সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য দিলেন চট্টগ্রামের ৯ প্রার্থী

১৬টি আসনে ১৫১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন
রতন কান্তি দেবাশীষ, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত
রতন কান্তি দেবাশীষ, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত : ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০২

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ১৫১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৯ জন প্রার্থীর হলফনামায় দেখা গেছে, কারও কারও সম্পদ বেড়েছে, আয়ও বেড়েছে কয়েকগুণ। কারও স্ত্রী বিপুল সম্পদের মালিক। কারও কৃষিতে আয় বেড়েছে। কারও নগদ বেশি, কারও আছে ঋণ।

মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

তার জমা দেয়া হলফনামায় বলা হয়েছে, কৃষি খাত থেকে তার বাৎসরিক আয় ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া বাড়ি, দোকান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভাড়া পান বছরে ১০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। নগদ আছে নিজ নামে ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৯২ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একটি নোহা গাড়ি আছে ১৪ লাখ টাকার, স্বর্ণ নিজের নামে ১০ হাজার টাকার ও স্ত্রীর নামে ১৫ হাজার টাকার। এ ছাড়া তার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী আছে ১ লাখ টাকার। আসবাবপত্র আছে নিজের নামে ১ লাখ টাকার ও স্ত্রীর নামে ১০ হাজার টাকার।

আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। তিনি এমএ পাসসহ পিএইচডি ডিগ্রিধারী। তার হলফনামায় জানিয়েছেন, তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক। তার হলফনামায় তিনি এ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত সম্মানী ভাতা দেখিয়েছেন ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৪২ টাকা, জাতীয় সংসদ থেকে প্রাপ্ত ভাতা দেখিয়েছেন ২৩ লাখ ১৫ হাজার ৭০৭ টাকা। এ ছাড়া গতবার আল্লামা ফজলুল হক ফাউন্ডেশন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ১৯ লাখ টাকার সম্মানী ভাতা দেখালেও এবার সে তথ্য নেই তার হলফনামায়। পাশাপাশি একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার নিজের নগদ অর্থ না থাকলেও এবার দেখিয়েছেন নিজের নামে নগদ সঞ্চয় আছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৪১ টাকা, স্ত্রীর নামে গত নির্বাচনে ৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ ছিল, এবার দেখিয়েছেন ২০ লাখ ২১ হাজার ২৪৬ টাকা। এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা গত নির্বাচনের তুলনায় বেড়েছে ১ কোটি টাকার বেশি। গত হলফনামায় তা ছিল ৬৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা, এবার রয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৪ টাকা, স্ত্রীর নামেও বেড়েছে ব্যাংকে জমা অর্থ। ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার অর্থ ছিল একাদশ সংসদের হলফনামায়, এবার তা ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৫ টাকা। আয় বেড়েছে অন্য খাতগুলোতেও। এবার তার নিজের নামে ব্যাংক ডিপিএস ২ লাখ ৭২ হাজার ৯৯৪ টাকা, এফডিআর ২ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ২২০ টাকা, স্ত্রীর নামে ডিপিএস ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮ টাকা, এফডিআর ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৬ টাকা। গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকান ভাড়া খাতে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬২ টাকা আয় দেখালেও এবারে এ খাতে আয় দেখাননি তিনি।

নজরুল ইসলাম চৌধুরী

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তার বাৎসরিক আয় প্রায় ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৭ টাকা। তিনি ও তার স্ত্রীর কাছে নগদ আছে প্রায় ২২ লাখ টাকা। বাড়ি-দোকান ভাড়া বাবদ বছরে আয় করেন ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ২৬ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩২ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১১ লাখ ৬৭ হাজার ২৯২ টাকা ও স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩২ টাকা। তার নামে ব্যাংকে জমা ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৮৪ টাকা। কোম্পানিতে শেয়ার রয়েছে নিজ নামে ৩২ লাখ ১৫ হাজার ৭৬০ টাকা, স্ত্রীর নামে ৭৫ হাজার টাকা। তার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৫৮ লাখ ৭১ হাজার ৫৬৫ টাকা।

মাহফুজুর রহমান মিতা

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা। তার দেয়া হলফনামায় দেখা যায়, নিজের চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদ বেশি। আছে গাড়ি-বাড়ি। ঢাকার পূর্বাচলে তার নামে ২৩ লাখ টাকা দামের একটি ছয় কাটার ও একটি তিন কাঠার মোট দুটি প্লট রয়েছে। সব মিলিয়ে নিজ নামে প্রায় ৩৯ লাখ টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। তবে তার স্ত্রীর নামে রয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার স্থাবর সম্পত্তি। স্ত্রীর রয়েছে ৮৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ৩২ লাখ ২৭ হাজার টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ খাতে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এ খাতে তার স্ত্রীরও রয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ২১ হাজার টাকা।

নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর বাৎসরিক আয় ৫০ লাখ টাকা। নিজেরসহ স্ত্রী ও দুই সন্তানের নামে আছে ছয়টি গাড়ি। হলফনামায় বলা হয়েছে, ব্যবসা থেকে তার বছরে আয় হয় ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে আয় আসে ৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে সম্মানী পেয়েছেন বছরে প্রায় ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে বাৎসরিক আয় প্রায় ৫৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। নিজের নামে ব্যাংকে জমা ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪৭ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে মাত্র ১৪ হাজার ৮৭৫ টাকা ও দুই ছেলের নামে রয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৯০১ টাকা। নিজের নামে এফডিআর রয়েছে প্রায় ৫৬ লাখ টাকা ও ছোট ছেলের নামে ৫৮ লাখ ৬১৩ টাকার এফডিআর।

