মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

কর্ণফুলীতে জাহাজ ডুবে ক্যাপ্টেনসহ নিখোঁজ ৭

ছবি: দৈনিক বাংলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর, ২০২২ ২০:২০

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে একটি মাছ ধরার জাহাজ ডুবে এক ক্যাপ্টেনসহ ৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় কর্ণফুলীর ইছানগরের সি রিসোর্স কোম্পানির জেটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

ডকইয়ার্ডে ওঠানোর সময় বয়ার সাথে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবে যায়। তবে বুধবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।

নিখোঁজ সাতজন হলেন, চিফ অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, স্কিপার ফারুক বিন আব্দুল্লাহ, গ্রিজার প্রদীপ চৌধুরী, ফিশ মাস্টার মো. জহির উদ্দিন ও ডক মেম্বার রহমত মিয়া। নিখোঁজ অন্যজন জাহাজের বাইরের। তার নাম জানা যায়নি।

সদরঘাট নৌ থানার ওসি মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে জাহাজটি মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে তোলা হচ্ছিল। এ সময় বয়ার সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়ে জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজে দুজন বাইরের লোকসহ মোট ২১ জন ছিলেন। জাহাজটি উল্টে যাওয়ার সময় ১৪ জন লাফ দিলেও ৭ জন জাহাজেই ছিল, তারা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।’

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড আজ সারাদিন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে। তাবে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এমনকি জাহাজটির মালিক কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে অতিরিক্ত ডুবুরিও নিয়ে এসেছেন।


মসজিদ নির্মাণ না হওয়ায় গোডাউনে নামাজ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বরাব শুয়াপুর গ্রামে গত দুই বছর ধরে অর্থাভাবে বন্ধ রয়েছে মসজিদ সংস্কার কাজ। ফলে অন্যের গোডাউনে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।

বরাব শুয়াপুর গ্রামটি উপজেলার একেবারে শেষপ্রান্তে। এক সময় এ গ্রামে জনসংখ্যা ছিল অনেক কম। বর্তমানে নদীভাঙন কবলিত বিভিন্ন জেলার লোকজন এখানে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন। বাসিন্দাদের বেশির ভাগই হতদরিদ্র।

প্রায় আড়াই যুগ আগে ওই গ্রামের চাঁন মিয়া মাতব্বর মসজিদের নামে ৯ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে দেন। এরপর গ্রামের সবাই মিলে মাটি তুলে সেখানে বরাব (শুয়াপুর) জামে মসজিদ স্থাপন করা হয়। সেই ছাপড়া মসজিদেই নামাজ আদায় করা হচ্ছিল। দুই বছর আগে মসজিদটি সংস্কারের জন্য ভাঙা হয়। এরপর অর্থাভাবে আর নতুন করে গড়ে তোলা যায়নি। পাঁচ তলা ভবনের ফাউন্ডেশন দিয়ে মসজিদের কাজ শুরু করলেও বর্তমানে শুধু নিচ তলার পিলার তৈরি করা হয়েছে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে পাশের একটি ব্যক্তি মালিকের গোডাউনে মসজিদের কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করছেন এলাকার মুসল্লিরা।

মসজিদ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মসজিদের কিছু কাজ করার পর টাকার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন কিছু অনুদান পেয়েছি, গ্রামের সবাই সহযোগিতা করছে। খুব দ্রুত আবার কাজ শুরু করব। তবে মসজিদ তৈরিতে আরও অর্থ প্রয়োজন।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম বলেন, ‘ওই মসজিদের এমন অবস্থার কথা আগে জানা ছিল না। আবেদন করলে ওই মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিষয়:

মাদারীপুরে হিট স্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাদারীপুর প্রতি‌নি‌ধি

মাদারীপুরের ডাসারে তীব্র গরমের মধ্যে জমিতে কাজ করতে গিয়ে এক বৃদ্ধ কৃষক হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।

মারা যাওয়া আজগর আলী বেপারী (৭৫) উপজেলার গোপালপুর এলাকার পশ্চিম বনগ্রাম গ্রামের মৃত বরম আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কৃষক আজগর আলী বেপারী প্রচণ্ড রোদের মধ্যে তার বাড়ির পাশের একটি জমিতে কাজ করতে যান। এ সময় তিনি প্রচণ্ড গরমের ফলে হিট স্ট্রোকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নওয়ার পথেই তিনি মারা যান।

