মিয়ানমারের রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ নেতা ও গান কমান্ডার রহিমুল্লাহ প্রকাশ মুছাসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব-১৫। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে র্যাব-১৫ এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া উপজেলার তেলখোলা-বরইতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় কেজি ৫৩ গ্রাম বোমাসদৃশ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ মো. শফিক (২৮) ও মো. সিরাজ (৩০) নামে দুজনকে আটক করে র্যাব। তাদের দেয়া তথ্যমতে, ওই এলাকার গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী, বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর অন্যতম কমান্ডার ও আরসার জিম্মাদার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা এবং ক্যাম্প-৪ এর আরসার অন্যতম কমান্ডার শামছুল আলম ওরফে মাস্টার শামসুকে (২৯) আটক করা হয়। সেখান থেকে ৪৩ কেজি ৩১০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটারগান, চারটি পিস্তলের বুলেট, তিনটি ওয়ান শুটারগানের বুলেট এবং দুটি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করে র্যাব।
আটক শফিক ও সিরাজ দুজনেই বাংলাদেশি। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা জানান, আরসার শীর্ষ নেতারা বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্প ও তার পাশের এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। তারা এসব কাজ করার জন্য পাশের দেশ মিয়ানমার থেকে দুর্গম সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান করছিলেন। আটক কৃষক শফিক ও টমটমচালক সিরাজ বিস্ফোরক দ্রব্য কৌশলে সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে মিয়ানমার থেকে নিয়ে এসে নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করে রাখতেন এবং সুবিধাজনক সময়ে আরসার সন্ত্রাসীদের কাছে সরবরাহ করতেন।
আটক হওয়া অপর দুজন রহিমুল্লাহ ও শামছুল আলম মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করে তারা সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে ক্যাম্প ও স্থানীয়দের খুন, অপহরণ ও গুমের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতেন। চাঁদা না পেলে অপহরণ করে শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতনসহ মুক্তিপণ আদায় করতেন। পরে মুক্তিপণ না মিললে খুন করে গহীন পাহাড়ে অথবা জঙ্গলে মরদেহ গুম করে ফেলতেন।
আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী রহিমুল্লাহ ২০১৭ সাল থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। মিয়ানমারে থাকা তার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন কৌশলে ইয়াবার চালান নিয়ে এসে নিজে এবং তার সহযোগীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতেন। ২০১৮ সালের দিকে আরসা নেতা খালেদের মাধ্যমে তিনি সন্ত্রাসী সংগঠনটিতে যোগ দেন। আরসার সন্ত্রাসী গ্রুপের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে অস্ত্র, গোলাবারুদ সরবরাহ, অপহরণ, খুন, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারে গোলাগুলিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতেন।
র্যাব জানায়, রহিমুল্লাহ মিয়ানমার ও বাংলাদেশের দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্ত্র ও বোমা বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়ে সেখানে পারদর্শিতা অর্জন করে আরসার গান কমান্ডার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর জিম্মাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া আরসার অন্যান্য সদস্যদের বোমা তৈরি ও অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি।
র্যাবের ভাষ্যে, রহিমুল্লাহ জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন—তিনি ক্যাম্পের হেডমাঝি আজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ড, সাব মাঝি জাফর হত্যাকাণ্ড, এপিবিএন পুলিশের ওপর হামলা, ক্যাম্পে মাদরাসায় হামলা করে ছয়জন শিক্ষক ও ছাত্রকে হত্যা, জসিম হত্যাকাণ্ড, শফিক হত্যাকাণ্ড, মৌলভী সামশুল আলম হত্যাকাণ্ড, নুর হাসিম ও নূর হাবা হত্যাকাণ্ড, সাবমাঝি আইয়ুব হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
র্যাব আরও জানায়, আটক আরেক আরসা কমান্ডার শামছুল আলম ২০১২ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসেন। পরে ২০১৯ সালে মৌলভী জাবেদের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আরসায় যোগ দেন। সংগঠনটিতে যোগ দেয়ার পর তিনি অস্ত্র চালানো ও রণকৌশল প্রশিক্ষণ নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এর অন্যতম কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি বিভিন্ন সময়ে আরসার শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনায় টার্গেট কিলিং, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় এবং মুক্তিপণ না পেলে হত্যা করে মরদেহ গুম করে ফেলতেন।
