মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

চট্টগ্রামে অপহৃত শিক্ষার্থী ঢাকা থেকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার রাকিবুল ও রিদোয়ান
আপডেটেড
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:০৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:০৪

চট্টগ্রাম থেকে অপহৃত এক নারী শিক্ষার্থীকে ১৪ দিন পর ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর ঢেমশা মাইজপাডার মাস্টার গোলাম সোবহানের বাড়ির রফিক উদ্দীনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (১৯), রফিক উদ্দীনের স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৩৭) ও লোহাগাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রিদোয়ান (২২)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোছাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের কোতোয়ালি থানার নন্দনকানন গোলাপ সিং লেন থেকে চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ সরকারী মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শিক্ষার্থীর চাচা জান এ আলম । পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামিরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে মর্মে জানতে পেরে শিক্ষার্থীর বাবা সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ রুপ কানিয়া নয়াপাড়া এলাকার হাশেমের ছেলে আব্বাস উদ্দিন ১১ সেপ্টেম্বর একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

এসআই তোফাজ্জল বলেন, ‘আমি মামলাটির তদন্তভার পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাই। সর্বশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার তেজগাঁও থানার কারওয়ান বাজার গ্র্যান্ড হোটেল থেকে সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও এজাহার নামীয় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে নিয়ে আসি।’

মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

বিষয়:

মাফ পাওয়ার সুযোগ নেই: আমির খসরু

মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:০১
ফরিদপুর ও রাজবাড়ী প্রতিনিধি

‘আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞায় সরকারের কম্পন শুরু হয়েছে’ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এরপর বাংলাদেশের মানুষের যে ভিসানীতি আসবে সেটি আরও কঠিন হবে। এখানে কোনো মাফ পাওয়ার সুযোগ নেই।’

মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চ উপলক্ষে জেলা শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমির খসরু বলেন, ‘জীবনের বিনিময়ে হলেও ভোট চুরি প্রতিরোধ করতে হবে। জীবন দিয়ে আমাদের জয়লাভ করতে হবে। এই যুদ্ধ বিএনপির নয়, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।’

‘সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা দাবিতে সারাদেশে বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে এ রোডমার্চ শুরু হয়।

এ দিন গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত এক পথসভায় আমির খসরু বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাতের আঁধারে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এ দেশের মানুষের অধিকার যতদিন ফিরিয়ে দিতে না পারি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যতদিন নির্বাচন না হয় ততদিন আমরা রাজপথে থাকব।’

সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।


মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ২৯ বাংলাদেশি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে ২৯ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার। মংডুতে মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ ২ বিজিবি ও মিয়ানমার ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

ফেরত আসা বাংলাদেশিরা দুই থেকে সাড়ে ছয় বছর মিয়ানমার কারাগারে খাওয়া দাওয়া এবং মানবেতর জীবনযাপন করেছেন বলে জানান। তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে টেকনাফে মডেল থানায় পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নাফনদী, সাগরে মাছ শিকার এবং সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে সেদেশের আইশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে।

বিজিবি জানায়, মংডুতে বেলা ১১টায় টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও মিয়ানমার মংডুর ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো-এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে বৈঠকে অংশ নিতে টেকনাফ বিজিবির বিওপির জেটি দিয়ে রওনা হয়েছিল বিজিবির প্রতিনিধি দল।

ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে টেকনাফ ৭, উখিয়া ৩, মহেষখালী ১২, রাঙ্গামাটি ৩ ও বান্দারবানের ৪ জন রয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জেটিঘাটে বিজিবি ২ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে
জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করা ২৯ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে। এসব ব্যক্তিরা মালয়েশিয়া ও সাগরে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের হাতে আটক হয়েছিল। তাদের সাজাভোগ শেষে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর দুই দেশের বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত আনা হয়।