ইউপি সদস্য হালিম জানান, গরমের ভেতর জমিতে কাজ করতে গিয়ে আজগর আলী হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

এ ব্যাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধ বয়সে আজগর আলী জমিতে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে তাপমাত্রা সইতে না পেরে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। ঘটনাটি দুঃখজনক। পারিবারিকভাবে তাকে দাফন করা হয়েছে।

বিষয়:

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাসচাপায় একই পরিবারের ৪ জন নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় ডাক্তার দেখানোর পর বাড়ি ফেরার সময় বাসচাপায় মা, মেয়ে ও দুই নাতনি নিহত হয়েছেন।

সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার মালিখিল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল হক।

নিহতরা হলেন তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের শাহজালালের স্ত্রী দিলবার নেছা (৬৫), তার মেয়ে পাশের দড়িকান্দি গ্রামের প্রবাসী সফিক মিয়ার স্ত্রী শাহিনুর বেগম, শাহীনুরের দুই মেয়ে সায়মা (৫) এবং রাইছা (২)।

ওসি জহুরুল জানান, মহাসড়ক পারাপারের সময় ঢাকাগামী দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দিলবর নেছা ঘটনাস্থলে মারা যান, তাঁর মেয়ে শাহীনুর আক্তার, নাতনি সায়মা আক্তার দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায়। আরেক নাতনি রাইসা আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর এলাকায় মারা যায়।

দুই নাতনি ও পুত্রবধূকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন দাদা রসিদ মোল্লা। তিনি বলেন, আমার ছোট ছেলের স্ত্রী তার মা আর নাতনিদের ডাক্তার দেখাতে সকালে কুমিল্লা শহরে যায়। সকালে যাওয়ার সময় আমি নিষেধ করেছিলাম। তারা ডাক্তার দেখিয়ে কুমিল্লা থেকে ফেরার পথে শেষ হয়ে গেল। ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ বলেন, এ দুর্ঘটনার খবরে আমার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরফাতুল আলম। তিনি বলেন, বাস ও চালককে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।


বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ, বাসে আগুন
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম কাপ্তাই মহাসড়ক অবরোধ করে এবং একটি বাসে আগুন দেয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৪৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো ও চবি প্রতিনিধি

বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত ও একজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন, শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন। সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শান্ত সাহা পুরকৌশল বিভাগের ’২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি নরসিংদীর কাজল সাহার ছেলে। তৌফিক হোসেন একই বিভাগের ’২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি নোয়াখালী সুধারামের নিউ কলেজ রোডের মোহাম্মদ দেলোয়ারের সন্তান।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাহ আমানতের কয়েকটি বাস আটক করার পর চট্টগ্রাম কাপ্তাই মহাসড়ক অবরোধ করে এবং একটি বাসে আগুন দেয় তারা। রাত ১০টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকালে জিয়া নগরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে যায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সান্ত সাহা, ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তাওফিক হোসাইন ও জাকারিয়া হিমু। এসময় শাহ আমানত নামের একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যায় শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় তাওফিক হোসাইন। মোটরসাইকেলে থাকা জাকারিয়া হিমুকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম শহরের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।

যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২য় বর্ষের ('২১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী পল্লব ঘোষ বলেন, শান্ত ভাই আমার খুবই কাছের বড় ভাই এবং একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু বাসের বেপরোয়া গতির জন্য একটি প্রাণ ঝরে গেলো। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি উপযুক্ত বিচার দাবি করি এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী ঘুরতে বের হয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের মৃত্যুতে চুয়েটে ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

চুয়েটের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) ফজলুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহত শান্ত সাহার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তৌফিকের মরদেহ এভারকেয়ার হসপিটালে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’


ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত ৪ কারণে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় গঠন করা তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এতে চারটি কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে- ঈদের পরে বাসচালকের দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানোয় ক্লান্তি আর চোখে ঘুম, দুটি যানের অধিক গতি, মহাসড়কে নিজস্ব লেনে ব্রেক করা ও মহাসড়কে অটোরিকশার উপস্থিতি।

