মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সুষ্ঠু ভোটের জন্য শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় মহানগর বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্য দেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২১:৪৯

অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় মহানগর বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে’ এ সমাবেশ করা হয়।

গয়েশ্বর বলেন, ‘এক দফা আন্দোলনের অর্থ জনগণের ভোটাধিকার। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বাচন করতে হলে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এই অবৈধ সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। কারণ শেখ হাসিনাকে মানুষ বিশ্বাস করে না।’

সমাবেশের প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেলফি তোলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘সেলফি তুলে দেশজুড়ে তোলপাড় করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সেলফির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সেলফি তুলে দেশের মানুষকে আর ধোঁকা দেওয়া সম্ভব নয়।’

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনির সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার, শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু প্রমুখ।


কালিয়াকৈরে নদীর স্রোত গিলে খাচ্ছে সড়ক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলার লতিফপুর জোড়া সেতু থেকে টান-কালিয়াকৈর সেতু পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ও মানুষ চলাচল করেন। কালিয়াকৈর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মধ্যে এটি অন্যতম। এ সড়ক দিয়ে প্রায় দশ গ্রামের ৫০ হাজার লোকজন সব সময় চলাচল করেন। গত রোববার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে ২০০ ফুট রাস্তা বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ওই ২০০ ফুট সড়কের মধ্যে দুই থেকে তিন ফুট করে পশ্চিমাংশে দেবে খাটাখালী নদীতে পড়ে গেছে। এতে বড় যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা ছোটখাটো রিকশা ও ভ্যান চলাচলও করতে পারছে না। এমনকি মোটরসাইকেল চলাচল করতেও এখন সমস্যা হচ্ছে। এতে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র লতিফপুর এলাকাটি। এক কথায় বলা যেতে পারে কালিয়াকৈর উপজেলার রাজধানী লতিফপুর। লতিফপুর গ্রামটিকে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবেই ধরা হয়। কারণ এখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস, পৌরসভা, থানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাব-রেজিস্টার অফিসসহ সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস রয়েছে। এ কারণে উপজেলার অন্য সব এলাকা থেকে বেশি মানুষের চলাচল লফিতপুর অঞ্চলে। যার সুবাদে ওই রাস্তা দিয়ে সব শ্রেণি- পেশার মানুষ চলাচল করেন। লতিফপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন, কালিয়াকৈর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, গোলাম নবী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, কালিয়াকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ওই পথ ধরেই স্কুল কলেজে যাওয়া-আসা করে।

এখন সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে চলাচল করছেন আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। কারণ আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রবেশ করার একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া এই সড়কটি দিয়ে লতিফপুর, লতিফপুর (বাগানবাড়ি), জানের চালা, পিরেরটেকী, লালটেকী, টান-কালিয়াকৈর, কালিয়াকৈর, সৈয়দপুর, গাবতলী, মাদ্রাসাপাড়াসহ প্রায় ১০ গ্রামের ৫০ হাজারেরও বেশি লোকজন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গ্রামবাসী চলাচল করেন। এতে খাটাখালী নদীর স্রোতে ওই সড়কটি দেবে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে হাজারও মানুষকে। এসব কারণে এ সড়কটি অতিদ্রুত মেরামত করা সময়ের দাবি।

আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী স্বর্ণা, নাদিয়া ইসলাম ও তাজমিম জানায়, এ রাস্তাটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় তাদের চলাচল করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। সঠিক সময়ে কলেজে আসতে সমস্যা হচ্ছে। গাড়ি আগে কলেজের মেইন ফটকে আসত। কিন্তু এখন গাড়িতে উঠতে এক কিলোমিটারের মতো হাঁটতে হয়। এখানে রিকশায় করেও আসা যাচ্ছে না। এই ভাঙা সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। তাদের দাবি এ সড়কটি তাড়াতাড়ি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হোক।

ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক জুঁই রানী, খন্দকার নাছির, সোহেল রানা, শাহ আলম সরকারসহ অনেকই বলেন, ‘আমরা আগে বাচ্চাদের স্কুল গেটের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসতে পারতাম। এতে আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে কোনো টেনশন করতে হতো না। এখন এই সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় গাড়ি দূরে রেখে বাচ্চাদের হাঁটিয়ে নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। এখন সড়কটি এত বেশি ভেঙেছে যে, কোনো রিকশা এখান থেকে চলাচল করতে পারছে না।

