শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫ আশ্বিন ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূত স‌হিদুলের চুক্তিভি‌ত্তিক নিয়োগ বাতিল

আপডেটেড
২০ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৫২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর, ২০২২ ১১:৫৭

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. স‌হিদুল ইসলামের চুক্তিভি‌ত্তিক নি‌য়োগ বাতিল করেছে সরকার।

পররাষ্ট্র ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের উপর মার্কিন নি‌ষেধাজ্ঞা আরো‌পের পর স‌হিদুল‌কে সরা‌নোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এরপর গত ১৩ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানকে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।


বসুন্ধরা টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সেলস মিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ফুরফুরে মনে একসাথে, চলো সফলতার পথে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

বসুন্ধরা টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সেলস মিট ২০২৫ সম্প্রতি কক্সবাজারের একটি স্বনামধন্য হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বসুন্ধরা টয়লেট্রিজ বাজারে যাত্রা শুরুর মাত্র দুই বছরের মধ্যেই একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। এই অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করে ভবিষ্যতের লক্ষ্যে নতুন উদ্দীপনা যোগ করতে, প্রতিষ্ঠানটি আয়োজন করেছে তাদের বার্ষিক সেলস মিট ২০২৫।

“ফুরফুরে মনে একসাথে, চলো সফলতার পথে”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কক্সবাজারের একটি স্বনামধন্য হোটেলে এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন কোম্পানির সেলস ও মার্কেটিং টিমের সদস্য, শীর্ষ কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চিফ অপারেটিং অফিসার (COO), SBG, শাহেদ জাহিদ বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় দেশ ও মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলছে। বসুন্ধরা টয়লেট্রিজও সেই লক্ষ্যেই গুণগতমান সম্পন্ন পণ্য দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

বসুন্ধরার অন্যান্য পণ্যের মতোই, টয়লেট্রিজ ইউনিটও মানসম্পন্ন পণ্য তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কারণ দেশের মানুষ বসুন্ধরার পণ্যের উপর আস্থা রাখে।

আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর প্রভাব থাকলেও দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর অগ্রগতি স্পষ্ট। সঠিক কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে আমরা বাজারে আরও বড় অংশ দখল করতে পারব। এই সেলস মিটে শুধু লক্ষ্য নির্ধারণ নয়, বরং টিম স্পিরিট, মোটিভেশন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও গুরুত্ব পেয়েছে। আপনারাই এই ব্র্যান্ডের মুখ। আপনারাই সেই শক্তি, যাঁরা আমাদের পণ্য দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেন। এখন সময় একসাথে এগিয়ে যাওয়ার।”

সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, SBG মোস্তাফিজুর রহমান, ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন “আমরা টয়লেট্রিজ চ্যানেলের প্রবৃদ্ধিতে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। বসুন্ধরা টয়লেট্রিজকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা টয়লেট্রিজ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এজন্য আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ বিভিন্ন কৌশলগত উদ্যোগ গ্রহণ করছি, যাতে বাজারে আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়।”

মোঃ মাসুদুর রহমান, চিফ সেলস অফিসার (টিস্যু, পেপার, হাইজিন, টয়লেট্রিজ), (CSO), SBG বলেন “আমরা চাই, এই মিলনমেলা হোক নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। ইনশাআল্লাহ, ২০২৫ সালের বিক্রয় লক্ষ্য আমরা একসাথে অর্জন করব।”

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইমরান বিন ফেরদৌস, চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার (CHRO), ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. সরোয়ার, হেড অব প্রজেক্ট, টয়লেট্রিজ ইউনিট , মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, জিএম, মার্কেটিং, মোঃ আমিনুল ইসলাম, জিএম, একাউন্টস এন্ড ফিনান্স, মোহাম্মদ আব্দুল ওয়ারেস, জিএম, সেলস, টয়লেট্রিজ, মোঃ শোয়েব মাহমুদ, ডেপুটি ম্যানেজার, মার্কেটিং সহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানের শেষে একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, এই সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সেলস মিটের পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। এতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করে।


