বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৯ ভাদ্র ১৪৩২

নাটোরে স্বাস্থ্যকর্মীর মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড
২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১৪:৪৯
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১৪:৩৬

নাটোরের লালপুরে মাহমুদা আক্তার বীথি (৩২) নামে এক স্বাস্থ্যকর্মীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার তোফাকাটা মোড় এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

বীথি একই উপজেলার বরমহাটি গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দায়িত্ব পালন শেষে ক্লিনিক থেকে বের হন মাহমুদা। পরে রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে। এসময় বীথির মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা তোফাকাটা মোড় এলাকার আম বাগানের পাশে বীথির গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

মরদেহটির পাশে মানিব্যাগ ও পুরুষের ব্যবহৃত জুতা পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

ওসি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বীথিকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

বিষয়:

বেবিচক চেয়ারম্যানের সাথে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২টায় বেবিচক সদরদপ্তরে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, বিএসপি, জিইউপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, এসিএসসি, পিএসসি (Air Vice Marshal Md Mostafa Mahmood Siddiq, BSP, GUP, ndc, afwc, acsc, psc) এর সাথে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক জনাব নাদির শাফি দার (Mr. Nadir Shafi Dar) এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনঃস্থাপন বিষয়ে ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয় এবং উভয় পক্ষই এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠকে ভবিষ্যতে বিমান চলাচল খাতে প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো আরও সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন যে, বিমান চলাচল পুনঃস্থাপন হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেবিচক এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং PIA এর CEO ।


কালীগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারি সহায়তা: ৪ পরিবার পেল বকনা ও ষাঁড় বাছুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি 

গাজীপুরের কালীগঞ্জে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। "সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প (ডিটিএলপি)"-এর আওতায় উপজেলার ৪টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে বকনা, ষাঁড় বাছুরসহ গবাদিপশু পালনের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সহায়তা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে সহায়তার সরঞ্জাম তুলে দেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরোয়ার লিমা।

প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চারটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারকে স্বাবলম্বী করার জন্য বেছে নেওয়া হয়। উপকারভোগীরা হলেন—তুলসী রানী পাল, মানিক পাল, শেখর কুমার চন্দ্র এবং জগু বর্মন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত চারটি পরিবারের মধ্যে দুটি পরিবারকে একটি করে বকনা (তরুণী গাভী) এবং বাকি দুটি পরিবারকে একটি করে ষাঁড় বাছুর দেওয়া হয়েছে। গবাদিপশু সঠিকভাবে লালন-পালনের জন্য প্রতিটি পরিবারকে আরও দেওয়া হয়েছে ১২৫ কেজি দানাদার খাদ্য, ৪টি ফ্লোর ম্যাট এবং শেড বা চালা তৈরির জন্য ৫টি টিন ও ৪টি পিলার। এই সমন্বিত সহায়তার উদ্দেশ্য হলো, উপকারভোগীরা যেন কোনো প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই পশু পালন শুরু করতে পারেন।

সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত উপকারভোগী শেখর কুমার চন্দ্র তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, "আমার একটি ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই। সরকারের পক্ষ থেকে আজ একটি বাছুর পেয়েছি। আমি যদি কষ্ট করে এটিকে লালন-পালন করতে পারি, তাহলে হয়তো একদিন এর ওপর ভিত্তি করেই আমার সংসারের উন্নতি হবে। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।"

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, "পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের জীবনমান উন্নত করতে সরকার এই বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর আওতায় বকনা বা ষাঁড় বাছুর পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম সরকারিভাবেই সরবরাহ করা হয়। আমরা আশাবাদী, এই সহায়তার মাধ্যমে প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী ধীরে ধীরে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।"


চবিতে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ, ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুারো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় নামে-বেনামে প্রায় ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।

অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান বাদী হয়ে নাম জানা ৯৮ জন ও অজ্ঞাতনামা ৮ শত থেকে ১ হাজার জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা দপ্তরের লুট হওয়া দেশীয় অস্ত্র লুটপাটের ঘটনায় ডায়েরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

উল্লেখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় এক দারোয়ানের সঙ্গে এক ছাত্রীর তর্কাতর্কিকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। পরে তা দ্রুতই রূপ নেয় বড় ধরনের সংঘর্ষে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসীও।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমন সহিংসতা কখনোই কাম্য নয় এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে। চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


