রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩০ ভাদ্র ১৪৩২

‘মানুষের মাংস খাওয়া’র গুজব কারা কেন ছড়াল

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:৩৫
আরাফাত বিন হাসান, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত
আরাফাত বিন হাসান, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:৩৪

সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাউজানে এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, যার বেশিরভাগই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের প্রতি বিদ্বেষমূলক। এ বিষয়ে বানায়োট গল্প, ফটোকার্ড ও ভিডিওসহ নানা ধরনের কনটেন্ট ফেসবুক-টিকটকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কনটেন্টে ওই কলেজছাত্রকে খুনের পর অভিযুক্তরা তার ‘মাংস রান্না করে খেয়েছে’ দাবি করে পাহাড়ে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে ‘মানুষখেকো’ হিসেবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ওই জনগোষ্ঠীর বিষয়ে তৈরি করা হচ্ছে নানা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ। ছড়িয়ে পড়া এসব গুজব ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের কারণে নানা প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের বিভিন্ন বিব্রতকর পরিস্থিতি ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

শুধু তাই নয়, এই ধরনের গুজব ও পাহাড়ে বসবাসকারী গোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর ফলে এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা মানবাধিকারকর্মী ও সমাজ বিশেষজ্ঞদের। অবশ্য পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের গুজব কারা কেন ছড়িয়েছে তা খুঁজে বের করতে সাইবার টিম মাঠে নেমেছে।

গুজবের কারণে নৃগোষ্ঠীর লোকদের হেনস্তার অভিযোগ
পার্বত্য অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর চট্টগ্রামে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাতজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাদের মধ্যে পাঁচজন অবাধে চলাচল করতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই গুজবের ফলে কোনো না কোনো সমস্যার মুখোমুখী হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাদেরই একজন চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করা নীলা চাকমা। তিনি জানিয়েছেন, কাজের সুবাদে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামে থাকতে হয়। রাউজানের ওই কলেজছাত্র খুনের পর শহরে বসবাস করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

নীলা চাকমা বলেন, ‘নিজ এলাকার বাইরে ভাষাসহ নানা কারণে আমরা বুলিংয়ের শিকার হই। এখন মানুষের মাংস খাওয়ার আরেকটা ট্যাগ যুক্ত হলো। এই যে রিকশাওয়ালা মামা, সবজিওয়ালা, দোকানদাররা বলতেছে, আমি খুবই অনিরাপত্তায় ভুগী। যেমন কয়েকদিন আমি এক বান্ধবীর সঙ্গে অক্সিজেন এলাকার অনন্যা আবাসিকে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে ফেরার পথে একজন আমাকে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেছে। আমি প্রতিবাদ করায় উনি আমার সঙ্গে মানুষের মাংস খাওয়ার বিষয় নিয়ে আসছেন।’

“আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তো থাকতে পারতেছি না। নিউজফিডে ২০টা নিউজ থাকলে তার মধ্যে ১০টা আমাদের প্রতি বিদ্বেষমূলক। মেসেঞ্জারে বন্ধুরা বন্ধুরা বলতেছে, ‘তোরা তো এই খাস, তোদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যাবে না।’ এমনকি গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট মানুষও আছেন এই তালিকায়।”

এমনই আরেকজন ভুক্তভোগীর নাম অভি চাকমা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তিনি। অভি চাকমা তার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘রাউজানের ওই ঘটনার পর যখন ফেসবুকে আমরা মানুষের মাংস খাই বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ল, এর কয়েকদিন পর ক্লাস থেকে ফেরার পথে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দিকে দুজন মেয়ের সঙ্গে দেখা। দেখে দুজনকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনে হয়েছে। ওরা আমাদের দেখে এমনভাবে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছে, যেন আমরা বোধহয় জ্যান্ত মানুষ খেয়ে ফেলি। তারা আবার নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল যে, রাউজানের ওই ঘটনার পর পাহাড়ি দেখলেই তাদের ভয় লাগে। তখন কথাটা আমি শুনে যাওয়ায় তাদের বলেছি, কয়েকজন অপরাধ করলেই তা পুরো জনগোষ্ঠীর দায় হতে পারে না। তাছাড়া মানুষের মাংস খাওয়ার বিষয়টাও গুজব।’