কোটালীপাড়ায় পদ্মবিলের অপরূপ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনে ভিড় বাড়ছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার মুশরিয়া বিলে চোখ যত দূর যায়, শুধু লাল-গোলাপি পদ্ম ফুলের সমারোহ। প্রকৃতির এ অনন্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজারও দর্শনার্থী। বিলজুড়ে প্রস্ফুটিত ফুলে মুগ্ধ হয়ে কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা নৌকায় ভেসে উপভোগ করছেন পদ্মবিলের অপরূপ দৃশ্য। পদ্মবিল যেন পদ্ম ফুলের রঙিন উৎসবে মেতে উঠেছে।

কোটালীপাড়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে রামশীল ইউনিয়নের মুশরিয়া, কাফুলাবাড়ি ও জহরের কান্দি গ্রাম ঘিরে বিস্তৃত এ পদ্মবিল। তবে সবার কাছে এটি পরিচিত মুশরিয়া পদ্মবিল নামেই।

বর্ষা মৌসুম এলে মুশরিয়া, জহরের কান্দি ও কাফুলাবাড়ি এলাকার ৪টি ঘাটে নৌকা সাজিয়ে রাখেন মাঝিরা। দর্শনার্থীরা এসে সেই নৌকায় ওঠে বিলের বুকচিরে ঘুরে বেড়ান পদ্ম ফুলের কোলঘেঁষে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় বর্ষা মৌসুমে এই বিলে আউশ-আমন ধানের আবাদ হতো। পরে উৎপাদন বেশি হওয়ায় ইরি-বোরো ধানের চাষ শুরু হয়। বর্ষাকালে চাষাবাদ বন্ধ থাকায় মানুষ তখন শাপলা ফুল ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

প্রায় ১৫ বছর আগে ভক্ত মধু নামে এক ব্যক্তির জমিতে শাপলার চেয়ে বড় আকৃতির গোলাপি ফুল ফোটে। প্রথমে এটিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু বছর দুই যেতেই ফুলটি আশপাশের জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক বছরের মধ্যেই পুরো বিল পদ্ম ফুলে ভরে যায়। তখন থেকেই বর্ষাকালে বিলজুড়ে পদ্ম ফুল দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন আশপাশের মানুষ। প্রায় হাজার বিঘার জলাভূমির এই পদ্মবিল দেখতে ছুটে আসেন দেশের নানা প্রান্তের পর্যটকরা।

শনিবার সকালে সরেজমিন পদ্মবিল ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে এখানে। বরিশালের উজিরপুর থেকে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এখানে ঘুরতে আসা আরিফুল ইসলাম জানান, ছবিতে পদ্ম ফুল অনেক দেখেছি, কিন্তু এত বিশাল জায়গাজুড়ে পদ্ম ফোটে তা কল্পনাও করিনি। এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন ফুলের সমুদ্রে ভাসছি।

আগৈলঝাড়া উপজেলা থেকে আসা গৃহবধূ সুনিতা বিশ্বাস ও কলেজ ছাত্রী অনিন্দিতা বলেন, আমরা তো এতদিন জানতাম না আমাদের কাছেই এত সুন্দর একটি পদ্মবিল আছে। এখানে এসে খুব আনন্দিত। তবে ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলে ভিজতে হয়। কোনো ঘাট নেই। নৌকায় উঠতে কষ্ট হয়।

কোটালীপাড়ার ক্লিনিক ব্যবসায়ী মন্টু বাইন বলেন, সুযোগ পেলেই বর্ষা মৌসুমে আমরা এখানে ঘুরতে আসি। তবে পদ্মবিলকে একটি স্থায়ী পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাই।

পদ্মবিল ঘুরিয়ে দেখানোর প্রধান ভরসা মাঝিরা। প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের নিয়ে ঘুরিয়ে বেড়ান তারা। মাঝি নিখিল বাড়ৈ বলেন, ‘আগে বর্ষায় মাছ ধরে সংসার চলত। এখন মানুষ পদ্ম দেখতে আসে, দর্শনার্থীদের ঘুরিয়ে ভালো আয় হয়। আমাদের জীবন বদলে গেছে।’

মুসরিয়া ঘাটের আরেক মাঝি সনাতন বৈদ্য বলেন, পদ্মবিলের মাঝখানে একটি গঙ্গা মন্দির আছে। সরকারিভাবে মন্দিরটির সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন করা গেলে পদ্মবিল আরও দর্শনীয় হয়ে উঠবে। এখানে একটি মনোরম গোল ঘর নির্মাণ করলে দর্শনার্থীরা বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। একটি পাবলিক টয়েলেট ও ঘাট প্রয়োজন।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মুশরিয়া পদ্মবিল থেকে ঘুরে এসেছি। পদ্মবিলকে ঘিরে পর্যটকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। আমরা এটিকে একটি সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেখছি। নৌকা ঘাট, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং গঙ্গা মন্দির সংস্কারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে এই পদ্মবিল স্থানীয় অর্থনীতি ও সংস্কৃতির জন্য বড় অবদান রাখতে পারবে।


