বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

মৌলভীবাজারে লোকালয় থেকে শঙ্খিনী ও অজগর সাপ উদ্ধার

মৌলভীবাজার ও কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
প্রকাশিত
মৌলভীবাজার ও কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:১২

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এক শিক্ষকের বাড়ির ঘর থেকে বিষধর একটি শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ইছবপুর এলাকা থেকে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন এসে সাপটি উদ্ধার করেন। ওই শিক্ষকের নাম কল্যাণ দেব। তিনি স্থানীয় ভাড়াউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

কল্যাণ দেব জানান, রাতে হঠাৎ তাঁর স্ত্রী ঘরের ভেতর সাপটি দেখতে পান। সাপটি দেখার পর বিষয়টি বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেবকে জানান। পরে তিনি ও তাঁর সহকারীরা এসে সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।

এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তর ভাড়াউড়া এলাকা থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। অজগরটি বন ছেড়ে লোকালয়ে চলে এলে এলাকার লোকজন সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দেন। পরে সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন গিয়ে অজগরটি উদ্ধার করেন।

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের সজল দেব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শঙ্খিনী সাপটি উদ্ধার করা হয়। শঙ্খিনী সাপ বিষধর ও নিশাচর। এরা ইঁদুরের গর্ত, ইটের স্তূপ ও উইয়ের ঢিবিতে থাকতে পছন্দ করে। শঙ্খিনী সাপটি উদ্ধার করে ও রাতে লোকালয় থেকে অপর একটি অজগর সাপ উদ্ধার করে রাখার পর বন বিভাগকে জানানো হলে তারা এসে নিয়ে যায়। পরে বন বিভাগের লোকজন সকালে সাপ দুটিকে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করেন।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পর রাতেই সাপ দুইটি উদ্ধার করি এবং আজ বুধবার সকালে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বনে অবমুক্ত করা হয়।


তেঁতুলিয়ায় পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ৩০ জুলাই, ২০২৫ ১২:৪৯
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় আল হাবিব (৬) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। সকলের ধারণা, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে হত্যা করে পরিত্যক্ত ভবনের ওই টয়লেটে ফেলে রেখে গেছে।

জানা গেছে, নিহত আল হাবিব উপজেলার একই ইউনিয়নের শিলাইকুঠি এলাকার বাসিন্দা ও আশরাফুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বিকেলে খেলতে বের হয়ে আর ফিরে বাড়িতে যায় নি আল হাবিব। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যার পর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়।
মরদেহটি ভাঙা টয়লেটের ছড়ানো ইটের ওপর পড়ে ছিল। গলায় নিজের পরনের শার্ট দিয়ে পেঁচিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল শিশুটি। মাথার পেছনেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, আল হাবিবের বাবা আশরাফুল ইসলাম পেশায় বিদ্যুৎ মিস্ত্রি ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। পরিবারটি চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন ব বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে পরিত্যক্ত ভবনে বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ও গ্রাম পুলিশ আমাদের খবর দেয়। তার পর আমরা থানা পুলিশকে খবর দেই।


এদিকে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে৷ ঘটনাটি তদন্ত চলমান৷


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুর্বৃত্তদের হামলায় ব্যবসায়ী খুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুর্বৃত্তদের হামলায় মোস্তফা কামাল নামে একজন ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন।মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে

উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল কালিকচ্ছ নন্দীপাড়া গ্রামের মৃত মমিন মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানান, মোস্তফা কামাল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাড়ির কাছেই সড়কে তাকে একা পেয়ে দুর্বৃত্তরা তার মাথায় ও ঘাড়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে একজন পথচারী তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কের পাশে পরে থাকতে দেখে বাড়িতে পরিবারের লোকদের খবর দেন। সেখান থেকে তাকে গুরুতর অবস্থায় উ'দ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে রাতেই সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন এক ব্যবসায়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


নওগাঁয় আলুর ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে কৃষকদের মানববন্ধন 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ

ধান-গমের মতো আলুর সরকার কতৃক মূল্য নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নওগাঁর আলু চাষিরা।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের সামনে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার কৃষক পরিবার এবং আলু ব্যাবসায়ী পারিবারের ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষকরা বলেন, বাজারে আলুর দাম উৎপাদন খরচের অর্ধেকেরও নিচে। প্রতি কেজি আলুতে ১৭-১৮ টাকা লোকসান হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে ঋণ করে আলু চাষ করায় বাজারে দাম না পয়ে সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন আলু চাষিরা।

নওগাঁ সদর উপজেলার চকবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, সার ফসফেটের দাম দাম অনেক বেশি সেই হিসাবে শুরু থেকেই এবছর আলুর দাম নাই। খরচের টাকায় উঠছে না। ধান চালের সরকারি মূল্য নির্ধারণ করতে পারলে আলুর কেনো হবে না? সরকারের কাছে দাবি জানাই দ্রুত আলুর মূল্য যেনো নির্ধারণ করে দেয়।

সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের আরেক কৃষক বুলবুল ইসলাম বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি চালের দামও বেশি। কিন্তু আলুর কোন দাম নাই। হিমাগারেও খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে। এক মণ আলু চাষ করতেই ১২০০-১৩০০ টাকা করে খরচ হয়েছে। বাজারে এখন আলু বিক্রিই করতে হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা মণ। তাহলে আমরা যাবো কোথায়? সরকার যদি আমাদের জন্য কোন উদ্যোগ না নেয় তাহলে আমরা শেষ হয়ে যাবো।

শহরের বালুডাঙ্গা এলাকার আলু চাষি সাইফুল আলম বলেন, গরু বিক্রি করে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে লাভের আশায় আলু চাষ করেছিলাম। কিন্তু বাজারে এখন আলু বিক্রি হচ্ছে না। হিমাগারে প্রতি কেজি আলুতে আগের থেকে ৪ টাকা করে বেশি দিতে হচ্ছে। এক কেজি আলু উৎপাদনসহ হিমাগারে রাখতে ২৫-২৬ টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে পাইকারি দরে ১১-১২ টাকার বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না। ঋণের টাকা পরিশোধ করা তো দূরের কথা খরচের টাকা উঠানো নিয়েই এখন চিন্তার মধ্যে আছি।

এ বিষয়ে নওগাঁ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় আলুর উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। বছরের এই সময়টাতে অন্যান্য সবজি বাজারে বেশি থাকায় মানুষ আলু কম কিনে। সরকারের পক্ষ থেকে ওএমএস অথবা টিসিবির মাধ্যমে আলু বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।


গাংনীতে  চাঁদাবাজির অভিযোগে জনতার হাতে আটক একজন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে পল্লী চিকিৎসকের কাছে দ্বিতীয় দফায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে আব্দুর রউফ (৫০) নামের এক কথিত সাংবাদিককে গণধোলাইয় শেষে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।

কথবত ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গরছে।

আটকের পর আব্দুর রউফ নিজেকে মেহেরপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার পরিচয় দেন।

গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী গাংনী পৌরসভার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মাবুদ জানান, কথিত ওই সাংবাদিক আমার চেম্বারে গতকাল এসে সিভিল সার্জন এবং জেলা প্রশাসনের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিশ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যাায় সে আবারো চেম্বারে আসে। এবার সে বলে, আপনাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ সিভিল সার্জন এবং ডিসি অফিসে গেছে। সিভিল সার্জনকে ঠেকাতে হলে বিশ হাজার টাকাতে হবেনা। আবারও টাকা দিতে হবে। এক পর্যায়ে সে আরও ভয়ভীতি দেখায়। এঘটনার পর আমরা গাংনীর স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে আব্দুর রউফ নামে কোনো সাংবাদিক আছে কিনা। তারা জানান, এই নামে কোনো সাংবাদিক নেই। এরপর আমরা তার কাছ থেকে পরিচয় পত্র দেখতে চাই। এক পর্যায়ে সে মেহেরপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারের পরিচয় পত্র দেখান। পরে স্থানীয় জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে গাংনী সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেন।

এঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গাংনী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে জানা গেছে, কথিত ওই সাংবাদিক আব্দুর রউফের বাড়ি ভারতে। সে বৈবাহিক সূত্রে মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়াতে বসবাস করে আসছেন। সে প্রথমদিকে নিজেকে চিকিৎসক দাবি করতেন। নিজের নামের সাথে ডাক্তার যুক্ত করে ডাক্তার আব্দুর রউফ লিখতেন। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় ও ভূয়া ডাক্তারখানা বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে সে নিজেকে সাংবাদিক বনে যান। ২০২৩ সালে মেহেরপুর শহরের এক সার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে। পরে সেটি ফেসবুকে ভায়রাল হলে ওই সার ব্যবসায়ীর পা ধরে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়। গত বছরে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়াতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে উতরতম মাধ্যম খান। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, আব্দুর রউফ এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দাবী করে আসছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


বেনাপোল স্থলবন্দরের চাঁদা উত্তোলনকারী ৪০ জন আনসার সদস্যদেরকে প্রত্যাহার 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি

বেনাপোল স্থলবন্দরে ট্রাক চালকদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলনকারী ৪০ জন আনসার সদস্যদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রথম ধাপে ৪০ জন আনসার সদস্যকে অনত্র বদলি করা হয়।

বেনাপোল বন্দরের সদ্য যোগদানকারী আনসার কমান্ডার শ্রী অসিত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আনসার ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে মোট ১৬৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। প্রথম ধাপে ৪০ জন বদলি হলেও পরবর্তীতে অনান্যদেরও বদলি করা হবে।

গত কয়েকদিন আগে বন্দরে ট্রাক প্রবেশের বিভিন্ন গেট থেকে বকশিসের নামে ট্রাক প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা আদায় ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসেন উর্ধতন কর্মকর্তারা। ট্রাক থেকে আনসার কর্তৃক চাঁদা নেয়ার সত্যতা পাওয়ার পর প্রথম ধাপে ৪০ আনসার সদস্যকে অন্যাত্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আনসার সদস্যরা জানান, আমরা পরিস্থিতির শিকার। এই টাকা আমরা একা নেয় না। এর একটি অংশ আমাদের উপরের সারদের কাছে চলে যায়।

জানা যায়, বন্দরে আমদানি, রফতানি পণ্যের নিরাপত্তা ও পণ্যবাহী ট্রাকের গেটপাশ পরীক্ষা, নিরীক্ষায় রয়েছে ১৬৩ জন আনসার ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থ্যা পিমার ১২৯ জন সদস্য দায়িত্বে রয়েছেন। বন্দরে ট্রাক ঢোকা ও বেরোনোর সময় বকশিসের নাম করে ট্রাক প্রতি তারা ২০ থেকে ৪০ টাকা চাদা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই দুই নিরাপত্তা সংস্থার নামে।

অবশেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে কর্তৃপক্ষ চাঁদার বিষয়টির সত্যতা পেলে বেনাপোল বন্দর থেকে আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেয়। যেকোনো সময় নিরাপত্তা সংস্থা পিমার সদস্যদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ হতে পারে বলে জানা গেছে।


সুনামগঞ্জে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান নির্ধারণের লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা তথ্য অফিসের সমন্বয়ে এবং ইউনিসেফের সহায়তায় ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন এনডিসি ৩.০ বা জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান নির্ধারণের লক্ষ্যে কিশোর কিশোরী ও তরুণদের নিয়ে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে মঙ্গলবার দিন ব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল এর সভাপতিত্বে এবং ইউনিসেফের সোসাল এন্ড বিহেভিয়র চেঞ্জ অফিসার উম্মে হালিমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসের উপ পরিচালক শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ। বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের সিলেট অফিসের চীফ অব ফিল্ড অফিসার কাজী দিল আফরোজা ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোহাইমিনুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপ, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। তাই পরিবেশ বিপর্যয় এড়াতে আমাদের জীবন যাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে। বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ এমনভাবে ভোগ করতে হবে যেন সেগুলো দিয়ে কয়েক প্রজন্ম চলে যায়। বৈশ্বিক বাণিজ্য হচ্ছে পরিবেশগত পরিবর্তনের অন্যতম মাধ্যম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ভ্যালেনটিনা স্পিনেডি, কমিউনিকেশন অফিসার নুসরাত শবনম তুর্ণা, ইউরিপোর্ট অফিসার সিহাব উদ্দিন সানি এবং তরুণ জলবায়ুকর্মী ফাজানা ফারুক ঝুমু।