চট্টগ্রাম শহরে কর্মক্ষেত্রে হেনস্তার শিকার স্বপন চাকমা নামের আরও একজনের সঙ্গে কথা হয় দৈনিক বাংলার। শহরের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকার কনডেন্স মিল্ক উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। স্বপন বলেন, “ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার সময় রাস্তাঘাটে মানুষজন আমাদের দেখলে বলে, ‘তোমাদের চাকমারা নাকি মানুষের মাংস খায়?’ এমনকি ফ্যাক্টরির ভেতর আমাদের সুপারভাইজারও বলে আমাদের চাকমারা নাকি মানুষের মাংস খায়। তখন স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।”

যেভাবে ছড়াল মানুষের মাংস খাওয়ার গুজব
ঘটনার শুরু গেল ১১ সেপ্টেম্বর। ওইদিন রাঙামাটি জেলার কাউখালী ইউনিয়নের দুর্গম বালু পাহাড় এলাকা থেকে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার নাম শিবলী সাদিক হৃদয়। তিনি রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চ পাড়ার মুহাম্মদ শফির ছেলে। কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনার পাশাপাশি স্থানীয় একটি মুরগির খামারে ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। মরদেহ উদ্ধারের ১৪ দিন আগে ওই খামার থেকে অপহরণ করা হয়েছিল তাকে।

পুলিশ জানায়, হৃদয়ের সঙ্গে শ্রমিক হিসেবে আরও ছয়জন কাজ করতেন। তারা সবাই পার্বত্য এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য। ঘটনার মাসখানেক আগে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় হৃদয়ের। খামার মালিক সেসময় ঘটনাটি মীমাংসা করে দিলেও ক্ষুব্ধ ছিলেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শ্রমিকরা। সেই ক্ষোভ থেকে ২৭ আগস্ট রাতে হৃদয়কে অপহরণ করে আট কিলোমিটার দূরের গহীন পাহাড়ে নিয়ে যান তারা। পরে স্বজনদের ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এক পর্যায়ে ১ সেপ্টেম্বর হৃদয়ের বাবা শফি বান্দরবানে গিয়ে অপহরণকারীদের কথা মত দুই ব্যক্তিকে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে আসেন। এর আগে ৩১ আগস্ট সর্বশেষ তাদের সঙ্গে হৃদয়ের কথা বলিয়ে দেন অপহরণকারীরা।

মুক্তিপণ দেওয়ার পর ‘হৃদয়কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি বাসায় চলে যাবেন’ বলে অপহরণকারীরা স্বজনদের জানালেও বাসায় ফেরেননি তিনি। এই ঘটনায় ৭ সেপ্টেম্বর রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন স্বজনরা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুইচিংমং মারমা (২৪) ও অংথুইমং মারমা (২৫) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উমংচিং মারমা (২৬) নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১১ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি জেলার কাউখালী ইউনিয়নের দুর্গম বালু পাহাড় এলাকা থেকে হৃদয়ের দেহাবশেষ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ নিয়ে ফেরার পথে উমংচিং মারমাকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা।

এই ঘটনার পরপরই নিহত হৃদয়ের দেহাবশেষের ছবি এবং নিহত ও অভিযুক্তদের একটি যৌথ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ছবির ক্যাপশনে ‘হত্যাকারীরা হৃদয়কে হত্যার পর তার মাংস রান্না করে খেয়ে হাড় পাহাড়ে ফেলে দিয়েছে’ বলে দাবি করা হয়। ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কনটেন্ট ক্রিয়টরদের অনেকেই এই গুজবের ওপর ভিত্তি করে ভিডিও তৈরি করে শেয়ার করতে থাকেন। কেউ কেউ ফটোকার্ড তৈরি করেও তা শেয়ার করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে শুধু ফেসবুক ও ইউটিউবে অধিকতর অনুসন্ধান পদ্ধতিতে (অ্যাডভান্স সার্স সিস্টেম) যাচাই করে এই গুজব ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো সংক্রান্ত সহস্রাধিক পোস্টের সন্ধান পেয়েছেন এই প্রতিবেদক। এসব পোস্টের মধ্যে অধিকাংশের বক্তব্য আপত্তিকর হওয়ায় প্রতিবেদনে যুক্ত করা যায়নি।

