


দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে দুই শতাধিক খাল-বিল

কোটালীপাড়ায় বিলুপ্তির পথে দেশীয় মাছ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)

নিম্নাঞ্চল ও জলাভূমি বেষ্টিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক খাল-বিলে এক সময় ভরপুর থাকতো শোল, টাকি, কৈ, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, বোয়াল, চিতল, ফলি, পুটি, খলসে, চুচড়া, মলা, ভুষি চিংড়ি, টেংরাসহ শতাধিক রকমের মাছে। দিন দিন এসকল খাল-বিলগুলো দখল ও দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। যার কারণে দেশীয় এই মাছগুলো এখন বিলুপ্তির পথে।

জানাগেছে, উপজেলার অর্ধশত ছোট-বড় বিলের প্রায় দেড় শতাধিক সরকারি খালের উপর বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে খাল দখল করে মাছের ঘের বানিয়েছে প্রভাবশালী মহল। অন্যদিকে ব্রিজ নির্মাণ ও খাল খনন কাজের জন্য প্রায় ৩০টি খাল বছরের পর বছর বাঁধ দিয়ে রাখায় খালজুড়ে জমাট বেঁধে আছে কচুরিপানা। কচুরিপানা জমে থাকায় পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে খালগুলো।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুধুমাত্র উপজেলার পিঞ্জুরি ইউনিয়নের কলমুনিয়া খাল, তিতাল বাড়ি খাল, পেত্নীখালী খাল, বাসাখালী খাল, কুমলাবতী খাল, গোদার খাল, পুকুরিয়া খাল, পাথরিয়া খাল, চৌদ্দবুনিয়া খাল, রামমানির খাল, কুইচা মোড়া খাল, চাইর খাল, সিমানার খাল, কাটা খাল, দেওপুরা খালসহ প্রায় ৩০টি খাল বছরের পর বছর দখল করে রেখেছে ১৩ প্রভাবশালী ব্যক্তি। মৎস্য প্রজেক্টের নামে প্রতিটি প্রজেক্টে এদের এক একজনের রয়েছে ৫০ থেকে ১০০টি শেয়ার। সাধারণ মানুষের রয়েছে নামমাত্র শেয়ার। এই খাল দখলে ১৩ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা, ইউপি মেম্বার, বিএনপি নেতাসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

কোটালীপাড়া উপজেলার রামনগরের বিল, রথিয়ারপাড় বিল, মাছপাড়ার বিল, কুমুরিয়া বিল, বৈকণ্ঠপুর বিল, লখন্ডার বিল, মুশুরিয়ার বিল, পিড়ারবাড়ি বিল, পলোটানা বিল, ধোরাল বিল, চিথলিয়ার বিল, পশ্চিম দীঘলিয়ার বিল, পূর্বপাড়া বিল, চিত্রাপাড়া-শুয়াগ্রাম বিল, সাতুরিয়ার বিল, কান্দি বিল, আশুতিয়ার বিল, পোলশাইর বিল, বর্ষাপাড়া বিল, ছত্রকান্দা বিল, দেওপুরা বিল, সোনাখালি বিল, ফুলবাড়ি বিল, কোনের বাড়ি বিলসহ প্রায় অর্ধশত ছোট বড় বিল রয়েছে। এসবে অধিকাংশেই খাল দখল করে নিয়ে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী মহল।

খালগুলো আটকিয়ে মাছের ঘের করায় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা খাল-বিল থেকে মাছ ধরতে পারছে না। যে কারনে চরম অভাব অনাটনে কাটছে দরিদ্র মৎস্যজীবীদের সংসার।

অন্যদিকে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া খালটি খননের জন্য ঘাঘর নদীর মোহনায়, কুশলা ব্রিজের নিচে, ধোরালসহ আরো কয়েক জায়গায় জায়গায় প্রায় ১ বছর ধরে বাঁধ দেওয়া হয়। বছর পার হলেও সামান্য কিছু জায়গা খনন করে বন্ধ রয়েছে খনন কাজ। বর্তমানে বাঁধ দেওয়ার কারণে কচুরিপানায় আটকে বন্ধ হয়ে গেছে পানির প্রবাহ।