ভৈরবে দিনকালের সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টা। থানায় অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজীবুল হাসান, ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জে ভৈরবে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধিকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক সোহেলুর রহমানকে হত্যার চেষ্টায় কুখ্যাত মাদক কারবারি ও ছিনতাইকারী শাহিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।

সাংবাদিক সোহেলুর রহমান ভৈরব প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় ভৈরব প্রেসক্লাব, টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, বিএমইউজে ভৈরব উপজেলা শাখাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত শাহিনসহ তার মূল হোতাদের গ্রেফতারের দাবী জানান।

লিখিত অভিযোগে সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুলাই সোমবার সাংবাদিক সোহেলুর রহমান তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুখ্যাত ও একাধিক মাদক মামলার আসামি শাহিনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে পোষ্ট দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাহিন তার দলবল নিয়ে গভীর রাতে ভৈরবপুর মধ্যপাড়ায় অবস্থিত সোহেলুর রহমানের বাস ভবনে গিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় । এঘটনায় রাতেই বিষয়টি ফোনে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে অবগত করেন। পরবর্তীতে আজ সকালে সোহেলুর রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে ভৈরব বাজারে যাওয়ার পথে মনামরা ব্রীজ সংলগ্ন জান্নাত ফার্মেসী থেকে ঔষধ কিনতে গেলে অভিযুক্ত শাহিন ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে । এসময় আশপাশের লোকজন এসে শাহিনকে দুরে সরিয়ে দিয়ে সাংবাদিককে রক্ষা করে ।

এবিষয়ে সাংবাদিক সোহেলুর রহমান জানান, মাদক ও ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে আমি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি। শাহিন মাদক কারবারি ও ছিনতাইকারী। গত কয়েক দিন আগে জেল থেকে জামিনে এসে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলবল নিয়ে গভীর রাতে আমার বাড়িতে এসে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় । আজ সকালে আবার ভৈরব বাজারে যাওয়ার পথে জান্নাত ফার্মেসীর সামনে ধারালো অস্ত্র আমাকে হত্যার চেষ্টা করে । এসময় লোকজন তাকে বাধাঁ দিলে সে পালিয়ে যায়। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছেন বলে তিনি জানান।


জুলাই সনদ ইহবে পরবর্তী নির্বাচনের ভিত্তি :নাহিদ ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ৯০ এর গণ অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো জনগণ ও ছাত্রদের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া এসেছে। আমরা বলেছি, এতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য থাকতে হবে। জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে এবং এর আইনি ভিত্তি থাকতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচিত যেই সরকারে আসুক, তাকে এই সংস্কার বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা থাকবে। আমরা আশা করি, ৫ আগষ্টের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে।

মঙ্গলবার (২৯ ‍জুলাই) বিকালে জেলা শহরের রাজবাড়ী সড়কে আয়োজিত পদযাত্রা শেষে গাজীপুর মহানগর ও জেলা এনসিপি আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সেনাবাহিনীকে রাজমিস্ত্রীতে পরিণত করেছিলেন। পুলিশকে রাজনৈতিক লাঠিয়ালে পরিণত করেছিলেন। এখন পুলিশ সংস্কার হচ্ছে, যাতে কেউ পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে। সেনাবাহিনীকে আধুনিক করতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, আমরা এনসিপি সুযোগ পেলে সেনাবাহিনীকে সমৃদ্ধ করব।

এনসিপির সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আর বক্তব্য দেন, অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, এম এম সোহাইব, এম এম মুহিত, নাহিদা সারওয়ার নিভা প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে ডা. তাসনিম জারা, শামান্তা শারমিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের লড়াই শেষ হয় নাই। আমাদের একটি নতুন বাংলাদেশ হিসেবে লড়াই চলমান আছে। আজকেও দেখেছেন গাজীপুরের সন্ত্রাসীরা টহল দিচ্ছে মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। ভয় দেখিয়ে নাগরিক পার্টি জাতীয় গণঅভুত্থানের শক্তিকে তারা রুখে দেবে।

তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জেও আমাদের বাঁধা দিয়ে রাখা যায় নাই। আমরা গোপালগঞ্জের মাটিতে গিয়েছি। আমরা গাজীপুরের মাটিতেও এসেছি। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় আমরা গিয়েছি, যাবো। আমরা ঘোষণা করেছি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইঞ্চি মাটি থেকে আমরা মুজিববাদ বিতাড়িত করব। মুজিববাদদের আমরা বিচারের আওতায় আনব।

জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণঅভুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের সঙ্গে থাকবেন তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

এসময় স্থানীয় এনসিপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শ্রীপুরের মাওনায় আয়োজিত পদযাত্রায় নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ঘোষণা করেছি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইঞ্চি মাটি থেকে আমরা মুজিববাদ বিতাড়িত করব। মুজিববাদদের আমরা বিচারের আওতায় আনব।


নরসিংদীতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে তরুণীর অনশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শিল্পী আক্তার নামে এক তরুণী তার স্বামীর বাড়িতে অনশন করছে। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের সাতপাখিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের বাড়িতে। অনশনরত শিল্পী আক্তার নরসিংদীর পলাশ উপজেলার দড়িহাওলা গ্রামের জালাল মিয়ার মেয়ে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে সাতপাখিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে তরুণী অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে শিল্পী আক্তারের স্বামী ও তার পরিবারের লোকেরা ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। অনশনরত শিল্পী আক্তারের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান আজ থেকে ৬ বছর পূর্বে লেবালন প্রবাসী মো: ইমরান মোল্লার সাথে মোবাইল ফোনে তার পরিচয় ঘটে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় ২ মাস পূর্বে ইমরান মোল্লা প্রেমের টানে লেবালন থেকে নিজ বাড়িতে চলে আসে। অতপর গত ১২.০৬.২৫ইং তারিখে তাদের পরিবারের সম্মতি না নিয়ে ৩ লাখ টাকা কাবিনমুলে ইসলামী শরিয়ত মতে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রী নরসিংদী শহরের তরোয়া মহল্লায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। সুখেই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু শিল্পী আক্তারের পরিবার গরিব বিধায় তার শ্বশুর-শাশুরী বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি।
প্রায় দেড় মাস ঘর সংসার করার পর শিল্পী আক্তারের স্বামী ইমরান মোল্লা পরিবারের চাপ সহ্য করতে না পেরে সে তার স্ত্রী শিল্পী আক্তারকে ফেলে রেখে পিত্রালয়ে চলে যায়। এদিকে অসহায় শিল্পী আক্তার কোন উপায়ন্তর না দেখে তার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর দাবি নিয়ে অনশন করতে থাকে। পরে শিল্পী আক্তারের স্বামী ইমরান মোল্লা ও তার পরিবারের লোকেরা এসে শিল্পী আক্তারকে মারধর করতে থাকে। এ সময় শিল্পী আক্তার ত্রিপল ৯৯৯ এ খবর দিলে শিবপুর থানা পুলিশ অনশনরত শিল্পী আক্তারকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশের সহযোগিতায় তার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা ইমরান মোল্লাকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে সবকুল হারিয়ে শিল্পী আক্তার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। না পারছে পিত্রালয়ে থাকতে, না পাচ্ছে স্বামীর স্বীকৃতি। সে স্থানীয় প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফজাল হোসাইন জানান, এব্যাপারে কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


মাদককে লাল কার্ড দেখিয়ে দেশপ্রেমের শপথ ২০০ শিক্ষার্থী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা দেবিদ্বারে গাছের চারা হাতে নিয়ে মাদককে লাল কার্ড দেখিয়ে দেশপ্রেমের শপথ নিয়েছে ২০০ শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) উপজেলার বরকামতা নলিণী শিক্ষা নিকেতন বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে সংগঠনের সদস্যদের জমানো টিফিনের টাকায় গাছের চারা কিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেলের সভাপতিত্বে গাছের চারা বিতরণে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জ্যোৎস্না রানী কর, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ ভূইয়া, দেবিদ্বার শাখার সভাপতি ইয়াছিন মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক রাগীব মাহতাব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বিন জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ সরকার, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাহেদ ইসলাম, সদস্য ফারহান, শাকিল, সোলাইমান, ফাহাদ প্রমুখ।

লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল জানান, সংগঠনটির সব সদস্য শিক্ষার্থী। তারা এক দিনের টিফিনের জমানো টাকায় গাছের চারা কিনে সারাদেশে বিতরণ করছেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচি চলমান। তাঁরা এবছর বিনামূল্যে ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ করবেন। তিনি শিক্ষার্থীদের গাছের চারা হাতে নিয়ে মাদক, বাল্য বিবাহকে না ও দেশপ্রেমে জাগ্রত হওয়ার শপথ পাঠ করান।


সীমান্ত নদনদী গুলোতে ক্ষতিকর গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ, মাছ ও জীব বৈচিত্র্য হুমকিতে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সেন রায়হান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত নদ নদী গুলোতে ক্ষতিকর গ্যাস ট্যাবলেট বা রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে এক শ্রেণীর অসাধু জেলে এবং নদী পাড়ের মানুষ। এতে মাছ সহ জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে। এসব মাছ বিক্রী হচ্ছে হাট বাজারে। বিষাক্ত জীবানু আক্রান্ত এসব মাছের ক্ষতিকর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের দেহে। পঞ্চগড় জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে প্রায় ৪৫ টি নদ নদী। এসব নদ নদীতে রয়েছে নানা প্রজাতির দেশী মাছ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, নদীতে পানি না থাকা এবং নদ নদীতে বোরো ধানের আবাদের কারণে অনেক নদীতে আগের মতো আর মাছ পাওয়া যায়না। অনেক প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্তের পথে। এসব নদ নদীর মাছ মুলত: এ অঞ্চলের মানুষের আমিষের চাহিদা মিটাতে বিরাট ভূমিকা রাখে। মাছ ধরেই জেলায় প্রায় ৫ সহ¯্রাধিক জেলে জীবীকা নির্বাহ করে থাকেন। এসব নদী থেকে পয়া, গচি, মাগুর, শিং, শোল, বৈরালী, চিতল, চিলি,পুঁুটি,শাটি সহ আরও বিভিন্ন প্রকার মাছ পাওয়া যায়। অনন্য স্বাদের এসব মাছ হাট বাজারে উচ্চ মুল্যে বিক্রী হয়। করোতোয়া, মহানন্দা, ডাহুক, চাওয়াই, তালমা,পাথরাজ হচ্ছে এই জেলার সবচেয়ে বড় নদী। এসব নদীতে সারা বছর দেশী মাছ পাওয়া যায়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে এসব নদীতে রাতের অন্ধকারে গ্যাস ট্যাবলেট বা বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করা হয়। জেলে এবং স্থানীয় অসাধুরা এভাবে মাছ শিকার করছেন। অনেকে বলছেন জেলেরা রাতের বেলা প্রান্তিক এলাকায় গিয়ে নদীর একটি বিশেষ স্থানের পানিতে গ্যাস ট্যাবলেট অথবা বিষ মিশিয়ে দেয়। ১ থেকে দু ঘন্টা পর মাছেরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক মাছ মারাও যায়। মাছেরা অসুস্থ হয়ে পানিতে ভেসে বেড়ায়। এসময় জাল দিয়ে অসুস্থ এবং মৃত মাছগুলোকে তুলে আনেন তারা। এই বিষ বা গ্যাস ট্যাবলেট কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নদ নদীর পানিতে মিশে যায়। নদীর মৎস্য অভয়াশশ্রমগুলোর আশে পাশেই বেশি বিষ প্রয়োগ করা হয়। স্থানীয় সচেতন মহল এবং পরিবেশ কর্মীরা বলছেন বিষ প্রয়োগে নদ নদীতে মাছ শিকারের ফলে এর নানা ধরনের খারাপ প্রভাব পড়ছে। নদ নদীর মাছ সহ জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। এসব মাছ জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রী করে স্থানীয় জেলে এবং মাছ ব্যাবসায়িরা। বিষ আক্রান্ত এসব মাছ খেলে স্বাস্থ্যগত সমস্যার আশংকাও করছেন তারা। বোদা উপজেলার ফুলতলা গ্রামের শামসুল ইসলাম জানান, সরকারী ভাবে করতোয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে মাছের অভয আশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে। মৎস্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে এসব আশ্রমে দেশী মাছ সংরক্ষন করার কথা থাকলেও সমিতির অন্তর্ভুক্ত জেলেরা যোগসাজশে রাতের আঁধারে আশ্রমের মা মাছ শিকার করে পাশ্ববর্তী জেলায় বিক্রি করছে। প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা কারিগরের নির্বাহী পরিচালক সরকার হায়দার জানান, পঞ্চগড়ের ৫০ নদ নদী থেকে কয়েকশটন মাছ উৎপাদিত হয়। যা এই জেরার আমিষের চাহিদার একটি বড় অংশ পুরন করে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে অবৈধ পন্থায় মাছ শিকারের কারণে ধীরে ধীরে দেশী মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জেলে এবং নদীপাড়ে বসবাসরত মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এটা ভয়ংকর অপরাধ। এই মাছ খেয়ে মানুষের ক্যানসার সহ নানা রকম ভয়ংকর রোগ হতে পারে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পঞ্চগড় শাখার সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের বলেন নদ নদীতে বোরো আবাদে সার কিটনাশক প্রয়োগ করা হয়। অন্যদিকে রাতের অন্ধকারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করা হচ্ছে। এটা অপরাধ। এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন কে অবহিত করা হয়েছে। তারপরও অবৈধ ভাবে মাছ শিকার থামেনি। এ বিষয়ে জেলে এবং নদী পাড়ের মানুষদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কে এম হালিম বলেন বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জেনেছি। উপজেলা মৎস্য অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। জেলেদের কাছে বার্তা পৌছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


