কয়েক দিন আগে দেশে এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) পারমাণবিক জ্বালানি। আজ বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটমের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম বুঝে নেবে বাংলাদেশ। পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আয়োজিত এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভার্চুয়ালি যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, অনুষ্ঠানের সার্বিক দিক পর্যবেক্ষণে রূপপুরে এক দিন আগেই উপস্থিত হন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, পারমাণবিক জ্বালানি হস্তান্তর হলেও এখনই উৎপাদনে যাচ্ছে না রূপপুর। আরও অনেক আনুষঙ্গিক কাজ বাকি রয়েছে। এসব কাজ শেষে এর প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে কমপক্ষে দেড় বছর সময় লাগতে পারে। সে হিসাবে ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে দেশবাসী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পেতে পারে। তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে দেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) ২ শতাংশ অবদান রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হওয়ার পরই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। ২০২৫ সালের শুরুতে জনগণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাবে। দীর্ঘ সাত বছর ধরে নিরলসভাবে এ প্রকল্পের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত এক দিনও এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়নি। বিশ্বের কোথাও এই মানের কোনো প্রকল্পের এতটা অগ্রগতি হয়নি এত কম সময়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক চেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এটোমিক এনার্জি কমিশনের (আইএইএ) গভর্নিং বডির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুতে জনগণ রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ পাবে। উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জনগণ এ প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে। এ এলাকার মানুষ মূল স্রোতে চলে আসবে। রাশিয়াকে কীভাবে ঋণ পরিশোধ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। পাওয়ার প্লান্টের প্রতিটি ধাপেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক।
মন্ত্রী বলেন, সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হওয়ার পরই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে।
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, নিউক্লিয়ার জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় আসার পরই এটি পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে৷ বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার ক্লাবের ৩৩তম সদস্য হতে যাচ্ছে। মাত্র ছয় বছর সাত মাসে আমরা প্রকল্পের এই রূপ দিতে সক্ষম হয়েছি।
উল্লেখ্য, রাশিয়ান ঠিকাদার হিসেবে রোসাটম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরমাণু শক্তি কমিশন আরএনপিপি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি অ্যাটমস্টোএক্সপোর্ট প্রকল্পের অধীনে ১২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট নির্মাণ করছে। পারমাণবিক জ্বালানি রোসাটমের সহযোগী কোম্পানি টিভিইএল ফুয়েল তৈরি করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি ক্রয় করে।
গৌরবময় মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সর্বস্তরের মানুষ। বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব মাঠে স্থাপিত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সংবলিত স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর দখল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয় সীমান্তবর্তী এই জেলা। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী লড়াই এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় শত্রুবাহিনীকে পরাজিত করে ঠাকুরগাঁওয়ে উড়ে যায় বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা।
ঐতিহাসিক এই দিনটিকে সকালে স্মরণ করে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সংবলিত স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। আলোচনা সভা, র্যালি, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলাজুড়ে পালিত হচ্ছে মুক্ত দিবস।
জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘৩ ডিসেম্বর কেবল একটি তারিখ নয় এটি ঠাকুরগাঁওবাসীর আত্মমর্যাদা গৌরব এবং স্বাধীনতার স্বাক্ষর। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এ দিনের গুরুত্ব অপরিসীম।’
দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বর্ণিলভাবে উদযাপিত হচ্ছে ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস, আর সর্বস্তরের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ ও গর্বের আবহ।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় জেলার ১০টি থানা মিলে ওই মহকুমা ছিল। এ অঞ্চলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণান্তকর লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয় আসে ৩ ডিসেম্বর এই দিনটিতে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদাররা ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের নিরীহ মানুষের ওপর। এ সময় হানাদাররা গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এরপর ১৫ এপ্রিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকবাহিনীর দখলে চলে যায় ঠাকুরগাঁও। ঠাকুরগাঁওয়ের ইসলামনগর থেকে ছাত্রনেতা আহাম্মদ আলী, ইয়াকুব আলী, মাজারুল, দবিরুল ইসলাম, নুরুজ্জামান ও সিরাজউদ্দীনকে ধরে এনে হানাদার বাহিনী ঠাকুরগাঁও ক্যাম্পে আটক করে রাখে। পরে তাদের হত্যা করে টাঙ্গন নদীর পাড়ে ফেলে রাখা হয়। যেখানে বর্তমানে বধ্যভূমি গড়ে তোলা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও তখন ছিল ৬ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার এম খাদেমুল বাশার। এ সেক্টরে প্রায় ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল। ২৯ নভেম্বর এ মহকুমার পঞ্চগড় থানা প্রথম শক্রমুক্ত হয়। পঞ্চগড় হাত ছাড়া হওয়ার পর হানাদার বাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। এরপর তারা প্রবেশ করে ঠাকুরগাঁওয়ে।
২ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচুর গোলাগুলি শুরু হয়। ওই রাতেই শক্রবাহিনী ঠাকুরগাঁও থেকে পিছু হটে ২৫ মাইল নামক স্থানে অবস্থান নেয়। ৩ ডিসেম্বর ভোরে ঠাকুরগাঁও শহর শক্রমুক্ত হয়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফাড়াবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধার বাবা শেখ শহর আলী ও তার ভাই শেখ বহর আলীসহ ১৯ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে হত্যা করে। তাদের মরদেহ আব্দুর রশিদ ডিগ্রি কলেজের পাশের একটি কূপে ফেলে দেয়। হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা গণহত্যা চালায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জাঠিভাঙ্গা গ্রামে। সেখানে স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় আশ-পাশের অনেক গ্রামের প্রায় ৩ হাজার নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে হানাদার বাহিনী গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। পরে তাদের মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয়। ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক স্থানে গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসররা।
সীমান্ত অঞ্চলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বিজেপির মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পৃথক দুটি বিওপি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় তেঁতুলবাড়ীয়া বিওপি এলাকার তেঁতুলবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এবং রংমহল বিওপি এলাকার খাসমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পৃথক দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুটি সভাতেই স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানগুলো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি। তিনি তাঁর বক্তব্যে সীমান্ত সুরক্ষায় স্থানীয় জনগণের অপরিহার্য ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “সীমান্ত আইন মেনে চলা এবং যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবিকে জানানো প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।”তিনি আরও সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের আইনি জটিলতা, সামাজিক ক্ষতি এবং মাদক চোরাচালানের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করেন।
মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান কিভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে—তাও তিনি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। এসব অপরাধ থেকে দূরে থাকতে এবং অন্যদের সচেতন করতে তিনি স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানান।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, “এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিজিবি ও সাধারণ জনগণের পারস্পরিক সমন্বয় অপরিহার্য।”
সভা শেষে স্থানীয়রা বিজিবির এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং সীমান্ত সুরক্ষায় সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে মেহেরপুরের গাংনী সীমান্তের তেঁতুলবাড়ীয়া সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ, শিশুসহ ৩০ বাংলাদেশিকে ভোরে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
