বিএনপি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই বোঝে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেছেন, তারা আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে।
সোমবার সাতক্ষীরা শহরের পিটিআই সংলগ্ন পিএন হাইস্কুলের ফুটবল ময়দানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাছিম এসব কথা বলেন।
বিএনপি ও জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের কোনো মানবিকতা নেই। মনুষ্যত্ববোধ নেই। এরা খুনি। একাত্তরের রাজাকার ও পঁচাত্তরের খুনিদের আদর্শে বিশ্বাসী। ওরা বন্দুকের জোরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। বিএনপি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই বোঝে না।’
নাছিম বলেন, ‘যাদের নেতা একজন সন্ত্রাসী। যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, তারা আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। আগামী নির্বাচন ভন্ডুল করলে, ষড়যন্ত্র করলে বিএনপি-জামায়াতকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান। উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে ফজলুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, উপ-প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম সজিব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং দৈনিক ভোরের পাতা ও দ্য ডেইলি পিপলস্ টাইমের সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসান, শেখ সাহিদ উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
নীলফামারীতে সংরক্ষিত আলুর বাজারদর তলানিতে নেমে যাওয়ায় কৃষক, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হিমাগার মালিক সবাই মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। উৎপাদন ও সংরক্ষণ ব্যয়ের তুলনায় দাম কমে যাওয়ায় জেলার ১১টি হিমাগারের প্রায় ৯৫ হাজার টন আলু নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার টন আলু কৃষকের। কৃষকের অভিযোগ, জমিতে উৎপাদন থেকে সংরক্ষণ পর্যন্ত প্রতি কেজি আলুর খরচ পড়েছে ২৮ থেকে ২৯ টাকা। অথচ বাজারে ভালো মানের আলুর দাম ৭-১০ টাকার বেশি নয়।
কৃষক মোস্তফা ইসলাম বলেন, ‘২২ টাকা খরচ করে আলু তুলেছি, এখন ৮-১০ টাকায় বিক্রি করছি। লোকসানে ডুবে আছি।’
কৃষক জিয়ারুল হকের বলেন, ‘দাম এভাবে কমই থাকলে আগামী মৌসুমে অনেকেই আলু চাষ বন্ধ করতে বাধ্য হবেন।’
সংরক্ষণ ব্যয়ের বাড়তি চাপ সামলাতে হিমাগারনির্ভর ব্যবসায়ীরাও বিপাকে। প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) আলু রাখতে খরচ হয়েছে ১,২০০ থেকে ১,৪০০ টাকা। কিন্তু এখন বাজারে একই বস্তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
উত্তরা হিমাগারের ব্যবস্থাপক নিরদ চন্দ্র রায় জানান, ১ লাখ ১৫ হাজার বস্তার মধ্যে এখনো ৭৫ হাজার বস্তা বের হয়নি। জায়গা খালি না হওয়ায় খরচ আরও বাড়ছে।
বাজার মন্দার মধ্যেই হিমাগারগুলোতে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, চুক্তির মেয়াদ ১৫ নভেম্বর শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন হিমাগার মালিক কৃষকের আলু গোপনে বিক্রি করেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে হিমাগার মালিকদের কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। চিঠিতে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কোনো আলু বিক্রি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনজুর রহমান বলেন, খুব শিগগিরই নতুন আলু বাজারে আসবে। দাম কিছুটা সমন্বিত হলে কৃষকরা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ইসলামী ব্যাংক সিংগাইর শাখার ক্ষুদ্রঋণদান বিভাগ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ব্যাংকের আসবাবপত্র, কম্পিউটার, এসি, ডেকারেশনসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গত রোববার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার শহিদ রফিক সড়কের দেওয়ান প্লাজায় ইসলামী ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত আড়াইটার দিকে বিদ্যুতের শর্ক-সার্কিট হয়ে হঠাৎ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণদান