গাজীপুর-১ আসনে একই দলের দুই প্রার্থীর নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক পাল্টাপাল্টি হামলা ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জরিমানা করেও থামছে না তাদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধ। ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনী পরিবেশ। ফলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দুই প্রার্থীর সমর্থক, পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাড আ ক ম মোজাম্মেল হক চতুর্থবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল। তারা দুজন একই দলের হওয়ায় নির্বাচনী এলাকায় সর্বক্ষণ উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ ডিসেম্বর সকালে নৌকার পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে উপজেলার বড়ইবাড়ী এলাকায় শীল শান্ত রাজবংশীকে মারধর করা হয়। ট্রাক প্রতীকের সমর্থক চাপাইর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুর রউফ খান তাকে মারধর করেন। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শীলের সংখ্যালঘু পরিবারটি। গত সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গাছবাড়ী আজিজ মার্কেট এলাকায় নির্বাচনী পথসভায় যান স্বতন্ত্র প্রার্থী রাসেল। পার্শ্ববর্তী স্থান দিয়ে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল নৌকার সমর্থকরা। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বোয়ালি ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শরীফ আল মামুন আবুর নেতৃত্বে কয়েকজন নৌকার মিছিল বন্ধ করতে বলেন। একপর্যায়ে নৌকা ও ট্রাকের সমর্থকদের ধাক্কা-ধাক্কি এবং টানা-হেঁচড়াসহ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। পরে ওই ঘটনায় উভয়পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপস্থিতিতে নৌকার কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকার কর্মী ও যুবলীগের নেতা ফারুক হোসেন।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, ‘ওই ঘটনায় দুই পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা বিভিন্ন সময় নির্বাচনী প্রচারণাকালে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধও করছেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের দুই সমর্থককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য গুহ জরিমানা করেন। কিন্তু এর পরও থামছে না তাদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা। ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনী পরিবেশ। ফলে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ‘সংঘর্ষের বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়াও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
গাজীপুরে পৃথক স্থান থেকে চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। টঙ্গী, কোনাবাড়ি, সালনা ও ভবানীপুর এলাকা থেকে এ লাশগুলো উদ্বার করা হয়। পরে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় শুক্রবার সকালে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে কৌতূহল বশতঃ কয়েকজন ব্যক্তি ব্যাগটি খুললে টুকরা করা মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ সকাল ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ ধারণা, গত রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশটিকে কয়েকটা টুকরা করে। পরে ওই ট্রাভেল ব্যাগে করে ভোরে টঙ্গীর ওই স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে বেশ কয়েকটি টুকরা করে ওই ব্যাগের মধ্যে ভরে টঙ্গীর ওই স্থানে ফেলে পালিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
নগরীর দক্ষিণ সালনা মিয়াপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নয়ন (২৮) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি শেরপুর জেলার শ্রীবরদী গোসাইপুর এলাকার মোশারফ হোসেন মোসার ছেলে। সদর থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে জয়দেবপুর থানার পুলিশ।
নিহতের ছেলে সুমন জানান, রাত ১০টার দিকে তার বাবার মরদেহটি ভবানীপুর অনন্ত ভবন নামে একটি রিসোর্টের কাছে রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তার বাবার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি দাড় করানো অবস্থায় ছিল। শরীরে কোনো জামা কাপড় ছিল না। দূর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর মরদেহটি এখানে ফেলে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপর দিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকা থেকে এক অটোচালকের মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই চালকের নাম জিল্লু ফকির (৫০) তিনি ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকার ভালকি গ্রামের মাফেজ খার ছেলে। তিনি ২২ বছর ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।