আব্দুল মোতালেব

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব। উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে নির্বাচনে এসেছেন তিনি। তার দেয়া হলফনামায় ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৬ টাকা, বাড়ি-দোকান ও অন্যান্য বাবদ আয় ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ ছাড়া শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে ২০ হাজার ৬২৬ টাকা, পেশা থেকে (শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন পরামর্শক ইত্যাদি) আয় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, চাকরি থেকে পান (পরিচালক ভাতা) বছরে ১৮ লাখ টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সম্মানী পেয়েছেন ৭ লাখ ৭ হাজার ৫৮৭ টাকা। তার নিজের নামে নগদ টাকা আছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার ২০৭ টাকা, স্ত্রীর নামে আছে ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৯ টাকা।

খাদিজাতুল আনোয়ার সনি

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের এ সদস্য এবার মূল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। তার জমা দেয়া হলফনামায় বলা হয়েছে, তার বসবাসকারী বাড়ির মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। তার বাৎসরিক আয় হিসেবে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ বাৎসরিক আয় ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫০ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্রে বছরে আয় হয় এক লাখ ৬৮ হাজার টাকা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ২৬ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ টাকা ও অন্যান্য খাতে তার আয় ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৭১ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা করা অর্থের পরিমাণ এক কোটি ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ১১৫ টাকা। স্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজ নামে পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত চার একর জমি আছে যার মূল্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, আছে অকৃষি জমি যার মূল্য ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া পাঁচলাইশে আছে তার আরেকটি ভবন, সেটিরও মূল্য চার কোটি টাকা।

আবু তৈয়ব

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব। জমা দেয়া হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, তার পেশা ব্যবসা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে আছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৩১০ টাকার সম্পদ। ব্যবসা ছাড়া অন্য কোনো খাতে আয় নেই। ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ৪ লাখ ১৯ হাজার ৭২৮ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ টাকা আছে ৮৫ হাজার ৩১০ টাকা।

সোলায়মান আলম শেঠ

চট্টগ্রাম–৮ (চান্দগাঁও–বোয়ালখালী) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জাতীয় পার্টির নেতা সোলায়ামান আলম শেঠ। পেশায় ব্যবসায়ী এ নেতার হলফনামা অনুযায়ী বার্ষিক আয় ১৫ লাখ ৬২ হাজার ২২৪ টাকা। এ ছাড়া চাকরি থেকে আয় করেন ১৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ সঞ্চয় আছে ১ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬৭ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে অকৃষি জমি পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত জমির মূল্য ১৪ কোটি ৫০ লাখ ১২ হাজার ৭৯৮ টাকা, খাগড়াছড়িতে থাকা তার জমির মূল্য ৫৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। তবে দুটি ব্যাংকে দায়দেনা আছে তার। সেই দায়-দেনার পরিমাণ ১০২ কোটি ৮৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৬২ টাকা।


ভালুকায় শীতের পোশাকের বাজার জমজমাট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভ্রাম্যমাণ শীতের পোশাকের বাজার। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বাসস্ট্যান্ড পৌর ফল মার্কেট সংলগ্ন ফুটপাতজুড়ে অস্থায়ী দোকানগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে পুরো এলাকা এখন শীতের বাজারে মুখর।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, শিশুদের সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি, কম্বল, মাফলার, টুপি থেকে শুরু করে বয়স্কদের শাল, সুয়েটার ও জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। তুলনামূলক কম দামে এসব পোশাক পাওয়া যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষেরাই এখানকার প্রধান ক্রেতা।

ক্রেতা শরিফুল ইসলাম জানান, বড় বড় শপিং মলে গিয়ে সাশ্রয়ী দামে শীতের কাপড় পাওয়া কঠিন। সেখানে যে দামে পাওয়া যায়, ফুটপাতে তার অর্ধেক দামেই ভালো মানের পোশাক মিলছে। তাই পরিবারের সবার জন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় এখান থেকেই কিনেছেন তিনি।

স্থানীয় গার্মেন্টস কর্মী আছিয়া বলেন, ‘আমার বেতন কম, সংসারের খরচ বেশি। বড় শপিং মল থেকে কেনাকাটা করা সম্ভব নয়। তাই বাচ্চাদের জন্য ফুটপাত থেকেই শীতের কাপড় কিনছি। আমরা বড়রা শীত সহ্য করতে পারি, কিন্তু বাচ্চারা পারে না। তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

ফুটপাতের বিক্রেতা মেবারক মিয়া জানান, শীত পড়তেই বেচাকেনা অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতারা আসছেন। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের কাপড়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অনেকেই একসঙ্গে দুই-তিনটি করে সোয়েটার, টুপি ও মোজা কিনে নিচ্ছেন।’

এদিকে রাস্তার পাশে দোকান বসানোর কারণে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা এখন উৎসবমুখর। শীত আরও বাড়লে বেচাকেনাও আরও বাড়বে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।