এছাড়া ক্যাম্পে হেডমাঝি হোসেন ও কামাল হত্যাকাণ্ডেও তিনি জড়িত ছিল বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার ও উখিয়া থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় তিনি জেল খেটেছেনও বলে জানা যায়।
আটক চারজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন।
চট্টগ্রামে অভিযানেও থামছে না ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বিক্রি। এমনকি মানুষের মরণব্যাধি রোগ প্রতিরোধকারী মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। মুনাফালোভী কিছু অসাধু চক্র ও খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসব ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করে বাজারজাত করছে। মানহীন এসব খাবার তৈরিতে তারা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও সোডাসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে, যা ওই খাদ্যের সাথে মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে লিভার ও কিডনি নষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। এছাড়া ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও থাকছে। জরিমানার পরও এসব চক্রের সদস্যরা ফের যুক্ত হচ্ছে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলকে এসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযানের পরে শাস্তি পাওয়া ওই ব্যবসায়িকে ফলোআপে রাখতে হবে। এছাড়া এসব অপরাধের জন্য শাস্তির পরিমানও বাড়াতে হবে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাবর) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের দৈনিক বাংলাকে বলেন, অতি মুনাফালাভের কারণে ব্যবসায়ীরা বারবার একই অপরাধ করে থাকেন। তাই অভিযানের পর জরিমানা বা শাস্তি পাওয়া প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িকে ফলোআপে রাখতে হবে। এছাড়া ভোগ্যপণ্যেও পাইকারি ও খুচরা মার্কেটগুলোতে তদারকি বা অভিযান বাড়তে হবে।
তিনি বলেন, অভিযানে কোনো প্রতিষ্ঠানের অপরাধ নজরে আসার পর যে পরিমাণ শাস্তি বা জরিমানা হওয়ার কথা সে পরিমাণ হয় না। যা হয় তা অতি নগণ্য। তাই এসব অতি মুনাফালোভীদের আবারও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। তাই শাস্তি বা জরিমানার পরিমাণও বাড়াতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ দৈনিক বাংলাকে বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে নতুন নতুন কারখানা হলে সেগুলোর সঠিক তথ্য আমরা পাই না। যার কারণে তারা এ অবৈধ ব্যবসা করার সুযোগ নেয়।
জরিমানার পরও এসব চক্রের সদস্যরা ফের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা এই অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে তারা সুযোগ নেন। তাই প্রশাসনের সকল স্তর থেকে এদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে সাধারাণ ভোক্তারা উপকৃত হবেন।
অন্যদিকে অনুমোদনহীন মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করছে নগরের বড় বড় ফার্মেসিগুলো। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযানে জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না এদের ভেজাল খাদ্য তৈরি ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপচেষ্টা।
গত সোমবার নগরীর বহদ্দারহাট খাজা রোড, মাইজপাড়া এলাকায় সততা প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার নামে এক প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার অভিযান চালায়। অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বিশুদ্ধ পানি উৎপাদনের আড়ালে নকল স্টারিং পাওয়ার অয়ের তৈরি করছে। ওই প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। একই অভিযানে ওই এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে জয়নাব মেডিকেল হল ও জননী মেডিসিন হলকে পাঁচ হাজার টাকা কওে জরিমানা করা হয়। এছাড়া আল হাসান নামে এক বেকারি প্রতিষ্ঠানে মেয়াদবিহীন মিষ্টান্ন বিক্রির অপরাধে জরিমানা করা হয়।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট নগরীর বায়েজিদ থানার চন্দ্রনগর এলাকায় সাদিয়াস কিচেনের কারখানায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন অভিযান চালায়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ তৈরি, ফ্রিজে কাচা ও রান্নাকৃত খাদ্য একত্রে রাখা, লেবেলবিহীন খাদ্য সংরক্ষণ, রান্নাঘরের পাশে মুরগি পালন, খাদ্যকর্মীদের ইউনিফর্ম না থাকা ও বিভিন্ন লাইসেন্স সনদ দেখাতে না পারায় সাদিয়াস কিচেনকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গত ৯ জুলাই বুধবার নগরের কোতোয়ালি থানাধীন স্টেশন রোড এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় গুলিস্তান হোটেল ও আজাদী হোটেল অ্যান্ড বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায়। এ সময় তেলাপোকার উপদ্রব ও অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘরের পরিবেশ, খাদ্যেপচা ডিম ব্যবহার করার দায়ে এ দুই প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিনে ওই এলাকার দুই ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে জরিমানা করা হয়। তবে ভোক্তার অভিযোগ, অভিযান চালালেও থামাতে পারছে না এসব চক্রকে।