তিনি বলেন, সে দেশের কারাগারে যেসব বাংলাদেশি জেলে আটক রয়েছে। তাদেরও একই প্রক্রিয়ায় ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। ২৯ জনকে টেকনাফ মডেল থানায় পুলিশের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এখান থেকে সাগরপথে কেউ যাতে অবৈধভাবে যাত্রা করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। তাদের বলেছি, যদি জলসীমানা থেকে কোনো বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের অবিহত করে সমাধান করা হয়। তাছাড়া এ বিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত চুক্তিও রয়েছে। বিশেষ করে সে দেশের কারাগারে আরও বাংলাদেশি রয়েছে। তাদেরও একই প্রক্রিয়ায় ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। এবং মিয়ানমার থেকে যে পরিমাণ ইয়াবা ঢুকছে, সে বিষয়ে তাদের পক্ষে থেকে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি সাজা ভোগ করে ফেরত আসা তৈয়ব ও আব্দুল আজিজ বলেন, আমাদের চারজন জেলেকে ২০১৭ সালের নভেম্বরে নাফ নদী থেকে মাছ শিকারের সময় ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী পুলিশ। আমাদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আটক করে নিয়ে যায়। আমাদের অমানবিক নির্যাতন করে। তখন আমরা বেহুশ হয়ে গেলে হাত পা বেঁধে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। আমাদের সাজা ছিল ২৯ বছর। কিছু সাজা মওকুফ করে সাড়ে পাঁচ বছর করা হয়।

তারা আরও বলেন, সেদেশের কারাগারে টিকমতো খাবার দিতো না। কারাগারে আরও অনেক বাংলাদেশি কষ্টে দিন পার করছেন। তাদেরও ফেরত আনার উদ্যোগ নিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। অবশেষে সরকারের চেষ্টায় স্বদেশে ফেরত আসতে পেরেছি, এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী, টেকনাফ-২ বিজিবি উপঅধিনায়ক মেজর মাসুদ রানা, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক।

বিষয়:

লেভেল ক্রসিংয়ে মৃত্যুঝুঁকি

সাধু চৌধুরী লেভেল ক্রসিংয়ে নেই কোনো প্রতিবন্ধক গেট। সম্প্রতি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের সাধু চৌধুরী এলাকায়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রা হওয়ায় যাত্রীদের রেল যাতায়াতের চাহিদা বেশি। কিন্তু এই উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নে সাধু চৌধুরী লেভেল ক্রসিং, সাব্দি মৌল টারি লেভেল ক্রসিং, জলিল চেয়ারম্যান লেভেল ক্রসিং ও বালাপাড়া ইউনিয়নের চাটরির বাজার লেভেল ক্রসিংয়ের কোনো গেটম্যান ও ব্যারিয়ার না থাকায় এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে প্রাণ। যেন দেখার কেউ নেই।

রেলওয়ে সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতিদিন কাউনিয়া জংশন দিয়ে ১০টি আন্তনগর ট্রেনসহ মোট ২৮টি ট্রেন চলাচল করছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনটি উত্তর জনপদের অন্যতম রেল যোগাযোগমাধ্যম। এর মাধ্যমে রেলপথ সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটসহ রংপুর বিভাগের প্রায় ৮ জেলার মানুষ ঢাকা ছাড়াও দেশের নানা প্রান্তে যাতায়াত করছেন।

গত শনিবার সরেজমিনে কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়ন ও বালাপাড়া ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। এই দুই ইউনিয়নে সাধু চৌধুরী, সাব্দি মৌল টারি, জলিল চেয়ারম্যান ও টাকরির বাজার লেভেল ক্রসিংগুলোতে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। লেভেল ক্রসিংগুলোর রাস্তা দিয়ে দিন ও রাতে বিভিন্ন যানবাহন, স্কুলের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও গবাদিপশু চলাচল করলেও নেই কোনো প্রতিবন্ধক গেট। এ কারণে সেখানে নেই গেটম্যানও। স্থানীয় বাসিন্দারা সব সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে লেভেল ক্রসিং পারাপার হলেও নেই রেল কর্তৃপক্ষের তৎপরতা।

কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের সাধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা বেগম বলেন, ‘লেভেল ক্রসিংয়ের গেটগুলো দিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু লেভেল ক্রসিংগুলোতে গেটম্যান ও প্রতিবন্ধক গেট না থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতঙ্কে থাকি। তাই দ্রুত সমাধান না হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।’

শহীদবাগ ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা তৌফিকুল ইসলাম রানা বলেন, ‘এক সপ্তাহের ব্যবধানে সাধু চৌধুরী লেভেল ক্রসিংয়ে দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। রাতের অন্ধকারে একজন বৃদ্ধ লেভেল ক্রসিং পারাপারের সময় রেলের ধাক্কায় পড়ে নিহত হন এবং তার ২ দিন পর দুজন মোটরসাইকেল আরোহী লেভেল ক্রসিংয়ে পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান।’

তিনি আরও বলেন, ‘হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা আর প্রাণহানি। আর কত দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরলে রেল কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। আমরা যেন রেল কর্তৃপক্ষের কাছে একেবারেই অসহায়।’

কাউনিয়া রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হোসনি মোবারক বলেন, ‘কাউনিয়া স্টেশনে ৪১ জন জনবলের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিকসহ ২৮ জন দায়িত্ব পালন করছেন। জনবলসংকট ও লেভেল ক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। একাধিকবার চাহিদা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।’

লালমনিরহাট রেল বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে গেটম্যান নিয়োগের জন্য সার্কুলার দেয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব যেসব লেভেল ক্রসিংয়ে যেখানে গেটম্যান নেই সেখানে গেটম্যান নিয়োগ করা হবে।

অবৈধ উচ্ছেদের বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা পূর্ণেন্দু দেব জানান, রেলের উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। লেভেল ক্রসিং ঘেঁষে অবৈধ দোকানপাটসহ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। যেসব লেভেল ক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার অকেজো হয়ে আছে, তা দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।

বিষয়:

৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

চার লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ফাতেহা নামের সাত বছরের এক শিশুকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠিয়েছে।

এদিকে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা রুমা আক্তার বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ও বাঞ্ছারামপুরের ওসি নূরে আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম জানান, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুটকীকান্দি গ্রামের প্রবাসফেরত বাছেদ মিয়ার শিশুকন্যা ফাতেহা গত ৩০ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ফাতেহার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার একদিন পর ১ অক্টোবর অপহরণকারীরা ফাতেহার বাবাকে ফোন করে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায়। পরে বাছেদ মিয়ার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে চার লাখ টাকা দাবি করে। এরপর বাছেদ মিয়া পুরো বিষয়টি বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলমকে অবগত করেন। পরে পুলিশ ওই ফোন নম্বর ধরে ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই অপরহণকারী দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে নাজিম (১৯) ও শুঁটকিকান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন (২১) নিহত শিশু ফাতেহান ফুফাতো ও চাচাতো ভাইকে গতকাল সোমবার আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাশের ডোবায় কচুরিপানার নিচ থেকে ফাতেহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখওয়াত হোসেন বলেন, ফোন কলের রেশ ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ দুই ঘাতককে আটক করা হয়। ঘাতকদের ফোনে শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত চ্যাটিং (বার্তা আদান-প্রদান) পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।


গজারিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা, হত্যার হুমকি

আমিরুল ইসলাম নয়ন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

বিজয় টিভির মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার গজারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মো. আমিরুল ইসলাম নয়নের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে এবং গুলি করে হত্যা করার হুমকি দেয়।

সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘রিপোর্ট-সংক্রান্ত কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় পাঁচজন যুবক আমাকে ঘিরে ধরে। তাদের মধ্যে একজন আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় পাশ থেকে আরেকজন বলতে থাকে ‘পিস্তল বের করে শালাকে গুলি করে দে’। ব্যস্ততম জায়গায় আর আশপাশে অনেক লোকজন থাকায় হামলাকারীরা সুবিধা করতে করতে পারেনি। আমি কৌশলে দৌড়ে কোনো রকমে রক্ষা পাই। তারপর একটি ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আমি চিনতে পেরেছি। বাকিদেরও মুখ চিনি কিন্তু নাম বলতে পারব না। এদের সাথে কোনো বিষয় নিয়ে আমার কোনো বিরোধ ছিল না, কী কারণে তারা আমার ওপর হামলা করল তা জানা নেই। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েছি। মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম নয়ন মুঠোফোনে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