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সারা বিশ্বের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের হাতেও পৌঁছে গেছে। এতে গুজবটি এত দ্রুত ও কার্যকরভাবে ছড়িয়েছে যে দায়িত্বশীল অনেকেই বিশ্বাস করে তা নিয়ে কথা বলেছেন।

গুজবটি ‘সত্য’ দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা
এই গুজবটি বাস্তব দাবি করে তা নিয়ে কথা বলেছেন রাঙামাটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসা মাতব্বর। তার বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের বক্তব্যের প্রথম অংশে তিনি সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাউজানে খুনের শিকার এক কিশোরের মাংস রান্না করে খাওয়ার অভিযোগ করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে প্রথম ৪৩ সেকেন্ডে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘গত দুই-তিনদিন আগে রাউজানের একটি ছেলেকে অপহরণ রাঙামাটির কাউখালিতে এনে তার মাংস পর্যন্ত তারা কেটে কেটে রান্না করে খেয়েছে। এটা দুঃখ জনক রাঙামাটিবাসীর জন্য। এই ধরনের ঘটনা যেন পরবর্তী আর না হয়, আমরা আবেদন জানাব সরকারের কাছে। এই সমস্ত এগুলো, এই হত্যাকাণ্ডগুলো আসলে মানুষ কোনো অবস্থাতে, যে কোনো মুহূর্তে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লেগে যেতে পারে। সবাইকে বলব, এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ- মানুষের মাংস রান্না করে খাওয়া, এটা কতবড় অপরাধ! আমি বলার, মুখের ভাষাই পাচ্ছি না, কী বলব আমি!’

পরের ১ মিনিটে পাহাড়ে অস্ত্রধারীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

অবশ্য পরে যোগাযোগ করলে বক্তব্যের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। ব্যস্ততার অজুহাতে তা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতেও রাজি হননি মুসা মাতব্বর।

তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি প্রথম প্রকাশ করে ‘সম্প্রীতির রাঙামাটি’ নামের এক ফেসবুক পেজ। এই ফেসবুক পেজের মালিক ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি অবজারভারের রাঙামাটি প্রতিনিধি শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমন। ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে তার সঙ্গে কথা বলে দৈনিক বাংলা। তিনি বলেন, ‘৪ থেকে ৫ দিন আগে নির্বাচন নিয়ে আমরা চার থেকে পাঁচটা গণমাধ্যমের প্রতিবেদক ওনার সাক্ষাৎকার নিয়েছি। আমাদের মধ্যে একজন ওনাকে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলে উনি এই বক্তব্য দিয়েছিলেন। আমার কাছে র-ভিডিও (মূল ভিডিও) আছে।’

যা বললেন মরদেহ উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যরা
শিবলী সাদিক হৃদয় হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন তিনজন। জবানবন্দী দেয়া তিনজনই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কেউই হৃদয়ের মাংস রান্না করে খাওয়ার বিষয়ে কিছু বলেনি বলে দাবি পুলিশের।

মরদেহ উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের সময় অভিযানিক দলে ছিলেন রাউজান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘রান্না করে তার মাংস খাওয়ার বিষয়টা ভুয়া। এসবের ভিত্তি নেই। এই বিষয়ে আমরা নিজেরাই তো কিছু পাইনি। ব্লগাররা ভাইরাল হওয়ার জন্য এটা ছড়াচ্ছে। এটা নিয়ে আমাদের সাইবার টিম মাঠে নামছে। আমাদের স্যারও (ওসি) এটা নিয়ে কথা বলেছেন। যারা এসব ভুয়া নিউজ ছড়িয়ে দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করতেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এই মামলায় সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছেন একজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মেয়ে। তিনি আমাদের কনস্টেবল। যেহেতু ভাষার একটা সমস্যা আছে, আমরা ওনার সহযোগিতায় কাজগুলো করছি।’

