বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

স্ত্রী হত্যার দায়ে বরখাস্ত পুলিশ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ছবি: দৈনিক বাংলা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:৩১

সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে মনিরুল ইসলাম নামে বরখাস্ত হওয়া এক পুলিশ কনষ্টেবল কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ের আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর আদালতের বিচারক এরফান উল্লাহ এই রায় প্রদান করেন।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মশিউর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আসামি এর আগে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। পরে তিনি পুলিশ থেকে বরখাস্ত হন। আজ রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’

দন্ডপ্রাপ্ত মনিরুল ইসলামের বাড়ি (২৩) জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার চর কালীগঞ্জ গ্রামে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি মনিরুল ইসলাম ২০১৮ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর তার পার্শ্ববর্তী সুরভী খাতুনের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মনিরুল ইসলাম তার স্ত্রী সুরভী খাতুনকে মারপিট করতো। এর মধ্যে সে অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে।

২০২০ সালের ২৭ আগষ্ট সুরভী খাতুন তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতে মনিরুল তার স্ত্রীকে মুঠোফোনে কল করে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। পরে মনিরুল তার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায়।

পরেরদিন ২৮ আগষ্ট দুপুরে প্রতিবেশি নালু মন্ডলের ডোবার পানিতে সুরভী খাতুনের মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা তার পরিবারকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

এঘটনায় নিহত সুরভীর বাবা শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মনিরুল ইসলাম, তার ভাই মোন্নাফ হোসেন, মা মোনেকা বেগমসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ মনিরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলা চলাকালে ২৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন আদালত। স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আজ পুলিশ কনস্টেবল মুনিরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন বিচারক।

বিষয়:

সিরাজগঞ্জে মাদক কারবারির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আব্দুস সালাম নামের এক মাদক কারবারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোঃ নাজির আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন। হেরোইন রাখার দায়ে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. আব্দুর রহমান ও স্টোনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১২ সদস্যরা জানতে পারেন রাজশাহী থেকে একটি ট্রাক মাদকদ্রব্য বহন করে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাড়াশের মহিষলুটি বাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশী চালায় র‌্যাব সদস্যরা। এমন সময়ে একটি ট্রাককে গতিরোধ করে তল্লাশি চালানো হয়। ট্রাকে থাকা আব্দুস সালামের দেহ তল্লাশী করে ২০৬ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। এ ঘটনায় র‌্যাবের ডিএডি মোঃ জহির উদ্দিন বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালে ৬জন সাক্ষী গ্রহণ করে আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ আদালত এই রায় দেন।

বিষয়:

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর মঞ্জুরুল ইমামের আদালত তার জামিন বাতিল করে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এদিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামি মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন না মঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।


জামিন মেলেনি ঘুষের ১০ লাখ টাকাসহ ধরা সেই কর্মকর্তার

আপডেটেড ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘুষের ১০ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে ধরা রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়ার জামিন স্থগিতাদেশের মেয়াদ তিন মাসের জন্য মূলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দুর্নীতি মামলায় দ্রুত জামিন দিলে সমাজ ভালোভাবে নেয় না।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা-আপনারা জিরো টলারেন্সের কথা বলি। আবার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি কারাগারে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামিন আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে আসেন। কারাগারে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে জামিন পেলে মানুষ সেটিকে ভালোভাবে নেয় না।’ পরে আদালত তিন মাসের জন্য মূলতবি করে দেন।

আদালতে মহিবুল ইসলামের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ রাজা আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল রাজশাহী মুখ্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে (সিএমএম) তাকে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৪ এপ্রিল দুপুরে রাজশাহী কর ভবনে অভিযান চালিয়ে ঘুষের ১০ লাখ টাকাসহ রাজশাহী কর অঞ্চলের (সার্কেল-১৩) উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি অভিযানিক দল। এ ঘটনায় দুদক রাজশাহী কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ডিডি) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬১ ধারাসহ দুর্নীতিবিরোধী আইনে মহিবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়াকে এরইমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার ও হাসপাতালের মালিক ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার পাঁচ বছরের ব্যাংক লেনদেনের বিষয়ে কর কর্মকর্তা মুহিবুল ইসলাম ভূঁইয়া আপত্তি তোলেন। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে গেলে তিনি ডা. ফাতেমার কাছে ৬০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে তা ৫০ লাখ টাকায় রফা হয়। বিষয়টি জানিয়ে ফাতেমা সিদ্দিকা গত ২৯ মার্চ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক ফাঁদ পেতে তাকে হাতে নাতে ধরে।


ফখরুলের মুক্তিসহ মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তি দাবি জানিয়েছে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা। এ ছাড়া সারা দেশের বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, গণফোরামের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আইনজীবী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আব্দুল জব্বার ভুইয়া ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