কালীগঞ্জে ন্যাশনাল জুট মিলে গণহত্যা ১৩৬ শহীদকে শ্রদ্ধায় স্মরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ইতিহাসে ১ ডিসেম্বর দিনটি শুধু একটি তারিখ নয়- এটি এক বেদনাঘন অতীত, এক রক্তঝরা স্মৃতি, এক গভীর শোকের দিন। স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ প্রহরে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের ন্যাশনাল জুট মিলে সংঘটিত হয়েছিল দেশের অন্যতম নৃশংস গণহত্যা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পৈশাচিক ব্রাশ ফায়ারে মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ হারান ১৩৬ জন নিরীহ শ্রমিক, কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধার সহযোগী। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সংঘটিত এই হত্যাযজ্ঞ আজও প্রজন্মকে নাড়া দিয়ে যায়।

সোমবার শীতের কুয়াশায় মোড়া সকাল যেন আরও বিষণ্ণ হয়ে ওঠে শহীদদের স্মরণে। উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সর্বস্তরের মানুষ শহীদ গণকবরস্থানে পৌঁছে একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। মুহূর্তেই পুরো এলাকায় নেমে আসে নিস্তব্ধতায়। শহীদদের নামে শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের চোখে ছিল অশ্রুসিক্ত শোক, হৃদয়ে বেদনার ঢেউ।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর হয় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন স্থানীয় আলেমরা।

বিভিন্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণরা জানান, ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর সকালে শ্রমিকরা যখন নাস্তার বিরতিতে ছিলেন, ঠিক তখনই শীতলক্ষ্যা নদীর ওপার ঘোড়াশাল ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি সেনারা নদী পেরিয়ে হঠাৎ আক্রমণ চালায়।

মিলের ভেতরে ঢুকে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম করে একে একে শ্রমিক, কর্মকর্তা ও সাধারণ কর্মচারীদের ধরে ফেলে। এরপর মিলের পশ্চিম পাশে লাইনে দাঁড় করিয়ে বর্বর ব্রাশ ফায়ার চালানো হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলতে থাকা এই বর্বরতায় প্রাণ হারান ১৩৬ জন বাঙালি।

ভয়াবহতার চিহ্ন- ৩ দিন লাশ পড়ে থাকে মিল প্রাঙ্গণে হত্যাকাণ্ড শেষে পাকিস্তানি বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেওয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। আতঙ্কে কেউ মিলের ভেতরে প্রবেশ করতে সাহস করেননি টানা ৩-৪ দিন। স্বাধীনতার পর এলাকাবাসী মিলের ভেতরে ঢুকে দেখতে পান- অগণিত বিকৃত লাশ, গলিত দেহাবশেষ এবং শনাক্তকরণ অসম্ভব হয়ে পড়া বহু শহীদের অবশিষ্টাংশ। পরে মিলের দক্ষিণ পাশে বড় একটি গর্ত করে সবাইকে গণকবরে দাফন করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভ ও মসজিদ- যে স্থাপনা ধরে রেখেছে বেদনার ইতিহাস। শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে মিল কর্তৃপক্ষ গণকবরস্থলে নির্মাণ করেছে ‘শহীদের স্মরণে ১৯৭১’ শিরোনামের একটি স্মৃতিস্তম্ভ।

এছাড়া শহীদদের রুহের মাগফিরাতের জন্য সেখানে একটি পাকা মসজিদও নির্মাণ করা হয়েছে। এসব স্থাপনা আজও মনে করিয়ে দে- এই মাটিতে ১৩৬ জন বীরের রক্তের দাগ লেগে আছে। এই গণহত্যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক রক্তাক্ত, বেদনাবিধুর অধ্যায় হিসেবে চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে।


ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির কলরবে মুখর চলনবিল

পাখিদের কোলাহল, কলরব, ডানা মেলে অবাধ বিচরণ সবার দৃষ্টি কাড়ছে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে প্রকৃতিরও রূপ বদলায়। আর সেই সূত্র ধরেই চলনবিল কখনো থৈ থৈ পানিতে টইটম্বুর- মাছের ভাণ্ডার, কখনো মাঠজুড়ে ফসলে ভরা সবুজের সমারোহ, কখনো মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ আবার কখনো পাখির কলরবে মুখর পরিবেশ।

অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত চলনবিল এখন নানা অতিথি পাখির কলরবে মুখরিত। প্রতি বছরের মতো এবারও খাবারের সন্ধানে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসছে নানা রূপ বৈচিত্র্যের পাখি। হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে মিঠা পানির মাছের সন্ধানে এসব অতিথি পাখির সমাগম হয়েছে বিলটিতে। শীত মৌসুমে অতিথি পাখির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ বিল চলনবিল। বিলে পাখিদের কোলাহল, কলরব, ডানা মেলে অবাধ বিচরণ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। অতিথি পাখিদের আগমনে পুরো চলনবিল এলাকাই এখন দৃষ্টিনন্দন।

‘চলনবিলের ইতিকথা এবং জেলা পাবনার ইতিহাস’ গ্রন্থ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিভাগের ৬ জেলার ১ হাজার ৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে ছিল চলনবিল। বর্তমানে সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও নাটোরের তিন জেলার ১০টি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৬০০ গ্রাম নিয়ে বৃহত্তর চলনবিল। বিলে রয়েছে ২১টি নদ-নদী, ৭১টি নালা-খাল ৯৩টি ছোট বিল। ১৮২৭ সালে জনবসতি এলাকা বাদ দিলে চলনবিলের জলমগ্ন অংশের আয়তন ছিল ৫০০ বর্গমাইলের বেশি। ১৯০৯ সালে চলনবিল জরিপের এক প্রতিবেদনে চলনবিলের আয়তন দেখানো হয় ১৪২ বর্গমাইল। এর মধ্যে ৩৩ বর্গমাইল এলাকায় সারা বছর পানি জমে থাকে। যদিও অনেকগুলোর অস্তিত্ব এখন আর নেই।

সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বরে চলনবিল থেকে পানি নামতে শুরু করে। এ সময় খাবার সংগ্রহের জন্য চলনবিলে ঝাঁকে ঝাঁকে বক, কানা বক, ইটালি, শর্লি, পিয়াজ খেকো, ত্রিশুল, বাটুইলা, নারুলিয়া, লালস্বর, কাঁদোখোচা, ফেফি, ডাহুক, বালিহাঁস, পানকৌড়ি, শামকৈলসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির ঝাঁকে ঝাঁকে আগমন করছে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এই সকল পাখি চলনবিলের বিভিন্ন মাঠে ও গাছে অবস্থান করে। তবে কিছু দেশি প্রজাতির পাখি সবসময় থাকে এই বিলে। সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকেও অতিথি পাখি আসে এই চলনবিলে।

স্থানীয়রা জানান, ‘বর্তমানে পাখিপ্রেমীরাও হরেক রকম পাখি দেখতে আসছেন এ বিলে। চলনবিলে সাধারণত হারগিলা, ভাঁড়ই, ছোট সারস, শালিক, চড়ুই, বড় সারস, কাঁদোখোঁচা, নলকাক, ডাহুক, হুটটিটি, চখাচখি, বুনোহাঁস, রাতচোরা, বালিহাঁস, বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়। তবে এ বছর বালিহাঁস, বক ও রাতচোরা প্রজাতির পাখি বেশি দেখা মিলছে। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু পাখি শিকারি এ সুযোগে জাল, বিষটোপ, কারেন্ট জাল, বিভিন্ন ধরনের ফাঁদে প্রাণ দিচ্ছে বিভিন্ন জাতের পরিযায়ী পাখি ও খাঁচার মাধ্যমে অতিথি পাখি শিকার করছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

প্রত্যন্ত বিলাঞ্চল থেকে শিকার করা এ সকল পাখি বারুহাঁস, বস্তুল, দিঘরীয়া, গুল্টা, রানীরহাট, বিনসাড়া, ভাদাস, নাদোসৈয়দপুর, গুরুদাসপুর, কাছিকাটাসহ বেশ কয়েকটি বাজারে বিক্রি করা হয়। প্রতিটি বক ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, রাতচোরা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা জোড়া, বালিহাঁস ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করছে। তবে ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে দণ্ডের বিধান থাকলেও তার কোনো প্রয়োগ নেই।

পরিবেশবিদরা জানান, পাখিরা শুধু প্রকৃতির শোভা বাড়ায় না, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করে। পোকামাকড় খেয়ে এরা কৃষকের উপকার করে। কিন্তু কিছু অসাধু চক্র আইন অমান্য করে পরিযায়ী পাখি শিকারে তৎপর হয়ে উঠেছে। এমনটা চলতে থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।

পরিবেশ অধিদপ্তর নাটোরের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এগুলো আমাদের কাজ নয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর আছে, আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

পাবনা জেলা প্রশাসক শাহেদ মোস্তফা দৈনিক বাংলাকে বলেন, পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণ ও পাখি শিকারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব ইনশাআল্লাহ।

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির দৈনিক বাংলাকে বলেন, আপনারা জানেন চলনবিল একটা দুর্গম এলাকা, সেখানকার বিচ্ছিন্ন চলাচল ব্যবস্থা আমাদের প্রতিবন্ধকতা। তারপরও আমরা নিয়মিত জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া বন্যপ্রাণী ও পরিযায়ী পাখি রক্ষায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।


জামালপুরে পরিক্ষা বন্ধ করে কর্ম বিরতিতে মাধ্যমিক শিক্ষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বৈষম্যের প্রতিবাদে ও ৪ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে পূর্ন কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই জেলার সবগুলো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ নিজ নিজ বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে করে চলমান বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বন্ধের দিনগুলোতে পরীক্ষা কার্যক্রম চালানোর কথা জানান শিক্ষকরা।
চার দফা দাবী গুলো: পৃথক অধিদপ্তরে শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড ধরে ৪ স্তর বিশিষ্ট পদ সোপান। বকেয়া টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদান। দীর্ঘদিন প্রমোশন বঞ্চিত শিক্ষকদের দ্রুত প্রমোশনের ব্যবস্থা করা ও অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য অ্যাডভান্স ইনক্রিমেন্ট আগের মত বহাল রাখার দাবি জানান।


সেন্টমার্টিন নৌ- রুটে স্পিডবোট ডুবি: মা–মেয়ের করুণ মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ–রুটে নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় মা–মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপমুখী স্পিডবোট নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-সেন্টমার্টিন পূর্বপাড়ার বাসিন্দা মরিয়াম খাতুন (৩৫) ও তাঁর ৫ বছর বয়সী মেয়ে মাহিমা।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন,“সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে কাছাকাছি থাকা একটি স্পিডবোট গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে। এতে মা–মেয়ে দুজন প্রাণ হারান।”