নিহতের মেয়ে উর্মি জানান, তার বাবা সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যান। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অটোরিকশা যোগে লোকজন ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিষক্রিয়া উল্লেখ করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। কোনাবাড়ি থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনার আমতলী উপজেলার মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা রাসেল হাওলাদারকে হিরোইনসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের মধ্যে। তারা রাসেলের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
জানা গেছে, দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের মৃত বারেক হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তুলেছেন বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদেরও এই নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছেন তিনি। এ কাজে স্ত্রী, দুই ভাই রুবেল হাওলাদার ও সজিব হাওলাদারকেও সম্পৃক্ত করেছেন। তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের কাছে মাদক সরবরাহ ও অর্থ সংগ্রহ করতেন।
এছাড়া স্থানীয়দের অভিযোগ, রাসেলের সঙ্গে পুলিশ, র্যার , ডিবি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু সদস্যের সখ্যতা রয়েছে। ফলে তার বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করতেন তারা। রাসেলের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় ৯টি এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী থানা পুলিশ রাসেলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় একগ্রাম হিরোইন, হিরোইন পরিমাপ যন্ত্র ও প্যাকেজিং মেশিন উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জানান, রাসেলের পরিবারের সকলেই মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তাদের কব্জায় পড়ে অনেক পরিবার ধ্বংসের পথে গেছে। তাই তারা রাসেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে ৯টি মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উপ-পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে রাসেলকে বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর বাসস’কে বলেন, ‘দ্বীপটির জন্য একটি মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। এর পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প আয়ের উপায় নির্ধারণের কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, দ্বীপটির প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য (দ্বীপের প্রকৃতির ক্ষতি কমিয়ে আবার সুস্থ ও জীবন্ত করে তোলার লক্ষ্যে) সেখানে পর্যটন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক বছরে পরিবেশ সুরক্ষা, বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে।
দূষণ কমাতে সারা দেশের শপিংমলগুলোতে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। পলিথিন উৎপাদন কারখানা, কাঁচাবাজার ও অন্যান্য স্থানে এর ব্যবহার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চলছে।
পাশাপাশি পলিথিনের বিকল্প হিসেবে সাশ্রয়ী মূল্যে পাটের ব্যাগ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি যৌথ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া ৮৩০টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ঢাকার সাভার ও আশুলিয়াকে ‘দূষিত বায়ুমণ্ডল’ এলাকা হিসেবে ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে। অবৈধ সীসা কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে তরুণদের যুক্ত করা হয়েছে।
গাজীপুরের গাছা খাল দূষণকারী নয়টি কারখানার সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং সব পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য নতুন কর্মসূচি অনুমোদিত হয়েছে এবং এর নিজস্ব ৩৭টি অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
পাহাড় সংরক্ষণের জন্য ১৬টি জেলার তালিকাভুক্ত পাহাড়ের তথ্য অনলাইন ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং নিয়মিত নজরদারি চলছে।
জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ৩৫১ কোটি টাকার ৪১টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ’ চূড়ান্ত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের ওপর আলোকপাত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কক্সবাজার ও সোনাদিয়ায় বিভিন্ন কাজে বরাদ্দকৃত ১০ হাজার ৩২২ একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
পূর্বাচলে ১৪৪ একর এলাকাকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত এক বছরে বেদখল হওয়া ৫ হাজার ৯৩ একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করে সেখানে আবার বনায়ন করা হয়েছে।
ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা উৎপাদন ও রোপণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মধুপুর শালবন পুনরুদ্ধারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাতির চলাচলের পথ তৈরি এবং জীববৈচিত্র্য বাড়ানোর জন্য চুনতি ও শেরপুরের বন পুনরুদ্ধারের কাজও চলছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে মানব-হাতি সংঘাত কমাতে ১৫৯টি ‘এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি)’ গঠন করা হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় ময়ূর ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বিপন্ন প্রজাতিগুলোকে সুরক্ষিত করা হচ্ছে, জলাভূমিগুলোকে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ও ২৯৩টি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন অভিযানে ৫ হাজার ৬৮৪টি প্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জাতীয় উদ্যান ও ইকোপার্কগুলোতে প্লাস্টিক ব্যবহার ও পিকনিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী আইন আধুনিকীকরণ এবং নতুন আইন, বিধি ও নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজও চলছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের এসব উদ্যোগ দেশের পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এগুলো একটি জলবায়ু প্রতিরোধী ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অবস্থান করছেন এক তরুণী। তার দাবী, হয়তো প্রেমিকের সঙ্গে তার বিয়ে হবে, নয়তো প্রেমিকের বাড়িতেই তিনি আত্মহত্যা করবেন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেল থেকে এখন পযন্ত প্রেমিকের বাড়ির সিঁড়ির উপরে বসে অবস্থান করছেন ওই তরুণী।
ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আ.আজিজুল হকের বাড়িতে। তরুণীর প্রেমিকের নাম রিপন। তিনি ওই বাড়ির আঃ আজিজুল হকের ছেলে।
তরুণী জানায়, প্রেমিক রিপনের বাড়ির পাশে তার খালার বাসা রয়েছে। দেড় বছর আগে ওই তরুণী তার খালার বাসায় বেড়াতে আসলে রিপনের সঙ্গে তার দেখা হয়। পরে রিপন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। সেখান থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্কে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলেও দাবী করেন তরুণী।
তরুণী আরও জানান, রিপন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করেছেন। এখন আর তাকে পাত্তা দেন না। তরুণীর সঙ্গে রিপন সকল ধরণের যোগাযোগ বিছিন্ন করে রেখেছেন। সম্প্রতি অন্য মেয়ের সঙ্গে রিপনের বিয়ে ঠিক হয়েছে জানতে পেরে তিনি অনশনে বসেছেন।
তরুণী দৈনিক বাংলাকে জানান, বিয়ের কথা শুনে কোন উপায় না পেয়ে রিপনের বাসায় আসছি। এখন রিপন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবো।
এদিকে, প্রেমিক রিপন ঢাকাতে অবস্থান করায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে, তার বাবা আজিজুল হক দৈনিক বাংলাকে বলেন, তার ছেলে ঢাকায় থাকেন। তিনি এবং তার ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। মেয়েটির খালা বাসা তাদের বাসার পাশে। এই সুবাধে প্রায়ই মেয়েটির যাতায়াত ছিলো তাদের বাসায়। পারিবারিক শত্রুতার জেরেই মেয়েটির দ্বারা ষড়যন্ত্রের শিকার তার ছেলে।
তার ছেলের সাথে তরুণীর দেড় বছরের সম্পর্কের বিষয়টি মিথ্যা দাবী করে তিনি আরও বলেন, অন্য মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ের বিষয়টিও মিথ্যা। আমার ছেলেকে এখন বিয়ে দিচ্ছি না। এছাড়াও তার সঙ্গে আমার ছেলের কোন প্রেমের সম্পর্কও হয়নি।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনাটি তার জানা নেই। প্রতিবেদকের থেকে মাত্র শুনলেন। তবে, ভুক্তভোগীর থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
নাটোরের সিংড়ার চলনবিলের কয়েকটি স্থান থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা মুল্যের ১৫০টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল উদ্দার করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ডাহিয়া ফকিরপাড়া ও চামারী ইউনিয়নের বিলদহর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে নিষিদ্ধ জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংশ করা হয়।
সিংড়ার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন জানান, চলনবিলেন বিভিন্ন অংশে অসাধু মৎস শিকারীরা নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মা মাছসহ পোনা মাছ নিধনে মেতে উঠেছে। চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৫০টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন স্বাধীনচেতা ও প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। ব্যক্তি জীবনে কোন ধরণের রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ও বাজে আড্ডায় জড়িত না থাকায় গ্রামের লোকজনের কাছে অদ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে বেশ সমাদৃত ছিলেন।
