শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫
২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

খাগড়াছড়িতে এডিসির গাড়িতে দুর্বৃত্তের হামলা

আপডেটেড
৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৫:১১
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৪৩

নির্বাচনে প্রশাসনিক দ্বায়িত্ব পালনে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় যাওয়ার পথে সড়কে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মো. জোনায়েদ কবির সোহাগের গাড়িতে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের জামতলী বাঙালি পাড়ার সুপারি বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা আসার পথে জামতলী বাঙালি পাড়ার সুপারি বাগান এলাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জোনায়েদ আহমেদ সোহাগের গাড়িতে ঢিল ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা। এসময় গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. মামুনুর রশীদ জানান, খবর পেয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে এলাকাটির সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো রয়েছে।

বিষয়:

তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে নবীনগর প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০০
নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

গাজীপুরের দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ টাফ রিপোর্টার নির্ভীক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর প্রেসক্লাবের আয়োজনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১টায় নবীনগর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব নবীনগর প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি সভাপতিত্বে দৈনিক কালবেলা নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি করেন শাহনূর খান আলমগীরের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

এসময় বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ সভাপতি তাজুল ইসলাম,সাবেক সভাপতি, দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি মাহাবুব আলম লিটন,প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, সাবেক সভাপতিও দৈনিক আমার দেশ প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন মনির, ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল,সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ, বাংলা টিভি প্রতিনিতি পিয়াল হাসান রিয়াজ,আনন্দ টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধ আবু কাউছার, দৈনিক বাংলা প্রতিনিধি জামাল হোসেন পান্না, মানবকন্ঠ প্রতিনিধি মিঠু সূত্রধর পলাশ সাংবাদিক এম কে জসিম উদ্দিন,রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি শাহিন রেজা টিটু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শরিফ,উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম ,,নিউ মডেল প্রেস ক্লাব সভাপতি খলিলুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির, কাউসার আলম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং উপজেলা সকল ক্লাবের সদস্যবৃন্দ ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তুহিন ছিলেন একজন সৎ ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদকর্মী, যিনি দীর্ঘদিন নানা চাপ ও হুমকি উপেক্ষা করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে গেছেন। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে, যা মুক্ত সাংবাদিকতার ওপর এক নির্মম আঘাত।

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তুহিন হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে দেশব্যাপী সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনে নামবে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।


ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


রাজশাহীতে ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাথে রাজশাহী বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউজে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন সংস্থা সমূহের বাস্তবায়িত ১২ টি প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন। এর আগে উপদেষ্টা একদিনের সরকারি সফরে রাজশাহী সার্কিট হাউজে উপস্থিত হলে তাকে গার্ড অফ অনার প্রদর্শন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার,
পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, এসপি ফারজানা ইসলাম সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ। এর পর রাজশাহী থেকে তিনি নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তিনি স্বশরীরে নাটোর মিনি স্টেডিয়াম সহ ভার্চুয়ালি নাটোর এলজিইডির কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের উদ্বোধন করবেন এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন।


গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আটক ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে ছুরিকাঘাতে জুয়েল নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার উড়ালসেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে রাকিব (২৫) ও রবিন (২৭) নামে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরিও জব্দ করা হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, মাওনা চৌরাস্তার গল্প ছড়া নামক অস্থায়ী চায়ের দোকানের পাশে কয়েকজন যুবক ঘুমাতে যায়। চটের বিছানায় ঘুমানো নিয়ে নিহত জুয়েল এবং আটক রাকিব ও রবিনের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তির সময় রাকিবের ছুরিকাঘাতে জুয়েলের বুক বিদ্ধ হয় এবং রবিনের হাত কেটে যায়।

স্থানীয়রা জুয়েলকে উদ্ধার করে প্রথমে মাওনার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাওনা চৌরাস্তার টহলরত পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে রাকিব ও রবিনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ওসি জানান, নিহত জুয়েল ও গ্রেপ্তাররা সবাই ভাসমান এবং মাওনা চৌরাস্তা কেন্দ্রিক বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। 