বিভাগে আগুন লাগে। এ সময় ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড আগুন দেখে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখায় ব্যাংকের আসবাবপত্রসহ ও মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে উপজেলা ফায়ার স্টেশনের টিম এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মো. মহিবুর রহমান জানান, বিদ্যুতের শর্ক-শার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় সমতল ভূমিতে বসবাসরত অতি দরিদ্র্য নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১১১ জন উপকারভোগীর মাঝে বিনামূল্যে ছাগল ও ছাগলের গৃহনির্মাণ উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ বিতরণ কার্যক্রম হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আল জিনাত। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ চন্দ্র রায়, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মাসউদ পারভেজ প্রমুখ।
জানা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলায় সমতল ভূমিতে অতি দরিদ্র্য ৯৩৬ জন নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস করে। এদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১১১ জন উপকারভোগীর মাঝে বিনামূল্যে ছাগল ও ছাগলের গৃহনির্মাণ উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
উপকারভোগীদের মধ্যে বিশেষ ক্যাটাগরি তৃতীয় লিঙ্গের উপজেলার রোয়ার গ্রামের আব্দুল হামিদ ছাগল বলেন, ছাগল পেয়ে আমি খুব খুশি। এগুলো লালন-পালন করে পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারব।
শীতের আগমনী বার্তায় কেশবপুরজুড়ে শুরু হয়েছে লেপ–তোশক মৌসুমের উৎসব। দিনের বেলা রোদ ঝলমলে থাকলেও ভোরের কুয়াশা আর সন্ধ্যার হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে- শীত আর দরজার বাইরে নয়। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই কেশবপুরের লেপ–তোশক কারিগর বা ধুনকদের ব্যস্ততা আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে। উপজেলার শতাধিক দোকানে এখন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা কাজ- তুলা ধোয়া, ধুনন, সেলাই, ডিজাইন তৈরি- সব জায়গাতেই কর্মচাঞ্চল্য।
বাজারে ক্রেতার ঢল, অর্ডারের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কারিগররা। শীত পুরোপুরি নামার আগেই বেডিং দোকানগুলোতে ভিড় জমাতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। পাতলা কম্বলে আর শীত মানছে না বলে নতুন লেপ বানাতে অনেকে অর্ডার দিচ্ছেন। কেউ আবার পুরনো লেপ–তোশকে নতুন তুলা ভরছেন বা মেরামত করাচ্ছেন।
দোকানিদের দাবি- এই মৌসুমের শুরুতেই বিক্রি গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শীত আরও বাড়লে অর্ডারের চাপ দ্বিগুণ হবে বলে প্রত্যাশা তাদের। কাপড়-তুলার চড়া দাম কারিগরদের চিন্তায় ফেলেছে। তুলা ও কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ২০–৩০ শতাংশ। বর্তমান বাজারদর শিমুল তুলা: ৬০০–৯০০ টাকা কেজি, কার্পাস তুলা: ৩০০–৩৫০ টাকা কেজি, কালো তুলা: ৭৫–৮০ টাকা কেজি, রাবিশ তুলা: ৬০–৮০ টাকা কেজি, সাদা তুলা: ১০০–১২০ টাকা কেজি প্রতি গজ কাপড়েও বেড়েছে ১০–১৫ টাকা। ফলে একটি মাঝারি লেপ তৈরি করতে খরচ পড়ছে ১,২০০–২,০০০ টাকা, যা গত বছর থেকে প্রায় ৩০০–৪০০ টাকা বেশি। কারিগরদের ভাষায় দাম বাড়ায় লাভ কম, কিন্তু অর্ডার বেশি বলে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হচ্ছে। শীতের আমেজে হাট-বাজারে চাঙা লেপতোশকের
কেশবপুরের বিভিন্ন হাট–বাজারে দেখা গেছে কারিগরদের কদর এখন সবচেয়ে বেশি। মানুষ শীতের প্রস্তুতি নিতে দোকানে দোকানে ঘুরছেন। কেউ রোদে পুরনো লেপ দিচ্ছেন, কেউ ধুনন করাচ্ছেন। দোকানিরা বলছেন শীতটা যদি ভালো থাকে, এক মৌসুমের আয়েই সারাবছর সংসার চলে যায়।
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলায় রয়েছে ১২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়গুলোতে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমেই কমছে। উপবৃত্তি, মিড-ডে মিল, শিক্ষা উপকরণসহ নানা সুবিধা দিয়েও বিদ্যালয়ে উপস্থিত করা যাচ্ছে না।
