মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

রাজধানীতে তীব্র গ্যাসসংকট, বিল নিলেও গ্যাস নেই

ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত
প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:৫৫

মহিউদ্দিন খান

তীব্র গ্যাসসংকটে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চুলা জ্বলছে না। বেশ কিছুদিন ধরে চলা এ সংকট আরও তীব্র হয়েছে। সকাল ৬টার দিকে গ্যাস চলে যায় আর আসে রাত ১১টার পরে। ফিরে এলেও চুলা জ্বলে মিটমিট করে, যা রান্না করার মতো যথেষ্ট নয়। কোনো কোনো দিন একেবারেই আসে না। বাধ্য হয়ে মাটির চুলায় রান্নাবান্না করতে হচ্ছে রাজধানীর অনেক এলাকার মানুষকে।

কথা বলে জানা গেছে, অনেকে রাতে অথবা খুব ভোরে উঠে রান্না করছেন। কেউ কেউ নির্ভর করছেন রেস্তোরাঁর খাবারের ওপর। কেউ-বা আবার কিনেছেন সিলিন্ডার গ্যাস অথবা কেরোসিনের চুলা।

খোলাবাজারে সিলিন্ডার গ্যাসের দামও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি। তারপরও মানুষ বাধ্য হয়ে কিনছেন গ্যাস সিলিন্ডার। গ্যাস ব্যবহার করতে না পারলেও মাসে মাসে গুনতে হচ্ছে গ্যাসের বিল। এতে করে সংকটের পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়ছে।

এসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। তারা বলছেন, বিল নিচ্ছে ঠিকই কিন্তু গ্যাস দিচ্ছে না।

সরেজমিনে রাজধানীর মুগদা, পুরান ঢাকা, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, যাত্রাবাড়ী, বনশ্রী, কমলাপুর, গোলাপবাগ, গোপীবাগ, মানিকনগর, বাসাবো, সবুজবাগ, খিলগাঁও, শনির আখড়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে গ্যাসের সংকট তীব্র। সকাল থেকেই গ্যাস নেই এই এলাকাগুলোতে। এ ছাড়া ধানমন্ডি, বাড্ডা, মগবাজার, মিরপুর, সিদ্ধেশ্বরী, ইস্কাটন, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, আদাবর, মালিবাগ, খিলগাঁও, রামপুরা এসব এলাকায়ও গ্যাসের সংকট রয়েছে।

মুগদার বাসিন্দা জহির উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, সকাল ৬টায় গ্যাস যায় আর আসে রাত ১০টায়। তাও মিটমিট করে জ্বলতে থাকে। রাত ১২টায় যখন গ্যাস পাওয়া যায় তখন রান্না করলে গরমে ঘরে থাকা যায় না। কারণ, লোডশেডিং। আমার মনে হয়, সব সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির ধান্ধা।

ওয়ারী এলাকার চাকরিজীবী আল-আমিন আগে সকালে বাসা থেকে নাস্তা করে অফিস যেতেন। কিন্তু এখন না খেয়েই অফিসে যেতে হয়। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, আগে সকাল ৮টা বা ৯টা থেকে গ্যাস চলে যেত। তখন রান্না করে খাওয়া-দাওয়া শেষে অফিস যেতে পারতাম। এখন এই অবস্থাও নাই। দিনের ১২ ঘণ্টাই গ্যাস থাকে না কিন্তু বিল দিচ্ছি ঠিকই। আবার না দিলেও সমস্যা। লাইন কেটে দেবে।

খিলগাঁও এলাকার শানজানা রহমান বলেন, ‘আমার বাসাতে গ্যাস যায় সকালে আর রাতে আসে। তখন আর রান্না করার ইচ্ছা থাকে না। বাধ্য হয়ে কেরোসিনের চুলা কিনেছি। এমন এক অবস্থায় আছি দুপুরের খাওয়া খাই রাতে। কাউকে কিছু বলারও নাই। কিছু বললেই আবার বলবে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছি। এসব এলাকায় ভাড়াটিয়া কমে গেছে। কেউ ভাড়া নিতে আসে না।

পুরান ঢাকার কলতাবাজারের বাসিন্দা বিবি খাতুন বলেন, আগে সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত গ্যাস ভালোই থাকত, এরপর গ্যাসের চাপ কমে যেত। আবার মাঝে মাঝে বন্ধও হয়ে যেত। সন্ধ্যার দিকে ফের গ্যাস আসা শুরু করত। তখন গ্যাসের রুটিন মেনেই রান্নার কাজ সারতাম। কিন্তু এখন গ্যাসসংকট প্রতিদিনই।

