বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

বন্ধুর মরদেহ দেখতে এসে যুবকের মৃত্যু

আলী আজম (বাঁয়ে) ও মোহাম্মদ আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:২৪

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক বন্ধুর মরদেহ দেখতে এসে অসুস্থ হয়ে আরেক বন্ধুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার জেলার হাটহাজারী পৌরসভার আজিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তারা হলেন, আজিম পাড়া এলাকার মূসা সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ আরাফাত (২৭) এবং তার বন্ধু একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আলী আজম (২৭)। এদের মধ্যে আজম সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক এবং আরাফাত একটি আসবাব কারখানায় কাজ করতেন।

স্থানীয় কামাল কোম্পানি নামের একজন বলেন, ‘সকালে নাস্তার জন্য দোকান থেকে রুটি এনেছিল আরাফাত। তারপর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে তাকে গোসল দেয়ার সময় তার বন্ধু আজম আসেন। এসময় কাদতে কাদতে হঠাৎ বুকে ব্যথার কথা জানান তিনি। তাকে দ্রুত হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে নেয়রার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান বলেন, ‘আজম বিবাহিত হলেও আরাফাত অবিবাহিত ছিল। কয়েকদিন ধরে তার বিয়ের কথা চলছিল, আজ ফর্দের (চূড়ান্ত কথা) তারিখ ছিল। তারা ছোট থেকেই একসঙ্গে বড় হয়েছে, বয়সও কাছাকাছি। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল দুজন।’

স্থানীয় কাউন্সিলর মো. আজম বলেন, ‘তারা দুজন একসঙ্গে বড় হয়েছে, একই বাড়ির ছেলে। আরাফাতকে গোসল দেয়ার সময় আজম দেখতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেও মারা যায়। দুজনের মৃত্যুই স্ট্রোকের কারণে হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।’

বিষয়:

বকশীগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে প্রতিবন্ধী যুবক নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জের জমি নিয়ে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে শামীম মিয়া (২৫) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কুশলনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শামীম মিয়া বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলক্ষিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশলনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।

নীলক্ষিয়া দক্ষিণ কুশলনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়ির জমি নিয়ে চাচাতো ভাইয়ের হাতে নিহত হলেন প্রতিবন্ধী শামীম মিয়া।

স্থানীয়রা জানান, শামীম মিয়ার বাবা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার চাচা সাইফুল ইসলামের জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সেই বিরোধপূর্ণ জমিতে সাইফুল ইসলাম বেগুনের চারা লাগাতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংর্ঘষ হয়। একপর্যায়ে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হয় শামীম মিয়া। পরে তাকে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ময়মনসিংহে নেয়ার পথে শামীম মারা যান। সংঘর্ষে উভয়ের কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়।

এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এই ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বিষয়:

মোংলায় এসেছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেশিনারি পণ্য

কয়লা এল রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাগেরহাট ও মোংলা প্রতিনিধি

পরীক্ষামূলক উৎপাদনের অপেক্ষায় থাকা পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ হাজার ১২১ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ইয়ামাল অরলান’। জাহাজটি মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। বিকেলে জাহাজ থেকে এসব মেশিনারি পণ্য জেটিতে খালাসের কাজ শুরু হয়। এর কয়েক দিন আগে এসেছিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান জ্বালানি ফ্রেশ ফুয়েল ইউরেনিয়াম।

এদিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে একটি জাহাজ।

রাশিয়ার এমভি ইয়ামাল অরলান জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স ইন্টার পোর্ট শিপিংয়ের ম্যানেজার অসীম কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬৮টি প্যাকেজে থাকা ২ হাজার ১২১ টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে গত ৩১ আগস্ট রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ইয়ামাল অরলাম জাহাজটি। জাহাজটি মঙ্গলবার দুপুর ১টায় মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। বিকেলে জাহাজ থেকে এসব মেশিনারি পণ্য জেটিতে খালাসের কাজও শুরু হয়। খালাস করা এসব মেশিনারি পণ্যের অধিকাংশই সড়কপথে আর ভারী কিছু মালামাল নদীপথে দ্রুত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নেয়া হবে। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেশিনারি পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছিল এমভি স্যাপোডিলা নামে একটি জাহাজ।

এদিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে বিদেশি জাহাজ এমভি লুনা রোসা। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া-১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে ভিড়ে জাহাজটি।

