শুক্রবার, ৮ আগস্ট ২০২৫
২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

পিকনিকের বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৪ জনের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১১:২৮
চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশিত
চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:০৭

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকনিক বাসের সঙ্গে পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

শনিবার সকালে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের কলাতলী এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, চকরিয়ার উত্তর হারবাংয়ের করমুহুরী পাড়া মোস্তাক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রিদোয়ান, পূর্ব বৃন্দাবনখিল সামাজিক পাড়ার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে আবু বক্কর, বক্তাতলী উত্তর হারবাং এলাকার মোজাফফরের ছেলে মহি উদ্দিন এবং সামাজিক পাড়া উত্তর হারবাং এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে জয়নাল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, চকরিয়ার চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার অপারেশন অফিসার খোকন রুদ্র।

তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, কক্সবাজারমুখী একটি পিকনিক বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়েছেন। চারজনই নির্মাণ শ্রমিক। আহত হয়েছেন কয়েকজন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

বিষয়:

নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশিকে পুশইন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর ধামইরহাট ও সাপাহার সীমান্ত দিয়ে নারী শিশুসহ ১৮জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্ত পিলার ২৭১/১ এস ও সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২ এস এর কাছ দিয়ে পুশইন করলে বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করেছে।

ধামইরহাটে আটককৃতরা হলেন- খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাদশা মিয়া (২০), ইমরান গাজী (৩৪), নাজমুল হাসান (২৪), খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শিশু মোছা. সুমা মোল্লা (৪), শিশু রায়হান মোল্লা (৪), নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মোছা. নুপুর খানম (২২), শিশু মোছা. আশিকা খানম (৪), মোছা. মনিরা খাতুন (১৮), মোছা. রাবেয়া শেখ (২৮), বাবু শিকদার ( ১৭), প্রিয়া শিকদার (২৬), শিশু ফাতেমা শেখ (৭), মোছা. ববিতা শিকদার (৩৫), যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার মোছা. দুলি বেগম (৪০)।

সাপাহারে আটককৃতরা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার উথলী গ্রামের ইমদাদুলের স্ত্রী মোছা. হেনা খাতুন (৩৮), একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের বালাম শিকদারের স্ত্রী রূপালী (৩৫), তাদের মেয়ে চাঁদনী (৮) এবং ছেলে রমজান (২ বছর ৬ মাস)।

বিজিবি ১৪ (পত্নীতলা) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, ভোরে ১৪ বিজিবির কালুপাড়া বিওপির টহল দল হাবিলদার রুপম চাকমার নেতৃত্বে একটি টহল দল বাংলাদেশের ৫০গজ অভ্যন্তরে সাতনাপাড়া আম বাগানে তাদেরকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের বোম্বাই শহরে ৪জন পুরুষ রাজমিস্ত্রী এবং ৭জন মহিলা বাসা বাড়ীতে কাজ করতে যান। পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশ (সিআইডি) তাদের আটক করে। আজ ভোরে ভারতের বালুরঘাট বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা বাংলাদেশে পুশইন করে।

এদিকে সাপাহার সীমান্তে আটকৃতরাও কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়ে বাসা–বাড়িতে কাজ করতেন। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে ‘চেকব্যাক’ প্রক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের ছত্রাহাটি বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠালে ভোরে তাদেরকেও বাংলাদেশ পুশইন করা হয়। ভোরে সাপাহারের বামনপাড়া বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২ এস থেকে প্রায় ৮০০ গজ ভেতরে রসুলপুর গ্রামের জামে মসজিদের পাশ থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাম জাফর বলেন, বিজিবি এখনো আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করেনি। হস্তান্তরের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আজিজ জানান, আটককৃতদের ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে চলতি বছরের ৩১ জুলাই ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০জনকে পুশইন করে বিএসএফ।


বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের একটা বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে: অধ্যাপক আলী রীয়াজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজ রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক আলী রীয়াজ একথা জানান।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন করার একটা বড় রকমের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে যতটা সম্ভব স্বচ্ছতার সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, কমিশন একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছে বলে আমি মনে করি। এর ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।

এ সময় তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ২০টি বিষয়ের মধ্যে ১১টি বিষয়ে কোনো ধরনের ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট ছিল না, বাকি ৯টি বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’সহ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

স্থানীয় শাসন ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধি বা জাতীয় সংসদ সদস্যদের যে প্রভাব থাকে, তা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আইনত বৈধ নয়। যেভাবে স্থানীয় পর্যায়ের কার্যক্রমে জাতীয় সংসদের সদস্যগণ যুক্ত থাকে, সেটা তাদের থাকার কথাও নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় যে ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সাংসদদের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে।

যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট আছে জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণের পর তার ভবিষ্যত কী হবে, তা জানতে চাওয়া একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক অবস্থা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা কী এবং কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করলে নোট অব ডিসেন্ট গুরুত্ববহ হবে, তা জানতে বিশেষজ্ঞগণের মতামত নেওয়া হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল যখন ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তার গুরুত্বও বিবেচনা করতে হবে।

কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের কথা বলছে- এই প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন যুক্ত নয়।

কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের কথা বলেছে। এ সনদ বাস্তবায়নের জন্য পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। এ আলোচনার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদী হবে না বলেও জানান তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ঐকমত্য কমিশনের এই সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, কমিশনের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর কিভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা কেমন হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসবে কমিশন।


সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাকিবুল হাসান রোকেল, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিকেরা।

কর্মসূচি থেকে সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টানমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন বন্ধের দাবি জানানো হয়।

শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজার মোড়ে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব।

প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি দৈনিক মানবজমিন-এর স্টাফ রিপোর্টার (কিশোরগঞ্জ) আশরাফুল ইসলাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক নয়াদিগন্তের জেলা প্রতিনিধি মো. আল আমিনের সঞ্চালনায় এতে নিউ নেশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আলম সারোয়ার টিটু, বাংলাদেশ প্রতিদিন এর জেলা প্রতিনিধি সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কালের কণ্ঠ ও এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি শফিক আদনান, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি তাফসিলুল আজিজ, মাছরাঙা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি বিজয় রায় খোকা, সংবাদের জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান সাজু, ডিবিসি নিউজ ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি রাকিবুল হাসান রোকেল, এখন টিভি’র জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমান কায়েস, দেশ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি তোফায়েল আহমেদ তুষার, দৈনিক ডেসটিনি’র জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম শাহীন, কালের নতুন সংবাদের সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, দৈনিক ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর শাহ্ বাদশাহ্, সকালের সময়ের জেলা প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম ভূঁইয়া, আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাজন আহম্মেদ পাপন, স্বদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আলী রেজা সুমন, আজকের বিজনেস বাংলাদেশ এর নিজস্ব প্রতিবেদক আতা মোহাম্মদ উবায়েদ, আজকের দর্পনের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান খান লিপন, খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি তাসলিমা আক্তার মিতু, দৈনিক নতুন দিনের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবু সাঈদ, মুফতি মাহমুদুর রহমান, দৈনিক দেশের কণ্ঠ এর জেলা প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক ভূঁইয়া, শুরুক নির্বাহী সম্পাদক মো. সাইফুল্লাহ সাইফ, সাউথ এশিয়ান টাইমস এর জেলা প্রতিনিধি মো. মনির হোসেন, জনবানীর জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমান নাদিম, ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি হারিছ আহমেদ, দৈনিক গণজাগরণের জেলা প্রতিনিধি তন্ময় আলমগীর, বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ এর জেলা প্রতিনিধি মো. সাখাওয়াত হোসেন আকাশ, আজকের বাংলা’র প্রতিনিধি মো. আলাউদ্দিন শুভ, মাইমশিল্পী রিফাত ইসলাম, সাংবাদিক জাহিদ হাসান মুক্তার প্রমুখসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বক্তারা সাংবাদিক তুহিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি সব ধরনের সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা বন্ধের দাবি জানান।


তেতুলিয়ায় সীমান্তে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে ১১ জনেকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খাদেমুল ইসলাম, তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে ১১ জন নারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোরে তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানী সীমান্ত এলাকায় এই অভিযান চালায় ৫৬ বিজিবির সদস্যরা।

নীলফামারী ব্যাটালিয়নের (৫৬ বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুকানী বিওপির দুটি দল সীমান্ত পিলার ৭৪২/১-এস এর কাছাকাছি আমজোয়ানী এলাকায় অভিযান চালায়। ভোর ৪টার দিকে তারা ওই ১১ নারীকে ভারতে অনুপ্রবেশের আগে আটক করে।

আটকৃতরা যশোর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা।

বিজিবি জানায়, তারা দালালের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, একাধিক দালাল চক্রের মাধ্যমে তারা মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা চুক্তিতে সীমান্ত এলাকায় আসেন। আটক নারীদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বিজিবি আরও জানায়, সীমান্তে চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।


চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ভারতে চোরাচালানের সময় ২১টি স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারি আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

ভারতে চোরাচালানের সময় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় আড়াই কেজি ওজনের ২১টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় আটক করা হয়েছে আবদিন মিয়া নামে এক চোরাকারবারিকে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ৮৯০ টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী। আটক আবদিন মিয়া (৩৫) জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আনার আলীর ছেলে।

বিজিবি জানায়, দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণ চোরাচালানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনার ঈশ্বরচন্দ্রপুর সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। এসময় একটি মোটরসাইকেলযোগে দুই ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যাওয়ার পথে তাদেরকে থামার সংকেত দেওয়া হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে একজন পালিয়ে যায়, অন্যজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পরে পুকুর থেকে তাকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা। পরে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২১টি স্বর্ণের বার।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী জানান, ২১টি স্বর্ণের বারের ওজন ২ কেজি ৪৪৯ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ৮৯০ টাকা। আটক আসামিকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে।


গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কামাল হোসেন বাবুল, গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে বড় অগ্রগতি এসেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে। বর্তমানে সিসিটিভি ফুটেজের সাথে তাদের মিলিয়ে সনাক্তকরণের কাজ চলমান রয়েছে

সরজমিনে জানা যায় , ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল এক হানিট্র্যাপ থেকে। গোলাপি নামে এক নারী বাদশা নামের একজনকে প্রলোভনে ফেলে, তার সঙ্গে থাকা সশস্ত্র যুবকরা বাদশাকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। কাছাকাছি দাঁড়িয়ে মোবাইলে দৃশ্যটি ধারণ করছিলেন সাংবাদিক তুহিন। এ সময় হামলাকারীরা তার ওপর চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, দাড়িওয়ালা ও মাথায় ক্যাপ পরা ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান চাপাতি হাতে দৌড়াচ্ছে। তার সঙ্গে শাহজামাল, বুলেট ও সুজনসহ আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় উদ্ঘাটনের জন্য কাজ চলছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (ক্রাইম) রবিউল হাসান বলেন- পাঁচজনকে আটক করে আনা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের সাথে মিলিয়ে এদের সনাক্তকরণের কাজ চলছে। আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি এই মামলায় জড়িয়ে না যায়।”

পুলিশের একাধিক টিম এখনো পলাতক গোলাপি ও চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।


পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিং নিশ্চিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্টারলিংক চালু করবে সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিং ও আধুনিক শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম (সিএইচটি) অঞ্চলের ১০০টি বিদ্যালয়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগ চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, এই উদ্যোগ শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত এক বিপ্লব হবে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাসে অংশ নিতে পারবে। এতে শিক্ষার মানে সমতা নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, এই উদ্যোগ পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলবে, যা তাদের উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনে সহায়ক হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে জাতিগত জনগোষ্ঠীর মানসম্পন্ন শিক্ষার নিশ্চয়তা সম্পর্কে জানতে চাইলে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমার মূল চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা। অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। আমরা সবসময় কোটা পাবো না। প্রতিযোগিতা করতে হলে কিছু ভালো স্কুল-কলেজ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, আমার প্রধান চিন্তা স্যাটেলাইট শিক্ষাব্যবস্থা। এ জন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে হোস্টেল নির্মাণ করতে হবে।

সরকার পার্বত্য অঞ্চলে প্রকৌশল কলেজ, একটি নার্সিং কলেজ, হোস্টেল, অনাথালয় এবং ছাত্রাবাস নির্মাণের পরিকল্পনাও করছে বলে জানান উপদেষ্টা।

পার্বত্য এলাকার জনগণকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে সরকার তিন বছর মেয়াদি বাঁশ চাষ পরিকল্পনা এবং আরও পশুপালন ও মৎস্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, পার্বত্য জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হবে বাঁশ চাষ। আমরা বাঁশের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলতে চাই এবং এ অঞ্চলের পানি সংকট কমাতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা প্রকৃতি ও পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখেই পাহাড়ি অঞ্চল উন্নয়ন করতে চাই। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ একটি অত্যন্ত কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজু বাদাম, কফি ও ভুট্টার চাষেরও উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোর উন্নয়নে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরতা গড়ে তোলা এবং এলাকার সব সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, এই সরকার সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সবার অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরতা অর্জনে আমরা নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। পাশাপাশি আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই , পার্বত্য চট্টগ্রামে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়।

বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেই দেশকে এগিয়ে নিতে চায় উল্লেখ করে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এই সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে সকল সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা এবং একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের সকল দুয়ার উন্মুক্ত করেছে। পাহাড়ি জনগণ কৃষিখাতে পিছিয়ে আছে। আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় উৎপাদিত কফি ও কাজু বাদামের উৎপাদন সারাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে দিতে।

তিনি বলেন, আমরা পাহাড়ি জনগণ আর পিছিয়ে থাকতে চাই না। আমরা দেশের মূল স্রোতের সঙ্গে একীভূত হতে চাই। সমাজে সকলে যেন ভূমিকা রাখে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সমাজ, ধর্ম ও রাষ্ট্র সম্পর্কে ভাবতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকবে হবে।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদের সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো উচিত।

তিনি রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদকে সোনার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এই জলাশয় থেকে মাছ আহরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।

উপদেষ্টা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান সরকার আমাদের সবদিক থেকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় আমরা একটি সমৃদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই সরকার সকল নাগরিকের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সরকার পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উন্নত ও সহায়ক ক্রীড়া পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।


জুলাই শহীদ ও গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে বিশেষ গ্রাফিতি অঙ্কন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে জুলাই বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থান একটি অবিস্মরণীয় অধ্যায়, যেখানে দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বীর শহীদ ও সংগ্রামী জনতার আত্মত্যাগ চিরকাল প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। এই মহিমান্বিত স্মৃতি অম্লান রাখার লক্ষ্যে,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ম্যুরালে বিশেষ গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এই শিল্পকর্মের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের বীরত্ব, আত্মত্যাগ ও গণতান্ত্রিক চেতনা সেতুর স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে মিশে এক অনন্য ইতিহাসবাহী শিল্পরূপে পরিণত হচ্ছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু সংলগ্ন ম্যুরালে অঙ্কিত এই গ্রাফিতি শুধু সৌন্দর্যের সংযোজন নয়, বরং নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির সংগ্রামী অতীতকে জীবন্তভাবে তুলে ধরার এক অনন্য প্রয়াস।

গত ০৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখে সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ নিজে উপস্থিত থেকে গ্রাফিতি অঙ্কনের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) জনাব আলতাফ হোসেন শেখ, প্রধান প্রকৌশলী জনাব কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস, সেতু কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

পরিদর্শনকালে সেতু বিভাগের সচিব বলেন, “জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও শহীদের আত্মত্যাগ জাতির চিরন্তন সম্পদ। এই গ্রাফিতি কাজ সেই গৌরবগাঁথা ইতিহাসকে শিল্পের মাধ্যমে ধারণ করেছে, যা ইতিহাস ও নান্দনিকতার এক অনন্য সংমিশ্রণ।"

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, এই উদ্যোগ শুধু শিল্পপ্রেমীদের নয়, বরং সমগ্র জাতির হৃদয়ে নতুন প্রেরণা জাগাবে এবং দেশের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসকে আরও দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে।


বাংলাদেশে সামাজিক বীমা ব্যবস্থা প্রবর্তনে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে "জাতীয় সামাজিক বীমা স্কীম (NSIS)" বাস্তবায়নের রোডম্যাপ প্রণয়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP), অস্ট্রেলিয়ান এইড (Australian Aid) এবং RAPID এর সহযোগিতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা আজ গাজিপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্রাক সিডিএম - এ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এ কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক বীমার আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুশীলন, শাসন কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি সম্পর্কে নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, একাডেমিয়া ও সামাজিক অংশীদারদের জ্ঞান সম্প্রসারণ।

কর্মশালায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর মতো কর আদায়ের হার বৃদ্ধি এবং শ্রমিক-মালিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে টেকসই সামাজিক সুরক্ষা মডেল প্রয়োগের সম্ভাবনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

শ্রম সচিব তার বক্তব্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং ফরমালও ইনফরমাল খাতের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনার ওপর জোর দেন। তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও কেন্দ্রীয় তহবিলের সেবাগুলো দ্রুততার সাথে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। পাশাপাশি, International Social Security Association (ISSA)এর সদস্যপদ লাভের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ILO-ব্যাংককের প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা মিঃ সাইমন ব্রিম্বলকম্ব এবং ISSA-এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মিঃ ইন্দ্রজিদ নুরমুক্তি সামাজিক বীমার অর্থায়ন, শাসন ও টেকসই ব্যবস্থাপনার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা বাংলাদেশের জন্য অভিযোজিত নীতিমালা প্রণয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