পাসর্পোটের জন্য জাল নাগরিক সনদ! দালালসহ আটক ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের জাল নাগরিক সনদপত্র তৈরির অপরাধে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেউথা এলাকায় অবস্থিত পাসর্পোট অফিসের সামনে থেকে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের ঘোস্তা জাহাঙ্গীরনগর এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে সোহানুর রহমান (২২) এবং পৌরসভার বেউথা এলাকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৬) ও পৌরসভার পশ্চিম উড়িয়াজানি এলাকার মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন (৪৫)। এদের মধ্যে আরিফ হোসেন ও মনির হোসেন (দালাল)।

জানা যায়, আসল কাগজপত্রে ঝামেলা থাকায় ১৬ হাজার টাকার শর্তে পাসর্পোট তৈরি করতে পৌরসভার বেউথা এলাকার আরিফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের ঘোস্তা জাহাঙ্গীরনগর এলাকার সোহানুর রহমান। এরপর আরিফ হোসেনের পরামর্শে জাল নাগরিক সনদপত্র তৈরি করে মনির হোসেন। কিন্তু সহকারী কমিশনার প্রশিক্ষণে থাকার পরও ভুলক্রমে জাল নাগরিক সনদপত্রে সহকারী কমিশনার ভূমির সই ও নাম-পদবী ব্যবহার করে আরিফ হোসেন ও মনির হোসেন। এরপর নতুন করে আরেকটি জাল নাগরিক সনদপত্র তৈরি করে এবং সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিনের সই ও নাম-পদবী ব্যবহার। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন অফিসের নজরে আসলে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুটাইল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিনকে অবগত করা হয়। পরে ইউএনও শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেন।

ইউএনও শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জাল নগরিক সনদপত্র তৈরি করে ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সই ও নাম পদবী কথার স্বীকার করেছে। পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। জাল নগরিক সনদপত্র তৈরি করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সুবিধা নিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

মনিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস.এম.আমান উল্লাহ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলার পর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে।


নীতি বাতিল চায় ইবি ছাত্র ইউনিয়ন

৩দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
আপডেটেড ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৫৪
সাকিব আসলাম, ইবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রনীত গবেষণা নীতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে উপাচার্যের কার্যালয়ে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা।

তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতি অবিলম্বে বাতিল করা, ঢাবি প্রণীত নীতিমালার সঙ্গে সমন্বয় করে ইবির নতুন গবেষণা নীতি প্রণয়ন করা, বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষা নীতি বাতিল করে নতুন নীতি প্রনয়ন এবং পুনরায় এম.ফিল ও পিএইচ.ডি ভর্তির সুযোগ দেওয়া।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সভাপতি নূর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব, সহসভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসানসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গালিব বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এম. ফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় সিজিপিএ রাখা হয় ৩.৫০ পয়েন্ট। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ত আরোপ থাকে ৩.০০ পয়েন্ট এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ২.৫০ ও দেখেছি। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত নীতিমালার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের বৃহৎ অংশকে গবেষণার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার এক সুস্পষ্ট নীল নকশা। এই নীল নকশা প্রত্যাখ্যান করে নতুন নীতি প্রনয়ন করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমরা রিসার্চটাকে কোনভাবে নষ্ট করতে চাইনা। যেহেতু এটা এমফিল পিএইচডি সেহেতু কিভাবে মানসম্মত রিসার্চ ডিগ্রি দেওয়া যায় সেই পথ তৈরির চেষ্টা করতেছি।


ভাঙা টিনের ঘরে দিন যায় সখীপুরের বৃদ্ধা ফজিলার

খাবার জোটে দান-খয়রাতে, শেষ বয়সে ঘরের আক্ষেপ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

থাকার কষ্ট, খাবারের কষ্ট, বর্ষা কিংবা বৃষ্টি এলেই ভাঙা চালে বৃষ্টির পানি। ৬০ বছরের বৃদ্ধা ফজিলা বেগমের জীবনের প্রতিদিনই যেন একেকটি সংগ্রাম। খাবার জোটে অন্যের দান-খয়রাতে, আর বৃষ্টি এলে ভাঙা ঘরে শোয়ার জায়গাটুকুও থাকে না।