বিদেশি এ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক মো. রিয়াজুল হক জানান, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩৪ হাজার ২০০ টন কয়লা নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়া মোয়ারা পান্থাই বন্দর ছেড়ে আসে এমভি লুনা রোসা। এরপর জাহাজটি মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া-১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে ভিড়ে। এরপর বিকেলে জাহাজটি থেকে কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। কয়লা খালাসের সঙ্গে সঙ্গে তা লাইটারেজে (নৌযান) করে নেয়া হচ্ছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে। এরপর জেটি থেকে নৌযানের সেই কয়লা সংরক্ষণ করা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গোডাউনে।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরে এসেছিল এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস।

বিষয়:

যাত্রীর ফেলে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিলেন বাসের চালক-সহকারীরা

মঙ্গলবার বিকেলে চালক ও স্টাফদের উপস্থিতিতে ৫০ হাজার টাকা, মূল্যবান কাগজপত্রসহ ব্যাগ জয়নাল আবেদীনকে বুঝিয়ে দেন পাপিয়া ট্রান্সপোর্টের মহাসচিব মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

সততার নজির দেখালেন কুমিল্লার পাপিয়া ট্রান্সপোর্টের একটি বাসের চালক, কন্ডাক্টর ও হেলপাররা। যাত্রীর ফেলে যাওয়া ব্যাগ, ৫০ হাজার টাকা ও মূল্যবান কাগজপত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা। তাদের এ সততার ভূয়সী প্রশংসা হচ্ছে সর্বমহলে।

মঙ্গলবার বিকেলে টাকা, কাগজপত্রসহ ব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়া হয় জয়নাল আবেদীন নামের যাত্রীকে। টাকাসহ মূল্যবান নথিপত্র ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

জয়নাল জানান, তার বাড়ি জেলার চান্দিনা উপজেলার ভাগুরা পাড়া গ্রামে। সোমবার কুমিল্লা-দাউদকান্দি রুটে চলাচলকারী পাপিয়া ট্রান্সপোর্টের ওই বাসে চড়ে ইলিয়টগঞ্জ থেকে জেলা শহরে আসছিলেন। কুমিল্লার শাসনগাছা টার্মিনালে পৌঁছে বাস থেকে নেমে গেলেও ভুলবশত সঙ্গে থাকা ব্যাগটি গাড়িতে ফেলে যান তিনি। ব্যাগে নগদ ৫০ হাজার টাকা, কাপড়-চোপড় ও কিছু মূল্যবান কাগজপত্র ছিল।

শাসনগাছা টার্মিনালে অন্য সব যাত্রীরাও নেমে পড়লে ব্যাগটি দেখতে পান গাড়ির চালক মো. সুমন, কন্ডাক্টর নাজমুল হাসান, দুই সহকারী (হেলপার) সজিব ও সাইফুল। তারা পরে ব্যাগটি পাপিয়া ট্রান্সপোর্টের মহাসচিব মো. তাজুল ইসলামের কাছে জমা রাখেন। তাজুল ইসলাম ব্যাগে থাকা কাগজপত্র থেকে মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে মালিক জয়নালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি মঙ্গলবার বিকেলে চালক ও স্টাফদের উপস্থিতিতে টাকা, মালামালসহ ব্যাগ জয়নালকে বুঝিয়ে দেন।

বাসটির সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জয়নাল এসময় বলেন, ব্যাগ হারিয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে বাসের চালক-হেলপারদের সততায় মুগ্ধ হয়েছি।

এদিকে বাসের চালক, কন্ডাক্টর ও হেলপারদের সততার জন্য তাদেরও পুরস্কৃত করে পরিবহনটির মালিকপক্ষ।

বিষয়:

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি তরুণ নিহত

আল মামুন যুবায়ের
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আল মামুন যুবায়ের (২১) নামে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের জোহর বাহরু শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যুবায়ের যশোরের শার্শা উপজেলার বলিদাহ গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।

তার মামা বাকি বিল্লাহ জানান, ছয় মাস আগে জীবিকার তাগিদে আল মামুন মালয়েশিয়ায় যান। সেখানে তিনি ট্রাক চালাতেন। মঙ্গলবার ট্রাকে মালবোঝাই করে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। জোহর বাহরু শহরের একটি সড়কে ট্রাকটি উল্টে গিয়ে নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

শার্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির উদ্দীন আহম্মেদ তোতা দৈনিক বাংলাকে জানান, যুবায়েরের মরদেহ জোহর বাহরু শহরের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। মরদেহ দেশে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে তার পরিবার।