বোয়ালখালীতে ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বোয়ালখালী(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা বিনোদ চৌধুরীর বাড়ির পাশে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একটি ১০ ফুট লম্বা বার্মিজ প্রজাতির অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।

ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য আমির হোসাইন শাওন জানান, সাপটি বসতবাড়ির পাশে ঘেরা দেওয়া জালে আটকা পড়েছিল। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জাল কেটে সাপটিকে উদ্ধার করেন।

সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট এবং ওজন আনুমানিক ৮-৯ কেজি। জালে আটকা পড়ার কারণে সাপটি কিছুটা আহত হয়েছে। উদ্ধারের পর সাপটিকে সুস্থ করে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে।


কুমিল্লায় ১৩১ পূজামণ্ডপে তারেক রহমানের উপহার বিতরণ

আপডেটেড ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৭
কুমি

আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগরীর ১৩১টি পূজামণ্ডপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে নগদ বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর ধর্মসাগর পাড়স্থ কুমিল্লা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই উপহার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপহার বিতরণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।

অনুষ্ঠানে মহানগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে উপহার গ্রহণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারি আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিউর রাজিব, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকসহ মহানগর ও ওয়ার্ড বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় দেশের মানুষের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এই মন্ত্রে বিশ্বাস করে বিএনপি। শারদীয় দুর্গাপূজা হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির একটি বড় অংশ। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দলের পক্ষ থেকে প্রতিবারই বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।

হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন বলেন, “তারেক রহমান সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের প্রতি সমান সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা পোষণ করেন। কুমিল্লার ১৩১টি পূজামণ্ডপে আজকের এই উপহার প্রদান তারেক রহমানের আন্তরিক ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি বিশ্বাস করে—একটি সুস্থ ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতেই হবে।”

অনুষ্ঠান শেষে পূজামণ্ডপ প্রতিনিধিরা বিএনপি ও তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ উৎসবকে আরও আনন্দঘন করে তোলে।


কেশবপুরে স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে পুনঃখনন শুরু হচ্ছে ১৩ নদী-খাল

১৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

বন্যা ও স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে চলতি মাসেই ৩টি নদী ও ১০টি সংযোগ খালের - পুনঃখনন কাজ শুরু হচ্ছে। এ কাজের জন্য ১৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সেনাবাহিনী ৩টি নদীর ৮২ কিলোমিটার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ১০টি সংযোগ খালের ৩১ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে।

কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে হরি নদীর ভবদহের ২১ ভেন্ট সুইস গেট থেকে উজানে ৭ কিলোমিটার ও ভাটিতে হরি নদীর খর্ণিয়া ব্রিজ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার, খর্নিয়া ব্রিজ থেকে তেলিগাতি ঘ্যাংরাইল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার, হরি নদীর শাখা আপার ভদ্রার কাশিমপুর থেকে মঙ্গলকোট ব্রিজ পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বড়েঙ্গার তিন নদীর মোহনায় জিরো পয়েন্ট থেকে কেশবপুর মনিরামপুর হয়ে রাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত হরিহর নদীর ৩৫ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে। এছাড়া নদীর ১০টি সংযোগ খালের মধ্যে নুরানিয়া ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার, বাদুড়িয়া ৩ কিলোমিটার, বুড়ি ভদ্রার শাখা খালের ৫ কিলোমিটার, গরালিয়া ১ দশমিক ৩৫০ কিলোমিটার, কন্দর্পপুর ১ কিলোমিটার, কাশিমপুর ১ কিলোমিটার, ভায়না ১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বিল খুকশিয়া ৭ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বুড়ুলি ৩ কিলোমিটার ও পাথরা খাল ১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে নদীর সিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীও নদীগুলি পরিদর্শন করেছেন। পাউবো আরও জানায়, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার বর্ষার অতিরিক্ত পানি হরি নদীর শাখা দেলুটি দিয়ে শিবশা নদী হয়ে সাগরে পতিত হয়। এসব নদীর সংযোগ খালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসংখ্য পোল্ডার ও ৯১টি লুইস গেট রয়েছে। বিল খুকশিয়া ৮ ভেন্ট সুইস গেটের সাথে ছোট বড় ২৭ টি বিল, নূরনিয়া ৪ ভেন্ট সুইস গেটের সাথে ১২টি বিল, ভবদহের ২১ ও ৯ ভেন্ট লুইস গেটের সাথে ছোট বড় ৫২টি বিল ও কোনো কোনো রেগুলেটরের সাথে একাধিক বিল যুক্ত আছে। যা পোল্ডারে আবদ্ধ থাকায় দু'পাশ পলিতে ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পোল্ডারের কারণে প্লাবনভূমির সঙ্গে নদীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বর্তমানে হরিনদীসহ অন্যান্য নদীতে জোয়ার উঠে না। ফলে নদীগুলো বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়ে থাকে।