নিহত মরিয়ামের ভাই বশির আহমেদ জানান,“বোন আর ভাগনিটিকে নিয়ে টেকনাফে ফিরছিলাম। হঠাৎ ঢেউ এসে স্পিডবোট উল্টে দেয়। পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বোনের ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল—সেই পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।”

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আসিফ আলভী বলেন,“হাসপাতালে আনার আগেই মা–মেয়ে দুজনের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় আহত আরও দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিব হাসান চৌধুরী বলেন,“দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। কীভাবে স্পিডবোটটি উল্টে গেল, তা তদন্ত করা হচ্ছে।”


কেশবপুরে ভেজাল সারবিরোধী অভিযান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর প্রতিনিধি

রবিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোরের কেশবপুর উপজেলায় ভেজাল সারবিরোধী বিশেষ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফ নেওয়াজ। প্রসিকিউশনে ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অভিযান চলাকালে ভেজাল সার বিক্রির দায়ে সাগর দত্ত কাটি গ্রামের নলিনী কান্ত বৈরাগীর পুত্র সুশান্ত বৈরাগী (৫৪)–কে ভোক্তা অধিকার ও সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়। পাশাপাশি জব্দ করা ভেজাল সার ঘটনাস্থলেই বিনষ্ট করা হয়।

জনস্বার্থে ভেজালবিরোধী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।


খুলনায় আদালতের সামনে দুজনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় আদালতের সামনে প্রকাশ্যে দুইজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে আসেন রূপসার বাগমারা এলাকার রাজন ও হাসিব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা, জামিনে থাকা ওই দুই আসামি আদালতে হাজিরা দিয়ে আদালত ফটকের সামনে মোটরসাইকেল রেখে চা পান করতে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় চার থেকে পাঁচজন দুর্বৃত্ত হেঁটে এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা দুজন মাটিতে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে তাদের। দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
এদিকে, এ ঘটনার কারণে পুরো আদালত চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আদালতের আইনজীবীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে খুলনা সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জামিনে থাকা দুই আসামি হাজিরা শেষে আদালত ফটকের সামনে মোটরসাইকেল রেখে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় চার থেকে পাঁচজন হামলাকারী হেঁটে এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।’


ভেলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভেলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ইবি শিক্ষার্থীরা। রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বরিশাল জেলাকে ভোলা জেলার সাথে যুক্ত করা ২২ লাখ ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। ভোলা জেলা বাংলাদেশের একটি ব-দ্বীপ এলাকা যেখানে ৫৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাস মজুত রয়েছে। এখান থেকে রাষ্ট্র নিচ্ছে কিন্তু আমাদের সহযোগিতা করছে না। আমরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি। একটি রোগী যদি ভোলা থেকে রেফার করা হয় বরিশালে কিন্তু নদীতে ঝড়-তুফানের কারণে ওই স্থানে তাকে মৃত্যুর শয্যায় শয্যায়িত হয়ে হয়। একজন শিক্ষার্থীকে চাকরি পরিক্ষার জন্য রাজধানীতে সঠিক সময় উপস্থিত হতে পারছে না কারণ রাতে লঞ্চ পারাপার বন্ধ থাকে।

তারা আরও বলেন, ভোলা ও বরিশাল জেলায় সেতু এখন সময়ের দাবি। ইন্টিরিম সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। এদিকে সেতু উপদেষ্টা ভোলা জেলায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিল যে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কার্যক্রম শুরু করবেন। কিন্তু তারা প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে পারেন নাই। তারা অজুহাত দিচ্ছেন পরিবেশের নাকি সমস্যা হবে। আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে। ভোলা জেলা থেকে আপনারা সম্পদ আহরণ করছেন; কিন্তু বিনিময় কী দিচ্ছেন? ১৭ হাজার কোটি টাকার সেতু স্থাপন করে সহযোগিতা করতে পারছেন না। ইন্টিরিমের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো আরও সমৃদ্ধ করতে ভোলা জেলায় সেতু স্থাপন করে আশার আলো দেখাবে বলে প্রত্যাশা করি।


ফেনীতে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আসামি গ্রেপ্তার, প্রসেস জারি, তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান, মেডিকেল সার্টিফিকেট ও চার্জশিট দাখিল, ফৌজদারী কার্যবিধি ও মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। গত শনিবার বিকেলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

ওই কনফারেন্সে ফেনী জেলা প্রশাসক এর প্রতিনিধি, পুলিশ সুপার এর প্রতিনিধি, সিভিল সার্জন এর প্রতিনিধি, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার, সহকারী পরিচালক, বিজিবি, ব্যাটলিয়ন ৪, ফেনী, র্যাব-০৭ এর প্রতিনিধি এবং জেলার বিভিন্ন সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তাসহ ফেনী জেলায় কর্মরত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেটরা, সিআইডিসহ সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য ইউনিটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ওই কনফারেন্সে ফোকাল পার্সন হিসেবে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট কাজী মো. আবু জাহের বাদল।

কনফারেন্সে আদালত চত্বরসহ অন্যান্য সরকারি অফিসের নিরাপত্তা জোরদার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়াও কনফারেন্সে আসামি গ্রেপ্তার, প্রসেসজারী, তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান, মেডিকেল সার্টিফিকেট ও চার্জশীট দাখিল ও পোস্টমর্টেম রিপোর্টসহ সাক্ষী উপস্থাপন নিয়ে আলোচনা হয়।