পুরো খালের পানি পচে যাওয়ায় এই পানি ব্যবহার করতে না পারায় ও মালামাল নিলে খাল দিয়ে চলাচল বন্ধ হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে খালপাড় এলাকার বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা।

কোটালীপাড়া-পয়সারহাট খালের গচাপাড়া এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য এবং ওয়াবদারহাট এলাকায় স্লুইস গেট নির্মাণের জন্য দুই স্থানে বাঁধ দিয়ে খাল আটকে রাখায় এই খালেরও একই অবস্থা দেখা দিয়েছে। একই অবস্থা গোপালপুর-পিঞ্জুরি খালের। এই খালের পূর্ণবতী ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৩ বছর ধরে বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে খালটি। এছাড়া কালিগঞ্জ, লখন্ডা, টিহাটি, মান্দ্রা, কুশলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০ টি খাল ব্রিজ নির্মানের জন্য বছরের পর বছর বাঁধ দিয়ে আটকে রাখায় চরম সমস্যায় হাজার হাজার জনসাধারণ।

মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা মৎস্যজীবী ও সাধারণ জনগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে দখলকৃত খাল উদ্ধারের দাবি জানিয়ে গত ১৩ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামানের কাছে গণশুনানিতে অভিযোগ জানিয়েছে কয়েকজন ভুক্তভোগী। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গত ১৮ আগস্ট খাল উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে কোটালীপাড়ার ইউএনওকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণশুনানিতে খাল দখলের অভিযোগ জানানো শিক্ষার্থী মাহফুজ শেখ।

এনিয়ে কোটালীপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন খালে বাধঁ দিয়ে মাছচাষ করার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও মৎস‍্য অধিদপ্তরের নজরে এসেছে। এসকল অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছচাষ করার কারণে দেশীয় মাছের প্রজনন ও বিস্তারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দেশীয় মাছের প্রজনন ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে এখন থেকে উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস‍্য অফিস ও অন‍্যান‍্য সংশ্লিস্ট দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

কোটালীপাড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (অ: দা:) মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, এ উপজেলা একটি নিম্ন জলাভূমি এলাকা। এখানে অধিকাংশ জণসাধারণ কৃষি ও মৎস্য কাজে জড়িত। এই এলাকায় প্রচুর মাছের ঘের রয়েছে। যা মৎস্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। আমরা এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে অভিযান হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।


পার্বত্য চট্টগ্রামে বিলুপ্তপ্রায় গাছ সংরক্ষণে যুগান্তকারী উদ্যোগ

ইতোমধ্যে ৩৬ প্রজাতির দুর্লভ গাছ নিয়ে হয়েছে বাগান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির গাছ সংরক্ষণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে রাঙামাটি ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ ২০২৩ সালে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর অংশ হিসেবে রাঙামাটির কাউখালি উপজেলার খাসখালী রেঞ্জ এলাকায় ইতোমধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ৩৬ প্রজাতির দূর্লভ গাছ নিয়ে একটি বাগান সৃজন করা হয়েছে। পাশাপাশি গড়ে তোলা হচ্ছে এসব গাছের বীজ ভাণ্ডার।

দেশের এক দশমাংশ ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিলো শত শত বছরের দূর্লভ গাছপালার ভাণ্ডার। তবে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা ও নির্বিচারে বন উজাড়ের কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য। এই বাস্তবতায় বন বিভাগের এ উদ্যোগকে বিশেষজ্ঞরা যুগান্তকারী বলছেন।

ঝুম নিয়ন্ত্রণ বনবিভাগের খাসখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর খান চৌধুরী বলেন,

‘এই বাগানটিকে যদি সংরক্ষণ করতে পারি, ভবিষ্যতে এটি বন বিভাগের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বিলুপ্তপ্রজাতির চারাগুলো আমরা বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম থেকে সংগ্রহ করেছি। এছাড়া বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহিদুর রহমানও বিভিন্ন জায়গা থেকে চারা এনে বনায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।’

