শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেইনি: সিইসি

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: নিউজবাংলা
বিশেষ প্রতিনিধিবরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত
বিশেষ প্রতিনিধিবরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:১৬

গাইবান্ধার উপনির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো ‘হঠকারী’ সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ওই উপনির্বাচন বন্ধের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার মধ্যেই নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

সিইসি বলেন, ‘আমরা হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা কমিশন নিয়েছে। কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কিন্তু এক নয়। কমিশন সদস্যরা বসে আলাপ-আলোচনা করে চিন্তাভাবনা করে যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়ত জনমনে কিছু বিভ্রান্তি থাকতে পারে। আমরা টকশোতে শুনেছি কেউ আনন্দিত হয়েছে, কেউ ব্যথিত হয়েছে, কেউ প্রতিবাদ করেছেন, কেউ সমবেদনা জানিয়েছেন। আমাদের মনে হয়েছে। এতে করে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। সেই বিভ্রান্তি অপলোপনের জন্য কিছু ব্যাখ্যা আমাদের দেওয়া দরকার।’

গতকাল বুধবার গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে। পরে পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ জানিয়ে ভোট বন্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান সিইসি হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সমার্থক নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও একজন কমিশনার। একাধিক সদস্য নিয়ে এই কমিশন গঠিত হয়, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হন এবং তিনি এ সংস্থার চেয়ারম্যান হন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কোনো সিদ্ধান্তে এককভাবে গ্রহণ করেন না বা করতে পারেন না।’

‘অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন- কী করে প্রত্যক্ষ করলাম? আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করে প্রত্যক্ষ করেছি। খুব নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ও আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা এখানে আছে। সে বিষয়টি হয়তো অনেকের জানা নেই।’

সিইসি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর যেসব নির্বাচন করেছি সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করে অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি ভোট কক্ষে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছিলাম।’

‘উদ্দেশ্য ছিল, ইভিএমের বিষয়ে গোপন ভোটকক্ষে অবৈধ লোক প্রবেশ করে বা অবস্থান করে ভোটারকে ব্যালট ইউনিটে ভোট প্রদানের সুযোগ না দিয়ে ভোট দিয়ে দেয়ার যে অভিযোগ রয়েছে তা বন্ধ হোক। এই অপরাধ একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল। তারই আলোকে এবং গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের গুরুত্বের কারণে এখানেও ইভিএমে ভোটগ্রহণ ও প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) সকাল ৮টায় এখানে যথারীতি ভোট শুরু হয়। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে আমিসহ অন্যান্য কমিশনার, দায়িত্ব পালনকারী সচিবালয়ের কর্মকর্তাগণ ও কারিগরি সহায়তাকারী ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা তিনটি কেন্দ্রে দেখতে পাই ভোট কক্ষে প্রার্থীর পুরুষ এজেন্টগণ বুকে ও পিঠে প্রাথীর মার্কা ইত্যাদি প্রিন্ট করা একই রকম গেঞ্জি পরে আছেন এবং মহিলা এজেন্টগণ একইরকম শাড়ি পরা, যা আচরণ বিধিমালার ১০(ঙ) ভঙ্গের মধ্যে পড়ে।’

‘এসব এজেন্ট ছাড়াও অনেক অবৈধ লোকজন ভোটকক্ষে অবস্থান করে ভোটাদেরকে ভোট দিতে প্রভাবিত করছেন। ভোটারদের কন্টোল ইউনিটে আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পরপরই এজেন্টগণ গোপন ভোটকক্ষে প্রবেশ করে ভোটারকে ভোটদানের সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ একই কাজ করছেন।’

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের এসব দেখে কমিশন থেকে ফোন দিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারদেরকে ভোট কক্ষে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ভোট কক্ষে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ তাদেরকে গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তখন কমিশন থেকে ওই তিনটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

অতঃপর একে একে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৫০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের অবস্থা একই রকম দেখা যায়। ইতোমধ্যে রিটার্নিং অফিসার একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেন।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমি এবং বেগম রাশেদা সুলতানা রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলি। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। অন্য কেন্দ্রগুলোতেও সিসিটিভি দেখার সময় পেলে দেখা যেত যে ওইসব কেন্দ্রেও একই অবস্থা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কমিশন মনে করে যে এ ধরনের একটি আইনবহির্ভূত ভোট প্রদান/গ্রহণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তাই কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেলা আড়াইটায় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘অনিয়মগুলো তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর গাইবান্ধা-৫ আসনের পরবর্তী নির্বাচন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’


