সংসার চালাতে চায়ের দোকানে কাজ করার পাশাপাশি এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ফাইভ পেয়েছেন স্মৃতি আক্তার নামে এক ছাত্রী। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ময়না গ্রামের বাসিন্দা। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বোয়ালমারীর কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে এ ফলাফল অর্জন করে সে।
স্মৃতি আক্তার সাংবাদিকদের জানান, পরিবারের আয়ের সংস্থানের পাশাপাশি পড়াশোনার খরচ জোগানোর জন্য তারা দুই বোন বাড়ির পাশের মুদি দোকানে চা বিক্রি করেন। প্রথমে একটু সমস্যা হলেও এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। সারাদিন চা বিক্রির পাশাপাশি সময় পেলেই পড়াশোনার কাজ সেরে নেন। পাশাপাশি রাতে যেটুকু সময় পান তা কাজে লাগান। এভাবেই তারা দুই বোন পড়াশোনা করে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার পথ বেছে নিয়েছেন। তবে মেডিক্যালে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও অর্থের অভাবে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে পড়াতে পারছেন না স্মৃতি।
বড় বোন মনিকা আক্তার দারিদ্রতার সঙ্গে সংগ্রামের পাশাপাশি ফরিদপুরের সারদা সুন্দরী কলেজ থেকে অনার্স পাশ করেন।
স্মৃতির মা আসমা আক্তার বলেন, ‘তার শ্বশুর প্রায় ৩০বছর আগে বাড়ির পাশেই একটি মুদি দোকান করেন। তিনি মারা যাওয়ার পরে তার স্বামী হারুন শেখ এই দোকানের দ্বায়িত্ব নেন। ছোটবেলা থেকে বাবাকে সহায়তা করতো তার মেয়েরা। তবে আয় উপার্জন তেমন না হওয়ায় এ দোকান ছেড়ে তিনি তালগাছ বেচাকেনার ব্যবসা শুরু করেন। এরপর পরিবারের অভাব ঘোঁচাতে বাবার বদলে দুই মেয়ে দোকানের দেখাশোনা শুরু করেন।
তাদের বাবা হারুন শেখ বলেন, ‘মেয়েদের এ সাফল্যে আমরা খুবই আনন্দিত। এর আগে তার আরেক মেয়ে মনিকা অনার্স পাশ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেন। এই টাকা কাজে লাগে তাদের পড়াশোনায়। মেয়েদের উচ্চশিক্ষা লাভে বড় বাধা আর্থিক সংকট। এই বাধা না থাকলে তারা আরও ভালো ফলাফল করতে পারত।’
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. বাচ্চু শেখ বলেন, ‘মনিকা ও স্মৃতির এই সাফল্যের খবর জেনে তিনি তাদের বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন জানান। সারা গ্রামের মানুষ এ খবরে আনন্দিত। তারা ভবিষ্যতে পড়াশোনা করে আরও বড় হোক এই কামনা পুরো গ্রামবাসীর।’
এসএসসি -২০২৫ এর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আ. খ. ম ফারুক আহমেদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি ) তাপস শীল, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। শিক্ষকদের পক্ষ বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র শিক্ষক রতন কুমার রায়, তাপস রায় চৌধুরী, মো. মফিজুর রহমান, অসীম চন্দ্র বর্মণ।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, ফাতিমা ইসলাম রিচি, সিলভিয়া রউফ, মিতিলা দাস মিলি, সাহিবা রহমান সাহেরী প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে কৃতী শিক্ষার্থীদেরকে সম্মাননা সহ ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া এবং অতিথিবৃন্দ।
এসএসসি -২০২৫ সালে সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ- ৫ পেয়ে জেলায় সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়।
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের শরীফবাড়ী ষ্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী জেএইচ ক্লাসিক নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ছয়জনকে বরিশাল ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার বিকেলে।
জানাগেছে, কুয়াকাটা থেকে জেএইচ ক্লাসিকের যাত্রীবাহী বাস পটুয়াখালী যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের শরীফবাড়ী ষ্ট্যান্ডে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ওই বাসে থাকা ১৫ জন যাত্রী আহত হয়। গুরুতর আহত অপরাজিতা (খুলনা), সুলতানা পারভীন (কুমিল্লা) , নাহিদা সুলতানা (জয়পুরহাট), নুসরাত জাহান (খুলনা), রনজিৎ ও দুলাল চন্দ্রকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অপরাজিতা, রনজিৎ ও সুলতানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম ) হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত যাত্রী সুলতানা পারভীন বলেন, কুয়াকাটা ভ্রমণ শেষে গ্রামের বাড়ী যেতে কুয়াকাটা থেকে গাড়ীতে ওঠি। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেছে। এতে বাসের অনেক যাত্রী আহত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহত তিনজনতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেছে। এতে বেশ কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছেন।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা উজানের পানিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির আইকন খ্যাত পর্যটকদের আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতু ডুবে গেছে। কতৃপক্ষ জানায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে সেতুর পাটাতনে পানি ছুই ছুই করছিলো। আজ বুধবার সকালে সেতুর পাটাতন ৪ ইঞ্চি পানির নিচে তলীয়ে যায়।