তথ্য বলছে, সোনাইমুড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২২টি। ৩১টি স্কুলে প্রধান শিক্ষক রয়েছে। চলতি দায়িত্বে রয়েছে ২৬টি স্কুলে। ৬৫টি স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রয়েছে। এসব স্কুলে ৬৭২টি সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। কর্মরত সহকারী শিক্ষক আছেন ৬২৪ জন। ৪৮টি পদ শূন্য রয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। ২নং নদনা ইউনিয়নের বোরপিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকে ১২, ১ম শ্রেণিতে ৭, ২য় শ্রেণিতে ১০, ৩য় শ্রেণিতে ১০, ৪র্থ শ্রেণিতে ১২ ও ৫ম শ্রেণিতে ১১ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
৭নং বজরা ইউনিয়নের শিলমুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকে ১ম শ্রেণিতে ৬, ২য় শ্রেণিতে ৫, ৩য় শ্রেণিতে ৯, ৪র্থ শ্রেণিতে ১০ ও ৫ম শ্রেণিতে ১০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ১০নং আমিশাপাড়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকে ১ম শ্রেণিতে ৬, ২য় শ্রেণিতে ৩য় শ্রেণিতে ১০, ৪র্থ শ্রেণিতে ১৭ ও ৫ম শ্রেণিতে ৬ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ২৯ জন ছাত্র এবং ৩৮ জন ছাত্রী। সোনাপুর-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ৩২ জন ছাত্র এবং ৩০ জন ছাত্রী। ৯নং দেওটি ইউনিয়নের ঘাসেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ৩৫ জন ছাত্র এবং ৩২ জন ছাত্রী। দেওটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ৪০ জন ছাত্র এবং ২৮ জন ছাত্রী। ১০নং আমিশাপাড়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ৩০ জন ছাত্র এবং ২৫ জন ছাত্রী। পুর্ব কৃঞ্চপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ২৬ জন ছাত্র এবং ৩০ জন ছাত্রী। ৭নং বজরা ইউনিয়নের শিলমুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ২৫ জন ছাত্র এবং ৩৬ জন ছাত্রী। ২নং নদনা ইউনিয়নের বোরপিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ৩৭ জন ছাত্র এবং ২৫ জন ছাত্রী। এভাবেই অন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর তুলনামূলক কম রয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে ইউএনও নাসরিন ডাক্তারের উদ্যোগে গান্ধী আশ্রমের অর্থায়নে সোনাইমুড়ী উপজেলা ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিল কার্যক্রম চালু করা হয়। উপজেলার শিলমুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেওটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিল চালু করেন। গত ১৯ আগস্ট সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অসহায় দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন তিনি। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স ও জ্যামিতির বক্স বিতরণ করা হয়।
সোনাইমুড়ী প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলার তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিল চালু হওয়ায় শিক্ষকরা আনন্দিত। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলমুখী হবে। না খেয়ে অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী স্কুলে চলে আসে। নতুন শিক্ষা উপকরণ পেয়েও তারা আনন্দিত। এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। এ কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষক অফিসার মহিউদ্দিন বলেন, করোনাকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমতে শুরু হয়। এছাড়া যত্রতত্র নূরানী মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ছেড়ে মাদ্রাসামুখী হচ্ছে। এ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