লিখিত বক্তব্যে কায়সার কামাল বলেন, গত ২৮ অক্টোবর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের যৌথ হামলায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড করার ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের, বিএনপি মহাসচিবসহ অন্য নেতাদের গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নেয়া, বিএনপি কার্যালয়কে তালাবদ্ধ করে রাখা- এ সবই জনপ্রিয় দল বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার নীল নকশার অংশ। যাতে বিএনপি এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে চলমান ‘এক দফার’ আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ‘তথাকথিত রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বসহ সারা দেশের বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আটক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি ও দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কথিত ভাঙচুরের ঘটনাটিও এই নাটকের অংশ। যেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিচার বিভাগ থেকে কোনো ন্যায় বিচার না পান। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তা না হলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কথিত ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের দায়িত্বশীল পাঁচজন সিনিয়র আইনজীবী সদস্যকে কেন আসামি করা হবে? আমরা এই নীল নকশা প্রণয়নকারীদের প্রতি ধিক্কার জানাই।

২৮ শে অক্টোবরের ঘটনা নিয়ে ডিএমপির অধিভুক্ত বিভিন্ন থানায় ২৮টি মামলা হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। পুলিশ কনস্টেবল মো. আমিরুল হক নিহত হওয়ার ঘটনায় পল্টন থানায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে সহস্রাধিক অজ্ঞাত বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যা মামলা দায়ের করেছে। অথচ যুবদল নেতা শামিম মোল্লা এবং সিনিয়র সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো মামলা হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেন বিএনপির এ আইনজীবীরা।


হরতালের সমর্থনে বিএনপির আইনজীবীদের মিছিল

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সুপ্রিম কোর্টের সরকারবিরোধী আইনজীবীরা। রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে তারা এ বিক্ষোভ মিছিল করে।

মিছিলটি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে হাইকোর্ট মাজার গেট দিয়ে বের হয়ে কদম ফোয়ারা, বার কাউন্সিল ভবনের পাশের গেট দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আসে। পরে সেখানে থেকে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের নেতা শাহ আহমেদ বাদল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভুইয়া, বিএনপি নেতা আবেদ রাজা, ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের কোষাধ্যক্ষ ইউসুফ আলী প্রমুখ।

সমাবেশে শেষে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বিএনপির সমাবেশের মাঝখানে হামলা চালিয়ে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ চালিয়ে যেতে গেলে হামলা করে নেতা-কর্মীদের বেধড়ক পিটিয়েছে। আগে পরে শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে এসব ষড়যন্ত্র করছে। এখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। এই সমাবেশ থেকে গ্রেপ্তার নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

বিষয়:

খালেদার বিরুদ্ধে বিদেশি সাক্ষীর অনুমতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিদেশি সাক্ষী আনার অনুমতি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

তিনি বলেন, বিদেশি সাক্ষীর আসার অনুমতি অনুমতি এখতিয়ারবহির্ভূত। বিদেশি সাক্ষী আসার অনুমতি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছি। রিটটি শুনানির জন্য যে কোনো দিন আদালতে উত্থাপন করা হবে।

তিন বিদেশি সাক্ষীকে বাংলাদেশে আসতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অনুমতি দেয় বিচারিক আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ অনুমতি দেয়।

বিদেশি তিন সাক্ষীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এফবিআইয়ের একজন এবং কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুজন।


আদিলুর-নাসিরের জামিন

আপডেটেড ১০ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি এমদাদুল হক আজাদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দেন।

আদালতে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ভূঁইয়া।

গত ১৪ সেপ্টম্বর বিচারিক আদালত তাদের দণ্ড নিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলান আপিল দায়ের করেন এবং জামিন প্রার্থনা করেন।


জামিন মেলেনি যুদ্ধাপরাধ মামলার দুই আসামির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যাবজ্জীবনদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দুই আসামি হলেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ ও আব্দুস সাত্তার।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদসহ পাঁচ আসামিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিনের আবেদন করেন দুই আসামি। আপিল বিভাগ শুনানি নিয়ে তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

২০১৫ সালের ১৯ মে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি হান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। এমএ হান্নান ছাড়াও মামলাটিতে জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় মামলাটিতে মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় আটজনে।

২০১৯ সালের ২৭ মে মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার শেষে ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এর মধ্যে কারাবন্দি থাকাবস্থায় এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং অপর এক আসামি মিজানুর রহমান মন্টু মারা যান। বাকি পাঁচ আসামির মধ্যে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, হরমুজ আলী ও আব্দুস সাত্তার। পলাতক রয়েছেন ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী। তার মধ্যে দুই আসামি জামিন চেয়ে আবেদন করেন।


banner close