রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৬ আশ্বিন ১৪৩২

আবহাওয়ার সঙ্গে বদলাবে গার্ডারের রং

যমুনা নদীর বুকে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ৩০০ মিটার দূরত্বে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু ঘিরে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে রাত-দিন সমানতালে চলছে পাইলিং ও সুপার স্ট্রাকচার বসানোর কাজ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
২২ অক্টোবর, ২০২২ ১১:৩৯
গোলাম মোস্তফা, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত
গোলাম মোস্তফা, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর, ২০২২ ১১:৩৮
  • বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে নতুন প্রযুক্তি

প্রায় আড়াই দশক আগে দেশের উত্তরাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকাসহ বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছিল বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগ পর্যন্ত সেটিই ছিল দেশের সবচেয়ে বড় সেতু। সেই সেতু উদ্বোধনের আড়াই দশক পর ফের কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত যমুনা দুই পাড়। ওই সেতুতে রেললাইন থাকলেও ৩০০ মিটার দূরত্বেই তৈরি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু, যার অবয়ব এখন দেখা দিতে শুরু করেছে যমুনার বুকে। এরই মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে ১০টি পিলার। তাতে দুটি স্প্যান বসানোর কাজও শেষ। দুটি স্প্যানের মধ্যে স্টিলের তৈরি সুপার স্ট্রাকচার বসানোর মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু রেলসেতু জানান দিচ্ছে আগমনের।

স্থানীদের আশাবাদ, প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি চালু হলে রাজধানীর সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন আরও গতি পাবে।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের এ রেলসেতুর কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। ৫০টি পিলারের মধ্যে ১০টির কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। আর নির্মিত পিলারের মধ্যে বসানো হয়েছে দুটি অত্যাধুনিক স্প্যানও।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের দীর্ঘতম এ রেলসেতু নির্মাণে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাতে লোহা আর কংক্রিটের সমন্বয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে নতুন কৌশল। এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সেতুর কাঠামোতে আলাদাভাবে রং করার প্রয়োজন হবে না। বরং আবহাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বদলে যাবে গার্ডারের রং। এই প্রক্রিয়ায় সেতুটি বেশ টেকসইও হবে। কারণ, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে আগামী ১০০ বছরেও সেতুর কাঠামোয় কোনো মরিচা পড়বে না।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আগে অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। আগে আমরা মাত্র ৩৮টি ট্রেন চালাতে পারতাম। এখন এই রেলসেতু চালু হলে ৮৮টি ট্রেন চালাতে পারব। আমাদের দেশের বর্তমান রেলসেতুগুলো এক লাইনের। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ডাবল লাইনের হওয়ায় একই সঙ্গে একাধিক ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সেতু পার হওয়ার জন্য কোনো ট্রেনকে আর অপেক্ষা করতে হবে না। দুই দিক থেকে দুটি ট্রেন একসঙ্গেই চলতে পারবে।’

তানভীরুল ইসলাম জানান, সেতুর ৪৭ ও ৪৮ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে প্রথম স্প্যান। আর ৪৫ ও ৪৬ নম্বর পিলারে বসানো হয়েছে দ্বিতীয় স্প্যান। দ্রুতই মধ্যে আরও কয়েকটি স্প্যান বসানো হবে। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে দ্রুত এগিয়ে চলছে এই মেগা প্রকল্পের কাজ।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘১৬ অক্টোবর টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর প্রান্তে দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হয়েছে। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। এ দুটি স্প্যানের মধ্যে সুপার স্ট্রাকচার ইরেকশনও (নির্মাণ) সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। এর মধ্যে সেতুর ৪৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, আমরা মেয়াদের আগেই প্রকল্পটি শেষ করতে পারব।’

সেতুটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সেতুটি চালু হলে যাতায়াতের পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম জনপদের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে। এর ফলে স্বল্প খরচে উত্তরাঞ্চল থেকে ট্রেনে করে সারা দেশে কৃষিপণ্য আনা-নেয়া করা যাবে। বঙ্গবন্ধু সেতু ও রেলসেতুর পশ্চিমেই গড়ে উঠছে সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন ও বিসিক শিল্পপার্ক। এখানে উত্তর জনপদের সাত লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেতুটি খুলে দেয়া হলে ট্রেনে করে সেখানের উৎপাদিত পণ্য সহজে দেশ-বিদেশে পরিবহন করা যাবে। এতে আমদানি-রপ্তানি খরচ কমবে। আর বঙ্গবন্ধু সেতু ও মহাসড়কের ওপর চাপও কমবে।