কর্মশালার সুপারিশমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে NSIS এর রোডম্যাপ ও কার্যকারিতা শক্তিশালী করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। সরকার, ILO, UNDP, DFAT এবং অন্যান্য অংশীদারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য একটি সমন্বিত সামাজিক বীমা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও সামাজিক সুরক্ষা ইউনিটের প্রধান

মোঃ আবদুছ সামাদ আল আজাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর, সেন্ট্রাল ফান্ড ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল‍্যাণ ফাউন্ডেশনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিইএফ, বিজিএমইএ , বিকেএমইএ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।


চট্রগ্রাম বার ন্যায় ও মানবাধিকারের পক্ষে থেকে দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে: শিল্প উপদেষ্টা

আপডেটেড ৭ আগস্ট, ২০২৫ ২২:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ এবং নবীন আইনজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বারকে আরও আধুনিক, সেবামুখী ও মানবিক করে গড়ে তুলবে। সত্য, ন্যায় ও মানবাধিকারের পক্ষে অবিচল থেকে দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে চট্টগ্রাম বারের আইনজীবীরা ছিলেন প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সম্মুখ সারিতে এবং জনগণের পক্ষে। ফ্যাসিবাদের বিরোধী আন্দোলনে এই বারের কয়েকজন আইনজীবী জেল খেটেছেন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চট্টগ্রাম বারের আইনজীবীরা সাহসিকতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ব্লক রেইডে গণগ্রেফতার শিক্ষার্থীদের আইনি সহায়তা এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ডাকা প্রতিটি কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে তা বাস্তবায়ন করেছেন। মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে বারের সাহসী আইনজীবীরা শিক্ষার্থীদের আদালতে প্রবেশ ও তাদের গ্রেপ্তার এড়াতে নিজেদের চেম্বারে আশ্রয় দিয়েছিল।

উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আজ চট্রগ্রামের কোর্ট হিলে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে একথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে এই অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন চট্রগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নুরুল ইসলাম, মহানগর দায়রা জজ মোঃ হাসানুল ইসলাম, চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, চট্রগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, চট্রগ্রাম বার জুলাই বিপ্লবে যে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে, তা জাতি স্মরণ করবে। দ্রুত জুলাই হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হবে।

অভিষেক অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান পরিষদের সদস্য ও বিজ্ঞ আইনজীবীবৃন্দ। এ সময় আইনজীবী সমিতির প্রকাশনা 'অভিষেক স্মারক' এর মোড়ক উম্মোচন করা হয়।


কুষ্টিয়ায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস উদযাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাব্বির আর নাফিজ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অন্ষ্ঠুান অনু্ষ্িঠত হয়েছে। ৭ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) বিকেলে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী চত্বরে বিশ্বকবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বকুলতলায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মিকাইল ইসলাম। শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান আল আমীনের সভাপতিত্বে অন্ষ্ঠুানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মিকাইল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তিয়াশা চাকমা। রবীন্দ্রনাথের জীবন, দর্শন ও সাহিত্যকর্মের উপর আলোচনা করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুজ্জামান। এদিকে বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে পালিত হয়। তবে প্রয়াণ দিবসটি উপলক্ষে কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়িতে জাতীয়ভাবে কোনো আয়োজন না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ও রবীন্দ্র ভক্তরা। বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অনেকটা অনেকটা সুনসান নিরাবতা। হাতে গুণা গুটিকয়েক দর্শনার্থী ও ভক্তরা এসেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে। এসময় কুমারখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি কে এম আর শাহীন বলেন, জন্মবার্ষিকীতে জাতীয়ভাবে আরাম্ভরপূর্ণ তিন দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়ে থাকে। তখন দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দর পদচারণায় মুখরিত থাকে কুঠিবাড়ি। তবে প্রয়াণ দিবসে অনেকটায় ভাটা পড়ে থাকে। প্রয়াণ দিবসও জাতীয়ভাবে পালনের দাবি জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, জন্মবার্ষিকীর ন্যায় প্রয়াণ দিবসটিও জাতীয়ভাবে পালনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।


শোকজের জবাব দিয়েছেন এনসিপি নেতারা, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে অনুপস্থিত থেকে মঙ্গলবার কক্সবাজার সফরে যাওয়ার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির ৫ শীর্ষ নেতাকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের (শোকজ) জবাব দিয়েছেন তারা।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত বৃহস্পতিবার(৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ যথাসময়ে শোকজের জবাব দিয়েছেন।

তারা দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন বরাবর এ নোটিশের জবাব পাঠিয়েছেন।