শেরপুরে স্ত্রীকে বাড়ির উঠানে কবর দেওয়ার চেষ্টার ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অসুস্থ স্ত্রীকে নিজের বাড়ির উঠানে জীবিত কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারই স্বামী খলিলুর রহমান। আর এ ঘটনার ভিডিও রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত স্বামীর হলেন খোশালপুর মধ্যপাড়ার মৃত জহুর আলীর ছেলে মো. খলিলুর রহমান (৮০)।

ভুক্তভোগী স্ত্রীর হলেন, একই এলাকার স্ত্রী খোশেদা বেগম (৭০)।

স্থানীয়রা জানায়, শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া বাজার এলাকায় অসুস্থ স্ত্রী বিছানায় মলত্যাগ করায়। তার স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে নিজের বাড়ির উঠানে নিয়ে যান এবং কোদাল দিয়ে ছোট করে গর্ত খুঁড়ে তার গায়ে মাটি চাপা দিতে থাকেন। এ সময় তাকে হাত দিয়ে আঘাত করতেও দেখা যায়। এ সময় তারই নাতি মো. খোকন (১৯) ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। যা রাতে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে জেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রায় ছয় বছর ধরে শয্যাশায়ী খোশেদা বেগম।

ফেইসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করে শাহাদাৎ নামের একজন লেখেন, আমাদের উপজেলায় এসব কি দেখছি। এ ঘটনার আমরা স্বামীর শাস্তি চাই।

এলাকার বাসিন্দা হাফিজ বলেন, খলিলুর রহমান মানুষ হিসেবে মন্দ নন, তবে কারও সঙ্গে খুব বেশি মিশেন না। স্ত্রী বিছানায় পড়ার পর তিনি সেবা করতেন। আজকের ঘটনাটি দুঃখজনক।

পাশের বাড়ির সুজন বলেন, তিনি তেমন ঝামেলায় জড়ান না, তবে গরিব মানুষ। গতকালই স্ত্রীর জন্য একটি চেয়ার কমোড কিনে আনেন। স্ত্রী চোখে ভালো দেখেন না। একটু কথা না শোনায় আজ এই ঘটনা ঘটে।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ জানান, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক টিম পাঠিয়েছি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করেছেন। তারপরও লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ জানান, আমি ভিডিওটি দেখেছি। বিষয়টি সত্যিই মর্মান্তিক। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


কারাগার থেকে পালাতে দেয়াল খুঁড়ছিলেন ফাঁসির ৩ আসামি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি। এ জন্য তারা বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে দেয়াল খুঁড়ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে বন্দিদের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে উপকরণগুলো জব্দ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএিমপি) কোনাবাড়ী থানার ওসি সালাহউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের শাহাদাত হোসেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শ্রী রনি মোহন্ত ও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মঞ্জু।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারী প্রধান রক্ষী মোখলেছুর রহমান। এ সময় তিনি তমাল ভবনের নিচ তলায় ১২নং কক্ষ থেকে দেওয়ালে আঘাতের শব্দ শুনতে পান। পরদিন ৬ আগস্ট সকালে ওই কক্ষে তল্লাশি করে একটি লোহার পাত, দুই চুকরা রড, কম্বল কেটে বানানো ২৮ ফুট লম্বা একটি রশি, কম্বল দিয়ে তৈরি ২৫ ফুট লম্বা একটি বেল্ট, লোহার তৈরি দুটি আংটা, ১০ ফুট লম্বা একটি খুঁটিসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কারা কর্তৃপক্ষকে জানান, জেল থেকে পলানোর জন্য প্রস্তুতির সহায়ক উপকরণ হিসেবে উদ্ধার করা মালামাল তারা সংগ্রহে রেখেছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা জেল থেকে পালাতে অথবা সে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সারা দেশের কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

কোনাবাড়ী থানার ওসি সালাহউদ্দিন বলেন, হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার ওই ঘটনায় মামলা করেছেন।