২নং নদনা ইউনিয়নের বোরপিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মেছবাহুর রহমান বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা মাদ্রাসা এবং কিন্ডারগার্টেনমখী। তাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম তা সত্য। তবে তিনি যোগদান করার পর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত নাসিমা হাবিব বলেন, শিক্ষক সংকট রয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে কম। উপস্থিতি বাড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষকরা উঠান বৈঠক করছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার বিরুদ্ধে মিটারের চেয়ে বেশি বিল দাবির অভিযোগ উঠেছে। মিটার ইন্সপেক্টর মিটার না দেখেই অতিরিক্ত রিডিং দেখিয়েছে বিলে এমন অভিযোগ গ্রাহকের। কিন্তু অতিরিক্ত বিলের অর্থ পরিশোধে অনিহা গ্রাহকের। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে অভিযোগ করার পর বিল সংশোধনের নির্দেশ রাজস্ব কর্মকর্তাকে।
জানা গেছে, মিসেস রওশন আরা বেগম হিসাব নং-২৯৩৭৮৪, মিটার নং- ০৯০৭০০২৪৬৭ পাহাড়তলী এলাকায় আবাসিক সংযোগ নিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার। বাস্তবে নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখে মিটারে পানির ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ ৩ হাজার ২৮৭ ইউনিট। বিলের কপি অনুযায়ী চলতি বছরের ৩১ আগস্ট মিটারে রিডিং দেখানো হয়েছে ৩ হাজার ৯০ ইউনিট। ৩০ দিন পর তথা ৩০ সেপ্টেম্বর মিটারের রিডিং দেখানো হয়েছে ৩,৪৯০ ইউনিট। অর্থাৎ এক মাসে গ্রাহক মোট ৪০০ ইউনিট পানি ব্যবহার করেছেন। প্রতি ইউনিটের বিল ১৮ টাকা হিসেবে ৪০০ ইউনিটের বিল ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২০০ টাকা। এর সঙ্গে ১৫% ভ্যাট ১ হাজার ৮০ টাকা যুক্ত করে গ্রাহকের মোট প্রদেয় বিলের পরিমাণ ৮ হাজার ২৮০ টাকা।
অভিযোগ উঠেছে, গ্রাহক বয়োবৃদ্ধ হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম ওয়াসার মিটার রিডারে লাফিয়ে লাফিয়ে ভুল রিডিং দিয়ে বিলের টাকা বাড়ানোর বিষয়টি বুঝতে পারেননি। প্রশ্ন উঠেছে, মিটার রিডার বা ইন্সপেক্টর কী কারণে এমন বিল তৈরি করেছেন তা রহস্যজনক। প্রত্যক্ষভাবে গত ১৫ নভেম্বর ওয়াসার মিটারটিতে দেখা গেছে অন্যতথ্য। মিটারে মাত্র ৩,২৮৭ ইউনিট রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে মিটার ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান মিটার না দেখেই বিল করেছেন গত দুই মাস।
এ ব্যাপারে গ্রাহক রওশন আরা বেগম বলেন, আমি ঠিক সময়ে বিল পরিশোধ করে দেই। কিন্তু দুই মাস পরের রিডিং দুই মাস আগে দেখানো হয়েছে। এতে আমি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি। তাই এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার চিফ রেভিনিউ অফিসারকে জানিয়েছি। তিনি সংশোধন করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব কর্মকর্তা বলেছেন, গত মাসে যদি ৪০০ ইউনিট দেখানো হয় পরবর্তী মাসে সর্বোচ্চ শতকরা ২০ ভাগ ব্যবহৃত ইউনিট কম দেখানো যাবে। এর চেয়ে বেশি কম দেখাতে হলে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার অনুমতি লাগবে। কিন্তু এ বিষয়ে গ্রাহকের জানার কথা নয়।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রুমেন দে বলেন, একটি ভবনে প্রতিটি পরিবার গড়ে ৩০ ইউনিট পানি ব্যবহার করতে পারে। সে অনুযায়ী বিলে ১০০ ইউনিট বেশি দেখানো হয়েছে। তিনি মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, মিটারটি পরিদর্শন করে দেখতে হবে। আর রাজস্ব কর্মকর্তাকে বলেন, যেহেতু মিটারের ছবি তোলা হয়েছে সেখানে রিডিং ৩,২৮৭ ইউনিট দেখা যাচ্ছে সেহেতু বিলে ভুল হয়েছে।
সোমবার ১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে জনগণের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। পাশাপাশি কোস্ট গার্ড বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের উদ্যোগে ঢাকার মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজে ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ শীর্ষক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উক্ত কর্মশালায় আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সার্বিক প্রস্তুতি, দাঙ্গা দমন কৌশলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের ভোট ও নির্বাচনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিয়ে দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। কর্মশালায় তরুণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নির্বাচনি