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মৃত ওমর ফারুকের স্ত্রী ফজিলা বেগম এক যুগ আগে স্বামীহারা হন। দাম্পত্য জীবনে তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে ইফতিখার ও মেঝো ছেলে সোহেল মারা গেছেন। একমাত্র জীবিত ছেলে জুয়েলও প্রতিবন্ধী। নাতনি জান্নাতকে (১০) নিয়ে জরাজীর্ণ একটি ঘরেই চলছে ফজিলার জীবন। ফজিলা বেগম জানান, গত ২২ বছর ধরে স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র ঘরে বসবাস করছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘরের টিনের চাল মরিচা ধরে ফুটো হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি ঠেকাতে ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে পলিথিন ও পুরোনো কম্বল। ভাঙাচোরা দরজা-জানালা ও বেড়ায় পানি ঢুকে ঘরটিকে করে তুলেছে আরও অস্বাস্থ্যকর। একই অবস্থা শৌচাগারেরও।

ফজিলা বেগম বলেন, ‘একটা থাকার মতো ঘর পেলে জীবনের শেষ বয়সে শান্তিতে মরতে পারতাম। আশপাশের মানুষ খাবার দিলে খাই, না দিলে না খেয়েই থাকি। প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসা বা নাতনিকে ভালো খাবার খাওয়ানো কোনোদিন সম্ভব হয়নি।’

তিনি জানান, মেঝো ছেলে মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া একমাত্র কন্যা জান্নাতকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছেন। কিন্তু পড়াশোনার খরচ বা খাবারের ব্যবস্থা করতে না পারায় দিন কাটছে কষ্টে। এর মধ্যেই গত ৩১ আগস্ট রাতে তার ভাঙা ঘর থেকে চাল ও একটি মোবাইল চুরি হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন সিকদার বলেন, তার খুব অসহায় অবস্থায় দিন যাচ্ছে। ভাঙা ঘরে বৃষ্টি-বাদল ও শীতকালে ভোগান্তি বাড়ে। তার জন্য দ্রুত একটি ঘরের ব্যবস্থা করা জরুরি।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ জানান, ‘বৃদ্ধা ফজিলার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই তার বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি ঘর নির্মাণে অর্থ সহায়তার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা হবে।


রাউজানের শিক্ষাবৃত্তি পেল ৬ হাজার শিক্ষার্থী

জসিম উদ্দীন ফাউন্ডেশনের বিশেষ উদ্যোগ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

শিক্ষা হোক আলোর পথ, আগামীর বাংলাদেশ গড়ুক যথোপযুক্ত- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়ায় ৬ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে ১ বছরের পড়ালেখার খরচ বহনে করার জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে জসিম উদ্দীন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। গত সোমবার নোয়াপাড়া উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ বৃত্তি অনুষ্ঠান হয়। এতে রাউজানের প্রায় ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ রফিক। ফরিদুল ইসলাম আনসারী ও সাংবাদিক এস এম ইউসুফ উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ। আর ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়ে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন। প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা শিক্ষক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মাস্টার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার অং ছিং মারমা, রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া, একাডেমিক সুপারভাইজার সজল চন্দ্র চন্দ, ফাউন্ডেশনটির পরিচালক মোখতার আহমদ, আবু তাহের, ইয়াসিনুল হক, ফারুকে আজম, সরোয়ার হোসাইন, আহমদুল হক, খসরুল আমিন চৌধুরী, জাহেদুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া জসিম উদ্দিন স্মৃতি বৃত্তি প্রকল্পের সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের থেকে এইচএসএসি এবং আলিম পরীক্ষায় সারা রাউজানে সর্বোচ্চ বেশি নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার সহায়তার জন্য ৩ লাখ টাকা, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ২ লাখ টাকা এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ১ লাখ এবং এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ২ লাখ টাকা,দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পওয়া শিক্ষার্থীকে দেড় লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ তৃতীয় নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ১ লাখ টাকার এক কালীন বৃত্তি প্রদান করা হবে।


পানি নিষ্কাশনের অভাবে খেলার মাঠে মৎস্য চাষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কার্ত্তিক দাস-নড়াইল