প্রায় একই কথা বলেন রাউজান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘হত্যায় জড়িতরা নিহতের মাংস রান্না করে খেয়েছে- এরকম কোনো তথ্য আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। যারা এগুলো ছড়াচ্ছে, তাদের এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা যেতে পারে-তারা কোথায় পেলেন!’

‘অপহরণের ১৪ দিন পর আমরা দেহাবশেষ পেয়েছি। যে এলাকা থেকে দেহাবশেষ উদ্ধার করেছি, এর আশেপাশের ৮ থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বাড়িঘর নেই। এটা হলো পাহাড়ি গভীর জঙ্গল। যেহেতু জনবসতি নেই, বিভিন্ন প্রাণি থাকতে পারে জঙ্গলে।’

‘সেসব প্রাণীও হয়ত এভাবে মরদেহ পেলে খেয়ে ফেলতে পারে। তাছাড়া আমরা তো জানি যে, মানুষ যখন মারা যায়, তিন দিনের মধ্যে লাশের পচন শুরু হয়। তো মরদেহটি পাওয়া গেছে খুনের ৮ থেকে ১০ তিন পর। তাই আমাদের ধারণা শেয়ালে বা কোনো প্রাণি খেয়ে ফেলছে, নয়তো পচে গেছে’ যোগ করেন তিনি।

তবে জবানবন্দী দেয়া তিনজনের একজন ওই এলাকায় একদিন রাতে মুরগিসহ ভাত রান্না করে খাওয়ার কথা জানিয়েছেন বলে জানান তিনি। বলেন, ‘যেহেতু তারা সেখানে ছিল, তাই স্বাভাবিকভাবে মুরগি-ভাত রান্না করে তারা এক রাতে খেয়েছে।’

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ যা বললেন
পুলিশ ও হৃদয়ের স্বজনদের কাছে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ ৩১ আগস্ট পরিবারের সঙ্গে হৃদয়ের কথা বলিয়ে দেন অপহরণকারীরা। এর পরপরই তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট সবার। এরপর মরদেহ উদ্ধার করা হয় ১১ সেপ্টেম্বর। মাঝের ১১ থেকে ১২ দিন মরদেহটি গভীর পাহাড়ি জঙ্গলেই ছিল। সাধারণত মরদেহের পচন শুরু হয় পরিবেশ, তাপমাত্রা, ঋতু, মরদেহের ধরনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে। রাঙ্গামাটির ওই পাহাড়ি গভীর জঙ্গলে ১০ থেকে ১২ দিনে একটা মরদেহের কী অবস্থা হতে পারে তা জানতে চাওয়া হয় ফরেনসিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. কাশেমের কাছে। তিনি বলেন, ‘মরদেহের মাংস পচে যাবে। কিছু মাংসসহ হাড় অবশ্যই পাওয়া যাবে। কিছু মাংস শরীরে সংযুক্ত থাকতে পারে।’

তবে গভীর জঙ্গলে একটা মরদেহ পড়ে থাকলে বিভিন্ন প্রাণী তা খেয়ে ফেলতে পারে বলে ধারণা তার।

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন প্রাণী মরদেহের বিভিন্ন অংশ খেয়ে ফেলতে পারে। তবে তা কোনো প্রাণী খেয়েছে নাকি কোনো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে তা জানতে একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দিয়ে মরদেহটা পরীক্ষা করতে হবে। মোটামুটি পচে গেলেও তিনি এই বিষয়ে বলতে পারবেন।’