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিল খুকশিয়া এলাকায় মাছের ঘেরের ভেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। এ আবাদে ভালো ফলন পেয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজ। তরমুজ চাষে লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক নতুন করে এ আবাদে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তরমুজ আবাদ পরিদর্শন করে চাষিদের এ আবাদে উদ্বুদ্ধ করছেন।
কেশবপুর উপজেলা সদর থেকে ১৮ প্রায় কিলোমিটার দূরে শ্রীহরি নদীর তীরে অবস্থিত বিল খুকশিয়া। এ বিলের ৬ হাজার ৩৭৫ বিঘা ফসলি জমি দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ বছর যাবৎ জলাবদ্ধতা থাকায় কৃষকেরা ফসল ফলাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েন। বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন করে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রীহরি নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এবং বিল খুকশিয়ার তলদেশ উঁচু করার জন্য জোয়ার আঁধার (টিআরএম) প্রকল্প গ্রহণ করলেও সফলতা মেলেনি। প্রকল্প শেষে জমির মালিক কৃষকরা বিলটিতে মাছের ঘের তৈরি করেন এবং মাছের ঘেরের ভেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেন। তরমুজ চাষ করে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।
সরেজমিন বিল খুকশিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ঘেরের বেড়িতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। কৃষক ইকবাল হোসেন দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি হারুনার রশীদ বুলবুল কে বলেন, তিনি ১৩ বিঘা মাছের ঘেরের ভেড়িতে ১ হাজার ৪০০টি তরমুজের মাদা তৈরি করে ফলন পেয়েছেন ২৭৫ মণ। প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ২০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। তিনি সর্বোচ্চ ১৪ কেজি ওজনের তরমুজ পেয়েছেন। একইভাবে আবদুল হালিম খান মাছের ঘেরের ভেড়িতে ১২০টি মাদা তৈরি করে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। কৃষক আবদুল কুদ্দুস ৭ বিঘা মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষ করেছেন। তার উৎপাদিত তরমুজ আকারেও বেশ বড়। সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি কে বলেন , দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ বছর বিল খুকশিয়া জলাবদ্ধতা হয়ে থাকায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। ২০০৫ সালে ওই বিলে টিআরএম প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প শেষে বিলটিতে কৃষকরা মাছের ঘের তৈরি করেন। ওইসব ঘেরের ভেড়িতে এ বছর কৃষকরা তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। ধান, মাছ চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফিরেছে। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় অনেক শিক্ষিত যুবক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করায় ব্যাপক সাড়া দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিল খুকশিয়ায় মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষ ওই এলাকার কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করছে। এশিয়ান-১, পাকিজা সুপার, ব্লাক কিং, ব্লাক কুইন জাতের তরমুজ এখানে বেশি আবাদ করা হয়েছে। এ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ব করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন দৈনিক বাংলা কে বলেন, মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি চাষ করে এলাকার কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের তরমুজ চাষে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমার পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান কান্দিরপাড়া গ্রামে মন্ডল গ্রুপ ও সর্দার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সর্দার গ্রুপের দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত হামের সর্দারের ছেলে সারফান সর্দার (৫০) এবং তাঁর ভাগনে মৃত বিছার সর্দারের ছেলে বাইজিদ সর্দার (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাগোয়ান কান্দিপাড়া বাজার এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সারফান সর্দার। গুরুতর আহত অবস্থায় বাইজিদ সর্দারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আহত আরও চারজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহত সারফান সর্দারের মেয়ে মিম খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি বাগানে আমার বাবাকে পা কেটে ও গলা কেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সর্দার গ্রুপের দুজন নিহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পাশাপাশি সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। এ ঘটনায় রাতেই তিন থেকে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’
নাটোরে বিদেশী মদ ও ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের বনবেলঘড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কসিম উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা এবং একই উপজেলার পারচোকা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে আমিন উদ্দিন।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের চোকপোষ্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহি বাসে তল্লাসী চালানো হয়। তল্লাসীকালে ৪০ বোতল বিদেশী মদসহ বাসযাত্রী সোহেল রানা এবং ২০০পিচ ইয়াবাসহ আমিনকে আটক করা হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
রাঙামাটির কাপ্তাই লেক হতে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট দিয়ে ৩ ফুট করে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের কারনে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর ) দিবাগত রাত ৩ টা হতে চন্দ্রঘোনা - রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে নদীর দুই পাশে যাত্রী সাধারণ চরম দূর্ভোগে পড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী( যান্ত্রিক) রনেল চাকমা বুধবার( ১০ সেপ্টেম্বর) সকালে বলেন, কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ের ১৬ টি গেইট ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের কারনে বুধবার দিবাগত রাত ৩ টা হতে এই নৌ রুটে ফেরি চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বুধবার(১০ সেপ্টেম্বর) সকালে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটের গিয়ে দেখা যায়, নদীর দুই পাশে কিছু যানবাহন অপেক্ষা করছে পারাপারের জন্য।
এসময় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে কথা হয়
চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বাবুর সাথে।
তিনি বলেন, এই নৌ - রুটে প্রাকৃতিক কারনে প্রায়শ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। যার ফলে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সেতু নির্মান হলে জনদূর্ভোগ কমবে।
ফেরি ঘাটে কথা হয়, মোটরসাইকেল আরোহী মো: শহীদুল ইসলাম, মো: সরফুল আলম এবং সুকুমার বড়ুয়ার সাথে৷ তাঁরা বলেন ওপারে যাবার জন্য এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমাদের কষ্টের শেষ নেই। এখানে সেতু হলে আমাদের দু:খ লাগব হবে।
এসময় কথা হয় বাস চালক মো: শুক্কুর, রাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়া হতে আসা ব্যবসায়ী পুলক চৌধুরী, সিএনজি চালক মো: আরিফ, বিপণন কর্মী মো: নুরনবী এবং যাত্রী মো: ওমর ফারুকের সাথে। তাঁরা বলেন, সকালে এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্পীল ওয়ে ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রচুর জোয়ার থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ফেরির ইনচার্জ মো: শাহজাহান এবং ফেরির চালক মো: সিরাজ এর সাথে। তাঁরা বলেন, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে পানি ছাড়ার ফলে নদীতে অনেক স্রোত। তাই বুধবার দিবাগত রাত ৩ টা হতে আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্রোত কমলে আমরা ফেরির চালার চেষ্টা করবো।
খাগড়াছড়ির তিন সড়কে আজ বুধবার আধা বেলা সড়ক অবরোধ চলছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি-ঢাকা, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার মানিকছড়ির তবলা পাড়ায় অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও নারী আত্মরক্ষা কমিটি; এই তিনটি পাহাড়ি সংগঠন এই অবরোধের ডাক দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক স্বপন চাকমার পাঠানো বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
অবরোধের কারণে তিন সড়কে দুরপাল্লার সব যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, অবরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, রাস্তায় দুই একটা আগুন দেওয়া ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ সর্তক স্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে মানিকছড়ির তবলা পাড়ায় সন্দেহভাজন কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রামবাসী আটক করে। তাদেরকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে প্রতিরোধের মুখে পড়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তখন লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