নড়াইল সদর উপজেলার সীতারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেই খেলার মাঠ। একটি নালার অভাবে (ড্রেন) পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সারা বছরই খেলার মাঠটি বর্ষার পানিতে তলিয়ে থাকে। যে কারণে বিদ্যালয়সহ এলাকার কোমলমতি শিশুরা খেলাধূলা করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকার মানুষের দাবি মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে শিশুদের খেলাধূলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।

সরেজমিন দেখা গেছে, সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের সীতারামপুর সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠ। দ্যিালয় সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে ইটের সোলিংয়ের ভাঙ্গাচোরা রাস্তা। পশ্চিম পাশ দিয়ে পিচের রাস্তা। রাস্তা থেকে মাঠটি প্রায় ৬ ফুট নিচে যা পানিতে তলিয়ে আছে। বন্ জঙ্গলে ভরে আছে মাঠটি। যে কারণে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা এই মাঠে খেলাধূলা করার কোন সুযোগ পাচ্ছে না। বিকেল বেলাতেও এলাকার ছেলে মেয়েরা খেলতে পারছে না।

খেলার সুযোগ না পেয়ে কোমলমতি শিশুরা ফেসবুকে বুদ হয়ে পড়ে থাকছে। মাঠে হাটু সমান পানি থাকার কারণে এলাকার মানুষ সেখানে কৈ ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করেছে। রাস্তা নির্মাণের বেশ কয়েটি পিলার মাঠের পানির মধ্যে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বিকেল বেলায় বেশ কিছু শিশু বরশি নিয়ে দুজনে কাপড় অথবা গামছা লম্বালম্বি ধরে সেখানে মাছ ধরতে দেখা যাচ্ছে। বর্ষার কারণে গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে আছে। শিশুসহ বয়ষ্ক মানুষদের ঠান্ডা-জ্বরে ভুগতে হচ্ছে।

সীতারামপুর বিদ্যালয় সংলগ্ন দোকানী তুষার রায় জানান,ছেলেমেয়েরা জলাশয়ের পাড়ে খেলতে গিয়ে অনেক সময় পানিতে পড়ে যায়। বাধ্য হয়ে ওই শিশুদের পানি থেকে তুলে আনতে হয়। তিনি বলেন,রাস্তা থেকে মাঠটি অনেক নিচে। চারপাশে রাস্তা থাকার কারণে বর্ষার পানি নিষ্কাশণ না হওয়ায় মাঠটি তলিয়ে থাকে। স্কুলের ছেলেমেয়েরা খেলাধূলা করতে পারছে না।

সীতারামপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিপ্লব পোদ্দার বলেন,যেহেতু সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠ এটি। মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে সরকারিভাবে এগিয়ে আসা উচিৎ। তিনি বলেন,বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে থাকে। এই পানি বের হ্ওয়ার কোন নর্দমা না থাকায় এই অবস্থাতেই সারা বছর পড়ে থাকে। ফলে মাঠের পাশের বাসিন্দাদের জ্বর-সর্দ্দি সব সময় লেগেই থাকে। মাঠের পানি বের করার সুব্যবস্থা করা হলে বিদ্যালয়ের পরিবেশটা ভালোভাবে ফিরে আসবে।

সীতারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাম্মাৎ সবেদা খাতুন বলেন, মাঠটি সরকারি খাস জমির ওপর। বিদ্যালয়ের শিশুরা ছাড়াও সীতারামপুরসহ আশপাশের ছেলেমেয়েরা এই মাঠে খেলাধূলা করে থাকে। তিনি বলেন,পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস একবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দিয়ে মাঠের দক্ষিণ কোনার ঢালু জায়গায় রিংস্লাপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু পানি বের হবার মত কোন সুযোগ না থাকায় প্রতিবেশিদের বাড়ি-ঘরে পানি ওঠায় এলাকার মানুষ সেই রিংস্লাপের দুই পাশে মাঠি দিয়ে ভরে দেন। ফলে পানি বের হতে না পারায় আজ মাঠের এই অবস্থা। তিনি বলেন,ক্লাস শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের কোন জায়গা না থাকায় শ্রেনীকক্ষেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করানো হয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন,পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মাঠের অবস্থা খুবই করুন। সব সময় পানি জমে থাকে। বনজঙ্গলে ভরে গেছে। তিনি দাবি করেন,মাঠ সংস্কারসহ মাটি ভরাটের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, সীতারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অথবা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ব্যাপারে লিখিত আবেদন পেলে পানি নিষ্কাশনসহ মাঠে বালু দেবার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া যেতে পারে।