তিনি ফুলবাড়িয়া পৌর সদরের আল হেরা স্কুল থেকে এসএসসি শেষে ২০০২ সালে ভর্তি হন সিলেট এম সাইফুর রহমান কলেজে। তার সহোদর জসিম উদ্দিন গাজীপুরে ব্যবসা করায় ভাইয়ের বাসায় থেকেই গাজীপুর ভাওয়াল কলেজ থেকে অনার্স করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিভ হিসেবে চাকুরি করেন। বাবা মা বারণ করলেও ২০১২ সাল থেকেই পুরোদমে সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন। যার দরুণ পেশাগত কারণে পরিবার নিয়ে তিনি গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চান্দনা চৌরাস্তার ফুটপাত ও দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজির ঘটনা লাইভ করেন তুহিন। পরে নিজ ফেইসবুকে “ যেমন খুশি তেমন রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য গাজীপুর চৌরাস্তা” লিখে ভিডিও পোস্ট করেন। এর পরপরই মসজিদ মার্কেটের সামনে চায়ের দোকানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে নিহতের স্বজেনরা জানান।
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে। তিনি বয়োবৃদ্ধ হাসান জামাল ও সাবিহা খাতুনের পুত্র। পাঁচ ভাই ও দুই বোনদের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্ব কনিষ্ঠ। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের মৃত্যুতে গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবারের লোকজন বিচারের দাবি জানিয়ে আহাজারী করছেন।
সরেজমিনে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখাযায়, নিহতের মা সাবিহা খাতুন বকুল (৭৫) বিলাপ করে বলছেন আমার ছেলে তুহিন কালকেও বলেছে, আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাবো, আম্মা কোন চিন্তা করিও না তুমি ভালো হয়ে যাবা । এখন আমগরে কেডা খোঁজ নিবো। কেডা মোবাইল করবো? আমগরে কেডা দেখবো
বলে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। একই অবস্থা বয়োবৃদ্ধ পিতা হাসান জামিলের। দুদিন আগেও তাকে ওষুধ কিনার টাকা পাঠিয়েছেন বলে চিৎকার করছেন।
স্বজেনরা জানান সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন ২০০৫ সাল থেকে গাজীপুরে বসবাস করছেন। স্ত্রী মুক্তা আক্তার সেখানকার একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চাকুরি করতেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সেখানেই ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। তাদের ঘরে সাত বছর বয়সি তৌকির তিন বছর বয়সি ফাহিম নামে দুই শিশু সন্তান রয়েছে। আসাদুজ্জামান তুহিন কে হত্যা করায় তার দুই শিুশু সন্তান, স্ত্রী ও বয়োবৃদ্ধ বাবা মায়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিৎ হয়ে পড়েছে। তুহিন হত্যার বিচারের পাশাপাশি সরকারি অথবা ব্যক্তি উদ্যোগে তাদের পরিবারের পাশে দাড়ানোর অনুরোধ করেন।
প্রতিবেশি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, তুহিন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার বৃদ্ধ বাবা মা তার উপর নির্ভরশীল ছিলেন। এখন এ পরিবারটি কিভাবে চলবে, কী করবে বুঝতেছি না।
চাচাতো ভাই নাছির উদ্দিন বলেন, আমার ছোট ভাইকে যারা প্রকাশ্যে হত্যা করেছে তাদের প্রকাশ্য ফাঁসি চাই, আমাদের আর কোন কিছুই চাওয়ার নাই।
বোন সাইদা আক্তার রত্না বলেন, মাঝে মাঝে আমাদের খোজ খবর নেয়, আমার ভাই কোন দিন কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিন না, কখনো খারাপ ছেলেদের সাথে আড্ডা দিত না, কেন আমার ভাইকে হত্যা করা হলো? আমার ভাইয়ের কি অপরাধ আমরা বিচার চাই। পুলিশ কেন আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করছেনা এর জবাব চাই।
এদিকে তুহিন হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে তার নিজ মাতৃভূমি ফুলবাড়িয়াতে শুক্রবার সকালে ফুলবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিকরা মানবন্ধন করেন। পরে বাদ মাগরিব দ্বিতীয় জানাযা নামাজ শেষে তাকে বাড়ির পাশেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, নির্বাচন হচ্ছে ব্যালটের যুদ্ধ ।নবী রাসূলের জমানায় সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে তারা অংশগ্রহণ করেছে ।এখন তো আধুনিক যুগ ।আধুনিক যুগের হচ্ছে ব্যালটের যুদ্ধ।নির্বাচনটা সুধু নির্বাচন না ,এটা হচ্ছে আমাদের ব্যালটের যুদ্ধ ।
শুক্রবার (৮ আগষ্ট )দুপুর ১২টায় বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ অডিটোরিয়ামে কালাইয়া ইউনিয়ন জামায়াতের মহিলা বিভাগের উদ্যোগে কেন্দ্রভিত্তিক ছাত্রী ও মহিলা দায়িত্বশীল সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, এই যুদ্ধ আল্লাহ আমাদের প্রত্যেক ভাই -বোনদের জন্য ফরজ করেছে ।সুতরাং ফরজ কাজ মনে করে ,আমরা সালাত যেমন আদায় করি ।আল্লাহ্ জমিন ,আল্লাহ্ দিনকে বিজয় করার কাজ টাকেও ঠিক একই ভাবে আমাদের দায়িত্বশীল যারা,কর্মী যারা ,সহযোগী যারা তাদের একই ভাবে ধারণ করতে হবে ।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ আমাদের দাওয়াতি কাজ করতে হবে ,বোনদের কাছে পৌঁছাতে হবে ।এটা মৌলিক কাজ ।বাড়ি বাড়ি,ঘরে ঘরে ,জনে জনে ,বারে বারে এই স্লোগান নিয়ে বোনদেরকে বের হতে হবে ।আমরা বোনদের কাছে দাওয়াত দিবো জনে জনে ,বারে বারে ।