যুবায়েরের মৃত্যুতে পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার, হোটেল মালিককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর দুর্গাবাড়ী সড়ক এলাকায় অভিযানকালে একটি হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করতে দেখেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি এবং মান নিশ্চিত না করার অপরাধে এক হোটেল মালিককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর দুর্গাবাড়ী সড়ক এলাকায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বুলবুল আহম্মেদ তালুকদার অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন।

মসিকের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অভিযান চলাকালে সড়কের ফুটপাত এবং দুই পাশে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনাকারীদের ভ্রাম্যমাণ দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানকালে নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যানে স্কুল সময়ে ইউনিফর্ম পরিহিত শিক্ষার্থীদের সর্তক করে উদ্যানের ভেতরে মোটরসাইকেল প্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এ সময় মসিকের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জাবেদ ইকবালসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

মাফ পাওয়ার সুযোগ নেই: আমির খসরু

মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:০১
ফরিদপুর ও রাজবাড়ী প্রতিনিধি

‘আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞায় সরকারের কম্পন শুরু হয়েছে’ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এরপর বাংলাদেশের মানুষের যে ভিসানীতি আসবে সেটি আরও কঠিন হবে। এখানে কোনো মাফ পাওয়ার সুযোগ নেই।’

মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চ উপলক্ষে জেলা শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমির খসরু বলেন, ‘জীবনের বিনিময়ে হলেও ভোট চুরি প্রতিরোধ করতে হবে। জীবন দিয়ে আমাদের জয়লাভ করতে হবে। এই যুদ্ধ বিএনপির নয়, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।’

‘সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা দাবিতে সারাদেশে বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে এ রোডমার্চ শুরু হয়।

এ দিন গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত এক পথসভায় আমির খসরু বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাতের আঁধারে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এ দেশের মানুষের অধিকার যতদিন ফিরিয়ে দিতে না পারি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যতদিন নির্বাচন না হয় ততদিন আমরা রাজপথে থাকব।’

সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।


মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ২৯ বাংলাদেশি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে ২৯ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার। মংডুতে মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ ২ বিজিবি ও মিয়ানমার ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

ফেরত আসা বাংলাদেশিরা দুই থেকে সাড়ে ছয় বছর মিয়ানমার কারাগারে খাওয়া দাওয়া এবং মানবেতর জীবনযাপন করেছেন বলে জানান। তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে টেকনাফে মডেল থানায় পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নাফনদী, সাগরে মাছ শিকার এবং সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে সেদেশের আইশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে।

বিজিবি জানায়, মংডুতে বেলা ১১টায় টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও মিয়ানমার মংডুর ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো-এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে বৈঠকে অংশ নিতে টেকনাফ বিজিবির বিওপির জেটি দিয়ে রওনা হয়েছিল বিজিবির প্রতিনিধি দল।

ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে টেকনাফ ৭, উখিয়া ৩, মহেষখালী ১২, রাঙ্গামাটি ৩ ও বান্দারবানের ৪ জন রয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জেটিঘাটে বিজিবি ২ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে
জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করা ২৯ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে। এসব ব্যক্তিরা মালয়েশিয়া ও সাগরে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের হাতে আটক হয়েছিল। তাদের সাজাভোগ শেষে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর দুই দেশের বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত আনা হয়।

তিনি বলেন, সে দেশের কারাগারে যেসব বাংলাদেশি জেলে আটক রয়েছে। তাদেরও একই প্রক্রিয়ায় ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। ২৯ জনকে টেকনাফ মডেল থানায় পুলিশের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এখান থেকে সাগরপথে কেউ যাতে অবৈধভাবে যাত্রা করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। তাদের বলেছি, যদি জলসীমানা থেকে কোনো বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের অবিহত করে সমাধান করা হয়। তাছাড়া এ বিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত চুক্তিও রয়েছে। বিশেষ করে সে দেশের কারাগারে আরও বাংলাদেশি রয়েছে। তাদেরও একই প্রক্রিয়ায় ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। এবং মিয়ানমার থেকে যে পরিমাণ ইয়াবা ঢুকছে, সে বিষয়ে তাদের পক্ষে থেকে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি সাজা ভোগ করে ফেরত আসা তৈয়ব ও আব্দুল আজিজ বলেন, আমাদের চারজন জেলেকে ২০১৭ সালের নভেম্বরে নাফ নদী থেকে মাছ শিকারের সময় ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী পুলিশ। আমাদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আটক করে নিয়ে যায়। আমাদের অমানবিক নির্যাতন করে। তখন আমরা বেহুশ হয়ে গেলে হাত পা বেঁধে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। আমাদের সাজা ছিল ২৯ বছর। কিছু সাজা মওকুফ করে সাড়ে পাঁচ বছর করা হয়।