এছাড়া শুধুমাত্র কেশবপুরের বিভিন্ন বিলের মধ্যে ৫৯টি সরকারি খাল রয়েছে যা মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা দখল করে তাদের ঘেরের সাথে যুক্ত করে মাছ চাষ করে আসছে। এসব খাল দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩টি নদী ও ১০টি খাল পুনঃখননে সরকার ১৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩টি নদীর পুনঃখনন সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করা হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী নদী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসব নদী-খাল খনন সম্পন্ন হলে এলাকা বন্যা ও জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে।


ধর্ষণের শিকার শিশুর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকের দুর্ব্যবহারের ভিডিও ভাইরাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি 

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর অভিভাবকের সঙ্গে অত্যন্ত অশালীন ভাষা ব্যবহার ও দুর্ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ঘটা এই ঘটনার একটি বিতর্কিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, চিকিৎসক আবুল কাশেম চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা ও স্বজনদের উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ, অপমানজনক ও হুমকিমূলক ভঙ্গিতে কথা বলছেন।

স্থানীয় ভাষায় তাকে বলতে শোনা যায়— ‘ ‘হাসপাতালডাক তোমরা চিড়িয়াখানা পাইছ, চিড়িয়াখানার মতো ভর্তি হবার আইসো, কোনঠে সাংবাদিক আইসো, দেউনিয়া-মদ্দিনা আইসো, এলাকাবাসী আইসো, পুরুষ-মহিলা আইসো, ছোট-বড় আইসো, এইটা হরিবোল, হরিবোল দেওয়ার জায়গা নাকি? এই ছুটি বাড়ি যাও, আইজকে বিস্তিবার (বৃহস্পতিবার) আর কোথায় রাখব? তোমরা মামলা করলে করো, না করলে…(অশ্লীল ভাষায় কিছু বলেন)।’

এদিকে, বিতর্কিত ভিডিওটি সিভিল সার্জনের নজরে আসার পর রাতেই অভিযুক্ত চিকিৎসক আবুল কাশেমকে শনিবারের (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যে ঘটনার কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান জানান, কী ঘটেছিল এবং কেন রোগীর পরিবারের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে, তার সঠিক জবাব চেয়ে নোটিশ করা হয়েছে। গত শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি থাকায় শনিবারের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু আলোচিত, তাই জবাব পাওয়ার পর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


দৌলতপুরে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুষ্টিয়া (দৌলতপুর) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাতে, উপজেলার খলিশাকুণ্ডি ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা রাস্তার ওপর গাছ ফেলে অ্যাম্বুলেন্সটি থামিয়ে, অস্ত্রের মুখে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্ট্রোকের রোগী লিটনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে পিপুলবাড়িয়া মাঠের কাছে যাত্রীছাউনির সামনে গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে পাঁচ-ছয়জনের এক ডাকাত দল। দেশীয় অস্ত্র হাতে তারা অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও ভেতরে থাকা চারজনকে জিম্মি করে অর্থ ছিনিয়ে নেয়।

অ্যাম্বুলেন্স চালক রতন আহমেদ জানান, রাত ১টার দিকে রোগীকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ডাকাতেরা গাড়ি আটকে আমার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে যায়। তারা কাউকে কিছু না বলতে কড়া হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