এদিকে সেতুটি পানিতে তলীয়ে যাওয়ায় রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশন কতৃপক্ষ নিরাপত্তা ও সেতু সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করে সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন পরিচালিত রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, এই বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টির কারনে উজানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লেকের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারনে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনে পানি উঠে যাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে আসা পর্যটক রাশেদা বেগম বলেন, বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটির প্রকৃতি অনেক সুন্দর তাই ঘুরতে এসেছি কিন্তু এসে দেখি ব্রীজের উপর পানি।
রাঙামাটি পর্যটন বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধি পেলে প্রতি বছর ঝুলন্ত সেতু পানিতে ডুবে যায়। আজকে সকাল থেকে সেতুর পাটাতনে পানি উঠে গেছে। তিনি বলেন, সেতু ডুবে গেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায় ,পর্যটকরা আর ঝুলন্ত সেতুতে বেড়াতে আসেনা। পর্যটন ব্যবসায় ধ্বস নামে।
কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য মতে, এ সময় হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৯ এমএসএল। কিন্তু হ্রদে পানি রয়েছে ১০৫.৫৪ এমএসএল। ৫টি ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২২ মেগাওয়াট।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল হলেও ১০৮ এমএসএল হলেই প্রতি বছর ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগের কথা বললেও কার্যকর কোনও ভূমিকা চোখে পড়েনি।
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ভোররাতে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর একটি বিশেষ টহল দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল মীর আলী এজাজ।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল ও চোরাচালানবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। বুধবার ভোরে সীমান্ত পিলার ২০৮০/এম হতে সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত বাজির সংখ্যা ৪,৭৫,৮৪০ পিস, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৯৫,৬৭,২০০ টাকা। বাজিগুলো বিভিন্ন প্রকার ও আকারের ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবি আরও জানিয়েছে, আটককৃত মালামাল যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কুমিল্লা কাস্টমসে জমা করা হয়েছে।
জামালপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের হাট চন্দ্রা পলাশ তলা ও কাজির আখ এলাকায় জলবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে হাটচন্দ্রা পলাশ তলা ও কাজির আখ এলাকার ভুক্তভোগীদের ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় এলাকাবাসী। ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন মো: হারেজ আলী, জয়বানু,শহিদুল্লাহ আব্দুর রহিম,মহসিন আলী সহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টির কারণে জামালপুর পৌরসভার হাটচন্দ্রা কাজির আখ ও পলাশ তলা এলাকা পানিতে তলিয়ে যায় পুরো এলাকা। বছর জুড়ে জলাবদ্ধতার কারনে পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগ এখন চরমে। পানিতে তলিয়ে কারনে গত ৪/৫ বছর যাবৎ অনাবাদি রয়েছে ৩শ একর জমি। জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর সভায় বার বার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি তারা। অনতিবিলম্বে পানি নিষ্কাশনের জোর দাবী জানান বক্তারা।
মাত্র কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতেই মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার হরগজ নয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জমে হাটু পানি। এ অবস্থায় পানি মাড়িয়ে ক্লাসে যেতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকদেরও। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এমন পরিস্থিতি চললেও এখনো স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮১ জন। মাঠে পানি নিষ্কাশনের কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাবিখা প্রকল্প থেকে ড্রেন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা কোন কাজে আসেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪৬ হাজার টাকার বরাদ্দে মাঠে কিছু মাটি ফেলা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাজাহান মোল্লা এ কাজের দায়িত্বে থাকলেও অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ কাজ না করেই কাজ শেষ বলে দাবি করেছেন।বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় ,স্কুল মাঠজুড়ে পানি জমে আছে। নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের পানি মাড়িয়ে ক্লাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।
৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, পানি জমে থাকলে প্রায়ই আমাদের বই খাতা পানিতে পড়ে যায়। পানি জমে থাকার সময় আমরা কোন খেলাধুলা করতে পারি না। আমরা এ পরিবেশ চাই না। পড়ালেখার পাশা পাশি নিয়মিত মাঠে খেলাধুলা করতে চাই।
বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নিরবের বাবা রাসেল মিয়া জানান, বাচ্চারা স্কুলে গেলে আমাদের সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়-কখন যে পানিতে পড়ে যায় কে জানে।
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সোহানার মা শিখা আক্তার অভিযোগ করেন, শুনেছি টাকা এসেছে মাঠে কাজের জন্য, কিন্তু কাজের চেয়ে দুর্নীতিই বেশি হয়েছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই।