মাত্র ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা এই বাগানে রয়েছে চিকররাশি, কাঠবাদাম, গুটগুটিয়া, অর্জুন, আমলকী, হরতকী, হিজল, ঢাকিজামসহ ১২ প্রজাতির বনজ গাছ, ১৪ প্রজাতির ঔষধি গাছ এবং ১০ প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ, যেগুলো শুধু জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেই নয়, পাখিদের খাদ্য যোগানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এর পাশাপাশি বাগানে সংরক্ষিত হয়েছে আরও বেশ কিছু দুর্লভ প্রজাতির গাছ। এর মধ্যে রয়েছে—

লোহাকাঠ, চম্পাফুল, তেলসুর, সোনালু, ঢাকিজাম, রাধাচূড়া, কাঠবাদাম, জগা ডুমুর, বান্দর হোলা, শাল, উদাল, বকফুল, তমাল, খেজুর, বহেরা, সিভিট, ধারমারা, অশোক, কাঞ্চনভাদী, কৃষ্ণচূড়া, পিতরাজ, ছাতিয়ান, বোদ্ধ নারিকেল ও পলাশ।

রাঙামাটি ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা ১০০ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় গাছের তালিকা তৈরি করেছি। এর মধ্যে ৩৬ প্রজাতির গাছ খাসখালী রেঞ্জে রোপণ করা হয়েছে। পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আশা করছি, এই বাগান সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারব।’

এরই মধ্যে বাগান থেকে চারা বিক্রির কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। মাত্র ৭ টাকায় এখান থেকে সাধারণ মানুষ চারা সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তারা।

এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক শাওন ফরিদ বলেন, ‘অতীতে ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের মাধ্যমে ফরেস্ট অফিসের আশপাশে ও রাঙাপানি এলাকায় প্রচুর চারা উৎপাদন এবং স্বল্পমূল্যে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ কার্যক্রম দেখা যাচ্ছিল না। বন বিভাগ যদি এখন বিলুপ্তপ্রায় বনজ, ঔষধি ও ফলদ বৃক্ষ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বন বিভাগের এ উদ্যোগ পাহাড়ের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। পাশাপাশি পাহাড়ি অঞ্চলে বন সম্প্রসারণেও এর প্রভাব পড়বে ইতিবাচকভাবে।


চলতি অর্থবছরে ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ দেবে সরকার: কৃষি সচিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, সরকার এ বছর কৃষি খাতে ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ দেবে। প্রকৃত উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য যাদের সহায়তা প্রয়োজন তাদের খুঁজে বের করে সহায়তার চেষ্টা করা হবে।

সরকার ঘোষিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)-এর আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের উদ্ভাবনী শক্তি, কৃষি রূপান্তরের চালিকা শক্তি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব এসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, আলু চাষিদের সহায়তার জন্য সরকার এবারই প্রথম হিমাগার গেটে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এছাড়া সরকার এবার প্রথমবারের মতো ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ কৃষক যদি তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পায়, তাহলে আমাদের তৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই।

ড. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আরো বলেন, এই প্রথম কৃষি মন্ত্রণালয় ২৫ বছর মেয়াদি একটি কর্মকৌশল প্রণয়নে কাজ করছে। এর লক্ষ্য ২০৫০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা।

বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএআরসির কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সদস্য পরিচালক এবং ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ কর্মসূচি আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. মোশাররফ উদ্দিন মোল্লা।

সেমিনারে ‘তারুণ্যের উদ্ভাবনী শক্তি, কৃষি রূপান্তরের চালিকা শক্তি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএআরসি’র কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং এপিসিইউ-বিএআরসি, পার্টনার প্রকল্পের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর (এইচআরডি) ড. মো. আব্দুস সালাম।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী, এনজিও প্রতিনিধি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ১১ জন তরুণ উদ্যোক্তা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তাদের মধ্যে ছিলেন—কৃষিবিদ মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন তুলিপ (কফি চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ), শাহীদা বেগম (পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন), আব্দুল হালিম (নিরাপদ সবজি উৎপাদন), কৃষিবিদ মোবারক হোসেন (মধু উৎপাদন), প্রকৌশলী মো. মিলন মিয়া (জৈব সার উৎপাদন), মো. ইসমাইল (নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন), কৃষিবিদ আল মামুন (রঙিন মাছ উৎপাদন), কৃষিবিদ ডা. মো. তাজাম্মুল হক (প্রযুক্তিনির্ভর সেবা), কৃষিবিদ মো. নাজমুস সাকিব (টেকসই প্রযুক্তি বিস্তার), কাজী কাওসার হোসেন প্রিতম (গবাদিপশুর স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য ব্যবস্থাপনা) এবং মো. রেজওয়ানুল ইসলাম (সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা)।