রোববার রাতে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৬ এপ্রিল ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে বাস-পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত ইকবাল হোসেনের বড় ভাই এনামুল শেখ বাদী হয়ে যাত্রীবাহী বাসের চালককে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সিদ্দিকীকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান জানান, ফরিদপুরে-খুলনা মহাসড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী উত্তরা ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপে থাকা নারী, পুরুষ, শিশুসহ ১১ জন মারা যান। আহত হন সাতজন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও চারজন।


রামুতে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

কক্সবাজারের রামু থানা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় দুইজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। রোববার রাত ১টার দিকে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের উত্তর থোয়াইঙ্গাকাটা মৌলভীরঘোনা এলাকার নজরুল ইসলামের চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুইজন হলেন-একই এলাকার জাফর আলম (৫৫) এবং তার ছেলে মো. সেলিম (৩৫)।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি কারা, কী কারণে ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় দুইপক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা গরু চোরাচালানকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জের ধরে জোড়া খুনের এ ঘটনা ঘটেছে।

ওসি আবু তাহের বলেন, ‘রোববার মধ্যরাতে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের থোয়াইঙ্গাকাটা মৌলভীঘোনা এলাকায় স্থানীয় স্টেশনের একটি দোকানে সেলিমসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় মুখোশ পরিহিত ১৫ থেকে ২০ জনের একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত অতর্কিত তার ওপর হামলা করে। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি কোপ দিলে তিনি চিৎকার করে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ছেলের চিৎকার শুনে তাকে লক্ষ্য করে বাবা জাফর আলম টর্চের আলো ফেলেন। পরে দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।’

ওসি আরেও বলেন, দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা-ছেলেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতদের স্বজন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রাতে স্থানীয় একটি দোকানে আড্ডা দেয়ার সময় মুখোশ পরিহিত একদল লোক ধারালো অস্ত্র ও গুলি করে বাবা-ছেলেকে হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে কোনো লোকজনের পূর্ব শত্রুতা ছিল কিনা জানি না।’

স্থানীয়রা জানায়, একই এলাকার ‘আবছার ডাকাত’ এবং ‘শাহীন ডাকাত’ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তার এবং বার্মিজ গরু চোরাচালানকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার রাতে শাহীন ডাকাত গ্রুপের ১৪ থেকে ১৫ জন লোক চোরাচালানের গরু পার করার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখানে আবছার ডাকাত গ্রুপের ২০ থেকে ২২ জন দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুক নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

ওসি আবু তাহের জানান, ঘটনার কারণ জানার পাশাপাশি জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়:

চা বাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের একটি চা বাগানে গাছের সঙ্গে ফাঁস লাগা অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে উপজেলার ফুলবাড়ি চা বাগান এলাকার ৮ নম্বর সেকশনে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। প্রাণ হারানো যুবক ১৯ বছর বয়সী সজল বাউরি, যিনি ওই বাগানের চা শ্রমিক চুন্নু বাউরির ছেলে।

স্থানীয় একজন জানান, ‘রাতে মা-বাবার সঙ্গে ভাত নিয়ে সজল বাউরির ঝগড়া হয়। আমরা তাদের ঝগড়া শুনতে পাই। সকালে বাগানে গাছের সঙ্গে তার মরদেহ দেখে তার মা-বাবাকে জানাই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সে বাগানে শ্রমিকের কাজ করত।

সজল বাউরির বাবা চুন্নু বাউরী বলেন, ‘আমার সঙ্গে ও ছেলের মায়ের সঙ্গে গরম ভাত করে দেয়ার জন্য সন্ধ্যায় ঝগড়া হয়। সে ঠাণ্ডা ভাত খাবে না। পরে রাত ৮টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। আমরা ভাবছি হয়তো প্রতিবেশী কারও ঘরে রাতে থাকতে পারে। তাই আর খোঁজখবর নিইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে হঠাৎ শ্রমিকরা কাজে গেলে চা বাগানের ৮ নম্বর সেকশনে এলাকায় গাছের সঙ্গে ফাঁস লাগা অবস্থায় সজলের মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। আমরা পুলিশকে বিষয়টা জানাই। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’

কমলগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল বলেন, ‘বাগানের ৮ নম্বর সেকশন এলাকায় একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া সজল বাউরির মরদেহ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।’


তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ 

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ী

তীব্র গরমে যেন নাভিশ্বাস উঠছে! সারা দেশের মতোই দাবদাহে পুড়ছে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ। গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় এখানে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। দাবদাহে আমের গুটি, ধানের শিষ ঝরে যাচ্ছে। সবজি খেতসহ সব ধরনের চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষক। হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে টানা দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তি আর কষ্ট বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র রোদের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে পারছেন না। এদিকে কাজ না করলে খাবার জুটবে না। তাই পেটের তাড়নায় প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন অনেকে। প্রচণ্ড গরমে কয়েক দিন ধরেই হাট-বাজারে মানুষের সমাগম কম। অনেকেই ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। ভ্যানচালক বাবু শেখ বলেন, ‘গরমে কাজ করতে না পেরে আয় কমে গেছে। আগে দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করা যেত। এখন প্রচণ্ড গরমের কারণে সারা দিনে ২০০ টাকা আয় করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’

গোয়ালন্দ পৌর এলাকার বিপেন রায়ের পাড়া এলাকার শারমিন আক্তার বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম পড়েছে। বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। ঘরের মধ্যে গরমে থাকা যায় না। আমার দুই সন্তান গত কয়েক দিন ধরে জ্বর-সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। আজ গোয়ালন্দ হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসছি।’

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শরিফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বেশিরভাগই গরমজনিত রোগে আক্রান্ত। তীব্র গরমে শিশুদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, শরীরে ঘাম বসে নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর ও প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। তিনি পরামর্শ দেন, প্রখর রোদে শিশুকে ঘরের বাইরে বের হতে দেওয়া যাবে না। টাটকা খাবার খাওয়াতে হবে এবং ফ্যানের নিচে রাখতে হবে। গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, তীব্র তাপদাহের কারণে বোরো ধান, আমের গুটি ঝরে শুকিয়ে যাচ্ছে। আমগাছে পানি স্প্রে এবং বোরো ধানসহ সব ধরনের সবজিখেতে প্রতিদিনই সেচ দিতে এবং সেচের পানি ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, ‘প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক গরমে করণীয় বিষয়ে কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।’ গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে এবং জনসাধারণকে আরো সতর্ক করতে মাইকিং করা হবে, তারা যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির না হয়। শরবত, পানি ও ফলমূল বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ এ ছাড়া স্ট্রোক, ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


৫ বছরেও চালু করা যায়নি সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস

আপডেটেড ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০৫:০৬
আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা

৫ বছরেও চালু করা যায়নি সাতক্ষীরার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল্স। ফলে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। এ ছাড়া হতাশায় ভুগছেন চাকরি হারানো বিপুলসংখ্যক শ্রমিক। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে মিলটি আবারও চালুর দাবি বাস্তবায়ন কমিটিসহ শ্রমিকদের। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, পিপিটির মাধ্যমে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে মিলটি।

সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল্স সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান এই মিলটি। ১৯৮৩ সালে সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠের মাগুরা এলাকায় ৩০ একর জায়গায় স্থাপন করা হয় সুন্দরবন কেক্সটাইল মিলস। মিলটিতে একসময় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। মূল ইউনিট ও নীলকমল ইউনিটের আওতায় ৩৯ হাজারেরও বেশি টাকু ঘুরতো প্রতিনিয়ত। মিলের দুটি ইউনিটের সুতা উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ১০ হাজার কেজি। তবে এর জৌলুস বেশি দিন থাকেনি। ক্রমাগত লোকসানের ফলে ২০০৭ সালে শ্রমিক-কর্মচারীদের বিদায় জানানো হয় গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে। পরে সার্ভিস চার্জ পদ্ধতিতে মিলটি চালু হয়। তাও টেকেনি বেশি দিন।