দেশের জীব-বৈচিত্রের জন্য ক্রমশ হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ, মাছ, পাখি, কীটপতঙ্গসহ অন্যান্য প্রাণী।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত ৬৯টি বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতি শনাক্ত হয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে ৪৬টি উদ্ভিদ, ১৬টি মাছ, ৫টি কীটপতঙ্গ এবং শামুক ও পাখিসহ অন্যান্য প্রাণী।
আগ্রাসী এসব প্রজাতির অধিকাংশই দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো থেকে এসেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে, ইচ্ছাকৃত, অনিচ্ছাকৃত অথবা দুর্ঘটনাবশত এসব আগ্রাসী প্রজাতিগুলো দেশে ঢুকেছে, যা এখন স্থানীয় প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে কেয়ার বাংলাদেশ (কেবি) আয়োজিত ‘জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন’ -কর্মশালায় উপস্থাপিত তথ্য থেকে এসব চিত্র উঠে আসে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মুঈদ।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন, কেবির এশিয়া অঞ্চলের ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন ম্যানেজার আজমত আব্বাস, বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. সালেহ আহমেদ ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. দিলরুবা শারমিন। উপস্থিত ছিলেন ডিএই–এর সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডলসহ অনেকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশি আগ্রাসী আগাছা পার্থেনিয়াম (Parthenium hysterophorus) বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের জন্য নতুন হুমকি হয়ে উঠেছে। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার এ আগাছা দ্রুত বংশবিস্তার করে মাঠ, রাস্তার ধারে ও পতিত জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতির মাছ স্থানীয় প্রজাতির মাছের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে এবং প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন হ্রাসে এরা মারাত্মক ভূমিকা রাখছে।
গবেষকরা বলছেন, পার্থেনিয়াম কৃষিজমির উর্বরতা কমিয়ে দেয় এবং ধান, গম, ভুট্টা, সবজি ও ডালশস্যসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন হ্রাস ঘটায়। এতে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। শুধু তাই নয়, এ আগাছা মাটির ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য বদলে দিয়ে স্থানীয় ঘাস ও গাছপালা জন্মাতে বাধা দেয়। ফলে দেশীয় উদ্ভিদ প্রজাতি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
মানুষ ও পশুপাখির জন্যও পার্থেনিয়াম সমান ক্ষতিকর। এটি থেকে নির্গত রাসায়নিক উপাদান ত্বক ও শ্বাসতন্ত্রে অ্যালার্জি, হাঁপানি, চুলকানি এবং চোখে প্রদাহের মতো রোগ সৃষ্টি করে। গবাদিপশু যদি এ আগাছা খায় তবে দুধের মান নষ্ট হয় এবং উৎপাদন কমে যায়।
বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতির মাছের মধ্যে ১৯৮০-এর দশকে মাছ চাষের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আনা হয় আফ্রিকান ক্যাটফিশ (Clarias gariepinus)। কিন্তু এই রাক্ষুসে মাছ দেশীয় ছোট মাছ ব্যাপক হারে কমিয়ে দেয়।
২০১৪ সাল থেকে এর চাষ ও বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও এখনও অবৈধভাবে বাজারে পাওয়া যায়। আরও ভয়াবহ হলো, এটি দেশীয় হাঁটুয়া মাছের সঙ্গে সংকরায়িত হয়ে ভবিষ্যতে জিনগত বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ।
একইভাবে পিরানহা, যা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ, দেশীয় মাছের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছিল। সাকারমাউথ ক্যাটফিশ (Hypostomus plecostomus) যা স্থানীয়ভাবে সাকার ফিশ, রোহিঙ্গা মাছ নামে পরিচিত। এটি মূলত অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছ হলেও এখন নদী-নালায় ছড়িয়ে পড়েছে। এটি দূষিত পানিতেও বেঁচে থাকে, খাবারের জন্য দেশীয় মাছের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এবং নদীর তলদেশে গর্ত করে পাড় ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এছাড়া বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য আনা বিদেশি কার্প মাছ, যেমন বিগহেড, সিলভার ও কমন কার্প, এখন প্রাকৃতিক জলাশয়ে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। এগুলো দেশীয় প্রজাতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার সুযোগ কেড়ে নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এসব বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ, মাছ ও অন্যান্য প্রাণী দেশে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাংলাদেশের দেশীয় মাছ ও সামগ্রিক জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।