এই সেতুর মাধ্যমে উত্তরবঙ্গে নতুন দ্বার উন্মোচন হবে উল্লেখ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না দৈনিক বাংলাকে বলেন, ট্রেনে পরিবহন যেহেতু অনেক সহজ ও তুলনামূলক সাশ্রয়ী, তাই এতে আমাদের উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীরা একটা বড় সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্পপার্কসহ নানা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই জেলাটি যেহেতু তাঁতশিল্পের জন্য বিখ্যাত, রেলসেতুটি পুরোপুরি চালু হলে একসময় এটি শিল্পনগরীতে পরিণত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২৯ নভম্বের বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরপরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়। তবে ২০০৮ সালে এই সেতুতে ফাটল দেখা দেয়ায় কমিয়ে দেয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার হয়। এতে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়। সেই সঙ্গে বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা একটি রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।


নরসিংদীর রায়পুরা আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন চান ৬ জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নরসিংদীর রাজনীতিতে ফের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতির মাঠে বেশ সরব হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছে এলাকার মানুষ। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এ সংসদীয় আসনে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। নীতি নির্ধারণী মহল এবং সম্ভাব্য নির্বাচনী বোর্ডের নজর কাড়তে একক উদ্যোগসহ দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি নিজেদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর উপজেলা হিসেবে পরিচিত নরসিংদী

রায়পুরা উপজেলা। ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে নরসিংদী-৫ আসন। বিগত দিনগুলোতে নরসিংদীর ৫টি আসনের মধ্যে এ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে। তবে এ আসনে একবার ছিল জাতীয় পার্টি এবং দুইবার ছিল বিএনপির হাতে। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মো. মাইন উদ্দিন ভূইয়া এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আব্দুল আলী মৃধা এমপি নির্বাচিত হন।

এরপর থেকে টানা ৭ বার এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ আসটিতে পুনরায় সক্রিয় হয়েছে বিএনপি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আগ্রহী প্রার্থী হয়েছেন ৬ জন। এরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সহসভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. জামাল আহমেদ চৌধুরী, নরসিংদী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক এমএন জামান, নরসিংদী জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাদল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আমিন ভূইয়া রুহেল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়: জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী জেলা শাখার মজলিসে শুরা সদস্য ও রায়পুরা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমকে। তিনি প্রতিনিয়ত দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের বিষয়ে জনগণের সাথে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী রায়পুরা উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সভাপতি মাওলানা বদরুজ্জামান।

সকলেই মনোনয়ন পাওয়ার জন্য গ্রুপিং লভিং চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার জন্য বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করছেন। বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল। তিনি একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। তিনি প্রতিনিয়ত দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সভা সমাবেশ করছেন। ইতিমধ্যে তিনি এলাকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খেলাধূলা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনের মধ্য দিয়ে নিজের জনসমর্থন বাড়ানো চেষ্টায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল এ প্রতিনিধিকে বলেন, তিনি শুধু নিজের এলাকা নয় সারাদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তবে দলীয় মনোনয়ন ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। জামাল আহমেদ বলেন, তিনি দলের জন্য সবদা কাজ করে আসছেন। দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে রায়পুরা উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। এছাড়াও বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমএম জামান, জাহাঙ্গীর আলম বাদল, ইকবাল হোসেন শ্যামল, রফিকুল ইসলাম ভূইয়া রুহেল প্রতিনিয়ত এলাকায় গণসংযোগ এবং সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মাওলানা বদরুজ্জামান। প্রতিনিয়ত গণসংযোগ করছেন এবং মানুষকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ ফয়সাল। তবে এ পর্যন্ত তাকে এলাকায় কোন গণসংযোগ করতে দেখা যায়নি।


সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু নয় আমরা সবাই গর্বিত বাংলাদেশি: মীর হেলাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, দেশে কেউ সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু নয় শহীদ জিয়ার দর্শন অনুযায়ী আমরা সবাই গর্বিত বাংলাদেশি।