এদিকে সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম নয়নের ওপর হামলা এবং হত্যার হুমকির ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন গজারিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আরফিন ও গজারিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি করেন তারা।


যৌন হয়রানির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড

দণ্ডপ্রাপ্ত নিজাম উদ্দিন
আপডেটেড ২ অক্টোবর, ২০২৩ ২২:০০
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অপরাধে এক বখাটে যুবককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার বাবুপাড়া নামক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডেজি চক্রবর্তী।

জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত বখাটের নাম মো. নিজাম উদ্দিন (৩৬)। তার মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নবীনগর এলাকায়।

এলাকাবাসী জানায়, মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই যুবক হাত ধরে টান দিলে মেয়েটি চিৎকার করে ওঠে। চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে এবং বখাটে যুবককে ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। স্থানীয়রা প্রশাসনকে খবর দিলে মাটিরাঙ্গা থানার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজি চক্রবর্তী বলেন, স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির করার অপরাধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৫০৯ ধারায় মো. নিজাম উদ্দিনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তাকে খাগড়াছড়ি সদর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


ক্ষমতাপ্রেমীদের মসনদ ভেঙে বঙ্গোপসাগরে ফেলা হবে: চরমোনাই পীর

মুন্সিগঞ্জ শহরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির আমীর রেজাউল করীম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) সৈয়দ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘দেশের ১২টা বেজে গেছে। এ সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়, ক্ষমতাপ্রেমীদের মসনদ ভেঙে এবার বঙ্গোপসাগরে ফেলা হবে।’

জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচনের কমিশনারের পদত্যাগ; বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য পণ্য দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জে আয়োজিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সোমবার মুন্সিগঞ্জ শহরের কৃষিব্যাংক সংলগ্ন সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন দলটির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী।

রেজাউল করিম বলেন, ‘বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। আমাদের ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে আবারও সরকার ক্ষমতায় যাবে, এই স্বপ্ন বাংলার মাটিতে আর বাস্তবায়ন হবে না। তারা বলে থাকে আমরা দেশপ্রেমিক আমরা জনগণের প্রেমিক। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমাদের দাবি আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নির্বাচন হবে স্বচ্ছ, নির্বাচন হবে প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। বিভিন্ন দেশেও একই কথা বলছে। আমেরিকাও বলছে একটি সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন বাংলাদেশ হতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলে, বিদেশিরা তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করে আপনারা যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করেন তাহলে তারা আর এসব কথা বলার সাহস পায় না।’

ভিসানীতি দেশের জন্য লজ্জাজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ভিসা স্যাংশনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে ভিসা সংসদ বাংলা একটি দেশের জন্য লজ্জাজনক এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না তাই এর পরিবর্তন দরকার। চোরের দিক থেকে, দুর্নীতিবাজের দিক থেকে এ দেশ পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এ অবস্থা আমরা আর দেখতে চাই না। তাই দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য এক নীতি আদর্শ দরকার যার নাম ইসলাম। ইসলামী নিতে আদর্শের মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তি আসবেন। এ শান্তির পক্ষে আমরা সবাই একত্রিত হবো। যারা নাকি ক্ষমতা প্রেমিক রয়েছে আমরা দেশ প্রেমিকরা একত্রিত হয়ে এদের মসনদকে ভেঙে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে।’

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতিআতিকুর রহমানের সভাপতি তো ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মুফতি শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ সহ জেলা কমিটির নেতারা।


গজারিয়ায় নিজ ঘর থেকে কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিজ ঘর থেকে যুথি আক্তার (১৭) নামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের চর সাহেবানী গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