রোগীর এক স্বজন জালাল বলেন, আমরা চালককে কাতলামারী হয়ে না যেতে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তিনি ওই পথেই যান। পথে এই ঘটনা ঘটে এবং আমাদের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে লিটন নামে একজন রোগী হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পথে অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বাংলাদেশকে বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে এখনই পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে দেশ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথে এগিয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে বাংলাদেশকে গুরুত্ব সহকারে বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানি বিবেচনা করার, যার মধ্যে বৃহৎ পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন অন্যতম।’

গত বৃহস্পতিবার রাতে অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ এবং তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না।

কার্ল পেজ তাঁর বক্তব্যে নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেমের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসব প্রযুক্তি নির্ভরযোগ্য, শূন্য-কার্বন বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। বিশেষ করে ভাসমান বা বার্জ-মাউন্টেড রিঅ্যাক্টর তুলনামূলকভাবে কম খরচে, কম রক্ষণাবেক্ষণে, দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্পখাতের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে পারবে।

পেজ বলেন, ‘পারমাণবিক শক্তি আজ আর বিশ্বব্যাংকের মতো বড় উন্নয়ন অর্থায়ন সংস্থাগুলোর কাছে নিষিদ্ধ বিষয় নয়। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ইতোমধ্যেই তাদের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে এ প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, উদ্ভাবনে বাংলাদেশের শক্তিশালী রেকর্ড রয়েছে, তাই দেশটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরে নেতৃত্ব দিতে পারে। এর সুফল হবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখা এবং শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি।

পেজ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য একটি কৌশলগত কেন্দ্র এবং পারমাণবিক উদ্ভাবনে শান্তিপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি একটি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎনীতি প্রণয়ন করেছে, যাতে সৌর জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

তবে তিনি উল্লেখ করেন, পারমাণবিক বিকল্প নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য।

তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এসব সুযোগ অনুসন্ধান করব। তবে প্রতিশ্রুতিশীল এসব প্রযুক্তি নিয়ে গভীর গবেষণা দরকার। কোনো সন্দেহ নেই—বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা দ্রুত হ্রাস করতেই হবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।


নিখোঁজের তিন দিন পর প্রতিবেশীর গোয়ালঘর থেকে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি 

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শালবন গ্রামে নিখোঁজের তিন দিন পর শিশু তাসনিয়ার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুল ইসলামের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত তাসনিয়া আক্তার (১১)উপজেলার শালবন গ্রামের এরশাদ আলীর মেয়ে। স্থানীয় এলাকাবাসী এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পড়লে পরিস্থিতি শান্ত করে রাতে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এ ঘটনায় দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের শালবন গ্রামের একরামুল হকের স্ত্রী হাবিবা (৩০) ও একই এলাকার আব্দুল রাজ্জাকের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা (৬২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত তিন দিন ধরে শিশু তাসনিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুলের গোয়ালঘরে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে একরামুল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আব্দুল করিম বলেন, খবর পেয়ে শিশুর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেহেরপুরে ১৮ জনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর প্রতিনিধি  

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সিমান্তরক্ষী বাহিনীর যৌথ সম্মতিতে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে কারাভোগ শেষে ১৮ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সিমান্তের ১৪৭ নম্বর আন্তর্জাতিক মেইন পিলার কাছে বিজিবি সদস্যদের হাতে তাদের হস্তান্তর করা হয়। সকলেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।

কুষ্টিয়া বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিন কাজিপুর বিওপি-র কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার শাহাব উদ্দিন জানান, দেশের বিভিন্ন সিমান্ত দিয়ে বাংলাদশী নাগরিকরা অভৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের সময় ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।

পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে দেওয়া সাজা ভোগ শেষে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ সদস্যরা বিজিবিকে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসা ১৮জনের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে গাংনী থানায় সৌপর্দ করা হবে।

ভারতের গান্দিনা বিএসএফ ১১ ব‍্যাটেলিয়ন ক্যাম্পের এসি সুনিল কুমার যাদব সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

ভারত থেকে কারাভোগ শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসারা হলো, পটুয়াাখালী জেলার মেহেদী, চুয়াডাঙ্গার নুরজাহান, নড়াইলের ফরিদ শেখ, ঝিনাইদহের জিসান মন্ডল, সাইদুল ইসলাম, চাঁদপুরের খোকন বেপারী, সাতক্ষীরার মাজেদা ঢালী, শামিম হোসেন, মিঠুন ঘোষ, খালিদা সরদার, মিলন কুমার, রাজশাহীর আব্দুল কুদ্দুস, যশোরের আহমেদ আলী, মৌলভীবাজারের লিটন দেব, চট্টগ্রামের শুভ মজুমদার, ঢাকার স্বাধীন রাজবংশী, মাদারিপুরের মহিউদ্দিন ফকির, নাসিমা শেখ কুষ্টিয়া।


মাদারীপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাদারীপুর প্রতিনিধি

জেলার সদর উপজেলায় দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে জেলার হবিগঞ্জ সেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক রাকিব (২২) মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আবু কালামের পুত্র।
আহতরা হলেন; পাঁচখোলা এলাকার দবির ব্যাপারীর পুত্র সোহান ব্যাপারী, জীবন হাওলাদারের পুত্র নাঈম হাওলাদার, শহিদুল সরদারের পুত্র মো. শুভ এবং নিরঞ্জন বাড়ৈর পুত্র অজিত বাড়ৈ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুটি মটরসাইকেল নিয়ে নৌকা বাইচ দেখতে গিয়েছিল নিহত রাকিব এবং আহত নাঈম। বাড়ি ফেরার পথে হবিগঞ্জ ব্রিজের উপর দুই মটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাকিব মারা যান। মটরসাইকেলের অন্য যাত্রীরা গুরুতর আহত হন।

মাদারীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আদিল হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, নিহতের মরদেহ মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা হয়নি।


নওগাঁ সীমান্তে দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর পত্নীতলা সীমান্ত দিয়ে ১৬ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার বেলা ১১টায় নওগাঁর পত্নীতলা ১৪ বিজিবির ক্যাম্প থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ভোরে উপজেলার শীতলমাঠ বিওপির সীমান্ত পিলার ২৫৪/১-এস এর কাছ দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হলে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- নাটোর জেলার মোতালেব শেখ (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৩৫), মজনু বিশ্বাস (৪৮), নয়ন খাঁ (২৫), মুকুল শেখ (২৫), মৃধুল শেখ (২০), সামির (১১), বিনা খাতুন (২৯), মিম (৮), মরিয়ম খাতুন (১০), রোজিনা খাতুন (১৮), মিরা খাতুন (৮ মাস), এলিনা খাতুন (২৮), জান্নাতুল সরকার (১০), জোছনা বেগম (৫০) এবং পাবনা জেলার মিরাজ শেখ (১৮)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ভোরে পত্নীতলা ১৪ বিজিবির শীতলমাঠ বিওপির সীমান্ত পিলার ২৫৪/১-এস এর কাছ দিয়ে তাদের পুশইন করে। পরে বিজিবির টহল দল ঘুরকী গ্রামের পাকা রাস্তা সংলগ্ন চা দোকানের পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদের আটক করে। আটকদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, পাঁচ শিশু ও চারজন নারী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়- আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা বেশ কয়েক বছর পূর্বে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গিয়েছিল। আটকের পর তাদেরকে পত্নীতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


বেগম খালেদা জিয়া নারী শিক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন: নুরুল ইসলাম নয়ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন বলেছেন, ‘বিএনপি যদি মানুষের ভালোবাসার ম্যান্ডেট নিয়ে জনগনের সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে এ দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জনে সহায়তা করবে। বিশেষ করে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার শাসনামলে নারী শিক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন। শুক্রবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে ব্রজগোপাল টাউনহলে এসএসসি/ দাখিল পরীক্ষায় ১১০ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমান এ দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় আলোয় আলোকিত ও নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য তার জীবদ্দশায় নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় দেশ নায়ক তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যে শিক্ষার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।’

এ সময় চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি কয়ছর আহমেদ কমল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোফরান মহাজন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মঞ্জুর হোসেন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সোহেল, ভোলা জেলা বিএনপির সদস্য মমিনুল ইসলাম ভুট্টু, চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্যাহ বাহার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সিকদার, চরফ্যাশন প্রেসক্লাব সভাপতি জুলফিকার মাহমুদ নিয়াজ, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক কামাল গোলদার, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক মিলটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শিক্ষক প্রতিনিধি ও অবিভিাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সদস্য আরিফুর রহমান জুয়েল। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের হাত থেকে এসএসসি/ দাখিল ২০২৫ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীরা সম্মননা স্মারক গ্রহণ করেন।


banner close