প্রতি বছর শীতের শুরুতে আমাদের দেশে নাম না জানা রং-বেরঙের অনেক অতিথি পাখি বেড়াতে আসে। নদী, বিল, জলাশয় ও পুকুরে এসে ভরে যায় এসব পাখির কাকলিতে। তেমনি চট্টগ্রামের রাউজানে প্রতি বছরই একটা নির্দিষ্ট সময়ে এই পাখিদের আগমন দেখা যায়। হালদা নদী, ঈসা খাঁ দিঘি, পরীর দিঘি, ইউসুফ খাঁ দিঘি, নরসরত বাদশা দিঘি, জল পাইন্ন্যা দিঘি, রায় মুকুট দিঘি, ভিক্ষু ভানুপুর দিঘিসহ বড় আকৃতির জলাশয়গুলোতে এসব পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে এসে জলখেলিতে আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন। আমাদের দেশে অতিথি পাখিরা অতটা পথ পাড়ি না দিলেও তারা অনেক দূর থেকেই আসে। বরফ শুভ্র হিমালয় এবং হিমালয়ের ওপাশ থেকেই বেশির ভাগ অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এসব পাখিরা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তিব্বতের লাদাখ থেকে সেন্ট্রাল এশিয়ান ইন্ডিয়ান ফ্লাইওয়ে দিয়ে আমাদের দেশে প্রবেশ করে।
এছাড়া ইউরোপ, দূরপ্রাচ্য সাইবেরিয়া থেকেও এসব পাখি আসে। এরা কিছুদিন থাকার পর আবার ফিরে যায় নিজ দেশে। আগত অতিথি পাখিগুলো অনেক সময় শিকারির কাছে ধরা পড়ে। এটা ঘোরতর অপরাধ। এসব দুষ্কর্মে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে এ দেশে আসা পাখিদের মধ্যে রয়েছে- সোনাজঙ্গ, খুরুলে, কুনচুষী, বাতারণ, শাবাজ, জলপিপি, ল্যাঞ্জা, হরিয়াল, দুর্গা, টুনটুনি, রাজশকুন, লালবন মোরগ, তিলে ময়না, রামঘুঘু, জঙ্গী বটের, ধূসর বটের, হলদে খঞ্চনা, কুলাউ ইত্যাদি। রাউজান উপজেলা নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন পরিষদ-সংলগ্ন ঈসা খাঁ দিঘিতে কয়েক হাজার অতিথি পাখির দেখা গেছে। কিচিরমিচির শব্দে এই এলাকায় আনন্দঘন পরিবেশ পরিলক্ষিত হয়।
রাউজানের প্রতিটি জলাশয়, দিঘি, খাল, বিলে অতিথি পাখির বিচরণ দেখা যায়। প্রতি বছর শীত মৌসুমে ঈসা খাঁ দিঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আগত অতিথি পাখিগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নোয়াজিষপুর এলাকার সকল মানুষ আন্তরিকভাবে দেখভাল করে। এই এলাকার মানুষ অতিথি পাখি দেখতে এই দিঘিতে আসে। পাখিদের সাথে ছবি ধারণ করেন।
অপরদিকে ঈসা খাঁ দিঘি নানা মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আশ্রিত পাখিদের জলখেলি দেখতে পাখিপ্রেমীরা দিঘিতে আসেন বলে স্থানীয়রা জানান।
আর জলাশয়ের জলে নেমে স্নান, আবার ডানা মেলে আকাশে উড়ে বেড়ানো- এসব দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন স্থানীয় মানুষ ও দূর-দূরান্তের পাখিপ্রেমীরা ভিড় করছেন দিঘির পাড়ে। কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির পাখির অস্তিত্ব রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশে ৭১৪ প্রজাতি। এর মধ্যে প্রায় ৩২০ প্রজাতির অতিথি পাখি প্রতি বছর শীতে বাংলাদেশে আগমন করে। রাউজানের জলাশয়গুলোতে দেখা মিলছে সোনাজঙ্গ, বাতারণ, খুরুলে, কুনচুষী, ল্যাঞ্জা, শাবাজ, জলপিপি, হরিয়াল, ধূসর বটের, কুলাউসহ নানা প্রজাতির পাখির। পাশাপাশি ধূসর ও গোলাপি রাজহাঁস, বালি হাঁস, সরালি, পাতিহাঁস, নীলশীর পিয়াং, কালোহাঁস, রাঙামুড়ি, চখাচখি, পানি মুরগি ও কমনচিলও এসেছে এবারও।
সম্প্রতি উপজেলার নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের বিপরীতে থাকা শিব মন্দিরের বিশাল পুকুরে দেখা গেছে, শত শত অতিথি পাখি কিচিরমিচির শব্দে পানিতে জলকেলিতে ব্যস্ত।
পুকুর পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, সকালে তাদের ঘুম ভাঙে পাখির কুঞ্জনে। শীতের শুরুতেই হাজার হাজার পাখি নেমেছে নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ইতিহাস খ্যাত ঈশা খাঁ দিঘিতে। এই দিঘির পাড়ে আছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল্লাহ আনছারী বলেন, ‘ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এসেছে লস্কর উজির দিঘিতে। ভিনদেশি অতিথি পাখিগুলো হয়ে ওঠেছে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। তবে এবার কদলপুরের মানছি পুকুরেও বেশ অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে।’
নোয়াপাড়ার জালোয়ার দিঘি এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রতিদিন বেলা ১১-১২টার মধ্যে এই দিঘিতে অতিথি পাখিসহ হাজার হাজার পাখি অবস্থান করে। পাখিদের ওড়াউড়ি স্থানীয়দের আনন্দ দেয়। অনেকে ঢিল মেরে পাখির নাচন দেখতে চায়। সন্ধ্যায় এসব পাখি চলে যায় অন্য অজানা স্থানে।’