নতুন আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে সারিয়াকান্দি পর্যটন কেন্দ্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তাজুল ইসলাম, সারিয়াকান্দি (বগুড়া)

উপজেলার যমুনা নদীকে কেন্দ্র করে যে কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো সদর ইউনিয়নের দীঘলকান্দি গ্রামের প্রেম যমুনার ঘাট। কালিতলা ঘাটের সৌন্দর্য আরও বাড়াতে পর্যটন মন্ত্রণালয় ইকোনোমিক জোন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। সেই সঙ্গে যমুনা নদী শাসনের জন্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন স্পার ও হার্ড পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। এগুলো হলো সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধ, সদরের প্রেম যমুনার ঘাট, হাটশেরপুরের হাসনাপাড়া স্পার, নিজ বলাইল স্পার ও কুতুবপুরের দেবডাঙা এবং কুতুবপুর বাজারের পূর্ব পাশের স্পার।

দীঘলকান্দি হার্ড পয়েন্টটি সিঁড়ি করে নির্মাণ করার জন্য এটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। ফলে এখানে প্রতিদিন শত শত এবং বর্ষাকালে হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে। তাই স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা পছন্দের এই স্পটের নামকরণ করেছেন প্রেম যমুনা ঘাট, যা উপজেলার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হয়ে উঠেছে। এই প্রেম যমুনার ঘাটে পর্যটকদের বসার জন্য ৮টি ছাউনিসহ বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রয়াত সাংসদ আব্দুল মান্নান ও বর্তমান সাংসদ সাহাদারা মান্নানের ছবি আঁকা রয়েছে। সম্প্রতি ফিস পাস এলাকাতেও দুইটি ছাউনিসহ বেঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে, যা পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট কারবে।

এ ছাড়া পুরো কাঠামো এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য বর্ধনকারী বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। পুরো কাঠামোর বড়বড় সিসি ব্লক এবং সিমেন্টের খুঁটিতে বিচিত্র ধরনের রং করা হয়েছে। এতে এ পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়েছে। এ ছাড়া এ কেন্দ্রে কয়েক মাস আগে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে কালিতলা ও প্রেম যমুনার ঘাটে উন্নত ওয়াশ ব্লকও নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় এ পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আগমনও বেড়েছে।

স্থানীয় চা দোকানি মোমিন মিয়া বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এখানে পর্যটকদের জন্য বসার বেশ ভালো পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে। তাই এখানে আগের চেয়ে পর্যটকের আগমনও বেড়ে গেছে। এতে দোকানের বেচাকেনাও বেড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, উপজেলাটি পর্যটনকেন্দ্রিক হওয়ায় এখানে বিভিন্ন সময়ে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। সম্প্রতি পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার লক্ষে কালিতলা ঘাট এলাকায় সৌন্দর্য বন্ধনের কাজ হাতে নিয়েছে। এতে করে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক গণমাধ্যমকে জানান, বিভিন্ন সময়ে যমুনা নদী ভাঙনের হাত থেকে সারিয়াকান্দির জনপদকে রক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের স্পার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ এবং গ্রোয়েন বাঁধ নির্মাণ করে। এগুলো দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে পর্যটকদের আগমন ঘটে। তারা একই সাথে যমুনা নদীর সৌন্দর্যও উপভোগ করেন। এ পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সৌন্দর্য বাড়াতে নানা ধরনের কাজ চলমান। ভবিষ্যতে এখানে একটি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।

বিষয়:

লামায় চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য ১১ প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ শুরু

লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. নুরুল করিম আরমান, লামা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সারা দেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে ডামাডোল। এ নির্বাচনে কে কোন পদে লড়বেন- এমন আলোচনা এখন বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সর্বত্র।

এবার সারা দেশে ভোট গ্রহণ হবে চার ধাপে। কোন ধাপে, কোন উপজেলায়, কবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে তারও একটি তালিকা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী জেলার বৃহত্তর লামা উপজেলায় মে মাসের দ্বিতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এ তারিখ ঘোষণার পরপরই নির্বাচনকে ঘিরে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা গেছে। এদের মধ্যে কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস, কেউবা ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে গণসংযোগ, আবার আড্ডা-আলোচনাসহ নানা পরিবেশে প্রার্থিতার জানান দিয়ে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে নিচ্ছেন।

শুধু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপি-সমর্থক এক সম্ভাব্য প্রার্থী ছাড়া অন্য দল থেকে এখন পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) কিংবা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে মনোনয়ন ও প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে দুজন সম্ভাব্য প্রার্থী জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।