তিতাস সূত্র থেকে জানা গেছে, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ১৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে সরবরাহ হচ্ছে ১৫০ কোটি ঘনফুট। ফলে রাজধানীতে গ্যাসের এমন সংকট। রাজধানী ও তার আশপাশে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত তিতাস চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শীতে এ সংকট আরও বাড়তে পারে।

তিতাসের জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রকৗশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এটা জাতীয় সমস্যা। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। কবে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তাও আমি জানি না। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলতে হবে।’

তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক মির্জা মাহবুব হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমার নিজের বাসা ধানমন্ডির ভূতের গলিতে। আমি নিজেই এই সমস্যায় ভুগছি। আমাদের এখন সাপ্লাই কম, তাই সমস্যা হচ্ছে। আপাতত এর কোনো সমাধান নাই।’


উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপের ভোট কাল, কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে

আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ১০:২৭
নিজস্ব প্রতিনিধি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ১৪১ উপজেলায় প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতি আর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমজমাট প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে গতকাল সোমবার মধ্যরাতে; ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বুধবার।

এতে কেন্দ্র রয়েছে ১১ হাজার ৫৫৬টি। দুর্গম এলাকার ৪২৪ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। আর ১১ হাজার ১৩২ কেন্দ্রে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যাতায়াতের অসুবিধার জন্য দুর্গম এলাকায় ভোটের আগের দিন ব্যালট পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, ১০টি জেলার ২৪টি উপজেলার দুর্গম কেন্দ্রে ব্যালট আগের দিন পাঠানো হবে। উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী, চর রাজীবপুর; মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া; হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সরাইল, সন্দ্বীপ; রাঙামাটির রাঙামাটি সদর, কাউখালী, জুড়াছড়ি, বরকল; বান্দরবানের বান্দরবান সদর, আলীকদম; খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়; সুনামগঞ্জের দিরাই, শাল্লা ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা। এসব উপজেলার ৪২৪টি কেন্দ্র দুর্গম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, চার ধাপে অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনের সব ধাপেই দুর্গম কেন্দ্রে আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। অন্যগুলো যাবে ভোটের দিন সকালে। মাঠ প্রশাসন থেকে দুর্গম এলাকা চিহ্নিত করে প্রতিবেদন পাঠালে নির্বাচন কমিশন সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক বছর ধরে ভোটে কারচুপি রোধ করতে আগের রাতে ব্যালট না পাঠিয়ে সকালে পাঠায় কমিশন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হবে।

বুধবার দেশের ১৪১ উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ১৪১ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন আগামীকাল বুধবার সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

প্রথম ধাপের ভোট উপলক্ষে তিন দিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি।

ইসির নির্দেশনা পেয়ে রোববার (৫ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারী সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামীকাল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ৩২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৭ মে মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সিক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এদিকে ৬ মে মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরিখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও উক্তরূপে যেকোনো যানবাহন চলাচলের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।

এ ছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।


টেকনাফের ওপারে আবারও গোলার বিকট শব্দ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তের অদূরে আবারও মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে দুই পক্ষই বোমা ও মর্টার শেল হামলা চালাচ্ছে।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও সাবরাং সীমান্তসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় রাখাইন থেকে বোমা বিস্ফোরণ ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা গেছে। গোলার শব্দে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।

টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গোলার শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। বেশ কিছু দিন গোলার শব্দ শোনা না গেলেও ভোর থেকে বিকট গোলার শব্দ পাচ্ছি। মনে হচ্ছে, বোমা এসে এপারে পড়ছে। সকাল থেকে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের পৌরভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, রাখাইনে চলমান যুদ্ধে এ পারে অনেক ভারী গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ধরনের গোলার আওয়াজ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।

হ্নীলা সীমান্তের আব্দুর গফুর জানান, সকালে ওপার থেকে আসা ভয়ঙ্কর কয়েকটি শব্দ শুনেছি। মনে হয়েছে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। দিনের বিভিন্ন সময় বড় ধরনের কয়েকটি বিকট শব্দ শোনা গেছে। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলাগুলির শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। নাফ নদীর সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। হ্নীলা সীমান্তের বাসিন্দা হুমায়ুন রশিদ বলেন, সকাল থেকে সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। অন্যদিনের তুলনায় গোলার শব্দ বিকট।