কনফারেন্সে বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ আদালত চত্বরের নিরাপত্তাসহ সরকারি অফিসসমূহের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধিকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।

মামলার সিংহভাগ কাজই তদন্তকারী সংস্থা করে থাকেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য, মেডিকেল সনদ, আলামত জব্দকরণ, রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন সংগ্রহ, ডিএনএ টেস্ট, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, ভিকটিমের জবানবন্দি, বিশেষজ্ঞের মতামত, এজাহারকারী/ নালিশকারীর বক্তব্য রেকর্ড ও সংগ্রহে বিচ্যুতি হলে মামলায় বিরূপ ফল হয়। এজন্য সকল তদন্তকারী সংস্থা ও এজেন্সিকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ

করে দ্রুত মামলা নিস্পত্তির স্বার্থে মেডিকেল সনদ সরবরাহসহ পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট দ্রুত সরবরাহের জন্য সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিকে আরও দায়িত্ববান হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।

চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত মামলা নিস্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট মামলার সাক্ষী উপস্থাপন এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলাসমূহ গুরুত্বসহকারে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারকদেরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।


দেশজুড়ে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিভিন্ন জেলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল, মিলাদ, কোরআন খতম, নফল রোজা এবং মানবিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দেশজুড়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ, ধর্মীয় শিক্ষার্থী এবং বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতারা এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন।

জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর;

শান্ত শিফাত, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের বিএনপির কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ শাহজাহান আকন্দ, পরিচালনা করেন সদস্য সচিব লুৎফর রহমান। দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আবুল হোসেন সরকার (আবুল মুন্সী)। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-৩ (ঝিনাইগাতী-শ্রীবরদী) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল।

আহ্বায়ক শাহজাহান আকন্দ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী নন- তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীক। তার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল সাধারণ মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্রের সুশাসনের জন্য। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ। একজন তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম উদাহরণ। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদের প্রিয় নেত্রীকে সুস্থতা দান করেন। তার সুস্থতা দেশের মানুষকে নতুন করে আশার আলো দেখাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপি অতীতের মতো ভবিষ্যতেও নেত্রীর মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। নেত্রীকে সুস্থ দেখতে আমরা সবাই ব্যাকুল অপেক্ষায় আছি।’

সদস্য সচিব লুৎফর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা- এসবের প্রতিটি আন্দোলনের সামনে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তার ত্যাগ-অবদান তুলনাহীন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা শুধু বিএনপির বিষয় নয়; এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষাকারী প্রতিটি মানুষের আবেগের বিষয়। আমরা চাই আমাদের নেত্রী সুস্থ হয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। দেশের সকলের কাছে আমাদের দেশনেত্রীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চাই। আল্লাহ তায়ালা তাকে দ্রুত সুস্থ করে আবারও বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার শক্তি দেবেন।’

মাহফিলে উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। শেষে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু এবং দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ফরিদপুর জেলা শাখার আয়োজনে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকাল সাড়ে ৪ টায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ফরিদপুর থানা শাখা কার্যালয়ে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া মাহফিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ফরিদপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) মাসুদুর রহমান মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি। এ সময় ফরিদপুর জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান শেখ মানা, সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন লাভলু, যুগ্ম সম্পাদক রউফুন আলম লিমন, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, সহসম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান রিপনসহ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ফরিদপুর জেলা শাখার অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া মাহফিল পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনা করা হয়। বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

একই সাথে ফরিদপুর ৩ সদর আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার আহ্বান জানান।

দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ফরিদপুর পিটিআই জামে মসজিদের পেস ইমাম হাফেজ মাও. মো. সফিউল্লাহ দেওয়ান।

মাগুরা প্রতিনিধি: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিএনপি নেতা কাজী কামালের নেতৃত্বে মাগুরার বিনোদপুরে লাখো মানুষের অংশগ্রহণ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার বিকেলে মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর স্কুল মাঠে স্থানীয় বিএনপি নেতা গোলাম আযম সাবুর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা-২ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী সালিমুল হক কামাল। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মহম্মদপুর বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খান বাচ্চু, আখতারুজ্জামান, শালিখা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন টুকু প্রমুখ।

বক্তারা দ্রুত বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন এবং মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষে প্রার্থী বদল করে কাজী কামালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করেন।

নীলফামারী প্রতিনিধি: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় নীলফামারীতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির বাসভবনে সাবেক নেতাকর্মীদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, সহসভাপতি আজিজ আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রাহেদুল ইসলাম দোলন, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জামিয়ার রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্স এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু পারভেজ, মোস্তাক হোসেনসহ আরও অনেকে।

আয়োজকরা জানান, দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া করা হয়েছে এবং তার সুস্থতা প্রত্যাশা করেন তারা।

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে গণতন্ত্র্যের আলোসহীন নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ও কেশবপুরের ধানের শীষের প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ আবুল হোসেন আজাদ, পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুস ছামাদ বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম শহিদ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আজিজুর রহমানসহ উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্যান্য নেতারা।

দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থ দীর্ঘ জীবন কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে কোরআন পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার দুপুরে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের তাহেরপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সর্বস্তর জনগণের আয়োজনে এ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু জাফর, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল। দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রফিক, সাবেক কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপন, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে ইয়াসিন নোবেল, বিএনপি নেতা পনির হোসেন, আতাউর রহমান, মাসুদ রানা বাবু প্রমুখ। এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা এবং মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বাভাবিকভাবে অসুস্থ হয়নি, বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার তাকে অসুস্থ করে রেখেছে। তাকে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যার চেষ্টা করেছে। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রেখে অসুস্থ করে রাখে। তিনি মুক্তি পেয়ে কারো প্রতিশোধ নেয়নি, কারো বিরুদ্ধে কিছু বলেনি। আমরা আজ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করি। মাদ্রাসার শিশুদের দোয়া কাজে আসবে। তোমরা ওনার জন্য দোয়া করো।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নাম করে কেউ কোন চাঁদাবাজিসহ কাউকে অন্যান্য জুলুম হয়রানী করে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ও দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশে ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে বিএনপির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য সকলে দোয়া করুন। তিনি একজন আপোষহীন দেশনেত্রী। এই কঠিন সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে তার পাশে থাকবে এবং দলকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করবে। আলোচনা শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।


রাউজানে দিন দিন বাড়ছে অপরাধ, আতঙ্কে মানুষ

*একে-৪৭-সহ অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতেও চলে মহড়া *গ্রেপ্তার এড়াতে ৫ কি.মি. জুড়ে সিসিটিভিতে নজরদারি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এম. রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নজুড়ে মহা আতঙ্কের নাম ডাকাত আলম। একসময় আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত এই অস্ত্রধারী ব্যক্তি এখন বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতার হয়ে আধিপত্য বিস্তার করছেন। ২০-৩০ জন অস্ত্রধারী নিয়ে এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য ও সংগঠিত বাহিনী নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে আলম।

জানা যায়, রাউজানের বাঘা বাঘা সন্ত্রাসী ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হলেও কদলপুরের ত্রাস জানে আলম প্রকাশ ডাকাত আলমকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ ও র্যাব।

স্থানীয়রা জানায়, কদলপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ভোমরপাড়া গ্রামের মৃত আজিজুল হক প্রকাশ বাসেক ড্রাইভারের পুত্র ডাকাত আলম অপরাধ জগতে প্রায় দুই যুগ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় রয়েছে ১৫টি মামলা। এছাড়া তার পরিবারটি এলাকায় আলোচিত। পরিবারের সকলের পেছনে রয়েছে এক-একটা পরিচিতি। তার মা লেডি ডাকাত মনেক্কা নামে পরিচিত। তার ভাইও ডাকাত আজাদ নামে পরিচিত ছিল। ডাকাত আলমসহ তার বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আয়ত্তের বাইরে রাখতে এ বাহিনীর কাছে রয়েছে চারটি পুলিশি মানের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ছয়টি ওয়াকিটকি সেট এবং পাহাড়তলী মোড়ের সিসিটিভি ক্যামেরার লাইভ ভিডিও ফিড পাওয়ার ব্যবস্থা, যা সরাসরি আলমের মোবাইলে দেখা যায়। ফলে এলাকাজুড়ে কে কোথায় চলাফেরা করছে, এমনকি পুলিশি গতিবিধিও দ্রুত জানতে পারে আলম ও তার বাহিনী। এ কথায় গোটা এলাকায় নজরদারি কায়েম করেছেন এ বাহিনী।

এলাকাবাসী বলছে, তাদের হাতে রয়েছে একটি একে-৪৭, তিনটি শটগান, নয়টি শাটার গান, দুটি তুর্কি বন্দুক, চারটি ভারতীয় ৭.৬ এমএম পিস্তল এবং প্রায় ৩০-৩৫টি দেশীয় তৈরি বন্দুক। কিছু কিছু অস্ত্র লুকাতে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদেরও ব্যবহার করে তারা।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আলমের পাশে অন্তত পাঁচজন সশস্ত্র সহযোগী দাঁড়িয়ে আছে। কারও হাতে শটগান, কারও হাতে শাটার গান, আবার একজনের হাতে ঝুলছে সেনাবাহিনীর ব্যবহিৃত একে-৪৭ ধাঁচের আধুনিক অস্ত্র। ভিডিওটিতে তাদের নির্ভীক উপস্থিতি এলাকাবাসীর মধ্যে আরও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একাধিক পরিবার জানিয়েছে, যে বাড়ি থেকে সম্প্রতি ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে, সেই বাড়ির লোকের কাছ থেকে আলম ৪ লাখ টাকা দাবি করে এবং টাকা না দেওয়ায় পরিবারটিকে ঘরছাড়া করে দেয়।