এ বিষয়ে হরগজ ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাজাহান মোল্লার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সীমা রানী সরকার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৮১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। স্থানীয় মেম্বার কিছু মাটি ফেলেছেন, ভবিষ্যতে আবার ফেলবেন বলেছেন। তবে মাঠে পাইপ লাগানো হয়েছে।
হরগজ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন বলেন, হরগজ নয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে পানি জমে থাকে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে কাবিখা ২৪-২৫ অর্থ বছরে বরাদ্ধ দেওয়া হয় একটি ড্রেন নির্মাণ করার জন্য। আমার জানামতে কাজটি সঠিকভাবে করা হয়নি বলে পানি সমস্যা রয়েই গেছে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে থাকা এবং কাবিখা প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে আমার দপ্তরে কেউ জানায়নি। লিখিত আকারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ (বিকপ) এর উদ্যোগে ১৭ জুলাই ২০২৫ জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের বিদ্যালয়সমূহকে বৃত্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে নরসিংদী জেলা কিন্ডারগার্টেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী জেলা কিন্ডারগার্টেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: রমজান আলী প্রামাণিক ও সাধারণ সম্পাদক মো: মুজিবুর রহমানসহ নরসিংদী জেলা উপজেলা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ বলেন, নরসিংদী জেলায় ৬ শতাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় ১,২৫,০০০ জন শিক্ষার্থী, ৬৫০০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ৩০০০ জন উদ্যোগক্তা বা পরিচালক কর্মরত রয়েছে। এছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে ১,০০,০০,০০০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে। তাতে ৬৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৫০ হাজার কর্মচারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যা প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবদান নি:সন্দেহে সর্বমহলে প্রশংসার দাবী রাখে।
বক্তাগণ আরো বলেন, শিক্ষা শিশুদের মৌলিক অধিকার। কোন শিশুকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অনেক শিক্ষার্থীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান বৈষম্য বিরোধী সরকার। বিধায় বর্তমান সরকারের সময়ে কিন্ডারগার্টেনের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আবার সেই বৈষম্যের শিকার হোক এটা অপ্রত্যাশিত।
বিগত ১৭.০৭.২৫ইং তারিখে জারিকৃত পরিপত্রটি বাতিল করে ২০২৫ইং এ অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিক বৃত্থি পরীক্ষাসহ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য গৃহীত অন্যান্য যে কোনো কার্যক্রমে প্রাথমিক শিক্ষার অংশীজন হিসেবে কিন্ডারগার্টেন ও বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সমঅধিকার যেন অক্ষুন্ন থাকে, তার প্রতি সদয় দৃষ্টি দানের জোর দাবী জানানো হয়।
মাগুরা শহরে স্কুল ও হাসপাতালের সামনে ফেলা হচ্ছে বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা, মানা হচ্ছে না কোন বিধি নিষেধ। ফলে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে কোমলমতি শিশুসহ সাধারণ মানুষ।
মাগুরা শহরের পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় , পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সামনে মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে এসব ময়লা আবর্জনা। এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলার কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিন শতশত ছেলে মেয়েরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে ।বিশেষ করে, পিটিআই স্কুলের সামনে ময়লার স্তূপ থেকে বেশি দুর্গন্ধ ছড়ায় যার কারনে আশেপাশের মানুষ নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ।
পি টি আই স্কুলের এক অভিভাবক তামান্না তাবাসসুম বলেন , প্রতিদিন বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় নাকে কাপড় চেপে ধরেও এই দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না।
এরকম শত শত অভিভাবকের দাবি এইখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করা হোক।
দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে ময়লা ফেলার কারণে সেটা এখন ভাঙারে পরিণত হয়েছে , একটু বৃষ্টি নামলেই ময়লাগুলো মহাসড়কের উপর চলে আসে ফলে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলেও অসুবিধা হয়।
এ ব্যাপারে মাগুরা পৌরসভার প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আব্দুল কাদের দৈনিক বাংলা কে জানান , পৌরসভার ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ভ্যান গাড়ি এবং ড্রামের ব্যবস্থা আছে কিন্তু শহরের কিছু ভদ্র সমাজের লোকজন টাকা খরচের ভয়ে নিজেরাই পলিথিনের ব্যাগে করে এই ময়লা গুলো ফেলেন, ফলে জনসাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এটা বন্ধ করা পৌর কর্তৃপক্ষের একার দ্বারা সম্ভব নয় ,আগে জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে ।সবাইকে একসঙ্গে এটাকে প্রতিরোধ করতে হবে ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব স্থান থেকে দ্রুত ময়লা অপসারণ ও ময়লা ফেলা বন্ধ করতে পৌর কর্তৃপক্ষকে মাইকিং ও জরিমানা সহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে বলেন । অন্যথায় মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস স্কিমের (পিইডিপি) আওতায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বুধবার পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন স্টিভ, জেলা শিক্ষা অফিসার খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফুল কবির মো. কামরুল হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশপ্রেম ও সততার সাথে জীবন যাপন করতে হবে। যত্ন এবং সহমর্মিতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আপন করতে হবে। পরচর্চা পরিহার করতে হবে। শুধু নম্বরের জন্য নয়, বুঝে পড়তে হবে। তিনি সকলকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ফুটকিবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এমদাদুল হক, জগদল দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট দেলোয়ার হোসেন, করতোয়া কালেক্টরেট শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক নাসিমুল গণি, অভিভাবকদের মধ্যে কিশোয়ার জাহান, ২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষার সেরা শিক্ষার্থী আহসানউল্লাহ ২০২২ সালে আলিম পরীক্ষার সেরা শিক্ষার্থী আফরিনা সুরাইয়া অনন্যা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক ও সমমান ও উচ্চমাধ্যমিক সমমান পরীক্ষায় সবোর্চ্চ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৮ জন করে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।
এছাড়া এসএসসি ও সমমান শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকে ১০ হাজার এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ২৫ হাজার করে টাকা নিজ নিজ ব্যাংক হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, এদেশে আওয়ামী ফ্যাসিজমের কারণে জনগণ বিগত দিনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সব গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দলীয় লোক বসিয়ে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার।
আজ বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে নীলফামারীর জলঢাকার বগুলাগাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্থে ২০জন শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারানো শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় যারা গুম, হত্যা ও নির্যাতনে সাথে জড়িত ছিল, তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
তিনি বলেন বিগত দিনে তত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়েছিল, অথচ এক বছর হতে যাচ্ছে, অন্তর্র্বতীকালীন সরকার এখনও নির্বাচন দেয়ার কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। বরং ফ্যাসিস্ট শাসনকে পুন:র্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। আমরা চাই দ্রুত রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন দিয়ে জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন হোক।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহবায়ক মীর সেলিম ফারুক, সদস্য সচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল,যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা প্রধান হক বাচ্চু,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ আলী,আনিছুর রহমান কোকো,শেফাউল জাহাঙ্গীর শেপু,গোলাম মোস্তফা রঞ্জু,ময়নুল ইসলাম,সাবেক ছাত্রনেতা ও কৃষিবিদ মোক্তার আলী সরকার মিথুনসহ নের্তৃবৃন্দ।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে সুলতানা আক্তার রত্না (২০) নামের এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রাম থেকে পুলিশ তার মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত রত্না মাঝাপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে এবং দেবীগঞ্জ মহিলা কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, যে জায়গায় রত্নার মরদেহ পাওয়া যায়, সেখানে কিছুদিন আগে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল। জমিতে পানি ছিল। রত্নার সঙ্গে ছিল একটি কাপড়ের ব্যাগ, যার ভেতর ছিল পরনের কাপড় ও দুইটি সিদ্ধ ডিম। এছাড়া, সে এক হাতে মোবাইল ফোনের কাভার ধরে রেখেছিল, তবে মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি।
রত্নার বড় ভাই মামুন ইসলাম জানান, আমি সকাল ছয়টায় বাসা থেকে কাজে বের হই। সাতটার দিকে প্রতিবেশী কাওসার তার জমিতে আগাছানাশক দিতে গিয়ে ধান ক্ষেতে একজন মেয়েকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে। তার চিৎকারে ছুটে গিয়ে দেখি, সেটি আমার বোন। কোলে তুলে বাসায় নিয়ে আসি।
রত্নার বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, রাত ১২টার দিকে আমি বাইরে থেকে বাসায় ফেরার পর রত্না আমাকে ভাত বেড়ে দেয়। রাত দেড়টা পর্যন্ত জেগে ছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, মেয়ের ঘরের দরজা খোলা। স্ত্রী জানায় মেয়ে ঘরে নেই। এর কিছুক্ষণ পর খবর পাই ধান ক্ষেতে এক মেয়েকে পাওয়া গেছে। পরে দেখি সেটা আমার মেয়ে।
খবর পেয়ে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রত্নার গলায় দাগ পাওয়া গেছে। এছাড়া আর তেমন কোন অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি'র ক্রাইম সিন ইউনিট ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। যেহেতু এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা গভীর ভাবে খতিয়ে দেখছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