এদিকে আরকান আর্মি মংডু টাউনশিপ দখল করে নিয়েছে বলে অসমর্থিত তথ্য পাওয়া গেছে। দেশটির সরকারি সংস্থা বিজিপির সদস্যদের কেউ কেউ বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। গত দুই দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ১০০ জনের মতো বিজিপি সদস্য এ পারে আত্মসমর্পণ করেছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের কাছে।

এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৮৮ জন বিজিপি সদস্যকে আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) কাছে হস্তান্তর করেছি। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি। স্থানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই দিনে নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে নৌকায় করে ১০০ বিজিপি সদস্য অস্ত্রসহ টেকনাফ কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়া হয়। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদী এলাকা এবং সীমান্ত সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যরা টহল বাড়িয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রাখাইনের সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে সংঘাতের জের ধরে যাতে রোহিঙ্গা বা অন্য কোনো গোষ্ঠী বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য নাফ নদী ও সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।


সম্পদ অর্জনে এমপিদের চেয়ে এগিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানরা

ভোটের প্রথম ধাপে কোটিপতি প্রার্থী ১১৭ জন: টিআইবি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের। পাঁচ বছরে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি। এর বিপরীতে সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ১৪৪ উপজেলার প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এতে ১৫২টি উপজেলার তিনটি নির্বাচনের প্রায় ৪ হাজার ৮০০টি হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

সংস্থাটির পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জন কোটিপতি। যেখানে ৫৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ জন কোটিপতি। এ ছাড়া ৬১১ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ১৭ জন ও ৪৩৫ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ৬ জন কোটিপতি প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়াদের ৫৬ শতাংশই পেশায় ব্যবসায়ী। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, ৬৯ শতাংশ ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবং ২৪ শতাংশ সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।

২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে একই উপজেলায় এ হার ছিল ৫৩ শতাংশ। আর ২০১৪ সালে ছিল ৪৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৯৪ জন চেয়ারম্যান, ১৭ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ৬ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ১১৭ জন প্রার্থীর প্রত্যেকের এক কোটি টাকা বা তার বেশি মূল্যের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এই ধরনের প্রার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলেও জানায় টিআইবি।

২০১৯ সালের নির্বাচনে মোট ৪৫ জন প্রার্থীর এক কোটি টাকা বা তার বেশি মূল্যের অস্থাবর সম্পদ ছিল। ২০১৪ সালে ছিল ৩৪ জনের।

উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন, এনবিআর ও দুদকের বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচন করছেন। প্রথম ধাপেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, উপজেলা নির্বাচন দলীয় হলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও তা অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।


ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন স্থগিত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৬ মে, ২০২৪ ১৭:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া একটি শিটে ৪৯ শতাংশ ভোট গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন, দেখা যায়। কিন্তু পরে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর বিরুদ্ধে নজরুল ইসলাম হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিবাদীদের নোটিশ ইস্যু করে গেজেট স্থগিত করেন। পরে অবশ্য আপিল বিভাগ গেজেট স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেন। এর মধ্যে আব্দুল হাই মৃত্যুবরণ করেন। এখন নিয়ম হচ্ছে বিজয়ী প্রার্থী মারা গেলে আবেদনকারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা। সেটা না করে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এখন হাইকোর্ট ২১ দিনের জন্য এ নির্বাচন স্থগিত করেছেন। আগামী রোববার থেকে নির্বাচনী পিটিশনের ওপর শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন।

গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচন ভবনে ৩২তম কমিশন সভায় আগামী ৫ জুন ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সে সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। সে হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। অসুস্থ হয়ে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন তিনি। গত ১৬ মার্চ সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এতে ঝিনাইদহ-১ শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনে আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে নায়েব আলীর নাম ঘোষণা করেছে।

বিষয়:

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৬ মে, ২০২৪ ১১:৫৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। বাহিনীর মিডিয়া সেল জানায়, আজ সোমবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় আগুন ধরে।

এ আগুনের বিষয়ে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।

তিনি জানিয়েছিলেন, দেশের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনের আগুন পুরোপুরি নেভাতে লাগবে আরও দুই থেকে তিন দিন।