এ ডাকাত আলমকে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকার মানুষ।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৫ সালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আলমের ভাই আজাদসহ চারজন নিহত হন, সে সময় অল্পের জন্য বেঁচে যান আলম। অভিযানের সময় ১টি লাইসেন্সধারী বন্দুক নিখোঁজ হয়, যা দিয়েই পরবর্তী সময়ে তার অপরাধী নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত হয় বলে অভিযোগ। আলম ৫ আগস্টের পর প্রকাশ্যে দিবালোকে এসে এলাকার আধিপত্য বিস্তার শুরু করে সে। প্রথমে পরীর দীঘির বাজারে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যেদিবালোকে বাইলে প্রকাশ বাইল্লে তোতাকে খুন করে আলোচনায় উঠে আসে শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়। এরপর ঊনসত্তরপাড়ার নূর মোহাম্মদ হাজী প্রকাশ পোয়ান হাজীকে খুন করে। এ সময় লুট করে নিয়ে যায় লাইসেন্স করা একটি বন্দুক। এর আগে কাপ্তাই সড়কের জিয়ানগরে ট্রাক ডাকাতি করার সময় ট্রাকের ডাইভারকে গুলি করে হত্যা করে। কদলপুরের জয়নগর বড়ুয়া পাড়ার মৃদুল বড়ুয়াকে হত্যা করে। কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া এলাকায় এক উপজাতি নারীকে গুলি করে হত্যা করে। চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় ছিনতাই করতে গিয়ে এক আবাসিক হোটেলের মানিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। রাঙ্গুনীয়া পোমরা এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে এক দুবাই প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। রাঙ্গুনীয়া বেতাগী থেকে ব্যবসায়িকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে। পরে চিনে ফেলায় কদলপুরের পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। অভিযোগ রয়েছে কদলপুরের ভোমরপাড়া গ্রামের ডা. ফরিদের এক মেয়েকে অপহরণ করে রাঙামাটিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ মামলায় তার সাজা হয়েছিল। অনেক দিন জেলেও ছিল। এ মামলায় তার ভাই আজাদ ও তার মা মনেক্কা আসামি ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে রাউজানে ১৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যার বেশিরভাগই রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজির ভাগবাঁটোয়াকে কেন্দ্র করে।

এ বিষয়ে আলম দাবি করেন, অস্ত্র নিয়ে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বানানো। এর আগে কখনো মেয়ে দিয়ে ভিডিও বানাইছে, কখনো অন্য কোনো কিছু দিয়ে। সিসিটিভি লাগানোর মতো টাকা আমার নেই। আমি গরিব।

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগগুলো আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। কেউ অপরাধ করলে তার রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, তাকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখা হবে না। চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইম) সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাউজানে বর্তমানে সাতটি গ্রুপ সক্রিয়। তাদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চলছে। প্রায় প্রতিদিনই আমরা অস্ত্র উদ্ধার করছি, সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করছি। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া আলমের অস্ত্রের মহড়ার ভিডিও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কোনো অপরাধী আমাদের নজরদারির বাইরে নেই।


মাদারীপুরে সাংবাদিকদের সাথে নতুন পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাদারীপুর প্রতিনিধি

দেশব্যাপি লটারীর মাধ্যমে পুলিশ সুপারদের পদায়নের পরে মাদারীপুরে এহতেশামুল হক পুলিশ সুপার পদে সদ্য যোগদান করেন। এর আগে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। রোববার মাদারীপুর জেলা পুলিশ সম্মেলন কক্ষে নবাগত পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক জেলায় কর্মরত সর্বস্তরের সাংবাদিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সাথে তিনি এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। মত বিনিময় সভায় মাদারীপুরের বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নবাগত পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক নিজের পরিচয় প্রদান করে মাদারীপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক ও সন্ত্রাস সহ বেআইনি কার্যদি বন্ধের লক্ষ্যে এবং সর্বোপরী দেশ ও জাতির স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে মাদারীপুর জেলা ও পুলিশ প্রশাসন ওকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। প্রশ্নপর্বে সাংবাদিকদের মধ্য থেকে অনেক সাংবাদিকরা মাদারীপুরের কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম, মানবপাচার, সন্ত্রাস, ট্রাফিক বিভাগকে অবৈধ যান বন্ধসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ বিভাগকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন অ্যান্ড মিডিয়া) জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পুলিশ সুপার বিমল চন্দ্র বর্মন, মাদারীপুর সদর থানার ওসি আদিল হোসেন সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা।


রংপুর-নীলফামারীর সকল রুটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর এক বাস শ্রমিক নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে রংপুর বাস মিনিবাস মালিক সমিতির অধীনে পরিচালিত নীলফামারীর সব রুটে বাস পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। রোববার সকাল থেকেই রংপুর-নীলফামারী-সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ-জলঢাকা-ডিমলা-ডোমারসহ জেলার অভ্যন্তরীণ ও আন্তজেলা রুটে বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকাগামী বাসসহ দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলা সমিতির গাড়ি আগের মতোই চলছে।

শ্রমিক ইউনিয়নের সূত্র জানায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন উপকমিটির দপ্তর সম্পাদক সফিকুল ইসলামের সঙ্গে ন্যায্য পাওনা নিয়ে বিরোধের জেরে রংপুর বাস মালিক সমিতির কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে মারধর করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার হওয়া সফিকুল বিষয়টি শ্রমিক ইউনিয়নকে জানান। এর পরই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত রংপুর মালিক সমিতির অধীন থাকা সব বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন।

হঠাৎ বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নীলফামারী ও আশপাশের রুটে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে ভ্যান, অটোরিকশা কিংবা প্রাইভেটকারসহ বিকল্প যানবাহনের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে করে কিন্তু ভোগান্তির সাথে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা।

জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শ্রমিকদের ওপর হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাস পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। রংপুর মালিক সমিতির কোন বাস নীলফামারীর রুটে চলতে দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ‘দুই জেলার মালিক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। আমি রংপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান হবে।


banner close