যুথি ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জহিরুল ইসলামের মেয়ে। এ বছর সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই বছর আগে তার মা মারা যান। পরে তার বাবা দ্বিতীয় বিবাহ করেন এবং কয়েক মাস পর বিদেশে যান। এরপর থেকেই সৎ মায়ের সঙ্গে যুথির বিবাদ লেগেই থাকত। সম্প্রতি সৎ মায়ের উপর অভিমান করে যুথির ছোট ভাই নানা বাড়ি চলে যায়। এ অবস্থার মধ্যে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে যুথির শয়ন কক্ষের জানালা দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় এক প্রতিবেশী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

যুথির নানা রবিউল আউয়ালের অভিযোগ, ‘এই ঘটনার জন্য সৎ মা পান্না আক্তার দায়ী।’ তাকে খুন করা অথবা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

রবিউল আউয়াল বলেন, ‘এ বিষয়ে সৎমা পান্নার বিরুদ্ধে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে।’

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ‘পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আমাদের কাছে আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’


কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় রিফাত হোসেন (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার শিলাবৃষ্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রিফাত টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার পথহারা এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রিফাত কালিয়াকৈর থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। সোমবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার শিলাবৃষ্টি এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রিফাত মারা যান। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়:

চট্টগ্রামে দেড় হাজার কেজি পলিথিন জব্দ

সোমবার দুপুরে খাতুনগঞ্জ পাইকারী বাজারে অভিযানে চালিয়ে এক হাজার ৭০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রামে দুটি গোডাউন থেকে এক হাজার ৭০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। গোডাউন দুটির মালিকদের ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নগরীর বাকলিয়া থানার খাতুনগঞ্জ পাইকারী বাজারে পরিচালিত এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।

তিনি বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় সরকার পলিথিন নিষিদ্ধ করেছে। আমরা অভিযান পরিচালনা করে খাতুনগঞ্জের ওসমানিয়া গলিতে একটি নামহীন ও রহমান অ্যান্ড ব্রাদার্সে নামের আরেকটি গোডাউন থেকে মোট ১ হাজার ৭০০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। এতে দুই গোডাউন মালিককে ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জনাব আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা পলিথিনমুক্ত নগরী গড়ার জন্য বদ্ধপরিকর, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

বিষয়:

তাদের পরবর্তী টার্গেট ছিল স্বর্ণের দোকান লুট

র‌্যাবের হাতের গ্রেপ্তার ৫ জন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় অটোরিকশা ছিনতাই করে চালক হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সঞ্জিত চন্দ্র দেবনাথ (৫৮) নামে ওই অটোরিকশাচালককে হত্যা করে ছিনতাই করে একটি ডাকাত দল। তাদের পরবর্তী টার্গেট ছিল স্বর্ণের দোকান লুট করা। সে জন্য তাদের প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছিল। তবে তার আগেই রোববার রাতে র‌্যাবের অভিযানে ধরা পরে দলটির পাঁচ সদস্য।

নিহত সঞ্জিত কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার শাহদৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে বের আর ফেরেননি তিনি। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের রামপুর এলাকার একটি জলাশয় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সঞ্জিতের ছেলে অর্পণ দেবনাথ অজ্ঞাতদের আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মনিরুল আলম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তাররা আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য। তারা এর আগেও একাধিক অটো ছিনতাই করে। তাদের পরবর্তী টার্গেট ছিল নোয়াখালী অঞ্চলে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করা এবং পরে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী বাহন ছিনতাই করা। চুরি ছিনতাই ও ডাকাতির আগে তারা সুক্ষ্মভাবে পরিকল্পনা করে। তাদের বিরুদ্ধে চুরি ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে।’

এ র‌্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বুড়িচংয়ের দেবপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় অন্য তিন-চারজন পালিয়ে যায়। তারা প্রাথমিকভাবে সঞ্জিত খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’

গ্রেপ্তাররা হলো কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বড়ইয়াকুড়ি গ্রামের মো. নুর ইসলাম (২৫), দেবিদ্বার উপজেলার বারেরা গ্রামের মো. মিজান (২৪), মুরাদনগর উপজেলার বড়কুইয়া গ্রামের শিপন মিয়া (২৩), চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার পনশাহী গ্রামের মো. মিজানুর রহমান (৩৫) ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার মো. মোখলেছ (৩৭)।