সিসিএফ বলেন, ‘সাত সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির প্রধান থাকবেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো। এ ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃত সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা থাকবেন। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তারা ওই প্রতিবেদন সুপারিশসহ জমা দেবেন। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে বনভূমির পাঁচ একর জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিষয়:

পতেঙ্গায় বে-টার্মিনাল নির্মাণে ৫০১ একর জমি পাচ্ছে বন্দর

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৬ মে, ২০২৪ ০০:০৮
রতন কান্তি দেবাশীষ, চট্টগ্রাম

অবশেষে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় বে-টার্মিনাল নির্মাণে জমির সুরাহা হয়ে গেল। প্রতীকী মূল্যে ৫০১ একর খাসজমি পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। ৩ কোটি ৩ টাকার বিনিময়ে এ জমি দিচ্ছে সরকার।

টাকা জমা দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে তিনটি পৃথক চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গত ৩০ এপ্রিল জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো এই চিঠি বৃহস্পতিবার বন্দর কর্তৃপক্ষ বুঝে পেয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক চিঠি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, সাগর উপকূলে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য মোট ৮৭০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে ৬৭ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করে। আরও ৮০৩ একর ভূমি বরাদ্দ পেতে ২০১৪ সাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসন তাদের অধিগ্রহণ করা এই জমির মূল্য নির্ধারণ করে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু বন্দর ভূমির জন্য বিপুল টাকা ব্যয় না করে প্রতীকী মূলে সেটি পাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ নিয়ে মতৈক্য না হওয়ায় জেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দ্বারস্থ হয়েছিল।

অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর এখন আরও প্রায় ৫০১ একর জমি বুঝে পাচ্ছে বন্দর। এখন পর্যন্ত ৫৬৭ একর জমি হাতে পাচ্ছে বন্দর। তবে আরও প্রায় ৩০০ একরের মতো জমি এখনো বুঝে পায়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষকে টাকা জমা দিতে এরই মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। টাকা জমা দেওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বন্দোবস্ত দলিল স্বাক্ষর হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, জমি বন্দোবস্তের জন্য টাকা জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রায় ৩০০ একর জমি বরাদ্দ পেতে প্রক্রিয়া চলছে।

সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় বে-টার্মিনাল প্রকল্পে সরাসরি ৮০০ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আসতে পারে। বে-টার্মিনাল প্রকল্পের দুটি কনটেইনার টার্মিনাল, একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং একটি তেল ও গ্যাস টার্মিনাল সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

এক দশক ধরে ব্যবসায়িরা বে-টার্মিনাল প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। নতুন এই প্রকল্পে বন্দরের সেবা বর্তমানের তুলনায় অনেক বাড়বে। সেখানে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা বড় জাহাজ ভিড়ানো যাবে। কনটেইনার ও পণ্য খালাস করে শহরে না ঢুকেই দেশের নানা স্থানে নেওয়া যাবে। বন্দর ব্যবহারের খরচ কমবে এই আশায় ব্যবসায়িরা বে-টার্মিনাল প্রকল্পকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বে-টার্মিনালে প্রাথমিকভাবে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে একটি ১ হাজার ২২৫ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার টার্মিনাল, একটি ৮৩০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার টার্মিনাল এবং একটি দেড় হাজার মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল। তিনটি টার্মিনালের মোট দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার। মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ টার্মিনালে জেটি থাকবে ছয়টি।

বাকি দুটি টার্মিনাল সিঙ্গাপুরে পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল ও আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড নির্মাণ ও পরিচালনা করবে। এ জন্য প্রতিষ্ঠান দুটি ১৫০ কোটি ডলার করে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। আবুধাবি পোর্টস আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ হতে পারে। এ ছাড়া নৌপথ তৈরিতে ৫৯ কোটি ডলার বিনিয়োগের পাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে ইস্ট কোস্ট গ্রুপ ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগে তেল ও গ্যাসের টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পে ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, জমি নিয়ে যে জটিলতা ছিল তা কেটে গেছে। জেলা প্রশাসন প্রতীকী মূল্যে জমি দিতে রাজি হওয়ায় সে জটিলতা কেটে গেছে। শিগগিরই চাহিদা মোতাবেক টাকা পরিশোধ করা হবে।