২০১৭ সালের শেষের দিকে মিলটি ভাড়ায় নেয় নারায়ণগঞ্জের ট্রেড লিংক লি.। লোকসান হতে থাকায় একবছর কয়েক মাস চালানোর পর ২০১৯ সালে আবারও বন্ধ ঘোষণা করা হয় মিলটি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। প্রতিষ্ঠানটি দেখভালের জন্য বর্তমানে আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। ৫ বছর মিলটি বন্ধ থাকায় বেকার জীবনযাপন করছেন এলাকার ৪০০ শ্রমিক। জেলার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি অবিলম্বে চালু করতে সরকারি পৃষ্টপোষকতার দাবি শ্রমিকদের। এ বিষয়ে শ্রমিক রেজাউল হক রেজা বলেন, ‘আমি এখানে চাকরি করতাম। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। মিলটা চালু হলে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।’

মিলটি চালুর দাবিতে কমিটি গঠন হয়েছে সম্প্রতি। পরিকল্পিতভাবে চালু করতে পারলে লাভবান হতে পারবেন কর্তৃপক্ষ- অভিমত শ্রমিক নেতাদের। এ বিষয়ে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস চালু বাস্তবায়ন কমিটির দপ্তর সমন্বয়কারী শেখ শওকত আলী বলেন, ‘এই মিলের লাভ দিয়ে আমিন টেক্সটাইল মিল ও মাগুরা টেক্সটাইল মিল গঠিত হয়েছে। কিন্তু বিএনপি সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে আজ মিলটি দেউলিয়া হয়ে গেছে। সেসময় পাকিস্তানি তুলা আমদানি করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিলটি। আমাদের দাবি, সরকার যেকোনোভাবে মিলটি চালু করুক।’

সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস চালু বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাগফুর রহমান বলেন, ‘সরকার লস দিয়ে মিল চালাবে না। পিপিপির মাধ্যমে বিটিএমসি ইতোমধ্যে তিনটি মিল চালু করেছে। ৩০ বছরের লিজে সেগুলো তারা চালাচ্ছে। তারা লাভবান হতে পারলে এই মিল চালু হতে পারবে না কেন।’ কমিটির আহ্বায়ক শেখ হারুন-উর-রশিদ বলেন, ‘সম্প্রতি মিলটি চালুর বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু সংসদে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। মিলটি চালু না হলে একদিকে যেমন কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হবে, তেমনি আগে কর্মরত শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বে।

চালুর বিষয়ে মিলটির বর্তমান ইনচার্জ শফিউল বাশার বলেন, ‘১৯৮০ সালে ২৯.৪৭ একর জায়গার ওপর এটি গড়ে ওঠে। ১৯৮৩ সালে এটি চালু হয়। দেড় হাজারেরও বেশি শ্রমিক একসময় কর্মরত ছিল। ১৯৯২ সালে মূল ইউনিটের বাইরে ‘নীলকমল’ নামে আরও একটি ইউনিট প্রস্তুত হয়। সুতা উৎপাদন থেকে থানকাপড় পর্যন্ত তৈরি হতো। তবে ক্রমাগত লোকসানের কারণে ২০০৭ সালে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের কারণে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিদায় করা হয়। কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়ে যায় মিলটি দেখাশুনার জন্য। পরে সার্ভিস চার্জ পদ্ধতিতে মিলটি পরিচালিত হতো। তবে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভাড়া পদ্ধতিতে চালানোর চেষ্টা চলে; কিন্তু বিদ্যুৎ সংকট ও মেশিনারিজ পুরোনো হওয়ায় ২০১৯ সাল থেকে আবারও বন্ধ হয়ে যায় মিলটি। আর চালানো সম্ভব হয়নি। আমি যতটুকু জানি, দূর অথবা অদূর ভবিষ্যতে পিপিপির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব) মাধ্যমে মিলটি চালানোর চিন্তা বিটিএমসির আছে।

তবে বাস্তবতার নিরিখে মিলটিকে চালানো সম্ভব নয় বিধায় টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট তৈরি করার চিন্তাও সরকারের মাথায় রয়েছে বলে জানান সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন করিব।