সচেতনতা, নাগরিক দায়িত্ববোধ, দায়িত্বশীলভাবে ভোট প্রদান, গুজব ও বিভ্রান্তি এড়িয়ে চলা এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি অংশগ্রহণের ওপর বিশেষভাবে শিক্ষা প্রদান করা হয়। কর্মশালায় উক্ত কলেজের প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনসচেতনতামূলক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় নাফাখুম ঝরনায় পা পিছলে পড়ে নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার বেলা ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. ইকবাল হোসেন (২৫) বাড়ি ঢাকা ডেমরা থানার, সারুলিয়া রসুলনগর গোপ দক্ষিণ গ্রামে।
থানচি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার অহিদুর রহমান পর্যটকের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার বেলা ৩টা ৫৫মিনিটের দিকে পর্যটকের লাশ উদ্ধারের পর উপজেলা সদরে রাত আটটার দিকে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে থানচি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: উপজেলার দুর্গম নাফাখুম ঝরনায় ভ্রমণে যান ঢাকা ডেমরা এলাকা থেকে আসা ১৭ জনের একটি দল। শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে সফরসঙ্গীদের সঙ্গে নাফাখুমে যান। সেখানে পা পিছলে পড়ে গেলে পানিতে ডুবে যায়। তখন থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয় যুবক লুমেন খুমী জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, পর্যটকদের সাথে উপজেলার স্থানীয় গাইড নিয়ে যায়নি।
নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে বিজিবি, পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
জানা যায়, পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নাফাখুম। স্থানীয় গাইড ছাড়াই পর্যটকদের ১৭ সদস্যদের টিমটি নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দীন মজুমদার। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে পর্যটকের লাশ আত্মীয়-স্বজনের নিকট তুলে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জোবরা গ্রামবাসী সংঘর্ষের মামলা, এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অস্ত্রধারণ, চাঁদাবাজিসহ ১৬ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা মো. হানিফ (৪০) কে গ্রেফতার করেছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।
রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকালে ফতেপুর ইউনিয়নের তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ। হানিফ ফতেপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য। সে ৩নং ওয়ার্ডের সাহায্যাপাড়ার লাতু শিকদার বাড়ির নূর মোহাম্মদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজের নেতৃত্বে ওসির নেতৃত্বাধীন একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে হানিফকে গ্রেফতার করে। অভিযানে এসআই রূপন নাথ, এসআই ফখরুল ইসলাম, এসআই আলী আকবর, এএসআই সজিবসহ সঙ্গীয় ফোর্স অংশ নেয়। ২০১৪ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত হাটহাজারী ও রাউজান থানায় হানিফের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ব্যবসা, অবৈধ দখল, চবি শিক্ষার্থী–গ্রামবাসী সংঘর্ষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলা, সরকারি গাছ বিক্রিসহ মোট ১৬টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এএসপি কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, “তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৬টি মামলা পাওয়া গেছে। আরও মামলা আছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে।”
পঞ্চগড় পৌরসভার ট্রাক টার্মিনালের দুই পাশে জমে থাকা বালি ও ধুলা সরাতে অভিযান চালিয়েছে সড়ক জনপথ (RHD) বিভাগ। রোববার সকাল থেকে সড়ক জনপথের পরিছন্নতাকর্মীরা ট্রাক টার্মিনালের সামনের রাস্তার দুই পাশের বালু অপসারণে কাজ করেন।
সড়কে দীর্ঘদিন ধরে ট্রাক–ট্রাক্টর পার্কিং, পাথর-বালুবাহী গাড়ির চলাচল এবং ভারী মাল পরিবহনের কারণে রাস্তায় বালির স্তর পড়ে থাকে।