তিনি বলেন, বিভেদ সৃষ্টি করে পতিত স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করেছিল, এবার জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতিকে একটি বৈষম্যহীন সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ উপহার দেবেন। গত শনিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার পার্বতী স্কুল মিলনায়তনে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী দুর্গাপূজার সময় অপশক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পথ বেছে নিতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে মীর হেলাল দলীয় নেতা-কর্মী ও সনাতন সম্প্রদায়ের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার আহ্বান জানান।

হাটহাজারী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মাস্টার লায়ন অশোক কুমার নাথের সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক বাবলু দাশের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ নুর মোহাম্মদ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান, আইয়ুব খান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অহিদুল আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস শুক্কুর মেম্বার, শাহেদুল আজম, অ্যাডভোকেট রিয়াদ উদ্দিন, বিএনপি নেতা আলহাজ রহমতুল্লাহ মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আলী, ডা. আবুল খায়ের, স্বোচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আকবর আলী, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, জেলা জাসাসের সভাপতি কাজি সাইফুল ইসলাম টুটুল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি, শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের হাটহাজারী উপজেলা আহ্বায়ক উত্তম কুমার দাশ।


ফেনীতে ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংগঠনের বার্ষিক হিসাব উপস্থাপন করা হয় এবং জেলায় কর্মরত ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা তাদের পেশাগত বিভিন্ন সমস্যা সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে তুলে ধরেন। গত শনিবার বিকালে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ফেনী জেলা শাখার আয়োজনে ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিতি ছিলেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি মো. জিয়াউল হায়দার পলাশ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব সৈয়দ জাহীদ হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (ডিকেআইবি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির (চট্টগ্রাম বিভাগ) সহসভাপতি মো. শামছুল আলম, ডিকেআইবি (চট্টগ্রাম অঞ্চল) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, ডিকেআইবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি হাবিবুর রহমান, ডিকেআইবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কাউছার।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ফেনী জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছালেহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সোনাগাজী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আজমীর হোসেন, দাগনভূঞা উপজেলা সদস্য সাইফুল ইসলাম, ফেনী সদর উপজেলা সদস্য মাহমুদুল করিম, পরশুরাম উপজেলা সভাপতি দেবাঞ্জন বনিক, ছাগলনাইয়া উপজেলা সভাপতি রনি মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সোনাগাজী উপজেলা সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম পাটোয়ারী, দাগনভূঞা উপজেলা সহসভাপতি এমদাদুল হক, ফেনী সদর সাধারণ সম্পাদক সেলিনা বেগমসহ ডিকেআইবির বিভিন্ন উপজেলা নেতারা, জেলা কমিটির নেতারা, অঞ্চল কমিটির নেতারা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।

বার্ষিক সাধারণ সভায় বন্যা পরবর্তী ফেনী জেলায় কৃষিকাজের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কর্মপরিবেশ বজায় রাখা, ১০ বছর ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদানে জটিলতা নিরসন, দশম গ্রেড গেজেটেড পদমর্যাদা প্রদান, ৩ বছর মেয়াদি কৃষি ডিপ্লোমাধারী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দশম গ্রেড প্রাপ্যতার জটিলতা নিরসন, নিজ জেলায় পদায়নসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় সংগঠনের অন্যান্য সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথরা উপস্থিত ছিলেন।


রাঙামাটিতে সৌরচালিত ভূপৃষ্ঠস্থ পানি পরিশোধনের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি

রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের ফুরোমন পাড়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত এলজিআইসির আওতায় গ্র্যাভিটি ফ্লো সিস্টেম (GFS) ভিত্তিক রাঙামাটিতে সৌরচালিত ভূপৃষ্ঠস্থ পানি পরিশোধন ও সররাহ ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শনিবার এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মোবারক হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রকৌশলী প্রণব রায় চৌধুরী এবং রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত বড়ুয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুল্লাহ বলেন,‘বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গ্রামীণ জনগণের জন্য টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এই সৌরচালিত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা শুধু বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ করবে না, বরং স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সময় সাশ্রয় ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্থানীয় জনগণকে এই প্রকল্পের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও সচেতনভাবে ব্যবহার করতে হবে।’

উল্লেখ্য, প্রকল্পটির মোট ধারণক্ষমতা ১০ হাজার লিটার। এর মধ্যে ৫ হাজার লিটার সুপেয় পানি এবং ৫ হাজার লিটার দৈনিক ব্যবহারযোগ্য পানি। এতে ১২টি ট্যাপ স্ট্যান্ডের মাধ্যমে ৪৫টি পরিবারসহ প্রায় ১৮৬ জন মানুষ উপকৃত হবেন।


রূপগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ  প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ২১নং দক্ষিণবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার দীপকের নানা অনিয়ম, স্কুলে অনুপস্থিত, শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।

রোববার উপজেলার দক্ষিণবাগ এলাকায় বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে শতাধিক অভিভাবক ও স্থানীয়রা এই মানববন্ধনে অংশ নেন।

এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন, অনিয়মের মাধ্যমে স্কুলকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন, এবং সংবাদ প্রকাশ করতে গেলে সাংবাদিকদেরও লাঞ্ছিত করছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৫ জুলাই দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি নাজমুল হোসেনকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার। এ সময় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তেজিত হয়ে ওই শিক্ষক সাংবাদিককে ‘বেয়াদবের বাচ্চা’ বলে গালি দেন এবং মারধরের হুমকি দেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, হরিকান্ত সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তারা দ্রুত তার অপসারণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা হুঁশিয়ার দিয়ে আরও বলেন, দ্রুত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ না করা হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আরও কঠোর অবস্থান নেবেন।


৫৪ বছরেও ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তি চরমে

কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া-কামরাঙ্গীরচর ঘাট
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকার কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া-কামরাঙ্গীরচর ঘাট। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত অবধি হাজারো মানুষ এখানে ভিড় করেন নদী পারাপারের জন্য। বুড়িগঙ্গার মতো বিশাল নদীতে আশপাশের ১০/১৫ কিলোমিটার এলাকায় নেই কোনো ব্রিজ। এই এলাকায় চলাচলে একমাত্র ভরসা নৌকা। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হন শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। মাঝেমধ্যেই বালুবাহী বালহেটের সঙ্গে নৌকার সংঘর্ষে ঘটে প্রাণহানির ঘটনাও। অথচ দীর্ঘ ৫৪ বছরেও এখানে স্থায়ী ব্রিজ হয়নি।

দুই পাড়ের অনেকে কম বেতনে চাকরি করতে। স্কুল-কলেজে পড়তে যায় এলাকার ছেলে-মেয়েরা। কিন্তু গরীব মানুষের অর্ধেক টাকাই খরচ হয়ে যায় নদী পারাপারেই। শুধু তাই নয়, প্রতিদিনই ইজারাদারদের সঙ্গে যাত্রীদের ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, ইজারাদাররা ভাড়া নিয়ে টানাহেঁচড়া করে, বাজে ব্যবহার করে, এমনকি অনেক সময় হয়রানির শিকারও হতে হয়।অথচ তারা নামমাত্র মূল্যে ঘাটের ইজারা নেয়।

খোলামোড়ার তরুণ আরিফ বলেন, ব্রিজ হবে শুনে বড় হয়েছি, কিন্তু পাইনি। প্রতিদিন নদী পার হয়ে স্কুল-কলেজে যেতে যে কষ্ট, তা ভাষায় বোঝানো যায় না। তাছাড়া ইজারাদারদের ব্যবহার খুবই খারাপ। ৫/ ৭ বছরের বাচ্চাদেরও ইজারার টাকা ছাড়া বের হতে দেয়না। ব্রিজটা খুবই জরুরি।

গৃহবধূ সাদিয়া অফরিন বলেন, এক পাশে বাবার অন্য পাশে শ্বশুরবাড়ী, যাতায়াতের সময় তিন বাচ্চাকে নিয়ে নৌকায় উঠতে বুক কাঁপে। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে বলা যায় না। তার ওপর ইজারাদারদের খামখেয়ালি আচরণে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নৌকায় মালামাল আনা-নেওয়া করতে গিয়ে কত ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনায় মানুষ মরেছে, মালামাল নষ্ট হয়েছে। ব্রিজ হলে শুধু যোগাযোগই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যও এগিয়ে যাবে। কিন্তু এত বছরেও হয়নি।

কেরানীগঞ্জের সাবেক এমপি আমান উল্লাহ আমান জানান, বাবুবাজার ব্রিজ, বসিলা ব্রিজ আমরাই করেছি, এটাও আমরাই করব। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবার আগে খোলামোড়া-কামরাঙ্গীরচর ব্রিজ হবে।