গ্যাস সিলেন্ডার বিষ্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

শিশুসহ ৩জনের অবস্থা সংকটাপন্ন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলেন্ডারের লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণ হয়ে আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ৫জন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পৌঁনে ছয়টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর পুরান বাজার মধ্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে শিশুসহ তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা যায়। দগ্ধরা হলেন মানব চৌধুরী (৪০), তার স্ত্রী বাচা চৌধুরী (৩৮), মেয়ে মুন্নি (১৪), তিন্নি (১২) ও মৌরি (৬)। দগ্ধরা সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। মানব চৌধুরী কাঁচপুর এলাকার ফ্যালকন নামের একটি টেক্সটাইল মিলে কর্মরত ছিলেন। এদিকে ঘরের ভেতর থাকা সিলিন্ডারের লাইনের লিকেজ থেকে জমা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের কারণ বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কাঁচপুর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কাঁচপুর বিসিক শিল্প নগরীর পুরান বাজার মধ্যপাড়া শেখ ফরিদের তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় একমাস আগে ভাড়া আসেন মানব চৌধুরী ও তার পরিবার। বৃহস্পতিবার ভোর পৌঁনে ৬ টার দিকে রান্নার জন্য চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে আগুন নিভিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

প্রতিবেশী সবিনয় চন্দ্র দাস জানান, একটাই ঘর, সেটার ভেতরেই রান্নাঘর ও বাথরুম। ভোরে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণে তারা সবাই পুড়ে যায়। আমি তাড়াতাড়ি গাড়ির ব্যবস্থা কইরা হাসপাতালে আনি। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জরী ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের মধ্যে মানব চৌধুরীর ৭০শতাংশ, বাচা চৌধুরীর ৪৫ শতাংশ, মৌরীর ৩৬ শতাংশ, মুন্নির ২৮শতাংশ ও তিন্নির ২২ শতাংশ পুড়েছে। তাদের ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শিশুসহ তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।


ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ট্রেনের নিচে শিক্ষকের আত্মহত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ফারুক হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলগেটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সান্তাহার রেলওয়ে থানাকে জানায়।

নিহত ফারুক হোসেন (৫০) কালাই উপজেলার হারুঞ্জা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি উপজেলার হারুঞ্জা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।

পরিবার জানায়, ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিস রোগে ভুগছিলেন। একহাত সম্পূর্ণ অবশ থাকায় স্বাভাবিক চলাফেরা করতেও তার কষ্ট হতো। অসুস্থতার কারণে নিয়মিত চিকিৎসা ও ব্যয়বহুল ওষুধের খরচ চালাতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন এনজিও, সমবায় সমিতি ও স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে একাধিকবার ঋণ গ্রহণ করেন। অভাব-অনটনের কারণে তার মাসিক বেতনের বেশিরভাগ অংশই কিস্তি ও উচ্চ সুদের ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়ে যেত। ফলে সংসার চালাতে গিয়ে তাকে চরম আর্থিক সংকটে পড়তে হয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো পথ না দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। গত বুধবার বিকেলে বিদ্যালয় ছুটির পর বাড়িতে ফিরে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি বাইরে বের হয়ে যান। পরে জয়পুরহাট শহর হয়ে পাঁচবিবি যাওয়ার পথে পুরানাপৈল রেলগেটে গিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন।

নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী ঋণের বোঝা আর মানসিক চাপ সইতে না পেরে এই পথ বেছে নিয়েছে। এখন আমি সন্তানদের নিয়ে কিভাবে চলব? ওরা বাবাকে হারাল, আমি স্বামীকে হারালাম।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তামবিরুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাপ দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার এবং সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।


আড়িয়াল বিলের পাশে চুল্লি দূষণের হুমকিতে পরিবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জে) প্রতিনিধি