তারা আরও বলেন, সেদেশের কারাগারে টিকমতো খাবার দিতো না। কারাগারে আরও অনেক বাংলাদেশি কষ্টে দিন পার করছেন। তাদেরও ফেরত আনার উদ্যোগ নিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। অবশেষে সরকারের চেষ্টায় স্বদেশে ফেরত আসতে পেরেছি, এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী, টেকনাফ-২ বিজিবি উপঅধিনায়ক মেজর মাসুদ রানা, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক।

বিষয়:

লেভেল ক্রসিংয়ে মৃত্যুঝুঁকি

সাধু চৌধুরী লেভেল ক্রসিংয়ে নেই কোনো প্রতিবন্ধক গেট। সম্প্রতি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের সাধু চৌধুরী এলাকায়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রা হওয়ায় যাত্রীদের রেল যাতায়াতের চাহিদা বেশি। কিন্তু এই উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নে সাধু চৌধুরী লেভেল ক্রসিং, সাব্দি মৌল টারি লেভেল ক্রসিং, জলিল চেয়ারম্যান লেভেল ক্রসিং ও বালাপাড়া ইউনিয়নের চাটরির বাজার লেভেল ক্রসিংয়ের কোনো গেটম্যান ও ব্যারিয়ার না থাকায় এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে প্রাণ। যেন দেখার কেউ নেই।

রেলওয়ে সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতিদিন কাউনিয়া জংশন দিয়ে ১০টি আন্তনগর ট্রেনসহ মোট ২৮টি ট্রেন চলাচল করছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনটি উত্তর জনপদের অন্যতম রেল যোগাযোগমাধ্যম। এর মাধ্যমে রেলপথ সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটসহ রংপুর বিভাগের প্রায় ৮ জেলার মানুষ ঢাকা ছাড়াও দেশের নানা প্রান্তে যাতায়াত করছেন।

গত শনিবার সরেজমিনে কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়ন ও বালাপাড়া ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। এই দুই ইউনিয়নে সাধু চৌধুরী, সাব্দি মৌল টারি, জলিল চেয়ারম্যান ও টাকরির বাজার লেভেল ক্রসিংগুলোতে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। লেভেল ক্রসিংগুলোর রাস্তা দিয়ে দিন ও রাতে বিভিন্ন যানবাহন, স্কুলের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও গবাদিপশু চলাচল করলেও নেই কোনো প্রতিবন্ধক গেট। এ কারণে সেখানে নেই গেটম্যানও। স্থানীয় বাসিন্দারা সব সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে লেভেল ক্রসিং পারাপার হলেও নেই রেল কর্তৃপক্ষের তৎপরতা।

কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের সাধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা বেগম বলেন, ‘লেভেল ক্রসিংয়ের গেটগুলো দিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু লেভেল ক্রসিংগুলোতে গেটম্যান ও প্রতিবন্ধক গেট না থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতঙ্কে থাকি। তাই দ্রুত সমাধান না হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।’

শহীদবাগ ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা তৌফিকুল ইসলাম রানা বলেন, ‘এক সপ্তাহের ব্যবধানে সাধু চৌধুরী লেভেল ক্রসিংয়ে দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। রাতের অন্ধকারে একজন বৃদ্ধ লেভেল ক্রসিং পারাপারের সময় রেলের ধাক্কায় পড়ে নিহত হন এবং তার ২ দিন পর দুজন মোটরসাইকেল আরোহী লেভেল ক্রসিংয়ে পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান।’

তিনি আরও বলেন, ‘হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা আর প্রাণহানি। আর কত দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরলে রেল কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। আমরা যেন রেল কর্তৃপক্ষের কাছে একেবারেই অসহায়।’

কাউনিয়া রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হোসনি মোবারক বলেন, ‘কাউনিয়া স্টেশনে ৪১ জন জনবলের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিকসহ ২৮ জন দায়িত্ব পালন করছেন। জনবলসংকট ও লেভেল ক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। একাধিকবার চাহিদা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।’