এই গুজবকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র বলছেন মানবাধিকারকর্মীরা
বর্তমানে দেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা ১৬ লাখ প্রায়। তাদের অধিকাংশেরই বাস পার্বত্য চট্টগ্রামে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ‘মানুষের মাংস খাওয়া’ গুজবকে সাম্প্রদায়িক উসকানি ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন মানবাধিকারকর্মীরা।

মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এটা একটা সাম্প্রদায়িক উসকানি ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র। এটা যারা করছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে, এতে নিরীহ লোকজন হয়রানির শিকার হচ্ছে। একটা সম্প্রদায়কে টার্গেট করে এভাবে করা- এটা একটা গভীর চক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে। যা-ই করুক, অতীতেও এই অঞ্চলের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে, পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না ইনশাআল্লাহ।’

মাঠে নামছে সাইবার পুলিশ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ধরনের গুজব যারা ছড়িয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার (সাইবার পুলিশ সেন্টার) খন্দকার তৌহিদ হাসান। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা হলে আমরা সাধারণত বিটিআরসির মাধ্যমে এই ধরনের গুজবের লিংকগুলো বন্ধ করে দেই। তাছাড়া এই ধরনের গুজব ছড়ানোর পেছনে যারা জড়িত তাদেরও শনাক্ত করা হবে। শনাক্তের পর আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’


শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নেই উদযাপিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এ বছরও শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নেই উদযাপিত হবে।

তিনি আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন।

দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবারও ভালোভাবে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। সবার সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিলো। এটা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন ছিলো না। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি চলছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোর কমিটির সভায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু-একটি নির্বাচন হয়ে গেল, এসব বিষয়েও একটু আলোচনা হয়েছে। পুলিশের প্রশিক্ষণ এবং আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছিনতাই, চুরি-ডাকাতিরোধসহ সীমান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে পূজা এবং ফরিদপুরের দুটি ইউনিয়ন নিয়ে যে সমস্যা, সে বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন,সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ফরিদপুরের দুই ইউনিয়নের কারণে বিভিন্ন জেলার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ফরিদপুরে দুটি ইউনিয়ন আগে যে সংসদীয় আসনে ছিল, সেখান থেকে অন্য আসনে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটা নির্বাচন কমিশন করেছে। যুক্তি-তর্কের সবকিছু শোনার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা নিয়েই এলাকার লোকজনের মধ্যে একটা ক্ষোভ চলছে।

তিনি বলেন, এটা নিয়ে আসলেই যদি তাদের ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা যথাযথ চ্যানেলে জানানো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই দুটি ইউনিয়নে কতজন লোক আর কতজন ভোটার? অথচ তারা লাখ লাখ লোককে জিম্মি করে রেখেছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে এটা সমাধান না করে, তাহলে আমরা আইন প্রয়োগ করে সড়ক ক্লিয়ার করবো।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কারাগারে কিছু সমস্যা আছে, এখানেও সংস্কার দরকার। বন্দিদের মধ্যে যাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, আমরা চাচ্ছিলাম লাইফটাইম সাজা তো ৩০ বছর, সেটা কমিয়ে কত করা যায়, যুক্তিযুক্ত একটা করে, যারা বয়স্ক হয়ে গেছে তাদের যাতে ছাড়ার ব্যবস্থা করা যায়।

বয়সটা কত নির্ধারণ করা হবে, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করিনি। আলোচনার ভিত্তিতে মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়তো ২০ বছর করে দিতে চাচ্ছি। ছেলেদের ক্ষেত্রে হয়তো আরও একটু বেশি হতে পারে।

তিনি বলেন, আবার কতগুলো স্পেসিফিক আছে, তার বয়সটা কত। যে ১৮ বছরে অপকর্ম করেছে, ২০ বছর পর তাকে ছেড়ে দিলে তখন তো তার বয়স ৩৮ বছর হয়। সে হয়তো এসে আবার অপকর্ম করতে পারে। এ বিষয়গুলো দেখা হবে, তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে আমরা একটু বেশি লিবারেল।