রাউজান উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. জয়িতা বসু জানান, শীত প্রধান দেশ-হিমালয়, সাইবেরিয়া, রাশিয়া, ফিলিপাইন, ফিনল্যান্ডসহ বরফাচ্ছন্ন অঞ্চলে খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাব দেখা দিলে এসব পাখি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় এবং প্রায় ৬-৭ মাস অবস্থান করে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বিচারে শিকার চলতে থাকলে অতিথি পাখির আগমন ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রাউজানে প্রায় সময় জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে, পাখির বাসস্থান নষ্ট হচ্ছে, তাই প্রাকৃতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এসব পাখিকে রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কৃষকের চাহিদা কম থাকায় ডিলারদের ঘরে দীর্ঘদিন পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ইউরিয়া সার। এতে তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন।
কিন্তু ডাই এনোমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও প্রয়োজনীয় সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে করে ডিলার ও কৃষকদের মাঝে এক প্রকার হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা সহ নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, খানিকটা উঁচু এলাকা হওয়ায় গোয়ালন্দ উপজেলায় রবি মৌসুম শুরু হয়েছে চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে। যা চলবে আগামী ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। এ অঞ্চলের কৃষকরা সবজি, মাছের খামার, কলা বাগান সহ নানা ধরনের ফসলের আবাদে ডিএপি সার বেশি ব্যবহার করছেন।
কৃষকরা জানান, জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগের পর কার্যকারিতা থাকে সর্বোচ্চ ১০দিন। এ সারে থাকে শুধু নাইট্রোজেন। সেখানে ডিএপি সারের কার্যকারিতা থাকে অন্তত ৩ মাস। এ সারের মধ্যে ইউরিয়া ও টিএসপির সংমিশ্রণ থাকে। যে কারনে তারা এই সার ব্যবহার করতে অধিক আগ্রহী।
গোয়ালন্দ উপজেলায় সরকার নিযুক্ত বিসিআইসি ডিলাররা জানান, কৃষকের চাহিদা বিবেচনায় এনে তারা গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার ৫ জন বিসিআইসি ডিলারের জন্য ৫০০ মেট্রিক টন এবং বিএডিসি'র ৪ জন ডিলারের জন্য ২০০ মেট্রিক টন ডিএপি সারের চাহিদা জানিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিডি'র কাছে লিখিত আবেদন করেন।
বিষয়টি অক্টোবর মাসের জেলা সার ও বিজ মনিটরিং সভায় আলোচনা ও রেজুলেশন ভুক্ত করা হয়।
কিন্তু অক্টোবর মাসে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সার না দিয়ে কতৃপক্ষ তাদের ৯ ডিলারকে সমবন্টন করে সর্বমোট মাত্র ২১২.৭৫ মেট্রিক টন ডিএপি সার বরাদ্দ দেয়।
ঘাটতি মেটাতে আশপাশের কম চাহিদা সম্পন্ন উপজেলা হতে এনে বিক্রির অনুমতি চাইলেও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাতে সায় দেননি। তারপর থেকে এভাবেই ডিএপি'র সংকট চলছে।
এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে খুচরো পর্যায়ে কোন কোন বিক্রেতা অধিক মূল্যে ডিএপি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তার দায়ভারও বিসিআইসি ডিলারদের উপর চাপানোর চেষ্টা চলছে।
ডিলাররা জানান, প্রয়োজন না থাকলেও তাদের ৫ জন বিসিআইসি ডিলারকে প্রতি মাসে মোট ২৭৭ মেট্রিকটন করে ইউরিয়া সার দেয়া হচ্ছে। এর অন্তত ৩০ শতাংশ সার অবিক্রীত অবস্হায় প্রতিমাসে গুদামে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
সরেজমিন আলাপকালে গোয়ালন্দ বাজারের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স নুরুজ্জামান মিয়ার স্বত্বাধিকারী হোসনে জামান বলেন, নভেম্বর মাসে তার বরাদ্দ ১২৪০ বস্তা হতে এখনো পর্যন্ত অবিক্রীত পড়ে রয়েছে ৯৮৪ বস্তা।
মেসার্স হোসেন আলী বেপারির প্রতিনিধি (ছেলে) ওহিদুল ইসলাম বলেন, নভেম্বর মাসে তার ইউরিয়ার সরবরাহ ছিল ৬২ মেট্রিক টন। বিক্রি বাদে এখনো ৭০০ বস্তা বা ৩৫ টন গুদামে পড়ে রয়েছে।
মেসার্স সপ্তবর্ণা ট্রেডার্স এর প্রতিনিধি প্রনব কুমার দাস জানান, গত ৪ মাসে তাদের গুদামে ৭৬ বস্তা অবিক্রীত ইউরিয়া সার দলা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। খুচরো হিসেবে ১৩২৫ টাকা বস্তা দরে এতে তাদের লোকসান হয়েছে ১ লক্ষাধিক টাকা।
মেসার্স স্বপন কুমার সাহার স্বাত্তাধিকারী পলাশ কুমার সাহা বলেন, ইউরিয়া সারের সরকারী ডিলার মূল্য ১২৫০ টাকা বস্তা। সাব ডিলারদের কাছে আমাদের ১৩২৫ টাকা বস্তা বিক্রি করার কথা। কিন্তু গুদামে থেকে নষ্ট হওয়ার ভয়ে বিক্রি করছি ১২৮০ টাকা করে । অথচ ডিএপির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও দিতে পারছি না।
ডিলাররা আরও জানান, এভাবে প্রত্যেক ডিলারের ঘরেই ইউরিয়া সার অবিক্রিত অবস্হায় পড়ে আছে।