লালমনিরহাট রেল বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে গেটম্যান নিয়োগের জন্য সার্কুলার দেয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব যেসব লেভেল ক্রসিংয়ে যেখানে গেটম্যান নেই সেখানে গেটম্যান নিয়োগ করা হবে।

অবৈধ উচ্ছেদের বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা পূর্ণেন্দু দেব জানান, রেলের উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। লেভেল ক্রসিং ঘেঁষে অবৈধ দোকানপাটসহ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। যেসব লেভেল ক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার অকেজো হয়ে আছে, তা দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।

বিষয়:

৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

চার লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ফাতেহা নামের সাত বছরের এক শিশুকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠিয়েছে।

এদিকে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা রুমা আক্তার বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ও বাঞ্ছারামপুরের ওসি নূরে আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম জানান, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুটকীকান্দি গ্রামের প্রবাসফেরত বাছেদ মিয়ার শিশুকন্যা ফাতেহা গত ৩০ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ফাতেহার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার একদিন পর ১ অক্টোবর অপহরণকারীরা ফাতেহার বাবাকে ফোন করে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায়। পরে বাছেদ মিয়ার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে চার লাখ টাকা দাবি করে। এরপর বাছেদ মিয়া পুরো বিষয়টি বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলমকে অবগত করেন। পরে পুলিশ ওই ফোন নম্বর ধরে ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই অপরহণকারী দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে নাজিম (১৯) ও শুঁটকিকান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন (২১) নিহত শিশু ফাতেহান ফুফাতো ও চাচাতো ভাইকে গতকাল সোমবার আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাশের ডোবায় কচুরিপানার নিচ থেকে ফাতেহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখওয়াত হোসেন বলেন, ফোন কলের রেশ ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ দুই ঘাতককে আটক করা হয়। ঘাতকদের ফোনে শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত চ্যাটিং (বার্তা আদান-প্রদান) পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।


ইউএনওকে লাঞ্ছিত: আ. লীগের ৫ নেতা বহিষ্কার

আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৩:৩২
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে অশোভন আচরণ এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইচএম আবু বকর চৌধুরী।

বহিষ্কৃতরা হলেন- মোক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হেকিম, সদস্য মো. জাকির হোসেন, ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আকরাম হোসেন, একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফয়সাল ফকির এবং ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাইদুল।

তবে ঘটনার মূল হোতা মোক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে গত শনিবার দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলা চত্বরে নিষেধ থাকার পরও গাড়ি পার্কিং করতে যান মোক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও তার লোকজন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে শুরু হয় হট্টগোল। উত্তেজনার এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমানকে লাঞ্ছিত করেন তারা। ইউএনও অফিস লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। এই ঘটনায় চার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হন। পরে মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনকে প্রধান আসামি করে আর ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন আনসার সদস্য আকরাম হোসেন।

বিষয়:

ছাত্র সংসদের নির্বাচন নেই, নেয়া হচ্ছে ফি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কার্ত্তিক দাস, নড়াইল

১৮৮৬ সালে স্থাপিত নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাত্র সংসদ ফি নেয়া হচ্ছে। কিন্তু ২৩ বছর ধরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হচ্ছে না। এ ছাড়াও বিভিন্ন খাতে আদায় করা অর্থ শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করা হয় না।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাত্র সংসদ ব্যবস্থাপনা ফি ২৫ টাকা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ফি ১০ টাকা, খেলাধুলা ফি ২৫ টাকা, ম্যগাজিন ফি ১৫ টাকাসহ সেমিনার, হোস্টেল তহবিল, জামানত, যাতায়াত, নৈশপ্রহরী, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা, দরিদ্র তহবিলসহ বিভিন্ন খাতে জনপ্রতি ১ হাজার ৪৫৭ টাকা করে নেয়া হয়। কিন্তু কলেজের পাঠাগারে কোনো ম্যাগাজিন রাখা হয় না। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন ব্যবস্থাও নেই। কলেজে বর্তমানে ৮ হাজার ১৪১ জন শিক্ষার্থী এসব খাতে টাকা দিয়ে যাচ্ছেন।

এই কলেজে ২০০১ সালের পর আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। সর্বশেষ নির্বাচনে ছাত্রলীগ নেতৃত্বাধীন পরিষদ বিজয়ী হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিবছর ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে একটি করে সাময়িকী প্রকাশের কথা থাকলেও কয়েক বছর ধরে তা ঠিকমতো হচ্ছে না।

কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র তরিকুল ইসলাম বলেন, কলেজে ভর্তির পর ছাত্র সংসদ কী, তা-ই দেখলাম না। অথচ প্রতি পর্বে ছাত্র সংসদ ফি দিয়ে যাচ্ছি।

ছাত্র সংসদের সর্বশেষ সহসভাপতি (ভিপি) মাসুদুল হাসান বলেন, ২০০১ সালে তিনি ম্নাতক পাস করে কলেজ থেকে বের হয়েছেন। বর্তমানে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ছাত্র না হয়েও সাংবিধানিকভাবে এখনো পর্যন্ত তিনি ওই কলেজের ভিপি। কিন্তু কোনো কিছুতেই তাকে ডাকা হয় না। কলেজের পরিবেশ বজায় রাখতে হলে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস এসএম পলাশ জানান, তিনি বর্তমানে নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। নিয়ম অনুযায়ী ছাত্র সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বিভিন্ন খাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ ব্যয় করবেন। কিন্তু একটি মহলের স্বার্থ হাসিলের জন্য কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহামুদুল হাসান বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে স্ব স্ব অবস্থানসহ সুন্দর পরিবেশ ও সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত।

কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিশ্চিতকরণে অবশ্যই ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জামায়াত-শিবির বাদে ছাত্রদল যদি কলেজ ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ রাজনীতিচর্চা করতে চায়, তাহলে কোনো অসুবিধা থাকার কথা নয়।’

কলেজ শাখা ছাত্রমৈত্রী সভাপতি আরমান সিকদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় কলেজের শিক্ষার্থীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিউল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ১৯৯৭ সালের আগে কলেজটি ডিগ্রি কলেজ ছিল। তখন কলেজের গঠনতন্ত্র ছিল একরকম। কলেজে এখন অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। ২০১৫ সালে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ওই সালেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন করা যায়নি। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি রয়েছে। ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এলে তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, ছাত্র সংসদের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই ওই অর্থ প্রতিবছর ব্যয় করেন। এ খাতের সব টাকা কলেজের হিসাবে জমা পড়ে আছে।

বিষয়:

লাল ফিতায় বন্দি কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের সেতু

রামপুরা-কায়েতপাড়া সড়কের বালু নদে ২০ বছর ধরে পরিত্যক্ত নির্মাণাধীন সেতু। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:১৫
রাসেল আহমেদ, রূপগঞ্জ

গুনে গুনে ২০ বছর পার। দুটি স্প্যান ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। পালন করা হয়েছে অবরোধ-মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি। তবুও যেন কোথায় আটকে আছে নিয়তি! সেতুটির ভাগ্যের শিঁকে ছিঁড়ছে না কিছুতেই। কতিপয় প্রভাবশালীর ক্ষমতার লাল ফিতায় বন্দি হয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেতুটি। আর স্বপ্ন নিয়ে প্রহর গুনছে রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ ও রূপগঞ্জের লাখো মানুষ।

এই সেতু নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যেত। খুলে যেত সম্ভাবনার দুয়ার। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সেতুবন্ধন তৈরি হতো। কমে যেত রাজধানী ঢাকার যানজট। একটি মাত্র সেতুর জন্য রূপগঞ্জসহ আশপাশের লাখো মানুষকে ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরে রাজধানী ঢাকায় যেতে হয়। অথচ এ সেতুটি হলে মাত্র ২০ মিনিটে এলাকার বাসিন্দারা ঢাকায় যেতে পারবে। স্বাধীনতার পর থেকে সেতুটির কথা এলাকাবাসী শুনে এলেও গত ৪৬ বছরে এর বাস্তবায়ন হয়নি। সেতুটি নিয়ে দু’দফায় টেন্ডারও হয়েছে। অথচ কাজের কাজ হয়নি কিছুই।