সিএনজিতে যাত্রী সেজে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করতে গিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আটক দুই নারী। আটকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ধরমণ্ডল এলাকার তামান্না বেগম (২৬) ও ফাতেমা বেগম (২২)।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ রোড এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিকাপ্রসাদের আকবরনগর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ভৈরব শহরে আসেন চার নারী। তাদের মধ্য দুই নারী রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ রোড এলাকায় নেমে গেলে অন্য যাত্রীরা তাদের স্বর্ণের চেইন খোয়া যাওয়ার বিষয়টি টের পান। সঙ্গে সঙ্গে তারা দুই নারী ছিনতাইকারীকে আটক করেন। এসময় তারা চেইন গিলে ফেলার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে চেইন উদ্ধার করে দেন এবং দুজনকে আটক করেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা আরও দুই নারী ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদের থানায় নিয়ে যায়।এ বিষয় ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক কবির জানান, আটক দুই নারী ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে ভৈরব থানাসহ আশপাশের বিভিন্ন থানায় চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুই এলাকা দুটি ব্রীজ ভেঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই। উপজেলার সোনারগাঁ পৌরসভার ছাপেরবন্ধ খালের ব্রীজ ও সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও এলাকা ব্রীজটি ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এলাকাবাসী, পর্যটকরা, হাসপাতালের রোগীসহ সাধারণ মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। এলাকাবাসী ব্রীজ দুটি পুনঃ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালে সিআরডিপি প্রকল্পের আওতায় সোনারগাঁ পৌরসভার চৈতী কম্পোজিট লিমিটেড থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ২নং ফটক রাস্তা টেন্ডার দেওয়া হয়। এছাড়াও টিপরদী মধুমতি ফিলিং স্টেশন থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ১নং ফটক পর্যন্ত রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও একটি সেতু নির্মাণের জন্য ৭কোটি ৪৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই টেন্ডারে ছাপেরবন্ধ খালের ওপর নির্মিত ব্রীজটি অধিক ঝুঁকিপূর্ন হওয়ার পরও এ ব্রীজটি টেন্ডার প্রক্রিয়া আওতায় আনা হয়নি। ফলে দীর্ঘ ১০ বছরেও এ ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়নি। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই সময়ে পৌর কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে এ ব্রীজের মাঝে গর্ত হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অংশে সিমেন্ট সুরকি দিয়ে ঢেকে দেয়। গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে ব্রীজের ঝুঁকিপূর্ন অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে পৌর কর্তৃপক্ষ গত এক সপ্তাহ ধরে বাঁশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। বিকল্প পথে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, পর্যটন নগরীর পানাম, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আসা দর্শনার্থী,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের আসা জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়ছেন।
অপরদিকে সাদিপুর ইউনিয়নের কাজিপাড়া-আমগাঁও খালের ওপর নির্মিত বরগাঁও এলাকার ব্রীজ ভেঙ্গে দীর্ঘদিন যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর দাবি, বরগাঁও এলাকায় খালের ওপর প্রায় ৫০ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে তা ভেঙ্গে যায়। ব্রীজের রেলিং-পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে এ সড়কে চলাচলরত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিল্প-কারখানার শ্রমিকসহ প্রায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। দুই কিলোমিটার এলাকা ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সাদিপুরের দবির উদ্দিন ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, বরগাঁও এলাকার ব্রিজটির মধ্যঅংশ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে স্কুলে আসা-যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তাছাড়া এ ব্রীজের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি করেন।
সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ছাপেরবন্ধ এলাকার ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত এ ব্রীজটি নির্মাণ করে পর্যটক, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবের দাবি জানিয়েছেন।
সোনারগাঁ পৌরসভার আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা ইমরান খাঁন জানান, ১০ বছরেও ব্রীজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানের এ এলাকার মানুষ অনেক পথ ঘুরে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।
সোনারগাঁ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, ছাপেরবন্ধ ব্রীজটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। সংস্কার করে কোন লাভ হবে না। এ খালে নতুন ব্রীজ নির্মাণের টাকা তাদের ফান্ডে নেই বলে দাবি করেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী মো আলমগীর হোসেন চৌধুরী বলেন, বরগাঁও এলাকার ব্রীজটি ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ থাকার খবর পেয়ে সেখানে সহকারী প্রকৌশলীদের পাঠানো হয়েছে। আশা করি ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করা হবে।