এর মধ্যে নতুন করে আবার ডিসেম্বরের জন্য ডিলার প্রতি ১১২০ বস্তা করে ৫৬০০ বস্তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায় তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। প্রতি মাসে বরাদ্দকৃত সার না তুললে তাদের লাইসেন্স বাতিলেরও ঝুঁকি রয়েছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রায়হানুল হায়দার বলেন, এ উপজেলায় মোট আবাদি জমি ও তাতে সার ব্যবহারের নির্দিষ্ট পরিমান হিসেব করে সরকার বিভিন্ন ধরনের সারের বরাদ্দ দিয়ে থাকে। গোয়ালন্দের অনেক কৃষক কৃষি বিভাগের অনুমোদিত পরিমানের চাইতে বেশি পরিমানে ডিএপি সার ব্যবহার করে। যে কারনে এখানে ডিএপি'র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কৃষকদের আরো সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) ড. মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, এ জেলায় ডিএপি সারের কোন ঘাটতি নেই। সারের চাহিদা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে নেয়া হয়। গোয়ালন্দে ডিএপি'র ঘাটতির বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিলারের গুদামে পড়ে থাকা ইউরিয়া সার চলমান রবি মৌসুমে শেষ হয়ে যাবে আশা করছি।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে দ্বিতীয় দিন কর্মবিরতি পালন করছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সরজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজি ও ফার্মেসির সামনে রোগীদের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে আগত রোগীরা। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে প্যাথলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা সকাল ৮ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত কর্মদিবস বন্ধ ঘোষণা করে ব্যানার টাঙ্গিয়ে অর্ধদিবস পালন করছে।
বেশ কয়েকজন রোগী আক্ষেপ করে বলেন, সকাল ৯টার পর হাসপাতালে এসেছি। টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখানোর পর পরীক্ষা দিলে প্যাথলজিতে গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারছি না। প্যাথলজিতে লোক নেই। প্যাথলজির লোক হাসপাতালের বাইরে ব্যানার টাঙ্গিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে। তারা আরো বলেন, মেডিসিন কর্নারে গিয়েও কোন লোক পাওয়া যায়নি। দরজা তালাবন্ধ।এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এমনকি সেবা না পেয়ে সকাল থেকে নিরলস বসে থাকতে হয় হাসপাতাল চত্বরে অনেক রোগীকে।
কর্মবিরতি পালন সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আমিরুল ইসলাম রনী ও ফার্মাসিস্ট প্রদীপ দাস বলেন, আমরা নিরলসভাবে উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছি। সেই তুলনায় আমাদের মূল্যায়ন করা হয় না। আমরা ১০ম গ্রেড পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য। এজন্য ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। ৩০ নভেম্বর থেকে নির্ধারিত সময় ধরে আমাদের কর্মবিরতি চলছে। ৩ নভেম্বর আমরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি।
মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা বলেন, আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা ৪ ডিসেম্বর থেকে শাট ডাউন কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সারা দেশের মতো কুমিল্লার মুরাদনগরেও তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেছেন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার সব স্কুলে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় শিক্ষকরা ঘোষণা দেন, তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত এই শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।
তিন দফা দাবিগুলো হলো - বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান সংশ্লিষ্ট জটিলতার সমাধান ও সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, মুরাদনগরের সভাপতি
জামাল হোসেন, উপজেলা মডেল সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন, দৌলতপুর পূর্ব সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- সহকারী শিক্ষক সৈকত জামান দোলন, আব্দুল জলিল, সামছুন্নাহার, শারমিন ফাতেমা, জান্নাতুল ফেরদৌস, মাসুমা আক্তার, ওমর ফারুক, রঞ্জন কুমার পোদ্দার।
উপস্থিত ছিলেন— প্রশিক্ষক মহিউদ্দিন, ফাইজুর মনির, মনির শিকদার, বাবুল আক্তার, মোশাররফ হোসেন, মজিবুর রহমান, কামরুল হাসান, রায়হান, আলাউদ্দীন, সুমন, শফিকুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন, আতিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, নির্মল, আলেকজান্ডার, তাসলিমা আক্তার, লুৎফা বেগম, রহিমা আক্তার, কানন, সৈয়দা নার্গিস, রাখি প্রমুখ।
শিক্ষকরা জানান, ২০৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সব শিক্ষকই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।