তিনি বলেন, ‘মিলটি বেশ আগে থেকে বন্ধ রয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে ক্রমাগত লোকসান দিয়ে টেক্সটাইল মিলকে হয়তো আর চালু করা সম্ভব হবে না। আমরা চিন্তা করছি একটা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট করা যায় কি না, যাতে শিক্ষার্থীরা এটা নিয়ে পড়ালেখা করতে পারে। আমি ডিসি সম্মেলনে এই প্রস্তাব দিয়েছি। বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে এই প্রস্তাব দেওয়ার পরে তা তারা গ্রহণ করেছেন। তিন একর জায়গা লাগবে ইনস্টিটিউট করতে। বাকি জায়গা অন্যভাবে ব্যবহারের কথা ভাবছে মন্ত্রণালয়, যাতে ভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়।’


উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে গেলেন পলকের শ্যালক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল। রুবেল ডাক টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।

আজ রোববার নাটোরের গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো ভিডিও বার্তায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন রুবেল।

ভিডিওতে নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি করে লুৎফুল হাবীব রুবেল বলেন, ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, ২০০৫ সালে সিংড়া গোল ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত। গত ৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। ইউনিয়ন পরিষদেও পরপর তিনবার নির্বাচিত হন।

গত ৮ তারিখে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারপর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে।

রুবেল আরও বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোনো মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবে না। তারই আলোকে এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়নপত্রটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। অফিসিয়াল যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করবেন।

ভিডিও বার্তার বিষয়ে কথা বলতে লুৎফুল হাবীব রুবেলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ভিডিওটি তাকেও পাঠানো হয়েছে এবং রুবেলের পক্ষের লোকজন ফোন দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন।


তীব্র গরমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতের খুটিতে আগুন

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:২৭
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

তীব্র দাবদাহে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিশ্বরোড মোড়ে একটি বিদ্যুৎতের খুটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার দুপুর ২টার দিকে খুটিতে আগুনের সুত্রপাত হয় বলে জানা যায়। সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় আগুন। এতে ওই খুটিতে থাকা বিভিন্ন ইন্টানেট ও ডিস লাইন সংযোগের ক্যাবল পুড়ে যায়। কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনেরও। এছাড়াও বিদ্যুতের ওই খুটির নিচে থাকা আজিম আলী নামে এক তরমুজ বিক্রেতার দোকানের তরমুজও পুড়ে যায়।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ১০ মিনিটে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার ঘণ্টাখানের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও, লাইন পুড়ে যাওয়ায়, ওই এলাকার ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগে সমস্যা দেখা দিয়েছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালাক শেখ মো. মাহবুবুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল, খবর পেয়ে আমরা দ্রুতই ঘটনাস্থলে গিয়ে তা নিয়ন্ত্রন করেছি। বড়ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।


মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে আহত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদে মাছ শিকার করে ফেরার পথে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশি দুই জেলে।সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি এলাকায় রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত এক জেলেকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হলেও আরেকজনকে গুরুতর অবস্থায় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, ‘তাদের একজন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার মোহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক ও আরেকজন মাঝের ডেইল এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইল।’

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র বলেন, ‘আজ (রোববার) ১২টার দিকে দুইজন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমরা জানতে পারি তারা জেলে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আহত। তাকে টেকনাফে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। অন্যজন ফারুকের তিনটি গুলি লেগেছে ডান পায়ে ও বাম ঊরু এবং বাম হাতের আঙুলে।’

ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি মাছ ধরা শেষে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট দিয়ে ফিরছিলাম। এ সময় নাইক্ষ্যংদিয়া সংলগ্ন অংশে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে আমাদের দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। আমরা নাফ নদের বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে বাংলাদেশি পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা মানেনি; গুলি করতে থাকে।’

আহত জেলে মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার নিয়ে গত চার দিন আগে ৯ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাই। আজ (রোববার) ফেরার পথে সাগরে মিয়ানমারের অংশ অবস্থান নেয়া মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ সংকেত দিয়ে তাদের দিকে যেতে বলে। ওটা মিয়ানমারের জলসীমা হওয়ায় তারা শাহপরীর দ্বীপের দিকে চলে আসতে থাকে। এ সময় পরপর গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধ হন। অন্যরা অক্ষত আছে।’