কক্সবাজারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফে এনে মিয়ানমারে পাচারের সময় দুই কিশোরকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় মানবপাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তি আশ্রিত রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানিয়েছে বিজিবি। গত সোমবার সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান। আটক হওয়া রোহিঙ্গা যুবকের নাম মো. রাসেদ (১৮)। তিনি উখিয়ার কুতুপালং ১ নম্বর ক্যাম্পের সি-১৩ ব্লকের বাসিন্দা ছৈয়দ আলমের ছেলে। উদ্ধার হওয়া দুই কিশোর হলো কক্সবাজার শহরের লালদীঘির পাড় এলাকার আইয়ুব খানের ছেলে মো. মাহিম (১৫) এবং একই এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল (১৬)।
লে. কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, সম্প্রতি টেকনাফ সীমান্তে সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। গত সোমবার সন্ধ্যায় নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টা চলছে- এমন খবর পেয়ে বিজিবি কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে অভিযান চালায়।
তিনি বলেন, ‘বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পাচারকারী পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়।’
আটক রোহিঙ্গা যুবক মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বরগুনার আমতলী উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোটি টাকার জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ, কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খানের নির্দেশে হলদিয়া ইউনিয়নের অফিস বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, ১৯৬৭ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁশবাড়িয়া নদীর পাড়ে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া এলাকায় ৫৪/বি পোল্ডারে প্রায় ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেন। ওই বাঁধের ওপর ভরসা করে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ, গবাদিপশু ও ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেয়ে আসছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের দুপাশে ইমারত নির্মাণ করায় বাঁধ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে বাঁধ ধসে ভয়াবহ প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তারা দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানান।
দখলদার কবির মল্লিক দাবি করেন, তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়েই ভবন নির্মাণ করছেন। তবে অনুমতির কোনো কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। অন্যদিকে লিবিয়া প্রবাসী লিটন হাওলাদারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। হলদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মো. সাদিক মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন জানান, কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান বলেন, বাঁধের জমি দখল করে ভবন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতি করে কেউ অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলতে পারবে না।
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। হত্যার মূল আসামি মো. মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঢাকায় পালিয়ে যাবার সময় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোবারক হোসেন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত. আবদুল জলিলের ছেলে।
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঝাড়-ফুক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করতেন। গত রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুমাইয়াদের ভাড়া বাসা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকায় নেলি কটেজ নামক বাসায় প্রবেশ করেন মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বেরিয়ে যান। আবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। যা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়।