যে দুজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী পদে অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন, তাদের মধ্যে একজন হলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এ ছাড়া দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তে এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার সম্মতি দিলে উপজেলা বিএনপির মো. জাকের হোসেন মজুমদার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন মজুমদারের বড় ছেলে। দলীয়ভাবে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতিও তিনি।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমান উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কি রানী দাশের কথাও শোনা যাচ্ছে। তিনি উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি। গত নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব লিটন দাশের সহধর্মিণী তিনি।

আরেক প্রার্থী হলেন পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শীলেরতুয়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক বৈশালী বড়ুয়া। তার স্বামী উজ্জল বড়ুয়া ওষুধ ব্যবসায়ী ও পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং গ্রামের সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারের মেয়ে বৈশালী বড়ুয়া। তার বাবা অরবিন্দ বড়ুয়া উখিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

আরেক প্রার্থী পৌর শহর মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমা বেগম। তিনি উপজেলার ইয়াংছামুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজেম উদ্দিনের সহধর্মিণীও।

অন্যদিকে উপজেলা শহরের ব্যবসায়ী উজ্জল কান্তি দাশের সহধর্মিণী শিল্পী দাশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাশের মেয়ে তিনি।

এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উপজেলা শাখার সভাপতি শারাবান তহুরাও নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন আবারও নির্বাচন করবেন বলে শোনা গেছে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মো. আবু তাহের মিয়ার ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের সভাপতি। এ পদে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোহাম্মদ ইসমাইলের ছোট ভাই নাছির উদ্দিনের নামও সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় উঠে এসেছে। উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন নাছির উদ্দিন।

আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী মিয়ার ছেলে আব্বাস উদ্দিন সেলিম। উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-বিষয়ক সম্পাদকও তিনি। এ ছাড়া পৌরসভা এলাকার নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীরের ছেলে ওসমান গনি শিমুলও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। জাতীয় পার্টির লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সমন্বয়ক তিনি।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তফসিল ঘোষণা না হলেও লামা উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের গায়েও লেগেছে নির্বাচনী হাওয়া।

তবে ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। পৌরসভা এলাকার ভোটার মোহাম্মদ আলমগীর, লামা সদর ইউনিয়নের ভোটার আনোয়ারা বেগম, ফাইতং ইউনিয়নের হামিদা বেগম, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ভোটার অনারাম ত্রিপুরার মতে, নির্বাচন এলেই কেবল নেতাদের পা পড়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপদে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের আনাগোনা বেড়ে যায়। নির্বাচন চলে গেলে এসব নেতারা আর খোঁজখবর রাখেন না। তবে এবারের নির্বাচন প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের নির্বাচন হবে বলে জানান তারা। কারণ দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না হলে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ভোট দিতে পারবেন বলেও জানান তারা।

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী না থাকায় উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামালকেই পুনরায় দলীয়ভাবে মনোনীত করা হয়। তবে পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আমির হোসেন জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পাতানো এ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিএনপি। কাজেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কোনো নেতা-কর্মী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে লামা উপজেলা পরিষদ গঠিত। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮২ হাজার ২১৩ জন। তিনি আরও বলেন, এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে লামা উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিষয়:

পদ্মায় লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল সোয়া ৭টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবক মানিকগঞ্জ শিবালয় উপজেলার শিবালয় ৩ নং ট্রাক টার্মিনালের পাশে আসগর আলী শেখের ছেলে মো. ফিরোজ শেখ (২৮)। তিনি সেলফি পরিবহনে সহকারীর কাজ করতেন।

লঞ্চঘাটে থাকা স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ সকালে সোয়া ৭টার দিকে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যায়। তখন আশেপাশের লোকজন গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও দৌলতদিয়া নৌ পুলিশকে খবর দেন। পরে সকাল সাড়ে ৮টার পর গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও আরিচার ডুবুরি দল এসে ৯টার দিকে তাকে উদ্ধার করে।

বাবা আজগর আলী শেখ বলেন, ‘আমার ছেলের ছোটবেলা থেকেই মৃগী রোগের সমস্যা ছিল। গোয়ালন্দে গতকাল রাতে আমার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সকালে বাড়ি ফেরার সময় দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের পন্টুনে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করার সময় মৃগী রোগ উঠলে নদীতে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. সাবেকুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদ পেয়ে দ্রুত লঞ্চঘাটের ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