বিষয়:

বেনাপোল দিয়ে পচনশীল পণ্য আমদানি প্রায় বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল (যশোর)

বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে উচ্চ পচনশীল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সিরিয়ালের নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক আটকে রাখা হয়। এ কারণে বেনাপোল দিয়ে পচনশীল পণ্য আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আমদানিকারকরা এ বন্দর ছেড়ে চলে গেছে অন্য বন্দরে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রাজস্ব আয়ের একটা বড় অংশ আসে পচনশীল পণ্য আমদানি থেকে।

ভারত থেকে পচনশীল পণ্যের একটা বড় অংশ আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ফল, মাছ, সবজি, ক্যাপসিকাম, কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য পচনশীল পণ্য আমদানি হয় দুপুরের পরপরই। ফলে সন্ধ্যার আগেই এসব পণ্য খালাশ হয়ে চলে যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু মাস খানেক ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষ সিরিয়ালের নামে পচনশীল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দুপুরের পর ২০ ট্রাক জেনারেল পণ্যের মাত্র ৫ ট্রাক পচনশীল পণ্যে রপ্তানি নিয়ম চালু করেছে। ফলে অধিকাংশ পচনশীল পণ্যচালান দিনের দিন প্রবেশ করতে না পেরে ওপারেই নষ্ট হচ্ছে। কোনো কোনো চালান সিরিয়াল পেয়ে রাতে প্রবেশের অনুমোতি পেলেও বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাতে কোনো পচনশীল পণ্য খালাশ না দেওয়ায় পরের দিন বন্দর থেকে ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। ফলে অধিকাংশ পণ্য পচন ধরতে শুরু করে।

পচনশীল পণ্য আমদানিকারকদের দাবি, সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত জেনারেল গুডস আমদানির অনুমতি দেওয়া হোক। শুধু পচনশীল পণ্যচালান আমদানির ক্ষেত্রে দুপুরের পর থেকে মাত্র ২-৩ ঘণ্টার জন্য একসঙ্গে সব পচনশীল পণ্যচালান আমদানির অনুমতি দিলে পচনশীল পণ্যচালান খুব দ্রুত সময়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। মাস খানেক আগেও এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক পচনশীল পণ্য আমদানি হতো। যা থেকে সরকার প্রতিদিন ১৮-২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছিল। ফলে বর্তমানে আমদানির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫-১০ ট্রাকে। যদিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পচনশীলপণ্য দ্রুত খালাস ও নিষ্পত্তিকরণ বিধিমালা-২০২১ নামে একটি নতুন বিধিমালা জারি করে। যার আওতায় ৬৩ ধরনের পচনশীল পণ্যের শুল্কায়নসহ সব কর্মকাণ্ড দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের ৩০ মার্চ ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার অনিল কুমার সিংহ স্বাক্ষরিত এক পত্র জারি করে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের ম্যানেজারকে বলা হয়েছে। পচনশীল পণ্য দ্রুত রপ্তানির বিষয়টি সর্বাজ্ঞে প্রাধান্য দিতে হবে। এ আদেশ দ্রুত কার্যকর করতে বলা হলেও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ তা করছেন না।

বেনাপোল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাশের নিয়ম থাকলেও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ তা প্রতিপালন করছে না।

পচনশীল পণ্য দ্রুত আমদানিতে সিরিয়ালের নামে দীর্ঘসূত্রিতা প্রথা বাতিল করে আগের মতো আমদানির পণ্য দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের দাবি করেছে আমদানিকারকরা।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য ইতোমধ্যে পেট্রাপোল পোর্ট ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পচনশীল পণ্যের গাড়ির সারাদিন বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে, সে অনুযায়ী সিরিয়াল মেইনটেন করতে তাকে আমি অনুরোধ করেছি।

বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মো. শাফায়েত হোসেন জানান, বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সিরিয়ালের নামে পচনশীল পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানিতে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে বেনাপোল বন্দরে আগের তুলনায় আমদানি কমে গেছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ও অনেক কমে গেছে।

বিষয়:

banner close