কুমিল্লায় ফুটবল খেলা শেষে ফেরার পথে ট্রাক খাদে, স্কুলছাত্র নিহত; আহত অন্তত ১০

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ফুটবল ম্যাচ শেষে বাড়ি ফেরার পথে খেলোয়াড় ও সমর্থকবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল ইমন (১৪) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার বাকশিমুল উত্তরপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইমন হরিপুর উত্তরপাড়া এলাকার শফিউল আলমের ছেলে এবং হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে “এলইডি টিভি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট”-এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় হরিপুর উত্তর একাদশ ও হরিপুর দক্ষিণ একাদশ মুখোমুখি হয়। উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় হরিপুর দক্ষিণ একাদশ বিজয়ী হয়।

খেলা শেষে খেলোয়াড় ও সমর্থকরা একটি ট্রাকে করে নিজ নিজ গ্রামে ফিরছিলেন। পথে বুড়িচং-কালিকাপুর সড়কের বাকশিমুল উত্তরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে ইমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইমনের মৃত্যুর খবরে তার পরিবার, সহপাঠী ও সমগ্র হরিপুর উত্তরপাড়া এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, “খেলা শেষে ফেরার পথে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের বহনকারী ট্রাক খাদে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।”

শনিবার সকালে জানাজা শেষে ইমনের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার জানিয়েছে।


গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোডের ফুটপাতে একটি ট্রাভেল ব্যাগ থেকে অজ্ঞাতনামা এক পুরুষের বেশ কয়েক টুকরো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ এগুলো উদ্ধার করে। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে পৃথক স্থান থেকে চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। টঙ্গী, কোনাবাড়ি, সালনা ও ভবানীপুর এলাকা থেকে এ লাশগুলো উদ্বার করা হয়। পরে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় শুক্রবার সকালে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে কৌতূহল বশতঃ কয়েকজন ব্যক্তি ব্যাগটি খুললে টুকরা করা মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ সকাল ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ ধারণা, গত রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশটিকে কয়েকটা টুকরা করে। পরে ওই ট্রাভেল ব্যাগে করে ভোরে টঙ্গীর ওই স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে বেশ কয়েকটি টুকরা করে ওই ব্যাগের মধ্যে ভরে টঙ্গীর ওই স্থানে ফেলে পালিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

নগরীর দক্ষিণ সালনা মিয়াপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নয়ন (২৮) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি শেরপুর জেলার শ্রীবরদী গোসাইপুর এলাকার মোশারফ হোসেন মোসার ছেলে। সদর থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

অন্যদিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে জয়দেবপুর থানার পুলিশ।

নিহতের ছেলে সুমন জানান, রাত ১০টার দিকে তার বাবার মরদেহটি ভবানীপুর অনন্ত ভবন নামে একটি রিসোর্টের কাছে রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, তার বাবার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি দাড় করানো অবস্থায় ছিল। শরীরে কোনো জামা কাপড় ছিল না। দূর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর মরদেহটি এখানে ফেলে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপর দিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকা থেকে এক অটোচালকের মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই চালকের নাম জিল্লু ফকির (৫০) তিনি ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকার ভালকি গ্রামের মাফেজ খার ছেলে। তিনি ২২ বছর ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

নিহতের মেয়ে উর্মি জানান, তার বাবা সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যান। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অটোরিকশা যোগে লোকজন ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিষক্রিয়া উল্লেখ করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। কোনাবাড়ি থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আমতলীর মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা রাসেল গ্রেপ্তার, কঠোর শাস্তির দাবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসরিন সিপু, বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা রাসেল হাওলাদারকে হিরোইনসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের মধ্যে। তারা রাসেলের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।

জানা গেছে, দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের মৃত বারেক হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তুলেছেন বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদেরও এই নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছেন তিনি। এ কাজে স্ত্রী, দুই ভাই রুবেল হাওলাদার ও সজিব হাওলাদারকেও সম্পৃক্ত করেছেন। তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের কাছে মাদক সরবরাহ ও অর্থ সংগ্রহ করতেন।