স্থানীয়রা মনে করেন, পোস্তগোলা, বাবুবাজার ও বসিলা ব্রিজ কেরানীগঞ্জের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এবং নবাবগঞ্জ, দোহার, মুন্সীগঞ্জসহ দক্ষিণবঙ্গের ১০/১২টি জেলার রাজধানীতে প্রবেশের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই নতুন একটি স্থায়ী ব্রিজ সময়ের দাবি।

খোলামোড়া ও কামরাঙ্গীরচরের দুই পাড়ের কয়েক লাখ মানুষের একটাই প্রশ্ন—আসলেই কি হবে এই ব্রিজ? আর না হলে বাধাটা কোথায়? প্রতিশ্রুতি নয়, তারা এখন দেখতে চান বাস্তবায়ন।


৩১ বছর ধরে নানা সমস্যায় বামন্দীর পশু হাসপাতাল

গাংনীর পশু হাসপাতালটি এখন যেনো বালির ঘাট
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

কৃষি নির্ভর মেহেরপুর জেলার প্রান কেন্দ্র বাণিজ্যিক এলাকা বামন্দী ইউনিয়নে একত্রিশ বছর পূর্বে স্থাপন করা হয় গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উপকেন্দ্র পশু হাসপাতাল।

এই এলাটিতেই অবস্থিত খুলনা বিভাগের ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশুহাট। যেখানে বিভাগের কয়েকটি জেলার হাজার পশুপালনকারি খামারি ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনা এই বামন্দীতে।

এসব দিক বিবেচনা করেই ১৯৯১-১৯৯২ সালের দিকে নির্মাণ করা এই গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উপকেন্দ্র পশু হাসপাতাল। এটি নির্মাণের ঠিক তিন থেকে চার বছর পরই বন্ধ হয়ে যায় উপকেন্দ্রটি।

এরপর থেকে তিন দশক ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছে হাসপাতালটি। এর মধ্যে দেখা মেলেনি কোনো প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তার। উপায় না পেয়ে পশুর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যেতে হয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে। এতে একদিকে যেমন বেড়ে যায় ব্যয়, তেমনি বাড়ে কষ্ট।

আর বতর্মান চিত্র আরো ভয়াবহ, হাসপাতালটির প্রবেশ পথের সামনে রাখা হয়েছে বালুর স্তূপ। এখানে সারাদিন ধরে বালির ব্যবসা, আর রাতে পরিনত হয় মাদকসেবীদের আকড়া।

স্থানীয় খামারিদের দাবি, দ্রুত এই পশু হাসপাতালটি চালু করা হোক, কর্তৃপক্ষের কাছে এটিই চাওয়া।

বামন্দী পশুহাট মালিকদের দাবি, জেলার সবচেয়ে বেশি ভ্যাট দিয়ে থাকে বামন্দী পশুহাট কর্তৃপক্ষ। তাই এই পশু হাসপাতালটি চালু করা খুব দরকার।

এদিকে গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে বলা হয়েছে, অতিদ্রুতই-এর কাগজপত্র প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

স্থানীয় জনি আহমেদ বলেন, আমার বয়স পঁচিশ বছরের মতো হবে। আমি জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে আছে। এত দিন ধরে পড়ে থাকার কারণে পশু হাসপাতালটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু দাঁড়িয়ে আছে ঘরটি। হারিয়ে গেছে পশু চিকিৎসার সরঞ্জাম ও দরজা-জানালা।

মানুষ এখন এটির সামনে বালি রেখে ব্যবসা করে এটিকে বালির ঘাট বানিয়ে ফেলেছে। তবে দ্রুত এ ঘরটি সংস্কার করে নতুনভাবে চালু করা হোক।

বামন্দী ব্যবসায়ীক সমিতির সভাপতি ও ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশুহাট ইজারাদার মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে একেবারে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। তাই আমাদের জোর দাবি, এই পশু হাসপাতালটি চালু করা হোক।

আমরা এই হাটটি থেকে বছরে জেলার সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদান করে থাকি। আমাদের শুক্র ও সোমবার এই দুদিন হাটে ৮ থেকে ১০ হাজার পিস গরু ছাগল আমদানি হয়ে থাকে। এই পশু যেকোনো সময় অসুস্থ হতে পারে। পশু হাসপাতালটি চালু হলে খামারি ও ব্যবসায়ীরা অনেক উপকৃত হবে। কেননা খামারিদের পশু অসুস্থ হলে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য উপজেলায় যেতে হয়। এটা অত্যন্ত কষ্টকর।