তিনি বলেন, বাউফলে অনেক বলেন মাসুদ ভাই আপনার সালাম আমাদের কাছে এই পর্যন্ত ২-৩ বার পৌছেছে, অন্য কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আসে নাই । এই প্রথম আপনি যার কাছে পৌঁছাতে পারবেন স্বাভাবিকভাবেই তার আপনার প্রতি একটা দূর্বলতা থাকবে ।আমরা এই দূর্বলতাকে কাজে লাগাতে চাই ।আমরা সবার আগে সবার কাছে পৌঁছাতে চাই ।
এতে সভাপতিত্ব করেন কালাইয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা মোঃ মোশাররফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাউফল উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইসাহাক। জামায়াত নেতা মোঃ হাসনাইন, মোহাম্মদ রাসেল, মাহমুদ হাসানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
রুবাইয়াত হোসেন খানকে সভাপতি এবং মনিরুজ্জামান রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার মিরাজকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ মাগুরা জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ মাগুরা জেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটি হলো :
সভাপতি: মোঃ রুবাইয়াত হোসেন খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি: মোঃ আসলাম পারভেজ পলাশ, সহ-সভাপতি:মোঃ মারুফ হোসেন মুন্না ও মোঃ শামীম হোসেন মিলন।
সাধারণ সম্পাদক: মোঃ মনিরুজ্জামান রাসেল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক: এ্যাড. জিয়াউর রহমান তিতাস,যুগ্ম সম্পাদক:অনিক অপু ও মোঃ লাবু ইসলাম
সাংগঠনিক সম্পাদক: ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক: মোঃ অনুপ সিদ্দীকি , প্রচার সম্পাদক: নাঈমুর রহমান কোষাধ্যক্ষ:মোঃ সাইফুল ইসলাম ক্রীড়া সম্পাদক:মোঃ আল আমিন ডলার সহ ক্রীড়া সম্পাদক:মোঃ হাদীউজ্জামান লেলিন
সম্মানিত সদস্য:মোস্তাক বিশ্বাস , রিপন ইসলাম জনি, মোঃ আরমান হোসেন,মোঃ আল আমিন মোল্যা,মোঃ সাইদুজ্জামান হামীম , মোঃ রিফাতুল ইসলাম রায়হান, শাহ আলম,জুলফিকার আলি,আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা: আলী আহমেদ,
উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য:
আখতার হোসেন,আহসান হাবিব কিশোর, ফারুকুজ্জামান ফারুক,খাঁন হাসান ইমাম সুজা,এ্যাড. রোকনুজ্জামান,আলগীর হোসেন,মিথুন রায় চৌধুরী,শাহেদ হাসান টগর ,পিকুল খান।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক: মনোয়ার হোসেন খান
পৃষ্ঠপোষক বৃন্দ:
শরীফ আজিজুল হাসান মোহন, শামসুর রহমান শামসু্,শহিদুল ইসলাম রুপক,মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ডলার,মাহফুজুর রহমান,ইঞ্জিঃ জিয়াউর রহমান,আবুল হোসেন মিনা লিটন,মোঃ সুমন হোসেন,কাজী আল-আমিন।
‘মাদকের বিরুদ্ধে হই সচেতন, বাঁচাই প্রজন্ম বাঁচাই জীবন’—এই প্রতিপাদ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাদক ও অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হেল্প সোসাইটি’র আয়োজনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
তিরনইহাট ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত কর্মী মাহমুদুল ইসলাম মামুন, তেঁতুলিয়া মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর কমলেশ, শিক্ষক হুমায়ুন কবির, সমাজসেবক তুষার হোসাইন, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমানুল্লাহ আমান এবং হেল্প সোসাইটির সভাপতি শাকিল আহমেদ।
সভায় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০ সদস্যের মাদকবিরোধী কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘মাদক ও অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে ইউনিয়নে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ ছাড়া, যুব সমাজকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে ফকিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘চেয়ারম্যান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট’ আয়োজনেরও ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে পরিবেশকর্মী মাহমুদুল ইসলাম মামুনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে হেল্প সোসাইটি। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে এলাকার গুণীজনদের সম্মাননা জানানোসহ মাদক ও অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
নওগাঁর ধামইরহাট ও সাপাহার সীমান্ত দিয়ে নারী শিশুসহ ১৮জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্ত পিলার ২৭১/১ এস ও সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২ এস এর কাছ দিয়ে পুশইন করলে বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করেছে।