নারায়ণগঞ্জে আগুনে পুড়লো ২০টি টিনশেড ঘর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এম এস ডালিম, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় টিনশেড ঘরে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

সোমবার রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। আগুনে অন্তত ২০টি টিনশেড ঘর পুড়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসদাইর এলাকার তারা মিয়ার টিনশেড ঘরের ভাড়াটিয়াদের বাসায় আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবরপেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় একঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে আগুনে বাড়ির মালামাল পুড়ে গেছে। আগুনে অন্তত ২০টি টিনশেড ঘর পুড়ে গেছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহজাহান বলেন, মন্ডলপাড়া ও হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত্র হয়ে। তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।


রাঙামাটির আইকন ঝুলন্ত সেতুতে পানি ছুই ছুই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে উজানের পানিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে, হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির আইকন খ্যাত ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনে পানি ছুই ছুই। মঙ্গলবার দুপুর ২ টা দিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সেতুর পাটাতনের অনেক স্থানে ২-৩ ইঞ্চি পানি উঠতে শুরু করেছে।
রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে আসা পর্যটক নাসির বলেন, বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটির প্রকৃতি অনেক সুন্দর তাই ঘুরতে আসলাম কিন্তু এসে কিছুটা মন খারাপ হয়ে গেলো ব্রীজের উপর পানি আসতে শুরু করেছে।

রাঙামাটি পর্যটন বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধি পেলে প্রতি বছর ঝুলন্ত সেতু পানিতে ডুবে যায়। আজকে সকাল থেকে সেতুর পাটাতনে পানি ছুই ছুই অবস্থা। যেকোন সময় সেতু পানিতে তলিয়ে যাবে। তিনি বলেন, সেতু ডুবে গেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায় ,পর্যটকরা আর ঝুলন্ত সেতুতে বেড়াতে আসেনা।
এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, এই বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টির কারনে উজানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লেকের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারনে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনে পানি প্রায় ছুই ছুই।মনে হচ্ছে শীঘ্রই পাটাতন ডুবে যাবে। তিনি বলেন,যদি সেতু ডুবে যায় নিরাপত্তার স্বার্থে কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দর্শনার্থীদের চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখবো।

কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য মতে, এ সময় হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৯ এমএসএল। হ্রদে পানি রয়েছে ১০৫.২৪ এমএসএল। ৫টি ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২২ মেগাওয়াট।

উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল হলেও ১০৫ এমএসএল হলেই প্রতি বছর ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগের কথা বললেও কার্যকর কোনও ভূমিকা চোখে পড়েনি।


banner close