তাদের ভাষ্য, দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নে যখনই গড়িমসি দেখা যায়, তখনই আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হই। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত শাটডাউন চলবে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ৩ লাখ ২ হাজার টাকার ভারতীয় সিগারেট আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী দত্তগ্রাম এলাকা থেকে সিগারেটগুলো জব্দ করে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি)।
শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দত্তগ্রাম সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় মালিকবিহীনভাবে ফেলে রাখা অবস্থায় ভারতীয় এসব সিগারেট উদ্ধার করা হয়।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ৩ লাখ ২ হাজার টাকার ভারতীয় সিগারেট আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী দত্তগ্রাম এলাকা থেকে সিগারেটগুলো জব্দ করে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি)।
শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দত্তগ্রাম সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় মালিকবিহীনভাবে ফেলে রাখা অবস্থায় ভারতীয় এসব সিগারেট উদ্ধার করা হয়।
নীলফামারীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ছকত আলী (৬৭) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
৩ ডিসেম্বর (বুধবার) ভোর চারটায় নীলফামারী-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বনফুল মোড়ে এই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত ছকত আলী সদর উপজেলার পুর্ব কুখাপাড়া এলাকার মৃত. জসির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, শহরের একটি আবাসিক হোটেলের নাইট ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ছকত আলী (৬৭)। রাতের অন্ধকারে বনফুল এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.আর সাঈদ বলেন, দুর্ঘটনার পর চালক ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ট্রাকটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে রাতের আধারে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩০ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
৩ ডিসেম্বর (বুধবার) রাতে সিমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে হেফাজতে নেয় বিজিবি। পুশ-ইন হয়ে আসা ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
পরে তাদের পরিচয় যাচাই বাছাই শেষে গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইল জানিয়েছেন, ৩ ডিসেম্বর (বুধবার) রাতে তেঁতুলবাড়িয়া সিমান্ত এলাকার ১৪০/৬ এস পিলারের আনুমানিক ১০০ গজ ভেতরে ৩০ জন বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। সিমান্ত এলাকা থেকে রাতেই তাদের হেফাজতে নেয় বিজিবি।
আটককৃত ব্যক্তিরা দালালের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে বসবাস করছিল।
পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে কলকাতা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ।
পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ১০ নারী ও ৪ শিশু রয়েছে। বিজিবি ৩০ জনকে থানায় সৌপর্দ করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুশ-ইন হয়ে আসা ব্যক্তিদের স্ব-স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক, সামাজক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নওগাঁয় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী পালিত হয়েছে।
৩ ডিসেম্বর (বুধবার) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসানুর রহমান ভূঁইয়া, ডেপুটি সিভিল সার্জন মুনির আলী আকন্দ, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রায়হান আলম, আশার আলো অটিষ্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. অছিম উদ্দিন।
পরে প্রতিবন্ধী শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ ও হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।
ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে দেশটির পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের উপকূলীয় এলাকা থেকে বাংলাদেশি মাছ ধরার দুটি ট্রলার আটক করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এই দুটি ট্রলার থেকে মোট ২৮ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত বাংলাদেশি জেলেরা দুটি ট্রলারে টানা ১৫ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসছিলেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ৩০ নভেম্বর (রোববার) রাতে ‘এফ বি আল্লাহ মালিক’ নামের একটি বাংলাদেশি ট্রলার ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করার অভিযোগ উঠে। পরে ট্রলারের জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এই ঘটনায় নথিপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বাংলাদেশি ট্রলার ও জেলেদের আটক করা হয়।