ধামইরহাটে আটককৃতরা হলেন- খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাদশা মিয়া (২০), ইমরান গাজী (৩৪), নাজমুল হাসান (২৪), খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শিশু মোছা. সুমা মোল্লা (৪), শিশু রায়হান মোল্লা (৪), নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মোছা. নুপুর খানম (২২), শিশু মোছা. আশিকা খানম (৪), মোছা. মনিরা খাতুন (১৮), মোছা. রাবেয়া শেখ (২৮), বাবু শিকদার ( ১৭), প্রিয়া শিকদার (২৬), শিশু ফাতেমা শেখ (৭), মোছা. ববিতা শিকদার (৩৫), যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার মোছা. দুলি বেগম (৪০)।
সাপাহারে আটককৃতরা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার উথলী গ্রামের ইমদাদুলের স্ত্রী মোছা. হেনা খাতুন (৩৮), একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের বালাম শিকদারের স্ত্রী রূপালী (৩৫), তাদের মেয়ে চাঁদনী (৮) এবং ছেলে রমজান (২ বছর ৬ মাস)।
বিজিবি ১৪ (পত্নীতলা) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, ভোরে ১৪ বিজিবির কালুপাড়া বিওপির টহল দল হাবিলদার রুপম চাকমার নেতৃত্বে একটি টহল দল বাংলাদেশের ৫০গজ অভ্যন্তরে সাতনাপাড়া আম বাগানে তাদেরকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের বোম্বাই শহরে ৪জন পুরুষ রাজমিস্ত্রী এবং ৭জন মহিলা বাসা বাড়ীতে কাজ করতে যান। পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশ (সিআইডি) তাদের আটক করে। আজ ভোরে ভারতের বালুরঘাট বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা বাংলাদেশে পুশইন করে।
এদিকে সাপাহার সীমান্তে আটকৃতরাও কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়ে বাসা–বাড়িতে কাজ করতেন। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে ‘চেকব্যাক’ প্রক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের ছত্রাহাটি বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠালে ভোরে তাদেরকেও বাংলাদেশ পুশইন করা হয়। ভোরে সাপাহারের বামনপাড়া বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২ এস থেকে প্রায় ৮০০ গজ ভেতরে রসুলপুর গ্রামের জামে মসজিদের পাশ থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাম জাফর বলেন, বিজিবি এখনো আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করেনি। হস্তান্তরের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আজিজ জানান, আটককৃতদের ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে চলতি বছরের ৩১ জুলাই ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০জনকে পুশইন করে বিএসএফ।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজ রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক আলী রীয়াজ একথা জানান।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন করার একটা বড় রকমের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে যতটা সম্ভব স্বচ্ছতার সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিশন একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছে বলে আমি মনে করি। এর ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।
এ সময় তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ২০টি বিষয়ের মধ্যে ১১টি বিষয়ে কোনো ধরনের ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট ছিল না, বাকি ৯টি বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’সহ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্থানীয় শাসন ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধি বা জাতীয় সংসদ সদস্যদের যে প্রভাব থাকে, তা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আইনত বৈধ নয়। যেভাবে স্থানীয় পর্যায়ের কার্যক্রমে জাতীয় সংসদের সদস্যগণ যুক্ত থাকে, সেটা তাদের থাকার কথাও নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় যে ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সাংসদদের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে।
যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট আছে জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণের পর তার ভবিষ্যত কী হবে, তা জানতে চাওয়া একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক অবস্থা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা কী এবং কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করলে নোট অব ডিসেন্ট গুরুত্ববহ হবে, তা জানতে বিশেষজ্ঞগণের মতামত নেওয়া হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল যখন ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তার গুরুত্বও বিবেচনা করতে হবে।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের কথা বলছে- এই প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন যুক্ত নয়।
কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের কথা বলেছে। এ সনদ বাস্তবায়নের জন্য পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। এ আলোচনার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদী হবে না বলেও জানান তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ঐকমত্য কমিশনের এই সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, কমিশনের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর কিভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা কেমন হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসবে কমিশন।
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিকেরা।
কর্মসূচি থেকে সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টানমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন বন্ধের দাবি জানানো হয়।
শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজার মোড়ে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব।
প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি দৈনিক মানবজমিন-এর স্টাফ রিপোর্টার (কিশোরগঞ্জ) আশরাফুল ইসলাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক নয়াদিগন্তের জেলা প্রতিনিধি মো. আল আমিনের সঞ্চালনায় এতে নিউ নেশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আলম সারোয়ার টিটু, বাংলাদেশ প্রতিদিন এর জেলা প্রতিনিধি সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কালের কণ্ঠ ও এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি শফিক আদনান, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি তাফসিলুল আজিজ, মাছরাঙা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি বিজয় রায় খোকা, সংবাদের জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান সাজু, ডিবিসি নিউজ ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি রাকিবুল হাসান রোকেল, এখন টিভি’র জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমান কায়েস, দেশ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি তোফায়েল আহমেদ তুষার, দৈনিক ডেসটিনি’র জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম শাহীন, কালের নতুন সংবাদের সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, দৈনিক ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর শাহ্ বাদশাহ্, সকালের সময়ের জেলা প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম ভূঁইয়া, আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাজন আহম্মেদ পাপন, স্বদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আলী রেজা সুমন, আজকের বিজনেস বাংলাদেশ এর নিজস্ব প্রতিবেদক আতা মোহাম্মদ উবায়েদ, আজকের দর্পনের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান খান লিপন, খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি তাসলিমা আক্তার মিতু, দৈনিক নতুন দিনের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবু সাঈদ, মুফতি মাহমুদুর রহমান, দৈনিক দেশের কণ্ঠ এর জেলা প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক ভূঁইয়া, শুরুক নির্বাহী সম্পাদক মো. সাইফুল্লাহ সাইফ, সাউথ এশিয়ান টাইমস এর জেলা প্রতিনিধি মো. মনির হোসেন, জনবানীর জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমান নাদিম, ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি হারিছ আহমেদ, দৈনিক গণজাগরণের জেলা প্রতিনিধি তন্ময় আলমগীর, বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ এর জেলা প্রতিনিধি মো. সাখাওয়াত হোসেন আকাশ, আজকের বাংলা’র প্রতিনিধি মো. আলাউদ্দিন শুভ, মাইমশিল্পী রিফাত ইসলাম, সাংবাদিক জাহিদ হাসান মুক্তার প্রমুখসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বক্তারা সাংবাদিক তুহিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি সব ধরনের সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা বন্ধের দাবি জানান।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে ১১ জন নারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোরে তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানী সীমান্ত এলাকায় এই অভিযান চালায় ৫৬ বিজিবির সদস্যরা।
নীলফামারী ব্যাটালিয়নের (৫৬ বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুকানী বিওপির দুটি দল সীমান্ত পিলার ৭৪২/১-এস এর কাছাকাছি আমজোয়ানী এলাকায় অভিযান চালায়। ভোর ৪টার দিকে তারা ওই ১১ নারীকে ভারতে অনুপ্রবেশের আগে আটক করে।
আটকৃতরা যশোর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা।
বিজিবি জানায়, তারা দালালের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, একাধিক দালাল চক্রের মাধ্যমে তারা মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা চুক্তিতে সীমান্ত এলাকায় আসেন। আটক নারীদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজিবি আরও জানায়, সীমান্তে চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।