খামারি আ. জাব্বার বলেন, আমরা খামারে গরু পালন করি আর পশু অসুস্থ হলে দশ কিলোমিটার দূরে উপজেলা প্রাণিসম্পদে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। আর আমাদের বামন্দী পশু হাসপাতালের ডাক্তার ডেকে আনতে গেলে টাকা দিয়ে নিয়ে আসা লাগে। তাই এই হাসপাতালটি চালু হলে আমরা গরু চাষিরা অনেক উপকৃত হবো।

স্থানীয় পশু চিকিৎসক ইউসুফ আলী বলেন স্থানীয় গবাদিপশু পালনকারিদের কথা ভেবে, আমিসহ আরও কিছু লোক টাকাপয়সা তুলে এই জমি ক্রয় করেছিলাম। পরে উপজেলা পরিষদের টাকা দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। আমিও চাই পশু হাসপাতালটি আবার চালু করা হোক।

গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোত্তালেব আলী বলেন, বামন্দীর উপকেন্দ্র পশু হাসপাতালটি ১৯৯০ অথবা ১৯৯১ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ ৩১ বছর পড়ে থাকায় নানা সমস্যায় জর্জরিত উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের উপকেন্দ্রটি। এটি বামন্দী ইউনিয়নে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পশু হাসপাতালটি নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

মোত্তালেব আলী আরও বলেন, বিষয়টি জানার পরই আমরা সরেজমিনে পরিদর্শনও করেছি। সেখানে তিনটি রুম বিশিষ্ট ঘর ছাড়া আর অবশিষ্ট কিছুই নেই। কোনো জানালা, দরজা বা চিকিৎসার সরঞ্জাম দেখতে পাইনি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন দপ্তরে যেতে হচ্ছে।


মায়ানমার থেকে পণ্যের বিনিময়ে মাদক পাচারকালে ৩ পাচারকারী আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মায়ানমার থেকে পণ্যের বিনিময়ে মাদক পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ পণ্যসামগ্রীসহ তিনজন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় কোস্ট গার্ড আউটপোস্ট শাহপরী কর্তৃক মায়ানমারের নাইক্ষ্যনদিয়া সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় একটি সন্দেহজনক কাঠের বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে পাচারের সময় প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে— ৮৩ বস্তা সিমেন্ট, ৮৫ বস্তা সার ও ৩৪০ লিটার সয়াবিন তেল। এ সময় পাচার কাজে ব্যবহৃত কাঠের বোটসহ তিনজন পাচারকারীকে আটক করা হয়।

কোস্ট গার্ড জানায়, জব্দকৃত মালামাল, আটককৃত পাচারকারী ও বোটের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক আরও বলেন, “চোরাচালান রোধকল্পে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।”


জামালপুরে প্রতিমা ভাংচুর; গ্রেফতার ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে পৌরসভার তাড়িয়াপাড়া এলাকার একটি মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।
মন্দির কমিটি জানায়, আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য সাতটি প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছিল। পূজার সব আয়োজন শেষ করে প্রতিমা শিল্পীদের বিদায় দেওয়া হয় শনিবার রাতে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা গুলোর মাথা সহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলে পালিয়ে যায়।
আজ রবিবার সকালে মন্দির কমিটির সদস্যরা এসে প্রতিমাগুলো ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেন। তিনি পৌরসভার শিমলা পল্লী গ্রামের সোহরাব মিস্ত্রির ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন জানান, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।


চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদযাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা ও তথ্যচিত্র উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয় শোভাযাত্রা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্কাউটস এর সভাপতি মো. আব্দুস সামাদ।
শোভাযাত্রায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্কাউটস এর কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: নকিব হাসান তরফদার, জেলা স্কাউটসের সহকারী কমিশনার আসরাফুল আম্বিয়া সাগর, যুগ্ন সম্পাদক মারুফুল হক, জেলা স্কাউটস লিডার খসরু পারভেজ, সহকারী লিডার ট্রেনার কে এ এম মাহফুজুর রহমান, জেলা কাব লিডার রাকিব উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন ইউনিট লিডাররা স্কাউট ও গার্ল ইন স্কাউট সদস্যদের সাথে অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে জেলা স্কাউটস ভবনে দিবসটির উপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। পরে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।


আজ নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে আজ দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