তাদের কাছ থেকে একটি ছোরা, একটি চাকু, একটি ক্রিজ একটি স্টিলের পাইপ একটি পাইপ গিয়ার ,নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় বলেও জানায় র‌্যাব।

বিষয়:

বন্ধুদের হাতে খুন হয় মোর্শেদ, গ্রেপ্তার ৪

পুলিশের হাতে আটক ৪ জন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মোর্শেদুল ইসলাম (৩৩) নামে এক যুবককের হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ। মোর্শেদুল ওই উপজেলার উত্তর দুরাকুটি বাসোপাড়ার একরামুল হকের ছেলে।

সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম সবুর।

গ্রেপ্তাররা হলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি মাষ্টারপাড়া এলাকার মামুনুর রশিদের ছেলে বাদশা আলমগীর (৩১), বাসোপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম ইসলাম (১৯), নুরুজ্জামান ওরফে পেলকু মেম্বারের ছেলে সেলিম মিয়া (২৭) ও ময়নুকুড়ি এলাকার মামুদ আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম (৩০)।’

সংবাদ সম্মেলনে এসপি বলেন, ‘হত্যার শিকার মোর্শেদুল ও গ্রেপ্তাররা বন্ধুর মতো ছিল, একসঙ্গে মিলে গাজা সেবন করত। তাদের মধ্যে লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল। মোর্শেদুল ইব্রাহিমের বোন পালিয়ে বিয়ে করেছে বলে মিথ্যা খবর রটায় এবং সেলিমের ঠিক হয়ে থাকা বিয়ে ভেঙে দেয়। এছাড়া অন্য দুজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেয়ায় মোর্শেদুলকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে ওই চারজন। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৪ আগস্ট রাতে ইব্রাহিম গাজা কিনে এনেছে জানিয়ে তা সেবন করার জন্য ফোন দিয়ে মোর্শেদুলকে ডেকে আনে অন্যরা। পরিকল্পনা মোতাবেক গাজা সেবনের স্থানে নিয়ে মোর্শেদুলকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়। পরে কাপড় দিয়ে বস্তার মতো করে বেধে ওই এলাকার কারবলার ডাঙ্গা সংলগ্ন ধাইজান নদী খননের বালুর স্তূপে পুতে রাখে।’

এসপি আরও বলেন, ‘মৃত্যুর তিনদিন পর অজ্ঞাত ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর লাশ শনাক্ত না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে নিহত ব্যক্তি মোর্শেদুল বলে ধারনা করে তার পরিবার। এরপর থেকে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার পল্লবী থানা এলাকা থেকে বাদশা আলমগীর ও ২৪ সেপ্টেম্বর ইব্রাহিমকে এবং ২৭ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়ি থেকে সেলিম ও আনারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ইব্রাহিম, সেলিম ও আনারুল এ হত্যাকাণ্ডে সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’

বিষয়:

বস্তাবন্দি কঙ্কালসহ যুবক আটক

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বস্তাবন্দি কঙ্কালসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে মধুপুর থানার মটরবাজার এলাকা থেকে ওমর আলী (৩৫) নামে ওই যুবককে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, সোমবার ভোরে মধুপুর থানার মটর বাজার এলাকা থেকে বাজারের পাহারাদার সন্দেহজনকভাবে উপজেলার ঘুঘুদিয়া গ্রামের সোবহান মিয়ার ছেলে ওমর আলীকে আটক করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওমরের কাছে থাকা বস্তা থেকে মাথা, ডান হাত ও দুপাসহ কোমরের নিচের অংশবিহীন অজ্ঞাত ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আটক ওমর মেডিকেল কলেজে নিয়ে কঙ্কাল বিক্রি চক্রের সদস্য।

মধুপুর থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, ‘আটক ওমর আলী একজন মাদকাসক্ত, তাই তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।’

বিষয়:

banner close