আড়িয়াল বিলের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালি এলাকায় কৃষি জমির পাশে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা একটি অবৈধ অ্যালুমিনিয়াম গলানোর কারখানা অব্যাহতভাবে পরিবেশ দূষণ করে চলেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, চুরাইন বাড়ৈখালি সেবক সংঘের মাঠের পাশ দিয়ে কিছুটা সামনে আড়িয়াল বিলের কৃষি জমির পাশে একটুকরো উচু জমিতে অ্যালুমিনিয়াম/ ধাতব রিসাইক্লিংয়ের জন্য একটি বাঁশের ঘর বানানো হয়েছে। ঘরটির ভেতরে না যাওয়া গেলেও বাইরে দেখে বোঝা যাচ্ছে এখানে ভারি কোনো ধাতু গলানোর কাজ চলছে। অত্যধিক পরিমাণে জ্বালানি পোড়ানোর কারণে কারখানার উপরের অংশ দিয়ে দিন-রাত কালো ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। এছাড়া অ্যালুমিনিয়াম পাউডারের সাদা অংশ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের গাছ-সবজি বাগানের উপর। এতে সবুজ গাছের পাতা রুপ নিয়েছে ধূসর রংয়ে। পাশাপাশি কারখানায় অ্যালুমিনিয়াম গলানোর পর যে বর্জ্য নির্গত হচ্ছে সেগুলো সরাসরি ফেলা হচ্ছে পাশের আড়িয়াল বিলের পানিতে। ধীরে ধীরে সেই কেমিকেলযুক্ত আবর্জনা পানিতে মিশে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো বিলে।

স্থানীয় কৃষক রিংকু খান বলেন, আড়িয়াল বিলে ৪০০ শতাংশ জমিতে ধানচাষ করে আমার পরিবার। প্রতিবছর আমরা প্রায় ১ হাজার মন ধান উৎপাদন করি। এই কারখানাটি আমাদের জমিগুলো ধ্বংস করছে।

বাড়ৈখালি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইমরান তালুকদার বলেন, কারখানাটি চালানোর জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের কাছ থেকে ন্যূনতম কোন অনুমতি নেই। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মিটিংয়েও আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে কারখানা মালিক ও জমির মালিককে ১৫দিনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। দুমাস হয়ে গেলেও কেউই পরিষদে আসেনি।

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মহিন উদ্দিন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে সম্প্রতি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিতে চাইলে আমরা সবার সহযোগিতা করবো।

পরিবেশ অধিদপ্তর, মুন্সীগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, বাড়ৈখালি বা আড়িয়াল বিলের পাশে এরকম কোনো কারখানার বিষয়ে আমার জানা নেই। তাছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকেও আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


কালাইয়ে ৪ দিনব্যাপী বইমেলা শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে জয়পুরহাটে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম ৪ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বইমেলার আয়োজন করায় খুশি স্থানীয়রা। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলার স্টল। গত বুধবার কালাই উপজেলা পরিষদের নতুন হলরুমে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইফতেকার রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মো. মনোয়ারুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবিদ আব্দুল্লাহ, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান চৌধুরী, কালাই সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন, কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।

বইমেলা দেখতে আসা শিক্ষার্থী এস এম সাদমান সাইফ রাইমান বলে, আমি প্রথমবার বইমেলা দেখলাম। এর আগে আমাদের এখানে কোনো বইমেলা হয়নি। দেখে অনেক ভালো লাগছে।

আরেক শিক্ষার্থী সেজান আহম্মেদ বলে, বইমেলায় অনেক লেখকের বই যা আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। আমরা চাই আগামীতে স্থানীয়ভাবে দীর্ঘ মেয়াদি বইমেলার আয়োজন করা হোক।

ভ্রাম্যমাণ বইমেলার ইউনিট ইনচার্জ অমিত চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজন ৪দিনব্যাপী বৃহস্পতিবার থেকে কালাইয়ে বইমেলা শুরু হয়েছে। বইমেলা উপলক্ষে থাকছে চিত্র অংকন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন। মেলায় ১৫০টি প্রকাশনীর ১০ হাজারের বেশি বই রয়েছে।

কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, আজকের আয়োজিত এ বইমেলা আরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। এই বইমেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ বই পড়া ও ক্রয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ হবে। মেলাটিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।


banner close