এছাড়া স্থানীয়দের অভিযোগ, রাসেলের সঙ্গে পুলিশ, র‍্যার , ডিবি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু সদস্যের সখ্যতা রয়েছে। ফলে তার বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করতেন তারা। রাসেলের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় ৯টি এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী থানা পুলিশ রাসেলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় একগ্রাম হিরোইন, হিরোইন পরিমাপ যন্ত্র ও প্যাকেজিং মেশিন উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জানান, রাসেলের পরিবারের সকলেই মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তাদের কব্জায় পড়ে অনেক পরিবার ধ্বংসের পথে গেছে। তাই তারা রাসেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে ৯টি মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উপ-পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে রাসেলকে বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জন্য মহাপরিকল্পনা চূড়ান্তের পথে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর বাসস’কে বলেন, ‘দ্বীপটির জন্য একটি মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। এর পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প আয়ের উপায় নির্ধারণের কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, দ্বীপটির প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য (দ্বীপের প্রকৃতির ক্ষতি কমিয়ে আবার সুস্থ ও জীবন্ত করে তোলার লক্ষ্যে) সেখানে পর্যটন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক বছরে পরিবেশ সুরক্ষা, বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে।

দূষণ কমাতে সারা দেশের শপিংমলগুলোতে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। পলিথিন উৎপাদন কারখানা, কাঁচাবাজার ও অন্যান্য স্থানে এর ব্যবহার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চলছে।

পাশাপাশি পলিথিনের বিকল্প হিসেবে সাশ্রয়ী মূল্যে পাটের ব্যাগ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি যৌথ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া ৮৩০টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ঢাকার সাভার ও আশুলিয়াকে ‘দূষিত বায়ুমণ্ডল’ এলাকা হিসেবে ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে। অবৈধ সীসা কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে তরুণদের যুক্ত করা হয়েছে।

গাজীপুরের গাছা খাল দূষণকারী নয়টি কারখানার সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং সব পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য নতুন কর্মসূচি অনুমোদিত হয়েছে এবং এর নিজস্ব ৩৭টি অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

পাহাড় সংরক্ষণের জন্য ১৬টি জেলার তালিকাভুক্ত পাহাড়ের তথ্য অনলাইন ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং নিয়মিত নজরদারি চলছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ৩৫১ কোটি টাকার ৪১টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ’ চূড়ান্ত হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের ওপর আলোকপাত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কক্সবাজার ও সোনাদিয়ায় বিভিন্ন কাজে বরাদ্দকৃত ১০ হাজার ৩২২ একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

পূর্বাচলে ১৪৪ একর এলাকাকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত এক বছরে বেদখল হওয়া ৫ হাজার ৯৩ একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করে সেখানে আবার বনায়ন করা হয়েছে।

ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা উৎপাদন ও রোপণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মধুপুর শালবন পুনরুদ্ধারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাতির চলাচলের পথ তৈরি এবং জীববৈচিত্র্য বাড়ানোর জন্য চুনতি ও শেরপুরের বন পুনরুদ্ধারের কাজও চলছে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে মানব-হাতি সংঘাত কমাতে ১৫৯টি ‘এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি)’ গঠন করা হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় ময়ূর ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বিপন্ন প্রজাতিগুলোকে সুরক্ষিত করা হচ্ছে, জলাভূমিগুলোকে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ও ২৯৩টি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন অভিযানে ৫ হাজার ৬৮৪টি প্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

জাতীয় উদ্যান ও ইকোপার্কগুলোতে প্লাস্টিক ব্যবহার ও পিকনিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী আইন আধুনিকীকরণ এবং নতুন আইন, বিধি ও নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজও চলছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের এসব উদ্যোগ দেশের পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এগুলো একটি জলবায়ু প্রতিরোধী ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।