বান্দরবান সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ

১ জনের দুই পা বিচ্ছিন্ন, আহত ৩
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বান্দরবান প্রতিনিধি

ছবি: সংগৃহীত


বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবার স্থল মাইন বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের দুই পা বিস্ফোরণে বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর জানা গেছে। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭ নম্বর পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- কক্সবাজারের রামু উপজেলার মো. রফিক, গর্জনিয়া এলাকার মো. আব্দুল্লাহ ও কচ্ছপিয়া এলাকার রশিদ আহমেদ। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
জানা গেছে, শনিবার রাতে একই এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে দুই বাংলাদেশি আহত হন। এরা সবাই অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে সীমান্তর ওপার থেকে গরু আনতে গিয়েছিল। সেখানে আরাকান আর্মি ও সে দেশের সেনাবাহিনীর পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তারা আহত হন। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আফসার ইমন জানান, খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা। সীমান্তে বিজিবি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।


সাতক্ষীরায় আম ক্যালেন্ডার ঘোষণা

৯ মে থেকে বাজারে আসবে মুম্বাই ও গোলাপখাস আম
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

অপরিপক্ব আম বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে ক্যালেন্ডার ঘোষণা করা হয়েছে সাতক্ষীরায়। ঘোষণা অনুযায়ী, ৯ মে থেকে মুম্বাই ও গোলাপখাস, ১১ মে থেকে গোবিন্দ ভোগ, ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ন্যাংড়া ও ১০ জুন আম্রপলি সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে। আজ রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ ক্যালেন্ডার ঘোষণা করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ, সাতক্ষীরা শহর কাঁচা ও পাকা আম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রজব আলী প্রমুখ।

সভায় আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রতি ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ক্রেতাদের প্রতি উল্লিখিত সময়সূচি মেনে সতর্কভাবে সাতক্ষীরার আম কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রতিদিনই সাতক্ষীরার কোথাও না কোথাও অপরিপক্ব আম পেড়ে রাসায়নিক দিয়ে পাকানোর অভিযোগে বিপুল পরিমাণ আম জব্দ ও বিনষ্ট করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৮ হাজার কেজি অপরিপক্ব আম বিনষ্ট করা হয়েছে।


গোপালগঞ্জে যাচ্ছে পাইপলাইনের গ্যাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

দেশে পাইপলাইনের গ্যাসে নতুন সংযোগ না দেওয়ার কঠোর অবস্থানের মধ্যেই হঠাৎ করে গোপালগঞ্জের শিল্পাঞ্চলের জন্য নমনীয় হয়েছে সরকার। পায়রা বন্দরের গভীর সমুদ্র থেকে এসে কুয়াকাটা দিয়ে বরগুনা, ঝালকাঠি, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট হয়ে খুলনা পর্যন্ত যাবে এ গ্যাস পাইপলাইন। তবে এ গ্যাস বাসাবাড়িতে ব্যবহার করা যাবে না। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার রাধাগঞ্জে প্রস্তাবিত ২০০ একর জমির ওপরে নির্মিত ইকোনমিক জোনে শিল্প-কারখানায় ব্যবহার করা হবে এ গ্যাস।

জেলার অন্যান্য স্থানে গড়ে ওঠা কলকারখানাগুলোও এ গ্যাস চাহিদামাফিক ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যে পণ্য উৎপাদন করতে পারবে। আর তাতে এ অঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব দূর হয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে। এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।

আজ রোববার অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজী মাহবুবুল আলম।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুন্সী আতিয়ার রহমান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারহানা জাহান উপমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সিহাব উদ্দিন আজমসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সংগঠনের পরিচালক মোক্তারুজ্জামান, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ মো. ফয়সাল, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইয়ার উদ্দিন মো. আওরঙ্গজেব প্রকল্প বিষয়ে অবহিত করেন।

গোপালগঞ্জে গ্যাস আসার খবরে খুশি জেলার সর্বস্তরের মানুষ। জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি মোশারেফ হোসেন শেখ, টুঙ্গিপাড়া মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, কোটালীপাড়া মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা উচ্ছ্বসিত মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে বলেন, গ্যাস এলে নতুন নতুন কল-কারখানা চালু হবে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। বেকারত্ব কমবে। এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ অতিক্রমকারী পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। পাইপলাইনটি জেলার তিন উপজেলা দিয়ে অতিক্রম করবে। উপজেলাগুলো হলো গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া। যেসব ইউনিয়ন ও মৌজা দিয়ে গ্যাস পাইপলাইন অতিক্রম করবে সেগুলো হলো গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের খাটরা মৌজা, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বোড়াশী ও তেঘরিয়া মৌজা, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোবরা মৌজা, গোবরা ইউনিয়নের পোদ্দারের চর মৌজা এবং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সিলনা ও দীঘারকুল মৌজা।

কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের গজালিয়া, হিজলবাড়ি ও তালপুকুরিয়া মৌজা। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের বালাডাঙা, বড় সিঙ্গিরপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া মৌজা, বর্নি ইউনিয়নের বর্নি মৌজা, ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ভৈরব নগর ও সালুখা মৌজা এবং গোপালপুর ইউনিয়নের গুয়াধানা মৌজা। এসব মৌজা থেকে জমি অধিগ্রহণ ও অধিযাচনের মোট পরিমাণ যথাক্রমে ৬২.৬৩৪ একর ও ১১৭.৪৮৬ একর।


সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে কোস্ট গার্ড-নৌ ও বিমান বাহিনী

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাগেরহাট প্রতিনিধি

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায় লাগা আগুন নেভাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসহ কয়েকটি বাহিনীর কর্মীরা। আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে বনরক্ষী-ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।

আগুন নেভাতে নৌ বাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নামেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি উঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেন। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় পানি সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে।

ফয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপপরিচালক মামুন আহমেদ জানান, বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে।

এদিকে সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির।

শনিবার বেলা ৩টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির ড্রেনের ছিলা এলাকায় এ আগুনের সূত্রপাত। এরই মধ্যে আগুনে কয়েক কিলোমিটার বনাঞ্চল পুড়ে গেছে। এখনও থেমে থেমে জ্বলছে সুন্দরবনের আগুন।

আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলেও শনিবার সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় এবং কাছাকাছি কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেননি তারা। রোববার সকালে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়।

বিষয়:

সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ১২:১৮
বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এতে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, বনরক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নিয়েছেন।

এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে সুন্দরবনে আমরবুনিয়া এলাকায় আগুনের খবর পায় বন বিভাগ। বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে সন্ধ্যা হওয়ায় তারা অভিযান সমাপ্ত করে চলে যায়। পরে আজ রোববার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বন বিভাগ, পুলিশ স্থানীয় প্রাশন ও বাসিন্দারা আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করেছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনা বিভাগের উপ-পরিচালক মামুন মাহমুদ বলেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শোনার পর বন বিভাগ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সেখানে ছুটে যান। শনিবার সন্ধ্যা হওয়ায় আমরা কার্যক্রম শুরু করতে পারি নাই।

তিনি বলেন, সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে। আমাদের সাথে নৌবাহিনী, বন বিভাগ, পুলিশ, স্থানীয় প্রাশসন ও সাধারণ মানুষ আগুন নির্বাপণের কাজ করছে।

বিষয়:

গ্রীষ্মেই সিলেটে বন্যার শঙ্কা

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দেবাশীষ দেবু, সিলেট

দেশের অন্য এলাকা যখন দাবদাহে পুড়ছে সিলেটে তখন ঠিক উলটো পরিস্থিতি। পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে সিলেটে গ্রীষ্মেই বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঢলে বেড়ে চলছে নদ-নদীর পানি। ইতোমধ্যে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আরও কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে।

এরমধ্যে আজ রোববার থেকে সিলেটে বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টি আর ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা।

আবওয়া অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব বলেন, রোববার থেকে সিলেটে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। এই সময়ে মেঘালয়েও প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে। ফলে ঢল নেমে সিলেটে অকাল বন্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত সিলেটের নিম্নাচল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, ভারতের মেঘালয় রাজ্যে কয়েক দিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঢল নেমে সিলেটের নদ-নদীগুলোয় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবারই দুটি পয়েন্টে নদীর পানি শুষ্ক মৌসুমের বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে শুষ্ক মৌসুমের বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ মিটার। শনিবার দুপুরে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১১.০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সারি নদের জৈন্তাপুরের সারিঘাট পয়েন্ট শুষ্ক মৌসুমে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৭০ মিটার। নদের ওই পয়েন্ট পানি শনিবার দুপুরে ১১ দশমিক ৮৯ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টেও পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে।