দৌলতদিয়া নৌ পুলিশের এসআই মো. ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সোয়া ৭টার দিকে সংবাদ পাই লঞ্চঘাটে পন্টুন থেকে এক যুবক নদীতে পড়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ফায়ার স্টেশনকে জানাই। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে তাকে উদ্ধার করে। মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষ হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

বিষয়:

কাভার্ডভ্যান-লরিতে আগুন: নিহত ১, আহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভুঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে চলন্ত কাভার্ডভ্যানের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা লরির সঙ্গে সংঘর্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় মো. আব্দুর রহিম (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি কাভার্ডভ্যানের চালক এবং রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামগঞ্জ গ্রামের মৃত মুনছের আলীর ছেলে।

আহত হয়েছে দুইজন। তারা হলেন, কাভার্ডভ্যান চালকের সহকারী শাকিল (২৫) ও নোমান (২৪)। আহত দুইজনই একই উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার জোকারচর এলাকার অদূরে কামাক্ষামোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন জানান, ঢাকাগামী কাভার্ডভ্যানটির সামনের চাকা ফেটে গেলে গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরবঙ্গগামী একটি লরির সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে মুহুর্তেই গাড়ি দুটিতে আগুন ধরে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তিনি আরও জানান, আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে দুইপাশের সড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ি দুটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়ার পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ জানান, কনটেইনারবাহী লরি ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইটি গাড়িতে আগুন লেগে যায়। একজন হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। আহত ২ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


জুনে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ

কুমিল্লায় প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

আগামী জুন মাসের মধ্যেই ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করবে সরকার। সে জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।

শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

রুমানা আলী বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেউ যেন প্রতারিত না হয় কিংবা কেউ যেন প্রতারণা না করতে পারে সে জন্য সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সেখানে খুব ভালোভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে।’ তবে এ বছর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর খানসহ কলেজটির অন্যান্য শিক্ষক জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।


মানিকগঞ্জে যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশপথে যানজট নিরসন ও পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যেগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও পৌর সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক ও ফুটপাত থেকে শতাধিক হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মো. তসলিম মিয়া ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানাসহ থানা পুলিশ ও পৌরসভার কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্যানেল মেয়র তসলিম মিয়া জানান, পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ও শহরের যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কারন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্থায়ী কিছু ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে ব্যবসা করে আসছে। এতে করে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারীদের ভোগান্তীতে পড়তে হয়।

তিনি আরও জানান, পথচারীদের সুবিধার্থে যানজট দূর করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান।

বিষয়:

বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত, আহত চার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৪৭
ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার উজানপাড়ায় বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ত্রিশালের উজানপাড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের উজানপাড়ায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় সিএনজিটিকে একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই বছরের শিশু রুবাইয়া এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সিএনজির চালক শরিফুল ইসলাম (৩৩) ও অজ্ঞাত আরেক যাত্রী মারা যান।

নিহত সিএনজি চালক শরিফুল উপজেলার চিকনা মনহর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।

আহতরা হলেন, রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মনি আক্তার (৪৫), একই গ্রামের শামীম আহমেদের স্ত্রী সাহিদা আক্তার (৪৫)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।


বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১১:০৯
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে সীমান্তের হাঁপানিয়া এলাকায় ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পোরশা থানা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ ১৬ বিজিবির পোরশা উপজেলার নিতপুর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে বুধবার দিনভর যোগাযোগ করেন তারা।

তিনি আরও জানান, রাত ১০টায় সীমান্তের হাপানিয়া এলাকার ২৩৬নং পিলারের কাছে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে পোরশা থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের কেদারি পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার ইন্সপেক্টর সুভাষ চন্দ্র মিনা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত এলাকায় গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে ভারতের মালদা জেলার মিলমারি এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি যুবক আল আমিন।

বিষয়:

নোয়াখালীতে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৭:১৩
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও এক শ্রমিক।

বুধবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ-দাগনভূঞা সড়কের মীর বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবুল কালাম (৩৫) উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, ‘নিহত কালাম পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। সকালে হেঁটে দাগনভূঞার তালের চারা এলাকার কাজ করতে যাওয়ার পথে একটি অ্যাম্বুলেন্স পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিষয়:

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।

উচ্ছেদকৃত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩টি খাবার হোটেল, কনফেশনারী এবং মুদি দোকানসহ ৩০টি স্থাপনা।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন বলেন, ‘৬৮ শতাংশ সম্পত্তির উপর ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পাকা স্থাপনা রয়েছে। বন্দরের সম্পত্তিতে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সবগুলো স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।’