১ ডিসেম্বর (সোমবার) সকালের দিকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা পুলিশের কাছে বাংলাদেশি ওই জেলেদের হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ বলছে, আটক বাংলাদেশি জেলেরা সুস্থ আছেন।
অন্যদিকে, দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার এচেরলা মণ্ডলের মোসাভানিপেটা উপকূলের কাছে বাংলাদেশি ১৩ জেলেকে আটক করেছে শ্রীকাকুলাম জেলার উপকূলরক্ষী বাহিনী। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বাংলাদেশের ভোলা জেলার এই ১৩ জেলে সমুদ্রে মাছ ধরতে বের হন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভুলবশত সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ট্রলারসহ ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়েন তারা।
৩০ নভেম্বর (রোববার) স্থানীয় জেলেরা মোসাভানিপেটা উপকূলের কাছে তাদের নৌকা নোঙর করার পর এই বাংলাদেশি জেলেদের দেখতে পান এবং তারা স্থানীয়দের কাছে সাহায্য চান। স্থানীয়রা প্রথমে অভুক্ত জেলেদের উদ্ধার করে খাবার, পানি, ওষুধ সরবরাহ করেন এবং পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে মেরিন পুলিশ সার্কেল ইন্সপেক্টর পি প্রসাদ রাও এবং স্থানীয় পুলিশের উপপরিদর্শক জি. লক্ষ্মণ রাও দ্রুত উপকূলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে তাদের ভাষা ও পোশাক দেখে বাংলাদেশি বলে শনাক্ত করা হয়। ভাষাগত সমস্যার কারণে যোগাযোগের অসুবিধা হলেও স্থানীয় কয়েকজন জেলের সহায়তায় পুলিশ তাদের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। মাঝ-সমুদ্রে গত প্রায় ১৫ দিন ধরে তারা ভাসছিলেন বলে জানিয়েছেন।
পরে উপকূলরক্ষী বাহিনী এই জেলেদের আটক করে পরবর্তী তদন্তের জন্য কলিঙ্গপত্তনম থানায় হস্তান্তর করে। ভারতীয় জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ওই বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে কলিঙ্গপত্তনম থানা পুলিশ জানিয়েছে।
আটক জেলেরা হলেন, সজীব (২১), জাহাঙ্গীর (৩৫), সাব্বির (২৫), খোকন (৩২), মাকসুদ (৪০), মালিক (৮০), মো. ফারুক (৫৫), মাকসুদ (৫০), নাসির (৬৫), হেলাল (২৮), ফারুক (৫০), আলম (৪৬) ও শামীম (২১)। তাদের সবাই বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার বাসিন্দা।
কলিঙ্গপত্তনম মেরিন সার্কেল ইন্সপেক্টর বি. প্রসাদ রাও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশি নাগরিক। ট্রলারে কারিগরি ত্রুটির কারণে তারা আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমা অতিক্রম করেছিলেন।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে খাবারের অভাবে শারীরিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েছেন ওই বাংলাদেশিরা। আমরা তাদের আটক করে প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করেছি এবং পরে মেরিন থানায় হস্তান্তর করেছি।
চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশন পাওয়া অফিসারদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব।’
বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির (বিএমএ) ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এবং ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সেনাবাহিনী প্রধান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পাশাপাশি কৃতী ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। শেষে অ্যাকাডেমির কমান্ড্যান্ট, সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার, জেসিও, এনসিও, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সর্বমোট ১৮৪ জন অফিসার ক্যাডেট ও ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ২০ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। কমিশনপ্রাপ্ত নবীন সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৮৩ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী। কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার আজমাইন ইশরাক ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা চৌকস ক্যাডেট হিসেবে অসামান্য গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। পরে প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ এবং প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের বাবা-মা ও অভিভাবকরা নবীন অফিসারদের র্যাঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড; জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া এবং বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির কমান্ড্যান্ট তাকে অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের বাবা-মা ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।