এদিকে কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে উপজেলার নদ-নদীর পানি। এর মধ্যে ডিবির হাওর ও কেন্দ্রী হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই হাওরে পানির নিচে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, উপজেলার প্রায় ৯৮ শতাংশ ফসল কাটা শেষ হয়েছে। ফলে পানি বৃদ্ধি পেলেও ফসল ক্ষতি হওয়ার তেমন কোনো শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। পাশাপাশি জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

সিলেট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতে বৃষ্টির ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতে বৃষ্টি কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে ভারতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আগাম বন্যা দেখা দিতে পারে।

সিলেটে হাওরের ধান কাটা শেষপর্যায়ে জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘যেটুকু ধান কাটা এখনো বাকি রয়েছে সেগুলো দ্রুত কাটতে কৃষকদের বলা হয়েছে। আশা করছি বন্যা হলেও ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না।’


রূপগঞ্জে অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি

থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আতিকুর রহমান মঈন তার দুই সহযোগীকে নিয়ে অস্ত্র প্রদর্শন করছেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ০০:০১
রাসেল আহমেদ, রূপগঞ্জ

রূপগঞ্জে দেশি-বিদেশি অবৈধ অস্ত্রের ভয়ানক বিস্তার ঘটেছে। সর্বত্রই আগ্নেয়াস্ত্রের ছড়াছড়ি। র‌্যাব-পুলিশের অভিযানে যে পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হচ্ছে তার কয়েকগুণ নিরাপদে চলে যাচ্ছে অপরাধীদের গোপন ডেরায়। আর এতে করে আন্ডারওয়ার্ল্ডে অস্ত্রভাণ্ডার দিনে দিনে সমৃদ্ধ হচ্ছে। ছোটখাটো ঘটনাতেও অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের ক্যাডার মাস্তানরা প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে নামছে। মিডিয়ায় অস্ত্রধারীদের ছবি প্রকাশ হওয়ার পরও এসব অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে না।

এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। র‌্যাব-পুলিশের অভিযানে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হলেও গত কয়েক বছরে অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। তদন্তের দুর্বলতার কারণে পার পেয়ে যায় গডফাদাররা। ফলে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্কও অক্ষত থেকে যাচ্ছে। রূপগঞ্জে কথায় কথায় অস্ত্র প্রদর্শন, গুলি করে মানুষ হত্যা, বুলেটের ভয় দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি যেন অহরহ ঘটনা। উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ৪৭টি সন্ত্রাসী বাহিনীর পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও অনেকের কাছে রয়েছে অবৈধ অস্ত্র। দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি অত্যাধুনিক অস্ত্রও রয়েছে তাদের হাতে। গত এক যুগে অস্ত্রধারীদের গুলিতে ১৬ জন নিহত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রায় সাড়ে ৪০০ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। আর বৈধ অস্ত্র রয়েছে ১১০ জনের কাছে। এর মধ্যে ৬০ জনের অস্ত্র থানার অস্ত্রগারে জমা রয়েছে। বৈধ অস্ত্রের মধ্যে একটির লাইসেন্স বাতিল হয়েছে।