ওই সড়কের কয়েকজন চালক জানান, এই সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এখান থেকে অনেক ছাত্রছাত্রীসহ হাজারও মানুষ চলাচল করেন। এ সড়ক ভেঙে যাওয়ায়, আমরা এখন গাড়ি চালাতে পারছি না। অনেক দূর ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তাটি ঠিক করা খুবই জরুরি।

আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল থেকে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হবে।’

কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সম্ভবত সড়কটি ভেঙে গেছে। তবে বিষয়টি জানামাত্র আমাদের একটি টিমসহ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেখানে পরিদর্শন করেছেন। তবে সড়কটির ভাঙা অংশ খুব শিগগিরই মেরামত করা হবে।’

কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, ‘রাস্তাটি নদীর স্রোতে ভেঙে গেছে জানতে পেরেছি। যেহেতু এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি পরিদর্শন করা হবে। পরে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিষয়:

চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাতে পৌর শহরের সুমিরদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম সাদিয়া খাতুন (২৫)। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, স্ত্রী সাদিয়া পরকীয়ায় আসক্ত, স্বামীর এমন সন্দেহ থেকে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝামেলা হতো। এরই জেরে গতকাল সোমবার রাতে সাদিয়া তার বাবার বাড়ি মেহেরপুরের পিরোজপুর থেকে নিজ বাড়িতে আসে। এরপর তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদিয়াকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন আনোয়ার হোসেন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা টের পেয়ে চিৎকার করলে পালিয়ে যান আনোয়ার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।


দর্শনার্থীর খরা কাটাল রোমিও-জুলিয়েট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর

দেড় বছর আগে মাঘের শীতে রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানার একমাত্র খাঁচায় বন্দি বাঘিনী ‘শাওন’ মারা যায়। এর প্রভাব পড়ে দর্শনার্থীদের ওপর। বাঘশূন্য উদ্যানে একসময় কমতে থাকে বিনোদনপ্রেমী দর্শনার্থীর ভিড়। তবে দর্শনার্থীর সেই খরা কাটিয়ে তুলছে সম্প্রতি চট্টগ্রাম থেকে আনা হয়েছে বাঘজুটি রোমিও-জুলিয়েটকে। ১৯ সেপ্টেম্বর তাদের রংপুরে আনার খরব ছড়িয়ে পড়ার পর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় এখন শিশু-কিশোরসহ নানা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, রোমিও-জুলিয়েট নামে বাঘ দুটি আসার পর এখানকার আয়ও বেড়েছে।

চার বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে বাঘ দেখতে আসা নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রজত আলী বলেন, ‘মেয়ের বাঘ দেখার বায়না বহু দিনের। রংপুর চিড়িয়াখানায় তিন মাস আগেও এসেছিলাম কিন্তু তখন বাঘের খাঁচা শূন্য ছিল। এবার একসঙ্গে দুটি বাঘ আসার খবর পেয়ে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে ঘুরতে এলাম।’

সবুজ রঙের খাঁচার গ্রিল নেড়ে দুই সন্তানকে বাঘের বিবরণ দিচ্ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন। কথা হলে তিনি বলেন, ‘করপোরেট চাকরি। পরিবারকে বাইরে নিয়ে ঘোরার তেমন সময় পাই না। আগে নিয়মিত স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে রংপুর চিড়িয়াখানায় আসতাম। কিন্তু এখানে বাঘসহ অন্যান্য প্রাণীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় দেড় বছর ধরে আসা হয় না। একসঙ্গে দুটি বাঘ আনার খবর পেয়ে আমরা এসেছি।’

শুধু রজত আলী ও আসলাম উদ্দিনই নয়, তাদের মতো নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানার একমাত্র খাঁচায় বন্দি বাঘজুটি রোমিও-জুলিয়েটকে দেখতে ভিড় করছেন।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারি এই চিড়িয়াখানায় একটি মাত্র বাঘিনী ছিল। যার নাম ছিল শাওন। ২০০৩ সালের ৩০ জুন শাওন নামের এই বাঘিনীর জন্ম হয়েছিল ঢাকার মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায়। সে হিসাবে মৃত্যুর আগে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ১৮ বছর ৭ মাস। বার্ধক্যের কারণে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শাওনের মৃত্যু হয়। বাঘ সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে।