নারায়ণগঞ্জে বাসের ধাক্কায় পুলিশ সদস্য নিহত

আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৮:৫৭
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দায়িত্ব পালনকালে বাসের ধাক্কায় আব্দুল গফুর নামের এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছনবাড়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল গফুর নারায়ণগঞ্জের ট্রাফিক বিভাগের (কনস্টেবল নং ৯৬১) কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায় ও তার বাবার নাম দুলু মণ্ডল।

স্থানীয়রা জানায়, মহাসড়কে দায়িত্ব পালনকালে নরসিংদী থেকে ঢাকামুখী একটি বাস পুলিশ সদস্য আব্দুল গফুরকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, ‘ভুটানের রাজা আড়াইহাজারে আসার ফলে পুরো উপজেলায় সড়ক ও মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ তৎপর ছিলেন। এ সময় দায়িত্বপালনকালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্য আব্দুল গফুরকে পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দেয়। পরে তার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’


জমে উঠেছে শেরপুরের ঈদবাজার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে জমে উঠেছে ঈদবাজার। মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের ব্যস্ততা। সব বয়সি মানুষের মধ্যে এখন ঈদবাজার নিয়েই যত ভাবনা।

ঈদকে সামনে রেখে বিপণি বিতান, মার্কেটগুলো এখন নতুন নতুন দেশি-বিদেশি হরেক রকম জামা-কাপড়ে ঠাসা। দোকানগুলো ক্র‍েতার ভিড়ে জমজমাট। ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড়, জুতো, প্রসাধনীসামগ্রী কিনতে ব্যস্ত মানুষ। বিশেষ করে পরিবারের কর্তারা ব্যস্ত পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে। শপিংমলগুলোতে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা।

ঈদের জামায় এবার মেয়েদের আলিয়া কাট, সারারা, নাইরা চলছে বেশি। ছেলেদের দৃষ্টি বেশি পাঞ্জাবির দিকে।

নারগিস নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘পরিবারের সদস্যের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টাকার কাপড় কিনলাম। গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। যা সামর্থ্যে কুলাচ্ছে তাই কেনার চেষ্টা করছি।’

ছোট্ট জাবিরা বলে, ‘আমি মার সাথে মার্কেটে এসেছি। আলিয়া কাট জামাটা দেখছি। এটা আমার খুব পছন্দের। বান্ধবীরাও এটা কিনেছে। এই জামাটাই আমি নিব।’

ব্যবসায়ীরা জানান, ১০ রমজানের পর থেকেই তাদের ব্যবসা জমে উঠছে। বর্তমানে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বিভিন্ন মার্কেটে এখন চলছে জমজমাট বেচাকেনা। শিশু, পুরুষ ও মহিলাদের পছন্দের কাপড়-চোপড়ের দোকানগুলোতে এখন বেশ ভিড়। সামনের মাসের শুরুতে জুতা ও প্রসাধনীর দোকানগুলোতে ভিড় আরও বাড়বে।

জননী বস্ত্রালয়ের মালিক চন্দন কুমার বলেন, মার্কেটগুলোতে টাঙ্গাইলের সুতি, জামদানি, জর্জেট এবং সিল্ক শাড়ির চাহিদা এবার অনেক বেশি।

জে আর ফ্যাশনের জিহাদ বলেন, আলিয়া কাট জামার এবার ব্যাপক চাহিদা।

এদিকে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে ফুটপাতগুলোতেও। বলতে গেলে ফুটপাতেই এখন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের ঈদের প্রধান বাজার। শ্রমিকশ্রেণির অনেকেই চাঁদ রাতে অথবা ১-২ দিন আগে কেনাকাটা করে। স্বল্প বেতনভোগী ও খেটে খাওয়া মানুষকেও আপাতত কেনাকাটায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।

বস্ত্র মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকিকিনি করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আর জিনিসপত্র‍ের দাম মানুষের হাতের লাগালের মধ্যেই আছে। তাই মানুষ ঈদবাজারে আগে থেকেই ঝুঁকে পড়েছে।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের উচ্ছেদ অভিযান

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা যায়।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাসড়কের পাশে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মহাসড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা দখল করে বসা দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানের পর মহাসড়কে নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচল দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন স্থানীয় লোকজন।

কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুম সরদার বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের বিভিন্ন অফিসারদের সমন্বয়ে পরিচালিত এ উচ্ছেদ অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চলাচলরত যাত্রী ও সচেতন মহল। আমাদের এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।’


banner close