পুলিশ সুপার বলেন, মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন সময়ে এক পর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সুমাইয়ার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশ চাপায় হত্যা করেন। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় সুমাইয়া প্রতিরোধ করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কিনা বিষয়টি ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিহত সুমাইয়া আরফিন (২৩) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা ও কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে। গত সোমবার সকালে ওই বাসা থেকে সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বর্ষা মৌসুমে টইটম্বুর পানির সঙ্গে উজান থেকে ভেসে আসা দেশীয় মাছ—বজুরী, টেংরা, ঢেলা, দারখিলা, কটকটি, বাইলা, পুটি, সেলবেলা, চান্দা, বৈইচা, পাবদা, শিং, কৈ, টাকি, চেধূরী, এলকোনা, খৈইলশা, ভাংলা, কাটাইড়া, বাতাইয়া, চিংড়ি, বাইম, গুতুমসহ নানান প্রজাতির মাছ একসময় খাল-বিল-জমিতে ডিম ছাড়ার জন্য ছুটে আসত। সেই সময়ে গ্রামের ছেলেরা মাছ ধরার জন্য নানান ফাঁদ পাতত। এর মধ্যে অন্যতম ছিল আনতা, বেউর ও চাই, আনতা। যা আজ বিলুপ্তির পথে।
তবে এখনো কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর আনতা হাট সেই পুরনো স্মৃতি ধরে রেখেছে। রামচন্দ্রপুর, দক্ষিণ বাঙ্গরা ও মালাই বাঙ্গরা বাজার, হাটখোলা, ইলিয়াটগঞ্জ, চান্দিনার নোয়াবপুর, বর্ষা মৌসুমে বাঁশের তৈরি আনতা বিক্রির ধুম পড়ে যেত কিন্তু পূর্বে ন্যায় দেশীয় মাছ না থাকায় আস্তে আস্তে এসব মাছ ধরার ফাঁদ তৈরিতে কৃষক, জেলে আগ্রাহ হাচ্ছে। শুধুই মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ, যা এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ও মানভেদে প্রতিটি আনত ৩০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্ষার শেষ দিকে এ ফাঁদের চাহিদা আরও বেড়ে যেত। ব্যবসায়ীরাও মৌসুমে ভালো লাভের আশা করত। এন তেমন একটা চোখে পড়ে না, রামচন্দ্রপুরের আনতা ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ‘প্রতি হাটে আমি ৬০ থেকে ৭০টি আনতা বিক্রি করি কিন্তু যখন মাছের ভরা মৌসুম ছিল তখন সারাবছর লোক নিয়োগ করে বিভিন্ন বাড়িতে আনতা তৈরি করতাম। দূর-দূরান্ত থেকেও ক্রেতারা আসত। আর তেমন বিক্রি না থাকায় ব্যাবসা অনেক কমে গেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মাছ জমির আইল ধরে নামতে শুরু করে, তখন আইলে আনতা পুঁতে রাখলেই সহজে মাছ ধরা পড়ে। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় আমরা খুশি হতাম, আমাদের দাবি আনতা, বেউর, চাই, উছা, পেলুন।এই ফাঁদ তৈরিতে সরকার ভর্তুকি দিয়ে অল্প আয়ের মানুষ দের বাচিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি বাঁশ শিল্প বেচে থাকবে।
স্থানীয় মাছ বিক্রেতা মতিন মিয়া জানান, তিনি প্রতি মৌসুমে ৫-৬টি আনতা কেনেন। আনতা দিয়ে প্রতিদিন ২-৩ কেজি মাছ ধরা পড়ে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে তিনি ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন।
শুধু মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে অনেকের জীবিকার উৎস। আনতা তৈরি ও বিক্রি করে বহু পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার এর সাহায্যে ধরা মাছ বিক্রি করে অনেকেই বাড়তি আয় করছে। ছোট-বড় সবাইকে মাছ ধরার আনন্দে মাতিয়ে তোলে এই দেশীয় কৌশল, যা আজও মুরাদনগরের গ্রামীণ জীবনের অনন্য ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
ময়মনসিংহর গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংক (পিএল সি) এর স্কুল ব্যাংকিং কর্মশালার আওতায় ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ গফরগাঁও মহিলা কলেজে বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার ( ৯সেপ্টন্বর) ১১টায় মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
বৃক্ষরোপণ শেষে মহিলা কলেজ হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গফরগাঁও মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক,পূবালী ব্যাংক (পিএলসি) গফরগাঁও উপশাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামানসহ কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ। কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল খালেক ব্যাংক কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গাছ আমাদের জীবনের অংশ,গাছ ছাড়া আমাদের জীবন ও পরিবেশের কথা চিন্তাও করতে পারিনা,অধিক পরিমানে গাছ লাগান প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে দেশকে বাচাঁন।
আলোচনা শেষে কলেজ শিক্ষার্থীদে মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার চাঁদপুর উত্তর মতলব থানাধীন মোহনপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ করা হয়। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
জব্দকৃত অস্ত্রের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।