১৯ সেপ্টেম্বর লাল কাপড়ে মোড়ানো লোহার দুটি খাঁচা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে রংপুরে আনা হয় রোমিও-জুলিয়েটকে। ঢাকঢোল পিটিয়ে বরণ করা হয় রোমিও-জুলিয়েট নামের বাঘ দুটিকে। সাড়ে ৩টার সময় রংপুর চিড়িয়াখানায় রোমিও-জুলিয়েটের শুভাগমন ও জন্মদিন উপলক্ষে খাঁচার সামনে সেদিন কেক কাটাও হয়। এর পরই বহু দিনের শূন্য খাঁচা পূর্ণ করে দুই বছর বয়সী এ টাইগারজুটি।

চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বার আলী তালুকদার বলেন, ‘চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীদের প্রধান দৃষ্টি থাকে বাঘের প্রতি। কিন্তু র্দীঘদিন চিড়িয়াখানায় বাঘ না থাকায় একসময় কমতে থাকে দর্শনার্থীর সংখ্যা। ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে বাঘ দুটি নিয়ে আসা হয়। বাঘ দুটির নাম রোমিও-জুলিয়েট হওয়ায় দর্শনার্থীদের বেশি টানছে। এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ এই বাঘজুটিকে দেখতে চিড়িয়াখানায় ভিড় করছেন।’

উল্লেখ্য, দেশে দুটি সরকারি চিড়িয়াখানার মধ্যে রংপুরে একটি। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকায় ১৯৮৯ সালে রংপুর চিড়িয়াখানাটি গড়ে ওঠে। এটি দর্শনার্থীদের জন্য ১৯৯২ সালে খুলে দেয়া হয়। প্রায় ২২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটিতে ৩৩ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে সিংহ, বাঘ, জলহস্তী, হরিণ, অজগর সাপ, ইমু পাখি, উটপাখি, বানর, কেশওয়ারি, গাধা, ঘোড়া, ভাল্লুক উল্লেখযোগ্য।

বিষয়:

গাইবান্ধায় মধ্যরাতে ইউপি সদস্য খুন

আপডেটেড ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৯:১১
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চুরি ঠেকাতে নিয়োগ করা প্রহরীদের সঙ্গে বিতণ্ডার জেরে মধ্যরাতে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে খুন করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বাদশা মিয়া ওই গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে ও বেতকাপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য (মেম্বার) ছিলেন।

অভিযোগ উঠেছে, পাপুল নামে এক যুবক এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে তাকে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই নেতার আরও দুই ভাই।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) দীবাকর অধিকারী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি ওই এলাকায় রাতে আশঙ্কাজনক হারে চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন যুবককে প্রহরী (পাহারাদার) নিয়োগ করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, জরুরি কারণ ছাড়া রাত ১০টার পর অযাথা ঘোরাফেরা করা যাবে না। কেউ অযাথা ঘোরাফেরা করলে তাকে জবাবদিহিতার আওতায় নেয়া হবে।

স্থানীয়ভাবে এমন সিদ্ধান্তের পর সোমবার রাত ১২টার পর নয়নপুর গ্রামের মোসলেম আকন্দের (ভোলা) ছেলে পাপুল আকন্দকে পেয়ে খায়রুল নামে এক প্রহরী (পাহারাদার) পথরোধ করেন এবং এত রাতে বাইরে থাকার কারণ জানতে চায়। এ সময় আটকানোর বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ওয়ার্ড সদস্য বাদশা মিয়াসহ অন্যরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য সেখানে উপস্থিত হন। এতে বাদশা মিয়ার সঙ্গে পাপুলের তর্ক বাধে। পরে উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পাপুল তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে বাদশা মিয়ার বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। বাদশা মিয়ার ভাই স্বপন ও সবুজ এগুতে গেলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় পাপুল।

পরে স্থানীয়রা গুরত্বর আহত বাদশা মিয়াসহ তিনজনকেই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল মণ্ডল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ওসি (তদন্ত) দীবাকর অধিকারী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত পাপুল আকন্দকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। আশা করছি দ্রুতই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। মামলা করা হবে।


কর্ণফুলী মডার্ন ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করলেন ভূমিমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কর্ণফুলী মডার্ন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি। গত শনিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার কর্ণফুলী ফায়ার স্টেশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, ১১ মডার্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শহিদ আতাহার হোসেন, কর্ণফুলী উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হালিম, চট্টগ্রামের পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডক্টর আশিক মাহমুদ, কর্ণফুলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা এবং গণমাধ্যম কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক মো. শহিদ আতাহার হোসেন, বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী এবং ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপসহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান শিকদার। বিজ্ঞপ্তি