এতে মোটরসাইকেলসহ দুই চাকার যানবাহনগুলো প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। এছাড়া ধুলো-বালির কারণে পথচারী ও যাত্রীদের অসুবিধার পাশাপাশি দৃষ্টিসীমা কমে গিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া কর্মীরা জানান, নিয়মিতই এখানে বালি জমে থাকে। টার্মিনালের সামনে দিনরাত মালবাহী ট্রাকের ভিড় থাকায় সড়কের ওপর প্রচুর ধুলো ও পাথরের গুড়া ছড়িয়ে পড়ে। এসব অপসারণে সড়ক জনপথ বিভাগ সময়েমতো উদ্যোগ না নিলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়বে।
স্থানীয়রা বলেন, ট্রাক টার্মিনালে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সড়কের ওপরই ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। এতে জ্যাম–দুর্ঘটনার পাশাপাশি রাস্তায় বালির স্তর দ্রুত জমে যায়। পরিষ্কার না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। সড়ক জনপথ বিভাগের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
সড়ক জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা তন্ময় চক্রবর্তী উপসহকারী প্রকৌশলী সওজ সড়ক উপবিভাগ পঞ্চগড় তিনি জানান, রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত বালি ও ধুলাবালি জমে থাকা একটি বড় সমস্যা- এটি সমাধানে তারা আরও নিয়মিত নজরদারি বাড়াবেন। মো. মোতাহার আলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জানান, গত শুক্রবার হতে রাস্তার পাশে জমে থাকা বালি অপসারণ কার্যক্রম চলমান আছে
‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকে লাগানো অর্ধশত বকুলগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় আজমির হোসেন (৩৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থানায় মামলা করেছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, গত শনিবার রাতে বেলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর রোববার কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে। আজমিরের বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলী গ্রামে। তবে তিনি বেলতলী এলাকায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতালের ফটকের পাশে থাকেন। সেখানে চা-বিস্কুট বিক্রি করেন।
গাছকাটার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে গত শনিবার রাতেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পুলিশ এ ঘটনায় মামলা নিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
কেটে ফেলা বকুলগাছগুলো মহাসড়কের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয়েছিল সওজের উদ্যোগে। প্রতিটি গাছের বয়স ছিল ৯ বছরের বেশি।
কুমিল্লা সওজের সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী রুহুল আমিন বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় মামলাটি করেন। তিনি বলেন, বেলতলীতে হাসপাতালের সামনেই একসঙ্গে ১৭টি বকুলগাছ কাটা হয়েছে। অন্য গাছগুলোও আশপাশে কাটা হয়েছে।
মহাসড়কটি ২০১৬ সালে চার লেনে রূপান্তর করার পর সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি এক লেনের গাড়ির হেডলাইটের আলো যাতে অন্য লেনের গাড়ির ওপর না পড়ে, সে জন্য বিভাজকের ওপর রোপণ করা হয়েছিল বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত প্রায় ১৯২ কিলোমিটার এলাকায় মধ্যে মহাসড়কের প্রায় ১৪৩ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। কুমিল্লার বেলতলী এলাকাটি বকুলগাছে সাজানো ছিল।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১ ঘণ্টার অগ্নিকাণ্ডে ৬ পাদুকা কারখানার ২০ লাখ টাকার পাদুকা ও সরঞ্জাম পুড়ে ছাঁই হয়েছে। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ভৈরব শহরের কমলপুর মধ্যপাড়া এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ভৈরব শহরের কমলপুর মধ্যপাড়ার শেরআলীর বাড়ি এলাকায় একটি টিনসেট হাফ বিল্ডিংয়ে পাদুকা তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় সিরাজুল ইসলামের মালিকানাধীন হাতে তৈরি ৪টি পাদুকা কারখানা, বিপ্লব মিয়ার পাদুকা কারখানা, মমুনুজ মিয়ার পাদুকা কারখানায় তৈরিকৃত জুতাসহ, সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ৬টি কারখানায় আনুমানিক প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান, পাদুকা কারখানার মালিকরা।