বোরহানউদ্দিনে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার বোরহানউদ্দিনে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অবস্থান করছেন এক তরুণী। তার দাবী, হয়তো প্রেমিকের সঙ্গে তার বিয়ে হবে, নয়তো প্রেমিকের বাড়িতেই তিনি আত্মহত্যা করবেন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেল থেকে এখন পযন্ত প্রেমিকের বাড়ির সিঁড়ির উপরে বসে অবস্থান করছেন ওই তরুণী।

ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আ.আজিজুল হকের বাড়িতে। তরুণীর প্রেমিকের নাম রিপন। তিনি ওই বাড়ির আঃ আজিজুল হকের ছেলে।

তরুণী জানায়, প্রেমিক রিপনের বাড়ির পাশে তার খালার বাসা রয়েছে। দেড় বছর আগে ওই তরুণী তার খালার বাসায় বেড়াতে আসলে রিপনের সঙ্গে তার দেখা হয়। পরে রিপন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। সেখান থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্কে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলেও দাবী করেন তরুণী।

তরুণী আরও জানান, রিপন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করেছেন। এখন আর তাকে পাত্তা দেন না। তরুণীর সঙ্গে রিপন সকল ধরণের যোগাযোগ বিছিন্ন করে রেখেছেন। সম্প্রতি অন্য মেয়ের সঙ্গে রিপনের বিয়ে ঠিক হয়েছে জানতে পেরে তিনি অনশনে বসেছেন।

তরুণী দৈনিক বাংলাকে জানান, বিয়ের কথা শুনে কোন উপায় না পেয়ে রিপনের বাসায় আসছি। এখন রিপন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবো।

এদিকে, প্রেমিক রিপন ঢাকাতে অবস্থান করায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে, তার বাবা আজিজুল হক দৈনিক বাংলাকে বলেন, তার ছেলে ঢাকায় থাকেন। তিনি এবং তার ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। মেয়েটির খালা বাসা তাদের বাসার পাশে। এই সুবাধে প্রায়ই মেয়েটির যাতায়াত ছিলো তাদের বাসায়। পারিবারিক শত্রুতার জেরেই মেয়েটির দ্বারা ষড়যন্ত্রের শিকার তার ছেলে।

তার ছেলের সাথে তরুণীর দেড় বছরের সম্পর্কের বিষয়টি মিথ্যা দাবী করে তিনি আরও বলেন, অন্য মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ের বিষয়টিও মিথ্যা। আমার ছেলেকে এখন বিয়ে দিচ্ছি না। এছাড়াও তার সঙ্গে আমার ছেলের কোন প্রেমের সম্পর্কও হয়নি।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনাটি তার জানা নেই। প্রতিবেদকের থেকে মাত্র শুনলেন। তবে, ভুক্তভোগীর থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।


চলনবিল থেকে ১৫০টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল হাসান, নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়ার চলনবিলের কয়েকটি স্থান থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা মুল্যের ১৫০টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল উদ্দার করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ডাহিয়া ফকিরপাড়া ও চামারী ইউনিয়নের বিলদহর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে নিষিদ্ধ জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংশ করা হয়।

সিংড়ার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন জানান, চলনবিলেন বিভিন্ন অংশে অসাধু মৎস শিকারীরা নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মা মাছসহ পোনা মাছ নিধনে মেতে উঠেছে। চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৫০টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।


সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রামের বাড়িতে বাবা মায়ের আহাজারি “কেডা আমগর খোঁজ নিবো”

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. আল- আমিন, ফুলবাড়িয়া ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন স্বাধীনচেতা ও প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। ব্যক্তি জীবনে কোন ধরণের রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ও বাজে আড্ডায় জড়িত না থাকায় গ্রামের লোকজনের কাছে অদ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে বেশ সমাদৃত ছিলেন।