সরেজমিনে ঘুরে ও এলাকার প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগের জন্য স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রামপুরা-কায়েতপাড়া সড়ক ও বালু নদে সেতু নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ’৭৫-পরবর্তী বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা এ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। গত ৪৬ বছরে ঢাকার সঙ্গে সহজে যোগাযোগের জন্য বালু নদের রূপগঞ্জ অংশের চনপাড়া, ইউসুফগঞ্জ ও ভোলানাথপুরে তিনটি সেতু নির্মাণ করা হলেও এ সেতুটির ভাগ্য বন্দি হয়ে আছে প্রভাবশালীদের ক্ষমতার লাল ফিতায়।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত রামপুরা-কায়েতপাড়া সড়কের বালু নদে সেতুর অনুমোদন হয় ২০০১ সালে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এক বছরের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার দায়িত্ব পান তৎকালীন ঠিকাদার জাহিদ হোসেন। গত ২০০৪-০৫ অর্থবছরে বরাদ্দ মেলে মাত্র ৫০ লাখ টাকা। এরপর আর কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ফলে ২টি স্প্যান নির্মাণের পর সেতুর নির্মাণ কাজ থমকে যায়। সূত্রটি আরও জানায়, নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সেতুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে এখন অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন। সেতুর জন্য নতুন করে সাড়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিছুদিন কাজও হয়েছিল; কিন্তু বাকি কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে তা জানে না কেউ।

স্থানীয়রা জানান, সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় জমি হুকুম দখল করা হয়নি। জমি মালিকদের পরপর দুটি নোটিশ দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত সেতুর দু’পাশের জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করেছে। এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও চলমান।

খামারপাড়া এলাকার অশীতিপর বৃদ্ধ আউয়াল আলী বলেন, ‘১৯৭১ সালের পর বাসাবো মাঠে এক জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান রামপুরা-কায়েতপাড়া রাস্তা আর বালু গাঙ্গে (নদে) বিরিজ (সেতু ) কইরা দিব কইছিল। কত সরকার আইলো-গেল আমাগো স্বপ্ন পূরণ অইল না। শেখ মুজিব বাইচ্যা থাকলে এ বিরিজ হগলতের আগে অইত।’

নয়ামাটি এলাকার রবি রায় বলেন, ‘সেতু নির্মাণের দাবিতে বিভিন্ন সময় বালু নদী অবরোধ-মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর (বীরপ্রতীক) সেতু মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করছেন। তবে কতটুকু, কী করতে পারছেন জানি না।’

সেতুটি নির্মাণ হলে রূপগঞ্জসহ রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠের খিলগাঁও, সবুজবাগ, ডেমরা ও আশপাশের কয়েক লাখ মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে। তৈরি হবে নতুন নতুন শিল্প-কারখানা। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। সেতুটি নির্মিত হলে কাঁচপুর ও সুলতানা কামাল সেতুর যানজট কমে যাবে। সিলেট, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদীসহ ১০ জেলার যানবাহন অতি সহজে ভুলতা দিয়ে কায়েতপাড়া হয়ে রাজধানীর রামপুরায় প্রবেশ করতে পারবে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগ-২ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সামিউল কাদের বলেন, ‘সেতুটির ভাগ্যে কী আছে আমরাও জানি না। বেশ কয়েকবার টেন্ডার ও মাপজোখ হয়েছে। কিন্তু পরে আর কিনারা পাওয়া যায় না।’

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর (বীরপ্রতীক) বলেন, ‘বালু নদের সেতুটি হলে রূপগঞ্জের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ খুব সহজ হবে। আর কায়েতপাড়া ইউনিয়নবাসীর জন্য এ সেতু স্বপ্ন। তাই লাখো মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।’


গজারিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা, হত্যার হুমকি

আমিরুল ইসলাম নয়ন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

বিজয় টিভির মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার গজারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মো. আমিরুল ইসলাম নয়নের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে এবং গুলি করে হত্যা করার হুমকি দেয়।

সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘রিপোর্ট-সংক্রান্ত কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় পাঁচজন যুবক আমাকে ঘিরে ধরে। তাদের মধ্যে একজন আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় পাশ থেকে আরেকজন বলতে থাকে ‘পিস্তল বের করে শালাকে গুলি করে দে’। ব্যস্ততম জায়গায় আর আশপাশে অনেক লোকজন থাকায় হামলাকারীরা সুবিধা করতে করতে পারেনি। আমি কৌশলে দৌড়ে কোনো রকমে রক্ষা পাই। তারপর একটি ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আমি চিনতে পেরেছি। বাকিদেরও মুখ চিনি কিন্তু নাম বলতে পারব না। এদের সাথে কোনো বিষয় নিয়ে আমার কোনো বিরোধ ছিল না, কী কারণে তারা আমার ওপর হামলা করল তা জানা নেই। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েছি। মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম নয়ন মুঠোফোনে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

এদিকে সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম নয়নের ওপর হামলা এবং হত্যার হুমকির ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন গজারিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আরফিন ও গজারিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি করেন তারা।


banner close