ভুক্তভোগী পাদুকা কারখানা মালিক শরীফ মিয়া বলেন, দুপুরের দিকে কারখানায় ভেতরে বসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ একটা শব্দ হয়ে কারখানায় মুহূর্তের মধ্য আগুন পুগো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আমরা দ্রুত কারখানা থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে বের হয়ে আসি। বাড়িটির ভেতরে আমাদের ৪টি কারখানাসহ অন্য ২টি মিলে মোট ৬টি পাদুকা ছিল। অগ্নিকাণ্ডে ৬টি কারখানায় তৈরি করা পাদুকা, সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ৪টি কারখানার সব মালামাল পুড়ে ছাই। আগুন আমার সব শেষ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব বাজার নদী ফায়ার স্টেশনের ফায়ার অফিসার মো.আল আমিন জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার স্টেশনের ৩টি ইউনিট ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর পাদুকা কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে ৬টি কারখানায় কী পরিমাণ মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্তসাপেক্ষে জানাযাবে বলে তিনি জানান।
কুমিল্লা সদরের কালিরবাজার ইউনিয়নের রায়চোসহ আশপাশের এলাকায় ধানি জমিতে ধান চাষ বাদ দিয়ে এবার শিম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদদের পরামর্শে স্বল্প খরচে ধানের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি লাভ পাওয়া যাচ্ছে বলে কৃষকের মধ্যে নতুন আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার দিগলগাঁও, হাতিগড়া, রায়চো ও কালিরবাজার কলেজ রোড এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়- ধানি জমিতে কাঠি–কেওড়া পদ্ধতিতে রূপবাণ জাতের শিম চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফলন আসতে শুরু করেছে।
স্থানীয় কৃষক মাসুম বিল্লাহ ও কামাল হোসেন জানান, ধান চাষে ব্যয় বেশি হলেও লাভ কম। ৩০ শতকের জমিতে ধান চাষে খরচ হয় ২৭–২৮ হাজার টাকা, উৎপাদনের মূল্য দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ৩০–৩৩ হাজার টাকা। এ কারণে তারা এবার ধানের বদলে শিম চাষে ঝুঁকেছেন।
তাদের দাবি, পরিবেশ অনুকূল থাকলে খরচ বাদে তিনগুণ লাভ সম্ভব। ইতোমধ্যে আগাম শিম তোলা শুরু হয়েছে। জমিতেই প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, আর শহরে বিক্রি হচ্ছে ১৫০–২০০ টাকা কেজি দরে।
মহানগরীর কোটবাড়ি পাহাড়ি এলাকায় চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে থোকা থোকা রূপবান শিমের ফুল। কোথাও ঝুলছে বেগুনি রঙের শিম, কোথাও আবার বাজারজাতের প্রস্তুতি চলছে। পাইকারি বাজারে কেজি ১২০–১৮০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১৫০–২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকের কেউ কেউ জানান, টানা বৃষ্টিতে কিছু ফুল ঝরে না গেলে, লাভ আরও বেশি হতো।
জেলায় বাড়ছে শীতকালীন সবজি রুপবান শিমের চাষ কুমিল্লার সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়ন, বুড়িচংয়ের মোকাম, ময়নামতি, ভারেল্লা দক্ষিণ; বরুড়ার আগানগর; চান্দিনার বরকইট এবং দেবিদ্বারের কয়েকটি চর ও অনাবাদি জমিতে এবার রূপবান শিমের চাষ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্র অনুযায়ী জেলায় দুই বছর আগে মাত্র ৬ হেক্টর জমিতে রূপবান শিম চাষ হতো। ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে গত বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৯ হেক্টরে এ বছরও একই পরিমাণ জমিতে চাষ করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, কোটবাড়ি পাহাড়ি এলাকায় শিম চাষে অনেক কৃষকই সফলতা পেয়েছেন। ভবিষ্যতে এর চাষ আরও বাড়বে।
কৃষিবিদ হোসেন বলেন, ধান চাষের তুলনায় সবজি উৎপাদনে সরকারের মনোযোগ বেশি এবং সুবিধাও বেশি। রূপবান জাতের শিম শীতকালীন অন্যান্য জাতের চেয়ে তিনগুণ বেশি লাভজনক। কৃষক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ৭০–৮০ হাজার টাকা খরচ করলে অনুকূল পরিবেশে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় সম্ভব।