সফর সূচি অনুযায়ী, তিনি ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছবেন এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চারজন রাজনৈতিক নেতা থাকছে—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।

এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা বিগত এক বছরে দেশে সংঘটিত সংস্কার এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার বিশ্ব নেতাদের সামনে তুলে ধরবেন।

এ ছাড়া তিনি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে ‘হাই লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনোরিটিস ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক এক উচ্চপর্যায়ের সভায়ও অংশ নেবেন।


সাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্ত্রী রুকমিলার গাড়িচালকের বাড়ি থেকে ২৩ বস্তা নথিপত্র উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সম্পত্তির নথিপত্রের সন্ধানে তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইলিয়াস তালুকদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৩ বস্তা নথিপত্র উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শনিবার রাত সাড়ে তিনটা থেকে রোববার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নে এই অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান।

উপ-পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের স্ত্রীর ব্যক্তিগত গাড়িচালকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৩ বস্তা কাগজপত্র সহ বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

দুদকের এই কর্মকর্তা আরো জানান, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপসহ তার বিভিন্ন সম্পত্তি সংক্রান্ত মোট ২৩ বস্তা ডকুমেন্টস গত ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট আরামিট গ্রুপের শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে রুকমিলা জামানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইলিয়াস তালুকদারের বাড়িতে এনে রাখা হয়েছিল।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, অর্থ পাঁচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১২৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছয়টি মামলা দায়ের করেছে।

মামলার সূত্র ধরে গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের দুই সহযোগী মো. আব্দুল আজিজ ও উৎপল পালকে আটকের পর রিমান্ডে নিলে জিজ্ঞাসাবাদে দুদক জানতে পারে সাইফুজ্জামানের স্ত্রী রুকমিলা জামানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইলিয়াস তালুকদারের বাড়িতে অসংখ্যা নথিপত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে। নথিপত্র উদ্ধারে প্রথম দফায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল দুদক। তবে অভিযানের পূর্বেই নথিপত্র সরিয়ে নেওয়ায় শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল দুদককে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে দেখা যায়, নথিপত্র সরিয়ে ফেলতে। পরবর্তীতে রোববার রাত সাড়ে তিনটায় ফের অভিযানে নেমে ২৩ বস্তা নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা যায়নি। ড্রাইভার ইলিয়াস পলাতক রয়েছেন। এছাড়া ওসমান নামে যে প্রতিবেশীর ঘরে নথিগুলো সরানো হয়েছিল তিনিও পলাতক। সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে এই অভিযান। উদ্ধার হওয়া নথিপত্র বিশ্লেষণ করে এবিষয়ে বিস্তারিতপরে জানানো হবে।

এদিকে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ মহানগর বিশেষ জজ মো. আবদুর রহমানের আদালতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই বিষয়ে রোববার আদালত আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপর গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।


৩ দশক পরিত্যক্ত বামন্দী পশু হাসপাতাল, চালুর দাবি খামারিদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর প্রতিনিধি  

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নে ১৯৯১-৯২ সালে নির্মিত উপকেন্দ্র পশু হাসপাতালটি দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে বন্ধ পড়ে আছে। খুলনা বিভাগের ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশুহাটের পাশে অবস্থিত এই হাসপাতাল একসময় খামারি ও ব্যবসায়ীদের বড় ভরসা হলেও নির্মাণের কয়েক বছর পরই তা বন্ধ হয়ে যায়।

এখন হাসপাতাল চত্বর পরিণত হয়েছে বালুর ঘাট ও মাদকসেবীদের আড্ডাখানায়। খামারিদের দাবি, জেলার সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী বামন্দী পশুহাটের স্বার্থেই পশু হাসপাতালটি দ্রুত চালু করা জরুরি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা ও পশুপালনকারীরা জানিয়েছেন, হাটে প্রতি সপ্তাহে ৮ থেকে ১০ হাজার গরু-ছাগল কেনাবেচা হয়। কিন্তু পশু অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য খামারিদের ১০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যেতে হয়, যা কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল।

গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোত্তালেব আলী বলেন, “দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকার কারণে হাসপাতালটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে আমরা ইতিমধ্যে কাগজপত্র প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি।”

স্থানীয়দের একটাই দাবি— দ্রুত সংস্কার করে বামন্দী পশু হাসপাতাল চালু করা হোক, যাতে খামারি ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হয়।


banner close