তিনি ফুলবাড়িয়া পৌর সদরের আল হেরা স্কুল থেকে এসএসসি শেষে ২০০২ সালে ভর্তি হন সিলেট এম সাইফুর রহমান কলেজে। তার সহোদর জসিম উদ্দিন গাজীপুরে ব্যবসা করায় ভাইয়ের বাসায় থেকেই গাজীপুর ভাওয়াল কলেজ থেকে অনার্স করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিভ হিসেবে চাকুরি করেন। বাবা মা বারণ করলেও ২০১২ সাল থেকেই পুরোদমে সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন। যার দরুণ পেশাগত কারণে পরিবার নিয়ে তিনি গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চান্দনা চৌরাস্তার ফুটপাত ও দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজির ঘটনা লাইভ করেন তুহিন। পরে নিজ ফেইসবুকে “ যেমন খুশি তেমন রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য গাজীপুর চৌরাস্তা” লিখে ভিডিও পোস্ট করেন। এর পরপরই মসজিদ মার্কেটের সামনে চায়ের দোকানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে নিহতের স্বজেনরা জানান।

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে। তিনি বয়োবৃদ্ধ হাসান জামাল ও সাবিহা খাতুনের পুত্র। পাঁচ ভাই ও দুই বোনদের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্ব কনিষ্ঠ। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের মৃত্যুতে গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবারের লোকজন বিচারের দাবি জানিয়ে আহাজারী করছেন।

সরেজমিনে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখাযায়, নিহতের মা সাবিহা খাতুন বকুল (৭৫) বিলাপ করে বলছেন আমার ছেলে তুহিন কালকেও বলেছে, আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাবো, আম্মা কোন চিন্তা করিও না তুমি ভালো হয়ে যাবা । এখন আমগরে কেডা খোঁজ নিবো। কেডা মোবাইল করবো? আমগরে কেডা দেখবো

বলে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। একই অবস্থা বয়োবৃদ্ধ পিতা হাসান জামিলের। দুদিন আগেও তাকে ওষুধ কিনার টাকা পাঠিয়েছেন বলে চিৎকার করছেন।

স্বজেনরা জানান সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন ২০০৫ সাল থেকে গাজীপুরে বসবাস করছেন। স্ত্রী মুক্তা আক্তার সেখানকার একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চাকুরি করতেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সেখানেই ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। তাদের ঘরে সাত বছর বয়সি তৌকির তিন বছর বয়সি ফাহিম নামে দুই শিশু সন্তান রয়েছে। আসাদুজ্জামান তুহিন কে হত্যা করায় তার দুই শিুশু সন্তান, স্ত্রী ও বয়োবৃদ্ধ বাবা মায়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিৎ হয়ে পড়েছে। তুহিন হত্যার বিচারের পাশাপাশি সরকারি অথবা ব্যক্তি উদ্যোগে তাদের পরিবারের পাশে দাড়ানোর অনুরোধ করেন।

প্রতিবেশি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, তুহিন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার বৃদ্ধ বাবা মা তার উপর নির্ভরশীল ছিলেন। এখন এ পরিবারটি কিভাবে চলবে, কী করবে বুঝতেছি না।

চাচাতো ভাই নাছির উদ্দিন বলেন, আমার ছোট ভাইকে যারা প্রকাশ্যে হত্যা করেছে তাদের প্রকাশ্য ফাঁসি চাই, আমাদের আর কোন কিছুই চাওয়ার নাই।

বোন সাইদা আক্তার রত্না বলেন, মাঝে মাঝে আমাদের খোজ খবর নেয়, আমার ভাই কোন দিন কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিন না, কখনো খারাপ ছেলেদের সাথে আড্ডা দিত না, কেন আমার ভাইকে হত্যা করা হলো? আমার ভাইয়ের কি অপরাধ আমরা বিচার চাই। পুলিশ কেন আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করছেনা এর জবাব চাই।

এদিকে তুহিন হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে তার নিজ মাতৃভূমি ফুলবাড়িয়াতে শুক্রবার সকালে ফুলবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিকরা মানবন্ধন করেন। পরে বাদ মাগরিব দ্বিতীয় জানাযা নামাজ শেষে তাকে বাড়ির পাশেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


banner close