অনুসন্ধান ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রূপগঞ্জের সন্ত্রাসীরা সাধারণত যেসব অস্ত্র ব্যবহার করে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ওয়ান শুটার গান, পাইপ গান, এলজি, একে-২২, আমেরিকান নাইন এমএম পিস্তল, সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ, নাইন এমএম, পয়েন্ট টু টু ও রিভলবার। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক ম্যাগাজিন, ককটেল, বারুদসহ বিভিন্ন বিস্ফোরকও রয়েছে তাদের কাছে। এসব অস্ত্রের মূল চালান আসে মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রাম এলাকা হয়ে এবং ভারত থেকে কুমিল্লা ও সিলেট হয়ে। অধিকাংশ সময় অস্ত্র পরিবহনে ব্যবহার করা হয় ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্য ও শিশুদের। সন্ত্রাসীদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্রের আদলে বানানো বেশ কিছু খেলনা পিস্তলও রয়েছে। অস্ত্রের আধিক্য দেখাতে তারা খেলনা পিস্তল ব্যবহার করে থাকে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র বলছে, রূপগঞ্জে গত এক যুগে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর হাতে খুন হয়েছেন ১৬ জন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও থানা পুলিশের তথ্যমতে, উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রায় সাড়ে ৪০০ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ আরো অস্ত্র বিভিন্ন অঞ্চলে গোঁপন স্থানে রয়েছে। অস্ত্রগুলো নির্বাচনকালীন, হাউজিং কোম্পানির জমি দখল, ইটের ভাটা দখলসহ নানা দখল বাণিজ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোথাও এসব অস্ত্র ভাড়া দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। একটি ছিনতাইকারীচক্র, ডাকাত সদস্যরাও এসব অস্ত্র ভাড়ায় নিচ্ছে । সূত্র আরও জানায়, মিলকারখানায় জুট ব্যবসায়ী, হাউসিং কোম্পানির দালাল, বালু ব্যবসায়ী, ইটা ব্যবসায়ী, স্থানীয় শ্রমিক নেতাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসব অস্ত্রের ব্যবহার। এসব অস্ত্রের বেশিরভাগই রিভলভার জাতীয়। মাঝে মাঝে শর্টগান, এসএমজিসহ নানা হাতবোমাও পাওয়া যাচ্ছে। র‌্যাব, পুলিশের অভিযানে গত এক বছরে ১১ টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই আগ্নেয়াস্ত্র। এক পরিসংখ্যানে প্রতি মাসে গড়ে পাঁচজন করে গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য মিলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রূপগঞ্জের দীর্ঘদিনের আলোচিত হত্যাকাণ্ড শিল্পপতি রাসেল ভূঁইয়া, তারেক বিন জামাল, খালেদ বিন জামাল, ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা হাজী বেলায়াতসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় ক্রমেই অবৈধ অস্ত্রের মজুতের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। উপজেলার গোলাকান্দাইল ৫ নং ক্যানেল, মুড়াপাড়ার মাছিমপুর এলাকা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন, চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র, পূর্বাচল উপশহর, কাঞ্চন পৌরসভা, তারাব পৌরসভা, সদর ইউনিয়নের ইছাপুরা ও ভোলানাথপুর এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে রয়েছে চরম আতঙ্ক। অন্যদিকে পূর্বাচল উপশহরকে ঘিরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন আবাসিক কোম্পানির ছত্রছায়ায়ও গড়ে ওঠেছে একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী বাহিনী।

রূপগঞ্জ থানা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পুলিশ ১১ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২২টি গুলি উদ্ধার করেছে। এ সময় অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংক্রান্ত মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা (এসবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত গুলির ঘটনা ২৫টি ছাড়িয়ে গেছে। এই হিসাবে মাসে গড়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে পাঁচজনেরও বেশি।

থানা পুলিশ ও গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রূপগঞ্জে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন মারামারিতে গত ২০২৩ সালে অস্ত্রবাজির অন্তত ১৩টি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এসব ঘটনায় অস্ত্র হাতে থাকা ৭ জনের ছবি ও ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে পেশাদার সন্ত্রাসীর পাশাপাশি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পদধারী নেতাও রয়েছেন।

দৈনিক বাংলার অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসব অস্ত্রধারীর কেউই ধরা পড়েনি। দুর্বৃত্তদের প্রদর্শিত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে পিস্তল, শটগান, এলজি ও বন্দুক। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ। তারা এসব ঘটনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাফিলতি ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকে দায়ী করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১১ সালে মাছিমপুর এলাকায় নজরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর মিরকুটিরছেও এলাকায় আব্দুর রশিদ মোল্লাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০২৩ সালের ৩১ মে বরপা এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে বিল্লাল নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ২০২৩ সালের ১০ মে চনপাড়া পুনর্বাসন এলাকায় সৈয়দ মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর সিটি শাহীন নিহত হন। ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর ডাকাতদলের গোলাগুলিতে আবুল হোসেন নামে একজন নিহত হয়। ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্বাচলের ১১ নম্বর ব্রিজের নিচ থেকে সোহাগ, নুর হোসেন ও শিমুল নামে তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, রূপগঞ্জে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি অনেক বেশি। বর্তমানে রূপগঞ্জে অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। আমরা চাই রূপগঞ্জে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ হউক।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক সরকার বলেন, ‘রূপগঞ্জে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়। বেশকিছু অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা অস্ত্র নিয়ে ছবি প্রদর্শন করেছে কিংবা যেসব এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে সেসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’


banner close