৫ শীর্ষ নেতার শোকজের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনসিপি।

এর আগে বুধবার এনসিপির সামনের সারির এই পাঁচ নেতাকে পৃথক পৃথক কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় দলটি।

আলাদা আলাদা দেওয়া নোটিশে বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আপনি এবং দলের আরও চারজন কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজার গিয়েছেন। এই সফরসংক্রান্ত কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা রাজনৈতিক পর্ষদের কাছে আগে অবগত করা হয়নি। এমন অবস্থায় আপনার এই সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলের আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের কাছে সশরীর উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

এদিকে নোটিশের লিখিত জবাব ফেসবুকে পোস্ট করেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। বলেন, ‘আমি মনে করি শোকজ নোটিশটি বাস্তবভিত্তিক নয়। আমার সফর ছিল স্বচ্ছ, সাংগঠনিক নীতিমালাবিরোধী নয় এবং একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনার সুযোগ মাত্র। তবুও দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখে আমি এই লিখিত জবাব প্রদান করছি। অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নিদর্শন হিসেবে।’


জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে অনেক অর্জন হয়েছে : শেখ বশিরউদ্দীন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে অনেক অর্জন হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

তিনি বলেন, আমরা কাঠামোগত সংস্কার করে একটি পর্যায়ে উপনীত হতে পারবো যার মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার দেশকে সুষ্ঠু অর্থনীতি ও বৈষম্যহীন যাত্রায় অগ্রসর করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট ) বিকালে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মিলনায়তনে ছাত্র জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জুলাই পুনর্জাগরণ উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

উপদেষ্টা বলেন, প্রস্তাবিত সংস্কারসমূহ স্বল্প সময়ে শতভাগ বাস্তবায়ন করা না গেলেও উপযুক্ত রোডম্যাপ নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। কিভাবে আরো ভালো পারফর্ম করা যায় ,একটা ভালো নির্বাচন ডেলিভার করা যায় এ ব্যাপারে সকল উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

জুলাই পরবর্তী এক বছরে অনেক অর্জন হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন , আমরা বাজার ব্যবস্থায় সিন্ডিকেশন নির্মূল করতে পেরেছি। টিসিবির কার্যক্রম কে অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে পেরেছি।এক কোটি পরিবারকে কার্ড দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।আমাদের ম্যাক্রো ইকনোমিতে ব্যালেন্স সারপ্লাস,আমাদের ফিনান্সিয়াল একাউন্টে আমরা সারপ্লাস, রিজার্ভ যেটা সম্ভবত ১০ বিলিয়নে নেমে গিয়েছিল সেটা এখন ৩০ বিলিয়নে উঠে এসেছে। রপ্তানি বিগত ৩২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে।বৈষম্য দূরীকরণেও আমাদের অগ্রগতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন , জুলাইয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল এবং আমরা যে সমন্বিতভাবে,সমস্বরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে না বলতে পেরেছি তার জন্য আমাদের মূল্য দিতে হয়েছে। ছোট্ট শিশু প্রিয়া গোপ থেকে ইয়ামিনকে জীবন দিতে হয়েছে। জুলাই আগস্টে আরো যে স্যাক্রিফাইস করতে হয়েছে তা অবর্ণনীয়। সেই দায়বোধ থেকে জুলাইকে স্মরণ করতে এসেছি, আরো বেশি জানতে এসেছি।

বিশেষ অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো দুইজন জুলাই যোদ্ধার স্মৃতিচারণ, শোন মহাজন, টেস্টিমনি অব মার্টায়ার্স ফ্যামিলি ও কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা তথ্যচিত্র প্রদর্শন, জুলাই কেন্দ্রীক গীতি আলেখ্য ও আলোচনাসভা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুর রউফ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের তাৎপর্যকে হৃদয়ে ধারণ করে যদি আন্তরিকতা,সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করা যায় তবেই আমরা বৈষম্যহীন, মানবিক ও কল্যাণমূলক এক টেকসই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন,বিগত সতের বছর ক্রণিং ক্যাপিটালিজম হয়েছে।কতিপয় মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে জুলাই এর চেতনাকে ধারণ করে বৈষম্যহীন ন্যায় ভিত্তিক সমাজ কাঠামো,ন্যায় ভিত্তিক নীতি কাঠামো ও ন্যায় ভিত্তিক আচরণ প্রতিষ্ঠা করা দরকার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ।ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও সায়লা আক্তার শশী জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন।


banner close