নীলফামারী ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত-১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত শতাধিক। এদের মধ্যে ৫ জন গুরুতর আহত অবস্থায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে পুরো ইপিজেড এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ইপিজেডের এভারগ্রীণ কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিব উত্তরা ইপিজেডের ইকু প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিক ও কাজিরহাট এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে বলে জানান শ্রমিকরা।

জানা যায়, এভারগ্রিণ কোম্পানির শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছিলেন। মঙ্গলবার এভারগ্রিণ কোম্পানি ঘোষণা করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তারই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে ইপিজেডের মূল গেটে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। ইপিজেডের অন্য কোম্পানির শ্রমিকদের কাজে যোগদান বাধা প্রদান করতে থাকে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে হাবিব নামে এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়। পড়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইপিজেডের শ্রমিক মমিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা অন্য কারখানার কোনো শ্রমিককেই প্রবেশে বাধা দেইনি। বরং তারাই আমাদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে আমাদের সঙ্গে অবস্থান নেয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রধান গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা অমানবিকভাবে এক নারী শ্রমিককে মারধর করতেছিল। তখন আমরা সব শ্রমিকরা এগিয়ে গেলে তারা আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান।’

আরেক শ্রমিক মো. রায়হান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করছি। কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা চালাল কেন? আমরা তো কোনো রাজনৈতিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামিনি। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছি।’

লিপি আক্তার নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা ডিউটি করতে গেছি। যায়া দেখি গেট বন্ধ। হঠাৎ করে সেনাবাহিনী-পুলিশ আমাদের ওপর হামলা ও গুলি চালায়। তারা কার অনুমতি নিয়ে আমাদের ওপর গুলি চালাল। আমাদের এক ভাই নিহত হইল। এর দায়ভার কে নেবে। সরকারকে জবাব দিতে হবে।’

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে মোট ৬ জনকে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে হাবিব নামে একজন ব্যক্তি ছিল তাকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

৫৬-বিজিবি নীলফামারীর অধিনায়ক লে. কর্নেল এস.এম বদরুদ্দোজা বলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো ধরনের মব সৃষ্টির সুযোগ নেই। প্রশাসনিক পর্যায়ে কাজ চলছে। বর্তমানে ইপিজেডের সকল কোম্পানি বন্ধ রয়েছে।

এই রিপোর্টলেখা পর্যন্ত উত্তরা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ, এভারগ্রীণ কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক চলমান থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


নওগাঁয় সোনালি আঁশের হাটে হাসি-আশার মিশ্র চিত্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

দেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল ‘সোনালি আঁশ’ খ্যাত পাট এখন ওঠতে শুরু করেছে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। মৌসুমের শুরুতে সন্তোষজনক দাম পেয়ে আংশিক খুশি কৃষকরা। তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে পাটের দাম কমেছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত, যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

জেলার মান্দা উপজেলার সাপ্তাহিক সতিহাটে মঙ্গলবার ছিল পাটের জমজমাট বেচাকেনা। এই হাটটিকে জেলার সবচেয়ে বড় পাটহাট হিসেবে এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত। এই পাটের হাটটিতে মঙ্গলবার ভোর থেকেই কৃষকদের ভ্যান, সাইকেল ও ভটভটি করে পাট নিয়ে আসতে দেখা গেছে। ওই হাটটিতে সকাল ৮টার মধ্যেই বেচাকেনা শেষ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার প্রকারভেদে প্রতি মণ পাট ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে কৃষকরা বলছেন, আগের সপ্তাহে এ দাম ছিল ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা। ফলে দাম কমে যাওয়ায় কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন চাষিরা। তাদের মতে, কিছু ব্যবসায়ীর ‘সিন্ডিকেটের’ কারণেই দাম কমানো হয়েছে।