দেয়াঙ পাহাড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন, বেরিয়ে এল শতাব্দীপ্রাচীন স্থাপনা  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রহিম সৈকত, আনোয়ারা ও বাঁশখালী, (চট্টগ্রাম)

মাটির নিচে চাপা পড়া ইতিহাস অনুসন্ধানের তাগিদ কেউ কেউ অনুভব করে বলেই প্রায় ৮০০ বছর পর নতুন আলোর মুখ দেখল হারিয়ে যাওয়া স্থাপত্য। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের বিশ্বমুড়া নামক স্থানে দেয়াঙ পাহাড়ে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে খননকাজ পরিচালনা করতেই একে একে বেরিয়ে আসতে লাগল পুরোনো দেয়াল, মেঝে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে দেয়াঙ পাহাড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও অনুসন্ধানকাজ শুরু করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় ঞ্চল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে খননকাজের উদ্বোধন করেন কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খননকাজ ও বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গবেষণা চলে এখানে।

জনশ্রুতি আছে, দেয়াঙ পাহাড়ের বিশ্বমুড়া নামক স্থানে আরাকান রাজা বিক্রমের বাড়ি ছিল। গবেষণায় উঠে এসেছে- আনোয়ারা উপজেলার ঝিওরি, হাজীগাঁও, বটতলী ও কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান, জুলধা এলাকাজুড়ে সপ্তম-অষ্টম শতকে পণ্ডিত বিহার নামে একটি জ্ঞানচর্চা কেন্দ্রও গড়ে ওঠে। ষোড়শ শতকের দিকে সেটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। বর্তমানে সেখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও অনুসন্ধানকাজ শুরু হয়েছে।

গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, প্রত্নতাত্ত্বিক নিয়মনীতি অনুসরণ করে খননকাজ চলছে। নির্দেশনা অনুযায়ী সতর্কতার সঙ্গে খননকাজ চালিয়ে নিচ্ছেন খনন শ্রমিকরা। মধ্য বয়সী এক খনন শ্রমিককে দেখা গেল হাতে ছোট খুন্তি নিয়ে আস্তে আস্তে মাটি সরাচ্ছেন আর ইট পেলে তা সতর্কতার সঙ্গে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখছেন। আর কেউ শাবল-গাইতি দিয়ে মাটি সরাচ্ছেন। আবার একদল ইটের টুকরোগুলো নিয়ে এক জায়গায় স্তূপ করে রাখছেন। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনার ক্ষয়িষ্ণু অবয়ব। অনুমান করা হচ্ছে, এসব স্থাপনা কম পক্ষে হাজার বছর আগের কিংবা তারও বেশি।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান জানান, প্রথম সপ্তাহের খননকাজে ইতোমধ্যে তিনটি চওড়া দেয়াল ও তিনটি মেঝের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। দুজন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে মহাস্থানগড় থেকে আসা ১০ জন অভিজ্ঞ শ্রমিক খননকাজ করছেন। আগামী দুই মাস এ কার্যক্রম চলবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘দেয়াঙ পাহাড়ের নিচে চাপা পড়া সময়ের ইতিহাস অনুসন্ধান করছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এ কাজে আমার জায়গা থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার দেয়াঙ অঞ্চলে বিলুপ্ত পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান। এই প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক নিদর্শন মিলবে এমনটা আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়:

শিক্ষকের দুই পায়ের রগ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা

আহত অবস্থায় শিক্ষককে হাসপাতালে নেয়া হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, নওগাঁ

নওগাঁর আত্রাইয়ে স্কুল থেকে ফেরার পথে আবুল হোসেন (৫২) নামে এক স্কুল শিক্ষকের দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আত্রাই এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার পাঁচপুর মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আবুল হোসেন আত্রাই উপজেলার বিহারীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং জগদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক আবুল হোসেন বিকেলে উপজেলার জগদাস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছুটির পর মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাঁচপুর মোড় এলাকায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তার পথরোধ করে মারপিটের পর দুই পায়ের গোড়ালির রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে আত্রাই হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শিক্ষক আবুল হোসেনের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুল থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার সময় পথিমধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। অ্যাম্বুলেন্সে আছি জানিয়ে এর বেশি বলতে পারেননি তিনি।’

আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক দোলন আক্তার বলেন, শিক্ষক আবুল হোসেনের দুই পায়ের গোড়ালি শুধু একটু চামড়ার সাথে লেগে আছে। তা ছাড়া প্রায় পুরো গোড়ালিই কাটা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার ঘটনার খবর পেয়েছি জানিয়ে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বিষয়:

সিরাজগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি, কারাগারে ৭ পরীক্ষার্থী

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অন্যকে দিয়ে অংশ নিয়ে পার পেলেও মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা পড়েছেন ৭ পরীক্ষার্থী।

গত রোববার মৌখিক পরীক্ষা দিতে এলে ওই সাতজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত শনিবার তাদের লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে প্রক্সি দেন অন্য শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় নিয়োগ কমিটির (সদস্য-সচিব) শিমুল আক্তার বাদী হয়ে সোমবার সকালে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ফিরোজ উদ্দিন (রোল নম্বর- ৩২০০০২৯৮), তাড়াশ উপজেলার নিমগাছীর বিষমডাঙ্গা গ্রামের লোকমান হোসেন (রোল নম্বর- ৩২০০২৯০৩), কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামের রাশিদুল ইসলাম সুজন (রোল নম্বর-৩২০০২৩৯৮), শাহজাদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (রোল নম্বর- ৩২০০১১৬৮), উল্লাপাড়া উপজেলার বাখুয়া গ্রামের মজিবর রহমান (রোল নম্বর- ৩২০০৪১২৫), কামারখন্দ উপজেলার চর-দোগাছি গ্রামের হাবিবুল্লা বেলালী (রোল নম্বর- ৩২০০৪৬০৫) ও উল্লাপাড়া উপজেলার গোয়ালজানী পূর্বপাড়া গ্রামের এনামুল হক (রোল নম্বর- ৩২০০৪৩৩৯)।

সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের রোববার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অফিস কক্ষে নিয়োগ বাছাই কমিটির মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা হয়। পরে তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় তাদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার মিল পাওয়া যায়নি। পরীক্ষার্থীরা স্বীকার করেন তাদের লিখিত পরীক্ষায় অন্যদের দ্বারা পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখিয়েছেন।

পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সাতজন পরীক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রক্সি নিয়েও ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো যে, এই নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। এই ৭ জনের লিখিত পরীক্ষা যারা দিয়েছিলেন, তাদের সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, মামলাসহ আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়:

বিএনপি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই বোঝে না: বাহাউদ্দিন নাছিম

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সোমবার সাতক্ষীরা শহরের পিটিআই সংলগ্ন পিএন হাইস্কুলের ফুটবল ময়দানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

বিএনপি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই বোঝে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেছেন, তারা আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে।

সোমবার সাতক্ষীরা শহরের পিটিআই সংলগ্ন পিএন হাইস্কুলের ফুটবল ময়দানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাছিম এসব কথা বলেন।

বিএনপি ও জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের কোনো মানবিকতা নেই। মনুষ্যত্ববোধ নেই। এরা খুনি। একাত্তরের রাজাকার ও পঁচাত্তরের খুনিদের আদর্শে বিশ্বাসী। ওরা বন্দুকের জোরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। বিএনপি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই বোঝে না।’

নাছিম বলেন, ‘যাদের নেতা একজন সন্ত্রাসী। যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, তারা আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। আগামী নির্বাচন ভন্ডুল করলে, ষড়যন্ত্র করলে বিএনপি-জামায়াতকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান। উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে ফজলুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, উপ-প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম সজিব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং দৈনিক ভোরের পাতা ও দ্য ডেইলি পিপলস্ টাইমের সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসান, শেখ সাহিদ উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।


র‌্যাব পরিচয়ে ছিনতাই, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সম্পাদক গ্রেপ্তার

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার সোনারগাঁ পৌর ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রবিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খান সাজু। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

র‌্যাব পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাইয়ের মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌর ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রবিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খান সাজু গ্রেপ্তার হয়েছেন।

রোববার রাতে উপজেলার খাসনগর এলাকার রয়েল রিসোর্টের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেলে দুইজনকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিন করে রিমান্ডে পাঠান।