শ্রীমঙ্গলে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সেমিনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত “অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ, সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, আচরণবিধি প্রতিপালন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন” শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকালে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা সভাকক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলাম উদ্দিন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা বিষয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. আব্দুস সবুর।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রেস কাউন্সিলের সুপারিনটেনডেন্ট মো. সাখাওয়াত হোসেন।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক যুগান্তরের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সৈয়দ আবু জাফর সালাউদ্দিন, দৈনিক ইত্তেফাকের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সৈয়দ সাহেদ আহমেদ এবং দৈনিক খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি এহসানুল হক।

সেমিনারে শ্রীমঙ্গলে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অর্ধশতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।


পাবনা-১ আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বেড়ায় হরতাল-অবরোধ চলছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজ আলী পাবনা জেলা প্রতিনিধি

পাবনা-১ (বেড়া আংশিক-সাঁথিয়া) সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বেড়ায় হরতাল-অবরোধ চলছে। রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হরতাল চলবে বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে।

হরতাল সমর্থনকারীরা পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের বেড়া সিএন্ডবি মোড়ে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ও ট্টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন। এদিকে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করা হয়।

রোববার সকাল থেকে কোনো বাস বা অন্য কোনো যান চলছে না সড়কে। বেড়া নগরবাড়ি ও কাজিরহাট নদী বন্দর বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ার কথা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

এর আগে শনিবার এক সভায় এই ঘোষণা দেয় সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি।। শনিবার সকালে বেড়া উপজেলা সদরের সান্যালপাড়া সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আলহাজ ফজলুর রহমান ফকিরের সভাপতিত্বে পাবনা-১ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, বেড়া পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকছেদ আলী, পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি সাজেদুল ইসলাম দিপু, বণিক সমিতির প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, রিকশা ভ্যান সমিতির সধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন খাজা, চতুহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন মোল্লাসহ বিভিন্ন সংগঠণের প্রতিনিধি।

সভায় রোববার বেড়া উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত ৪ আগস্ট ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনে চূড়ান্ত সীমানার প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-১ আসন সংশোধন করে শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে নিয়ে পাবনা-১ আসন করা হয়েছে এবং পাবনা-২ আসনের (সুজানগর ও বেড়া উপজেলার একাংশ) সঙ্গে বেড়া উপজেলাকে পুরোপুরি সংযুক্ত করা হয়েছে।

এরপর থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বেড়া উপজেলাবাসী। এর আগে একই দাবিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে নিয়ে পাবনা-১ আসন আলাদা করা হয়েছে। আর বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বেড়া উপজেলার জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু সাঁথিয়া উপজেলার সঙ্গে যুক্ত।


কুলাউড়ায় অবৈধভাবে বালু অপসারণে অর্ধলক্ষ টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অবৈধভাবে বালু অপসারণের অভিযোগে সজল পাল নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের সালন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুল ইসলাম।

তিনি জানান, সজল পাল সরকারি বালু অবৈধভাবে অপসারণ করেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বালুগুলো জব্দ করে পুনরায় পূর্বের স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর আওতায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।


নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২ কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শুক্রবার বিকাল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানাধীন তারাবো ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। বাল্কহেডের সাথে নৌকার সংঘর্ষের ফলে ৮ জন মাদ্রাসার ছাত্রসহ নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়। অতঃপর ৮ জনের মধ্যে ৬ জন জীবিত উদ্ধার হলেও ২ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। উক্ত বিষয়টি জনৈক এক ব্যক্তি কোস্ট গার্ড কে অবগত করে।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা কর্তৃক একটি উদ্ধারকারী দল অতি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান আরম্ভ করে। পরবর্তীতে আজ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শনিবার বিকাল ৫ টায় কোস্ট গার্ড উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ ২ কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত মৃতদেহ ২ টি অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ডেমরা নৌপুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।


কক্সবাজারে স্বামীকে হত্যা করে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে মদ্যপানের পর স্বামীকে হত্যা করে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জনতার সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি জানান, নিহত রঞ্জন চাকমার মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আটক বিরেল চাকমাকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার নারী একই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। তাদের সকলের বাড়ি রাঙ্গামাটি।

মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বিরেল চাকমা (৫৫) এর সাথে রঞ্জন চাকমার স্ত্রী পূর্ব পরিচিত। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে গত ৩ দিন আগে তার স্বামী রঞ্জন চাকমা কক্সবাজার এসে বিরেলের বাসায় অবস্থান করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এলাকায় জসিম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করার জন্য স্বামী-স্ত্রী বিরেলের বাসায় অবস্থান করছিলেন।

“ নিহতের স্ত্রীর জানিয়েছে, বিরেল চাকমা কয়েকদিন থেকে ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। রাজি না হওয়ায় বিরেল চাকমা সংক্ষুব্ধ হয়। “

জেলা পুলিশের এ মুখপাত্র বলেন, “ শনিবার দিবাগত রাতে ওই বাসায় বিরেল চাকমা ও রঞ্জন চাকমা মিলে মদ্যপান করে। বিরেল চাকমা মাতাল অবস্থায় রঞ্জন চাকমার স্ত্রীকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বললে রঞ্জন চাকমা ও বিরেল চাকমা'র বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিরেল চাকমা ধারলো দা দিয়ে রঞ্জন চাকমার মাথায় সজোরে কোপ মেরে হত্যা করে। তারপর বিরেল চাকমা ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। “

জসিম উদ্দিন জানান, পরে ওই নারী কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় চিৎকার দিয়ে আশপাশের লোকজনের সাহায্য চায়। এতে স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হলে বিরেল চাকমাকে শরীরে রক্তমাখী অবস্থায় ব্যাগ হাতে পালিয়ে যেতে দেখতে পায়। এসময় তাকে ধৃত করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

আটক আসামী বিরেল চাকমার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।


কুড়িগ্রামে দুদিন ব্যাপি জলবায়ু পরিষদের সদস্যগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে দুদিন ব্যাপি জলবায়ু পরিষদের সদস্যগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

রবিবার সকালে বেসরকারি সংস্থা ইএসডিও এর দাশেরহাট কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন, নাগেশ্বরী উপজেলা জলবায়ু পরিষদের সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,কুড়িগ্রাম জেলা জলবায়ু পরিষদের

সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক খাদিজা পারভীন খুশি, উলিপুর জলবায়ু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভীন প্রমুখ।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পদক্ষেপসমূহ নিশ্চিতকরণ টেকসই সমাধান (অ্যাক্সেস) প্রকল্পের আওতায়

কুড়িগ্রাম জেলা জলবায়ু পরিষদ সংগঠনের নাগেশ্বরী, উলিপুর এবং জেলা কমিটির ৪৫জন সদস্যকে নিয়ে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

হেলভেটাস সুইস ইন্টার কো অপারেশন, বাংলাদেশের সহযোগীতায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)


ভোলায় সাইকো মুভি দেখে বাবাকে খুন করল ছেলে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা

ভোলায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনায় নিজ ছেলের হাতে খুন হয়েছেন দারুল হাদীস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও সদর উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব মাওলানা আমিনুল হক নোমানী। বাবাকে হত্যার অভিযোগে তার ছেলে রেদোয়ানকে (১৭) আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে ভোলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গেম ও মোবাইলে আসক্ত রেদোয়ানকে প্রায়ই শাসন করতেন নোমানী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলে বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে ইন্টারনেটে ‘সাইকো’ ধরনের সিনেমা দেখে হত্যার কৌশল শেখে এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ থেকে একটি ছুরি অর্ডার করে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ শেষে ঘরে ফেরার পর বাবাকে ছুরিকাঘাত করে রেদোয়ান। এ সময় নোমানী জীবন ভিক্ষা চাইলেও ছেলে থেমে যায়নি। মুভির কৌশল নকল করে পেটে ও ঘাড়ে আঘাত করে নিশ্চিত মৃত্যু ঘটায় সে। হত্যার পর আলামত নষ্ট করতে ছুরিটি পাশের খালে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে উদ্ধার হওয়া আলামতের সূত্র ধরে পুলিশ রেদোয়ানকে আটক করে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খুনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেদোয়ান জানায়, বাবার শাসন-শোষণের আক্রোশ থেকেই সে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যার জন্য আগে থেকেই কালো পোশাক ও ক্যাপ জোগাড় করে রাখে। ঘটনার দিন রাতেই মামার বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে।