পাট চাষিরা বলছেন, প্রতি বিঘা পাট চাষে হালচাষ, বীজ, সার, সেচ, শ্রমিক, কীটনাশক, জাগ দেওয়া ও কাটা-মাড়াইসহ মোট খরচ পড়ে ১১ থেকে ১৪ হাজার টাকা। সাধারণত বিঘাপ্রতি জমিতে ফলন হয় প্রায় ৭ থেকে ১০ মণ। গত বছর পাটের দাম ছিল ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা মণ। সেই তুলনায় এবার কিছুটা ভালো দাম মিললেও বাজারে অনিশ্চয়তা থাকায় চাষিরা সন্তুষ্ট নন।

মান্দার বাঙ্গালপাড়া গ্রামের চাষি বেলাল হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে পাট বিক্রি করেছি ৩ হাজার ৭০০ টাকা মণ দরে। আর এক সপ্তাহ পরেই ৩ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে হলো। এভাবে দাম কমতে থাকলে আমরা লোকসানে পড়ব। কারণ পাট চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটিই বেশি।’

মহাদেবপুর থেকে আসা আরেক চাষি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে কিছু কিছু এলাকায় পাট খেত নষ্ট হয়েছে। তবে ভালো ফলন পেয়েছি, বিঘায় ৮ মণ হয়েছে। দাম পেয়েছি ৩ হাজার ৭০০ টাকা মণ, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা ভালো।

বাজারের অবস্থা নিয়ে পাট ব্যবসায়ী শামিম আহমেদ জানান, ‘বাজারে আসা পাট কিছুটা ভেজা থাকায় দাম কম। এছাড়া রাজধানীর মোকামে দাম কমে যাওয়ায় এখান থেকেও কম দামে কিনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি মণ পাট ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকায় কিনেছি। এবার হাটে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার পাট লেনদেন হয়েছে।’

পাটের ভবিষ্যৎ এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শ: জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. খলিলুর রহমান জানান, পানি স্বল্পতা, আঁশ ছাড়ানোর জটিলতা ও শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা ধীরে ধীরে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে জেলার পাট আবাদ গত ৫ বছরে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর কমেছে।

তিনি আরও জানান, এ বছর জেলায় ৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৯ হাজার ৬৮৫ টন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ানো গেলে পাটের চাহিদা এবং দাম উভয়ই বাড়বে। এতে কৃষকরা উৎসাহিত হবেন এবং পাটের হারানো গৌরব ফিরে আসবে।

পাটের আবাদ, উৎপাদন ও বিপণনে একাধিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে। বাজার ব্যবস্থাপনা ও সরকারি সহযোগিতা পেলে কৃষকরা আবারও পাটচাষে আগ্রহী হতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ১০ হাজার ৫০০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে উন্নত জাতের পাট বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছে। পাটের ন্যায্য দাম ও আঁশ ছাড়ানো সুবিধা বাড়ানো গেলে আগামীতে চাষাবাদ বাড়বে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনে সে অনুযায়ী আমরা পাট চাষ বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

নওগাঁ পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘পাটের বাজারমূল্য এবং আঁশ ছাড়ানোর আধুনিক কৌশল সুবিধা যদি বাড়ানো যায় তাহলে পাটের হারানো গৌরব ফিরে পাওয়া সম্ভব।

জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলায় এ বছর তিন হাজার ৪১০ হেক্টর জমি থেকে ৯ হাজার ৬৮৫ টন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যার বাজারমূল্য অন্তত ৭২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বেশি।


দৌলতপুরে বন্যায় ১ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক সমাজ। পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের চরাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা। এতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির উঠতি ধান, পাট, ভুট্টা, সবজি, কলা ও মরিচের ফসল সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যার পানিতে প্রায় সব আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। তাদের চোখের সামনে স্বপ্নের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ভবিষ্যৎ। বছরের অধিকাংশ খাদ্য চাহিদা পূরণে যে ধানের ওপর চরবাসী নির্ভর করেন, সেই ধান এখন পানির নিচে। বিশেষ করে ধানগাছ ডুবে যাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। চিলমারী ইউনিয়নের একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে আকস্মিক এই বন্যায় ধান, পাট, ভুট্টা, কলা, সবজি ও মরিচ সব ফসলই ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি আগে কখনো দেখেননি বলেও জানান তারা। চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পদ্মার চরের প্রায় সব আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যা কৃষকদের চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলেছে।’

দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে প্রায় ১ হাজার ১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সবধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।

এদিকে, কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল করিম জানান, এবারের বন্যায় জেলার মোট ১ হাজার ২৯৮ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির শিকার হয়েছে। যার মধ্যে দৌলতপুরেই ১ হাজার ১ হেক্টর। কৃষকদের সহায়তায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

বর্তমানে কুষ্টিয়ার বন্যাক্রান্ত কৃষকদের মুখে শুধু একটাই কথা ‘ফসল না উঠলে পরিবার চলবে কীভাবে?’ এ সংকটময় মুহূর্তে কৃষকদের টিকিয়ে রাখতে জরুরি হয়ে পড়েছে সরকারি সহায়তা, প্রণোদনা ও কৃষি ভর্তুকি।


মেহেরপুরে নারী ফুটবল দলের অধিনায়কের আত্মহত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জুলফিকার আলী কানন, মেহেরপুর প্রতিনিধি

অবশেষে মারা গেলেন মেহেরপুর জেলা প্রমিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সুস্মিতা খাতুন।

গত সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুস্মিতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সে মেহেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ও মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সুস্মিতা মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের নাতনি। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টনে জেলা পর্যায়ে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন।

মাসখানেক আগে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর পর মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে পরে যশোর হাসপাতালে নেয়া হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে যশোর থেকে ঢাকায় নেওয়া হলে সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনের কারণে কিডনিতে জটিলতা দেখা দেয়, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়।


গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ জালে অবাধে চলছে মাছ শিকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদী ও মরা পদ্মায় ছেয়ে গেছে কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী। এছাড়াও পদ্মা নদী ও নদীর শাখা খাল বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী শুরু হয়েছে মাছ শিকারের প্রতিযোগিতা। ফলে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। জানা গেছে, পদ্মা নদী সহ খাল বিলে চায়না দোয়ারী ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ইলিশ, পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মা মাছ শিকার করা হচ্ছে। এছাড়া সব প্রকার দেশীয় প্রজাতির মাছ, পোকামাকড়, ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়া মারা পড়ছে এই সব মরণ ফাঁদে। সেইসঙ্গে রক্ষা পাচ্ছে না বিপন্ন জলজ প্রাণীও। এ কারণে নদীতে বিলুপ্তর পথে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণী।

সচেতন মহলের দাবি, পদ্মা নদীতে অবাধে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী দিয়ে মাছ শিকার করা বন্ধ না করলে আগামীতে নদী থেকে বিপন্ন প্রজাতির মাছ ও দেশি মাছগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। যা আগামী প্রজন্মের কাছে শুধু ছবিতে ও গল্পেই শোভা পাবে। তারা আরো বলেন, নদীতে তেমন কোন অভিযান হয়না, নদীর আশপাশের যে সমস্ত বাড়ি রয়েছে তাদের প্রত্যেকের কাছে চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল রয়েছে। উপজেলা মৎস্য বিভাগ এ বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেন না।

একাধিক জেলেরা বলেন, স্থানীয় কিছু অসাধু জেলেদের কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ সহ জলজ প্রাণীগুলো। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে আটকা পড়ে জাটকা ইলিশ, ডিমওয়ালা মা মাছ। যার কারণে ডিম ছাড়তে না পারায় ইলিশ সহ দেশি প্রজাতির মাছ আর দেশে দেখতে পাব না। এসব অবৈধ মাছ শিকার করার মরণ ফাঁদগুলো অতি দ্রুত নদীতে ও হাট বাজারে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করা প্রয়োজন।

গোয়ালন্দ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়, নদী, খাল বিলে যে সমস্ত অবৈধ জাল ব্যবহিত হচ্ছে তা সম্পন্ন নিষিদ্ধ। এরমধ্যে চায়না দুয়ারী জাল ব্যাপকভাবে ব্যবহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে নদীতে অভিযান দিয়ে চায়না দুয়ারিও কারেন্ট জাল জব্দ করে নদীর পাড়ে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী ব্যবহার যাতে না করে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।


banner close