মামলার বরাত দিয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশের পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকায় প্রাইভেটকারে যাওয়ার সময় ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে’ দুই সহযোগীকে নিয়ে রাজধানীর একটি মার্কেটের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও মামলার বাদী সুমনের গাড়ি থামিয়ে ২৮৩টি মোবাইল ছিনতাই করেন ছাত্রলীগের এই দুই নেতা। পরে সুমন সোনারগাঁ থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

ছাত্রলীগের এই দুই নেতার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

আদালত পুলিশের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, র‌্যাব পরিচয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হয়। দুই আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেল দৈনিক বাংলাকে বলেন, ছাত্রলীগের মতো একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে এসব কর্মকাণ্ড করায় আমরা বিব্রত। রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। আমরা জেলা ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন।

২০২১ সালে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রবিনকে অব্যাহতি দেয় জেলা ছাত্রলীগ। আর ২০১৯ ডাকাতির মালামালসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় সোনারগাঁও পৌরসভার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খান সাজুকে বহিষ্কার করে উপজেলা ছাত্রলীগ।


ফরিদপুরে নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যায় দুইজনের ফাঁসি

রায় ঘোষণার সময় আসামি আরজু মল্লিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ফরিদপুরে এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের মামুদপুর হালিমের ভিটা এলাকার সলিম মল্লিকের ছেলে আরজু মল্লিক এবং একই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া। রায় ঘোষণার সময় আরজু মল্লিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সবুজ মিয়া পলাতক।

মামলার বিবরণী তুলে ধরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর সকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের বিলমামুদপুর এলাকার একটি কলাবাগান থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। তখন ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি।

পরে তার পরিচয় শনাক্তে কাজ শুরু করে পুলিশ। এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনায়েত হোসেন দীর্ঘদিন পর ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেন। তার নাম নাছরিন, বাড়ি চট্টগ্রামে। পরে তার মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে আরজু মল্লিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আরজু মল্লিক স্বীকার করেন, ওই নারীকে তিনি এবং সবুজ মিয়া ধর্ষণ করেন এবং পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

নাছরিনকে অর্থের লোভ দেখিয়ে আরজু ও সবুজ চট্টগ্রাম থেকে ফরিদপুরে নিয়ে আসেন জানিয়ে স্বপন পাল বলেন, টাকা নিয়ে ঝামেলা হলে নাছরিনকে হত্যা করে কলাবাগানে মরদেহ ফেলে রাখেন দুই আসামি। দীর্ঘ শুনানি শেষে আরজু মল্লিক ও সবুজ মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।


শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে নাইমুর রহমান নাঈম (৩৫) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামির উপস্থিততে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত নাঈম বরগুনা জেলার লতাবাড়িয়া এলাকার আব্দুল জাব্বারের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পুরিন্দা গ্রামে ছয় বছরের এক শিশুকে আইসক্রিম ও চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন নাইম। এ ঘটনার একদিন পর পুলিশ নাইমের ঘর থেকে কাঁথায় মোড়ানো অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।

পরে ওইদিন শিশুটির বাবা হরূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে পরের বছর ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এই ঘটনা নাইম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি নাঈমকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

আদালত পুলিশের পরির্দশক আসাদুজ্জামান জানান, রায় ঘোষণার পর আসামি নাঈমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শিশুটির পরিবার।


গাঁজা-ইয়াবাসহ এক পরিবারের ৫ জন গ্রেপ্তার

সিরাজদিখানে গাঁজা-ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৬ জন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৪:৩৮
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে গাঁজা ও ইয়াবাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার মালখানগর রথবাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মালখানগর এলাকা মজিবুর রহমান, তার স্ত্রী জাহানার বেগম, ছেলে জাহিদ হাসান, নাহিদ হাসান, নাহিদের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও উপজেলার কাজীরভাগ এলাকার স্বপন হাওলাদারের ছেলে মো. আশিক হাওলাদার।

সোমবার বেলা ১১টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম সুমন এসব তথ্য জানান।

ওসি বলেন, মালখানগর রথবাড়ি এলাকায় এক পরিবারের সবাই মাদক ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫১ পিস ইয়াবা ও ৩৮০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

ওসি বলেন, ‘পরিবারটির সদস্যরা এলাকার যুবক স্কুলছাত্রসহ উঠতি বয়সীদের কাছে মাদক বিক্রি করত বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’


banner close