প্রসঙ্গত, গেল ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ভোলার চরনোয়াবাদ এলাকায় নিজ বাড়িতে খুন হন মাওলানা আমিনুল হক নোমানী। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি টি-শার্ট, মাস্ক ও ঘড়ি উদ্ধার করে। এসব আলামতের ভিত্তিতেই রেদোয়ানকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


মেহেরপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে শিশু নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর গ্রামে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাব্বি হোসেন নামের এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে।

রাব্বি হোসেন গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র।

ভবানিপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুল করিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আজ রবিবার সকালের দিকে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রাব্বি হোসেনের মামা আব্দুস সালাম জানান৷ সকালের দিকে নিজ ঘরের দরজা খুলতে গেলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয় রাব্বি।


কেরানীগঞ্জে হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ৯৬ গ্রাম হেরোইনসহ মোস্তফা হাওলাদার নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‍্যাব-১০।

গ্রেফতারকৃত মোস্তফা হাওলাদার (৪৫) বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রতনপুর গ্রামের মোবারক হাওলাদারের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ৯৬ গ্রাম হেরোইন ও ৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

র‍্যাব জানায়, মোস্তফা হাওলাদার পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।

আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।


মুন্সীগঞ্জে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ আটক ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলার সদর উপজেলায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ কাজল (৩৫) এবং আবির আহম্মেদ (২৭) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার বৈখর এলাকা থেকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত কাজল সদর উপজেলার বৈখর গ্রামের আবু তালেব শিকদারের পুত্র এবং আবির আহম্মেদ নয়াকান্দি গ্রামের শাহীন মাঝির পুত্র।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম সাইফুল আলম জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় সদর উপজেলার বৈখর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় অবৈধ মাদক ক্রয় বিক্রির সাথে জড়িত কাজল এবং আবির আহম্মেদকে ১৭টি দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় তারা এসব ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করতো।

তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত কাজলের নামে মাদক আইনে আগে থেকেই মামলা আছে।


আমরণ অনশনে কেবির অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাকৃবি প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তার এই পদক্ষেপে সংহতি জানিয়ে কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। শনিবার কলেজ প্রাঙ্গণে অনশন করেন।

সরেজমিনে জানা গেছে, কেবি কলেজে বোমা হামলার হুমকি, শিক্ষকদের শারীরিক নির্যাতনের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে তারা এই আমরণ অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক বি. এম. আব্দুল্লাহ রনি জানান, দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে অধ্যক্ষ ঘোষণা দেন, কলেজ ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চলমান হুমকি এবং বহিরাগতদের অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে তিনি আমরণ অনশনে বসবেন। তখন অন্যান্য শিক্ষকরা একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলে আমরা অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেব।’


টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত যুবক গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দিনদুপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় নগদ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম আরকান চৌধুরী (২৫)। তিনি কাঞ্চনা ইউনিয়নের মনুফকিরহাট জাফর চৌধুরীবাড়ি এলাকার মো. জাকির হোসেনের ছেলে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মনুফকিরহাট জাফর চৌধুরীবাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আরকান চৌধুরী ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। শনিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাঞ্চনা মনুফকিরহাট হাটের জলদাশপাড়া ব্রিজের ওপর গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা অভি চৌধুরীর কাছ থেকে নগদ ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন ছিনতাইকারীরা। অভি কাঞ্চনা শাখার কেন্দ্র ব্যবস্থাপক। পরে এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন ব্যাংক কর্মকর্তা।


banner close